× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Afghans are selling children and kidneys
google_news print-icon

সন্তান ও কিডনি বিক্রি করছে আফগানরা

সন্তান-ও-কিডনি-বিক্রি-করছে-আফগানরা
খাবারের কিনতে কিডনি বিক্রি করতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না অসহায় আফগানরা। ছবি: স্কাই নিউজ
চার সন্তানের জননী ৩০ বছরের বিবিজানা বলেন, ‘একটি কিডনি ৪৮৬ ডলারে বিক্রি করেছি। এক মেয়েকেও বেঁচে দিয়েছি। এই টাকা দিয়ে ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনেছি। মনে হচ্ছে আমার জন্ম না হলেই ভালো হতো। এদিন দেখতে হতো না। প্রতিটি মুহূর্তে জাহান্নামের সাজা ভোগ করছি।’

দেশকে বিদেশি শাসকমুক্ত করার প্রতিশ্রুতিতে গত আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। কিন্তু দেশ শাসনে অদক্ষ তালেবান পাঁচ মাসেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে আছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এ সময়ে চরমে পৌঁছেছে।

আফগানিস্তানের জনসংখ্যা চার কোটির বেশি। এই অবস্থায় দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ দারিদ্যসীমার নিচে চলে এসেছে। তবে এটা পাঁচ বছর ধরে। অর্থাৎ আমেরিকান মদতপুষ্ট ঘানি সরকারের সময়েও এই অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে আফগানিস্তানের বেশির ভাগ মানুষ।

স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার মতো মৌলিক বিষয়গুলো তো দূরের কথা, টিকে থাকার প্রয়োজনীয় খাদ্য জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে জনগণ।

সন্তানদের খাবার জোগাড় করতে নিজেদের কিডনি পর্যন্ত বিক্রি করে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। এমনকি সন্তান পালনে অক্ষম হওয়ায় তাদেরও বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে।

অবশ্য অনেক বছর ধরেই এক টুকরো রুটির জন্য নামমাত্র মূল্যে কিডনি বিক্রি করে আসছে আফগান নাগরিকরা। সম্প্রতি এই প্রবণতা বেড়েছে ব্যাপক।

সবচেয়ে নাজুক অবস্থা হেরাত শহর থেকে ১২ মাইল দূরের শেহের-ই সেবজ অঞ্চলে। পশতুন সম্প্রদায়ের এসব মানুষ তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের চার বছর ধরে চলা রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধের কারণে হারিয়েছে ভিটেমাটি। কুঁড়েঘরে কোনো রকমে টিকে আছে তারা।

সন্তান ও কিডনি বিক্রি করছে আফগানরা

৩৮ বছরের স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাদির ভীষণ অসুস্থ দীর্ঘদিন ধরে। শুধু চা আর এক টুকরো রুটি খেয়ে দিন পার করছেন তিনি। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

আবুল কাদির বলেন, ‘একটি কিডনি বিক্রি করতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। দাম চেয়েছি ১ হাজার ডলারের কিছু বেশি। কিন্তু চিকিৎসক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অস্ত্রোপচারে কিডনি সরিয়ে ফেলা হলে আমি আর বাঁচব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কথা শুনেও আমি কিডনি বিক্রি করতে রাজি হয়েছি। আমাদের অবস্থা আসলেই খুব খারাপ। আমার মৃত্যুর বদলে যদি পরিবারের লোকজন ভালো থাকে, আমি তাতেই খুশি।’

সন্তান ও কিডনি বিক্রি করছে আফগানরা

স্থানীয়রা বলছেন, তাদের জন্য কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। শিশুরা আবর্জনার স্তূপ থেকে প্লাস্টিক, কাগজ কুড়াচ্ছে। পরে সেগুলো বিক্রি করছে। নারীরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুতা এনে কাপড় বুনছেন। এভাবে দিনে এক ডলারের বেশি আয় সম্ভব হয় না।

গুলবুদ্দিন নামে ৩৮ বছরের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি এখন আর কাজ করতে পারি না। একটা কিডনি বিক্রি করে দেয়ার পর থেকে এই অবস্থা।

