জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্রুত পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের সর্বোচ্চ হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, সাউথ কল হিমবাহের বরফ ১৮০ ফুট (৫৪ মিটার) পর্যন্ত গলে গেছে। আর এটা ঘটেছে গত ২৫ বছরে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মাইনের একদল বিজ্ঞানী এ গবেষকটি চালিয়েছেন। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার পরিচালিত ‘ক্লাইমেট অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক সায়েন্স’ জার্নালে সম্প্রতি গবেষণাপত্রটি প্রকাশ হয়।
এতে বলা হয়েছে, হিমবাহটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার ৯০৬ মাইল (২৫ হাজার ৯৩৮ ফুট) উঁচুতে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি জমাট বাঁধতে প্রায় দুই হাজার বছর সময় লেগে থাকতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আর তীব্র বাতাসে এখন সেটি ৮০ গুণ বেগে গলে যাচ্ছে।
গবেষণা দলের প্রধান মারিউসজ পোটক্কি বিবিসিকে বলেন, ‘সাউথ কল শেষ হতে চলছে। বড় পরিবর্তন এসেছে এই হিমবাহটিতে। এটা মারাত্মক।’
গবেষণা প্রতিবেদনের আরেক লেখক জলবায়ু বিজ্ঞানী টম ম্যাথিউস অবশ্য বলছেন, হিমবাহ গলে যাওয়ায় এই অঞ্চলের জলবায়ুতে কোনো একক পরিবর্তন চোখে পড়েনি। তবে পরিবর্তনটা হয়তো হঠাৎ হবে।
এই গবেষণাকে সমর্থন করেছেন একাধিক পরিবেশবিদ। তাদের ভাষ্য, শুধু মাউন্ট এভারেস্টই নয়, হিমালয়ে অবস্থিত প্রায় প্রত্যেকটি হিমবাহের অবস্থা একই রকম। সবগুলোই গলছে দ্রুত, যা শিগিগিরই ভোগাবে বিশ্বকে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে আরও বলেছেন, মিষ্টি পানির উৎস হিমালয়ের ওপর নির্ভর করে বিশ্বের ১০০ কোটির বেশি মানুষ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হিমালয়ের মতো বিশ্বের অন্য হিমবাহগুলো গলে গেলে চরম বিপর্যয়ে পড়বে পৃথিবীবাসী।
মহাজাগতিক যেকোনো ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে হয় বহু বছর। এবার এমনই এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। যা এর আগে হয়েছিল ১৮ বছর আগে। আবার এই ঘটনা দেখতে চাইলে অপেক্ষা করতে হবে আরও ১৮ বছর।
আমাদের সৌরজগতের প্রধান পাঁচটি গ্রহ শুক্রবার থেকে একই সারিতে উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে আবারও।
স্পেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোরের আগে আকাশ পরিষ্কার থাকলে বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিগ্রহ দেখার জন্য খালি চোখই যথেষ্ট।
তবে বুধগ্রহকে দেখার জন্য এটিই বিশেষ সুযোগ, সাধারণত সূর্যের উজ্জ্বল আলোর কারণে বুধ অস্পষ্ট থাকে।
বলা হচ্ছে পাঁচটি গ্রহের অর্ধাকার চাঁদের মতো এই সংযোগ শুক্রবার সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে এবং বিশ্বের অধিকাংশ জায়গায় সোমবার পর্যন্ত দেখা যাবে।
মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং সোসাইটি ফর পপুলার অ্যাস্ট্রোনমির প্রফেসর লুসি গ্রিন ব্যাখ্যা করেছেন যে, ‘মুক্তোর একটি মালার মতন দিগন্তের কাছাকাছি থেকে তা ছড়িয়ে পড়বে।’
শেষবার গ্রহগুলোর এই অর্ধচন্দ্রাকৃতির সংযোগ ঘটেছিল ২০০৪ সালে। পরে আবার এই সংযোগ দেখতে চাইলে অপেক্ষা করতে হবে ২০৪০ সাল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচ জেলায় ফিরে আসতে শুরু করেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এরই মধ্যে সে অঞ্চলের ১ হাজার ১৪৬টি সাইট সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানায়, ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকা আরও ৯৭৬ সাইট চালু করতে অপারেটররা কাজ করে যাচ্ছে। মঙ্গল ও বুধবারের মধ্যে প্রায় শতভাগ সাইট চালু করা সম্ভব হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার কয়েক লাখ বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, বিভিন্ন সাইটে পানি উঠে যাওয়ায় সেখানে চার মোবাইল অপারেটরের ৩ হাজার ৬১৭টি সাইটের মধ্যে প্রায় দুই হাজার সাইট বিকল হয়ে পড়ে। এতে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন সে অঞ্চলের মোবাইল ব্যবহারকারীরা।
