× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
What is Indias position in the Russia Ukraine conflict?
google_news print-icon

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান কী

রাশিয়া-ইউক্রেন-সংঘাতে-ভারতের-অবস্থান-কী
ওয়াশিংটন ও মস্কোর সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে দিল্লির। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের সাবেক কূটনীতিক জে এন মিশ্রের বলেন, ‘এই ইস্যুতে ভারতের সামনে যেসব বিকল্প আছে, তার কোনোটিই ভালো নয়। একই সময়ে কেউ দুইদিকে কাত হতে পারে না। জাতিসংঘে বিবৃতিতে ভারত কোনো দেশের নাম নেয়নি। এর অর্থ মস্কোর বিরুদ্ধে যাবে না দিল্লি।’

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান নিয়ে কূটনৈতিক টানাপড়েনে আছে ভারত। দিল্লি চাইছে, পশ্চিমা বিশ্বের পাশাপশি মস্কোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে।

এই ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া প্রথম বিবৃতিতে কোনো দেশের নাম সরাসরি উল্লেখ করেনি ভারত। কূটনীতি ও আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানে সাড়া না দেয়াকে দুঃখজনক বলেছে দিল্লি।

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি একটি খসড়া প্রস্তাব তোলা হয়। ভোটের আগেই ভারতের প্রতি রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানিয়েছিল তারা যেন ‘সঠিক পদক্ষেপ’ নেয়।

কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদানে বিরত থাকে ভারত। তবে তাদের বিবৃতিতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে মস্কোকে পরোক্ষভাবে আহ্বান জানিয়েছে দিল্লি।

বিবৃতিতে জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার ওপর গুরুত্বের কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে সংকট সমাধানের গঠনমূলক উপায় খুঁজে পেতে সব সদস্যরাষ্ট্রকে এই নীতিগুলোর প্রতি সম্মান দেখানোর তাগিদ দেয় দিল্লি।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান কী
রুশ হামলা মোকাবিলায় ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রস্তুতি। ছবি: এএফপি

ভোটদানে বিরত থাকায় ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে পশ্চিমা দুনিয়ায়। তা হলো, এই ইস্যুতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত ছিল কি না।

ভারতের সামনে বিকল্প কী

ভারতের সাবেক কূটনীতিক জে এন মিশ্রের বলেন, ‘এই ইস্যুতে ভারতের সামনে যেসব বিকল্প আছে, তার কোনোটিই ভালো নয়।

‘একই সময়ে কেউ দুইপাশে কাত হতে পারে না। বিবৃতিতে ভারত কোনো দেশের নাম নেয়নি। এর অর্থ মস্কোর বিরুদ্ধে যাবে না দিল্লি।’

ইউক্রেন প্রশ্নে কূটনীতিক সমাধানের ভারতের জোর দেয়ার কিছু কারণ আছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মস্কোর সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা ও কূটনীতিক সম্পর্ক।

ভারতে অস্ত্রের যোগান দেয়া দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া এখনও শীর্ষে। যদিও সরবরাহ ৭০ শতাংশ থেকে নেমে এখন ৪৯-এ দাঁড়িয়েছে। এর কারণ অবশ্য ভারত সরকারের পররাষ্ট্রনীতি। অস্ত্র সংগ্রহে বৈচিত্রতা আনতে চাইছে দিল্লি। নিজেরাই এখন অস্ত্র উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান কী
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে ভারতের প্রতিরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ছবি: এএফপি

অত্যাধুনিক এস-৪০০ মিসাইল প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মতো সামরিক সরঞ্জাম ভারতকে সরবরাহ করছে রাশিয়া। যা চীন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রতিরোধ গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার হুমকির পরও মস্কোর কাছ থেকে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাওয়ার প্রক্রিয়া থেকে সরে আসেনি ভারত।

প্রতিরক্ষা সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ

বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে কয়েক দশকের কূটনৈতিক সহযোগিতা এড়িয়ে যাওয়াটা ভারতের জন্য বেশ কঠিন। কাশ্মীর প্রশ্নে জাতিসংঘে ভেটো দিয়ে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল মস্কো। তাই আলোচনায় সংকট সমাধানের পক্ষেই জোর দিচ্ছে দিল্লি।

