করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছেই পাশের দেশ ভারতে। শনিবার দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার, যার মধ্যে ৬ হাজার ৪১ জন আক্রান্ত হয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই শনাক্ত নিয়ে ভারতে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ ছাড়াল।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, দেশটির ২৮ রাজ্যে এখন পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। আর মোট আক্রান্তের ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ সক্রিয় রোগী রয়েছে ভারতে।
এই রোগীর মাধ্যমে ভারতে সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যুও বেড়েছে। এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০২ জন।
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য ছিল মহারাষ্ট্র। তৃতীয় ঢেউ শুরুর পরও সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রেই, রাজ্যটিতে শনিবারও সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
দেশের প্রিমিয়াম টিভির সেগমেন্টে নতুন মাত্রা যোগ করলো হায়ার বাংলাদেশ। এবার দেশের বাজারে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আলট্রা-স্লিম ডিজাইনের মিনিলেড টিভি নিয়ে এলো ব্র্যান্ডটি।
ব্যবহারকারীদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে হায়ার মিনিলেড টিভি। সর্বাধুনিক এই টিভিটি প্রিমিয়াম সেগমেন্টের টিভি বাজারে যোগ করবে অনন্য মাত্রা। ৫৫, ৬৫ ও ৭৫ ইঞ্চির তিনটি সাইজে নিয়ে আসা টিভিটিতে রয়েছে অ্যাডভান্সড মিনি লেড এলইডি ব্যাকলাইটিং টেকনোলজি, ৯৪% কালার ভলিউম ও ৮০০+ নিটস সমৃদ্ধ ৪কে কিউএলইডি ডিসপ্লে প্যানেল, ডলবি ভিশন আইকিউ ও ডলবি অ্যাটমোস এবং বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত কেইএফ-এর বিল্ট-ইন সাব-উফার সগ ৫০ ওয়াট সাউন্ড সিস্টেম।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই টিভিটি বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। এ সময় আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন হায়ার বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াং শিয়াংজিং, টিভি প্রোডাক্ট হেড ফখরুল আলম, সেলস ডিরেক্টর আশরাফুল আলম এবং চাইনিজ মার্কেটিং হেড লি দান দান।
প্রি-বুকিংয়ে সাড়া পাওয়ার পর শুরু হয়েছে ১৫ দিনের অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রাম। বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে এখন হায়ার মিনিলেড টিভির চমৎকার ডিসপ্লে, আলট্রা-স্লিম ডিজাইন ও অত্যাধুনিক ফিচার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।
এরমধ্যে ৫৫ ইঞ্চির মিনিলেড টিভির প্রি-বুক প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪,৯০০; যার অফার মূল্য ৯৯,৯০০ টাকা মাত্র (পূর্বমূল্য ১,০৭,৯০০ টাকা)। একইসাথে, ৬৫ ইঞ্চির মিনিলেড টিভির প্রি-বুক প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪,৯০০; যার অফার মূল্য ১,২৪,৯০০ টাকা মাত্র (পূর্বমূল্য ১,৩৪,৯০০ টাকা) এবং ৭৫ ইঞ্চির মিনিলেড টিভির প্রি-বুক প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ১,১৯,৯০০; যার অফার মূল্য ১,৭৯,৯০০ টাকা মাত্র (পূর্বমূল্য ১,৯৪,৯০০ টাকা)।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম খানকে যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোম প্রকল্পের নেতৃত্বে নিয়োগ দিয়েছে পেন্টাগন। সম্প্রতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মার্কিন বিমানবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
রোববার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘গোল্ডেন ডোম’ নামে পরিচিত এই কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে শরিফুল এম খান এর নীতি, কৌশল এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের সবকিছু তত্ত্বাবধান করবেন। এই প্রকল্পটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জুন মাসে মেজর জেনারেল এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতির জন্য যেসব সামরিক কর্মকর্তাকে মনোনীত করেছিলেন, শরিফুল খান তাদের মধ্যে অন্যতম। গত ১৩ জুন ওই ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১৫ জন সামরিক কর্মকর্তাকে মেজর জেনারেল পদে এবং ৫৫ জনকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতির জন্য মনোনীত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. ওসমান সিদ্দিক গত ২০ আগস্ট একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জানান যে, নতুন পদে শরিফুল এম. খানের অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
