× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Ukraine is also insecure in withdrawing Russian troops
google_news print-icon

রুশ সেনা প্রত্যাহারেও অনিরাপদ ইউক্রেন

রুশ-সেনা-প্রত্যাহারেও-অনিরাপদ-ইউক্রেন
ক্রিমিয়া থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সংশয়ে পশ্চিমাবিশ্ব ও সমর বিশেষজ্ঞরা। ছবি: এএফপি
ক্রেমলিন বলছে, ফিরিয়ে আনা সেনাদের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে রাখা হবে। এই দুটি অঞ্চল ইউক্রেনঘেঁষা হওয়ায়, প্রয়োজনে সহজেই আবারও সেনাদের পাঠানো যাবে। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ইউনিটগুলো এখনও ইউক্রেন ঘিরে রেখেছে।

ইউক্রেন ঘিরে রাখা সেনাদের সরিয়ে নেয়ার আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার ক্রিমিয়া উপত্যকতা থেকে সেনা সরিয়ে ভিডিও প্রকাশ করে।

তবে এই সেনাদের এমন জায়গায় রাখা হচ্ছে, যেখান থেকে সহজেই ইউক্রেনে হামলা চালানো সম্ভব। এ কারণে রুশ সেনা প্রত্যাহারে আস্থা রাখতে পারছেন না পশ্চিমা দেশগুলো।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনকে পশ্চিমা বলয় থেকে মুক্ত রাখতে চায় পূর্ব ইউরোপে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখা রাশিয়া।

আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্ব চাইছে এই আধিপত্য ভেঙে দিতে। তাই তারা রাশিয়ার ঘরের কাছের ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ করতে মরিয়া। ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করতে পারলে, সেখানে সামরিক ঘাঁটি গড়তে পারবে পশ্চিমা শক্তি।

সমর বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোনো কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর লড়াই বাঁধলে, ইউক্রেনের ভৌগলিক সহায়তা পেতে চায় পশ্চিমা বিশ্ব। পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়ায় ন্যাটো অবস্থান থেকে ক্রেমলিন আগেই এ ধারণা পেয়েছে। তাই সীমান্তঘেঁষা ইউক্রেনে ন্যাটোতে ঢুকতে না দেয়ার বিষয়ে অনড় মস্কো।

আমেরিকার সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনান্ড ট্রাম্পের সময় থেকেই দেশটির প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধ চরমে। আমেরিকার গোয়েন্দাদের দাবি, ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আনার পেছনে মূল কারিগর ক্রেমলিন।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ক্ষমতায় এসেই পূর্ব ইউরোপে নজর দেন। রাশিয়ার আশপাশের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো সাম্প্রতি সামরিক মহড়াও শুরু করে জোরেশোরে। ইউক্রেনকে দলে ভেড়াতেও চলছে জোর তৎপরতা। এতে সম্মতি আছে ইউক্রেনেরও।

এ অবস্থায় সম্প্রতি ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে অন্তত এক লাখ রুশ সেনা। মস্কো জানায়, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়া তাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

রাশিয়ার এমন পদক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে বিশ্বজুড়ে। তবে শুরু থেকে মস্কো জানিয়ে আসছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।

পরিস্থিতি বিবেচনায় রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় জোর দেয় ইউরোপ-আমেরিকা। এই অবস্থার মধ্যেই বেলারুশে আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠান পুতিন। শুরু করেন ১০ দিনের সামরিক মহড়া।

সংঘাতের আশঙ্কায় ইউক্রেন থেকে কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নেয় অনেক দেশ। ন্যাটোও অঞ্চলে বাড়াতে থাকে সামরিক উপস্থিতি।

এমন পরিস্থিতে মঙ্গলবার সীমান্ত থেকে কিছুসংখ্যক সেনা সরিয়ে নেয়ার ভিডিও প্রকাশ করে মস্কো। তবে ইউক্রেনসহ পশ্চিমাবিশ্ব এটি বিশ্বাস করেনি।

এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, ক্রিমিয়া সেনা ফিরিয়ে নিচ্ছে মস্কো।

আট বছর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখলে নেয় মস্কো। সম্প্রতি সেখানে তারা সামরিক মহড়া চালাচ্ছিল।

ক্রেমলিন জানায়, ফিরিয়ে আনা সেনাদের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে রাখা হবে। এই দুটি অঞ্চল ইউক্রেনঘেঁষা হওয়ায়, প্রয়োজনে সহজেই আবারও সেনাদের পাঠানো যাবে।