থিঙ্কট্যাংক উইলসন সেন্টারের উপপরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটে ভারতের অবস্থানে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অতীত কৌশলই বেছে নিয়েছে দিল্লি।’

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যা ঘটছে, তাতে দিল্লির খুশী হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু তাই বলে অবস্থান বদলের কোনো সম্ভাবনাও নেই।

‘প্রতিরক্ষা ও ভূরাজনৈতিক প্রয়োজনে এ মুহূর্তে ভারত তার অবস্থান বদলাতে পারবে না। যদিও ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দিল্লি কিছু কঠিন শব্দ ব্যবহার করেছে। ইউক্রেন সংকটে যে দিল্লি স্বাচ্ছন্দ্য নয়, তা বোঝাতেই এমনটা করা হয়েছে।’

ইউক্রেনে ২০ হাজারের বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থীর বাস। তাদের নিরাপদে উদ্ধার ভারত সরকারের জন্য কঠিন পরীক্ষা।

ভারতের সাবেক কূটনীতিক অনিল ত্রিগুনায়াত। এক সময় কাজ করেছেন রাশিয়া ও লিবিয়ায়। ২০১১ সালে লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে, সেখান থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি তদারকি করেছিলেন অনিল।

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার অভিযান সফল করার জন্য এই সংঘাতে জড়িত সবপক্ষের কাছ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রয়োজন।

‘নাগরিকদের ঝুঁকিতে ফেলে কোনো পক্ষে যেতে পারবে না ভারত। তা ছাড়া এমন প্রেক্ষাপটে সবার সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ রাখাটাও জরুরি।’

সংকট সমাধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওয়াশিংটনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন আমেরিকানদের সঙ্গে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান কী
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এপি

কূটনীতিক ত্রিগুনায়াত বলেন, ‘ইউক্রেন প্রশ্নে সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি ভারত। তবে ইউক্রেনবাসীর দুর্দশা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। তাই ভারসাম্য বজায়ের নীতি বেছে নিয়েছে দিল্লি। জাতিসংঘে ভারত আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে কড়া বক্তব্য রেখেছে। যার উদ্দেশ্য ইউক্রেনীয়দের দুর্ভোগ তুলে ধরা।’

কিন্তু ওয়াশিংটন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা যদি রাশিয়ায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে, তবে মস্কোর সঙ্গে দিল্লির বাণিজ্যিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে সম্প্রতি ইউক্রেন প্রশ্নে ভারতের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি। বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে পরামর্শ করতে যাচ্ছি। বিষয়টি পুরোপুরি সমাধান হয়নি।’

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান কী
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদি। ছবি: এপি

এস-৪০০ কেনায় আমেরিকার পক্ষ থেকে এখনও নিষেধাজ্ঞা আসেনি। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়াকে টার্গেট করে ২০১৭ সালে কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাভারসারিজ থ্রু নিষেধাজ্ঞা আইন (Caatsa) প্রণয়ন করে ওয়াশিংটন। এ আইনে কোনো দেশকে এই তিন দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে নিষেধ করে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর আগেও ওয়াশিংটন কোনো ছাড় দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি দিল্লিকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ইস্যুতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দর কষাকষি হতে পারে। এদিকে দিল্লি যদি তাদের কৌশল পরিবর্তন করে তবে তাদের চাপে ফেলতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগ দেবে মস্কো।

উইলসন সেন্টারের কুগেলম্যান বলেন, ‘এ পরিস্থিতি তখনই আসবে, যখন ইউক্রেন সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হবে।

‘আশা করি এটা ঘটবে না। কিন্তু ঘটলে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়বে।’

আরও পড়ুন:
ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, নাবিক নিহত
ইউক্রেনীয়দের ভিসা সুবিধা বাতিল আমিরাতের
বৈঠকে অংশ নিতে রুশ প্রতিনিধি দলের যাত্রা
ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিজেপি সরকার উদাসীন: মমতা
ইউক্রেন ছেড়েছেন পৌনে ৯ লাখ নাগরিক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাগেরহাটে জমি ও মাছের ঘের দখল নিয়ে বিধবা নারীকে হত্যাচেষ্টা অভিযোগ

