× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Elections in Uttar Pradesh Cow slaughter may be banned
google_news print-icon

উত্তর প্রদেশে নির্বাচন: গরু রক্ষার খেসারত গুনতে পারে যোগী সরকার

উত্তর-প্রদেশে-নির্বাচন-গরু-রক্ষার-খেসারত-গুনতে-পারে-যোগী-সরকার
বেওয়ারিশ গরুর উত্তর প্রদেশের শহর গ্রামে অহরহ দেখা মেলে। ছবি: বিবিসি
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে এমন ঘটনা সম্প্রতি বাড়ছে। রাজ্যটিতে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার পর বেওয়ারিশ গরুর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। আর এটিই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ভারতের উত্তর প্রদেশে গত নভেম্বরের এক সকালে বাড়িতে বসে আয়েশ করে চা পান করছিলেন রাম রাজ। আচমকা বেওয়ারিশ এক গরু তাকে আক্রমণ করে বসে।

বিষয়টির এখানেই শেষ হয়নি। এর পরপর আক্রমণের শিকার হয় তার নাতি। এ ঘটনায় ৫৫ বছরের কৃষক রাম প্রাণ হারান। হাসপাতাল পর্যন্ত নেয়া যায়নি তাকে।

রামের পুত্রবধূ আনিতা কুমারী বলেন, ‘আমাদের জীবনের ভয়াবহ ঘটনা ছিল এটি। শোকে থেকে আমার শাশুড়ির খাওয়া-দাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।’

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে এমন ঘটনা সম্প্রতি বেড়েছে। রাজ্যটিতে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার পর বেওয়ারিশ গরুর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। আর এটি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হিন্দু মতে, গরু পবিত্র, পূজনীয়। তারপরও অনেক কৃষক তাদের বুড়ো হয়ে যাওয়া গরুগুলোকে কসাইখানায় বিক্রি করে দেয়।

উত্তর প্রদেশে নির্বাচন: গরু রক্ষার খেসারত গুনতে পারে যোগী সরকার
হিন্দু মতে গরু পবিত্র প্রাণী। ছবি: বিবিসি

কৃষক শিব পুজান বলেন, ‘গরু যখন দুধ দেয়া বন্ধ করে দেয় অথবা বৃদ্ধ হয়ে যায় (চাষাবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে) তখন আমরা তা বিক্রি করে দিই।’

কিন্তু কেন্দ্রে আসীন ক্ষমতাসীন দল বিজেপি গো-হত্যার চরম বিরোধী। উত্তর প্রদেশসহ ১৮ রাজ্যে গো-হত্যা অবৈধ ঘোষণা করেছে মোদি সরকার।

কট্টর মতাদর্শের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০১৭ সালে ক্ষমতায় এসেই কসাইখানা বন্ধ করে দেন; যদিও এটি রাজ্যের অন্যতম বড় খাত।

গরু ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ মুসলিম, আছে কিছু দলিত সম্প্রদায়ের লোক। রাজ্য সরকারের আদেশ অমান্যে তাদের অনেকের ওপর হামলা হয়েছে। খুন হয়েছেন অনেকেই। স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা অনেকটা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই এসব নিপীড়ন চালিয়েছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠের চাপে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। খাবারের জোগান দিতে না পারায় বাধ্য হয়ে বুড়ো গরুগুলোকে পাশের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসে তারা।

কৃষক পুজান বলেন, ‘এখানে গরুর কোনো ক্রেতা নেই। আমাদের বাধ্য করা হয়েছে বুড়ো গরুগুলোকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দিতে।’

জঙ্গলে খাবার না পেয়ে এসব গরু ঢুকে পড়ে শহর কিংবা গ্রামের লোকালয়ে। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর গরুগুলো তখন হয়ে ওঠে বেপরোয়া।

পুজান বলেন, ‘এমন কোনো একটি গরু সেদিন রাম রাজের বাড়িতে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়েছিল। তার পরিবার গরুটিকে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করলে আক্রমণ করে বসে গরুটি।

ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে সম্প্রতি এমন দুটি গরুর আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন পুজান নিজেও।