‘তিন বছর আগে সাড়ে ৩ হাজার ডলারে আমার ১২ বছরের মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছিলাম। দুই বছর আগে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ২ হাজার ডলারে বিক্রি করি একটি কিডনি।’

গুলবুদ্দিন আরও বলেন, ‘গত বছর দেড় হাজার ডলারে আমার ছয় বছরের মেয়েকেও বিক্রি করে দিয়েছি। এখন কেউ যদি আমার চোখ চায়, তবে তাতেও রাজি আছি।’

সন্তান বিক্রি

চার সন্তানের জননী ৩০ বছরের বিবিজানা বলেন, ‘ একটি কিডনি ৪৮৬ ডলারে বিক্রি করেছি। এক মেয়েকেও বেঁচে দিয়েছি। এই টাকা দিয়ে ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনেছি।

‘মনে হচ্ছে আমার জন্ম না হলেই ভালো হতো। এদিন দেখতে হতো না। প্রতিটি মুহূর্তে জাহান্নামের সাজা ভোগ করছি।’

ক্রেতা কারা

যারা কিডনি বিক্রি করতে চান, তারা সরাসরি যোগাযোগ করেন হাসপাতালগুলোয়। সেখানে খোঁজ নেন কিডনি লাগবে এমন রোগীর।

রাজধানী কাবুলের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারের চিকিৎসক হোসাল তুফান বলেন, ‘ গত পাঁচ বছরে দুই শতাধিক মানুষ তাদের কিডনি বিক্রির জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু আমরা তাদের ফিরিয়ে দিই।’

আফগানিস্তানে রমরমা কিডনি বাণিজ্য

কাবুলের পাশাপাশি হেরাত এই কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য পরিচিত। হেরাতে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দুটি হাসপাতাল আছে। এসব কিডনির মূল ক্রেতা ইরান ও তুর্কমেনিস্তানের নাগরিকরা।

তালেবান শাসনে কিডনি-বাণিজ্য নিষিদ্ধ

একটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক জানান, গত ছয় বছরে শতাধিক কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন তারা।

তিনি বলেন, ‘ আগে সব নিয়ম মেনে কিডনি প্রতিস্থাপন হতো। কিন্তু তালেবান সরকার গত ১৬ জানুয়ারি, রক্তের সম্পর্ক নেই এমন ব্যক্তিদের কাছে কিডনি নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিডনি-বাণিজ্য বন্ধে এটা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত।’

হেরাত প্রদেশের সাংস্কৃতিক ও তথ্যবিষয়ক পরিচালক এবং তালেবানের প্রাদেশিক মুখপাত্র বলেন, ‘সন্তান এবং অঙ্গ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। শিগগিরই আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আলোর মুখ দেখবে।’

আরও পড়ুন:
গাঁজা চাষে বিনিয়োগে জার্মান ব্যবসায়ীর সঙ্গে তালেবানের চুক্তি!
কিডনি কেনাবেচার অভিযোগে আটক ৯
সাবেক সেনাদের হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় আফগান নারীরা
যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ ছাড়ের অনুরোধ তালেবানের
ভালো আছে হরিণাকুণ্ডুর সেই দম্পতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Dr Priyanka expressed solidarity with the demands of the teachers

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলোচিত নেত্রী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, আমি সংসদে যেতে পারলে শেরপুরের দেড় থেকে দুই লাখ বেকারের চাকরির ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, আমাকে আপনারা জাতীয় সংসদে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীরা যাতে শুধু ঘরে বসে না থাকে সে জন্য তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমি সম্মানিত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন করি এবং একাত্মতা প্রকাশ করছি। তাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি চেষ্টা করব।

ডা. প্রিয়াঙ্কা গত শনিবার সন্ধায় শহরের ৫নং ওয়ার্ডের খরমপুর মহল্লার ডা. সেকান্দর আলী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজিত এক নারী সমাবেশে এসব কথা বলেন।

জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ নারী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জাফর আলী. বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন, প্রভাষক শফিউল আলম চান, রেজাউল করিম রুমি, শ্রমিক দল নেতা মো. শওকত হোসেনসহ আরও অনেকে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়। তারপরেও এ আসনের সকল নারীরা আমার সাথে ছিলেন সে জন্য আমি এই নারীদের ছেড়ে কখনোই চলে যাব না। আমি আপনাদের ঋণের কথা কখনোই ভুলতে পারব না।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Human chain demanding quick completion of Teesta T dam work

তিস্তার টি-বাঁধের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে মানববন্ধন

তিস্তার টি-বাঁধের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে মানববন্ধন

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর টি-বাঁধে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইমারজেন্সি ওয়ার্ক দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। গত শনিবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড় সিংহেশ্বর গ্রামে তিস্তা নদীর এক নম্বর ওয়ার্ড টি হেডে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইমারজেন্সি ওয়ার্ক দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে ঝুকিপূর্ণ টি-বাঁধে দ্বাড়িয়ে স্থানীয়রা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, ছমির আলী, আব্দুল হাকিমসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, জনস্বার্থে তিস্তা নদীর চর থেকে বালু উত্তোলন করে টি-বাঁধ ভাঙন প্রতিরোধে চলমান কাজ হঠাৎ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কালীগঞ্জ বিওপির সুবেদার আনোয়ারুল হক বন্ধ করে দেন। অথচ একই এলাকায় বিজিবির নতুন ক্যাম্প নির্মাণ, এনজিও কর্তৃক ভিটে বাড়ি উঁচুকরণ, কবরস্থান উঁচুকরণসহ ব্যক্তিগত কাজে মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন বালু উত্তোলন করা হলেও বিজিবি তখন কিছুই বলেননি!

গত ৫ অক্টোবর উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বন্যায় টি-বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই থেকে এই এলাকার মানুষজন আতঙ্কে নিদ্রাবিহিন জীবন-যাপন করছেন। ঝুকিপূর্ণ বাঁধটির কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধটি আরও ভেঙে এলাকার শত শত বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই আমরা দ্রুত সময়ে টি-বাঁধটির অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আন্তরিক হস্তক্ষেপের জোড়ালো দাবি জানাচ্ছি। কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর প্রতিনিধি সামিউল হাসান শিমুল বলেন, ২৫০ মিটার কাজের মধ্যে ৫০ মিটার কাজ হতে না হতেই বিজিবি কাজটি বন্ধ করে দেন। ১৭৫ থেকে ২৫০ কেজির বস্তাগুলো ভরাট করে স্থানান্তর করা গেলেও ১০ ফিট জিও-টিউব স্থানান্তর করা অসম্ভব। এগুলো কাজের স্থানেই ভরাট করতে হয়। সারাদেশে ইমারজেন্সি ওয়ার্কের কাজ এভাবেই হয়ে আসছে।

৫১-বিজিবির কালীগঞ্জ বিওপি ক্যাম্পের সুবেদার আনোয়ারুল হক বলেন, নদী থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করার কোনো ধরনের নির্দেশনা না থাকায় কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা ডিসি স্যার অথবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আসেন।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, বিজিবি মাটি কাটতে না দেওয়ায় কাজটি বন্ধ রয়েছে। আমাদের যে জিও-টিউবব্যাগ সেগুলো মেশিন দিয়ে কাজের স্থানেই ভরাট করতে হয়। পদ্মা-মেঘনাসহ সারাদেশে নদীভাঙনে ইমারজেন্সি কাজগুলো এভাবেই হয়ে আসছে। মাত্র তিন দিন সময় পেলেই আমাদের কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব। বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা না হলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি এমন ভয়ংকর হতে পারে যে, ডিমলা সদরেও পানি চলে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Salahuddin Ahmeds comments on July fighters are sad Abu Hanif

জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের মন্তব্য দুঃখজনক: আবু হানিফ

জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের মন্তব্য দুঃখজনক: আবু হানিফ

জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের মন্তব্যকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। গত শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আলহাজ আমির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কর্শাকড়িয়াইল আসাদুল হক উচ্চবিদ্যালয় ফুটবল উৎসব ২০২৫-এর ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আবু হানিফ বলেন, ‘সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জুলাই সনদ সইয়ের দিনে হামলাকারীরা “জুলাইযোদ্ধা” ছিল না। তার মতে যারা ছিল তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজন। তার মতো একজন নির্যাতিত ও গুম-ভুক্তভোগী নেতার মুখে এমন মন্তব্য দুঃখজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘(শুক্রবার) ছিল একটি ঐতিহাসিক দিন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দিন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিন। কিন্তু সেখানে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়েছে, যা দুঃখজনক। এভাবে হামলা না করে বিষয়টি অন্যভাবে সমাধান করা যেত। পুলিশের এমন হামলার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে আবু হানিফ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়ে দেশ ছেড়েছে। কিন্তু তাদের গড়ে তোলা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাণিজ্য ও দখলদারি সিন্ডিকেট এখনো বহাল আছে। কিশোরগঞ্জের বাসস্ট্যান্ড, সিএনজিস্ট্যান্ড, অটোস্ট্যান্ড কিংবা ফুটপাত থেকে কারা এখন চাঁদা তুলছে জনগণ তা জানে। দেশের মানুষ সচেতন, তারা চাঁদাবাজ ও দখলদারদের আর ভোট দেবে না।’

তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তরুণদের খেলাধুলায় মনোযোগী করতে হবে। এখন ছেলে-মেয়েরা মোবাইল ও ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে, ফলে সমাজে অসামাজিকতা বাড়ছে। ভালো খেলোয়াড় বা ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার পাশাপাশি দেশপ্রেমিক মানুষও হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দানাপাটুলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাসেল মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদস্য মনির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আরমান ও সদস্য সচিব মো. আকরাম।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Wangala festival is celebrated in Madhupur a family tradition of the Garo community

মধুপুরে গারো সম্প্রদায়ের সংসারেক ঐতিহ্যের ওয়ানগালা উৎসব পালিত

মধুপুরে গারো সম্প্রদায়ের সংসারেক ঐতিহ্যের ওয়ানগালা উৎসব পালিত টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের চুনিয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত ওয়ানগালায় গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা বিভিন্ন পর্বে অংশ করছে।

মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ক্ষীর নদী। সামনেই শালবন দেখা যায়। পাশেই ধানের সবুজ দিগন্ত জোড়া মাঠ। নদীর উপর ছোট ব্রিজ। ওপারে বিখ্যাত চুনিয়া গ্রাম। এপারে পীরগাছা। দুটি গ্রামই গারো সম্প্রদায়ের বসবাস। চুনিয়া নানা কারণে জনমানুষের কাছে সমাদৃত। স্থানীয় বসতিদের প্রায় সবাই গারো মান্দি সম্প্রদায়ের। এ গ্রামে সাংসারেক পুরোহিত প্রয়াত জনিক নকরেকের নিবাস। প্রয়াত পরেশ মৃর বাড়িও এ গ্রামেই। গ্রামটিকে নিয়ে কবি রফিক আজাদ বিখ্যাত কবিতাও রচনা করেছে। চুনিয়া আমার আর্কেটিয়া কবিতা আর এসব গুণী গারো সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য গ্রামটির নাম চারদিকেই ছড়িয়ে পড়েছে। এ পাশের পীরগাছা খ্রিষ্ট ধর্ম পল্লী। সেন্ট পৌলস উচ্চ বিদ্যালয়। গারো সম্প্রদায়ের নানা ধরনের দোকানপাঠ। পাশেই কোচ পল্লী। গারোদের বসতি। আর এই চুনিয়া গ্রামেই আয়োজন করা হয় গারো সম্প্রদায়ের সংসারেক ঐতিহ্যের ওয়ানগালা বা ওয়ান্না। বনানী আচিক ক্লাব করা হয় এর আয়োজন। চুনিয়া গ্রামবাসী ও থকবিরিরমের সম্পাদক মিঠুন রাগসামের ব্যানারে ওয়ানগালার আয়োজনে চলে নানা রীতি ও ঐতিহ্য।