নেটওয়ার্ক পুনরায় চালু করতে সে এলাকায় বিটিআরসির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অপারেটররা কাজ শুরু করে। তবে সাইটে জেনারেটর, জেনারেটরের তেলসহ অন্য সরঞ্জাম পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মীদের।
তারপরও জোর চেষ্টায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৬ সাইট চালু করা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় বিটিআরসি।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো- আইএসপি
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য এলাকায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় আইএসপি অপারেটরদের নেটওয়ার্ক অপারেশনস সেন্টার, পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স (পিওপি) স্থাপনাগুলো প্লাবিত ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
যেসব পিএপিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে, সেসবে পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা দেয়া হচ্ছে। জেলাগুলোতে কিছু পিওপি-এ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আইএসপি অপারেটরগুলো তাদের টিম পাঠিয়ে নেটওয়ার্ক সচল রাখার জন্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আইআইজি
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ সিলেট বিভাগের অন্য এলাকায় ১৫টি আইআইজি অপারেটরের ৪৮টি পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স আছে, যার অধিকাংশই সচল রয়েছে। তবে বন্যাপ্লাবিত এলাকায় অবস্থিত অনেক সাইটে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগে সাময়িক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।
সিলেটে কয়েকটি আইআইজি পিওপি-এ ডিজেল জেনারেটরের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য একটি অস্থায়ী প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার কিছুসংখ্যক পিএপিতে বিদ্যুৎব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত ডিজেলচালিত জেনারেটর এবং পোর্টেবল জেনারেটর ভাড়া করা হয়েছে।
বিএসসিএল
গত শনিবার ১২টি ভিস্যাট সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনীর কাছে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে হাই-টেক পার্ক ক্যাম্পে একটি, সুনামগঞ্জ ডিসির কার্যালয়ে একটি এবং সার্কিট হাউসে একটি চালু করা হয়েছে।
সিলেট স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ২৩টি ভিস্যাট রোরবার পৌঁছানো হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি ভিস্যাট স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি ভিস্যাট স্থাপনের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন:শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক বাংলাদেশে তাদের #এডুটক বা শিক্ষাভিত্তিক অনলাইন ক্যাম্পেইন চালুর ঘোষণা দিয়েছে। ক্যাম্পেইনটি শুরু হচ্ছে দেশের অনলাইন শিক্ষাভিত্তিক শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের সঙ্গে। ট
#একশোতেএকশো (#EkshoTeEksho) শিরোনামে ওই ক্যাম্পেইনটিতে মাসজুড়ে দেশের জনপ্রিয় #এডুটক ক্রিয়েটররা বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে শিক্ষাভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি ও পাবলিশ করবেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে টিকটক জানায়, তারা এই অঞ্চলে শিক্ষার বিষয়টি আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে এবং সবার জন্য শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি ও সহজলভ্য করতে হ্যাশট্যাগ #এডুটক উন্মোচন করছে।
এখন পর্যন্ত শত কোটি ভিউ অর্জনের পর #এডুটক এর ক্রিয়েটরদের কাছ থেকে শেখা এবং নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। এখানে একাডেমিক কনটেন্ট কিংবা কারিগরি দক্ষতা যেমন পাবলিক স্পিকিং, বিতর্ক, লেখার দক্ষতা যেমন পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এবং এডিটিংয়ের মতো দক্ষতাও শেখানোর মত কনটেন্ট থাকতে পারে।
এর বাইরেও কনটেন্ট ক্যাটেগরি যেমন- অঙ্কন, অরিগামি, রুবিকস কিউব সমাধান, সংগীত এবং আরও অনেক কিছু থাকতে পারে।