তিনি বলেন, ‘গরু দুটি আমাকে গুঁতো দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছিল। কোনোরকমে দৌড়ে জীবন বাঁচাই। তারকাঁটার বেড়ায় হাত কেটে যায়। এখন ব্যান্ডেজ নিয়ে ঘুরছি।’

পুজান নিজেও ধর্মভীরু। কিন্তু তাতেও সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তার দাবি, বেওয়ারিশ এসব গরু ফসল নষ্ট করছে, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা মানুষ হত্যা করছে।

উত্তর প্রদেশে নির্বাচন: গরু রক্ষার খেসারত গুনতে পারে যোগী সরকার
কৃষক পুজান গরুকে পবিত্র মানলেও বেওয়ারিশ গরুকে মানুষের জন্য হুমকি বলছেন। ছবি: বিবিসি

এসব বেওয়াশির গরুর কারণে জীবন পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে গেছে পুনম বোল নামের এক বিধবার। গরুর আক্রমণে প্রাণ গেছে তার স্বামীর, সন্তান হয়ে গেছে শারীরিক প্রতিবন্ধী।

করোনার কারণে ২০২০ সালে চাকরি খুইয়েছিলেন ৩৬ বছরের যুবক ভূপেন্দ্র দুবে। গ্রামে ফেরার কিছুদিনের মাথায় গরুর আক্রমণে প্রাণ হারান তিনি। স্থানীয় বাজারে ছেলের জন্য মিষ্টি কিনতে গিয়েছিলেন ভূপেন্দ্র। সেখানেই বেওয়ারিশ এক গরু আক্রমণ করেছিল তাকে।

চার বছরের বেশি সময়ে এমন ঘটনার নজির অনেক। ২০১৯ সালে রাম খালি নামে ৮০ বছরের এক ব্যক্তি গরুর আক্রমণের শিকার হয়ে কোমায় চলে যান।

আগামী ২২ মার্চ উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের বেশির ভাগ বাসিন্দা কৃষক। ভোটার টানতে তাই এই ইস্যুটিকে সামনে তুলে আনছে বিরোধীরা।

বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। তাদের শীর্ষ নেতারা বলছেন, এই সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখপাত্র সমির সিং বলেন, ‘হিন্দু রীতিতে বৃদ্ধ গরুকে জঙ্গলে পাঠানোর কোনো নিয়ম নেই। আমরা কখনও পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে এমন করি না। তবে গরুকে কীভাবে মরার জন্য রাস্তায় ছেড়ে আসা হয়?

‘এসব গরুর জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এমন হাজার হাজার আশ্রয়কেন্দ্রের খরচ জোগাতে মদের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে।’

কিন্তু এই উদ্যোগ যে কার্যকরী না তার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি। অযোধ্যায় সরকার পরিচালিত একটি গরু আশ্রয়কেন্দ্র বিবিসি হিন্দির শত্রুঘ্ন তিওয়ারি সরেজমিনে ঘুরে দেখতে পান, কানায় কানায় ঠাসা প্রতিটি কেন্দ্র।

তিনি বলেন, ‘এখানে ২০০ গরু আছে। এটাই সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা। আরও ৭০০ থেকে ১০০০ গরু আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

ফসল বাঁচাতে কেন্দ্রে আশ্রয় না পাওয়া এসব বেওয়ারিশ গরু নজরে রাখছে স্থানীয় কৃষকরা। ঠাণ্ডা আর সাপের ছোবল উপেক্ষা করে পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিয়ে যাচ্ছে তারা।

উত্তর প্রদেশে নির্বাচন: গরু রক্ষার খেসারত গুনতে পারে যোগী সরকার
রাত জেগে ফসল পাহারা দিচ্ছেন এক নারী কৃষক। ছবি: বিবিসি

৬৪ বছরের কৃষক বিমলা কুমারী বলেন, ‘সকালে একদল এসে পাহারা দেয়, রাতে অন্য দল। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা চরম বিরক্ত। ভাবছি নির্বাচন বয়কট করব।’

দিনা নাথ নামে আরেকজন বলেন, ‘কেন এমন নির্বাচনে ভোট দেব, যেখানে নির্বাচিতরা সাধারণের কষ্ট বুঝবে না।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Tareq Rahmans gift distribution at Pujamandap in Comilla