বাগেরহাটে জমি ও মাছের ঘের দখল নিয়ে বিধবা নারীকে হত্যাচেষ্টা অভিযোগ

‎বাগেরহাট সদরের বেমরতা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে জমি ও মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে মোমেনা বেগম (৬৫) নামের এক বিধবা নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঁদা মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেন স্বজনেরা।
‎অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুলতানপুর এলাকার মৃত আতিয়ার রহমানের স্ত্রী মোমেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে সুলতানপুরের পার্শ্ববর্তী গোটাপাড়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া মৌজার একটি জমিতে মাছ চাষ করে আসছিলেন। ওই ঘেরের মধ্যে থাকা ১ বিঘা জমির মালিক আহত মোমেনার ভাই নওয়াপাড়া এলাকার ইউনুচ শেখ ২০০৬ সালে বিদেশে যাওয়ার জন্য মোমেনা বেগমের স্বামী মৃত আতিয়ার রহমানকে দলিল করে দিবেন মর্মে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদেরকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন। তবে দলিল না দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিরোধ চলছিল। মোমেনা বেগম ও অভিযুক্ত আপন ভাই ইউনুচ শেখ এর সংগে।
‎গত ১৮ আগস্ট দুপুরে অভিযুক্ত ইউনুচ শেখ (৫০), আসাদ শেখ (৩৫), রব শেখ (৪০), আশ্বাব শেখ (৬৫) সহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত লোক নিয়ে জোরপূর্বক মোমেনা বেগমের মাছের ঘেরে প্রবেশ করে। তারা জাল দিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার বাগদা, গলদা, রুই, কাতলা প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে যায়।
‎সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা দিলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোমেনা বেগমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে হত্যার উদ্দেশ্যে কাদা মাটির ভেতরে পুঁতে রাখে। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে।
‎প্রতিবেশী ইউনুস আলী খান বলেন,আমি বারবার মোমেনা বেগমকে বলেছি তোমার ভাই মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে যাক, তোমার কিছু করতে হবে না, তোমার ছেলেদের বলো। এই কথা বলে আমি ভাত খেতে চলে যাই। এরপর এসে দেখি, তাকে মারপিট করে কাদায় ফেলে রেখে গেছে।
‎আমার কথা হলো এই ঘের যদি তারও হয়, তাহলেও কি সে তার মায়ের পেটের বোনকে এভাবে মারতে পারে? যে জমি সে তার বোনের কাছে বিক্রি করে টাকা নিয়েছে, পরবর্তীতে এসে তো আর সেই জমিতে হাত দিতে পারে না।আমি চাই, অন্তত একটা বিচার হোক। আজকে তাকে আধমরা অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে। যদি আজকে এখানে এসে খুঁজে পাওয়া না যেত তাহলে তো সে মারা যেত!
‎আসমা বেগম বলেন,আমরা সবাই জানি, এই জমি তার ভাই বিদেশে যাওয়ার সময় তার বোন কে ২০০৬ সালে দিয়ে গেছে। কিন্তু সেই জমি দখলের জন্য তার ভাই সকালবেলা ১৫ থেকে ২০ জন লোক নিয়ে ঘেরে জোর করে জাল ফেলে মাছ ধরতে নামে। খবর শুনে তার বোন মোমেনা সেখানে গিয়ে বাধা দেন। এসময় তারা মোমেনার সাথে অশ্রাব্য গালাগালি করতে থাকে।আমি তখন গিয়ে তার ছেলেদের বিষয়টি জানাই। এরপর আর আমি সেখানে থাকিনি। পরে এসে দেখি, অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ শব্দ শুনে সবাই দৌড়ে গিয়ে দেখে, তিনি বিলের পাশে পড়ে আছেন।
‎মোমেনা বেগমের মেজ ছেলে সাইফুল ইসলাম বলেন,
‎“আমাদের ঘেরে এরা যখন মাছ ধরতে যায়, তখন মা আমাকে ফোন করে বলে— ‘তোর মামা অনেক লোকজন নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছে, আমি যাচ্ছি, তুইও আয়।’ এটাই ছিল মায়ের শেষ কথা।
‎এরপর আমি দ্রুত পুলিশকে ফোন করি এবং মাঠে গিয়ে মাকে কল করি। একবার ফোন ধরলেও মা শুধু বলেন— ‘আমাকে দুইজন ধরে রেখেছে।’ এরপর আর কোনো সাড়া মেলেনি।
‎পরে সবাই মিলে খুঁজতে গিয়ে দেখি, মা ঘেরের মধ্যে অজ্ঞান অবস্থায় কাদায় পড়ে আছে। আমি তখন যদি না যেতাম, হয়তো আমার মাকে আর বাঁচাতে পারতাম না।আমি প্রশাসনের কাছে এই ইউনুচ শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই ।
‎বৃদ্ধা মোমেনা বেগম আবেগভরে বলেন, ‎“আমার নিজের ভাই, যাকে আমি কোলে-পিঠে মানুষ করেছি, আজ সেই ভাই-ই আমার উপর হাত তুলেছে। ২০০৬ সালে সে নিজেই আমাকে এই জমি বিক্রি করে টাকা নিয়েছিল। এখন আবার সেই জমি দখল নিতে এসে আমাকে মারধর করেছে। এই কষ্ট আমি কোথায় রাখবো?
‎অন্য কেউ যদি আমাকে মারতো, হয়তো এতটা কষ্ট লাগতো না। কিন্তু আমার নিজের ভাই-ই যখন এমন করে, তখন সেটা সহ্য করা বড়ই কঠিন। আমার আর কোনো ভাই নেই। আমি এই জালিম ভাইয়ের বিচার চাই।
‎তিনি আরও বলেন আমি তিল তিল করে কষ্টের টাকা জমিয়ে ওর কাছ থেকে এই এক বিঘা জমি কিনেছি । আজ সে-ই আমাকে আমার নিজের জমি থেকে উচ্ছেদ করতে চাইছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
‎অভিযুক্ত ইউনুচ শেখ কে বার বার ফোনে কল দেওয়ার পর ও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
‎বাগেরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহমুদুল উল-হাসান বলেন, ঘটনাটির বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Makhonor calls to impose sanctions against Russia if diplomacy fails

