হিজাব না পরার কারণেই ভারতে ধর্ষণের হার বেশি বলে মন্তব্য করেছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক জমির আহমেদ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে রোববার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছেন এনডিটিভি।
ভারতের এই প্রদেশে সম্প্রতি শুরু হওয়া হিজাব-বিতর্কের আঁচ বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিতর্ক যেন আরও উসকে দিলেন এই বিধায়ক।
জমির আহমেদ বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে হিজাব মানে পর্দা। একটা বয়সের পর মেয়েদের সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখতে হিজাব ব্যবহার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে এখন দেখবেন ধর্ষণের হার সবচেয়ে বেশি। এর কারণ অনেক নারীই হিজাব পরেন না।’
হুবলির কংগ্রেস বিধায়ক জমির বলেন, ‘তবে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। যারা নিজেদের রক্ষা করতে চান, তারা হিজাব পরেন। যে নারী নিজের সৌন্দর্য দেখাতে চান না, তিনি হিজাব পরেন। এটা বহু বছরের রীতি।’
কর্ণাটকের উদুপি জেলার একটি সরকারি কলেজে গত ৩১ ডিসেম্বর পোশাক নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ হয়। ওই আদেশ অনুযায়ী, মুসলিম ছাত্রীরা ক্লাস চলাকালে হিজাব বা নেকাব পরে থাকতে পারবেন না। তবে ক্লাস শেষে বা শুরুর আগে পর্দা করতে আপত্তি নেই।
১৯৮৫ সাল থেকে এই কলেজছাত্রীদের ড্রেস কোড- চুড়িদার কিংবা দোপাট্টা। কিন্তু অনেক মুসলিম ছাত্রী এসবের ওপর হিজাব বা নেকাব পরে আসতেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই দিনই প্রতিবাদ করেন ছয় শিক্ষার্থী। সময়ের সঙ্গে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
এর প্রেক্ষাপটে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো শিক্ষাঙ্গনে গেরুয়া চাদর ব্যবহার শুরু করেন। সার্বিক পরিস্থিতিতে সোমবার আদালতে হিজাব-বিতর্কে একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারে জমে উঠেছে আমনের চারার (জালার) হাট। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে রোপা আমন ধান রোপণের মৌসুমে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে কৃষকরা এ বাজারে ভিড় করছেন চারা কেনার জন্য।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই হাটে ধানের চারা বেচাকেনা শুরু হয়। কৃষকরা নিজেদের বীজতলা থেকে চারা তুলে আটি বেঁধে হাটে নিয়ে আসছেন। প্রতিটি আটি প্রকারভেদে ৭০ টাকা থেকে শুরু করে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মুরাদনগর উপজেলার হাটখলা থেকে আসা কৃষক রমজান আলী জানান, “আমাদের এলাকায় পানি সংকট থাকায় রোপা আমনের চারা বপণ করা সম্ভব হয়নি। তাই বাঙ্গরা বাজারে এসেছি। কাঙ্ক্ষিত চারা পেয়েছি, দামও নাগালের মধ্যে। দুই বিঘা জমির জন্য চারা কিনেছি।সাতমোড়া থেকে আসা কৃষক কুদ্দুস মিয়া বলেন, “বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা তুলে এখানে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। আমরা তুলনামূলক কম দামে চারা পাই বলেই এখানে আসি।চারা বিক্রেতা রহিম মিয়া জানান“বিআর-২২, ৪৯, ৫০, খাসা, কালিজিরাসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বেশি বিক্রি হচ্ছে। ইব্রাহিমপুর ও রতনপুর থেকে পাইকাররাও এসে চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।আরেক কৃষক দুলাল মিয়া বলেন,“এবার চারার দাম ভালো। প্রতি বিঘা জমির জন্য খরচ পড়ছে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।”
এ হাটে শুধু নবীনগর নয়, পার্শ্ববর্তী কসবা ও অন্যান্য উপজেলার কৃষকরাও চারা কিনতে আসছেন, ফলে বাজারে সরগরম ভাব বিরাজ করছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, “চলতি মৌসুমে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭৫০ হেক্টর। ইতিমধ্যে ৫৫৭০ হেক্টরে চারা রোপণ শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই বাকি আবাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যথেষ্ট বীজতলা থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই জমজমাট চারা হাট ও কৃষকদের ব্যস্ততা যেন নতুন ফসলের সম্ভাবনায় ভরে উঠেছে।
স্বচ্ছতা বজায় রেখে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। বিসিএস পরীক্ষা হলো এন্ট্রি পয়েন্ট।
যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তারাই সরকার চালাবে। কাজেই এন্ট্রি পয়েন্টে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয় তাহলে গোটা সিস্টেমে সেটার প্রভাব থেকে যাবে।’
দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা ও সংকটগুলো সমাধান করে ফেলতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে। যারা ভবিষ্যতে সরকার চালাবে তাদের জন্যও এটা প্রয়োজন।’
বৈঠকে সরকারি কর্ম কমিশনের আর্থিক স্বায়ত্তশাসন ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেন কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।
তিনি জানান, কমিশন ইতোমধ্যেই পাঁচ বছরের রোডম্যাপ দিয়েছে এবং প্রতিবছর নভেম্বর থেকে পরের বছরের অক্টোবর মধ্যেই পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন হবে।
কমিশন সদস্যরা জানান, গত ১৫ বছর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বিসিএস পরীক্ষায় নানা ধরনের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেছে। পিএসসিতে যেন আর কখনো অনিয়ম ফিরে না আসে, এটি যেন সবার আস্থার জায়গা হয় সেটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রশ্নপত্রের মান এমনভাবে উন্নীত করা হচ্ছে যাতে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি দিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতেও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রতিযোগিতা করতে পারেন।
উত্তরবঙ্গের মৎস্য ভাণ্ডার সিরাজগঞ্জের চলনবিল। বর্ষা মৌসুমে থইথই জলে পরিপূর্ণ থাকে এই বিল। বর্তমানে বিলের নদী, খাল ও জলাভূমিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া শামুক কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন নিম্নআয়ের হাজারো মানুষ। তারা জানান, প্রতি বস্তা শামুক ব্যাপারীদের কাছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। ফলে মোটামুটি চলছে সংসার।
বর্ষা মৌসুমে বিল এলাকায় কাজ না থাকায় নিম্নআয়ের মানুষ বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে শামুক সংগ্রহকে বেছে নেন। শামুক প্রকৃতি ও কৃষি জমির জন্য উপকারী হলেও সে সম্পর্কে জানেন না তারা।
চলনবিল থেকে শামুক সংগ্রহ শুরু হয় জুলাই থেকে। এ কাজ চলে অক্টোবর পর্যন্ত। বিলের ১৬টি নদী, ৩৯টি বিল ও ২২টি খালসহ বিভিন্ন জলাভূমি থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মেট্রিক টন শামুক সংগ্রহ করেন স্থানীয়রা। এসব জলাভূমি থেকে একজন নিম্ন আয়ের নারী ও পুরুষ প্রতিদিন দুই বস্তা শামুক সংগ্রহ করতে পারেন। প্রতি বস্তা শামুক ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে কিনে নেন ব্যাপারীরা। এসব শামুক তারা ট্রাকযোগে পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন হাঁস ও মাছের খামারে বস্তা প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন।
তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের মাকড়শোন এলাকায় শামুক বেচাকেনার জন্য একটি ভাসমান হাট গড়ে উঠেছে। এই হাটে পাইকারি হিসেবে বেচাকেনা হয় বিভিন্ন ধরনের শামুক। পাবনা, নওগাঁ, রাজশাহী ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এখান থেকে শামুক কিনে হাঁসের খামারিদের কাছে বিক্রি করছেন।
মাকড়শোন এলাকার ভাসমান শামুকের হাটের ব্যবসায়ী শান্ত শেখ বলেন, ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত এই হাটে পাইকারি দরে শামুক বেচাকেনা হয়। সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে বস্তা হিসেবে শামুক কেনা হয়। এলাকার দরিদ্র নারী ও পুরুষরা শামুক সংগ্রহ করে এখানে নিয়ে আসেন। তাদের কাছ থেকে কিনে আমরা বিক্রি করি।
মাকড়শোন হাটে শামুক বিক্রি করতে আসা কুন্দইল গ্রামের শামীম বলেন, এক সময় চলনবিলে অনেক মাছ পাওয়া যেত। সেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতাম। বর্তমানে বিলে পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় সংসার চলে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে শামুক কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৩ বস্তা শামুক সংগ্রহ করতে পারি। বিক্রি করে আয় করি তাই দিয়ে ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছি।