কুমিল্লায় ১৩১ পূজামণ্ডপে তারেক রহমানের উপহার বিতরণ

কুমিল্লায় ১৩১ পূজামণ্ডপে তারেক রহমানের উপহার বিতরণ

আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগরীর ১৩১টি পূজামণ্ডপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে নগদ বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর ধর্মসাগর পাড়স্থ কুমিল্লা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উপহার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপহার বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।

অনুষ্ঠানে মহানগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে উপহার গ্রহণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারি আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিউর রাজিব, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকসহ মহানগর ও ওয়ার্ড বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় দেশের মানুষের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই মন্ত্রে বিশ্বাস করে বিএনপি। শারদীয় দুর্গাপূজা হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির একটি বড় অংশ। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দলের পক্ষ থেকে প্রতিবারই বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন বলেন, “তারেক রহমান সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের প্রতি সমান সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা পোষণ করেন। কুমিল্লার ১৩১টি পূজামণ্ডপে আজকের এই উপহার প্রদান তারেক রহমানের আন্তরিক ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি বিশ্বাস করে—একটি সুস্থ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতেই হবে।”

অনুষ্ঠান শেষে পূজামণ্ডপ প্রতিনিধিরা বিএনপি ও তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ উৎসবকে আরও আনন্দঘন করে তোলে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The river canal is being resumed to reduce permanent waterlogging in Keshabpur

কেশবপুরে স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে পুনঃখনন শুরু হচ্ছে ১৩ নদী-খাল

১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ
কেশবপুরে স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে পুনঃখনন শুরু হচ্ছে ১৩ নদী-খাল

বন্যা ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে চলতি মাসেই ৩টি নদী ও ১০টি সংযোগ খালের - পুনঃখনন কাজ শুরু হচ্ছে। এ কাজের জন্য ১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনী ৩টি নদীর ৮২ কিলোমিটার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ১০টি সংযোগ খালের ৩১ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে।

কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে হরি নদীর ভবদহের ২১ ভেন্ট সুইস গেট থেকে উজানে ৭ কিলোমিটার ও ভাটিতে হরি নদীর খর্ণিয়া ব্রিজ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার, খর্নিয়া ব্রিজ থেকে তেলিগাতি ঘ্যাংরাইল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার, হরি নদীর শাখা আপার ভদ্রার কাশিমপুর থেকে মঙ্গলকোট ব্রিজ পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বড়েঙ্গার তিন নদীর মোহনায় জিরো পয়েন্ট থেকে কেশবপুর মনিরামপুর হয়ে রাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত হরিহর নদীর ৩৫ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে। এছাড়া নদীর ১০টি সংযোগ খালের মধ্যে নুরানিয়া ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার, বাদুড়িয়া ৩ কিলোমিটার, বুড়ি ভদ্রার শাখা খালের ৫ কিলোমিটার, গরালিয়া ১ দশমিক ৩৫০ কিলোমিটার, কন্দর্পপুর ১ কিলোমিটার, কাশিমপুর ১ কিলোমিটার, ভায়না ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বিল খুকশিয়া ৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বুড়ুলি ৩ কিলোমিটার ও পাথরা খাল ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে নদীর সিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীও নদীগুলি পরিদর্শন করেছেন। পাউবো আরও জানায়, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার বর্ষার অতিরিক্ত পানি হরি নদীর শাখা দেলুটি দিয়ে শিবশা নদী হয়ে সাগরে পতিত হয়। এসব নদীর সংযোগ খালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসংখ্য পোল্ডার ও ৯১টি লুইস গেট রয়েছে। বিল খুকশিয়া ৮ ভেন্ট সুইস গেটের সাথে ছোট বড় ২৭ টি বিল, নূরনিয়া ৪ ভেন্ট সুইস গেটের সাথে ১২টি বিল, ভবদহের ২১ ও ৯ ভেন্ট লুইস গেটের সাথে ছোট বড় ৫২টি বিল ও কোনো কোনো রেগুলেটরের সাথে একাধিক বিল যুক্ত আছে। যা পোল্ডারে আবদ্ধ থাকায় দু'পাশ পলিতে ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পোল্ডারের কারণে প্লাবনভূমির সঙ্গে নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বর্তমানে হরিনদীসহ অন্যান্য নদীতে জোয়ার উঠে না। ফলে নদীগুলো বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়ে থাকে।

