ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে। আগ্রাসনের আশঙ্কা করছে ন্যাটোর দেশগুলো। যে কোনো সামরিক আগ্রাসনের পরিণতির বিষয়ে রাশিয়াকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘হ্যাঁ’ রাশিয়া কোনো আগ্রাসন চালালে পুতিনের ওপর ব্যক্তিগত অবরোধ আরোপ করা হবে।
এ ছাড়া রাশিয়াকে সাংঘাতিক পরিণতির বিষয়েও সতর্ক করেছেন বাইডেন।
তার এই মন্তব্য এমন সময় এলো যখন পশ্চিমা নেতারা রাশিয়ার যে কোনো আগ্রাসনমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বারবার সতর্ক করছে।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর উপস্থিতি বাড়াতে উদ্যোগ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
বাইডেন আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই, কোনো সদস্যের চিন্তা করার কিছু নেই। ন্যাটো তাদের প্রতিরক্ষায় থাকবে।’
তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
এর আগে ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গ সোমবার বলেছেন, ন্যাটো সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এমনকি ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমেও যুদ্ধসেনা মোতায়েন করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধের বিষয়ে এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, দেশটি নিষেধাজ্ঞার খসড়া চূড়ান্ত করছে।
তবে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ন্যাটোকে দায়ী করছে দেশটি।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অন্তত ২০ লাখ নাগরিক।
আরও পড়ুন:বিশ্বে করোনা মহামারিকালে গত বছর নব্য ধনকুবেরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সেই সঙ্গে প্রকট হয়েছে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য। নতুন করে ২৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে।
উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে ২০২০ সালে অস্থির পরিস্থিতিকে কাছে লাগিয়ে নব্য বিলিয়নেয়ার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন কমপক্ষে ৫৭৩ জন। এদের নিয়ে বিশ্বে মোট বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৬৮ জনে।
মহামারির সুযোগে নিজেদের সম্পদ আরও বাড়িয়ে নিয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে বিলিয়নেয়ার ক্লাবে যোগ দেয়া এই ধনীরা। সে হিসাবে, মহামারির সময় প্রতি ৩০ ঘণ্টায় একজন হয়ে গেছেন বিলিয়নেয়ার।
সেই সঙ্গে ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েছে ৪২ শতাংশ, যা ৩ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান। এখন বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার।
অক্সফামের ইনইকুয়ালিটি পলিসির প্রধান ম্যাক্স লসোন বলেন, ‘বিলিয়নেয়ারদের সম্পদের এই উল্লম্ফন হয়েছে করোনা মহামারির প্রথম বছরে। এর পরের বছর ২০২১ সালে ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েছে খুব কম।
‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত অল্প সময়ে সম্পদশালীদের এত বেশি সম্পদ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে এত দ্রুত এত বেশিসংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেনি।’
বৈষম্য কেন তীব্র
করোনাকালে বিশ্বব্যাপী কোটি মানুষ যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাবার চড়াদামে কিনতে হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তখনই বড় বড় কোম্পানি ও তাদের মালিকরা মুনাফা করেছে কয়েক গুণ বেশি হারে।
গত দুই বছরে খাদ্য ও কৃষিপণ্যের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ধনকুবেরদের সম্পদ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। তাদের মোট সম্পদ বেড়েছে ৩৮২ বিলিয়ন ডলার।
সেই সঙ্গে জ্বালানি, গ্যাস ও কয়লার সঙ্গে জড়িত বিলিয়নিয়ারদের সম্পদে ২০২০ সালে উল্লম্ফন হয়েছে ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৪ শতাংশ।
ওষুধ শিল্পমালিকদের মধ্যে নব্য বিলিয়নেয়ার হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জন।
এ সময় প্রযুক্তি খাতেও নব্য ধনকুবের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে। এ ছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, বিল গেটসসহ সাত জনের সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। গত দুই বছরে তাদের সম্পদের পরিমাণ ৪৩৬ বিলিয়ন ডলার থেকে উল্লম্ফন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৪ বিলিয়ন ডলার।
ধনী-দরিদ্রের এমন বৈষম্যরোধে করপোরেট ও বহুজাতিক কোম্পানির লভ্যাংশের ওপর আরও বেশী কর আরোপের জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম।
