যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ইহুদি উপাসনালয়ে চারজনকে জিম্মি করা ব্যক্তি ব্রিটিশ নাগরিক। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, টেক্সাসে ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়ে অবগত তারা। তিনি কে বা কেন প্রার্থনাকারীদের জিম্মি করেছেন, তা নিশ্চিত নয় লন্ডন।
ডালাসের কোলিভিলের স্থানীয় সময় শনিবার বেলা ১১টার দিকে কংগ্রেগেসন বেথ ইসরায়েল সিনাগগে প্রার্থনা চলার সময় এক ব্যক্তি চারজনকে জিম্মি করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন উপসনালয়ের ধর্মগুরুও (রাবাই)।
ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত ওই প্রার্থনার মধ্যে এক ব্যক্তির উচ্চস্বরে কথা বলতে শুনতে পাওয়া যায়। তিনি বলতে থাকেন, ‘ফোনে আমার বোনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দাও। আমি মারা যাব।’
তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আমেরিকা কিছু ভুল করেছে।’
এর পর পরই লাইভ ফিড বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। স্থানীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নেন তারা। এরপর থেমে থেমে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। চলে সমঝোতার চেষ্টাও।
৬ ঘণ্টা পর একজনকে ছেড়ে দেন জিম্মিকারী। এর কয়েক ঘণ্টা পর বাকিদেরও মুক্ত করে দেয়া হয়। তারা সবাই অক্ষত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি আফিয়া সিদ্দিকি নামে এক পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানীর মুক্তি দাবি করেন। আফগানিস্তানে নিরাপত্তা হেফাজতে থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হত্যাচেষ্টার দায়ে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন আফিয়া। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে আছেন।
এর আগে ২০১২ সালে সিরিয়ায় অপহৃত এক আমেরিকান সাংবাদিকের বিনিময়ে আফিয়ার মুক্তি দাবি করেছিল আইএস।
এদিকে আফিয়ার আইনজীবী সিএনএন জানান, ওই ব্রিটিশ জিম্মিকারী আফিয়ার ভাই নয়। আফিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে এই জিম্মির ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। তারা এ ঘটনাকে জঘন্য বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
টেক্সাসের বাসিন্দা ভিক্টোরিয়া ফ্রান্সিস বন্ধ হওয়ায় আগ পর্যন্ত লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছিলেন। অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমেরিকাকে নিয়ে মন্তব্য করছিলেন। তার কাছে বোমা আছে বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন।’
নরসিংদী রেলস্টেশনে ‘অশালীন পোশাক’ পরার অভিযোগ তুলে তরুণীকে হেনস্তাকারীদের কাউকেই দুই দিনে শনাক্ত করেনি রেলওয়ে বা থানা পুলিশ। তবে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময়ই থানা পুলিশ গিয়ে তরুণী ও হেনস্তাকারী সবার নাম-ঠিকানা লিখে নিয়েছিল।
ফেসবুকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল হলে ও সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার হলে ঘটনার দুই দিন পর শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছে জেলা প্রশাসন। হেনস্তায় জড়িতদের ধরতে রেল কর্তৃপক্ষও নড়েচড়ে বসেছে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে স্টেশনে যায়। তারা স্টেশন কর্তৃপক্ষ ও আশপাশের কয়েকজনকে ঘটনার বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
প্রতিনিধি দলের প্রধান জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামল চন্দ্র বাসাক বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। জেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদারক করছে। সিসিটিভির ফুটেজগুলো রেলওয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থা নিতে তৎপর জেলা প্রশাসন।’
নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ি ভৈরব রেলওয়ে থানার অধীন। হেনস্তাকারীদের শনাক্তের বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নরসিংদী রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তার বিষয়ে রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ আমাকে অবগত করেছেন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখেছি। তবে এ বিষয়ে ফাঁড়িতে এখনও পর্যন্ত কারও অভিযোগ আসেনি।
