রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের চতুর্থ দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের। এ সংক্রান্ত সবশেষ খবর জানতে চোখ রাখুন নিউজবাংলায়।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনাবাহিনী। এ শহর থেকে কারোরই বের হওয়ার এখন কোনো পথ নেই।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাশিয়ার সেনা সদস্যরা কিয়েভ ঘিরে রেখেছে। এই মুহূর্তে রাজধানীর বাসিন্দারা অবরুদ্ধ।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলার প্রতিবাদে জামার্নির রাজধানী বার্লিনে সমাবেশ করেছে এক লাখের বেশি মানুষ।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের পতাকার আদলে নীল ও হলুদ রংয়ের পোশাকে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে রুশ দূতাবাসের খুব কাছে জড়ো হয় তারা। ইউক্রেনীয়দের প্রতি সংহতি জানায় তারা।
এসময় প্রতিবাদকারীরা রুশ হামলাকে ধিক্কায় জানিয়ে ও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু না করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে অর্থ সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
যুদ্ধরত কোনো দেশে অস্ত্র না পাঠানোর জন্য করা অঙ্গীকার ভেঙে এবার রুশ হামলার শিকার ইউক্রেনে অস্ত্র দেবে সুইডেন।
রোববার সুইডেনের কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মস্কোর সঙ্গে শর্তহীন আলোচনা শুরু করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে কিয়েভ।
এর আগে, রাশিয়ার দেয়া শর্তের কারণে বৈঠকে বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে রুশ প্রতিনিধি দল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছে রোববার।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও। এমন পরিস্থিতিতে অর্থসংকট তৈরি হতে পারে ভেবে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার চেষ্টা করছেন গ্রাহকরা।
তবে এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং গ্রাহকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, অর্থের অভাব নেই। সংকটে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।
স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে একথা জানায় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাদের এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সেনাদের রোববার খারকিভ শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। কিয়েভের এমন দাবির মুখে দেশটির বিরুদ্ধে এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রুশ প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে। তবে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় গোমেলে বসতে রাজি হয়নি ইউক্রেন।
রোববার ক্রেমলিনের মূখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়েছে।
যুদ্ধের পর শহরটি এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ।
তিনি বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার সেনা সদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে।’
তিন দিনে হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
দেশটির ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এই দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার কিয়েভ হান্না মালায়ার বলেন, এই হামলার পর তিন দিনে রাশিয়ার এ পরিমাণ সেনা হতাহত হয়েছে।
অবশ্য বিবিসি এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এমনকি রাশিয়াও এখন পর্যন্ত তাদের হতাহতের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
কিয়েভ হান্না দাবি করেন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ২৭টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। এই তালিকায় আছে ২৬ হেলিকপ্টার, ১৪৬ ট্যাংক, ৭০৬ আর্মড ফাইটিং ভেহিকেল, ৪৯ ক্যানন, একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪ গার্ড মাল্টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম এবং ৩০ টি গাড়ি।
বেসামরিক নাগরিক ও সাধারণ মানুষের জন্য নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে ইউক্রেন। তাদের সবাইকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘আপনার কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকুক বা না থাকুক, যুদ্ধের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করুন।’
সাধারণ মানুষকে কয়েকটি বিষয় বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সেগুলো হলো-
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নোভা কাকোভকা রাশিয়ার বাহিনী নিজেেদর করে নিয়েছে।
রাশিয়ান সেনারা এখন নোভা কাকোভকা বা নিউ কাকোভকা দখল করেছে। এটি খুব ছোট শহর, তবে এটি কৌশলগত দিক বিবেচনায় ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
শহরটির অবস্থান দিনিপার নদীর পারে এবং এটি সরাসরি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে পানি সরবরাহ করে।
শহরটির মেয়র ভলদিমির কোভালেঙ্ক বলেন, রাশিয়ার সেনারা শহরটি দখল করে নিয়েছে এবং শহরের এক্সিকিউটিভ কমিটি বাতিল করে দিয়েছে। তারা সব ধরনের ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন দখলে দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়ার অগ্রগতি খুব বেশি। রুশ সেনারা এর আগেই দক্ষিণের খোরসান, মাইকোলভ এবং মেলিটোপল শহর দখলে হুমকি দিয়ে এসেছে।
সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমিহাল।
তিনি টু্ইট করেন, ‘আজ যাদের সঙ্গে কথা বললাম, সব সহযোগীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের সহায়তা ও সমর্থন সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের এই অবদান ইউক্রেনের জনগণ কখনও ভুলবে না।’
Grateful to all our partners I talked today - 🇨🇦, 🇵🇱, 🇱🇹, 🇱🇻, 🇪🇪, 🇳🇱, 🇨🇿, 🇸🇰, 🇸🇮, 🇹🇩, 🇸🇪, 🇨🇭, 🇱🇺, @EU_Commission 🇪🇺! Appreciate your support and real help in this dark time. Ukrainian people will never forget this! Keep holding the line! We are on our land!
— Denys Shmyhal (@Denys_Shmyhal) February 26, 2022
ইউক্রেনে হামলার চতুর্থ দিনে দেশটির শহর খারকিভে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগ থেকে হামলার খবরটি জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে হামলার পর সেখানে মাশরুম আকৃতির ধোঁয়া দেখা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এটা জানা সম্ভব হয়নি যে, পাইপলাইনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে শহর ও শহরের বাইরে গ্যাস সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে কি না।
হামলা হলেও ইউক্রেন রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয় ওসিএইচএ সংস্থাটির মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে।
যেকোনো সংঘাতে নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিরূপণে যাচাই ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না মানবাধিকার দপ্তর।
ওসিএইচএ আরও জানায়, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ইউক্রেনজুড়ে (বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল) ‘মানবিক বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গাজায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে এবং আরও ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছে। এই দীর্ঘ সংঘাতের পর এমন একটি চুক্তির সম্ভাবনা সামনে এসেছে যা গাজায় হত্যাকাণ্ড এবং ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে এবং জীবিত জিম্মিদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবে। বলা যায় এটাই সর্বশেষ সুযোগ যেটা কাজে লাগিয়ে এই গণহত্যা বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয় যে, হামাস এবং ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ করার এই মোক্ষম সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে কি না।
এটা অনেকটাই কাকতালীয় ঘটনা যে গাজা সংঘাতের ঠিক দুই বছরপূর্তির মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময়ের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরায়েলের ধারণা ২০ জন জিম্মি এখনো জীবিত আছে এবং তারা আরও ২৮ জনের মৃরদেহও ফেরত চায়।
ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনে গাজার বেশিরভাগ অংশই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং ১৮ হাজারেরও বেশি শিশু।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন উভয় দেশের নাগরিকরাই যুদ্ধের অবসান চায়। তারা চলমান এই যুদ্ধ নিয়ে হতাশ ও ক্লান্ত। এক জরিপে দেখা গেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠরা এমন একটি চুক্তি চায় যার মাধ্যমে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা যাবে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটবে। ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী এবং আইডিএফের লাখ লাখ রিজার্ভ সেনা মাসের পর মাস ধরে সক্রিয়ভাবে ইউনিফর্ম পরে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চায়।
গাজার ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছেন ক্ষুধার্ত মানুষ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কঠোর অবরোধের কারণে কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না।
হামাস দুই বছর আগে ইসরায়েলকে যে ধ্বংসাত্মক শক্তি দিয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়েছিল তা অনেক আগেই একটি সুসংগত সামরিক সংগঠন হিসেবে ভেঙে পড়েছে।
হামাসও এখন যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে। তারা জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজার শাসনভার ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে রাজি হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে যে, তাদের ভারী অস্ত্রের অবশিষ্টাংশ হস্তান্তর করতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে। তবে তারা আত্মরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অস্ত্র রাখতে চায়।