অংশগ্রহণকারীদেরকে এই চ্যালেঞ্জের জন্য কনটেন্ট তৈরীর আমন্ত্রন জানানো হবে উপস্থাপিত প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে। টিকটক ব্যবহারকারীরা #একশোতেএকশো ফলো করে প্রতিদিন শিক্ষামূলক কনটেন্ট দেখার পাশাপাশি নতুন অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
বাংলাদেশে #একশোতেএকশো ক্যাম্পেইন প্রথম এমন কোনো ক্যাম্পেইন, যেখানে দেশের বেশ কিছু জনপ্রিয় শিক্ষামূলক কনটেন্ট নির্মাতা যেমন আয়মান সাদিক, মুনজেরিন শহিদ, এনায়েত চৌধুরী, খালিদ ফারহান এবং অন্যরা অংশ নিচ্ছেন। এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য সারা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য খুব সহজেই শিক্ষামূলক কনটেন্ট পৌঁছে দেয়া।
টেন মিনিট স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক বলেন, ‘শিক্ষামূলক কনটেন্ট মজাদার এবং সবার জন্য সহজলভ্য করে টিকটক ডিজিটাল লার্নিংয়ের জন্য একটা মান দাঁড় করিয়েছে। #একশোতেএকশো ক্যাম্পেইন দিয়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে কাজ করার একটা ভালো সুয়োগ পেয়েছি এবং আমরা বিশ্বাস করি, একসঙ্গে কাজ করে আমরা দুর্দান্ত কিছু অর্জন করতে পারব। টেন মিনিট স্কুল এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে খুব আননন্দিত, আমরা মনে করি এই কাজের জন্য টিকটক একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে ডিজিটালাইজড করার এই কাজে টিকটক এবং টেন মিনিট স্কুলের এই অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানাই। টেন মিনিট স্কুলের উচ্চ মানের একাডেমিক কনটেন্ট টিকটক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সবার কাঝে সহজে পৌঁছে যাবে, ফলে দেশের লাখ লাখ তরুণ জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে।’
একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সৃজনশীল কাজকর্ম ও আনন্দ সৃষ্টিতে অনুপ্রাণিত করে টিকটক। সে সঙ্গে টিকটক ব্যবহারকারীদের সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সে জন্য তাদের ডিভাইস থেকে নতুন উদ্ভাবনী ক্যাম্পেইন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরি করতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশে দ্রুতই বেড়ে চলেছে টিকটক ব্যবহারকারী, ফলে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এডুটেক উদ্যোগগুলো প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে তাদের ফ্যানদের সঙ্গে সংযুক্ততা বাড়াচ্ছে।
টিকটক শুধু বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে না, বরং একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে শিক্ষা খাতকে নতুনভাবে তুলে ধরছে, যাতে সবাই তাদের মেধা তুলে ধরছে, তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে কাজ করছে বলেও জানায় বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন:পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমত্তার খোঁজে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে বিজ্ঞানীরা, তবে তেমন কিছুর দেখা এখনও পাওয়া যায়নি। অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রায়ই এলিয়েনের অস্তিত্বের বিভিন্ন প্রমাণ সামনে নিয়ে এলেও শেষ পর্যন্ত সেই প্রমাণগুলো আর টেকেনি।
সবশেষ চীনের একটি রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তি পত্রিকায় বলা হয়, দেশটির গবেষকরা দাবি করেছিলেন, তারা খুব সম্ভবত তাদের রেডিও টেলিস্কোপ ‘স্কাই আই’তে বুদ্ধিমান এলিয়েনদের পাঠানো সংকেত পেয়ে থাকতে পারে।
তবে লাইফ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এলিয়েন গবেষকদের এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।
চীনে প্রাপ্ত এলিয়েন সংকেত গবেষণা প্রকল্পের একজন সহ-লেখক ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমত্তা খোঁজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এসইটিআই) গবেষক ড্যান ওয়ারথিমার যিনি প্রথম সংকেতগুলো দেখেছিলেন তিনি লাইফ সায়েন্সকে বলেছিলেন, এটি মানব হস্তক্ষেপ (ন্যারো ব্যান্ড রেডিও সিগন্যাল) থেকে এসেছে, বহির্জাগতিক বিষয় নয়।
সাধারণত ন্যারো ব্যান্ড রেডিও সংকেতগুলো প্রাকৃতিক উৎস থেকে সৃষ্টি হয় না।