‘আমি সন্ধ্যায় রেলস্টেশন পরিদর্শন করেছি। সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার বিষয়ে বিবেচনা করে তরুণীকে হেনস্তাকারীদের ধরতে তৎপর আছি।’
হেনস্তাকারীদের খোঁজ পায়নি বলে দাবি করেছে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ।
ওসি সাগাতুল আলম জানান, ঘটনার দিন ভোরে ৯৯৯-এ কল আসে। রেলস্টেশনে ‘তরুণ-তরুণী’দের হেনস্তা করা হচ্ছে এমন খবর দেয়া হয়। তখন মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে যান।
ওসি বলেন, ‘বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশের হওয়ায় তখন বিস্তারিত নেয়া হয়নি। আমরা এখন খোঁজখবর নিচ্ছি।’
যা ঘটেছিল
ফেসবুকে হেনস্তার ভিডিওটি ভাইরাল হয় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার স্টেশন ঘুরে কথা হয় দুই দোকানদার মো. আমিনুল ও ইখলাস উদ্দিন এবং ভাসমান পণ্য বিক্রেতা মো. মেহেদীর সঙ্গে। পুরো ঘটনা তারা দেখেছেন।
তারা নিউজবাংলাকে জানান, ভোরে ঢাকামুখী ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই দুই যুবক ও সেই তরুণী। হঠাৎ পাশ দিয়ে যাওয়া এক বৃদ্ধ মেয়েটিকে দেখে বলে ওঠেন, ‘আপনার বাড়ি কই? কাল রাতেও এখানে আসছেন। আজকেও আসছেন। এসব পোশাক পরে কেউ স্টেশনে আসে নাকি?’
মেয়েটির সঙ্গে থাকা হলুদ রঙের টি-শার্ট পরা তরুণ ওই বৃদ্ধকে তখন বলেন, ‘আপনি এসব কেন জিজ্ঞেস করছেন? আপনি এভাবে প্রশ্ন করতে পারেন না।’
এ নিয়ে বৃদ্ধের সঙ্গে ওই যুবকের বাগ্বিতণ্ডার মধ্যে আরেক নারী এসে মেয়েটির পোশাক নিয়ে কটাক্ষ ও গালমন্দ করতে থাকেন।
ততক্ষণে চারপাশে কিছু লোক জড়ো হয়ে যায়। ওই বৃদ্ধ ও নারীর সঙ্গে আরও কয়েকজন যোগ হয়ে ওই তরুণী ও যুবককে গালমন্দ করতে থাকেন। ওই যুবকও তাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান। একপর্যায়ে আরেক ব্যক্তি যুবককে ধাক্কা দেন। মেয়েটি তখন যুবককে নিয়ে সরে যেতে চেষ্টা করলে ওই নারী মেয়েটিকে টানাহেঁচড়া করতে থাকেন।
তরুণী ও সঙ্গে থাকা দুই যুবক সরে গিয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে আশ্রয় নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী দুই দোকানদার আরও জানান, তখনই ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেন চলে আসায় ওই তরুণী ও সঙ্গে থাকা প্রতিবাদকারী যুবক তাতে উঠে চলে যান। সব মিলিয়ে পুরো ঘটনাটি মিনিট দশেকের।
তবে ভাসমান দোকানদার মেহেদী নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনার সূত্রপাত এক নারীর কটাক্ষের জেরে হয়েছে।
তিনি জানান, ওই যুবক ও তরুণীকে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার ট্রেনে করে নরসিংদী নামতে দেখেছেন। বুধবার ভোরে তারা আবার ঢাকা যাওয়ার ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন। সে সময় এক নারী মেয়েটির পোশাক নিয়ে প্রথম মন্তব্য করেন।
মেহেদী বলেন, ‘ওই নারী মেয়েটাকে বলতে থাকে যে এসব পোশাক পরে কেন ঘোরাঘুরি করছে, তার বাড়ি কই। ওই নারী মেয়েটার ভিডিও করতে নেয়। তখন মেয়েটার সঙ্গে থাকা একটা ছেলে প্রতিবাদ করতে থাকে। সে সময় কালো শার্ট পরা একটা লোক ওই ছেলেকে ধাক্কা দেয়। মেয়েটা তখন মোবাইল বের করে কাউকে কল করতে থাকে। এসবের মধ্যে ওই নারী মেয়েটার দিকে তেড়ে যায়।’
যা বলছে পুলিশ ও রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ
নরসিংদী মডেল থানার এএসআই ইকবাল হোসেন ঘটনার সময় ৯৯৯-এ কল পেয়ে সেখানে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে জানতে তাকে ফোন করে নিউজবাংলা।
তিনি জানান, ৯৯৯-এ কল দিয়েছিলেন একজন পুরুষ। তিনি রেলস্টেশনে ঝামেলা হচ্ছে জানিয়ে দ্রুত যেতে বলেন।
ইকবাল বলেন, ‘আমি কল পেয়ে যাই। মেয়েটিকে আর তার সঙ্গে থাকা আরেক যুবককে ট্রেনে তুলে দিই।’
ঘটনাস্থলে গিয়েও হেনস্তাকারীদের কেন ধরা হয়নি? জানতে চাইলে, ‘এখন ব্যস্ত আছি, কথা বলতে পারব না’- বলে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি।
রেলস্টেশন ঘুরে জানা গেছে, ঘটনার সময় হট্টগোল শুনে এগিয়ে গিয়েছিলেন রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল এনামুল হক। তবে শুক্রবার গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়।
এনামুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি টহলে ছিলাম। ওই প্ল্যাটফর্মে হইচই হচ্ছে শুনে আমি এগিয়ে যাই। তখন দেখি মডেল থানার এএসআই ইকবাল সেখানে আছেন। আমি তার সঙ্গেই স্টেশন মাস্টারের কক্ষে ঢুকি।
‘সেখানে ইকবাল স্যার হেনস্তার শিকার যুবক, তরুণী ও হেনস্তাকারী নারী ও পুরুষের নাম-পরিচয়, মোবাইল নাম্বার সবই লিখে নেন।’
এনামুল জানান, এরপর তিনি এবং এএসআই ইকবাল মেয়েটি ও তার সঙ্গে থাকা হলুদ টি-শার্ট পরা যুবককে ট্রেনে তুলে দেন।
হেনস্তার শিকার ও হেনস্তাকারীদের নাম-পরিচয় এএসআই ইকবাল টুকে রেখেছিলেন বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছে ঘটনার আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইমায়েদুল জাহেদী শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে স্যারেরা এসেছেন। ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি স্যারও এসেছেন। তারা আমাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমরা মাঠে আছি। অভিযোগ না পেলেও স্টেশনের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।’
মডেল থানা পুলিশের এএসআই ইকবালের কাছে হেনস্তাকারীদের তথ্য থাকার পরও কেন তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না- এ প্রশ্ন করা হলে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল বলেন, ‘থানা পুলিশ এ বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য দেয়নি।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই নিউজবাংলার প্রতিনিধিকে কল করে এএসআই ইকবাল নাম টুকে রাখার তথ্য অস্বীকার করেন।
হেনস্তার শিকার ওই তরুণী ও তার সঙ্গে থাকা যুবকদের পরিচয় জানা যায়নি বলে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ওই তরুণী, তার সঙ্গী বা তাদের পরিচিত কেউ ঘটনাটি নিয়ে মন্তব্য জানাতে বা কোনো তথ্য দিতে চাইলে +৮৮ ০৯৬০২১১১৮৭৪ নম্বরে কল দিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:প্রায় ১৫ দিন ধরে টানা পানি বাড়ার পর অবশেষে ভাটার টান পড়েছে সুরমায়। সিলেটের এই প্রধান নদীর পানি শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও প্রতিটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি বইছে।
আর কুশিয়ারা নদীর পানি অমলসীদ পয়েন্টে কমলেও বেড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) শুক্রবার বেলা ৩টায় এ তথ্য জানিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, উজানে বৃষ্টি কমলে নদীর পানি অব্যাহতভাবে কমতে থাকবে। প্লাবিত এলাকা থেকেও পানি নেমে যাবে।
জেলায় শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও দুপুর থেকে রোদ হেসেছে। নগরের জলমগ্ন কয়েকটি এলাকার পানিও কিছুটা কমেছে। তবে প্লাবিত উপজেলাগুলোর পরিস্থিতি একই রকম। ফেঞ্চুগঞ্জে পানি কিছুটা বেড়েছে।
শুক্রবার বেলা ৩টায় পাউবোর দেয়া হিসাবে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাটে ১২ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে।
পাউবো জানিয়েছে, কুশিয়ারা নদীর পানি অমলসীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ৮ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এই সময়ে ফেঞ্চুগঞ্জে ১৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
কিছুটা কমেছে লোভা, সারি ও ধলাই নদীর পানিও।
পাউবো সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা নিউজবাংলাকে জানান, উজানে বৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে জকিগঞ্জের অমলসীদে একটি বাঁধ ভেঙে নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুশিয়ারার পানি কমতে থাকলেও তা ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ হয়ে নামবে। ফলে ওই এলাকায় পানি বাড়ছে। এই দুই উপজেলার কিছু এলাকা প্লাবিতও হতে পারে।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় গত ১১ মে থেকে। এর কয়েক দিন আগে থেকে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ১৫ লাখ মানুষ।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে অলিভিয়া বন্দরে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের নিহত হবার পর কেটে গেছে দুই মাস।