অপরদিকে ইসরায়েল হামাসের আত্মসমর্পণের শর্তাবলি নির্ধারণ করতে চাইছে। কিন্তু হামাসের কাছে একটি গুরুতর আলোচনার সুযোগ থাকা এক মাস আগে তারা যা ভেবেছিল তার চেয়েও বেশি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে। প্রায় এক মাস আগে দোহার একটি ভবনে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে ইসরায়েল হামাসের নেতৃত্বকে ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল এবং ব্যর্থ হয়েছিল। মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়েই সে সময় আলোচনা চলছিল।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মনে ভিন্ন ধরনের চিন্তা রয়েছে। তিনি তার ক্ষমতা ধরে রাখতে চান, দুর্নীতির জন্য তার বিচার স্থগিত রাখতে চান এবং পরের বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করতে চান।
এটা তিনি তখনই অর্জন করতে পারবেন যখন তিনি ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ ঘোষণা করতে পারবেন। তিনি এটাকে জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন, হামাসের ধ্বংস এবং গাজার সামরিকীকরণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যদি তিনি তা করতে না পারেন, তাহলে গত দুই বছরে লেবানন এবং ইরানে-ইসরায়েল তার শত্রুদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যে ক্ষয়ক্ষতি করেছে শুধু সেসব বিষয় উল্লেখ করাই তার পক্ষে যথেষ্ট হবে না।
মিসরে হামাস এবং ইসরায়েলি আলোচকরা মুখোমুখি সাক্ষাৎ করবেন না। মিসরীয় এবং কাতারি কর্মকর্তারা এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হবেন এবং সেখানে উপস্থিত মার্কিন কর্মকর্তারাও একটি বড় প্রভাব ফেলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই আলোচনার ভিত্তি হলো- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জোরালোভাবে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের কথা বারবার বললেও জর্ডান নদী এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী ভূমির নিয়ন্ত্রণে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দীর্ঘ সংঘাতের অবসানের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে পশ্চিম তীরের ভবিষ্যৎ কী হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্যরা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হলেও পশ্চিম তীরের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
আরব ও ইহুদিদের মধ্যে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাতের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে এমন একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস ও মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার বৈঠক ‘ইতিবাচকভাবে’ শেষ হয়েছে। যদিও আলোচনার অগ্রগতি বা সম্ভাব্য সমঝোতার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
গাজা যুদ্ধের অবসান ও মানবিক সহায়তা প্রবাহ পুনরায় চালুর পথ তৈরি করতে এই আলোচনা একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত সোমবার মিসরের শার্ম আল-শেখ শহরে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় অংশ নেন হামাসের প্রতিনিধিরা। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এতে যুক্ত ছিলেন মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবারও এ আলোচনা চলবে জানা গেছে।
এ ক্ষেত্রে প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো- ইসরায়েলি কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিনা বিচারে আটক গাজার নাগরিকদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করা। যদিও এটা কোনো সহজ কাজ নয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্রুত ফলাফল চাচ্ছেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের দরকষাকষির মধ্যস্থতার মাধ্যমে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পুনরুজ্জীবিত করতে চান, যার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন। ইসরায়েল যখন গাজায় বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে এবং মানবিক সহায়তার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে এবং হামাস ইসরায়েলি বন্দিদের জিম্মি করে রেখেছে তখন এমন পরিস্থিতি সম্ভ হচ্ছে না। সৌদি কর্তৃপক্ষ একাধিক প্রকাশ্য বিবৃতিতে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি স্পষ্ট এবং অপরিবর্তনীয় পথ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনাবাহিনী। এ শহর থেকে কারোরই বের হওয়ার এখন কোনো পথ নেই।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাশিয়ার সেনা সদস্যরা কিয়েভ ঘিরে রেখেছে। এই মুহূর্তে রাজধানীর বাসিন্দারা অবরুদ্ধ।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলার প্রতিবাদে জামার্নির রাজধানী বার্লিনে সমাবেশ করেছে এক লাখের বেশি মানুষ।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের পতাকার আদলে নীল ও হলুদ রংয়ের পোশাকে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে রুশ দূতাবাসের খুব কাছে জড়ো হয় তারা। ইউক্রেনীয়দের প্রতি সংহতি জানায় তারা।
এসময় প্রতিবাদকারীরা রুশ হামলাকে ধিক্কায় জানিয়ে ও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু না করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে অর্থ সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
যুদ্ধরত কোনো দেশে অস্ত্র না পাঠানোর জন্য করা অঙ্গীকার ভেঙে এবার রুশ হামলার শিকার ইউক্রেনে অস্ত্র দেবে সুইডেন।
রোববার সুইডেনের কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মস্কোর সঙ্গে শর্তহীন আলোচনা শুরু করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে কিয়েভ।
এর আগে, রাশিয়ার দেয়া শর্তের কারণে বৈঠকে বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে রুশ প্রতিনিধি দল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছে রোববার।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও। এমন পরিস্থিতিতে অর্থসংকট তৈরি হতে পারে ভেবে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার চেষ্টা করছেন গ্রাহকরা।
তবে এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং গ্রাহকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, অর্থের অভাব নেই। সংকটে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।
স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে একথা জানায় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাদের এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সেনাদের রোববার খারকিভ শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। কিয়েভের এমন দাবির মুখে দেশটির বিরুদ্ধে এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রুশ প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে। তবে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় গোমেলে বসতে রাজি হয়নি ইউক্রেন।
রোববার ক্রেমলিনের মূখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়েছে।
যুদ্ধের পর শহরটি এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ।
তিনি বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার সেনা সদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে।’
তিন দিনে হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
দেশটির ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এই দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার কিয়েভ হান্না মালায়ার বলেন, এই হামলার পর তিন দিনে রাশিয়ার এ পরিমাণ সেনা হতাহত হয়েছে।
অবশ্য বিবিসি এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এমনকি রাশিয়াও এখন পর্যন্ত তাদের হতাহতের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
কিয়েভ হান্না দাবি করেন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ২৭টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। এই তালিকায় আছে ২৬ হেলিকপ্টার, ১৪৬ ট্যাংক, ৭০৬ আর্মড ফাইটিং ভেহিকেল, ৪৯ ক্যানন, একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪ গার্ড মাল্টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম এবং ৩০ টি গাড়ি।
বেসামরিক নাগরিক ও সাধারণ মানুষের জন্য নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে ইউক্রেন। তাদের সবাইকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘আপনার কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকুক বা না থাকুক, যুদ্ধের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করুন।’
সাধারণ মানুষকে কয়েকটি বিষয় বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সেগুলো হলো-
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নোভা কাকোভকা রাশিয়ার বাহিনী নিজেেদর করে নিয়েছে।
রাশিয়ান সেনারা এখন নোভা কাকোভকা বা নিউ কাকোভকা দখল করেছে। এটি খুব ছোট শহর, তবে এটি কৌশলগত দিক বিবেচনায় ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
শহরটির অবস্থান দিনিপার নদীর পারে এবং এটি সরাসরি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে পানি সরবরাহ করে।
শহরটির মেয়র ভলদিমির কোভালেঙ্ক বলেন, রাশিয়ার সেনারা শহরটি দখল করে নিয়েছে এবং শহরের এক্সিকিউটিভ কমিটি বাতিল করে দিয়েছে। তারা সব ধরনের ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন দখলে দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়ার অগ্রগতি খুব বেশি। রুশ সেনারা এর আগেই দক্ষিণের খোরসান, মাইকোলভ এবং মেলিটোপল শহর দখলে হুমকি দিয়ে এসেছে।
সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমিহাল।
তিনি টু্ইট করেন, ‘আজ যাদের সঙ্গে কথা বললাম, সব সহযোগীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের সহায়তা ও সমর্থন সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের এই অবদান ইউক্রেনের জনগণ কখনও ভুলবে না।’
Grateful to all our partners I talked today - 🇨🇦, 🇵🇱, 🇱🇹, 🇱🇻, 🇪🇪, 🇳🇱, 🇨🇿, 🇸🇰, 🇸🇮, 🇹🇩, 🇸🇪, 🇨🇭, 🇱🇺, @EU_Commission 🇪🇺! Appreciate your support and real help in this dark time. Ukrainian people will never forget this! Keep holding the line! We are on our land!
