ইউক্রেন ইস্যুতে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুদ্ধের আশঙ্কা করছে অনেক দেশ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও ইউক্রেন থেকে দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মী ও তাদের স্বজনদের সরিয়ে নিচ্ছে।
যখন বিশ্ববাসী প্রত্যাশা করছে উত্তেজনা প্রশমনের, ঠিক এমন সময় রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে উত্তেজনার পারদ উসকে দিল যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে দূরে রাখার রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন রাশিয়াকে কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছে।
কূটনীতিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিক্রিয়াও ঠিক করছি।
রাশিয়ার একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা ব্লিঙ্কেনের বার্তা পেয়েছেন এবং ন্যাটোর সঙ্গে তা সমন্বয় করছেন।
এর আগে ন্যাটো সম্প্রসারণের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রাশিয়া ইতিমধ্যে লিখিত দিয়েছে ন্যাটোকে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে যুক্তরাজ্য দাবি করেছে, এর মধ্যে সম্মুখযুদ্ধে সক্ষম কমব্যাট সেনাদের ৬০টি দল রয়েছে।
যদিও রাশিয়া যে কোনো আক্রমণের পরিকল্পনার দাবি অস্বীকার করেছে। রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে কোনো আক্রমণের অভিপ্রায় তাদের নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়ার দাবির প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার মূলনীতি স্পষ্ট করেছে। তা হলো ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং ন্যাটোর মতো যে কোনো সামরিক জোটে দেশটির অংশগ্রহণের অধিকার।
তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিক্রিয়াও ঠিক করছি।
এখন নির্ভর করছে রাশিয়া কিভাবে বিষয়টির প্রতিক্রিয়া দেয়। যদিও আমরা প্রস্তুত।’
ব্লিঙ্কেন এ সময় জানান, ইউক্রেনে তিন ধাপে সমরাস্ত্র পাঠিয়েছে দেশটি।
এদিকে রাশিয়ার আক্রমণের আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউক্রেনে দেশটির দূতাবাস খোলা থাকবে। হোয়াইট হাউস থেকে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো সময় হামলা হতে পারে।’
তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতি হলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষে দেশটির নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থা থাকবে না।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অন্তত ২০ লাখ নাগরিক।
আরও পড়ুন:টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ দুর্যোগে দেশটিতে ৮৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, বন্যায় নাইপিদো, বাগো, মান্দালয় ও আইয়াওয়াদির ৬৪টি শহরতলীর ৪৬২টি গ্রাম ও ওয়ার্ড এবং মন, কায়িন ও শান প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এতে বলা হয়, বন্যা কবলিত এলাকায় ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠ, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা, ১৪টি ট্রান্সফরমার, ৪৫৬টি ল্যাম্পপোস্ট ও ৬৫ হাজার ৭৫৯টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্যোগ মোকাবিলায় নাইপিদোসহ বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও পানীয় জল সরবরাহের জন্য অস্থায়ী ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮০০ জনেরও বেশি। নিখোঁজ রয়েছেন ১০৩ জন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার এসব তথ্য জানায়।
রাজধানী অঞ্চল হ্যানয়ের রেড নদীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, তবে এখনও অনেক এলাকা তলিয়ে আছে।
গত শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির স্থলভাগে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। এক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বিশেষ করে ভিয়েতনামের পার্বত্য উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস হয়।
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
দেশটির লাও কাই প্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়। গত মঙ্গলবার আকস্মিক বন্যায় প্রদেশটির লাং নু গ্রাম পুরো তলিয়ে যায়।
রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ভিএনএক্সপ্রেস শুক্রবার জানায়, লাং নু থেকে ৪৮ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেখানে নিখোঁজ আছেন ৩৯ জন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, গ্রামটিতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজ চালাতে ভারী সরঞ্জাম আনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫০০ উদ্ধারকর্মী গ্রামটিতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন বলেন, ‘আমরা নিখোঁজদের সন্ধানে পিছপা হব না।’
চীনের সীমান্তবর্তী আরেক উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কাও বাংয়ে ভূমিধসের চার দিন পর শুক্রবার পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ জানায়, টাইফুন ও এর ফলে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি ভিনফাস্ট, অ্যাপলের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
টাইফুন ইয়াগিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে ২০ লাখ ডলার সহায়তার অংশ হিসেবে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ শুরু করেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও ২ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস শুক্রবার জানায়, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ইউএসএআইডির মাধ্যমে ১০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়া হবে।
কয়েক দশকের মধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানা টাইফুনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ইয়াগি।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বাড়তে থাকায় টাইফুন ইয়াগির মতো ঝড় আরও শক্তিশালী হচ্ছে, যার প্রভাবে তীব্র বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় দাইকুন্দি প্রদেশে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়।