১৯৯৭ সালে ইউএস এয়ার ফোর্স একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট অপারেশন এবং জাতীয় গোয়েন্দা অভিযানে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এবং একাধিক সামরিক সম্মাননা পেয়েছেন।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। ভারতে শর্তসাপেক্ষে ইলিশ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতি বছরই ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা বেশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ১১ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালে হার্ড কপিতে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী রপ্তানিকারকেরা। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে আরও বলা হয়, প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে যারা আহ্বান ব্যতিরেকেই আবেদন করেছেন, তাদেরও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে।
গতবারের চেয়ে অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি
গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। এবার এর অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলো। গতবার সব মিলিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে।
অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি না করা, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ছাড়া ঠিকায় (সাব-কন্ট্রাক্ট) রপ্তানি না করার শর্তও থাকছে। বলা হয়েছে, সরকার যেকোনো সময় রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে।
অবৈধ বালু উত্তোলনে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে তিস্তা নদীর তীরে নির্মিত ৫ কোটি টাকার সলেডি স্পার বাঁধ। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে গোবর্দ্ধন গ্রামের বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বসানো হয়েছে বালু উত্তোলনের বোমা মেশিন। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই বাঁধ বিনাশী কার্যক্রম।
জানা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে বিগত বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০২ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদীর বাম তীরে সলেডি স্পার বাঁধ-২ নির্মাণ করে তৎকালীন সরকার। সেই বাঁধের একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে একটি বালু খেকো চক্র।
আর এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের এপিএস মিজানুর রহমানের ঘনিষ্ট সহযোগী শওকত হোসেন ওরফে বালু শওকত। গত ১১ বছর এপিএস মিজানের তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন ও বিক্রির ব্যবসা দেখভাল করতেন তিনি।
মিজান পলাতক হলেও খোলস পাল্টিয়ে ব্যবসা ঠিক রেখেছেন শওকত আলী। তার বাড়ি পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশ্বহর গ্রামে। বিগত দিনে এপিএস মিজান ও আওয়ামী ক্ষমতা দেখিয়ে বালু উত্তোলন করে শূন্য থেকে হয়েছেন কোটিপতি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি কাজের অজুহাত দেখিয়ে তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বালু শওকত। বর্তমানে সরকারি কাজের অজুহাতে বালু তুলছেন শওকত। বোমা মেশিনটি সলেডি স্প্যার বাঁধের প্রায় একশত গজ ভাটিতে নেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানে বড় গর্ত হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে স্প্যার বাঁধটি। এটি ধসে গেলে শত শত বসতভিটা স্থাপনা ও আবাদি জমি তিস্তার কড়াল গ্রাসে বিধ্বস্ত হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সলেডি স্প্যার বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দক্ষিণে প্রায় পাঁচশত গজ দূরে মজুর বাড়ির পাশে স্তূপ করা হচ্ছে তিস্তা নদীর বালু। কয়েক দিন আগে স্তূপ করা হয় ওই এলাকার রফিজের ছেলে মন্টু মিয়া, মোসলেমের ছেলে মন্টু, নবিয়ারের ছেলে তাজাম্মেল, বজলুর ছেলে রবিউলের বাড়ির পাশেসহ অনেক স্থানে স্তূপ করছে। বালু তোলা শেষ হলে সুযোগ মতো সড়িয়ে নেওয়া হবে ট্রাকে। এমনটাই জানান স্থানীয়রা।
তবে সেখানে কর্মরত একজন শ্রমিক বলেন, শওকতের নির্দেশে বালু তোলা হচ্ছে। তার মেশিন তার তেল আমরা তার হয়ে কাজটা করছি মাত্র। বালু প্রসঙ্গে কিছু জানতে হলে শওকতের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন এ শ্রমিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে এপিএস মিজানের হয়ে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করেছে বালু শওকত। এখন মিজান নেই, ভোল্ট পাল্টিয়ে স্থানীয় অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আগের ব্যবসা ঠিক রেখেছেন শওকত।
একই স্থান থেকে প্রতি বছর বালু উত্তোলন করায় বাঁধটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বন্যার সময় বাঁধটি কেঁপে উঠে। বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে স্থানীয় নেতাদের দিয়ে হয়রানি করে। তাই কেউ প্রতিবাদ করে না।
এসব বিষয়ে শওকত আলী ওরফে বালু শওকত বলেন, সলেডি স্প্যার বাঁধের ভাটিতে প্রায় ১৩ হাজার জিও ব্যাগে বালু ভরাট করার কাজ পেয়েছেন দিনাজপুরের একজন ঠিকাদার। তার হয়ে আমি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে কাজ শেষ করেছি। এখন কে বালু উত্তোলন করছে তা আমার জানা নেই।