— Denys Shmyhal (@Denys_Shmyhal) February 26, 2022
ইউক্রেনে হামলার চতুর্থ দিনে দেশটির শহর খারকিভে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগ থেকে হামলার খবরটি জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে হামলার পর সেখানে মাশরুম আকৃতির ধোঁয়া দেখা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এটা জানা সম্ভব হয়নি যে, পাইপলাইনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে শহর ও শহরের বাইরে গ্যাস সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে কি না।
হামলা হলেও ইউক্রেন রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয় ওসিএইচএ সংস্থাটির মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে।
যেকোনো সংঘাতে নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিরূপণে যাচাই ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না মানবাধিকার দপ্তর।
ওসিএইচএ আরও জানায়, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ইউক্রেনজুড়ে (বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল) ‘মানবিক বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গাজাগামী নৌবহরে ওঠার পর ইসরাইল কর্তৃক আটক চার কট্টর বামপন্থী ফরাসি ডেপুটি অনশন ধর্মঘট ঘোষণা করেছেন। তাদের দল এ কথা জানিয়েছে।
প্যারিস থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
কট্টর বামপন্থী ফ্রান্স ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অকুণ্ঠ সদস্য ম্যানন অব্রি রোববার ফরাসি রেডিও স্টেশন ফ্রান্সইনফোকে বলেছেন, ‘তাদের আইনজীবীদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় এবং তাদের সাথে দেখা করতে সক্ষম ফরাসি কনসালের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়’ ছাড়া ‘তাদের কাছে আমাদের কোনো খবর নেই’।
ফ্রান্স আনবোউড শনিবার ঘোষণা করেছেন, ‘তাদের আটকাবস্থা অত্যন্ত কঠিন। তিনি বলেছেন, প্রতি কক্ষে ১০ জনেরও বেশি মানুষ, খাবার এবং পানি পেতে অসুবিধা হচ্ছে। তাদের দুই জাতীয় ডেপুটি ফ্রাঁসোয়া পিকেমাল এবং মেরি মেসমিয়ার এবং তাদের দুই এমইপি, রিমা হাসান এবং এমা ফোরেউ, ‘ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে’ অনশন ধর্মঘট ঘোষণা করেছেন।
অব্রি ফরাসি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার ওপর ইসরাইলের অবরোধ ভাঙতে এবং ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে ৪৫টি জাহাজের একটি বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে আটক করার পর ইসরাইল ৩০ জন ফরাসি নাগরিককে আটক করেছে।
অব্রি তার দলের জাতীয় সমন্বয়কারী ম্যানুয়েল বোম্পার্ডের ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল এলসিআই-তে ‘ফ্রান্সকে অবশেষে কিছু বলতে হবে’ এর আহ্বানের প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, ‘ফ্রান্সের অবশেষে পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।
ফ্রান্স আনবোউড নেতা জিন-লুক মেলাঞ্চন শনিবার ‘ফ্রান্স সরকারের কাপুরুষদের’ নিন্দা করে উল্লেখ করেছেন, আরো বেশ কয়েকটি দেশের আটক নাগরিকদের ইতোমধ্যেই ইসরাইল থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ইতোমধ্যে ‘ফরাসি ডেপুটিদের তাদের অ্যাসেম্বলিগুলো উপেক্ষা করে। আসুন আমরা সবাই এটা মনে রাখি’।
ম্যাক্রোঁর সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান এমইপি নাথালি লুইসো পাল্টা বলেছেন,‘ফ্রান্স যা করা দরকার তা করছে’ এবং ‘এই নৌবহরের অংশে থাকা তার নাগরিকদের কনস্যুলার সুরক্ষা প্রদান করছে’।
তিনি নৌবহরে ফ্রান্স আনবোয়েডের জড়িত থাকাকে ‘বিড়ম্বনাকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি ফরাসি চ্যানেল ফ্রান্স ৩-কে বলেছেন, ‘এটি কি সত্যিই গাজায় ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের দুর্ভোগের ওপর আলোকপাত করার জন্য নাকি এটি একটি আত্ম-প্রচার প্রচেষ্টা? তাই আমি ভয় পাচ্ছি, শেষোক্ত ঘটনাটিই’ ঘটে। সূত্র: বাসস
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনাবাহিনী। এ শহর থেকে কারোরই বের হওয়ার এখন কোনো পথ নেই।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাশিয়ার সেনা সদস্যরা কিয়েভ ঘিরে রেখেছে। এই মুহূর্তে রাজধানীর বাসিন্দারা অবরুদ্ধ।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলার প্রতিবাদে জামার্নির রাজধানী বার্লিনে সমাবেশ করেছে এক লাখের বেশি মানুষ।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের পতাকার আদলে নীল ও হলুদ রংয়ের পোশাকে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে রুশ দূতাবাসের খুব কাছে জড়ো হয় তারা। ইউক্রেনীয়দের প্রতি সংহতি জানায় তারা।
এসময় প্রতিবাদকারীরা রুশ হামলাকে ধিক্কায় জানিয়ে ও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু না করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে অর্থ সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
যুদ্ধরত কোনো দেশে অস্ত্র না পাঠানোর জন্য করা অঙ্গীকার ভেঙে এবার রুশ হামলার শিকার ইউক্রেনে অস্ত্র দেবে সুইডেন।
রোববার সুইডেনের কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মস্কোর সঙ্গে শর্তহীন আলোচনা শুরু করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে কিয়েভ।
এর আগে, রাশিয়ার দেয়া শর্তের কারণে বৈঠকে বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে রুশ প্রতিনিধি দল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছে রোববার।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও। এমন পরিস্থিতিতে অর্থসংকট তৈরি হতে পারে ভেবে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার চেষ্টা করছেন গ্রাহকরা।
তবে এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং গ্রাহকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, অর্থের অভাব নেই। সংকটে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।
স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে একথা জানায় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাদের এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সেনাদের রোববার খারকিভ শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। কিয়েভের এমন দাবির মুখে দেশটির বিরুদ্ধে এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রুশ প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে। তবে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় গোমেলে বসতে রাজি হয়নি ইউক্রেন।
রোববার ক্রেমলিনের মূখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়েছে।
যুদ্ধের পর শহরটি এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ।
তিনি বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার সেনা সদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে।’
তিন দিনে হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
দেশটির ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এই দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার কিয়েভ হান্না মালায়ার বলেন, এই হামলার পর তিন দিনে রাশিয়ার এ পরিমাণ সেনা হতাহত হয়েছে।
অবশ্য বিবিসি এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এমনকি রাশিয়াও এখন পর্যন্ত তাদের হতাহতের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
কিয়েভ হান্না দাবি করেন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ২৭টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। এই তালিকায় আছে ২৬ হেলিকপ্টার, ১৪৬ ট্যাংক, ৭০৬ আর্মড ফাইটিং ভেহিকেল, ৪৯ ক্যানন, একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪ গার্ড মাল্টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম এবং ৩০ টি গাড়ি।
বেসামরিক নাগরিক ও সাধারণ মানুষের জন্য নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে ইউক্রেন। তাদের সবাইকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘আপনার কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকুক বা না থাকুক, যুদ্ধের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করুন।’
সাধারণ মানুষকে কয়েকটি বিষয় বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সেগুলো হলো-
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নোভা কাকোভকা রাশিয়ার বাহিনী নিজেেদর করে নিয়েছে।
রাশিয়ান সেনারা এখন নোভা কাকোভকা বা নিউ কাকোভকা দখল করেছে। এটি খুব ছোট শহর, তবে এটি কৌশলগত দিক বিবেচনায় ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
শহরটির অবস্থান দিনিপার নদীর পারে এবং এটি সরাসরি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে পানি সরবরাহ করে।
শহরটির মেয়র ভলদিমির কোভালেঙ্ক বলেন, রাশিয়ার সেনারা শহরটি দখল করে নিয়েছে এবং শহরের এক্সিকিউটিভ কমিটি বাতিল করে দিয়েছে। তারা সব ধরনের ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন দখলে দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়ার অগ্রগতি খুব বেশি। রুশ সেনারা এর আগেই দক্ষিণের খোরসান, মাইকোলভ এবং মেলিটোপল শহর দখলে হুমকি দিয়ে এসেছে।
সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমিহাল।
তিনি টু্ইট করেন, ‘আজ যাদের সঙ্গে কথা বললাম, সব সহযোগীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের সহায়তা ও সমর্থন সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের এই অবদান ইউক্রেনের জনগণ কখনও ভুলবে না।’
Grateful to all our partners I talked today - 🇨🇦, 🇵🇱, 🇱🇹, 🇱🇻, 🇪🇪, 🇳🇱, 🇨🇿, 🇸🇰, 🇸🇮, 🇹🇩, 🇸🇪, 🇨🇭, 🇱🇺, @EU_Commission 🇪🇺! Appreciate your support and real help in this dark time. Ukrainian people will never forget this! Keep holding the line! We are on our land!