মিঠুন রাগসাম জানালেন, আয়োজনটি ছিল মূলত তিন দিনের। রীতি অনুযায়ী তিন দিন সময় লেগে থাকে। সেভাবে করা। আদি নিয়ম অনুসারে রুগালা করা হয়। রুগালার মধ্যে তাদের সাংসারেক পুরোহিত খামাল লেবেন সাধু ওয়ানগালার নিয়ম অনুযায়ী শুরু করে। আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর চলে প্রথম দিনের পর্বগুলো রাতভর খানা পিনা প্রোগ্রাম চলে। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় মূল পর্ব। সাংসারেক বিশ্বাসমতে, মিসি শালজং তাদের শস্য দেবতাকে নতুন শস্য কচু, চাল কুমড়াসহ অন্যান্য শস্য উৎসর্গ করা হয়। মোরগ কেটে পুরোহিত মন্ত্র পড়ে তাদের ওয়ানগালার বিভিন্ন পর্ব করতে থাকে।

পরে তাদের গারো সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচারের নানা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আজিয়া, রেঁ রেঁ, সেরেজিং পর্বে জয়নাগাছা, সাইনামারী, চুনিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের দল এতে অংশ নেয়। গুরিরুয়াও অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গ্রিকা, চাম্বিল মিশা, সেরজিংসহ বিভিন্ন পর্ব হয়।

আয়োজকদের পক্ষে মিঠুন রাগসাম আরো জানান, চু বা চুমান্থি প্রতিযোগিতা ভারতের মেঘালয়ে হয়ে থাকে। দেশে প্রথম বারের মতো তারা এ ওয়ানগালায় করেছে। এটা করলে সাধারণত চু খেয়ে ঝগড়া বিবাদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় করা হয় না তবে তাদের এ অনুষ্ঠানে সুন্দর করা হয়েছে তবে কোন সমস্যা হয়নি বলেও তিনি জানান।

মাঠের মাঝখানে বাঁশ দিয়ে কলা পাতার ছায়লা বা সামিয়ানা করা হয়। অঙ্গার করা ছায়লা বা সামিয়ানার মধ্যে স্থানে এতে চু’সহ তাদের সাংসারেক রীতির জিনিসপত্র রাখা হয়। ওয়ানগালা করতে অনেক অর্থের প্রয়োাজন তবে তারা নিজস্ব অর্থায়নেই করেছে। গ্রামবাসীসহ সকলের অংশ গ্রহন ছিল দারুন এ জন্য তারা সফল ভাবে করতে পেরেছে। এসব তথ্য আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

ওয়ানগালায় কয়েকজন নারী জানান, নতুন ফসল নিজেরা ভক্ষণ করার আগে তাদের শস্য দেবতা মিসি শালজংকে উৎসর্গ করে পরে তারা খেয়ে থাকে। এতে তাদের মঙ্গল হয়। সে বিশ্বাস থেকে সাংসারেক রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর ওয়ানগালা করে থাকে। তারা যুগ যুগ ধরে এ পর্বটি করে আসছে বলে জানান।

মমিনপুর গ্রামের অলিক মৃ জানান, চুনিয়ার এ ওয়ানগালা সুন্দর ভাবে শেষ হয়েছে। লোকজনের সমাগম ছিল অনেক। সাংসারেক রীতি অনুযায়ী করা ওয়ানগালার আয়োজনটি ছিল তারমতে চমৎকার।

সাংসারেক পুরোহিত খামাল লেবেন সাধু বলেন, তিন দিন চলে এ ওয়ানগালা। আদি সাংসারেক রীতি অনুয়ায়ী করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়ায় এ ওয়ানগালায় বিভিন্ন পর্বে বিজয়ীদের মাঝমাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৪ জনকে সম্মাননা প্রদান করে আয়োজক কমিটি। মধুপুরে ইকোপার্ক বিরোধী আন্দোলনে নিহত জয়নাগাছা গ্রামের পীরেন স্নাল কে মরণোত্তর, মধুপুর ইকোপার্ক বিরোধী আন্দোলনে চিরপঙ্গত্ব বরণ করা বেদুরিয়া গ্রামের উৎপল নকরেক, চুনিয়া গ্রামের কইয়নী মৃকে গারোদের সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ও একই গ্রামের মোনালিসা সাংমা নেবুল দারুকে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদার রাখায় সম্মাননা প্রদান করা হয়। গত শনিবার পুরোহিত তাদের নিয়ম অনুয়ায়ী সকাল থেকে বিভিন্ন পর্ব শেষে ওয়ানগালার পর্ব শেষ করে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
How the looted fertilizer worth crores was recovered with the help of bulkhead staff

