আগে দেখা যায়নি এমন এক মাকড়সা পাওয়া গেছে থাইল্যান্ডে। তবে কোনো প্রাণীবিদ বা বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ নন, এই মাকড়সা খুঁজে পেয়েছেন দেশটির একজন ইউটিউবার।
খন কায়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টোমলজি ও প্ল্যান্ট প্যাথোলজি বিভাগের গবেষক চমফুফুয়াং বলেন, এই মাকড়সাগুলো সত্যিই অসাধারণ, এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সব মাকড়সার মধ্যে এটাই প্রথম যে তার বাস্তুসংস্থান বাঁশনির্ভর।
বন্যজীবন নিয়ে আগ্রহী ইউটিউবার জোচো সিপ্পায়াত, যার কি না ২.৫ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে ইউটিউবে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমের তাক প্রদেশের মুয়েআং তাক জেলায় তার বসবাস।
সেখানেই এক জঙ্গলে ভ্রমণের সময় তিনি এই মাকড়সাটি দেখতে পান। তখনই তার সন্দেহ হয় এটি নতুন প্রজাতির মাকড়শা। কারণ এ ধরনের মাকড়সা তিনি আগে দেখেননি।
জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য প্রজাতিগুলো ও তাদের বাসস্থান সম্পর্কে মানুষকে ধারণা দিতে হবে। এরপরে বনাঞ্চলগুলো অবশ্যই বন্যপ্রাণীর জন্য রক্ষা করতে হবে।
তৎক্ষণাৎ সিপ্পায়াত কায়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চমফুফুয়াংকে ই-মেইলে মাকড়সার ছবি পাঠান। মাকড়সার ছবি পেয়েই চমফুফুয়াং বুঝতে পারেন মাকড়সাটি নতুন কোনো প্রজাতির কিন্তু তা নিশ্চিতের জন্য মাঠপর্যায়ে বিষয়টি অনুসন্ধানের দরকার ছিল।
পরবর্তীতে গবেষক চমফুফুয়াং এই বিরল মাকড়সার বিষয়ে নিশ্চিত হন। এর বৈজ্ঞানিক নাম রাখা হয় taksin bambus । অষ্টাদশ শতকের বিখ্যাত থাই রাজা তাকসিনের নামানুসারে এর নামকরণ।
সাধারণত মাকড়সাদের জঙ্গলের নিচে বা গাছে বাস। এই প্রথম কোনো মাকড়সা পাওয়া গেল যে বাঁশের মাঝখানের ফাপা স্থানে বসবাস করে। তবে গবেষকদের মতে, বাঁশের ভেতরের আর্দ্রতার জন্য এটি এই ধরনের মাকড়সার বসবাসের জন্য সুবিধাজনক।
তবে এই মাকড়সার পক্ষে বাঁশ ফুটো করে ফাপা স্থানে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে তাকে প্রকৃতির অন্যান্য বিষয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। বাঁশগাছ কোনো কারণে রোগাক্রান্ত হয়ে ফাটল ধরলে কিংবা অন্য কোনো প্রাণী দ্বারা বাঁশে কোনো ফাটল সৃষ্টি হলে সে সেখানে প্রবেশ করে থাকা শুরু করে।
তবে এই মাকড়সা খুঁজে পাওয়ার ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়, থাইল্যান্ডের জঙ্গলে আরও কত অজানা প্রাণী বসবাস করছে।
চমফুফুয়াং বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য প্রজাতিগুলো ও তাদের বাসস্থান সম্পর্কে মানুষকে ধারণা দিতে হবে। এরপরে বনাঞ্চলগুলো অবশ্যই বন্যপ্রাণীর জন্য রক্ষা করতে হবে।’
তাকসিনাস ব্যামবোস নামের মাকড়সাকে নিয়ে করা গবেষণাপত্র জানুয়ারির ৪ তারিখে যুকেইসে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন:আগামী সপ্তাহজুড়ে দেশে কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। এই সময়ে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও ২৮ মে’র পর থেকে আবারও বাড়তে শুরু করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে শনিবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ সারা দেশেই কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে চলতি মাসের ২৫ তারিখের পর বৃষ্টিপাত কমে আসবে। আর সার্বিকভাবে ২৮ তারিখের পর তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে।’
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের দক্ষিণে আন্দামান সাগরের কাছে মার্তবান উপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ এবং পরবর্তীতে নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর এটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে বর্তমানে থাইল্যান্ড ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার এলাকায় অবস্থান করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা প্রশমিত হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:ভিভো এক্স৬০ প্রো ও এক্স৭০ প্রো অনেকটাই জনপ্রিয় হয়েছে দেশে। এবার ক্যামেরা প্রযুক্তিকে জোর দিয়ে এক্স সিরিজের আরেকটি স্মার্টফোন আনছে চীনা প্রতিষ্ঠান ভিভো।