মাগুড়া বিনোদ গ্রামের জেলে হানিফ, রবিউল শেখ, মামুন হোসেন, সোলাইমান জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে ৬ থেকে ৭ জনের একটি দল নৌকা নিয়ে চলনবিলে যান। নৌকায় করে মই জাল, হেসি জাল ও হাত জাল দিয়ে সারা রাত শামুক সংগ্রহ করেন তারা। সকালে শামুকগুলো প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে হাটে নিয়ে যান। শামুক বেচে টাকা সবাই ভাগ করে নেন।
তাড়াশের মান্নান নগর গ্রামের শফিকুল বলেন, শামুক সংগ্রহের জন্য একটি দল নৌকা ও জাল নিয়ে চলনবিলের নদ-নদীসহ বিভিন্ন খাল-বিলে ছুটে চলি। সারারাত জাল ফেলে শামুক সংগ্রহ করি। সকালে শামুক থেকে ময়লা ফেলে ৩৫ থেকে ৪০টি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। এতে প্রতিদিন ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকার শামুক বিক্রি হয়। যে টাকা আয় হয়, তা সবাই ভাগাভাগি করে নেই।
শামুক ব্যবসায়ী মমিন তালুকদার বলেন, চলনবিলাঞ্চলে ছোট-বড় সব মিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যবসায়ী আছেন। বিল থেকে তোলা শামুক ও ঝিনুক স্থানীয় সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে কিনে পাইকারি দরে আড়তে বিক্রি করা হয়। বর্ষার তিন থেকে চার মাস শামুক কেনাবেচা হয়।
তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিদ্যুৎ কুমার বলেন, অবাধে শামুক নিধনের ফলে মাটির উর্বতা ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, শামুক প্রাকৃতিক সম্পদ। এখান থেকে নিয়ে যাওয়া শামুকের ভেতরের অংশ মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শামুকের অনেক পুষ্টিগুণ আছে। মাছ ও হাঁসের খাদ্য হিসেবে শামুক ব্যবহৃত হয়। শামুকের খোলস ব্যবহার হয় চুন ও সার তৈরিতে।
তিনি বলেন, নির্বিচারে শামুক নিধন এ অঞ্চলের জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি ও খাদ্যশৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকর। নিঃসন্দেহে এ অঞ্চলের জন্য শামুক নিধন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শামুক ও ঝিনুক নিধনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো বিশেষ দলের হয়ে কাজ না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমুলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৪, ১৮ ও ২৪-এর নির্বাচন মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন ।
তিনি আজ রোববার রাজধানীর রাজারবাগে নির্বাচনের দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে সম্পাদনের লক্ষে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, ‘ধৈর্য্যের সঙ্গে মাথা ঠাণ্ডা রেখে আইনি প্রক্রিয়ায় সকল বিষয় মোকাবিলা করতে হবে। আমরা কাজ কর্মে যত স্বচ্ছ থাকবো সাধারণ জনগণের কাছে তত আস্থা অর্জন করতে পারব। নিজেদেরকে রাজনৈতিক কর্মী ভাববেন না। দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করবেন। বাংলাদেশ পুলিশ সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন শান্তি ও উৎসব মুখর হবে। নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। একদিকে জনগণ, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি ভালো নির্বাচন হওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, সমাজ থেকে দুর্নীতি ও মাদক কমাতে হবে। আমাদের সময় খুব একটা নেই। গণমাধ্যমের প্রতি অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতা জোরেশোরে তুলে ধরা হয়, কিন্তু সফলতা তুলে ধরা হয় না। অপারেশন ডেভিলহান্ট না থাকলেও কর্মযজ্ঞ এখনও চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টদের তালিকা প্রত্যেক থানায় রয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে তৎপর। অনেক অপরাধী জামিনে ছাড়া পেয়ে অপরাধ করছে জানিয়ে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
তিনি জানান, নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে পুলিশে বদলি ও পোস্টিং দেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চায় বাংলাদেশ পুলিশ এমন একটি সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দিক যা বিশ্বে নজীর হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, সামনে দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। ফ্যাসিস্টরা সরাসরি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, অনেকে জামিনে বেরিয়ে আবারো এই কাজে জড়াচ্ছে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