তার মরদেহ দেশে আনার পর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) থেকে বলা হয়েছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে দেয়া হবে ক্ষতিপূরণের অর্থ। এরপর ১০ সপ্তাহ পার হলেও এখনও মেলেনি ওই অর্থ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।
মৃত্যুর ১২ দিন পর সোমবার দুপুর সোয়া ১২টা ২০ তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে। রাত ১০টায় হাদিসুরের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়।
ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)।
সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ক্ষোভ জানান নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী। লিখিত বক্তব্য পড়েন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাখওয়াত হোসেন।
নেতারা বলেন, বিএসসির সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অদক্ষতার কারণে ক্ষতিপূরণের টাকা যথাসময়ে পায়নি। অথচ তারা বলেছিল, এক সপ্তাহের মধ্যেই ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দেবে।
সংগঠনের সভাপতি আনাম চৌধুরী বলেন, ‘তদন্ত কমিটিতে আমাদের দুজন প্রতিনিধি রাখার বিষয়ে দাবি জানালেও তা মানা হয়নি। বিএসসিতে মেরিনারদের বিষয়ে বোঝেন এমন লোক এখন নেই। প্রতিষ্ঠানটিতে অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে মেরিনার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব প্রতীয়মান। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাদিসুর রহমানসহ বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের সকল নাবিক-ক্রুদের ক্ষতিপূরণের অর্থ বুঝিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কথা থাকলেও আমরা এখনও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন পাইনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেশের সংবাদ মাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে জাহাজে রকেট হামলায় নিহত হাদিসুরের পরিবারকে ১০ লাখ ২৭ হাজার ১৭৭ টাকা তুলে দেয়া হয়। বিএমএমওএ সদস্য ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (আইটিএফ) এই অর্থ সহায়তা করে। চেক গ্রহণ করেন হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স।
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে চলন্ত বাসে ডাকাতদের কবল থেকে যাত্রীদের বাঁচানো ট্রাফিক পুলিশের সেই এসআইকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দিয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ পদকের জন্য তার সুপারিশও করা হয়েছে।
এ তথ্য নিজেই নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন সাভার ট্রাফিক পুলিশের সেই উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি (অ্যাডমিন) আমিনুর ইসলাম তার কার্যালয়ে আমাকে পুরস্কৃত করেছেন। সাহসিকতার পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন, যা আমার কাছে ১০ কোটি টাকার সমান। এ জন্য স্যারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি আইজিপি স্যার ও ঢাকা জেলার সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে আমার সংবাদ আসার পর অনেকেই প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার ছবি পোস্ট করেছেন অনেকে। সবাই এসব পোস্টের নিচে আমার ভালো কাজের প্রশংসা করেছেন। আসলে এই প্রশংসা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর।’
গত ১৬ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাভার পরিবহনের একটি বাস ডাকাতদের কবলে পড়ে। সে সময় দায়িত্বে থাকা এসআই হেলাল উদ্দিন সন্দেহের জেরে বাস থামিয়ে তাতে ওঠেন। অস্ত্রধারী এক ডাকাতকে তিনি ধরে ফেলেন। তার সঙ্গে ওই ডাকাতের ধস্তাধস্তির সুযোগে অন্য দুই ডাকাত পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা এসআইয়ের কাছ থেকে ডাকাতকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটুনি দেয়। আহত অবস্থায় আটক ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় পুলিশ হত্যা ও দস্যুতার চেষ্টার মামলা করে।
আরও পড়ুন:ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদনদীর পানি বেড়ে সুনামগঞ্জের নদনদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর উপচে পড়া পানিতে পৌর শহরে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক শ মানুষ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জেলায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