নতুন স্মার্টফোন হবে ভিভো এক্স৮০ ফাইভজি।
৬.৭৮ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লের ভিভো এক্স৮০ ফাইভজি ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ১২০ হার্জের রিফ্রেশ রেট। ফোনটির ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন ১০৮০*২৪০০ পিক্সেল, রেশিও ২০:৯।
৪ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির মিডিয়াটেক অক্টা-কোর ৯০০০ ডাইমেনসিটির প্রসেসর, অ্যান্ড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে ফানটাচ ১২ ইউআই।
ভিভোর ক্যামেরা প্রযুক্তি বাংলাদেশের তরুণদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। এই জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে ক্যামেরা লেন্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কার্ল জেইসের সঙ্গে পার্টনারশিপে যুক্ত হয়েছে ভিভো। লেন্স তৈরিতে জেইসের ১৭৫ বছরের ইতিহাস রয়েছে। এক্স৮০ ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারে চলে আসলে, জেইসের ক্যামেরা লেন্সযুক্ত ভিভোর তৃতীয় স্মার্টফোন হবে এটি।
ভিভো এক্স৮০ ফাইভজি ফোনে রয়েছে পেশাদার সিনেমাটোগ্রাফির ক্যামেরা। ফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরা, ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। যা দিয়ে রেকর্ড করা যাবে ফোর-কে ভিডিও।
৮ ও ১২ জিবি র্যামের সঙ্গে এতে থাকছে কয়েকটি রম ভ্যারিয়েন্ট, যার মধ্যে ১২৮, ২৫৬ জিবি রম।
ফোনটিতে দেয়া হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী ও ৮০ ওয়াট ফার্স্ট চার্জিংয়ের ৪৫০০ এমএএইচের ব্যাটারি। যা ৫০ শতাংশ চার্জ হবে ১১ মিনিটে।
ফ্ল্যাগশিপটির দাম বাংলাদেশের বাজারে কত হবে সে বিষয়ে কিছু বলেনি ভিভো।
আরও পড়ুন:দেশে প্রথম রিপল হলোগ্রাফিক ডিজাইনের মোবাইল ফোন আনছে রিয়েলমি। রিয়েলমি ৯ ফোরজি ফোনটি বাংলাদেশের বাজারে ছাড়া হবে রোববার।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির হিরো প্রোডাক্ট লাইন নম্বর সিরিজের এ ডিভাইসটির ক্যামেরা পারফরম্যান্স ও ডিজাইন গোটা বিশ্বে তরুণদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
রিয়েলমি ৯ ফোরজি ডিভাইসে বিশ্বের প্রথম রিপল হলোগ্রাফিক ডিজাইন সল্যুশন নিয়ে আসা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ডিজাইন টেকনোলজিতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।
রিয়েলমি ৯ ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে ‘গ্রেডিয়েন্ট যোগ স্টারলাইট’ ডিজাইন। যা অনেক নামি ব্র্যান্ডের প্যাকেজিং কৌশলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে উন্মোচিত হওয়া কোকাকোলা স্টারলাইট, লুইস ভ্যুইটনের স্টারলাইট অ্যাক্সেসরিজ কালেকশন ও মেইসন মারজিয়েলা এবং স্টোন আইল্যান্ডের ডিজাইনে একই রকম টুইঙ্কলিং স্টার ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে এতে।
রিয়েলমি ৯-এর টেক্সচার মরুভূমির বালির পরিবর্তন দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই ডায়নামিক ডেজার্ট রিপল ইফেক্ট তৈরির জন্য রিয়েলমি স্বাধীনভাবে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম ‘রিপল হলোগ্রাফিক গ্রেডিয়েন্ট কোটিং প্রসেস’ তৈরি করেছে এবং উদ্ভাবনী উপায়ে ‘সুপার কোটিং প্রসেস’ প্রয়োগ করেছে।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেক্সচারযুক্ত পণ্য তৈরি করার সময় স্যাচুরেটেড ও প্রাণবন্ত রং ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই ইফেক্ট অর্জনে কঠিন প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তারা। ফোনটির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পুরুত্ব আছে, সবচেয়ে পুরু এলাকাটি ৪২০ ন্যানোমিটার সাধারণ কালো আবরণের ১০ গুণ পুরুত্বে পৌঁছেছে।