স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ইউনিটগুলো এখনও ইউক্রেন ঘিরে রেখেছে।

সমর বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা সরিয়ে নেয়া হলেও, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও ক্রিমিয়ায় বড় ধরণের আগ্রাসন চালানোর জন্য উত্তরাঞ্চলে যথেষ্ট সেনা মোতায়েন আছে। সেখানে বিপুল সেনার পাশাপাশি অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র রাখা আছে।

এ ছাড়া কৃষ্ণ ও আজভ সাগরে পর্যাপ্ত রুশ নৌ সেনা মোতায়েন আছে। তারা সহজেই ইউক্রেন উপকূলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম। পাশাপাশি স্থল অভিযানের জন্য ২ হাজার রুশ সেনা ২০০ ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রস্তুত আছে।

আরও পড়ুন:
রাশিয়ার হামলা ‘এখনও খুবই সম্ভব’: বাইডেন
ইউক্রেনে এবার সাইবার হামলা
ইউক্রেন প্রবাসীদের ফিরতে বাধ্য করবে না সরকার
ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরাচ্ছে রাশিয়া
বাংলাদেশিদের ইউক্রেন ছাড়ার অনুরোধ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Cardinals are ready to determine the date of Conclave in the new pope selection

নতুন পোপ নির্বাচনে কনক্লেভের তারিখ নির্ধারণের জন্য কার্ডিনালরা প্রস্তুত

নতুন পোপ নির্বাচনে কনক্লেভের তারিখ নির্ধারণের জন্য কার্ডিনালরা প্রস্তুত ছবি: সংগৃহীত

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর, বিশ্বের ১.৪ বিলিয়ন ক্যাথলিকের একজন নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য সোমবার কনক্লেভের তারিখ নির্ধারণ করার কথা লাল টুপি পরা কার্ডিনালদের। ভ্যাটিকান সিটি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন পোপের মৃত্যুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে কয়েক ডজন তথাকথিত ‘চার্চের রাজপুত্র’ ভ্যাটিকানে জড়ো হচ্ছেন।

শনিবার এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ভেতর দিয়ে ফ্রান্সিসকে সমাহিত করা হয়। এ সময় রাজপরিবার, বিশ্বনেতা ও সাধারণ তীর্থযাত্রীসহ সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও তার বাইরে ৪ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে।

ভ্যাটিকানের দেয়ালের বাইরে সমাহিত হওয়ার সিদ্ধান্ত রেখে যান ‘দরিদ্রদের পোপ’। রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাগিওর ব্যাসিলিকায় তাঁর মার্বেল সমাধি দেখতে রোববারও বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়।

বিশ্বজুড়ে দ্বন্দ্ব ও কূটনৈতিক সংকটের মধ্যে, ফ্রান্সিসের অধীনে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতালীয় কার্ডিনাল পিয়েট্রো প্যারোলিন অনেকের কাছেই পোপের উত্তরসূরি হিসেবে প্রিয়।

তিনি পোপের নিকটতম উপদেষ্টা যাকে পোপের দ্বিতীয় নম্বর হিসেবে দেখা হয়।

ব্রিটিশ বুকমেকার উইলিয়াম হিলকে ম্যানিলার মেট্রোপলিটন আর্চবিশপ এমেরিটাস ফিলিপিনো লুইস আন্তোনিও ট্যাগলের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছেন, তারপরের স্থানে রয়েছেন ঘানার কার্ডিনাল পিটার টার্কসন।

পরবর্তী অবস্থানে রয়েছেন জেরুজালেমের ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ক পিয়েরবাত্তিস্তা পিজ্জাবাল্লা, গিনির কার্ডিনাল রবার্ট সারা এবং বোলোগনার আর্চবিশপ মাত্তেও জুপ্পি।

রোববার ফ্রান্সিসের সমাধি দেখতে আসা তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ ৪৪ বছর বয়সী রিকার্ডো ক্রুজ বলেন, একজন ফিলিপিনো হিসেবে তিনি আশা করছেন পরবর্তী পোপ এশিয়া থেকে আসবেন, কিন্তু একজন ক্যাথলিক হিসেবে তিনি আশা করেন কার্ডিনালরা ‘সঠিক পোপ’ বেছে নেবেন।

