বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের বাণিজ্যিক মহাকাশ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। প্রতিষ্ঠানটি মহাকাশে বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট, স্পেস স্টেশনে ক্রু ও কার্গো প্রেরণ করে থাকে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের লো অরবিটাল স্যাটেলাইটও পাঠাচ্ছে তারা। সর্বশেষ নাসার চাঁদে পুনরায় মানুষ পাঠানোর প্রকল্প আর্টেমিসে যুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ইলন মাস্কের লক্ষ্য আরও বড়। তিনি মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাতে চান।
জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন ওয়েব সিরিজ ‘দ্য এক্সপেন্স’-এর মতো মানুষও যাতে মহাকাশনির্ভর সভ্যতা গড়ে তুলতে পারে সেই লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক। তারই অংশ হিসেবে স্পেসএক্স তৈরি করেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রকেট স্টারশিপ।
মহাকাশ অভিযানের ব্যয় কমাতে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রকেটশিপের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু স্টারশিপের রকেট বুস্টার বেশ বড়। একে সঠিকভাবে ফিরিয়ে আনা কঠিন। এর রকেট বুস্টারটি স্বয়ংক্রিয় অবতরণ করবে না। এটিকে ধরে ফেলা হবে।
স্পেসএক্সের স্টারশিপ স্পেসএক্সের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি সফল হলে স্টারশিপ মানুষকে চাঁদে কিংবা এর থেকেও দূরে নিয়ে যেতে পারে। যদি ব্যর্থ কিংবা প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হয়, প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।
এই প্রকল্প সফল হলে স্টারশিপের রকেট বুস্টারই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোনও বস্তু যা কৃত্রিম উপায়ে ধরে ফেলা হবে।
সাধারণত রকেট উৎক্ষেপণের জন্য লঞ্চ টাওয়ারের দরকার হয়। স্টারশিপের টাওয়ার শুধু উৎক্ষেপণের জন্য নয়, এর থাকবে দুটি রোবটিক হাতও। তা স্টারশিপ উৎক্ষেপণ করে ফেরার পথে নিচে নামতে থাকা রকেট বুস্টারকে ধরে ফেলবে। তাই একে বলা হচ্ছে ‘লঞ্চ অ্যান্ড ক্যাচ টাওয়ার’।
স্টারশিপের বুস্টার ছোড়ার পর স্বচালিত হয়ে নামার প্রয়োজন হবে না। এটিকে ক্যাচ টাওয়ার ধরে ফেলবে। তাই ল্যান্ডিং-লেগ এতে রাখা হয়নি। ফলে বুস্টারের ওজন কমবে। উৎক্ষেপণের সময় জ্বালানি খরচও কমে যাবে। জ্বালানি লোড করে দ্রুত পরবর্তী স্টারশিপ ছোড়াও সহজ হবে।
এর আগে ইলন মাস্ক বলেন, ‘স্টারশিপ স্পেসএক্সের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি সফল হলে স্টারশিপ মানুষকে চাঁদে কিংবা এর থেকেও দূরে নিয়ে যেতে পারে। যদি ব্যর্থ কিংবা প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হয়, প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।’
স্টারশিপ প্রকল্প একের পর এক চমক দেখিয়েই যাচ্ছে। মাস্ক দাবি করেছেন, এই রকেটে ব্যবহৃত ৩৩ র্যাপ্টর ইঞ্জিন এই পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট ইঞ্জিন। এবার তারা এমন এক টাওয়ার উন্মোচন করল যা শুধু স্পেসএক্সের রকেটকে ছুড়তেই সাহায্য করবে না, অবতরণের সময় একে ধরেও ফেলবে।
আরও পড়ুন:Starship launch & catch tower pic.twitter.com/5mLIQwwu0k
— Elon Musk (@elonmusk) January 9, 2022
অনলাইন শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে টুইনপোস্ট বিডি। এটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কবিতা, অনুচ্ছেদ, বাংলা প্রবন্ধ, ছড়া, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, আবহাওয়ার আপডেট এবং শিক্ষাবিষয়ক সংবাদ একসঙ্গে পাওয়া যাবে।
উচ্চমানের ও আকর্ষণীয় কনটেন্ট সরবরাহের লক্ষ্যে চালু হওয়া ওয়েবসাইটটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং জ্ঞানসন্ধানীদের জন্য এক অনন্য গন্তব্য হয়ে উঠবে বলে আশা উদ্যোক্তার।
শিক্ষা ও সৃজনশীলতার নতুন মঞ্চ
উদ্যোক্তার ভাষ্য, টুইনপোস্ট বিডি বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট সরবরাহ করে, যা পাঠকদের বহুমুখী চাহিদা পূরণে সক্ষম। মনোমুগ্ধকর কবিতা থেকে শুরু করে শিক্ষামূলক প্রবন্ধ, কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর এবং সর্বশেষ আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেটসহ নানা বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করছে এটি। শিক্ষাবিষয়ক সংবাদের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে প্ল্যাটফর্মটি।
‘টক অফ দ্য সিরিজ’: স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংলাপের কেন্দ্রবিন্দু
উদ্যোক্তার মতে, টুইনপোস্ট বিডির অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হলো ‘টক অফ দ্য সিরিজ’, যেখানে তিনটি বিশেষ অংশ রয়েছে। সেগুলো হলো ‘টক অফ দ্য টাউন’, ‘টক অফ দ্য কান্ট্রি’ এবং ‘টক অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’।
এ বিভাগ স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পাঠকদের সম্পৃক্ত করতে সাহায্য করবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা
টুইনপোস্ট বিডি ক্রমাগত উন্নতির প্রতিশ্রুতি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন বিভাগ সংযোজন এবং সমৃদ্ধ কনটেন্ট লাইব্রেরি তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। ডিজিটাল শিক্ষার জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার লক্ষ্যে কাজ করছে প্ল্যাটফর্মটি।