— Denys Shmyhal (@Denys_Shmyhal) February 26, 2022
ইউক্রেনে হামলার চতুর্থ দিনে দেশটির শহর খারকিভে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগ থেকে হামলার খবরটি জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে হামলার পর সেখানে মাশরুম আকৃতির ধোঁয়া দেখা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এটা জানা সম্ভব হয়নি যে, পাইপলাইনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে শহর ও শহরের বাইরে গ্যাস সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে কি না।
হামলা হলেও ইউক্রেন রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয় ওসিএইচএ সংস্থাটির মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে।
যেকোনো সংঘাতে নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিরূপণে যাচাই ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না মানবাধিকার দপ্তর।
ওসিএইচএ আরও জানায়, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ইউক্রেনজুড়ে (বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল) ‘মানবিক বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে ঝামেলা সৃষ্টিকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন। সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি এখন আর পরিবেশ নিয়ে কাজে ব্যস্ত নন। তিনি এখন এসব নিয়ে ব্যস্ত।’
গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদে ছিলেন সুইডেনের জলবায়ু অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তার (গ্রেটা থুনবার্গ|) রাগ নিয়ন্ত্রণজনিত সমস্যা আছে, আমার মনে হয় তার চিকিৎকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।’
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘তিনি (থুনবার্গ) খুব রাগান্বিত, তিনি পাগল।’
এর আগে, ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক থুনবার্গসহ ১৭১ জন কর্মীকে গ্রিস এবং স্লোভাকিয়ায় পাঠায়।
বিভিন্ন দেশের ৪০টিরও বেশি জাহাজ নিয়ে গঠিত গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তিউনিসিয়া থেকে গাজার দিকে যাত্রা করে। মিশনের লক্ষ্য ছিল গাজা উপত্যকার অবরোধ ভেঙে এর বাসিন্দাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনাবাহিনী। এ শহর থেকে কারোরই বের হওয়ার এখন কোনো পথ নেই।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাশিয়ার সেনা সদস্যরা কিয়েভ ঘিরে রেখেছে। এই মুহূর্তে রাজধানীর বাসিন্দারা অবরুদ্ধ।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলার প্রতিবাদে জামার্নির রাজধানী বার্লিনে সমাবেশ করেছে এক লাখের বেশি মানুষ।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের পতাকার আদলে নীল ও হলুদ রংয়ের পোশাকে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে রুশ দূতাবাসের খুব কাছে জড়ো হয় তারা। ইউক্রেনীয়দের প্রতি সংহতি জানায় তারা।
এসময় প্রতিবাদকারীরা রুশ হামলাকে ধিক্কায় জানিয়ে ও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু না করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে অর্থ সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
যুদ্ধরত কোনো দেশে অস্ত্র না পাঠানোর জন্য করা অঙ্গীকার ভেঙে এবার রুশ হামলার শিকার ইউক্রেনে অস্ত্র দেবে সুইডেন।
রোববার সুইডেনের কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মস্কোর সঙ্গে শর্তহীন আলোচনা শুরু করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে কিয়েভ।
এর আগে, রাশিয়ার দেয়া শর্তের কারণে বৈঠকে বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে রুশ প্রতিনিধি দল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছে রোববার।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও। এমন পরিস্থিতিতে অর্থসংকট তৈরি হতে পারে ভেবে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার চেষ্টা করছেন গ্রাহকরা।
তবে এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং গ্রাহকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, অর্থের অভাব নেই। সংকটে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।
স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে একথা জানায় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাদের এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সেনাদের রোববার খারকিভ শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। কিয়েভের এমন দাবির মুখে দেশটির বিরুদ্ধে এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রুশ প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে। তবে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় গোমেলে বসতে রাজি হয়নি ইউক্রেন।
রোববার ক্রেমলিনের মূখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়েছে।
যুদ্ধের পর শহরটি এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ।
তিনি বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার সেনা সদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে।’
তিন দিনে হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
দেশটির ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এই দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার কিয়েভ হান্না মালায়ার বলেন, এই হামলার পর তিন দিনে রাশিয়ার এ পরিমাণ সেনা হতাহত হয়েছে।
অবশ্য বিবিসি এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এমনকি রাশিয়াও এখন পর্যন্ত তাদের হতাহতের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
কিয়েভ হান্না দাবি করেন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ২৭টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। এই তালিকায় আছে ২৬ হেলিকপ্টার, ১৪৬ ট্যাংক, ৭০৬ আর্মড ফাইটিং ভেহিকেল, ৪৯ ক্যানন, একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪ গার্ড মাল্টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম এবং ৩০ টি গাড়ি।
বেসামরিক নাগরিক ও সাধারণ মানুষের জন্য নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে ইউক্রেন। তাদের সবাইকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘আপনার কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকুক বা না থাকুক, যুদ্ধের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করুন।’
সাধারণ মানুষকে কয়েকটি বিষয় বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সেগুলো হলো-
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নোভা কাকোভকা রাশিয়ার বাহিনী নিজেেদর করে নিয়েছে।
রাশিয়ান সেনারা এখন নোভা কাকোভকা বা নিউ কাকোভকা দখল করেছে। এটি খুব ছোট শহর, তবে এটি কৌশলগত দিক বিবেচনায় ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
শহরটির অবস্থান দিনিপার নদীর পারে এবং এটি সরাসরি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে পানি সরবরাহ করে।
শহরটির মেয়র ভলদিমির কোভালেঙ্ক বলেন, রাশিয়ার সেনারা শহরটি দখল করে নিয়েছে এবং শহরের এক্সিকিউটিভ কমিটি বাতিল করে দিয়েছে। তারা সব ধরনের ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন দখলে দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়ার অগ্রগতি খুব বেশি। রুশ সেনারা এর আগেই দক্ষিণের খোরসান, মাইকোলভ এবং মেলিটোপল শহর দখলে হুমকি দিয়ে এসেছে।
সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমিহাল।
তিনি টু্ইট করেন, ‘আজ যাদের সঙ্গে কথা বললাম, সব সহযোগীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের সহায়তা ও সমর্থন সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের এই অবদান ইউক্রেনের জনগণ কখনও ভুলবে না।’
Grateful to all our partners I talked today - 🇨🇦, 🇵🇱, 🇱🇹, 🇱🇻, 🇪🇪, 🇳🇱, 🇨🇿, 🇸🇰, 🇸🇮, 🇹🇩, 🇸🇪, 🇨🇭, 🇱🇺, @EU_Commission 🇪🇺! Appreciate your support and real help in this dark time. Ukrainian people will never forget this! Keep holding the line! We are on our land!