রোমের পন্টিফিকাল গ্রেগরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গির্জার ইতিহাস ও সংস্কৃতির অধ্যাপক রবার্তো রেগোলি এএফপিকে বলেন, কার্ডিনালরা ‘এমন কাউকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন যিনি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে জানেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সময়ে আছি যেখানে ক্যাথলিক ধর্ম বিভিন্ন মেরুকরণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই আমি কল্পনাও করি না যে খুব দ্রুত একটি সম্মেলন হবে।’

ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর থেকে কার্ডিনালরা শেষকৃত্য এবং তার পরেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সাধারণ সভা করেছেন।

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (গ্রিনীচ মান সময় ০৭০০ টায়) তারা তাদের পঞ্চম সভা করবেন, যেখানে তাদের একটি সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন ৪ মে পোপের নয় দিনের শোক শেষের নির্ধারিত ক্ষণ শেষের কিছু পর ৫ অথবা ৬ মে সভাটি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Stop the ammunition contract Putin to Trump

'গোলাগুলি থামান', 'চুক্তি সই করুন' : পুতিনকে ট্রাম্প

'গোলাগুলি থামান', 'চুক্তি সই করুন' : পুতিনকে ট্রাম্প ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার বলেছেন, তিনি চান রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন 'গোলাগুলি থামান' এবং একটি শান্তি চুক্তিতে সই করুন।

ভ্যাটিকানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের এক দিন পর মার্কিন নেতা একথা বললেন।

ট্রাম্প তার শপথ গ্রহণের আগে দাবি করেছিলেন যে তিনি এক দিনের মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ থামিয়ে দিতে পারবেন, শপথ নেওয়ার পর থেকে যুদ্ধ থামাতে একটি কূটনৈতিক প্রয়াস শুরু করেন।

এখন পর্যন্ত এই প্রচেষ্টায় কোন ফলাফল না এলেও, ট্রাম্প বলেছেন, 'যেহেতু আমি চাই তিনি গোলাগুলি থামান, বসে আলোচনা করুন এবং একটি চুক্তিতে সই করুন।'

যুক্তরাষ্ট্রের বেডমিনস্টার থেকে এএফপি জানায়, এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওয়ান হওয়ার আগে মরিসটাউন বিমানবন্দরে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। এর আগে শনিবার তিনি রোমে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ট্রাম্প ইউক্রেনে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের জন্য মার্কিন প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'আমার মনে হয়, আমাদের কাছে একটি চুক্তির কাঠামো আছে, এবং আমি চাই তিনি তা স্বাক্ষর করুন।'

ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে একটি অপ্রীতিকর টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের পর ট্রাম্প রোমে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রথমবারের মতোইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মুখোমুখি হন।

সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় তাদের সংক্ষিপ্ত কথোপকথনের পরে, ট্রাম্প পুতিন আদৌ যুদ্ধ শেষ করতে চান কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।এ যুদ্ধ পূর্ব ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংস করেছে এবং হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

রোববার ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি মনে করেন জেলেনস্কি রাশিয়া কর্তৃক ২০১৪ সালে দখল করে নেয়া ক্রিমিয়ার দাবি ত্যাগ করে শান্তি চুক্তি করতে প্রস্তুত।

'ওহ, আমি তাই মনে করি,' এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প এ কথা বলেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল জেলেনস্কি ২০১৪ সালে রাশিয়ার অধিকৃত এই ভূখণ্ড ছাড়তে রাজি হবে বলে তিনি মনে করেন কি না।

রাশিয়া দাবি করেছে যে তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় চারটি অঞ্চল অঙ্গীভূত করেছে, তবে অঞ্চলগুলোতে তাদের পুরো সামরিক নিয়ন্ত্রণ নেই।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Putin is playing Trump

ট্রাম্পকে খেলাচ্ছেন পুতিন!

ট্রাম্পকে খেলাচ্ছেন পুতিন!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভ্যাটিকানের ব্যাসিলিকা প্রাসাদে আলোচনা করেছেন। ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে এই আলোচনা হয়। আলোচনার পর ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, তার মনে হচ্ছে পুতিন ‘যুদ্ধ থামাতে চান না’ এবং পুতিন তাকে ‘খেলাচ্ছেন।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের আগে ইউক্রেনীয় নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি ‘খুবই ফলপ্রসূ’ ছিল। অন্যদিকে, জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনাটি ছিল ‘প্রতীকী।’ তিনি বলেন, ‘যদি আমরা যৌথ ফল অর্জন করতে পারি, তবে এটি ঐতিহাসিক হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাতের পর এটি ছিল ট্রাম্প ও জেলেনস্কির প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। সেই সাক্ষাতে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনীয় নেতাকে ব্যাপক তিরস্কার করেন। তারা ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহায়তার প্রতি অকৃতজ্ঞতার অভিযোগও এনেছিলেন।

জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পুতিনের সমালোচনা করে একটি পোস্ট করেন। ট্রাম্প লেখেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে বেসামরিক এলাকা, শহর ও নগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পুতিনের কোনো কারণ ছিল না। এটি আমাকে ভাবতে বাধ্য করছে, সম্ভবত তিনি যুদ্ধ থামাতে চান না, তিনি শুধু আমাকে খেলিয়ে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে ভিন্নভাবে মোকাবিলা করতে হবে, ব্যাংকিং বা দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে? অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে!’

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ অবসানের প্রচেষ্টায় ওয়াশিংটন দুই দেশের মধ্যে জোরালো মধ্যস্থতা করছে। রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে যুদ্ধ চলছে। গত শুক্রবার ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি তিন ঘণ্টা ধরে ওয়াশিংটনের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন।

এই বৈঠকের বিষয়ে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘বেশির ভাগ মৌলিক বিষয়ে একমত হওয়া গেছে।’ তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি কিয়েভ এবং মস্কোর নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করা হবে। তিনি বলেন, চুক্তিটি ‘খুব নিকটবর্তী।’

ট্রাম্প চুক্তি নিয়ে আগ্রহী হলেও, শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন পরিকল্পনা এবং ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে গ্রহণযোগ্য যুদ্ধবিরতির শর্তাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়ে গেছে। রয়টার্স শুক্রবার শান্তির দুটি ভিন্ন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র মস্কোকে অধিকৃত অঞ্চল ধরে রাখার প্রস্তাব দিচ্ছে। এর মধ্যে কৌশলগত ক্রিমিয়া উপদ্বীপও রয়েছে, যা রাশিয়া ২০১৪ সালে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়।

ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে এটি শুরুতেই অগ্রহণযোগ্য বলে মনে হচ্ছে। জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেছেন, এই অঞ্চল ‘ইউক্রেনীয় জনগণের সম্পত্তি।’ ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট কিয়েভে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। ইউক্রেনের সংবিধান বলছে, সব সাময়িকভাবে দখলকৃত অঞ্চল...ইউক্রেনের অংশ।’

মস্কো মার্কিন শান্তিচুক্তিতে সম্মত হবে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। এই চুক্তিকে রাশিয়ার জন্য যথেষ্ট ছাড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত শনিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনের সব সৈন্যকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি মস্কোর একটি প্রধান লক্ষ্য ছিল। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এই দাবি অস্বীকার করেছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির কারিগরি বিষয়গুলো এখনো ঠিক করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে- রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কীভাবে প্রত্যাহার করা হবে এবং ইউক্রেনকে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। ট্রাম্প শুক্রবার স্বীকার করেছেন, আলোচনা ‘খুবই ভঙ্গুর।’ তিনি সতর্ক করেছেন, দুই পক্ষ শিগগিরই একটি চুক্তিতে না পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্র তার মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা বন্ধ করে দেবে।

মন্তব্য

তাইওয়ানে অবৈধভাবে বাস করা চীনাদের ওপর ধরপাকড়

তাইওয়ানে অবৈধভাবে বাস করা চীনাদের ওপর ধরপাকড়

চীনা নাগরিকদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে তাইওয়ানে বসবাস করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০ জন তাইওয়ানের নাগরিকত্ব বাতিলসহ চীনা বংশোদ্ভূত কয়েক হাজার তাইওয়ানবাসীর নথিপত্রের তদন্ত চলমান রয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমন বলা হয়েছে।

তাইওয়ানের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের চীনের নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি নেই। যেকারণে গত কয়েক দশকে চীনের নাগরিকত্ব থাকায় শত শত বাসিন্দার তাইওয়ানিজ নাগরিকত্ব কার্যত্ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া এই অভিযান বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রকাশ্যে তিনজন নারীর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে তাইওয়ান সরকার। পাশাপাশি দেশটির ১০ হাজারের বেশি নাগরিক; যারা চীনে জন্মগ্রহণ করলেও তাইওয়ানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তাদের একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়ায় এই অভিযানের সমালোচনা শুরু হয়েছে।

নাগরিকদের পরিচয়, আনুগত্য, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও দেশের নিরাপত্তার মধ্যে সরকার সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেক তাইওয়ানিজ।