হামলায় হতাহত লোকজন দাইকুন্দি প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন তারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুফতি আবদুল মতিন কানি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে বিতর্কে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যস্ত রাখতে বাধ্য করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বিতর্কে প্রেসিডেন্ট পদে যোগ্যতা, গর্ভপাতে বিধিনিষেধের বিষয়ে সমর্থন এবং অসংখ্য আইনি ঝামেলা নিয়ে ট্রাম্পকে একের পর এক আক্রমণ করেন কমলা।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, সাবেক প্রসিকিউটর ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস শুরু থেকেই বিতর্কের নিয়ন্ত্রণ নেন। এর ফলে দৃশ্যত রাগান্বিত ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পকে মিথ্যামিশ্রিত প্রত্যুত্তর দিতে দেখা যায়।
বিতর্কের একপর্যায়ে ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে কমলা বলেন, ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে আসা লোকজন প্রায়ই ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে আগেই চলে যান।
এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘…আমাদের সমাবেশগুলো সবচেয়ে বড়, রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে অবিশ্বাস্য সমাবেশ।’
এরপর ট্রাম্প অভিবাসীদের নিয়ে একটি মিথ্যা দেন। তার ভাষ্য, ওহাইও অঙ্গরাজ্যের স্প্রিংফিল্ড এলাকায় অভিবাসীরা পোষা প্রাণী খাচ্ছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা কুকুর খাচ্ছে।’ এ কথা শুনে হাসেন বিশ্বাস না করা কমলা।
আরও পড়ুন:শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। এ বিষয়ে যে আইন হতে যাচ্ছে তাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।
অ্যালবানিজ মঙ্গলবার এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে।
তিনি বলেন, ‘সামাজিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এটি শিশুদের প্রকৃত বন্ধু ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’
গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬১ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান ১৭ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশাধিকার সীমিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিষিদ্ধ করতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার ম্যালিনাউসকাসের সাবেক ফেডারেল বিচারক রবার্ট ফ্রেঞ্চকে আইনি পথগুলো অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, আইনটির খসড়া তৈরির সময় ফেডারেল সরকার রবার্ট ফ্রেঞ্চের পর্যালোচনা বিবেচনা করবে।
ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক জরুরি অবস্থা কর্তৃপক্ষ।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের বরাতে আল জাজিরা জানায়, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় কমপক্ষে ২০টি তাঁবুতে মঙ্গলবার ভোরে হামলা হয়।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিস ও নিকটবর্তী রাফাহতে স্থল অভিযানের ঘোষণার পর উপকূলবর্তী আল-মাওয়াসি এলাকাকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই এলাকায় স্থাপন করা তাঁবুতে আশ্রয় নেন ফিলিস্তিনিরা।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে আল জাজিরা অ্যারাবিক জানায়, তাঁবু শিবিরটিতে জীবিতদের সন্ধানকারীরা ৯ মিটার পর্যন্ত গর্ত পেয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-মাওয়াসি এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন। হামলার পর শিবিরে জ্বলছিল আগুন। অন্যদিকে ইসরায়েলের বিমান ছিল মাথার ওপর।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষাবিষয়ক মুখপাত্র জানান, ঘটনাস্থলের প্রাথমিক পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে হামলাটি ছিল ‘উন্মত্ত এ যুদ্ধের অন্যতম ন্যক্কারজনক নির্বিচার হত্যা’।
মুখপাত্র আরও জানান, হামলায় নিহত লোকজনকে উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্স ও বেসামরিক প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা লোকজনকে।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি (এএ)। রাখাইনের জাতিগত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী শনিবার এক বিবৃতিতে এমনটা দাবি করেছে।
আরাকান আর্মি বিবৃতিতে বলেছে, এক মাস তুমুল লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার রাখাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর থানদের নাগপালি সৈকতের অদূরে নেভি সিল ট্রেনিং সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।
আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়া ওই ঘাঁটির নাম সেন্ট্রাল নেভাল ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ডিপো (সিএনডিএসডি)। প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো নৌ সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণে নিল প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
জান্তা বাহিনীর এই নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে ৭ আগস্ট বড় পরিসরে অভিযান শুরু করে আরাকান আর্মি। প্রথমে নৌঘাঁটির আশপাশের গ্রামে মোতায়েন জান্তা সেনাদের ওপর হামলা চালায় তারা।
আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনী নৌঘাঁটির আশপাশ ঘিরে এক হাজার ২০০ জনের বেশি সেনা মোতায়েন করেছিল। পাশাপাশি প্রশিক্ষণরত নৌসেনারাও লড়াইয়ে অংশ নেয়। যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান থেকেও আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের অবস্থানে হামলা চালানো হয়। এত কিছুর পরও জান্তা বাহিনী ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি বলে আরাকান আর্মির বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
আরাকান আর্মির দাবি, নৌঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গত এক মাসের লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর চার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে তারা।
জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একটি জোট গঠন করেছে। গত বছরের ২৭ অক্টোবর এই জোট বড় পরিসরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য