এছাড়া শুধুমাত্র কেশবপুরের বিভিন্ন বিলের মধ্যে ৫৯টি সরকারি খাল রয়েছে যা মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা দখল করে তাদের ঘেরের সাথে যুক্ত করে মাছ চাষ করে আসছে। এসব খাল দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩টি নদী ও ১০টি খাল পুনঃখননে সরকার ১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩টি নদীর পুনঃখনন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করা হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী নদী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসব নদী-খাল খনন সম্পন্ন হলে এলাকা বন্যা ও জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Video viral of a doctors abuse with the relatives of the rape victim

ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকের দুর্ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল

ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকের দুর্ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর অভিভাবকের সঙ্গে অত্যন্ত অশালীন ভাষা ব্যবহার ও দুর্ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ঘটা এই ঘটনার একটি বিতর্কিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, চিকিৎসক আবুল কাশেম চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা ও স্বজনদের উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ, অপমানজনক ও হুমকিমূলক ভঙ্গিতে কথা বলছেন।

স্থানীয় ভাষায় তাকে বলতে শোনা যায়— ‘ ‘হাসপাতালডাক তোমরা চিড়িয়াখানা পাইছ, চিড়িয়াখানার মতো ভর্তি হবার আইসো, কোনঠে সাংবাদিক আইসো, দেউনিয়া-মদ্দিনা আইসো, এলাকাবাসী আইসো, পুরুষ-মহিলা আইসো, ছোট-বড় আইসো, এইটা হরিবোল, হরিবোল দেওয়ার জায়গা নাকি? এই ছুটি বাড়ি যাও, আইজকে বিস্তিবার (বৃহস্পতিবার) আর কোথায় রাখব? তোমরা মামলা করলে করো, না করলে…(অশ্লীল ভাষায় কিছু বলেন)।’

এদিকে, বিতর্কিত ভিডিওটি সিভিল সার্জনের নজরে আসার পর রাতেই অভিযুক্ত চিকিৎসক আবুল কাশেমকে শনিবারের (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যে ঘটনার কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, কী ঘটেছিল এবং কেন রোগীর পরিবারের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে, তার সঠিক জবাব চেয়ে নোটিশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় শনিবারের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু আলোচিত, তাই জবাব পাওয়ার পর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

দৌলতপুরে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

দৌলতপুরে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে, উপজেলার খলিশাকুণ্ডি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা রাস্তার ওপর গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সটি থামিয়ে, অস্ত্রের মুখে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্ট্রোকের রোগী লিটনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে পিপুলবাড়িয়া মাঠের কাছে যাত্রীছাউনির সামনে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে পাঁচ-ছয়জনের এক ডাকাত দল। দেশীয় অস্ত্র হাতে তারা অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও ভেতরে থাকা চারজনকে জিম্মি করে অর্থ ছিনিয়ে নেয়।

অ্যাম্বুলেন্স চালক রতন আহমেদ জানান, রাত ১টার দিকে রোগীকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ডাকাতেরা গাড়ি আটকে আমার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়। তারা কাউকে কিছু না বলতে কড়া হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রোগীর এক স্বজন জালাল বলেন, আমরা চালককে কাতলামারী হয়ে না যেতে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি ওই পথেই যান। পথে এই ঘটনা ঘটে এবং আমাদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে লিটন নামে একজন রোগী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পথে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bangladesh must take the issue of alternative clean fuel seriously Chief Advisor

বাংলাদেশকে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশকে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে দেশ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে গুরুত্ব সহকারে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানি বিবেচনা করার, যার মধ্যে বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন অন্যতম।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ এবং তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না।