এই অভিযান ও বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রামাণ্যচিত্রকে ঘিরে। চীন গোপনে তাইওয়ানের মানুষকে তাদের দেশের নাগরিকত্ব প্রদান করছে বলে দেখানো হয় সেখানে।

প্রামাণ্যচিত্রে তিনজন ব্যক্তির তথ্য উপস্থাপন করা হয়, যারা চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে গিয়ে বাস করতে শুরু করেছিলেন এবং চীনের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।

এই প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর চীনের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানায় তাইওয়ান সরকার। তাইওয়ানের ওপর চীনা কর্তৃত্ব বজায় রাখার অপচেষ্টা থেকেই এই কাজ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে দেশটির মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি)।

প্রামাণ্যচিত্রের সেই তিনজনের মধ্যে একজন সু শিহ। তার ভাষ্যে, ফুজিয়ান প্রদেশে অনেক তাইওয়ানিজ রয়েছে, পাশাপাশি সেখানকার সরকারও উদ্যোক্তাদের নানা রকম ভর্তুকি দিয়ে সহায়তা করেন— এমনটা শুনেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।

সু জানান, সেখানে গিয়ে চীনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন বলে জেনেছিলেন তিনি। এটি তার ব্যবসার জন্য সুবিধাজনক হতে পারে ভেবে তিনি আবেদন করেছিলেন বলে দাবি করেন।

তবে তাইওয়ানের আইনে এই নাগরিকত্ব অবৈধ। যদিও সুয়ের দাবি, অনেক তাইওয়ানিজেরই ফুজিয়ানের নাগরিকত্ব রয়েছে, তারা মূলত এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের শিকার।

চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব কেন?

তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে দাবি করে বেইজিং। অন্যদিকে নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি তাইওয়ানের। এ নিয়ে এই অঞ্চলগুলোর বৈরিতা বহু পুরনো।

সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বেড়েছে আরও কয়েকগুণে। তাইওয়ান শান্তিপূর্ণভাবে চীনের সঙ্গে একীভূত না হলে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সরকার। এমনকি তাইওয়ানের অভ্যন্তরেও সাধারণ নাগরিকসহ সরকার ও সামরিক বাহিনীতে সিসিপি সমর্থিত অনেকে গুপ্তচরবৃত্তি ও তৎপরতা চালান বলে তাইওয়ানের অভিযোগ।

তবে অঞ্চল দুটির মধ্যে উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও চীনের অনেক নাগরিকই তাইওয়ানে বসবাস করে আসছিলেন, আবার তাইওয়ানেরও প্রায় এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ চীনে বাস করেন।

তবে গত মার্চে দেশটির অভ্যন্তরে চীনের চলমান গোপন তৎপরতা বন্ধের দাবিতে দুই অঞ্চলের মধ্যে ভ্রমণ ও পুনর্বাসনে কড়াকড়ি আরোপ করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে।
সে সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চীনের কর্তৃত্ব নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তিন চীনা বংশোদ্ভূত নারীর ভিসা বাতিল করে তাইওয়ান সরকার। পরে ওই নারীর তাইওয়ানিজ স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে তাকে চীনে ফেরত পাঠানো হয়।

তাইওয়ানের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, তাড়াহুড়ো করে নথিপত্র ঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করেই লোকজনকে নির্বাসিত করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু মানুষজন অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট লাই বাক স্বাধীনতা সীমিত করছেন। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট লাই।

লাই জানান, নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সেনা সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে— তাদের কখনো চীনের নাগরিকত্ব ছিল না। তাছাড়া ১০ হাজারের বেশি সাধারণ জনগণকেও চীনের হুকু (স্থায়ীভাবে চীনের থাকার জন্য এটি দরকার) বাতিলের নথি দাখিল করতে বলা হয়। যারা দাখিল করেনি তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে হুকু বাতিলের প্রমাণ দাখিল না করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে তাইওয়ানের জাতীয় অভিবাসন সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএ জানায়, যারা হুকু বাতিল করার কাগজ জমা দিয়েছেন, তারা পুনরায় তাইওয়ানের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।

তবে তাইওয়ানের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লিও মেই জুন বলেন, এই নির্বাসন অভিযানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে চীনা সরকারকে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে পারে। এতে বেইজিংয়ের প্রপাগান্ডারই বিজয় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Important Philippines occupied controversial coral reefs to military posts China Report