এরই মধ্যে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব নতুনপাড়া, মরাটিলা, শান্তিবাগ ও নবী নগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাঁটুসমান পানি জমেছে এসব এলাকায়। প্রায় সব ঘরেই পানি ঢুকেছে। অনেকের রান্নাঘরে পানি ঢোকায় খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
মরাটিলা এলাকার বাসিন্দা রিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার ঘরে কোমর পানি। ঘরের চুলা দুদিন হলো বন্ধ। পানির দুর্গন্ধের মধ্যেই কষ্ট করে কোনো রকম ঘরে থাকছি। ছেলেমেয়ে কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারছে না।’
একই এলাকার সবিতা রানী দে বলেন, ‘পানি আইয়া বিপদের মধ্যে আছি। রান্নাবান্না সব বন্ধ, বাজারের গাড়িও আয় না। আর এর মধ্যে গিয়া কর্তা অনেক কষ্ট করি বাজার থাকি হোটেলের খাবার আনিয়া খাইরাম।’
পানির মধ্যেই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জে ২২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যোগাযোগপথ ও আঙিনা প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে হাঁটুসমান পানি থাকায় ২৮টিতে সাময়িকভাবে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুনামগঞ্জের অনেক স্কুলে পানি ঢোকায় পরীক্ষা দিতে এসে অনেক ভোগান্তিতে পড়েছেন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষা দিতে আসা তন্ময় সেন বলেন, ‘ঘরের কাপড় পরেই হাঁটুপানির মধ্যে হেঁটে পরীক্ষা দিতে যাই। কেন্দ্রে গিয়ে সেই পোশাক পরিবর্তন করি।’
তাহিরপুর ভ্রমণ না করতে প্রশাসনের অনুরোধ
ঢলের পানির কারণে এ দুর্যোগের মধ্যে পর্যটকদের তাহিরপুর উপজেলা ভ্রমণে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ অনুরোধ জানান।
সেখানে তিনি জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে তাহিরপুরের প্রতিটি নদনদী, হাওর ও খালবিল কানায় কানায় পানিতে পূর্ণ।
এ দুর্যোগের সময় নদী ও হাওরের পানিতে প্রচুর ঢেউ হচ্ছে যা চলাচলকারী নৌকার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি অসংখ্য বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটছে। তাই এ সময়ে নদী ও হাওরে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে পর্যটকদের অনুরোধ করেন তিনি।
ভ্রমণ করলেও এ সময় পর্যটকদের সতর্কতা অবলম্বনসহ লাইফ জ্যাকেট ও অন্যান্য নিরাপত্তমূলক ব্যবস্থা সঙ্গে রাখতে অনুরোধ করেন তিনি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও রায়হান কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই আমরা বর্তমানে হাওরে ভ্রমণে না আসতে অনুরোধ জানিয়েছি। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।’
কর্তৃপক্ষ যা বলছে
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘শুক্রবার সুরমার পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তবে এটি বৃহস্পতিবারের তুলনায় কিছুটা কম। তবে ভারতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। একই সঙ্গে নদনদীর পানি আরও বাড়তে পারে।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বন্যার্তদের সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনো খাবার, চাল ও নগদ টাকা বিতরণ করছি।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের দুটি হোটেল থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আলাদা হত্যা মামলা করেছে তাদের পরিবার।
বৃহস্পতিবার করা দুই মামলাতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিচ হলিডে
হোটেল বিচ হলিডেতে ১৯ বছরের লাবণী আকতারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা মনির হোসেন কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তরুণীর বাবা মামলাটি করেন। এতে চারজনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ২০ বছরের কামরুল আলম ও ২১ বছরের আরিফ রহমান নিলু আগে থেকেই আটক ছিলেন। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওসি জানান, আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন শরীয়তপুরের নড়িয়ার ২১ বছরের যুবক তানজিল হাসান ও নারায়ণগঞ্জের ২০ বছরের মাহিম হাসান অনিক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই তরুণী এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিলেন। অভিযুক্ত চারজন কৌশলে তাকে কক্সবাজারে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।