পুলিশের সাম্প্রতিক নিয়োগ স্বচ্ছ হওয়ায় পুলিশের প্রশংসা করেন তিনি। প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেবে। এতে পুলিশের মধ্যে মনোবল, জ্ঞান ও দায়িত্ব বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজবাড়ীর ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে, পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করার চেষ্টা চলছে। জনগণ নির্বাচন মুখী হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বক্স চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি প্রমুখ।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বক্স চৌধুরী বলেন, জুলাই আগস্টের পর নতুনভাবে যে পুলিশ তৈরি হয়েছে তার চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে জাতীয় নির্বাচন। সামনের চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে হবে। পুলিশকে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কর্মকাণ্ড পরিবর্তন করতে হবে।
পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, এবারের নির্বাচন পুলিশের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত আগস্ট-২০২৫ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৭৭ কোটি ২১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ১৩ কেজি ৪৪০ গ্রাম স্বর্ণ, ১৮ কেজি ৭৩০ গ্রাম রূপা, ৮,৭৩৯টি শাড়ী, ৪,৯০৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৩,৯৭৭টি তৈরী পোশাক, ৯,৬০৩ মিটার থান কাপড়, ৪,৪১,১৭২টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৪১,৩৩১ পিস ইমিটেশন গহনা, ১৪,০১,৫১৩টি আতশবাজি, ৪,৫৪৬ ঘনফুট কাঠ, ২,১৯৪ কেজি চা পাতা, ৭,৩২১ কেজি সুপারি, ১,৩৭৬ কেজি সার, ৪৫,৫৫০ কেজি কয়লা, ৫৩,৫৪৫ কেজি সুতা/কারেন্ট/দুয়ারি জাল, ৮৬৫টি মোবাইল, ৬,৭০৭টি মোবাইল ডিসপ্লে, ২০,১০৪টি চশমা, ৭,২২০ পিস যানবাহনের যন্ত্রাংশ, ৭,৩১৮ কেজি জিরা, ১৪,৩৭৩ কেজি চিনি, ৪,৪৬৭ কেজি পেঁয়াজ, ৮,৩৮৮ কেজি রসুন, ১,০৬২ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ২,৮৯,৯৬১ পিস চকোলেট, ১২টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১৩টি পিকআপ/ট্রাক্টর, ১টি ট্রলি, ৬টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৫৬টি নৌকা, ৪০টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫৬টি মোটরসাইকেল এবং ৩৫টি বাইসাইকেল/ভ্যান।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩টি দেশী/বিদেশী পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি এসএমজি, ৩টি রাইফেল, ১৬টি ম্যাগাজিন, ৮১৫রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ৮টি অন্যান্য অস্ত্র।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২,৩৭,৬৯৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ কেজি ৬০১ গ্রাম হেরোইন, ৭,৮৮৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯,৫২৫ বোতল বিদেশী মদ, ১৬৭ লিটার বাংলা মদ, ৫৭৭ ক্যান বিয়ার, ১,৫৪৮কেজি গাঁজা, ২,৫৫,৬৯৮ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২০২ কেজি তামাক পাতা, ২০ বোতল এলএসডি, ১,৭৪,৭১৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৪,১৪৫ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ২০,৭২০টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১৮,০৭,৪৯০টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০৯ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৬০ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৫৪৬ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।
মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম অগ্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল চিন্তাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রোববার এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করে পরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়া বদরুদ্দীন উমর ছিলেন আমাদের মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতি সংগ্রামের এক উজ্জ্বল বাতিঘর। ভাষা আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা, গবেষণা, ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শনের প্রতি তাঁর অবিচল নিষ্ঠা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।
