ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে। পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য একে অপরকে দায়ী করলেও দুই দেশই নিজেদের মধ্যে কোনো সংঘাত চায় না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, ক্রিমিয়া ইস্যুতে নিজের নাগরিকদের উদ্ধারেও সেনা পাঠাতে চায় না দেশটি। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যদি একে অপরকে গুলি করতে শুরু করে তবে তা হবে বিশ্বযুদ্ধ।
আপাতদৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও গবেষকরা আগে থেকেই বোঝার চেষ্টা করে আসছেন, ঠিক কী হবে যদি দুই দেশ পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
২০১৯ সালে ইনডিপেনডেন্ট ইউকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সায়েন্স অ্যান্ড গ্লোবাল সিকিউরিট প্রোগ্রামের (এসজিএস) আওতায় এক গবেষণায় সিম্যুলেশন কাজে লাগিয়ে দেখতে পেয়েছেন, ন্যাটো ও রাশিয়ার সর্বাত্মক পারমাণবিক যুদ্ধে প্রথম ঘণ্টায়ই প্রাণ হারাবে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এবং আহত হবে প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ। তবে তেজস্ক্রিয় বিকিরণে অসুস্থ হওয়া কিংবা মৃত্যুবরণ করা, দীর্ঘ মেয়াদে এর প্রভাবের কারণে মারা যাওয়াকে এর মধ্যে বিবেচনা করা হয়নি।
এসজিএস দাবি করেছে, তাদের গবেষণা বাস্তব নিউক্লিয় সক্ষমতা, লক্ষ্য ও মৃত্যুর অনুমানের ওপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। তাদের বানানো সিম্যুলেশনের ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথম পারমাণবিক বোমাটি পোল্যান্ডের ভেতরে রকলা নামক শহরে বিস্ফোরণ ঘটায়। যে শহরটি চেক প্রজাতন্ত্র ও জার্মানির সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
ইনডিপেনডেন্ট ইউকের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই মডেলে এমন কোনো পরিস্থিতি আছে কি না, যেখানে ন্যাটো প্রথম পারমাণবিক হামলার সূত্রপাত করবে।
এজিএস প্রোগ্রামের একজন পদার্থবিজ্ঞানী জিয়া মিয়ান জানিয়েছেন, এই সিম্যুলেশনটি প্রচলিত ন্যাটো-রাশিয়া যুদ্ধের ভিত্তিতে তৈরি। যেখানে রাশিয়া তার পারমাণবিক নীতি অনুসারে আগে হামলা শুরু করেছে।
এই গবেষণার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ ও যুক্তরাজ্যে রাশিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
তবে রয়েল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের গবেষক স্যাম ডুডিন, সিম্যুলেশনের ফলাফলের বিষয়ে একমত হতে পারেননি। তিনি বলেন, এ ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধ আসলে হতেই পারে না। কারণ ১৯৫০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিই হলো রাশিয়ার সঙ্গে প্রচলিত যুদ্ধ এড়িয়ে চলা। মস্কোও ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধ চায় না।
ডুডিন আরও বলেন, যদি অপারেশনাল দিক থেকে বিচার করা হয়, তাও সিম্যুলেশন দেখে মনে হচ্ছে, ইউরোপ থেকে সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশ থেকে উধাও হয়ে গেছে। বিমান থেকে শুরু করা পারমাণবিক হামলার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এ ছাড়া সিম্যুলেশনে হতাহতের হিসাবও কম বলে মনে হয়েছে ডুডিনের কাছে।