কূটনীতি ব্যর্থ হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান ম্যাখোঁর

কূটনীতি ব্যর্থ হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান ম্যাখোঁর

রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তির পথে এগিয়ে না এলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সোমবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

হোয়াইট হাউসে আলোচনার পর ম্যাখোঁ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারি এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রেসিডেন্ট পুতিনও একটি শান্তি চুক্তি চান।’

‘কিন্তু যদি শেষ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে শেষ হয়, তাহলে আমরাও বলতে প্রস্তুত যে আমাদের নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা দরকার।’

তিনি ভারতের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন আরোপিত সাম্প্রতিক দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞার দিকে ইঙ্গিত করেন। পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের ফলে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার কারণে জ্বালানি খরচ কমিয়ে দেওয়ার পর ভারত রাশিয়ার জ্বালানির একটি প্রধান ক্রেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

ম্যাখোঁ বলেন, ‘ভারতের ওপর দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞার ‘অনেক প্রভাব পড়েছে’।

আলাস্কায় আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে স্বাগত জানানোর তিন দিন পর ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান।

সপ্তাহান্তে ট্রাম্প আবারও প্রকাশ্যে ইউক্রেনকে অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তিনি জেলেনস্কি নয় পুতিনের পক্ষ নেন, যিনি রাশিয়ার জোর করে দখল করা সমস্ত অঞ্চল রক্ষা করার জন্য জোর দিয়েছেন।

মার্কিন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার আগে ইউক্রেনকে ছাড় দেওয়া প্রয়োজন ট্রাম্প এমন কিছু বলেছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাখোঁ বলেন, ‘না, এটি মোটেও আলোচনা করা হয়নি। আমরা এ থেকে অনেক দূরে।’

তিনি বলেন, ট্রাম্প এবং ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতের চুক্তিতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকারের ওপর কোনও বিধিনিষেধ থাকতে পারে না।

ওয়াশিংটনে বৈঠকে থাকা সমস্ত নেতা ‘যে কোনও আক্রমণের চেষ্টা প্রতিহত করতে পারার মতো একটি শক্তিশালী ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর’ প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করেন।