স্কাই আই টেলিস্কোপের সংকেত ধারণের মতো ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালেও বিজ্ঞানীরা এমন একটি সংকেত শনাক্ত করে, যা তারা ধারণা করেছিলেন প্রক্সিমা সেন্টোরি থেকে এসেছে, যেখানে অন্তত সম্ভাব্য বাসযোগ্য গ্রহ রয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
সেখান থেকে প্রাপ্ত সংকেতটিও ছিল ন্যারো ব্যান্ডের।
যদিও দুই বছরের গবেষণায় বেরিয়ে আসে যে, কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়েছিল। সেটি কোনো এলিয়েন প্রযুক্তি থেকে আসা রেডিও সিগন্যাল ছিল না।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের দৈত্যাকার স্কাই আই টেলিস্কোপ পৃথিবীর বাইরে জীবনের চিহ্নের সন্ধান পেয়েছে।
যদিও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, পৃথিবীর বাইরের সভ্যতা অনুসন্ধান দলের প্রধান বিজ্ঞানী ঝাং টঞ্জি বলেছেন, সন্দেহজনক সংকেতগুলো রেডিও হস্তক্ষেপও হতে পারে এবং এর জন্য আরও তদন্তের প্রয়োজন।
দৈনিকটি পরে এ-সংক্রান্ত সব প্রতিবেদন ও পোস্টগুলো মুছে ফেলে।
তবে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দৈনিক থেকে কেন প্রতিবেদনটি সরিয়ে দেয়া হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়।
খবরটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবুতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরটি চলে এসেছে।
স্কাই আই বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেডিও টেলিস্কোপ। এটি ন্যারো-ব্যান্ড ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যালে কাজ করে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বহির্জাগতিক প্রাণের অনুসন্ধান শুরু করে স্কাই আই। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম গুইঝো প্রদেশে এর অবস্থান। টেলিস্কোপটির ব্যাস ৫০০ মিটার (১ হাজার ৬৪০ ফুট)।
ঝাংয়ের মতে, কম ফ্রিকোয়েন্সির এই রেডিও ব্যান্ড টেলিস্কোপ স্কাই আই অত্যন্ত সংবেদনশীল। বহির্জাগতিক প্রাণের সন্ধানে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন:চীনা স্মার্টফোন কোম্পানি ইনফিনিক্স নোট সিরিজের সবশেষ ও সর্বাধুনিক স্মার্টফোন ‘নোট ১২ জি৯৬’ স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে।
ভার্চুয়ালি ফোনটি শনিবার উন্মোচন করেন ইনফিনিক্সের প্রডাক্ট অ্যাম্বাসেডর তাসকিন আহমেদ, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তানজিন তিশা এবং ইনফিনিক্স বাংলাদেশের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার ইফতেখার উদ্দিন সানি।
নোট ১২ জি৯৬ ডিভাইসটিকে বলা হচ্ছে স্পিড মাস্টার। ডিভাইসের অত্যাধুনিক ফিচারগুলো স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে বলে বলছে ব্র্যান্ডটি।
ইনফিনিক্স নোট ১২ ফোনে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর, ৬.৭ ইঞ্চি এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে।
ফোনটি গ্রাহকদের দেবে নেক্সট-লেভেল গেমিং এক্সপেরিয়েন্স এবং চমৎকার গতিশীল পারফরম্যান্স।
ডিভাইসটিতে রয়েছে মেমোরি ফিউশন টেকনোলজি, ফলে ফোনের ৮ জিবি র্যামকে সহজেই সর্বোচ্চ ১৩ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায়।
এ ছাড়া ফোনে রয়েছে ৩৩ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জিং ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। ব্যাটারির রয়েছে সর্বোচ্চ ৮০০ চার্জ সাইকেল কাউন্ট, বারাবার ব্যবহারেও ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফে অবনমন ঘটে না।
স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল আল্ট্রা-নাইট ক্যামেরা সেট-আপ; এতে মৃদু আলোতেও নিখুঁতভাবে ছবি তোলা যায়। ফোনে আরও থাকছে ১০৮০ পিক্সেল এবং ৩০ এফপিএস এ ব্লারিং ফিচারে ভিডিও ধারণের সুবিধা।
আল্ট্রা-স্লিক ডিজাইনে ফোর্স ব্ল্যাক, স্নোফল হোয়াইট ও জুয়েল ব্লু এই তিন রঙে পাওয়া যাবে ২১ জুন থেকে। এ ছাড়া রোববার থেকেই দারাজে পাওয়া যাচ্ছে ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
আরও পড়ুন:সম্প্রতি চীনে বিশ্বের প্রথম নারুতো কো-ব্র্যান্ড স্মার্টফোন, রিয়েলমি জিটি নিও ৩ নারুতো এডিশন নিয়ে এসেছে রিয়েলমি।