আরও পড়ুন:মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় দেখতে পাওয়া মাঙ্কিপক্স এখন আফ্রিকার বাইরে প্রায় ১৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করেছে বেলজিয়াম, আর কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত ‘মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত’ শনাক্ত হয়েছে ১০০ জনের বেশি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে প্রতিষেধক টিকা কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক ঝুঁকি অত্যন্ত কম এবং এর হুমকি কোনোভাবেই করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে তুলনীয় নয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তা মারিয়া ভ্যান কেরখোভ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য পরিস্থিতি।
কেরখোভ বলেন, ‘শরীরের ত্বকের সংস্পর্শে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ সত্যিই ঘটছে, যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই হালকা রোগে আক্রান্ত। আমরা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ বন্ধ করতে চাই।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রোগ বিষয়ক বিভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন মারিয়া ভ্যান কেরখোভ।
এদিকে আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ার কারণে ভাইরাসের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না- এমন প্রশ্ন সামনে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্য আরেকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভাইরাসের পরিবর্তনের এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ডব্লিউএইচওর গুটিবসন্ত বিভাগের প্রধান রোসামুন্ড লুইস বলেছেন, এই গ্রুপের ভাইরাসগুলো জিনগত পরিবর্তনের প্রবণতা রাখে না। তারা মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে।
আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী
১৯৮০ সালে নির্মূল হওয়া গুটিবসন্তের কাছাকাছি এই মাঙ্কিপক্স। এর লক্ষণগুলো অনেকটা চিকেনপক্সের মতো। প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর, মাথাব্যথা, পেশির ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা ও ক্লান্তি। এর ফুসকুড়িগুলো মুখে ওঠা শুরু করে। পরে পুরো দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
এর লক্ষণগুলো সাধারণত সংক্রমণের ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে দেখা দিতে শুরু করে এবং পরের দুই থেকে ৪ সপ্তাহ তা স্থায়ী হয়। মাঙ্কিপক্সের কোনো প্রতিষেধক না থাকলেও বেশির ভাগ রোগীই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারণা করছে, এর মৃত্যুর হার হবে ৩ থেকে ৬ শতাংশ।
মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়
ডব্লিউএইচও বলছে, মাঙ্কিপক্স মানুষ থেকে মানুষে সাধারণত ছড়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসের ড্রপলেট (ক্ষুদ্র জলকণা) এবং সংক্রমিত রোগীর ত্বকের ক্ষতের সংস্পর্শে এলে।
মাঙ্কিপক্সকে এর আগে কখনও যৌন সংক্রামক রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি, তবে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, হয় তারা সমকামী নয়তো উভকামী পুরুষ। স্পেনে ও পর্তুগালের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, দেশ দুটিতে শনাক্ত হওয়া প্রায় সব রোগীই সমকামী। কানাডার ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, শনাক্ত হওয়া প্রায় সবাই সমকামী পুরুষদের সঙ্গে জড়িত।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এজেন্সির গবেষক মাতেও প্রোচাজকা মঙ্গলবার বলেন, ‘ইংল্যান্ডে বর্তমান মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে সমকামী ও উভকামীদের যৌন নেটওয়ার্কের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।’
একাধিক দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যেসব ঘটনা তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন, তার মধ্যে মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে যুক্ত ক্ষতগুলো মূলত পুরুষ রোগীদের যৌনাঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ফলে তারা ধারণা করছেন, যৌনতার মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে।
মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে যা করা হচ্ছে
ডেনমার্কের ওষুধ কোম্পানি ব্যাভারিয়ান নর্ডিক আগেই গুটিবসন্ত ও মাঙ্কিপক্সের সমন্বিত টিকা তৈরি করেছে। জেইননিওস নামের এ টিকা ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন পেয়েছিল, কিন্তু ইউরোপে শুধু গুটিবসন্তের ক্ষেত্রে এই টিকা দেয়ার অনুমোদন রয়েছে।
শরীরের ত্বকের সংস্পর্শে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ সত্যিই ঘটছে, যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই হালকা রোগে আক্রান্ত। আমরা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ বন্ধ করতে চাই।