আরও পড়ুন:বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তাদের বহুল আলোচিত টেকসই স্মার্টফোন অপো এ৫ প্রো-এর একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাজারে এনেছে। এই নতুন সংস্করণে রয়েছে উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড, যার মধ্যে রয়েছে ৮ জিবি র্যা০ম এবং ২৫৬ জিবি রম, যা নিশ্চিত করে আরও উন্নত পারফরম্যান্স ও পর্যাপ্ত স্টোরেজ সুবিধা— স্মার্টফোনটি এখন সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৬,৯৯০ টাকায়।
স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিতে একেবারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে অপো এ৫ প্রো-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট, যার সঙ্গে রয়েছে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি মোড — একটি ব্যতিক্রমী ফিচার যা ডিভাইসটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা পানির নিচে অনায়াসে চমৎকার সব ছবি তুলতে পারবেন, যা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ও ফটোগ্রাফি প্রেমী মানুষদের জন্য একেবারে গেম-চেঞ্জার।
বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে আইপি৬৬, আইপি৬৮, এবং আইপি৬৯ সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত অপো এ৫ প্রো নতুনভাবে ‘টেকসই স্মার্টফোনকে’ সংজ্ঞায়িত করেছে। ডিভাইসটির জন্য ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং সার্টিফিকেশনগুলো পানি, ধুলাবালি ও আঘাতের বিরুদ্ধে অতুলনীয় সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তাই প্রতিকূল পরিবেশে বা দৈনন্দিন ব্যবহারে এই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ সঙ্গী।
তবে অপো এ৫ প্রো-কে বিশেষ করে তোলে শুধু এর টেকসই গঠনই নয়। মজবুত নির্মাণের পাশাপাশি এটির উচ্চমানের ফটোগ্রাফি সক্ষমতা। এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে এআই-চালিত ফিচার, যা মোবাইল ফটোগ্রাফিকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়।
এআই ইরেজার ২.০ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ মুছে ফেলতে পারেন, আর এআই রিফ্লেকশন রিমুভার গ্লেয়ার বা প্রতিফলন দূর করে আরও পরিষ্কার ও প্রফেশনাল লুকিং ছবি দেয়। এআই আনব্লার ফিচার ঝাপসা বা ফোকাস হারানো ছবিকে আবার স্পষ্ট করে তোলে, ফলে প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়ে নিখুঁতভাবে।
এছাড়াও এআই ক্লিয়ারিটি এনহান্সার ছবির প্রতিটি খুঁটিনাটি নিখুঁতভাবে এডিট করে উপহার দেয় ঝকঝকে, হাই-ডেফিনিশন ইমেজ। অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তির দিক থেকে, অপো এ৫ প্রো-এ ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্ট কালারওস ১৫ লাইট, যা চালিত হচ্ছে শক্তিশালী ট্রিনিটি ইঞ্জিনের মাধ্যমে। এই শক্তিশালী কম্বিনেশন নিশ্চিত করে স্মুথ, স্থিতিশীল ও দক্ষ পারফরম্যান্স—হোক সেটা মাল্টিটাস্কিং, ভিডিও দেখা বা যেকোনো অ্যাপ ব্যবহার। ইউজার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে, অপো দিচ্ছে ৪৮ মাসের ফ্লুয়েন্সি প্রোটেকশন, যা নিশ্চিত করে যে দীর্ঘদিন ব্যবহারের পরেও ডিভাইসটি আগের মতোই পারফর্ম করবে ও সাড়া দেবে।
অপো এ৫ প্রো সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন অপো বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh অথবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.oppo.com/bd/.
লাল-সাদা রঙ ও বর্ণিল উচ্ছলতায়, গানের সুরে সুরে ভিন্ন আনন্দ এবং আমেজে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের এই উৎসবমুখর সময়ে অপো বাংলাদেশ প্রযুক্তিপ্রেমীদের আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে নিয়ে এসেছে পারফেক্ট স্মার্টফোন ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’।