কেন টুইনপোস্ট বিডি অনন্য
উদ্যোক্তার মতে, কিছু কারণে টুইনপোস্ট বিডি অনন্য। সেগুলো হলো কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া ও শিক্ষামূলক কনটেন্টের সমৃদ্ধ সংগ্রহ, নির্ভুল ও সময়োপযোগী আবহাওয়া আপডেট, শিক্ষা সংবাদ, ‘টক অফ দ্য সিরিজ’-এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় আলোচনা, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য ব্যবহারকারী-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম।
যুক্ত হতে পারেন আপনিও
টুইনপোস্ট বিডি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, লেখক ও কনটেন্ট অনুরাগীদের জন্য একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম, যেখানে জ্ঞানের আদান-প্রদান সহজ ও কার্যকরী। উচ্চমানের ও আকর্ষণীয় কনটেন্ট প্রদানের অঙ্গীকার নিয়ে ওয়েবসাইটটি ডিজিটাল বিশ্বে একটি স্থায়ী প্রভাব রাখতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি মেটা ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ প্ল্যাটফর্মগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অ্যাপ যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে সিএনবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, এআইকে শক্তিশালী করার মডেলের ক্ষেত্রে মেটা অ্যামাজন, ওপেনএআই, গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। ২০২৩ সালে নিজস্ব এআই চ্যাটবট চালু করার পর থেকে তারা ক্রমবর্ধমানভাবে প্রযুক্তিটিকে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যবহার করছে।
সিএনবিসি বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে জানায়, মেটা এ বছরের মাঝামাঝি নাগাদ একটি স্বতন্ত্র এআই অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনা করছে।
ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান এক্সে এক পোস্টে সিএনবিসির লিংকসহ লিখেছেন, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে। হয়তো আমরা একটি সামাজিক অ্যাপ তৈরি করব।’
মেটা সম্প্রতি ২০২৪ সালের জন্য ক্রমবর্ধমান মুনাফা ও রাজস্বের কথা জানিয়েছে। আগামী বছরে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবকাঠামো সম্প্রসারণের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি আশা করছি এ বছর এমন একটি বছর হবে, যখন একটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও ব্যক্তিগতকৃত এআই সহকারী ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে এবং মেটা এআই সেই শীর্ষস্থানীয় সহকারী হবে।’
গবেষকরা এআইনিয়ন্ত্রিত এমন ক্যালকুলেটর তৈরি করেছেন যা বলে দিতে পারে আপনি আপনার মৃত্যুর ঠিক কতটা কাছে। ল্যানসেট ডিজিটাল হেলথ-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনটা জানানো হয়েছে।
এআই-চালিত ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (AI-ECGs) একজন ব্যক্তির ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সমস্যা এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকির পূর্বাভাস দিতে পারে। অবশ্য দৈনন্দিন চিকিৎসা পরিষেবায় সেগুলো এটি ব্যবহার করা হয়নি।
বর্তমানে এআই ক্যালকুলেটরের এই ভবিষ্যদ্বাণী পৃথক রোগীদের জন্য স্পষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে না। সেসঙ্গে জীববিজ্ঞানের সঙ্গে এর কার্যকারিতা সারিবদ্ধ নয়। এই সমস্যাগুলো মোকাবেলায় ল্যানসেট গবেষকরা AI-ECG রিস্ক এস্টিমেটর (AIRE) নামে একটি নতুন টুল তৈরি করেছেন।
মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়ে AIRE ভবিষ্যতে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ড পাম্প করা বন্ধ করে দেয়, যার ফলে দশটির মধ্যে প্রায় আটটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সমস্যা এবং প্রাথমিকভাবে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
গবেষকরা বলছেন, ‘আমরা AI-ECG রিস্ক এস্টিমেটর (AIRE) প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে পূর্ববর্তী AI-ECG পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছি।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অধীনে দুটি হাসপাতাল আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে এই প্রযুক্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। আর বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে এটি পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা জুড়ে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
হাসপাতালে আসা রোগীরা এআই ‘ডেথ ক্যালকুলেটর’ থেকে আনুমানিক আয়ুষ্কালের পূর্বাভাস পেতে পারে। এই টুলটি একটি একক ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG) পরীক্ষা ব্যবহার করে, যা কয়েক মিনিটের মধ্যে হার্টের কার্যকলাপ রেকর্ড করে অজানা স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো শনাক্ত করতে পারে। AI-ECG বা AIRE নামে পরিচিত এই প্রোগ্রামটি ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত নির্ভুলতার সঙ্গে ECG-এর পর ১০ বছরের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারে বলে গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে।