ব্যাভারিয়ান নর্ডিক বুধবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলারের জেইননিওস ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়েছে, যা ২০২৩ সালের মধ্যে দেয়া হবে। যদিও ব্যাভারিয়ান নর্ডিকের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মোট চুক্তির পরিমাণ ২৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এই চুক্তির আওতায় দেশটি প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি আরও একটি ইউরোপীয় দেশের কথা জানিয়েছে, যারা টিকার জন্য চুক্তি করেছে, তবে দেশটির নাম প্রকাশ করেনি ব্যাভারিয়ান নর্ডিক।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ভ্যাকসিনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত এবং সমকামী পুরুষদের টিকা দেয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের মার্চ এবং এপ্রিলে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বিশেষ তাপপ্রবাহ দেখা যায় যাতে ৯০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই তাপপ্রবাহের শঙ্কা ৩০ গুণ বেশি হতে পারে।
ওই প্রতিবেদনে পরিবেশ বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক অটো বলেছেন, ‘মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের সূচনা হওয়ার আগে, প্রতি ৩০ হাজার বছরে একবার এই ধরনের ঘটনার শঙ্কা থাকে।’
ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন (ডব্লিউডাব্লিউএ) কনসোর্টিয়ামে ফ্রেডরিক এবং তার সহকর্মীরা দেখেন যে, ‘১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণতা দক্ষিণ এশিয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহের শঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলেছে। যেহেতু বৈশ্বিক উষ্ণতা নিরবচ্ছিন্নভাবে বেড়ে চলেছে। তাই এই ধরনের ভয়াবহ তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়বে।
মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতার বর্তমান স্তরের কারণে এই তাপপ্রবাহের শঙ্কা ৩০ গুণ বেশি হয়েছে, গ্রুপের সমীক্ষায় সোমবার প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পৃথিবীর ভূমি পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প স্তরের চেয়ে ১ ডিগ্রির চার-পঞ্চমাংশ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলে প্রতি পাঁচ বছরে একবার এই ধরনের তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
প্যারিস চুক্তির অধীনে কার্বন নির্গমনরোধ করা না গেলে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৈশ্বিক উষ্ণতা দেখা যেতে পারে।
ভারত ও পাকিস্তান, চলতি বছরের মার্চ এবং এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এই তাপপ্রবাহে ৯০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এমন প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানে। সেখানে একটি হিমবাহের অগ্ন্যুৎপাত, বন্যার স্রোত; ভয়াবহ তাপ ভারতের জমিতে গমকে পুড়িয়ে দেয়।
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে খাদ্য সংকটের কারণে এই ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়। এর ফলে ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পায় যা কয়লার মজুতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর প্রবল নিষেধাজ্ঞার মাঝেও নাটকীয় উত্থান ঘটেছে রুশ মুদ্রা রুবলের। যুদ্ধ শুরু করার আগ মুহূর্তে এই মুদ্রার মান যে অবস্থায় ছিল সোমবার পর্যন্ত তার থেকে ৩০ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। দেশটির মূলধন প্রবাহে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলেই এমনটি হয়েছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্লুমবার্গের বরাতে সোমবার এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ এর মিত্র দেশগুলো একের পর এক নিষেধাজ্ঞা এবং অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞাও কিছু ক্ষেত্রে রাশিয়ার জন্য শাপেবর হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে দেশটির আমদানিও কমে যায়, ফলে কমে যায় দেশটির আমদানি ব্যায় এবং বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদাও।
এ ছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে ইউরোপের দেশগুলো যে গ্যাস ও তেল ক্রয় করে তার মূল্য চুক্তি অনুযায়ী আগে ইউরোতেই পরিশোধ করা হতো। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ওই দেশগুলোকে রুবলে মূল্য পরিশোধের বাধ্যবাধকতা দেয়। ইউরোকে রুবলে কনভার্ট করে রাশিয়ার জ্বালানি ক্রয় করতে হচ্ছে বলে রুবলের চাহিদাও বেড়েছে। এর ফলে রুবলের দামও বেড়েছে।
জ্বালানি বিক্রি করে এভাবে মাত্র চারটি লেনদেনের পরই ইউরো মুদ্রার বিপরীতে রুবল এক লাফে ১৩ শতাংশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এর মধ্যে ৬.২ শতাংশই হয়েছে সোমবার।
সোমবার বিকেলে রুশ অর্থমন্ত্রী দেশটির মুদ্রার মান এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানান। এ ছাড়া দেশটির মূলধন প্রবাহ ও আমদানি ব্যায়ের মধ্যে খুব বেশি বৈসাদৃশ্য না থাকায় অর্থনীতির ওপরও চাপ কম বলে জানান তিনি।
ভারত ও চীনের কাছে জ্বালানি বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করছে রাশিয়া। দেশটির রপ্তানি আয়ের আয়ের ৪০ শতাংশই আসে তেল ও গ্যাস বিক্রি করে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের তাতিয়ানা অরলোভা বলেন, ‘মূলধন নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়ার পর ডলারের বিপরীতে রুবলকে ৭০ থেকে ৮০ রেঞ্জে ফিরিয়ে দেবে, যা দেশটির অর্থনীতির জন্য আরও আরামদায়ক হবে।’