ফিল্মটি যত পুরু হবে তত বেশি বাস্তবসম্মত হবে এবং এর ফলাফলও তত স্বাভাবিক হবে এবং সবশেষ যেটি তৈরি হবে তা হবে আরও টেক্সচারযুক্ত।
ফোনটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে রিয়েলমির ওয়েবসাইট (https://www.realme.com/bd/realme-9) ভিজিটের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ব্রিটিশ ইউটিউবার ও র্যাপার জেজে ওলাটুনজি, অনলাইনে যিনি কেএসআই নামে পরিচিত। দুটি ইউটিউব চ্যানেলে তার মোট ৪০ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। যেসব সেলিব্রেটি ক্রিপ্টোকারেন্সি টেরা (লুনা) হোল্ড করতেন, তার মধ্যে তিনিও একজন।
টুইটার পোস্টে গত ১২ মে কেএসআই নিজেই জানিয়েছিলেন, তার ২৮ লাখ ডলার সমমূল্যের লুনা এক দিনের মধ্যেই ১ হাজার ডলার হয়ে গেছে। তার টুইটার অনুসারীদের কয়েকজন বিষয়টি নিয়ে মজা করলেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে তিনি নিজেও টুইটের মধ্যে হাসির ইমোজি যুক্ত করে দিয়েছেন।
এদিকে বিটকয়েনের দাম কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সির অন্যান্য মুদ্রাতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এরই মধ্যে দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও আমেরিকার ওয়ালস্ট্রিটের তালিকাভুক্ত ক্রিপ্টো মুদ্রার কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কয়েনবেজ।
বিটকয়েন, ইথারিয়ামের মতো দাম হারিয়েছে অন্যান্য অল্টা কয়েনেরও। তবে সবচেয়ে বেশি দাম হারিয়েছে ক্রিপ্টো মুদ্রা টেরা (লুনা)। প্রতিশ্রুত মুদ্রা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া লুনা ৯৯ শতাংশ দাম হারিয়েছে মুহূর্তেই। গত মাসে ক্রিপ্টোকারেন্সির তালিকায় শীর্ষ ১০-এ থাকা ১২০ ডলার দামের লুনা গত ১২ মে এক দিনের মধ্যেই ১ ডলারের নিচে নেমে আসে।
ভবিষ্যতে দাম বাড়বে এই আশায় যারা লুনা আঁকড়ে ধরেছিলেন, তারা ব্যাপক মাত্রায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লুনা হোল্ডারদের হতাশা ব্যক্ত করতে দেখা যায়। এর মধ্যে একজন ব্রিটিশ ইউটিউবার কেএসআই।
কেএসআই বলছেন, তিনি লুনা ধরে রাখবেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, সহসা লুনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান প্রভাব ফেলেছে ক্রিপ্টোমুদ্রাতেও। ভার্চুয়াল সম্পদে আস্থা হারাচ্ছে মানুষ, এর বদলে দৃশ্যমান সম্পদ কিনতে চাইছে সবাই। ফলে দাম বাড়ছে সোনা ও ডলারের মতো মুদ্রার।
আরও পড়ুন:প্রায় ৩ হাজার ৪০০ বছর আগে ফারাও সম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন তুতেন খামেন। ১৯২৫ সালে, লুক্সরের (প্রাচীন থিবস) কাছে ভ্যালি অফ কিং-এ তুতেনখামেনের সমাধি আবিষ্কারের ৩ বছর পর, ইংরেজ প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টার ফারাও তুতেন খামেনের মমির চারপাশে আবৃত উপাদানের ভাঁজে লুকানো দুটি ছোরা খুঁজে পান। গবেষকরা বলছেন, এর মধ্যে একটি ছোরা তৈরি হয়েছে উল্কা থেকে প্রাপ্ত লোহা থেকে।
তুতেন খামেনের ডান উরুতে মোড়ানো ছিল একটি লোহার ছোরা, যার হাতল ছিল সোনার এবং শেয়ালের মুখাকৃতির সোনার খাপে ঢাকা ছিল। আর দ্বিতীয় ছোরাটি পাওয়া যায় ফারাওর পেটের ভেতর এবং এই ছোরাটি ছিল সম্পূর্ণ সোনার তৈরি।
তবে প্রত্নতাত্ত্বিকদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল লোহার ছোরাটিই। কারণ ব্রোঞ্জ যুগে লোহা ছিল বিরল এবং সে সময় সোনার থেকেও একে মূল্যবান ভাবা হতো। যদিও প্রাচীন মিশর খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ছিল।
তবে প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, মিশরের ওল্ড কিংডমের (তৃতীয় সহস্রাব্দ) সময় পাওয়া লোহার বস্তুগুলো সম্ভবত উল্কা থেকে আসা ধাতু থেকে উৎপাদিত হয়েছিল। তুতের যুগের মিশরীয়রা শ্রদ্ধার সঙ্গে এটিকে ‘আকাশ থেকে লোহা’ বলে ডাকত।