এই বৈশাখে গরমে যখন সবাই হাঁসফাঁস করে, নেমে পড়ে সুইমিং পুল, নদী কিংবা ঝর্ণায়- তখন উৎসবমুখর দারুণ সময় কাটাতে প্রয়োজন ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এর মতো সম্পূর্ণ ‘ওয়াটার প্রুফ’ বা পানিরোধী স্মার্টফোন। এই মোবাইলে রয়েছে- ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় আইপি৬৯ রেটিং; আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি সক্ষমতা- যাতে পানির নিচেও স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করা সম্ভব। ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ আপনাকে দেবে কোনো প্রোটেক্টিভ কেস এর সহায়তা ছাড়াই মুগ্ধকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করার সুযোগ।
অপোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ‘এআই লাইভ ফটো’ ফিচার শাটার ট্যাপ করার কিছু সময় আগেও এবং পরেও ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে সক্ষম, যা কি না ছবিগুলোকে অকেবারেই প্রাণবন্ত ও জীবন্ত শর্ট ক্লিপস তৈরি করে।
মন-মাতানো এমন সব ছবি ক্যামেরাবন্দি করার পর- ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এ আরো রয়েছে এআই-পাওয়ারড এডিটিং টুলস। যাতে ছবির অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সহজেই মুছে ফেলা যায়, আর এ জন্য রয়েছে এআই ইরেজার ২.০; এছাড়া ছবিতে সূর্যের আলো কিংবা পানির যেকোনো অযাচিত আবহ বা ইফেক্ট সহজেই এআই রিফ্লেকশন রিমুভার দিয়ে মুছে ফেলা সম্ভব; মুঠোবন্দি করা ছবি আরো স্পষ্ট করা যাবে এআই আনব্লার টুলস ব্যবহার করে এবং ছবির ডিটেইল নিশ্চিত করবে এআই ক্লিয়ারিটি এনহেন্সার। তাই ছবি তোলা থেকে শুরু করে এডিট এবং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার পুরো প্রক্রিয়াটি নির্বিঘ্ন করবে ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’।
বাংলাদেশের অপো’র সব আউটলেট ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এখন-ই পাওয়া যাচ্ছে, ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এবং এই মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
তাই এই নববর্ষে শুধু ছবি তোলা নয়, হয়ে উঠুন এই উৎসবের অংশও। জীবনের সবটা পুরোপুরিভাবে আবিষ্কার করুন ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এর মাধ্যমে।
গ্লোবাল উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করেছে তাদের বহু প্রতীক্ষিত নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজে তিনটি মডেল—নোট ৫০, নোট ৫০ প্রো এবং নোট ৫০ প্রো প্লাস—বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। স্মার্টফোনগুলো আধুনিক মেটাল ফ্রেম, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে।
ক্রেতাদের সুবিধার জন্য ইনফিনিক্স পাম পে-এর সাথে অংশীদারিত্বে ০% ইএমআই সুবিধা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে, মাত্র ২০% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ফোনটি কেনা যাবে এবং পুরো এপ্রিল মাসে চার মাসে কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। এটি তরুণ পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেটের মধ্যে একটি দুর্দান্ত ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা উপভোগের সুযোগ।
ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৫০ সিরিজে যুক্ত হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন এআই প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে এবং ব্যবহারকারীর আচরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেকে নিখুঁতভাবে মানিয়ে নিতে পারে। আরও থাকছে ডিপ সিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা ও স্ক্রিন, এবং এআই নয়েজ মিউট—যার মাধ্যমে ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, কাজের ধরন কিংবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুযায়ী কার্যক্ষমতা সামঞ্জস্য করতে পারে। এছাড়া থাকছে নতুন বায়ো-অ্যাকটিভ হালো এআই লাইট, যা নোটিফিকেশন ও বিভিন্ন কার্যক্রম অনুযায়ী লাইভ লাইটিং ইফেক্ট প্রদর্শন করে।
নোট ৫০ সিরিজে ইনফিনিক্স এনেছে নতুনভাবে ডিজাইন করা আর্মরঅ্যালয়™ নির্মিত একটি উন্নতমানের কাঠামো, যা ড্যামাস্কাস স্টিল এবং এয়ারোস্পেস-গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম এর সমন্বয়ে গঠিত। হাইপারকাস্টিং প্রযুক্তিতে নির্মিত এই মেটাল ইউনিবডি স্মার্টফোনটিকে দিয়েছে হালকা ও স্লিম প্রোফাইল। ডিভাইসের মেটাল কোয়াড-কার্ভড প্রান্ত এবং জিরকোনিয়াম-স্যান্ড পলিশড ফিনিশ ব্যবহারকারীর হাতে এনে দেয় একটি প্রিমিয়াম টাচ অনুভূতি। সেই সঙ্গে, টিইউভি সুড-সার্টিফায়েড ড্রপ রেজিস্ট্যান্স নিশ্চিত করেছে ফোনটির উন্নত নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্ব।
নোট ৫০ এবং নোট ৫০ প্রো মডেলগুলোতে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি১০০ আলটিমেট চিপসেট, আর নোট ৫০ প্রো+ মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে নেক্সট-জেন ৪ ন্যানোমিটার ডাইমেনসিটি ৮৩৫০ আলটিমেট ৫.৫জি চিপসেট, যা স্মুথ মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ডিসপ্লে বিভাগে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট, যা উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট ভিউ নিশ্চিত করে। ক্যামেরা প্রযুক্তি হিসেবে নোট ৫০ সিরিজে রয়েছে ৫০ মেগা পিক্সেল ওআইএস নাইট মাস্টার ক্যামেরা, ১১২° আল্ট্রা-ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স, এবং উন্নত এআই ফটোগ্রাফি টুলস। নোট ৫০ প্রো+ মডেলে রয়েছে ১০০X পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স এবং সনি আইএমএক্স ৮৯৬ সেন্সর, যা ৪কে ৬০এফপিএস ভিডিও রেকর্ডিং নিশ্চিত করে।
সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ফাস্টচার্জ ৩.০ প্রযুক্তি, যা দ্রুত চার্জিং নিশ্চিত করে। নোট ৫০ প্রো+ মডেলে ১০০ ওয়াট ওয়ায়ার্ড চার্জিং এবং ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ সুবিধা রয়েছে।
এছাড়াও, ইনফিনিক্স প্রথমবারের মতো সেন্সর-ভিত্তিক স্বাস্থ্য ট্র্যাকিং ফিচার এনেছে, যার মাধ্যমে হৃদস্পন্দন এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মনিটরিং করা যাবে।
কার্লকেয়ার, ইনফিনিক্সের অফিসিয়াল সার্ভিস সেন্টার, নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোনের জন্য প্রদান করবে প্রিমিয়াম সার্ভিস। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ দিন স্ক্রীন ড্যামেজ প্রটেকশন, ফ্রি ফার্ম ক্লিনিং, ফাস্ট রিপেয়ার সার্ভিস এবং সার্ভিস ডে অফার, যা এস-ভিআইপি কার্ড সহ প্রদান করা হবে। এই ভিআইপি কার্ড নোট ৫০ সিরিজের ব্যবহারকারীদেরকে প্রাধান্য ভিত্তিক গ্রাহক সেবা প্রদান করবে।
নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোন দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে—টাইটেনিয়াম গ্রে এবং এনচ্যান্টেড পারপল। নোট ৫০ সিরিজের ফোনগুলোর মূল্য যথাক্রমে ৫৪,৯৯৯ টাকা, ৩১,৯৯৯ টাকা, এবং ২৭,৯৯৯ টাকা (নোট ৫০ প্রো+, নোট ৫০ প্রো, এবং নোট ৫০) এবং বর্তমানে এগুলো দেশব্যাপী সকল অনুমোদিত রিটেইলার এবং অনলাইন স্টোরে পাওয়া যাবে।
বিশ্ববাজারে সাড়া ফেলার পর এবার বাংলাদেশে আসছে টেকনোর নতুন স্মার্টফোন— ক্যামন ৪০ এবং ক্যামন ৪০ প্রো। এই ডিভাইস দুটিতে রয়েছে শক্তিশালী এআই ফিচার, ওয়াটারপ্রুফ (IP66/IP68/69) রেটিং, ৫২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং ১২০ হার্জের ব্রাইট অ্যামোলেড ডিসপ্লে— যা ব্যবহারকারীদের দারুণ স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা দেবে।
গ্রাহকরা এই ফোন দুটি প্রি-অর্ডার করতে পারবেন ১০ এপ্রিল থেকে শুরু করে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আর প্রি-অর্ডার করলেই থাকছে বিশেষ উপহার। যারা ক্যামন ৪০ প্রি-অর্ডার করবেন, তারা পাবেন একটি প্রিমিয়াম ব্যাকপ্যাক। আর ক্যামন ৪০ প্রো প্রি-অর্ডার করলে থাকছে টেকনো ওয়াচ ৩।
টেকনো ক্যামন ৪০ ও ৪০ প্রো— দুই ফোনেই আছে অত্যাধুনিক ফ্ল্যাশস্ন্যাপ ফিচার, যা চালু করার জন্য রয়েছে আলাদা একটি ‘ওয়ান-ট্যাপ ফ্ল্যাশস্ন্যাপ’ বাটন। এই ফিচার ব্যবহার করে খুব দ্রুতগতির ও মুভিং সাবজেক্টের ছবি স্পষ্টভাবে তোলা যাবে। এতে আছে ১/১০৯৩৫ সেকেন্ড পর্যন্ত আল্ট্রা ফাস্ট শাটার স্পিড, যা অনেক প্রফেশনাল ক্যামেরা থেকে বেশি। প্রফেশনাল ক্যামেরায় সর্বোচ্চ শাটার স্পিড হয় ১/৮০০০ সেকেন্ড। আর এই ফোনে বাটনটি দুইবার ক্লিক করলেই চালু হয়ে যাবে ফ্ল্যাশস্ন্যাপ। এছাড়া ফোনের এআই ও অটোস্ন্যাপ একসাথে কাজ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে ভালো ফ্রেমটি নির্বাচন করে নেয়।
পাশাপাশি ক্যামন ৪০ সিরিজে রয়েছে নানা ধরনের এআই ফিচার, যেমন— এআই ফুল-লিংক কল অ্যাসিস্ট্যান্ট, এআই স্টুডিও (এআই ইরেজার ২.০, এআই ইমেজ এক্সটেন্ডার, এআই শার্পনেস প্লাস, এআই পারফেক্ট ফেস, এআইজিসি পোট্রেট ২.০), এআই প্রোডাক্টিভিটি ফিচার (এআই রাইটিং, এআই ট্রান্সলেট, এআই সার্কেল সার্চ) এবং এআই ডকুমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট।
প্রটেকশন হিসবে ক্যামন ৪০ ফোনে রয়েছে ধুলো ও পানিরোধী ব্যবস্থা (IP66); আর ক্যামন ৪০ প্রো’তে আছে ধুলা ও ওয়াটার প্রুফ ফিচার (IP68/69), যার ফলে পানিতে ডুবলেও এই ডিভাইসের ক্ষতি হবে না।
টেকনো ক্যামন ৪০ সিরিজে আছে শক্তিশালী প্রসেসর, ও ৫ বছর পর্যন্ত ল্যাগ ফ্রি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেশন । এর ৫২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি এবং ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জার পুরো দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। ফোনটির ফ্ল্যাগশিপ ৫০ মেগাপিক্সেলের সনি LYT-700C আল্ট্রা নাইট ক্যামেরা রাতে খুব ভালো ছবি তোলার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া ৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা এবং এআই স্ন্যাপ সেন্সর দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি প্রভাইড করবে।
টেকনো ক্যামন ৪০-এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২৩,৯৯৯ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য)। আর ক্যামন ৪০ প্রো-এর দাম মাত্র ২৭,৯৯৯ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য)।
প্রি-বুকিং ও লঞ্চিং সংক্রান্ত আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন: www.facebook.com/TECNOMobileBangladesh.