এ আগে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর নিষেধাজ্ঞার মুখে রুবলের মান দ্রুত পড়ে যেতে শুরু করলে টানা দুই সপ্তাহ মস্কোর শেয়ার বাজার বন্ধ রেখেছিল দেশটি। কিন্তু মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে রুবল আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।
তাতিয়ানা রোমানোভা বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার তেল-গ্যাস রপ্তানির পরিমাণ কমেছে এ কথা ঠিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেল-গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়া তা পুষিয়ে নিচ্ছে।’
এদিকে, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার দ্বিগুণ করে। বিদেশি মুদ্রা না কিনে যারা রুবল সঞ্চয় করবেন, তাদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়। আর রুশ কোম্পানিগুলো বিদেশে ব্যবসা করে যে আয় করবে তার ৮০ শতাংশ রুবলে কনভার্ট করে নিতে হবে। এর ফলে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের একটি বড় চাহিদা তৈরি হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাতে দেখা গেছে, আমেরিকান এক ডলার সমান ৫৯ রুবল। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রুশ মুদ্রা যেভাবে শক্তিশালী হচ্ছে তাতে কিছু দিনের মধ্যে এক ডলার সমান ৫০ রুবল হয়ে যাওয়াও অসম্ভব কিছু নয়।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে উত্তর পাঞ্জাবের মরু অঞ্চল চোলিস্তান। তাপে শুকিয়ে গেছে সব জলাধার। খাওয়ার পানির দেখা দিয়েছে তীব্র সংকট। আর এই সংকটের মুখে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। পানির অভাবে দিন দিন বাড়ছে গবাদিপশুর মৃত্যু। পাকিস্তানের দরিদ্রতম এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবিকা এই গবাদিপশুর ওপর নির্ভর করে।
চোলিস্তানের বাসিন্দাদের দুরবস্থা দেখতে সেখানে চষে বেড়িয়েছে ভাইস নিউজ। মধ্য দুপুরে তারা দেখতে পান, বৃদ্ধ এক খামারি লুটিয়ে পড়েছেন কাদামাটিতে। আশপাশের লোকজন তাকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন। তবে দাঁড়ানোর সক্ষমতা ছিল না বৃদ্ধের।
এ ঘটনার মাত্র কিছু আগে নিজের মারা যাওয়া পশুদের দেহ নিয়ে আসার জন্য ওই কর্দমাক্ত জলাশয়ের কাছে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ ব্যক্তিটি।
একপর্যায়ে তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘হে ঈশ্বর, তাদের (পাকিস্তান সরকার) ধ্বংস করুন। আমার গবাদিপশু তৃষ্ণায় মারা গেছে। আমাদের কোনো রক্ষক নেই। তারা যা করেছে তার জন্য ঈশ্বরের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
ওই বৃদ্ধের আবেগঘন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে নিজ দেশের সরকারকে অভিশাপ দিতে দেখা যাচ্ছে অসহায় এই খামারিকে। তার অভিযোগ, সরকারের উদাসীনতার জন্যই চোলিস্তানের মরু অঞ্চলের দরিদ্র কৃষকদের ওপর বিপর্যয় নেমে এসেছে।
سیف سٹی کے ساتھ ساتھ سیف چولستان کے بارے میں بھی سوچیں۔ ایک کیمرہ چولستان پر بھی لگائیں۔۔جہاں بے زبان جانور پانی ہی قلت اور شدید گرمی کی وجہ سے کررہے ہیں۔#چولستان_کو_پانی_دو pic.twitter.com/lsw9UMtpFy
— Valentina Reece (@reece_valentina) May 11, 2022
মার্চের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহে পাকিস্তানের ২২০ মিলিয়ন জনসংখ্যার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশে তীব্রতর হয়েছে, চালিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাদ জুগনু বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি না বদলায়, তবে আমরা মারা যাব। আপনি খবরে দেখতে পাবেন চোলিস্তানের বাসিন্দারা মারা গেছে।
‘ঈশ্বরের ভালোবাসার জন্য, সরকারকে চোলিস্তান সম্পর্কে ভাবতে হবে। আমাদের পানি দেয়া উচিত। অন্যথায় আমরা মারা যাব।’
বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে ১ শতাংশেরও কম নিঃসরণ করে পাকিস্তান। তবে জার্মানওয়াচের ২০২১ সালের সমীক্ষা বলছে, আবহাওয়ায় পরিবর্তনের কারণে দেশটি এখনও ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোয় পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই অঞ্চলের মানুষ এবং প্রাণীরা পানিশূন্যতায় ভুগছে, হিটস্ট্রোকের বড় ঝুঁকিতে আছে।
চোলিস্তানে তীব্র তাপমাত্রা এবং কম বৃষ্টিপাতের ফলে কূপগুলো শুকিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে ফসল। বাধ্য হয়ে অঞ্চল ছেড়ে যাচ্ছে বহু মানুষ।
রেহাই পাচ্ছে না পশু-পাখিরাও। এই অঞ্চলে বাস করা দুই লাখ মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস গবাদিপশু। গত কয়েক দিনে অন্তত ৫০ প্রাণী মারা গেছে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সংখ্যাটা ২০০-র কাছাকাছি।
জুগনু বলেন, ‘চোলিস্তানের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় চারদিকে খরা। অনেক প্রাণী মারা গেছে। কিছুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
বিষয়টি আমলে নিয়েছে প্রশাসন। জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা শিবির স্থাপন করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বিশুদ্ধ পানি আছে এমন জায়গায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে মানুষ ও গবাদিপশুকে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে আরও পরিকল্পনা নিচ্ছে পাকিস্তান সরকার।