রাশিয়া ও ইউক্রেন ‘আগামী দিনে’ পুনরায় যোগাযোগ শুরু করবে এবং দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে’ ট্রাম্প, ‘ পুতিন ও জেলেনস্কির একটি সম্ভাব্য ত্রি-পক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে ম্যাখোঁ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps Strict Message Trump before the meeting

বৈঠকের আগে জেলেনস্কিকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের

ইউক্রেনকে ক্রিমিয়ার আশা ছাড়তে হবে, ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না
বৈঠকের আগে জেলেনস্কিকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলে তার দেশে রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে পারেন। তবে এর বিনিময়ে ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে হবে, ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না। আর এটাই হবে শান্তিচুক্তির একটি অংশ। হোয়াইট হাউসে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। গত রোববার রাতে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এ সংক্রান্ত পোস্ট দেন।

ইউক্রেনে রাশিয়া পুরোদমে হামলা শুরুর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় মস্কো। এর আগে গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় হওয়া বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে সরে এসে স্থায়ী শান্তিচুক্তির আহ্বান জানান।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন জেলেনস্কি। তিনি কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আবারও মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক হওয়ার কথা। চলতি বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে উত্তপ্ত বাগ্‌বিতণ্ডার পর এটা তাদের প্রথম বৈঠক। তবে এবার জেলেনস্কি একা নন। তার ইউরোপীয় মিত্ররাও ওয়াশিংটনে আলোচনায় রয়েছেন। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ আরও কয়েকজন নেতা জেলেনস্কির সঙ্গে ওয়াশিংটনে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার দুই দিন পরই জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ট্রাম্প।

গত রোববার এক মার্কিন দূত বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে ন্যাটোর মতো একটি নিরাপত্তা চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে পুতিন সম্মত হতে পারেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট শুরু থেকেই ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে আসছেন।

রোববার রাতে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন, অথবা চাইলে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। মনে রাখুন, কীভাবে সবকিছু শুরু হয়েছিল। ওবামার আমলে ক্রিমিয়া চলে গিয়েছিল (১২ বছর আগে, একটিও গুলি ছোড়া হয়নি!), আর ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান, সেটা একেবারেই হবে না। কিছু বিষয় কখনোই বদলায় না!’

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনও ওয়াশিংটনে সোমবারের আলোচনায় যোগ দেবেন। তবে তাদের মধ্যে কতজন হোয়াইট হাউসে যাবেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ট্রাম্প কিছু শর্ত মানতে জেলেনস্কিকে চাপ দিতে পারেন বলে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিবিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিবিএসকে বলেছেন, জেলেনস্কিকে ট্রাম্প শান্তিচুক্তি মানতে বাধ্য করবেন—এমন ধারণাটি পুরোপুরি ‘মিডিয়ার গালগল্প’ ছাড়া আর কিছুই নয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে জেলেনস্কির সফরের মতো পরিস্থিতি যেন আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে এবার ন্যাটো নেতারাও সচেষ্ট। তখন ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে জেলেনস্কি তীব্র তর্কে জড়িয়ে পড়লে আলোচনা ভন্ডুল হয়ে যায়।

ওই ঘটনা ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করে।

গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেন একটি খনিজসম্পদ চুক্তিতে সই করে। পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে ভ্যাটিকানে ট্রাম্প ও জেলেনস্কি ব্যক্তিগতভাবেও বৈঠক করেছিলেন। সেখানে ইউক্রেন স্পষ্ট জানায়, তারা মার্কিন অস্ত্রের জন্য অর্থ পরিশোধ করতে প্রস্তুত।

গত জুলাইয়ে দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়। ওই আলাপকে জেলেনস্কি বর্ণনা করেছিলেন, ‘এটাই আমাদের মধ্যে হওয়া সেরা আলাপ।’

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য

গাজা যুদ্ধের অবসানের দাবিতে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ

গাজা যুদ্ধের অবসানের দাবিতে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ

জিম্মিদের ছবি হাতে, হলুদ পতাকা নেড়ে, ঢোল বাজিয়ে এবং বন্দি ইসরায়েলিদের ঘরে ফিরিয়ে আনার দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে গত রোববার গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে হাজার হাজার মানুষ তেল আবিবের রাস্তায় নেমে আসে।