স্মার্ট ডিভাইস উদ্ভাবনে অগ্রগণ্য ও বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি ‘অপো’, ব্র্যান্ডটির সর্বশেষ ‘এ৫ প্রো’ মোবাইল উন্মোচনের পর হতে ব্যবহারকারীদের প্রশংসায় ভাসছে। টেকসই হার্ডওয়্যার এর কারণে ডিভাইসটি ইতোমধ্যে টেক মার্কেটে সুপরিচিত পেয়েছে এবং গ্রাহকরা স্মার্টফোনটির স্থায়িত্ব ও টেকসইতা নিয়েও কথা বলছেন। মোবাইলটি ব্যবহারের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও অনেকে শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং প্রশংসা করছেন- ‘এ৫ প্রো’ এর পারফরম্যান্সের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে স্মার্টফোনটির ব্যবহারকারীরা বলছেন- এটি যেমন ড্রিলিং মেশনিও সহ্য করতে পারে, তেমনি ফোনটির ওপর দিয়ে গাড়ি চলে গেলেও টিকে যাবে ‘এ৫ প্রো’; অর্থ্যাৎ একবাক্যে সবাই মেনে নিচ্ছেন- অপোর ‘এ৫ প্রো’ ক্ষতিগ্রস্ত করা যেন প্রায় ‘অসম্ভব’।
ঢাকার মেরুল বাড্ডার বাসিন্দা- এমএসআই ইসমাইল বিন আলম ‘এ৫ প্রো’কে নিয়ে তার গল্প শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন। তার ভিডিওটি দ্রুতই অনলাইনে আলোচনায় আসে।
তিনি জানান, অপো ‘এ৫ প্রো’ ড্রপ-প্রুফ এবং সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ। আরো জানান, যদিও ফোনটি আমার হাত থেকে পড়ে যায় এবং ফ্লোরে আঘাত লাগে; তবু একটি স্ক্র্যাচও স্মার্টফোনটিতে পড়েনি। স্ক্রিনটা ছিল পুরোপুরি অক্ষত। তার পোস্ট থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়- ‘এ৫ প্রো’ সহজেই এ ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারবে।
দক্ষিণ যাত্রাবাড়ির রিয়াদ হোসাইন তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান- যারা ঘরের বাইরে কর্মব্যস্ত থাকেন, তাদের জন্য এই স্মার্টফোনটি ‘পারফেক্ট’। তিনি আরো বলেন, আমি উচ্চ তাপমাত্রা, ধূলো, এমনকি বৃষ্টিতেও ডিভাইসটি ব্যবহার করেছি; কিন্তু কোনো বিঘ্ন বা ছন্দপতন হয়নি। নিঃসন্দেহে, এটি আমার সব ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গী।
এছাড়া- মোহাম্মদপুরের সাদ মজুমদার জানান, যদি কেউ এমন একটি ফোন খুঁজতে থাকেন, যেটি দৈনন্দিন জীবনের চাপ সামলে নিতে পারবে; তাহলে এ স্মার্টফোনটি হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। চাপ ও দুশ্চিন্তামুক্ত লাইফস্টাইল এর জন্য ‘এ৫ প্রো’ আল্টিমেট পছন্দ। ফোন ভাঙার ভয়ে আপনাকে অযথা ভাবতে হবে না।
পানির নিচে ফোনটিকে ব্যবহারের সক্ষমতাও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। লালবাগের বাসিন্দা জয় হোসাইন বলেন- দুর্ঘটনাক্রমে পানির নিচে ফোনটি পড়ে যায় কিন্তু কোনো ক্ষতি হয়নি। এমনকি আমি পানির নিচে ছবিও তুলেছি। অসম্ভব ভালো মানের স্পষ্ট ছবি এসেছে। যারা অনুকূল-প্রতিকূল যেকোনো পরিস্থিতিতে ছবি তুলতে পছন্দ করেন, এই ফোন তাদের জন্য গেমচেঞ্জার।
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটুসেবা চালুর জন্য স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংককে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। গতকাল রোববার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তার পরিপ্রেক্ষিতেই ২৯ মার্চ স্টারলিংককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিডা থেকে নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই নিবন্ধনও স্টারলিংককে দেওয়া হয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও জানান, পরিচালনার জন্য যে ননজিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) লাইসেন্সের প্রয়োজন, এর জন্য স্টারলিংকের আজ (রোববার) আবেদন করার কথা রয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদন করলে অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা করার জন্য কোনো বাধা থাকবে না।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আগামী ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেটুসেবা ব্যবহার করা হবে। সেখানে উপস্থিত সব অংশগ্রহণকারী সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্কের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়। সেখানে বাংলাদেশের জন্য স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রযুক্তি খাতের ব্যক্তিরা বলছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট-সেবা পাওয়া যাবে। ফলে ইন্টারনেট-সেবার ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচে যাবে। গ্রামে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংসহ ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ করতে পারবেন তরুণেরা।
ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ এক পোস্টে জানান, মাত্র এক ঘণ্টায় ১০ লাখ নতুন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী যোগ হয়েছেন।