বাল্কহেডের স্টাফদের সহায়তায় লুট হওয়া কোটি টাকার সার যেভাবে উদ্ধার

বাল্কহেডের স্টাফদের সহায়তায় লুট হওয়া কোটি টাকার সার যেভাবে উদ্ধার

বাল্কহেডের স্টাফদের সহায়তায় লুট হওয়া কোটি টাকার ডিএপি সার উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। এঘটনায় ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুমিল্লার নিকটবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। রবিবার ঢাকা নৌ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার করা হয় মূল আসামি (মাস্টার মাইন্ড) নরসিংদীর আলমগীর (৩৬), কিশোরগঞ্জের জসিম উদ্দিন (৩৭) এবং বাগেরহাটের মোঃ আঃ রহিম খানকে ।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,গত ০৮ অক্টোবর মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর হতে বাল্কহেড এম.বি. হাসান নৌ পরিবহন, এম-২৫২৭৪ যোগে ৬৩৪০ বস্তা আমদানি করা কোটি টাকার ডিএপি সার সুনামগঞ্জের বিএডিসি গোডাউনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। সার বোঝাই বাল্কহেড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মানিকনগর ঘাটে নোঙর করে। ইঞ্জিনের ত্রুটির কথা বলে ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত একই ঘাটে অবস্থান করে। গত ১০ অক্টোবর বাল্কহেডটি পুনরায় চলা শুরু করে। আনুমানিক ঘন্টা খানেক চলার পরে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের গতি কমিয়ে দিলে একটা ট্রলার উক্ত বাল্কহেডের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে আরও ২ জন বাল্কহেডে থাকা স্টাফদের সাথে যোগ দেয়। পরবর্তীতে সারের ডিলারের এজেন্টকে হাত-মুখ বেঁধে ভয় দেখিয়ে ট্রলারে উঠায়। এদিকে সার বহনকারী বাল্কহেড অন্যত্র চলে যায়। সে সময়ে উক্ত ট্রলারে থাকা ২ জনের সাথে বাল্কহেডের ২ জন স্টাফও ট্রলারে নেমে যায়। সারের ডিলারের প্রতিনিধকে নিয়ে ট্রলারটা মেঘনা নদীতে বিভিন্ন স্থান ঘোরাঘুরি করে ঐ দিন বিকালে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আব্দুল্লাহর চর নামক স্থানে তাকে মারধর করে নামিয়ে দেয়। এরপর থেকে উক্ত বাল্কহেডের কোন স্টাফের সাথে সারের ডিলার এবং তাদের অফিসের কেউ কোন প্রকার যোগাযোগ করেতে পারেননি। সকল স্টাফের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগ পেয়ে নৌ পুলিশের একাধিক টিম প্রযুক্তির সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার নোয়াগাঁও বাজার সংলগ্ন তিতাস নদীর শাখা দেওজুড়ী খালের মধ্য হতে সার বহনকারী বাল্কহেড, স্থানীয় বাজারের এক গোডাউন এবং তিতাস নদী তীরবর্তী গ্রামের এক বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত সার উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মূল আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত আলমগীরের বিরুদ্ধে ডাকাতি/ চাঁদাবাজির ০৭টি, ডাকাত জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ০১ টি, ডাকাত আঃ রহিমের (৪৩) বিরুদ্ধে মারামারি/ নারী ও শিশু আইনে ০২ টি মামলা রয়েছে । অন্যান্য আইনী পদক্ষেপ গ্রহণসহ পলাতক আসামি গ্রেফতারে নৌ পুলিশ, ঢাকা অঞ্চলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
All imported goods destroyed by fire Adviser Bashir