গুরুত্বপূর্ণ ফিলিপাইন সামরিক পোস্টের কাছে বিতর্কিত প্রবালপ্রাচীর দখল করল চীন

গুরুত্বপূর্ণ ফিলিপাইন সামরিক পোস্টের কাছে বিতর্কিত প্রবালপ্রাচীর দখল করল চীন

চীনের উপকূলরক্ষী বাহিনী দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটির কাছে বিতর্কিত একটি প্রবালপ্রাচীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। এ ঘটনা ম্যানিলার সঙ্গে চীনের দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে এবং এই দাবির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক অন্যান্য দেশের আপত্তি ও আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে আমলে নেয়নি।

চীন ও ফিলিপাইন গত কয়েক মাস ধরে ওই বিতর্কিত জলসীমায় একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছে। এদিকে ফিলিপাইন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় পরিসরের যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে, যাকে চীন ‘অস্থিতিশীলতাকে উসকে দেওয়া’ বলছে।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি শনিবার জানিয়েছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে চীনের উপকূলরক্ষী বাহিনী ‘টাইশিয়ান রিফ’ বা ‘স্যান্ডি কেই’-তে সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করে।

ছোট্ট এই বালুচর স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের অংশ এবং থিতু দ্বীপের (ফিলিপাইন ভাষায় ‘পাগ-আসা’) কাছাকাছি, যেখানে একটি ফিলিপাইন সামরিক স্থাপনা রয়েছে।

সিসিটিভি জানায়, উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা স্যান্ডি কেই-তে নেমে ‘সার্বভৌমত্ব ও অধিক্ষেত্র প্রয়োগ’, ‘পরিদর্শন’ এবং ‘ফিলিপাইনের বেআইনি কার্যকলাপের ভিডিও প্রমাণ সংগ্রহ’ করেছে।

প্রতিবেদনে একটি ছবি প্রকাশ করা হয় যেখানে দেখা যায়, পাঁচজন কালো পোশাকধারী ব্যক্তি নির্জন ওই প্রবালপ্রাচীরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং পাশে একটি কালো রঙের রাবার নৌকা ভাসছে।
আরেকটি ছবিতে চারজন উপকূলরক্ষী সদস্যকে জাতীয় পতাকার সাথে প্রবালপ্রাচীরের ওপর পোজ দিতে দেখা যায়, যেটিকে সিসিটিভি ‘সার্বভৌমত্বের শপথ’ বলে উল্লেখ করে।

সিসিটিভি আরও জানায়, তারা প্রবালপ্রাচীর থেকে ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের বোতল, কাঠের টুকরো এবং অন্যান্য আবর্জনা পরিষ্কার করেছে।

দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক অজ্ঞাতনামা ফিলিপাইন সামুদ্রিক কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, পতাকা উত্তোলনের পর চীনা উপকূলরক্ষীরা ওই এলাকা ছেড়ে গেছে।

এখনও পর্যন্ত চীন প্রবালপ্রাচীরে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করেছে, তার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

গত কয়েক মাসে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চলগুলোর পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির জন্য চীন ও ফিলিপাইন পরস্পরকে দায়ী করে আসছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া শুক্রবার জানায়, দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বেইজিংয়ের ভূমি পুনরুদ্ধার কর্মকাণ্ডে স্থানীয় পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয়নি, ম্যানিলার অভিযোগ মিথ্যা।

থিতু দ্বীপে ফিলিপাইনের সেনা উপস্থিত রয়েছে এবং ২০২৩ সালে সেখানে একটি উপকূলরক্ষী পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র চালু করে ম্যানিলা, চীনের ‘আক্রমণাত্মক মনোভাব’ মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে।

সোমবার থেকে ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তিন সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক যৌথ মহড়া ‘বালিকাতান’ (অর্থাৎ ‘কাঁধে কাঁধে’) শুরু করেছে। এবারের মহড়ায় প্রথমবারের মতো সমন্বিত আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ম্যানিলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএস মেরিন কর্পসের লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেমস গ্লিন বলেন, দুই পক্ষ কেবল ১৯৫১ সালের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি রক্ষার সংকল্পই প্রদর্শন করবে না, বরং তা বাস্তবায়নের ‘অতুলনীয় সক্ষমতাও’ দেখাবে।

তিনি বলেন, ‘‘কোনো কিছুর চেয়ে দ্রুত বন্ধন গড়ে তোলে যৌথ প্রতিকূলতার অভিজ্ঞতা।’’ তবে কোনো নির্দিষ্ট হুমকির নাম তিনি উল্লেখ করেননি।

চীন এ মহড়াকে ‘আঞ্চলিক কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ বলে অভিহিত করেছে এবং ম্যানিলাকে ‘বহিঃআঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
India Pakistan tension is ahead of nuclear weapons and overall capacity?