তবে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ব্যবস্থা আগেই নিতে পারত সরকার। এতে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা কমানো যেত অনেক। গ্রীষ্মে যখন থেকে তাপদাহ বাড়তে শুরু করেছিল, সে সময় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভূগর্ভস্থ পানির জন্য ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টের অভাবকে দায়ী করছেন বাসিন্দারা। বৃষ্টির পানি সংগ্রহের জন্য পুকুরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হতো না তাদের। সরকার প্রতিবেশী অঞ্চল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে চোলিস্তানে পানি সরবরাহ করতে লাখ লাখ টাকা খরচ করলেও, পাইপগুলো শুকিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে খরা মৌসুমে পানি সরবরাহের জন্য নিয়মিত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, বিয়েতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নেচে এসেছিলেন সংবাদের শিরোনামে। পরে যোগ দেন পুতিনের দেশেরই এক প্রতিষ্ঠানে। এবার সে চাকরি ছাড়লেন তিনি।
আলোচিত কারিন নেইসলের রাশিয়ার তেল কোম্পানি রোসনেফ্ট ছাড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে কারিনের চাকরি ছাড়ার তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার থেকে এই কর্মকর্তা আর দায়িত্বে নেই।
৫৭ বছর বয়সী কারিন ২০১৮ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। সে সময় ‘বন্ধু’ পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে পুতিনের সঙ্গে নাচেন কারিন। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বিশ্বের প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যমগুলো।
নিজ দেশের সরকারের দায়িত্ব ছেড়ে বিয়ের পরের বছরই রুশ কোম্পানি রোসনেফ্টে যোগ দেন কারিন। গত জুনে পান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের দায়িত্ব।
জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোডার রোসনেফ্টে ছেড়ে যাচ্ছেন বলে তথ্য প্রকাশের পরদিনই নিজের পদত্যাগের কথা জানান সাবেক এই মন্ত্রী। অবশ্য শুক্রবারই তিনি জানিয়েছিলেন, আরও বছরখানেক কোম্পানিতে থাকতে চান।
চার বছর আগে অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন যখন বিয়েতে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানান, তখন বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
বিরোধী দলীয় রাজনীতিকরা অভিযোগ করেছিলেন, কারিন তার বিয়েতে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন।
তৎকালীন মন্ত্রী কারিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে ফুলের তোড়া নিয়ে প্রবেশ করেন পুতিন। তার সঙ্গে ছিল রাশিয়ার সংগীত শিল্পীদের একটি দল। তারা বিয়েতে গানও পরিবেশন করে। অস্ট্রিয়ার স্টাইরিয়া রাজ্যে হওয়া অনুষ্ঠানে কারিনের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নাচেন পুতিন। এ নিয়ে বিতর্ক হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেশটির ৮০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। একই সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। কারিনের পদ ছাড়ার সঙ্গে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা অবশ্য এখনই স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন:বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স নিয়ে উদ্বেগের মাঝে সংক্রমণ মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বিদেশ থেকে আসা কোনো ব্যক্তির মাঙ্কিপক্স উপসর্গ থাকলে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকতে হবে তাকে।
ভারত সরকারের নির্দেশ মেনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাজ্যটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘এখনও আমাদের দেশে মাঙ্কিপক্সে শনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দিলে ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা পুনেতে পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য।’
২১ দিনের মধ্যে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ থেকে কোনো ব্যক্তি যদি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন, সে ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখে তার চিকিৎসা করা হবে।
ওই ব্যক্তি কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে রাজ্যটির স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২টি দেশের ৯২ জনের শরীরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
প্রাণঘাতী না হলেও সপ্তাহ তিনেক জ্বর, ব্যথাসহ নানা উপসর্গ থাকছে এই রোগে।
যদিও বলা হচ্ছে, এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সাধারণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত বেশির ভাগ মানুষই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য