রিয়েলমি সবসময় উদ্ভাবনী ডিজাইনসহ ট্রেন্ডসেটিং স্মার্টফোন নিয়ে আসছে। জিটি নিও ২-এর ড্রাগনবল জি এডিশনের সাফল্যের পর, অ্যানিমে থিমের স্মার্টফোনের উন্মাদনা বহুগুণ বৃদ্ধি করতে রিয়েলমি এবার জিটি নিও ৩ নারুতো এডিশন তৈরি করেছে।
স্মার্টফোনের পিছনের নকশাটি নারুতো সিপুডেন সিরিজের প্রধান চরিত্র নারুতোর পোশাক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করা হয়েছে। যার প্রাথমিক রঙ কমলা, সঙ্গে থাকছে ম্যাট ব্ল্যাক এবং মেটালিক গ্রে রঙের অপরূপ সংমিশ্রণ।
বিশেষ করে, স্মার্টফোনটির মেটালিক বডির পিছনের অংশটুকুতে রয়েছে অনন্য মাইক্রো থ্রিডি প্যাটার্ন। এটি দেখতে একদম নারুতোর ক্ল্যাসিক হেডব্যান্ডের মতো, যেখানে রিয়েলমি এবং নারুতো সিরিজের লোগো পাশাপাশি স্থান পেয়েছে।
নারুতোর ফ্যামিলি ব্যাজের সাথে নারুতোর মুখের প্যাটার্ন থেকে তৈরি করা চকচকে স্ট্রাইপগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ডিটেইল দিয়ে বানানো হয়েছে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, ১৫০ ওয়াট আল্ট্রা ডার্ট চার্জিং কিটের সাথে চার্জিং অ্যানিমেশন। শুধুমাত্র ইউজার ইন্টারফেস কাস্টমাইজ করা নয়, ৪৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি চার্জ হওয়ার সময় স্ক্রিনে নারুতোর ‘রাসেনগান’ এবং পাঁচটি মৌলিক উপাদান ব্যবহারের অ্যানিমেশন দেখা যায়।
এ ছাড়া রয়েছে একটি থিমযুক্ত ইউজার ইন্টারফেস, নারুতোর স্ক্রোল থেকে অনুপ্রাণিত প্যাকেজিং, হিডেন লিফ ভিলেজের লোগোর আকারে একটি পিন, কাস্টমাইজড ফোন কেস, এইচডি ওয়ালপেপার এবং একটি ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ক্ষমতার ১০,০০০ এমএএইচের রিয়েলমি পাওয়ার ব্যাংক ৩ প্রো।
পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে, রিয়েলমি জিটি নিও ৩ নারুতো এডিশনে সাধারণ ভ্যারিয়েন্টের ফিচারই রয়েছে। এতে থাকছে ১৫০ ওয়াটের আলট্রা ডার্ট চার্জিং প্রযুক্তি, যাতে ব্যবহারকারীরা ৫ মিনিটে ৫০ শতাংশ চার্জ করতে পারবেন।
রিয়েলমি জিটি নিও ৩ নারুতো এডিশনে (১২+২৫৬জিবি ভ্যারিয়েন্ট) সিপিইউ-এর কর্মদক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে। ফলে স্থিতিশীল ৯০ এফপিএস ভিজ্যুয়ালে ব্যবহারকারীদের গেমিং অভিজ্ঞতা হবে আরও চিত্তাকর্ষক।
আরও পড়ুন:বরিশালের নথুল্লাবাদে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের দেয়া সহজ শর্তে অর্থায়নে দেশের ১২ জেলায় ১২টি হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বরিশালে এর কাজ শুরু হলো।
প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে পলক বলেন, ‘এই হাইটেক পার্ক বরিশালের তরুণদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। আমরা ছিলাম শ্রমনির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর করতে কাজ করছেন।
‘বরিশালে সাড়ে ছয় একর জমিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণ হবে। আগেই এখানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ হয়েছে। ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত তলা হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলো।’
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘এখানে সুস্থ বিনোদনের সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হবে, এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে ২০০ কোটি টাকায় সাড়ে ছয় একর জমিতে তরুণদের কর্মসংস্থান এবং বিনোদনের জন্য এই হাইটেক পার্ক নির্মিত হচ্ছে।
‘ভারতের কাছ থেকে আমরা ঋণ সহায়তা পেয়েছি। সারা বাংলাদেশে হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে খুব সহজ শর্তে ভারত ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে এই হাইটেক পার্ক নির্মাণ শেষ হলে এক হাজার তরুণ-তরুণীকে সরাসরি প্রশিক্ষণ দেব। প্রতি বছর তিন হাজার জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বরিশালকে সিলিকন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এই হাইটেক পার্ক কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইটেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক, বরিশাল মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বরিশাল চেম্বার সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য