ল্যানসেট গবেষকরা এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৯ রোগীর ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ইসিজি পরীক্ষার ফলাফলের ডেটাসেট ব্যবহার করে প্রযুক্তিটির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তারা দেখেছেন, এটি তিন-চতুর্থাংশ (৭৬ শতাংশ) ক্ষেত্রে এবং ভবিষ্যতের এথেরোস্ক্লেরোটিক কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতো গুরুতর হৃদযন্ত্রের সমস্যা (যেখানে ধমনি সংকীর্ণ, রক্তপ্রবাহকে কঠিন করে তোলে) দশটির মধ্যে সাতটি ক্ষেত্রে শনাক্ত করেছে।
শুধু রোগ নির্ণয় নয়, ‘এআই ডেথ ক্যালকুলেটর’ স্বাস্থ্য ঝুঁকির একটি পরিসরও জানাবে যা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি AIRE শনাক্ত করে যে আপনি একটি নির্দিষ্ট হৃদযন্ত্রের ছন্দের সমস্যার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন, তাহলে আপনি এটিকে প্রতিরোধ করতে আরও বেশি সক্রিয় হবেন।
রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা বা না-থাকার বিষয় নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানায়।
সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির বিষয়টিও আলোচনায় আসে। এ সময় সিদ্ধান্ত হয় রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করবেন কিনা বা তিনি এ পদে থাকবেন কিনা সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে মতামত নেয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না-থাকা নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনার মধ্যে গতকাল বুধবার দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের তিন নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। দলটি এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না। বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।
দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে রাষ্ট্রপতির ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই’ মর্মে বক্তব্য প্রকাশ হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবি তুলে গত মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে। ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনের সামনেও বিক্ষোভ করা হয়।
এর আগে গত সোমবার রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের ব্যাপারে সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে ওনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল।
‘কারণ, তিনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।’
আরও পড়ুন:জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মুনীরা সুলতানা।
এ নিয়োগ দিয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর ১৯৬৫ সালের ২৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় আসে।
জাদুঘরটি বাংলাদেশের একমাত্র বিজ্ঞান জাদুঘর এবং জাতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
প্রোটিন নিয়ে গবেষণা করে ২০২৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন রসায়নবিদ।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে বুধবার জানানো হয়, এ বছর তিন গবেষকের মধ্যে একজনকে পুরস্কারের অর্ধেক এবং বাকি দুজনকে অর্ধেক দেয়া হয়েছে।
সাইটে উল্লেখ করা হয়, কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন নিয়ে গবেষণার জন্য এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে ডেভিড বেকারকে। অন্যদিকে প্রোটিনের কাঠামো নিয়ে পূর্বাভাসের জন্য ডেমিস হ্যাসাবিস ও জন এম. জাম্পারকে এ পুরস্কারের অর্ধেক দেয়া হয়।নো হ বু এ
তিন গবেষকের মধ্যে হ্যাসাবিস ও জাম্পার জ্ঞাত প্রায় সব প্রোটিনের কাঠামো নিয়ে পূর্বাভাস দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) সফলভাবে কাজে লাগান। অন্যদিকে ডেভিড বেকার প্রোটিনের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানার পাশাপাশি সম্পূর্ণ নতুন কিছু প্রোটিন উদ্ভাবন করেন।
পদার্থবিজ্ঞানে এবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষক জন জে. হপফিল্ড ও কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির গবেষক জেফরি ই. হিন্টন।
সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করা মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে জন জে. হপফিল্ড ও জেফরি ই. হিন্টনকে।
এতে উল্লেখ করা হয়, হপফিল্ড একটি কাঠামো নির্মাণ করেন, যেটি তথ্য মজুত ও পুনর্নির্মাণ করতে পারে। অন্যদিকে হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা ডেটাতে স্বতন্ত্রভাবে প্রোপার্টি আবিষ্কার করতে পারে। বর্তমানে ব্যবহৃত বৃহদাকার স্নায়বিক নেটওয়ার্কের জন্য এ উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে ১৯০১ সাল থেকে। আজকের আগে ১১৭ জন এ পুরস্কার পান।
এ শাস্ত্রে সবচেয়ে কম ২৫ বছর বয়সে নোবেল পান লরেন্স ব্র্যাগ, যিনি ১৯১৫ সালে পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি ৯৬ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পান আর্থার অ্যাশকিন। তিনি ২০১৮ সালে পুরস্কারটি পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য