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, পরমাণু অস্ত্র ও সার্বিক সক্ষমতায় কে এগিয়ে?

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, পরমাণু অস্ত্র ও সার্বিক সক্ষমতায় কে এগিয়ে? পাকিস্তান এবং ভারতের সমরাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। কাশ্মীরের এই ইস্যুতে পাকিস্তানের ঘাড়েই দোষ চাপাচ্ছে ভারত। ইতোমধ্যে দুদেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু নদের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি। দিল্লির এমন মারমুখী প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ইসলামাবাদও।

রীতিমতো যুদ্ধের আশঙ্কা চিরশত্রু এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের। প্রশ্ন উঠছে, পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যদি সত্যিই যুদ্ধ শুরু হয় সেক্ষেত্রে জয়ের সম্ভাবনা কার? যদি যুদ্ধ বেঁধেই যায়, কার জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু, তা নিয়েও শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ। আলোচনা চলছে কার কত সামরিক ক্ষমতা, তা নিয়েও।

এই সক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে বিশ্লেষণমূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়াভিত্তিক ‘ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া’।

ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া জানিয়েছে, ১২৭ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতের বর্তমান সামরিক বাজেট প্রায় ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ১৯ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানের সামরিক বাজেট ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার।

সামগ্রিক সামরিক র‍্যাঙ্কিং ও সক্ষমতা সূচক

‘জিএফপি ২০২৫’–এ ৬০টির বেশি বিষয়ের (জনশক্তি, সামরিক সরঞ্জাম, অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থা ইত্যাদি) ভিত্তিতে ১৪৫টি দেশকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, সামগ্রিক র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ, সক্ষমতা সূচকে স্কোর ০.১১৮৪ (কম স্কোর মানে বেশি শক্তিশালী সেনাবাহিনী)। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান বিশ্বে ১২তম, স্কোর ০.২৫১৩।

র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতের এ অবস্থান দেশটির বড় জনসংখ্যা, বৃহত্তর প্রতিরক্ষা বাজেট ও বিস্তৃত পরিসরের সামরিক সম্পদের প্রতিফলন। অন্যদিকে পাকিস্তান ছোট অর্থনীতির কারণে নানা সীমাবদ্ধতা ও বৈদেশিক সরবরাহকারী, বিশেষ করে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা সত্ত্বেও ভারতকে মোকাবিলায় কৌশলগত বিষয়গুলোয় মনোযোগী। ফলে নির্দিষ্ট খাতগুলোয় প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে দেশটি।

পারমাণবিক সক্ষমতা

ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই পারমাণবিক ক্ষমতার অধিকারী। তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলে এ সক্ষমতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০টি। ডেলিভারি সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে অগ্নি–থ্রি/ফাইভ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (পাল্লা ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার), মিরেজ ২ হাজার ও রাফায়েল এবং সামুদ্রিক প্রতিরক্ষায় আইএনএস আরিহান্ট।

পারমাণবিক অস্ত্র আগে ব্যবহার না করার (নো ফার্স্ট ইউজ/এনএফইউ) নীতির পক্ষে ভারত। তবে এ ধরনের হামলার শিকার হলে ব্যাপক আকারে প্রতিশোধমূলক হামলার পক্ষে দেশটি।

অন্যদিকে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ১৪০ থেকে ১৫০। এদিক থেকে পাকিস্তানের সক্ষমতা ভারতের চেয়ে বেশি। ডেলিভারি সিস্টেমের মধ্যে আছে শাহিন–টু/থ্রি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাত্র, এফ–১৬ যুদ্ধবিমান, বাবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটি ‘ফুল–স্পেকট্রাম ডেটারেন্স’ নীতি অনুসরণের পক্ষপাতী। এ নীতিতে যুদ্ধক্ষেত্রে দেশটি প্রয়োজনে আগেভাগে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

সেনা সংখ্যা

ভারতের সক্রিয় সেনা সংখ্যা ২১ লাখ ৪০ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার সৈন্য। এছাড়াও, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মিলবে ৩১ কোটি সেনা। অপরদিকে, পাকিস্তানে সক্রিয় সেনা রয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার সেনা। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশটিতে মিলবে চার কোটি সেনা।