— Denys Shmyhal (@Denys_Shmyhal) February 26, 2022
ইউক্রেনে হামলার চতুর্থ দিনে দেশটির শহর খারকিভে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগ থেকে হামলার খবরটি জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে হামলার পর সেখানে মাশরুম আকৃতির ধোঁয়া দেখা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এটা জানা সম্ভব হয়নি যে, পাইপলাইনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে শহর ও শহরের বাইরে গ্যাস সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে কি না।
হামলা হলেও ইউক্রেন রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয় ওসিএইচএ সংস্থাটির মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে।
যেকোনো সংঘাতে নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিরূপণে যাচাই ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না মানবাধিকার দপ্তর।
ওসিএইচএ আরও জানায়, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ইউক্রেনজুড়ে (বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল) ‘মানবিক বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গাজা যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাসের আংশিক সম্মতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ট্রাম্প নিজে। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিষয়টিকে একেবারেই ভিন্নভাবে দেখেছেন। এই মতভেদ নিয়েই দুজনের মধ্যে এক পর্যায়ে উত্তপ্ত ফোনালাপ হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, গত শুক্রবার হামাস যখন ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে আংশিক সম্মতি জানায় তখনই ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে ফোন করে বলেন, এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু নেতানিয়াহু জবাবে বলেন, ‘এটা উদযাপনের কিছু নয়, এর কোনো অর্থ নেই।’
এতে ট্রাম্প চরম বিরক্ত হন। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি বুঝি না, কেন তুমি সবসময় এত নেতিবাচক।’ এর মধ্যে একটি অশালীন শব্দও ব্যবহার করেন তিনি। পরে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বলেন, ‘এটা একটা জয়, এটা গ্রহণ করো।’ (I don’t know why you’re always so f***ing negative. This is a win. Take it.)
একজন মার্কিন কর্মকর্তা এক্সিওস-কে বলেন, এই সংলাপ দেখিয়েছে—নেতানিয়াহুর আপত্তি সত্ত্বেও ট্রাম্প যুদ্ধ শেষের দিকে এগোতে এবং হামাসের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করতে কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
হামাস তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, তারা সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি, তবে যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে প্রস্তাবের অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলেও জানায় সংগঠনটি।
অন্যদিকে নেতানিয়াহু তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের বলেন, তিনি হামাসের প্রতিক্রিয়াকে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ‘প্রত্যাখ্যান’ হিসেবে দেখছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করতে চান, যাতে হামাসের প্রতিক্রিয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখানোর সুযোগ না পায়।
কিন্তু ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, হামাস হয়তো পরিকল্পনাটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করবে। তাই আংশিক সম্মতিকে তিনি ‘চুক্তির সুযোগ’ হিসেবে দেখেন।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ফোনালাপে নেতানিয়াহুর শীতল প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পকে হতাশ করে। তাই তিনি কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া জানান। পরে এক্সিওস-এর সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নেতানিয়াহুকে বলেছিলাম, এটি তোমার জয়ের সুযোগ। শেষ পর্যন্ত সে এতে রাজি হয়েছে। তার রাজি হওয়া ছাড়া উপায়ও নেই—আমার সঙ্গে থাকলে রাজি হতেই হয়।’
ফোনালাপের অল্প সময় পরই ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বিমান হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। তিন ঘণ্টা পর নেতানিয়াহু বিমান হামলা বন্ধের নির্দেশ দেন।
যদিও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা পরে বলেন, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর অবস্থান এখন সম্পূর্ণ এক। নেতানিয়াহু এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্পকে প্রশংসা করেন এবং তার বক্তব্যের সঙ্গে নিজেদের অবস্থান মেলানোর চেষ্টা করেন।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, ফোনালাপের পরিবেশ ছিল ‘উত্তপ্ত ও কঠিন’। তবুও দুই নেতা শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছান। তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘অবশেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি চান, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এ লক্ষ্য অর্জনে।’
হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
শনিবার ট্রাম্প আবারও দুই পক্ষকে দ্রুত চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান এবং হামাসকে সতর্ক করেন—যদি তারা বিলম্ব করে, পুরো চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।
একইদিন ইসরায়েল গাজার কিছু অংশ থেকে প্রাথমিক সেনা প্রত্যাহারের হালনাগাদ মানচিত্রে সম্মত হয়। সোমবার মিশরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার অংশ নেবেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনাবাহিনী। এ শহর থেকে কারোরই বের হওয়ার এখন কোনো পথ নেই।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাশিয়ার সেনা সদস্যরা কিয়েভ ঘিরে রেখেছে। এই মুহূর্তে রাজধানীর বাসিন্দারা অবরুদ্ধ।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলার প্রতিবাদে জামার্নির রাজধানী বার্লিনে সমাবেশ করেছে এক লাখের বেশি মানুষ।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের পতাকার আদলে নীল ও হলুদ রংয়ের পোশাকে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে রুশ দূতাবাসের খুব কাছে জড়ো হয় তারা। ইউক্রেনীয়দের প্রতি সংহতি জানায় তারা।
এসময় প্রতিবাদকারীরা রুশ হামলাকে ধিক্কায় জানিয়ে ও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু না করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে অর্থ সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
যুদ্ধরত কোনো দেশে অস্ত্র না পাঠানোর জন্য করা অঙ্গীকার ভেঙে এবার রুশ হামলার শিকার ইউক্রেনে অস্ত্র দেবে সুইডেন।
রোববার সুইডেনের কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মস্কোর সঙ্গে শর্তহীন আলোচনা শুরু করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে কিয়েভ।
এর আগে, রাশিয়ার দেয়া শর্তের কারণে বৈঠকে বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে রুশ প্রতিনিধি দল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছে রোববার।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও। এমন পরিস্থিতিতে অর্থসংকট তৈরি হতে পারে ভেবে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার চেষ্টা করছেন গ্রাহকরা।
তবে এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং গ্রাহকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, অর্থের অভাব নেই। সংকটে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।
স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে একথা জানায় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাদের এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সেনাদের রোববার খারকিভ শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। কিয়েভের এমন দাবির মুখে দেশটির বিরুদ্ধে এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রুশ প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে। তবে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় গোমেলে বসতে রাজি হয়নি ইউক্রেন।
রোববার ক্রেমলিনের মূখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়েছে।
যুদ্ধের পর শহরটি এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ।
তিনি বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার সেনা সদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে।’
তিন দিনে হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
দেশটির ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এই দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার কিয়েভ হান্না মালায়ার বলেন, এই হামলার পর তিন দিনে রাশিয়ার এ পরিমাণ সেনা হতাহত হয়েছে।
অবশ্য বিবিসি এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এমনকি রাশিয়াও এখন পর্যন্ত তাদের হতাহতের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
কিয়েভ হান্না দাবি করেন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ২৭টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। এই তালিকায় আছে ২৬ হেলিকপ্টার, ১৪৬ ট্যাংক, ৭০৬ আর্মড ফাইটিং ভেহিকেল, ৪৯ ক্যানন, একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪ গার্ড মাল্টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম এবং ৩০ টি গাড়ি।
বেসামরিক নাগরিক ও সাধারণ মানুষের জন্য নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে ইউক্রেন। তাদের সবাইকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘আপনার কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকুক বা না থাকুক, যুদ্ধের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করুন।’
সাধারণ মানুষকে কয়েকটি বিষয় বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সেগুলো হলো-
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নোভা কাকোভকা রাশিয়ার বাহিনী নিজেেদর করে নিয়েছে।
রাশিয়ান সেনারা এখন নোভা কাকোভকা বা নিউ কাকোভকা দখল করেছে। এটি খুব ছোট শহর, তবে এটি কৌশলগত দিক বিবেচনায় ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
শহরটির অবস্থান দিনিপার নদীর পারে এবং এটি সরাসরি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে পানি সরবরাহ করে।
শহরটির মেয়র ভলদিমির কোভালেঙ্ক বলেন, রাশিয়ার সেনারা শহরটি দখল করে নিয়েছে এবং শহরের এক্সিকিউটিভ কমিটি বাতিল করে দিয়েছে। তারা সব ধরনের ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন দখলে দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়ার অগ্রগতি খুব বেশি। রুশ সেনারা এর আগেই দক্ষিণের খোরসান, মাইকোলভ এবং মেলিটোপল শহর দখলে হুমকি দিয়ে এসেছে।
সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমিহাল।
তিনি টু্ইট করেন, ‘আজ যাদের সঙ্গে কথা বললাম, সব সহযোগীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের সহায়তা ও সমর্থন সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের এই অবদান ইউক্রেনের জনগণ কখনও ভুলবে না।’
Grateful to all our partners I talked today - 🇨🇦, 🇵🇱, 🇱🇹, 🇱🇻, 🇪🇪, 🇳🇱, 🇨🇿, 🇸🇰, 🇸🇮, 🇹🇩, 🇸🇪, 🇨🇭, 🇱🇺, @EU_Commission 🇪🇺! Appreciate your support and real help in this dark time. Ukrainian people will never forget this! Keep holding the line! We are on our land!