ওসি সেলিম জানান, চার বন্ধুসহ ১১ মে কক্সবাজার আসেন লাবণী। কলাতলীর বিচ হলিডে নামের আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন তারা। সেখানে ১৪ মে অসুস্থ হলে লাবণীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে ১৬ মে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ১৮ মে দুপুরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় তরুণীর সঙ্গে কক্সবাজারে আসা দুজনকে আটক করা হলেও অপর দুজন পালিয়ে যান। আটক দুজন জানিয়েছেন, তারা সবাই অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিলেন।
রয়েল টিউলিপ
হোটেল রয়েল টিউলিপ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় ২৯ বছরের মাফুয়া খানমের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার ভাই ছৈয়দুল ইসলাম কক্সবাজারের উখিয়া থানায় মামলা করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন।
তিনি জানান, একজনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়, যাকে আটক করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার দুপুরে। সন্ধ্যায় মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওসি জানান, বুধবার সকালে গোপালগঞ্জের মাফুয়া খানম দিনাজপুরের নাছির উদ্দিন নামের যুবকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল রয়েল টিউলিপে ওঠেন। দুপুরে খাবার শেষে দুজনই নিজেদের কক্ষে অবস্থান নেন।
এর কিছুক্ষণ পর মাফুয়ার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কথা বলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেন নাছির। সেখানে চিকিৎসক মাফুয়াকে মৃত বলে জানান।
এজাহারে বলা হয়, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে মাফুয়াকে কক্সবাজার এনে হত্যা করা হয়েছে।
মামলা হয়নি সী গালের ঘটনায়
কক্সবাজারের হোটেল সী গালে বুধবার রাতে মনিরুল ইসলাম নামের এক পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়নি। এ ঘটনায় তার স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠা ৩৫ বছরের লিজা রহমান ঊর্মিকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন।
তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুজন বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সী গাল হোটেলের ৭২৪ নম্বর কক্ষে অবস্থান নেন। সেখানে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থতা বোধ করলে মনিরুলকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে রাত ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় স্ত্রী পরিচয়ে সঙ্গে থাকা নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল স্বামী নন বলে স্বীকার করেছেন ঊর্মি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আসামির দায়ের কোপে পুলিশ সদস্যের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় প্রধান আসামি কবির আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে গেলে গোলাগুলিতে কবির গুলিবিদ্ধ হন বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।
তিনি বলেন, ‘লোহাগড়ার গহীন পাহাড়ে র্যাবের অভিযানে গুলিবিদ্ধ হন কবির আহমদ। পরে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
এর আগে গত রোববার রাতে বান্দরবন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কবিরের স্ত্রী রানু বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত রোববার সকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কবির আহমদ, তার স্ত্রী ও মাকে আসামি করে মামলা হয়।’
গত রোববার সকাল ১০টার দিকে লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের আধারমানিক এলাকায় আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হন পুলিশ। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ জনি খান ও মো. শাহাদাত ছাড়াও মামলার বাদী আবুল হাশেম আহত হন। আসামি কবির আহমদের ধারালো দায়ের কোপে কনস্টেবল জনি খানের বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তিনি ঢাকার আল মানার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য