স্থলবাহিনী

ভারতের স্থলবাহিনীর হাতে রয়েছে চার হাজার ৬১৪টি ট্যাংক। সামরিক যান রয়েছে পাঁচ হাজার ৬৮১টি। রকেট আর্টিলারি রয়েছে ২৯২টি। পাকিস্তানের স্থলবাহিনীর রয়েছে দুই হাজার ৭৩৫টি ট্যাংক। সামরিকযান রয়েছে তিন হাজার ৬৬টি। রকেট আর্টিলারি রয়েছে ১৩৪টি।

বিমান বাহিনী

ভারতের যুদ্ধবিমান রয়েছে দুই হাজার ২১৬টি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ায় তৈরি মিগ-২১, মিগ-২৭, মিগ-২৯, সুখোই-৩০এমকেআই, ব্রিটেন-ফ্রান্সের তৈরি জাগুয়ার এবং ফ্রান্সের তৈরি মিরেজ ২০০০। পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান রয়েছে এক হাজার ১৪৩টি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চীনের তৈরি এফ-৭পিজি এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ ফেলকন।

নৌবাহিনী

আমর্ডফোর্সেসের হিসাবে ভারতের নৌবাহিনীর রয়েছে ১৫টি সাবমেরিন, ১৫টি ফ্রিগেট, ১১টি ডেস্ট্রয়ার এবং বিমানবহনকারী জাহাজ দুটি। অন্যদিকে পাকিস্তানের রয়েছে পাঁচটি সাবমেরিন এবং ৯টি ফ্রিগেট।

প্রতিরক্ষা বাজেট

ভারতের বাজেট (২০২৫-২৬) ৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার (যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর তৃতীয়)। এটি জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ। এ ব্যয় পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। পাকিস্তানের বাজেট ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার (অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শীর্ষ দেশের তালিকায় নেই)। এ ব্যয় জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বৈদেশিক সামরিক সহায়তা ১০ কোটি ডলার (মূলত চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে)।

ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট পাকিস্তানের ৬ থেকে ৮ গুণ। এ বিপুল প্রতিরক্ষা ব্যয় ভারতের সামরিক খাতে প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত এবং জনশক্তির আধুনিকীকরণে আরও বেশি বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হচ্ছে। পাকিস্তান বাজেট–সংকটে ভুগলেও চীনের সহায়তা এটিকে সামাল দিচ্ছে। পাকিস্তানের সামরিক ব্যয়ের বড় অংশ ব্যয় হয় বৃহৎ সে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Indo Pakistan Tension Saudi Iran arrives in mediation

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলো সৌদি-ইরান

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলো সৌদি-ইরান ভিসা বাতিলের পর নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন ভারত-পাকিস্তানের নাগরিকরা। ছবি: সংগৃহীত

অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মিত্র দেশ সৌদি আরব ও ইরান। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশ দুটির মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতের ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন সৌদি ও ইরানের সমকক্ষ কর্মকর্তারা।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।

এতে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়।

ভারতের দাবি, পাকিস্তানের সেনারা প্রথমে গুলি ছুড়েছে, তারাও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে বেসামরিক জনগণের ওপর কোনো গোলাগুলি করা হয়নি বলে উভয় পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ফিরে ভিসা বাতিল করে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।

এ পরিস্থিতিতে দেশদুটির মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে এগিয়ে এসেছে দুই দেশের মিত্র ইরান ও সৌদি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান পাকিস্তানের তার সমকক্ষ ইসহাক দারের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন।

এ সময় আলাপে ভারতের অভিযোগগুলো প্রত্যাখান করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।

পাশাপাশি ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের কড়া জবাব দিতে পাকিস্তান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলেও উল্লেখ করেন ইসহাক দার। তবে সৌদির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতেও সম্মত হয়েছেন তিনি।

এদিকে সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, তিনি পহেলগামে হামলার বিষয়ে প্রিন্স ফয়সালের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। এ সময়ে হামলার সঙ্গে সীমান্ত-যোগসূত্র (ক্রস-বর্ডার লিঙ্কেজ) নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

অন্যদিকে দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান।

এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই ইরানের মিত্র। চলমান এই কঠিন পরিস্থিতিতে ইরান দেশদুটিতে তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত প্রভাব কাজে লাগিয়ে সমঝোতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের ইসহাক দার। শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ‘কোনো দেশ যদি ভারতের সঙ্গে তাদের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়, তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’

এদিকে দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার এই উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

মন্তব্য

p
উপরে