— Denys Shmyhal (@Denys_Shmyhal) February 26, 2022
ইউক্রেনে হামলার চতুর্থ দিনে দেশটির শহর খারকিভে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগ থেকে হামলার খবরটি জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে হামলার পর সেখানে মাশরুম আকৃতির ধোঁয়া দেখা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এটা জানা সম্ভব হয়নি যে, পাইপলাইনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে শহর ও শহরের বাইরে গ্যাস সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে কি না।
হামলা হলেও ইউক্রেন রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয় ওসিএইচএ সংস্থাটির মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে।
যেকোনো সংঘাতে নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিরূপণে যাচাই ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না মানবাধিকার দপ্তর।
ওসিএইচএ আরও জানায়, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ইউক্রেনজুড়ে (বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল) ‘মানবিক বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাগাগুচি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকে বা রাখা যায়, সে বিষয়ে তাদের গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার এ পুরস্কার ঘোষণা করে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।
স্টকহোম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ বিষয়ক আবিষ্কারের জন্য এ তিন বিজ্ঞানীকে এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নোবেল জুরির ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের আবিষ্কার ইমিউন সিস্টেমের কার্যপ্রণালী এবং কেন সবাই গুরুতর অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয় না, তা বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
নোবেল জুরি জানায়, তাদের গবেষণা একটি নতুন ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং ক্যান্সার ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। একইসঙ্গে তাদের আবিষ্কার সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপনেও সহায়ক হতে পারে।
৭৪ বছর বয়সি সাকাগুচি ১৯৯৫ সালে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার করেন। সে সময় অনেক গবেষক মনে করতেন, ‘সেন্ট্রাল টলারেন্স’ নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিকর ইমিউন কোষ থাইমাসে ধ্বংস হওয়ার কারণেই ইমিউন টলারেন্স তৈরি হয়। তবে সাকাগুচি দেখান, ইমিউন সিস্টেম আরো জটিল এবং তিনি এমন এক নতুন শ্রেণির ইমিউন কোষ আবিষ্কার করেন, যা দেহকে অটোইমিউন রোগ থেকে রক্ষা করে।
১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণকারী ব্রাঙ্কো এবং ৬৪ বছর বয়সী রামসডেল ২০০১ সালে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। তারা ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হন কেন কিছু ইঁদুর বিশেষভাবে অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
জুরি জানায়, তারা আবিষ্কার করেছেন ওই ইঁদুরগুলোর জিনে একটি মিউটেশন রয়েছে। তারা সেটির নাম দেন ‘ফক্সপ৩’। তারা দেখান, মানুষের শরীরে এ জিনের সমতুল্য মিউটেশন হলে মারাত্মক অটোইমিউন রোগ ‘আইপিইএক্স’ দেখা দেয়।
দুই বছর পর সাকাগুচি এই আবিষ্কারের সঙ্গে নিজের আবিষ্কারকে যুক্ত করেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফের কাছ থেকে তারা নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করবেন। পুরস্কারের মধ্যে থাকছে একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং ১২ লাখ মার্কিন ডলারের চেক।
আগামী সপ্তাহজুড়ে এ বছরের নোবেল পুরস্কারের মৌসুম চলবে। আজ মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞান, আগামীকাল বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য, শুক্রবার শান্তি এবং আগামী সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনাবাহিনী। এ শহর থেকে কারোরই বের হওয়ার এখন কোনো পথ নেই।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাশিয়ার সেনা সদস্যরা কিয়েভ ঘিরে রেখেছে। এই মুহূর্তে রাজধানীর বাসিন্দারা অবরুদ্ধ।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলার প্রতিবাদে জামার্নির রাজধানী বার্লিনে সমাবেশ করেছে এক লাখের বেশি মানুষ।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের পতাকার আদলে নীল ও হলুদ রংয়ের পোশাকে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে রুশ দূতাবাসের খুব কাছে জড়ো হয় তারা। ইউক্রেনীয়দের প্রতি সংহতি জানায় তারা।
এসময় প্রতিবাদকারীরা রুশ হামলাকে ধিক্কায় জানিয়ে ও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু না করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে অর্থ সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
যুদ্ধরত কোনো দেশে অস্ত্র না পাঠানোর জন্য করা অঙ্গীকার ভেঙে এবার রুশ হামলার শিকার ইউক্রেনে অস্ত্র দেবে সুইডেন।
রোববার সুইডেনের কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মস্কোর সঙ্গে শর্তহীন আলোচনা শুরু করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে কিয়েভ।
এর আগে, রাশিয়ার দেয়া শর্তের কারণে বৈঠকে বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে রুশ প্রতিনিধি দল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছে রোববার।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও। এমন পরিস্থিতিতে অর্থসংকট তৈরি হতে পারে ভেবে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার চেষ্টা করছেন গ্রাহকরা।
তবে এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং গ্রাহকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, অর্থের অভাব নেই। সংকটে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।
স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে একথা জানায় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাদের এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সেনাদের রোববার খারকিভ শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। কিয়েভের এমন দাবির মুখে দেশটির বিরুদ্ধে এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রুশ প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে। তবে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় গোমেলে বসতে রাজি হয়নি ইউক্রেন।
রোববার ক্রেমলিনের মূখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়েছে।
যুদ্ধের পর শহরটি এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ।
তিনি বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার সেনা সদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে।’
তিন দিনে হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
দেশটির ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এই দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার কিয়েভ হান্না মালায়ার বলেন, এই হামলার পর তিন দিনে রাশিয়ার এ পরিমাণ সেনা হতাহত হয়েছে।
অবশ্য বিবিসি এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এমনকি রাশিয়াও এখন পর্যন্ত তাদের হতাহতের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
কিয়েভ হান্না দাবি করেন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ২৭টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। এই তালিকায় আছে ২৬ হেলিকপ্টার, ১৪৬ ট্যাংক, ৭০৬ আর্মড ফাইটিং ভেহিকেল, ৪৯ ক্যানন, একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪ গার্ড মাল্টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম এবং ৩০ টি গাড়ি।
বেসামরিক নাগরিক ও সাধারণ মানুষের জন্য নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে ইউক্রেন। তাদের সবাইকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘আপনার কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকুক বা না থাকুক, যুদ্ধের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করুন।’
সাধারণ মানুষকে কয়েকটি বিষয় বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সেগুলো হলো-
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নোভা কাকোভকা রাশিয়ার বাহিনী নিজেেদর করে নিয়েছে।
রাশিয়ান সেনারা এখন নোভা কাকোভকা বা নিউ কাকোভকা দখল করেছে। এটি খুব ছোট শহর, তবে এটি কৌশলগত দিক বিবেচনায় ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
শহরটির অবস্থান দিনিপার নদীর পারে এবং এটি সরাসরি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে পানি সরবরাহ করে।
শহরটির মেয়র ভলদিমির কোভালেঙ্ক বলেন, রাশিয়ার সেনারা শহরটি দখল করে নিয়েছে এবং শহরের এক্সিকিউটিভ কমিটি বাতিল করে দিয়েছে। তারা সব ধরনের ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন দখলে দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়ার অগ্রগতি খুব বেশি। রুশ সেনারা এর আগেই দক্ষিণের খোরসান, মাইকোলভ এবং মেলিটোপল শহর দখলে হুমকি দিয়ে এসেছে।
সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমিহাল।
তিনি টু্ইট করেন, ‘আজ যাদের সঙ্গে কথা বললাম, সব সহযোগীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের সহায়তা ও সমর্থন সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের এই অবদান ইউক্রেনের জনগণ কখনও ভুলবে না।’
Grateful to all our partners I talked today - 🇨🇦, 🇵🇱, 🇱🇹, 🇱🇻, 🇪🇪, 🇳🇱, 🇨🇿, 🇸🇰, 🇸🇮, 🇹🇩, 🇸🇪, 🇨🇭, 🇱🇺, @EU_Commission 🇪🇺! Appreciate your support and real help in this dark time. Ukrainian people will never forget this! Keep holding the line! We are on our land!