মিলানের পলিটেকনিক ইউনির্ভাসিটি, ইতালির পিসা ইউনিভার্সিটি ও কায়রোর যাদুঘরের গবেষকরা এক নতুন গবেষণায় তুতেন খামেনের ছোরার লোহার সঙ্গে ১ হাজার ২৫০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে পড়া ১১টি উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ২০০০ সালে মার্সা মাতরুহের কাছে আবিষ্কৃত খড়গা নামে পরিচিত উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়।
পোর্টেবল এক্স-রে ফ্লুরোসেন্স স্পেক্টমেটরি স্পেক্টোমেট্রির মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তুতেন খামেনের ছোরায় নিকেল ১০.৮ শতাংশ ও কোবাল্টের পরিমাণ ০.৫৮ শতাংশ। যা অনেকটা উল্কাপিণ্ড থেকে প্রাপ্ত লোহার মতো। গবেষকরা বলছেন, খুব সম্ভব তুতেন খামেনের ছুরিও উল্কা থেকে প্রাপ্ত লোহা দিয়েই তৈরি।
নতুন এ গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের আলোকে তুতেন খামেনের সময় প্রাচীন মিশরে উল্কা থেকে প্রাপ্ত লোহার ব্যবহার নিয়ে আরও বিস্তর গবেষণার সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে।
তুতেন খামেন ছিলেন মিশরীয় ১৮তম ফারাও সম্রাট। মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি সিংহাসনে বসেন ও ১৯ বছর বয়সে প্রাণ হারান। গবেষকরা বলছেন, তার একটি পা ভাঙা ছিল ও সেখান থেকে সৃষ্ট গ্যাংগ্রিনেই তিনি মারা যান। তিনি ছিলেন ফারাও সম্রাট আখেনাতেনের পুত্র।
আরও পড়ুন:মঙ্গল নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে মহাকাশ উদ্যোক্তাদের আগ্রহের শেষ নেই। বিশ্বের শীর্ষধনী ইলন মাস্ক তো মঙ্গলগ্রহে মানব বসতিই স্থাপন করতে চান। শুধু ইলনই নয়, নাসাও জানতে চায় মঙ্গল সম্পর্কে। মঙ্গলকে কী মানব বসতির জন্য উপযোগী করা যাবে, সেখানে কি কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। এগুলো মঙ্গল সম্পর্কে খুব মৌলিক প্রশ্ন। যার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে নাসা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান ও জীবনধারণ নিয়ে গবেষণার জন্য পাঠানো নাসার পারসিভারেন্স রোভার তার মিশনের একটি বড় মুহূর্তে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করে আসছেন, মঙ্গলে আদিমকালের প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে গ্রহটির অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টা এলাকায়। আর মঙ্গলবারই ছয় চাকার রোবটটি এনসিয়েন্ট ডেল্টাতে উঠতে শুরু করবে। বলা হয়ে থাকে, এখন পর্যন্ত যতগুলো মিশন ভিন্ন গ্রহে পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পারসিভারেন্সের সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
নাসার পাঠানো এই রোবটটি এরই মধ্যে মঙ্গলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। প্রথমবারের মতো পারসিভারেন্স রোভারই মঙ্গলে অক্সিজেন উৎপাদন করেছে। হাইটেক এই রোবট ড্রোন হেলিকপ্টারও মঙ্গলের আকাশে উড়িয়েছে।
অতীতে মঙ্গলে কোনো প্রাণ ছিল কি না তা যাচাইয়ের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো শিলা পরীক্ষা করে দেখা। পারসিভারেন্স শুধু শিলা পরীক্ষা করেই দেখে না। শিলা সংগ্রহ করে অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টার নিচে এনে সে শিলাগুলোকে জড়ো করবে। নাসার লক্ষ্য হলো ২০৩০-এর দশকে বিস্তারিত গবেষণার জন্য এই শিলাগুলোকে পৃথিবীতে নিয়ে আসা।
পারসিভারেন্স রোভারকে মঙ্গলে মিশনে পাঠানো হয়েছে প্রাণের অনুসন্ধানের জন্য। তাকে যেখানে নামানো হয় সেই স্থানটির নাম জেজেরো ক্রেটার। ধারণা করা হয়। সেখানে একসময় হ্রদ ছিল। ফলে সেখানে একসময় অণুজীবের মতো প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়।
পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীরা জেজেরো ক্রেটারের কাছেই অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টা সন্ধান পায়। এর আকৃতিতে গবেষকদের ধারণা এর পাশে নদীর মতো প্রবাহ ছিল। ফলে একসময় সেখানে প্রাণ থাকা খুবই সম্ভব। তাই পারসিভারেন্সের অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টার যাত্রায় উচ্ছ্বসিত মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
অ্যানসিয়েন্ট ডেল্টা প্রকৃত অর্থে এমন একটি কাঠামো, যা নদীর বয়ে আনা পলি দিয়ে তৈরি হয়। যেখানে থাকে জীবন ধারণের উপাদান, ফলে একসময় সেখানে অণুজীবের জীবন ধারণ অস্বাভাবিক কিছু নয়।
আরও পড়ুন:ছোট ভিডিও-শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের #StitchKindness শীর্ষক রমজান ক্যাম্পেইন শেষ ঘোষণা দিয়েছে।
ক্যাম্পেইনটি রমজানের চেতনাকে ধারণ এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে দয়া ও দানের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে। রোজা ও ঈদ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রচারিত পাঁচটি হ্যাসট্যাগের ক্যাম্পেইনটি এরইমধ্যে ১৭০ কোটির বেশিবার দেখা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনটিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, প্রখ্যাত মেকআপ শিল্পী সুমাইয়া মীম, জনপ্রিয় টিকটক কনটেন্ট নির্মাতা শাহাত বিন সেলিম এবং সুনেহরা তাসনিম।
টিকটকের বিজ্ঞাপনটি প্রতীকী হলেও ব্যাপকভাবে প্রসংশিত হয়। বিনোদনের একটি মাধ্যম হলেও এর মাধ্যমে টিকটকের কমিউনিটির উন্নতি এবং বাংলাদেশিদের একত্রিত করার মনোভাব ফুটে উঠেছিল।
#StitchKindness হ্যাশট্যাগটি প্রায় ১০০ কোটিবার দেখা হয়েছে। ভিডিওগুলোতে তুলে ধরা হয়েছে নিঃস্বার্থ ও পরিশ্রমী মানুষদের, যারা রোজার সময় অন্যদের সাহায্য করেছেন এবং কঠিন পরিস্থিতিতেও তাদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সারা দেশের কনটেন্ট নির্মাতারা এই ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে টিকটক বিজ্ঞাপনের সাথে তাদের ভিডিওগুলো স্টিচ করে একটি চেইন অব কাইন্ডনেস তৈরি করেছেন। ক্যাম্পেইনটি রমজান মাসে ‘আনসান হিরোদের’ প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করেছে।
আরেকটি হ্যাশট্যাগ, #MaheRamadan যা ৩ কোটি ১৯ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। টিকটক কমিউনিটির মধ্যে রজমান মাসের সারমর্ম ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে ক্যাম্পেইনটি কাজ করেছে। এ ছাড়া #RojarDin উদ্যোগ টিকটক ব্যবহারকারীদের সেহরি এবং ইফতারের সময় স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিজের যত্ন সম্পর্কে জানান দিয়েছে। প্ল্যাটফর্মটিতে এটি ৩১৯.৯ মিলিয়নবার দেখা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা #RamadanRecipe হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রমজানের প্রিয় খাবারের ভিডিওগুলোও শেয়ার করেছেন, যা ৮৫.৮ মিলিয়নেরও বেশি দেখা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনটি শেষ হয়েছে দেশের অন্যতম বড় উৎসব- ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের মধ্য দিয়ে। আনন্দময় এই উৎসবকে উদযাপন করতে টিকটক কমিউনিটি #KhushirEid হ্যাসট্যাগটি ব্যবহার করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে। হ্যাসট্যাগটি ও প্রায় ১৮৭.৩ মিলিয়নবার দেখা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে এক্সক্লুসিভ কিছু ফিল্টার ও ইন অ্যাপ ইফেক্ট চালু করেছিল টিকটক।
রমজান মাস সবসময়ই আত্মিক উন্নয়ন, উদযাপন ও জমায়েতের মাস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, তা অনলাইনে হোক বা অফলাইনে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকটক পবিত্র রমজান মাসের চেতনা সারাবিশ্বের সকল কমিউনিটির সাথে উদযাপন করেছে। এ ছাড়া এর লক্ষ্য ছিল সৃজনশীলতাকে অনুপ্রাণিত করা এবং বিশ্বব্যাপী টিকটকের ক্রমবর্ধমান কমিউনিটির জন্য আনন্দ বয়ে আনা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য