তিনি ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের পরিবর্তনের জন্য গোড়া থেকেই গণঅভ্যুত্থানের কথা বলেছেন এবং জুলাই আন্দোলনকে উপমহাদেশের একটি অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর শুধু একজন তাত্ত্বিক ছিলেন না, ছিলেন একজন সংগ্রামী, যিনি আজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে সরকার।
বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তাশীল মানুষদের জন্য তাঁর লেখনী ও জীবনদর্শন এক অনন্য পথনির্দেশ হিসেবে কাজ করবে।
শোকবার্তায় বদরউদ্দীন উমরের শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত ৯৪ বছর বয়সী বদরুদ্দীন উমর আজ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পূজার ঘণ্টাধ্বনি। উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রীমঙ্গলের মৃৎশিল্পীরা। কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ ফুটিয়ে তুলতে দিন-রাত সমান তালে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এবছর উপজেলার ১৫৭ টি মন্ডপে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা।
নিখুঁত কারুকার্যে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পীরা। রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রতিমার সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য বাড়াতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, শিল্পীদের ততই ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে।
শিল্পীরা বলছেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের মুখ তারা খুব একটা দেখছেন না। অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পূজা আয়োজকদের ব্যয়ও বেড়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কারখানা ঘুরে দেখা গেছে— শহর থেকে পাড়া-মহল্লার প্রতিটি মন্দিরে শোভা পাচ্ছে ছোট-বড় প্রতিমা। বাঁশ, কাঠ, সুতলি, খড় আর কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। ইতোমধ্যে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, ময়ূর, প্যাঁচা ও দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ার কাজ শেষ হলেও সৌন্দর্য বাড়াতে চলছে শেষ মুহূর্তের রঙতুলি। কেউ প্রতিমার হাত-পা তৈরি করছেন, কেউ মাটি লাগাচ্ছেন, কেউ আবার রঙ করছেন— সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাজ।
প্রতিমা শিল্পী হনু পাল বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমার চাহিদা অনেক বেশি। তাই দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাদামাটির কাজ চলছে। এরপর রঙের কাজ হবে। সব কাজ শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু শ্রীমঙ্গল নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও আমাদের প্রতিমা পাঠানো হয়। আশা করছি এবার লাভও ভালো হবে।”
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুজিত রায় বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও এ উৎসব জাঁকজমকভাবে উদ্যাপন করা হবে। শ্রীমঙ্গলে প্রায় ১৫৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রেণি বা উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে মিলনমেলার রূপ নেয় বলেই এ পূজাকে সার্বজনীন পূজা বলা হয়।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়েও ব্যবস্থা থাকবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।”
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও টহল দেবে। ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে।”
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, “আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রশাসনিকভাবে প্রতিটি পূজা মণ্ডপের তালিকা সংগ্রহ, পরিদর্শন এবং রোডম্যাপ প্রস্তুতের কাজ চলছে। উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদ্যাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবে।
মন্তব্য