— Denys Shmyhal (@Denys_Shmyhal) February 26, 2022
ইউক্রেনে হামলার চতুর্থ দিনে দেশটির শহর খারকিভে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগ থেকে হামলার খবরটি জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে হামলার পর সেখানে মাশরুম আকৃতির ধোঁয়া দেখা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এটা জানা সম্ভব হয়নি যে, পাইপলাইনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে শহর ও শহরের বাইরে গ্যাস সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে কি না।
হামলা হলেও ইউক্রেন রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয় ওসিএইচএ সংস্থাটির মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে।
যেকোনো সংঘাতে নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিরূপণে যাচাই ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না মানবাধিকার দপ্তর।
ওসিএইচএ আরও জানায়, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ইউক্রেনজুড়ে (বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল) ‘মানবিক বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়পুরে সরকারি সাওয়াই মান সিং (এসএমএস) হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটজন গুরুতর রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার গভীর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ট্রমা সেন্টারের ইনচার্জ ডা. অনুরাগ ধাক্কাদ জানিয়েছেন, আগুন লাগে ভবনের স্টোরেজ এলাকায়। সে সময় নিউরো আইসিইউতে ১১ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে গোটা তলায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। হাসপাতালে সংরক্ষিত নথি, আইসিইউ সরঞ্জাম ও রক্তের নমুনাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
দমকল বাহিনী খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালের কর্মী ও রোগীর স্বজনরা আগুন লাগার পরপরই বিছানাসহ রোগীদের বাইরে সরিয়ে নেন।
ওয়ার্ডবয় বিকাশ পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে বের করে আনি। অন্তত তিন-চারজন রোগীকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি, তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর আর ভেতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি।’
ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা, সংসদীয়বিষয়ক মন্ত্রী যোগরাম প্যাটেল এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জওহর সিং বেধাম। তারা ক্ষতিগ্রস্ত রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তবে দুই রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, আগুন লাগার সময় হাসপাতালের কর্মীরা পালিয়ে যান এবং রোগীদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি। তারা আরও জানান, আমরা ধোঁয়া দেখে কর্মীদের জানিয়েছিলাম, কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি।
এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনাবাহিনী। এ শহর থেকে কারোরই বের হওয়ার এখন কোনো পথ নেই।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাশিয়ার সেনা সদস্যরা কিয়েভ ঘিরে রেখেছে। এই মুহূর্তে রাজধানীর বাসিন্দারা অবরুদ্ধ।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলার প্রতিবাদে জামার্নির রাজধানী বার্লিনে সমাবেশ করেছে এক লাখের বেশি মানুষ।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের পতাকার আদলে নীল ও হলুদ রংয়ের পোশাকে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে রুশ দূতাবাসের খুব কাছে জড়ো হয় তারা। ইউক্রেনীয়দের প্রতি সংহতি জানায় তারা।
এসময় প্রতিবাদকারীরা রুশ হামলাকে ধিক্কায় জানিয়ে ও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু না করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে অর্থ সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
যুদ্ধরত কোনো দেশে অস্ত্র না পাঠানোর জন্য করা অঙ্গীকার ভেঙে এবার রুশ হামলার শিকার ইউক্রেনে অস্ত্র দেবে সুইডেন।
রোববার সুইডেনের কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মস্কোর সঙ্গে শর্তহীন আলোচনা শুরু করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে কিয়েভ।
এর আগে, রাশিয়ার দেয়া শর্তের কারণে বৈঠকে বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে রুশ প্রতিনিধি দল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছে রোববার।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও। এমন পরিস্থিতিতে অর্থসংকট তৈরি হতে পারে ভেবে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার চেষ্টা করছেন গ্রাহকরা।
তবে এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং গ্রাহকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, অর্থের অভাব নেই। সংকটে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।
স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে একথা জানায় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাদের এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সেনাদের রোববার খারকিভ শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। কিয়েভের এমন দাবির মুখে দেশটির বিরুদ্ধে এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রুশ প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে। তবে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় গোমেলে বসতে রাজি হয়নি ইউক্রেন।
রোববার ক্রেমলিনের মূখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়েছে।
যুদ্ধের পর শহরটি এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ।
তিনি বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার সেনা সদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে।’
তিন দিনে হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
দেশটির ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এই দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার কিয়েভ হান্না মালায়ার বলেন, এই হামলার পর তিন দিনে রাশিয়ার এ পরিমাণ সেনা হতাহত হয়েছে।
অবশ্য বিবিসি এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এমনকি রাশিয়াও এখন পর্যন্ত তাদের হতাহতের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
কিয়েভ হান্না দাবি করেন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ২৭টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। এই তালিকায় আছে ২৬ হেলিকপ্টার, ১৪৬ ট্যাংক, ৭০৬ আর্মড ফাইটিং ভেহিকেল, ৪৯ ক্যানন, একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪ গার্ড মাল্টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম এবং ৩০ টি গাড়ি।
বেসামরিক নাগরিক ও সাধারণ মানুষের জন্য নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে ইউক্রেন। তাদের সবাইকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘আপনার কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকুক বা না থাকুক, যুদ্ধের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করুন।’
সাধারণ মানুষকে কয়েকটি বিষয় বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সেগুলো হলো-
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নোভা কাকোভকা রাশিয়ার বাহিনী নিজেেদর করে নিয়েছে।
রাশিয়ান সেনারা এখন নোভা কাকোভকা বা নিউ কাকোভকা দখল করেছে। এটি খুব ছোট শহর, তবে এটি কৌশলগত দিক বিবেচনায় ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
শহরটির অবস্থান দিনিপার নদীর পারে এবং এটি সরাসরি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে পানি সরবরাহ করে।
শহরটির মেয়র ভলদিমির কোভালেঙ্ক বলেন, রাশিয়ার সেনারা শহরটি দখল করে নিয়েছে এবং শহরের এক্সিকিউটিভ কমিটি বাতিল করে দিয়েছে। তারা সব ধরনের ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন দখলে দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়ার অগ্রগতি খুব বেশি। রুশ সেনারা এর আগেই দক্ষিণের খোরসান, মাইকোলভ এবং মেলিটোপল শহর দখলে হুমকি দিয়ে এসেছে।
সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমিহাল।
তিনি টু্ইট করেন, ‘আজ যাদের সঙ্গে কথা বললাম, সব সহযোগীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের সহায়তা ও সমর্থন সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের এই অবদান ইউক্রেনের জনগণ কখনও ভুলবে না।’
Grateful to all our partners I talked today - 🇨🇦, 🇵🇱, 🇱🇹, 🇱🇻, 🇪🇪, 🇳🇱, 🇨🇿, 🇸🇰, 🇸🇮, 🇹🇩, 🇸🇪, 🇨🇭, 🇱🇺, @EU_Commission 🇪🇺! Appreciate your support and real help in this dark time. Ukrainian people will never forget this! Keep holding the line! We are on our land!