আমদানি করা সব পণ্য আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে: উপদেষ্টা বশির

আমদানি করা সব পণ্য আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে: উপদেষ্টা বশির

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন বলেন, আমদানি করা যত পণ্য ছিল সব আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত সেটা আমরা খাতভিত্তিক নির্দিষ্ট করার চেষ্টা করছি।

রোববার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যত ধরনের অভিযোগ আছে, প্রত্যেকটা অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। এখানে কারো কোনও ব্যত্যয় আছে কিনা সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উপদেষ্ট আরো বলেন, আমাদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগুনের পূর্ববর্তী এবং বর্তমান অবস্থান পুরো ঘটনা অনুসন্ধান করবে। তারপর অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সব তদন্ত সংস্থার সবাইকে একত্র করে এ রহস্য উদঘাটন করব।

তিনি বলেন, এখন যেসব পণ্য আসছে, কার্গো থেকে এসব পণ্য সরবরাহে যাতে কোনও জটিলতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগামী সাতদিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করবো। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ইন্সুরেন্স কভারেজ কী আছে এবং আমাদের বিমানবন্দরের ইন্সুরেন্স কাভারেজ কী আছে সবকিছু আমলে নিয়ে আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হব।

তিনি বলেন, গতকালকে ২১টির মত ফ্লাইট ক্যানসেল হয়েছে। এসব ফ্লাইটের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আগামী তিন দিন অতিরিক্ত ফ্লাইটের সব ধরনের চার্জ মওকুফ করেছে সরকার।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Because he could not go abroad he hired a mic and abused the local people

বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসীকে গালাগাল

বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসীকে গালাগাল

বিদেশ যেতে না পেরে ক্ষোভে মাইক ভাড়া করে পুরো এলাকাবাসীকে গালাগাল করেছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার এক যুবক। পরে সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পানান গ্রামে। ওই যুবকের নাম সারোয়ার হোসেন রাব্বি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে তিনি বিদেশ যেতে পারেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাব্বি বিভিন্ন এনজিও ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কেউ সহযোগিতা না করায় তার মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নেয়। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে তিনি ক্ষোভের বশে ৫০০ টাকা খরচ করে একটি মাইক ভাড়া নেন এবং পুরো গ্রামজুড়ে মাইকযোগে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে গালাগাল করেন।

পরে তিনি গালাগালের ভিডিও নিজ ফেসবুক আইডিতে আপলোড করেন। ভিডিওতে রাব্বি অভিযোগ করেন, তিন-চার মাস ধরে সৌদি যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেও মাত্র এক লাখ টাকা জোগাড় করতে না পারায় তার ভিসা ও মেডিকেল মেয়াদ (৩০ অক্টোবর) শেষ হতে যাচ্ছে।

বিভিন্ন সমিতির কাছে ঋণ চাইলেও কেউ সহযোগিতা করেনি। এমনকি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকেও লোন নিতে গেলে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।

রাব্বি বলেন, “মানুষের কারণে আগেও দু’বার আমার ভিসা নষ্ট হয়েছে। এবারও কেউ সাহায্য করল না। তাই রাগের মাথায় ভুল করেছি।”

ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছেনন “প্রথমে ক্ষমা চাইছি। আমি অনেক খারাপ ভাষায় গালাগাল করেছি। আমি কেন এমন করেছি, শুনুন।”

রাব্বি জানান, তিনি বিবাহিত এবং এক ছোট সন্তানের পিতা। জীবিকার তাগিদে তিনি অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি বিকাশের কাজ করেন।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীরা প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরে ভিডিওটি ভাইরাল হলে অনেকে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হন। কেউ কেউ আবার রাব্বির মানসিক কষ্ট ও পারিবারিক চাপের প্রতি সহানুভূতিও প্রকাশ করেছেন।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। তবে এখন চায়ের দোকান থেকে ঘরোয়া আড্ডা সব জায়গায় রাব্বির ঘটনাই আলোচনার বিষয়।”

মন্তব্য

p
উপরে