স্প্যার বাঁধের কাছে বালু মেশিন বসানোর কারণে বাঁধের ক্ষতি হবে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। মূল ঠিকাদারের নাম নম্বর চাইলেও দেননি তিনি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, জিও ব্যাগে বালু ভরাট ও ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান। বালু স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করার কথা হয়েছে। তবে বাঁধের কাছে মেশিন বসানো ঠিক নয়। বিষয়টি দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদকের মামলার আসামি ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে চিকিৎসা খরচ গ্রহণের কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে গত রোববার তাকে বদলি করে দুদকের এনআইএস এবং উন্নয়ন সহযোগী ও সমন্বয় (দেশীয়) বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলাম কমিশনের অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক মাহাবুবুল আনামের কাছ থেকে চিকিৎসা খরচ বাবদ অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
গোপন অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, গত ১৭ আগস্ট মীজানুল ইসলাম এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ২০ আগস্ট ছাড়পত্র নেন। কিন্তু চিকিৎসা বাবদ বকেয়া দুই লাখ চার হাজার একশত বত্রিশ টাকা তিনি নিজে পরিশোধ না করে অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট মাহাবুবুল আনামের প্রদত্ত গ্যারান্টির ভিত্তিতে ছাড়পত্র নেন।
অভিযোগের গুরুত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় বিষয়টি গত ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদক জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে মীজানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হবে এবং বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি নিয়ম অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।
গত ২৭ জানুয়ারি তিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক। এর দুটি মামলার আসামির তালিকায় ছিলেন এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক মাহাবুবুল আনাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি নির্ধারিত স্থানে এই ভোট কার্যক্রম চলছে। সরেজমিনে দেখা যায় নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন ভোটার শিক্ষার্থীরা।
এর আগে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসাররা মিডিয়ার সামনে ব্যালট বক্সগুলো সিলগালা করেন।
ভোট শুরুর পর ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী সাদিক কায়েম ও ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তানভীর বারী হামিম ভোটারদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
ভোট দেয়ার পর কথা হয় সুমন হক নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এই প্রথম তিনি তার জীবনের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, নিজের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারাটা আমার অধিকার এবং একই সাথে আমার জন্য এটা সম্মানের। ফ্যাসিজমের পতনের পর এরকম একটি পরিবেশে ভোট দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।
আরেক শিক্ষার্থী আলফাজ হোসেন বলেন, আমি ভোটার হয়েছি আরো অনেক আগেই। কিন্তু আমার ইচ্ছা মতো আমার পছন্দের প্রার্থীকে কখনোই ভোট দিতে পারিনি। এই প্রথম আমি আমার ইচ্ছামতো ভোট দিতে পেরেছি এবং কেউ আমাকে এখানে জোরজবরদস্তি করেনি।
তিনি আরো বলেন, ডাকসুতে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারব এটাও কখনো ভাবিনি। তাই ভোট দিতে পেরে আসলে বেশ ভালো লাগছে।
রাজধানীর বাড্ডায় চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ছিনতাই করা অটোরিকশাটি প্রকৃত মালিকের গ্যারেজেই বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন তারা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বাড্ডা কাঠালদিয়া, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটের বিপরীত পাশ থেকে রিকশাচালক মাসুদ ওরফে কাজলের (৪২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের শ্যালক মো. সেলিম জানান, কাজলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। তিনি ভাটারার ফাসেরটেক এলাকায় বসবাস করতেন; তার স্ত্রী ও তিন সন্তান গ্রামে থাকেন। ঢাকায় ভাড়ায় অটোরিকশা চালাতেন কাজল।
তিনি আরও জানান, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নতুনবাজার এলাকার গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন কাজল, এরপর আর বাসায় ফেরেননি। রাতে দুই যুবক তার রিকশা নিয়ে একই গ্যারেজে বিক্রি করতে গেলে গ্যারেজ মালিক সেটি চিনে ফেলেন। এ সময় মালিকের প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি তারা, বরং রিকশাটিকে নিজেদের বলে দাবি করেন ছিনতাইকারীরা।
পরে গ্যারেজমালিক ও স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কাজলকে খুন করে বাড্ডার কাঠালদিয়ায় মরদেহ ফেলে রেখে এসেছেন ওই দুই যুবক। পরবর্তীতে সোমবার বেলা ১২টার দিকে সেখান থেকে কাজলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, চালককে হত্যার পর রিকশা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন দুই ঘাতক। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য