তেল আবিব থেকে এএফপি জানায়, ৫০ বছর বয়সি আরবি শিক্ষক ওফির পেনসো বলেন, ‘আমরা এখানে ইসরাইলি সরকারকে এটা স্পষ্ট করে বলতে এসেছি যে, প্রায় ৭০০ দিন ধরে হামাসের সুড়ঙ্গে বন্দী থাকা জিম্মিদের উদ্ধার করার এটাই সম্ভবত শেষ মুহূর্ত।’

২০২৩ সালে হামাসের হামলার পর ২২ মাসের যুদ্ধের বেশিরভাগ সময়ে নিয়মিত বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে গত রোববারের বিক্ষোভ এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিক্ষোভগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে হচ্ছে।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে সরকার গাজা সিটি এবং আশেপাশের ক্যাম্পগুলো দখল করে নতুন আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আন্দোলন নতুন করে শক্তি সঞ্চার করে।

গাজা উপত্যকার সর্বাধিক জনবহুল এলাকা জয় করার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অঙ্গীকার আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে সাহায্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।

ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রকাশিত সাম্প্রতিক ভিডিও ফুটেজে জিম্মিদের অত্যন্ত ক্ষীণ এবং ফ্যাকাশে দেখা গেছে, যা বন্দিদের স্বাস্থ্যের অবস্থা আগের চেয়ে আরও নাজুক হওয়ার আশঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ২৫১ জনের মধ্যে ৪৯ জন এখোনো গাজা উপত্যকায় রয়ে গেছে, যার মধ্যে ২৭ জন নিহত বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

শহরের রাস্তা ধরে, জনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু তেল আবিবে অবস্থিত কাঁচের টাওয়ারে ঢাকা, হোস্টেজ স্কোয়ারে জড়ো হয়।

আইনভ জাঙ্গাউকারের ছেলে মাতান গাজায় বন্দী রয়েছে। তিনি জনতাকে বলেন, ‘ইসরায়েলি সরকার কখনও একটি চুক্তি ও যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি প্রকৃত উদ্যোগের প্রস্তাব দেয়নি।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Hamas has received a new proposal on a ceasefire in Gaza Palestinian officer

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব পেয়েছে হামাস: ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব পেয়েছে হামাস: ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা

কায়রোতে অবস্থানরত হামাসের আলোচকরা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি নতুন প্রস্তাব পেয়েছেন। এ প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি এবং দুই ধাপে জিম্মি মুক্তির পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।

সোমবার ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানান।

গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, এই প্রস্তাবটি একটি কাঠামোগত চুক্তি, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সূচনা করবে।

তিনি আরও বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া এই প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য হামাস তাদের নেতাদের সঙ্গে এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবে।

গত সপ্তাহে হামাস জানায়, তাদের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল কায়রোতে রয়েছে, যারা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মিশরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। গাজা যুদ্ধ এখন ২৩তম মাসে প্রবেশ করেছে।

কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মিশরও ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতায় জড়িত। তবে এ বছরের শুরুর দিকে স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর থেকে পরববর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি।

মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি সোমবার গাজার রাফাহ সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, আমরা যখন এখানে কথা বলছি, তখন ফিলিস্তিনি ও কাতারি প্রতিনিধিরা মিশরে অবস্থান করছেন এবং তারা পদ্ধতিগত হত্যাকাণ্ড ও অনাহার বন্ধে প্রচেষ্টা জোরদার করছেন।

গত সপ্তাহে আবদেলাত্তি বলেন, কায়রো কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার জন্য কাজ করছে, যার আওতায় ‘কিছু জিম্মি এবং কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং কোনো বাধা ছাড়া গাজায় মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা চালু হবে।’

গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Irans president is going to Armenia on the US backed corridor issue

যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত করিডোর ইস্যুতে আর্মেনিয়া যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত করিডোর ইস্যুতে আর্মেনিয়া যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সোমবার আর্মেনিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখানে তিনি ইরান সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত করিডোর ব্যবহার করে আজারবাইজানের একটি বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড যুক্ত করার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন।

করিডোরটি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হোয়াইট হাউসে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক শান্তি চুক্তির অংশ।

তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, আর্মেনিয়ায় রওনা হওয়ার আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে পেজেশকিয়ান বলেন, এ অঞ্চলে মার্কিন কোম্পানিগুলোর (সম্ভাব্য) উপস্থিতি উদ্বেগজনক। আমরা এ বিষয়ে (আর্মেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে) আলোচনা করব এবং আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করব।

‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ট্রাম্প রুট (ট্রিপ)’ নামে পরিচিত এই স্থল করিডোরটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ।

চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত রুটটির উন্নয়নাধিকার লাভ করবে, যা আজারবাইজানকে তার নাখচিভান এক্সক্লেভের সঙ্গে যুক্ত করবে এবং রুটটি ইরানের সীমান্তের কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে।

ইরান দীর্ঘদিন ধরে এ পরিকল্পিত করিডরের বিরোধিতা করে আসছে, যা ‘জাঙ্গেজুর করিডোর’ নামেও পরিচিত।

তেহরানের আশঙ্কা, এটি ইরানকে আর্মেনিয়া ও ককেশাসের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে এবং এর ফলে সম্ভাব্য শত্রুভাবাপন্ন বিদেশি বাহিনী ইরানের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নিতে পারবে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে ইরানি কর্মকর্তারা আর্মেনিয়াকে সতর্কবার্তা বাড়িয়েছেন।

তারা বলছেন, এ প্রকল্পটি ককেশাস অঞ্চলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী লক্ষ্য পূরণের ষড়যন্ত্র’ হতে পারে।

রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এ করিডোরকে ‘সংবেদনশীল’ ইস্যু বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, তেহরানের মূল উদ্বেগ হলো, এর ফলে এ অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন হতে পারে।

তিনি সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাকে বলেন, আর্মেনীয় কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, এই রুটের অজুহাতে কোনো মার্কিন সেনা বা মার্কিন নিরাপত্তা কোম্পানি আর্মেনিয়ায় আসতে পারবে না।

চলতি মাসের শুরুতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বলেন, তেহরান প্রস্তাবিত এই করিডোর গড়ে উঠতে দেবে না এবং সতর্ক করে দেন যে, এ এলাকা ‘ট্রাম্পের ভাড়াটে সেনাদের কবরস্থানে পরিণত হবে।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The huge cycle was caught in Australias Indians sneezing stolen

অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয়দের ছিঁচকে চুরি, ধরা পড়ল বিশাল চক্র

অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয়দের ছিঁচকে চুরি, ধরা পড়ল বিশাল চক্র

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে সুপার মার্কেট থেকে বিপুল পরিমাণ গুঁড়াদুধ, ওষুধ, ভিটামিন, প্রসাধনী ও টয়লেট্রিজ চুরির অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের চুরি করা পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৯ কোটি টাকারও বেশি।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয় নাগরিক। এরা অস্থায়ী, স্টুডেন্ট বা ব্রিজিং ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছিল।

পুলিশের দাবি, গত পাঁচ মাস ধরে এই চক্র বিভিন্ন সুপারমার্কেট থেকে শিশু খাদ্য, ওষুধ, স্কিন কেয়ার পণ্য, ইলেকট্রিক টুথব্রাশসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে ‘রিসিভারদের’ হাতে তুলে দিত। পরে এসব পণ্য আবার বাজারে বিক্রি হতো।

আটকদের মধ্যে তিনজন যুবক (২০-এর ঘরে বয়স) প্রত্যেকে এক লাখ ডলারেরও বেশি মূল্যের জিনিস চুরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা করা হয়েছে এবং আদালতে হাজির না হওয়া পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখা হবে।

অপারেশন সুপারনোভা নামে তদন্তটি পরিচালনা করেছে বক্স হিল ডিভিশনাল রেসপন্স ইউনিট। এতে বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ও অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স সহযোগিতা করেছে।

অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানায়, খুচরা চুরি এখন ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা অপরাধগুলোর একটি। গত এক বছরে এ ধরনের ৪১ হাজার ২৭০টি অপরাধ রেকর্ড হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি।

ডিটেকটিভ অ্যাক্টিং ইন্সপেক্টর রাচেলে সিয়াভারেলা বলেন, এটি সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত খুচরা চুরি মোকাবিলায় আমাদের অন্যতম বড় অভিযান।

মন্তব্য

p
উপরে