কার্ল পেজ তাঁর বক্তব্যে নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব প্রযুক্তি নির্ভরযোগ্য, শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। বিশেষ করে ভাসমান বা বার্জ-মাউন্টেড রিঅ্যাক্টর তুলনামূলকভাবে কম খরচে, কম রক্ষণাবেক্ষণে, দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পখাতের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে পারবে।

পেজ বলেন, ‘পারমাণবিক শক্তি আজ আর বিশ্বব্যাংকের মতো বড় উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থাগুলোর কাছে নিষিদ্ধ বিষয় নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতোমধ্যেই তাদের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে এ প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, উদ্ভাবনে বাংলাদেশের শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে, তাই দেশটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে পারে। এর সুফল হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা এবং শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি।

পেজ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য একটি কৌশলগত কেন্দ্র এবং পারমাণবিক উদ্ভাবনে শান্তিপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতি প্রণয়ন করেছে, যাতে সৌর জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

তবে তিনি উল্লেখ করেন, পারমাণবিক বিকল্প নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এসব সুযোগ অনুসন্ধান করব। তবে প্রতিশ্রুতিশীল এসব প্রযুক্তি নিয়ে গভীর গবেষণা দরকার। কোনো সন্দেহ নেই—বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা দ্রুত হ্রাস করতেই হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Three days after the disappearance the babys packed body recovered from the neighbors Goalghar

নিখোঁজের তিন দিন পর প্রতিবেশীর গোয়ালঘর থেকে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের তিন দিন পর প্রতিবেশীর গোয়ালঘর থেকে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শালবন গ্রামে নিখোঁজের তিন দিন পর শিশু তাসনিয়ার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুল ইসলামের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তাসনিয়া আক্তার (১১)উপজেলার শালবন গ্রামের এরশাদ আলীর মেয়ে। স্থানীয় এলাকাবাসী এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়লে পরিস্থিতি শান্ত করে রাতে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের শালবন গ্রামের একরামুল হকের স্ত্রী হাবিবা (৩০) ও একই এলাকার আব্দুল রাজ্জাকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা (৬২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত তিন দিন ধরে শিশু তাসনিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুলের গোয়ালঘরে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে একরামুল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আব্দুল করিম বলেন, খবর পেয়ে শিশুর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
BSF has returned to Meherpur through a flag meeting

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেহেরপুরে ১৮ জনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেহেরপুরে ১৮ জনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সিমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ সম্মতিতে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে কারাভোগ শেষে ১৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সিমান্তের ১৪৭ নম্বর আন্তর্জাতিক মেইন পিলার কাছে বিজিবি সদস্যদের হাতে তাদের হস্তান্তর করা হয়। সকলেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

কুষ্টিয়া বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিন কাজিপুর বিওপি-র কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার শাহাব উদ্দিন জানান, দেশের বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে বাংলাদশী নাগরিকরা অভৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।

পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে দেওয়া সাজা ভোগ শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ সদস্যরা বিজিবিকে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসা ১৮জনের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে গাংনী থানায় সৌপর্দ করা হবে।

ভারতের গান্দিনা বিএসএফ ১১ ব‍্যাটেলিয়ন ক্যাম্পের এসি সুনিল কুমার যাদব সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

ভারত থেকে কারাভোগ শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসারা হলো, পটুয়াাখালী জেলার মেহেদী, চুয়াডাঙ্গার নুরজাহান, নড়াইলের ফরিদ শেখ, ঝিনাইদহের জিসান মন্ডল, সাইদুল ইসলাম, চাঁদপুরের খোকন বেপারী, সাতক্ষীরার মাজেদা ঢালী, শামিম হোসেন, মিঠুন ঘোষ, খালিদা সরদার, মিলন কুমার, রাজশাহীর আব্দুল কুদ্দুস, যশোরের আহমেদ আলী, মৌলভীবাজারের লিটন দেব, চট্টগ্রামের শুভ মজুমদার, ঢাকার স্বাধীন রাজবংশী, মাদারিপুরের মহিউদ্দিন ফকির, নাসিমা শেখ কুষ্টিয়া।

মন্তব্য

p
উপরে