গত সপ্তাহে ওপেনএআই-এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে সার্ভারে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় সাময়িকভাবে এই ফিচারের ব্যবহার সীমিত করে ওপেনএআই।
চ্যাটজিপিটির ইমেজ-জেনারেশন টুল ব্যবহার করে জিবলি-স্টাইলের এআই চিত্র থেকেই মূলত এ উন্মাদনা শুরু।
এই ভাইরাল ট্রেন্ডে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারীরা স্টুডিও জিবলির হাতে আঁকা ছবির শৈলীতে প্রভাবিত হয়ে এআই দিয়ে তৈরি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন।
স্টুডিও জিবলি জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও। খ্যাতিমান পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি হলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি 'স্পিরিটেড অ্যাওয়ে' ও 'মাই নেইবার টোটোরো'-এর মতো চলচ্চিত্রের জন্য পরিচিত।
মার্কেট রিসার্চ ফার্ম সিমিলারওয়েবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরই প্রথমবারের মতো সপ্তাহে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর গড় সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়েছে।
ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান সোমবার এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, 'মাত্র এক ঘণ্টায় ১০ লাখ নতুন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী যোগ হয়েছেন।' তিনি জানান, দুই বছর আগে এই সংখ্যক ব্যবহারকারী পেতে পাঁচদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
সেন্সর টাওয়ারের তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে সক্রিয় ব্যবহারকারী, ইন-অ্যাপ সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় এবং অ্যাপ ডাউনলোডের পরিমাণ সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির আপডেটেড মডেল জিপিটি-৪০ চালুর পর থেকেই এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আপডেটেড মডেলটি উন্নত ছবি তৈরি করতে সক্ষম।
আরেক বাজার গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী চ্যাটজিপিটি অ্যাপের ডাউনলোড ১১ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি ইন-অ্যাপ কেনাকাটা থেকে আয়ও ৬ শতাংশ বেড়েছে।
তবে, এআই ইমেজ-জেনারেশন টুলের জনপ্রিয়তার কারণে ব্যবহারকারীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে চ্যাটজিপিটিতে বিভিন্ন কারিগরি সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। কিছু ছোটখাটো বিভ্রাট ও সার্ভার ডাউন হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
মঙ্গলবার ওপেনএআই-এর এক সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানান, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। তবে নতুন আপডেট প্রকাশে দেরি, মাঝে মাঝে কিছু ফিচার কাজ না করাসহ সার্ভিস ধীরগতি পারে বলে জানিয়েছেন। এরজন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন ব্যবহারকারীদের। এরইমধ্যে তারা সার্ভারের ওপর অতিরিক্ত ব্যবহারকারীর কারণে সৃষ্ট চাপ সামলানোর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ শুরু করেছেন।
আইনি অনিশ্চয়তা
জিবলি-স্টাইলের চিত্র তৈরিতে এআই টুলের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে সম্ভাব্য কপিরাইট লঙ্ঘন হচ্ছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আইন বিষয়ক সংস্থা নিল অ্যান্ড ম্যাকডেভিটের অংশীদার ইভান ব্রাউন বলেন, স্টুডিও জিবলির স্বতন্ত্র শৈলী অনুকরণ করে তৈরি এআই-জেনারেটেড ছবির আইনি অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়। কপিরাইট আইন সাধারণত নির্দিষ্ট শিল্পকর্ম বা অভিব্যক্তিকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু কোনো শিল্পশৈলীকে নিজস্বভাবে সংরক্ষণ করে না। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট জিবলি চিত্র হুবহু অনুলিপি করা কপিরাইট লঙ্ঘন হতে পারে, কিন্তু শুধুমাত্র সেই শৈলীতে এআইয়ে তৈরিকৃত ছবি আইনগতভাবে সমস্যাযুক্ত নাও হতে পারে। তবে, এই বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত ও ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল।
তবে এসব বিষয়ে ওপেনএআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
স্টুডিও জিবলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হায়াও মিয়াজাকি ২০১৬ সালে এআই-জেনারেটেড ছবির বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন। গত সপ্তাহে ট্রেন্ডটি জনপ্রিয় হওয়ার পর তার সেই মন্তব্য আবারও আলোচনায় এসেছে।
এআই ব্যবহার করে তৈরি ছবি দেখে মিয়াজাকি বলেছিলেন, "আমি খুবই বিরক্ত। আমি কখনোই এই প্রযুক্তি আমার কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই না।"
মন্তব্য