— Denys Shmyhal (@Denys_Shmyhal) February 26, 2022
ইউক্রেনে হামলার চতুর্থ দিনে দেশটির শহর খারকিভে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগ থেকে হামলার খবরটি জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে হামলার পর সেখানে মাশরুম আকৃতির ধোঁয়া দেখা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এটা জানা সম্ভব হয়নি যে, পাইপলাইনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে শহর ও শহরের বাইরে গ্যাস সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে কি না।
হামলা হলেও ইউক্রেন রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয় ওসিএইচএ সংস্থাটির মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে।
যেকোনো সংঘাতে নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিরূপণে যাচাই ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না মানবাধিকার দপ্তর।
ওসিএইচএ আরও জানায়, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ইউক্রেনজুড়ে (বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল) ‘মানবিক বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। পাঁচ হাজার টন ওজনের ডেস্ট্রয়ারটি শত্রুদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রাগারে থাকা পাঁচ হাজার টন ওজনের দুটি ডেস্ট্রয়ারের মধ্যে ছো হিওন একটি। দুটি ডেস্ট্রয়ারই এই বছর চালু করা হয়েছে।
দেশটির নৌ সক্ষমতা বাড়াতে এটি কিম জং উনের প্রচেষ্টার একটি অংশ।
রোববার যুদ্ধজাহাজটি পরিদর্শনকালে কিম বলেন, যুদ্ধজাহাজটি ‘(উত্তর কোরিয়ার) সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের একটি স্পষ্ট প্রদর্শনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশাল সমুদ্রে আমাদের নৌবাহিনীর অসাধারণ ক্ষমতা প্রয়োগ করা উচিত, যাতে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে শত্রুর উস্কানিকে পুরোপুরি প্রতিহত করা ও শত্রুদের শাস্তি দেওয়া যায়।’
কিম আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে একই ধরনের তৃতীয় ডেস্ট্রয়ার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য হাজার হাজার উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েনের বিনিময়ে সম্ভবত রাশিয়ার সহায়তায় উত্তর কোরিয়া ছো হিওন তৈরি করেছে।’
কেসিএনএর ছবিতে দেখা গেছে, কিম জাহাজের ভেতরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ তদারকি করছেন এবং মনিটরগুলোতে কোরিয়ান উপদ্বীপের চারপাশের সমুদ্র দেখা যাচ্ছে।
আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, সামরিক জেনারেলদের সামনে একটি মানচিত্রের দিকে ইঙ্গিত করছেন কিম।
পরমাণু অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকি প্রতিহত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫শ সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং গত মাসে দেশটির নিরাপত্তা মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে একটি যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে।
পিয়ংইয়ং নিয়মিতভাবে এই ধরনের মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে নিন্দা করে আসছে। অন্যদিকে মিত্ররা জোর দিয়ে দাবি করেছে যে, এগুলো প্রতিরক্ষামূলক মহড়া।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনাবাহিনী। এ শহর থেকে কারোরই বের হওয়ার এখন কোনো পথ নেই।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাশিয়ার সেনা সদস্যরা কিয়েভ ঘিরে রেখেছে। এই মুহূর্তে রাজধানীর বাসিন্দারা অবরুদ্ধ।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলার প্রতিবাদে জামার্নির রাজধানী বার্লিনে সমাবেশ করেছে এক লাখের বেশি মানুষ।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের পতাকার আদলে নীল ও হলুদ রংয়ের পোশাকে ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে রুশ দূতাবাসের খুব কাছে জড়ো হয় তারা। ইউক্রেনীয়দের প্রতি সংহতি জানায় তারা।
এসময় প্রতিবাদকারীরা রুশ হামলাকে ধিক্কায় জানিয়ে ও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু না করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানায়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে অর্থ সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
যুদ্ধরত কোনো দেশে অস্ত্র না পাঠানোর জন্য করা অঙ্গীকার ভেঙে এবার রুশ হামলার শিকার ইউক্রেনে অস্ত্র দেবে সুইডেন।
রোববার সুইডেনের কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মস্কোর সঙ্গে শর্তহীন আলোচনা শুরু করতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে প্রতিনিধিদল পাঠাতে রাজি হয়েছে কিয়েভ।
এর আগে, রাশিয়ার দেয়া শর্তের কারণে বৈঠকে বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে রুশ প্রতিনিধি দল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছে রোববার।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও। এমন পরিস্থিতিতে অর্থসংকট তৈরি হতে পারে ভেবে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার চেষ্টা করছেন গ্রাহকরা।
তবে এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং গ্রাহকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, অর্থের অভাব নেই। সংকটে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।
স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে একথা জানায় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাদের এবার বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সেনাদের রোববার খারকিভ শহর থেকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। কিয়েভের এমন দাবির মুখে দেশটির বিরুদ্ধে এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রুশ প্রতিনিধিদল প্রতিবেশী বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে। তবে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় গোমেলে বসতে রাজি হয়নি ইউক্রেন।
রোববার ক্রেমলিনের মূখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়েছে।
যুদ্ধের পর শহরটি এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ।
তিনি বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার সেনা সদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে।’
তিন দিনে হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
দেশটির ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এই দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার কিয়েভ হান্না মালায়ার বলেন, এই হামলার পর তিন দিনে রাশিয়ার এ পরিমাণ সেনা হতাহত হয়েছে।
অবশ্য বিবিসি এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এমনকি রাশিয়াও এখন পর্যন্ত তাদের হতাহতের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি।
কিয়েভ হান্না দাবি করেন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ২৭টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। এই তালিকায় আছে ২৬ হেলিকপ্টার, ১৪৬ ট্যাংক, ৭০৬ আর্মড ফাইটিং ভেহিকেল, ৪৯ ক্যানন, একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪ গার্ড মাল্টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম এবং ৩০ টি গাড়ি।
বেসামরিক নাগরিক ও সাধারণ মানুষের জন্য নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে ইউক্রেন। তাদের সবাইকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুশ বাহিনীর মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘আপনার কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকুক বা না থাকুক, যুদ্ধের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করুন।’
সাধারণ মানুষকে কয়েকটি বিষয় বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সেগুলো হলো-
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর নোভা কাকোভকা রাশিয়ার বাহিনী নিজেেদর করে নিয়েছে।
রাশিয়ান সেনারা এখন নোভা কাকোভকা বা নিউ কাকোভকা দখল করেছে। এটি খুব ছোট শহর, তবে এটি কৌশলগত দিক বিবেচনায় ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।
শহরটির অবস্থান দিনিপার নদীর পারে এবং এটি সরাসরি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে পানি সরবরাহ করে।
শহরটির মেয়র ভলদিমির কোভালেঙ্ক বলেন, রাশিয়ার সেনারা শহরটি দখল করে নিয়েছে এবং শহরের এক্সিকিউটিভ কমিটি বাতিল করে দিয়েছে। তারা সব ধরনের ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন দখলে দক্ষিণ দিক থেকে রাশিয়ার অগ্রগতি খুব বেশি। রুশ সেনারা এর আগেই দক্ষিণের খোরসান, মাইকোলভ এবং মেলিটোপল শহর দখলে হুমকি দিয়ে এসেছে।
সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শিমিহাল।
তিনি টু্ইট করেন, ‘আজ যাদের সঙ্গে কথা বললাম, সব সহযোগীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
‘এই কঠিন সময়ে আপনাদের সহায়তা ও সমর্থন সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের এই অবদান ইউক্রেনের জনগণ কখনও ভুলবে না।’
Grateful to all our partners I talked today - 🇨🇦, 🇵🇱, 🇱🇹, 🇱🇻, 🇪🇪, 🇳🇱, 🇨🇿, 🇸🇰, 🇸🇮, 🇹🇩, 🇸🇪, 🇨🇭, 🇱🇺, @EU_Commission 🇪🇺! Appreciate your support and real help in this dark time. Ukrainian people will never forget this! Keep holding the line! We are on our land!
— Denys Shmyhal (@Denys_Shmyhal) February 26, 2022
ইউক্রেনে হামলার চতুর্থ দিনে দেশটির শহর খারকিভে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগ থেকে হামলার খবরটি জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে হামলার পর সেখানে মাশরুম আকৃতির ধোঁয়া দেখা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এটা জানা সম্ভব হয়নি যে, পাইপলাইনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে শহর ও শহরের বাইরে গ্যাস সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে কি না।
হামলা হলেও ইউক্রেন রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস পশ্চিমা দেশগুলোতে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয় ওসিএইচএ সংস্থাটির মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে।
যেকোনো সংঘাতে নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিরূপণে যাচাই ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না মানবাধিকার দপ্তর।
ওসিএইচএ আরও জানায়, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ইউক্রেনজুড়ে (বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল) ‘মানবিক বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মন্তব্য