সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে অনায্যভাবে পোস্ট, ভিডিও-ছবি মুছে দেয়ার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন ফিলিস্তিনের সাংবাদিকরা।
ফিলিস্তিনে বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপের পোস্টের ক্ষেত্রেও মাধ্যমটি চরম দমন চালাচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ তুলেছেন।
অবশ্য এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ফেসবুক। মাধ্যমটির দাবি, তারা অনায্যভাবে কোনো পোস্ট মুছে দেয়নি বা দমন করেনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর ফিলিস্তিন টিভির প্রতিবেদক ক্রিস্টিয়ান রিনাভি তার ফেসবুক ওয়ালে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটি ছিল ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনি এক ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে গুলি করে হত্যা করার। সে ব্যক্তি ছুরি নিয়ে ইসরায়েলি এক বেসামরিক নাগরিকের ওপর চড়াও হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
রিনভি ভিডিওটি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে সেটি সরিয়ে ফেলে ফেসবুক। রিনভির অ্যাকাউন্টে প্রায় চার লাখ ফলোয়ার ছিলেন।
এমন অনায্যভাবে তার ফেসবুক থেকে কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। রিনভি বলেন, তিনি গত নভেম্বরে জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি হামলার ফুটেজ পোস্ট করেছিলেন। এরপর থেকে তার অ্যাকাউন্ট সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়।
উভয় ক্ষেত্রেই ফেসবুক বলেছে, তারা বিষয় দুটিতে হস্তক্ষেপ করেছে, কারণ রিনভির পোস্ট করা কনটেন্টগুলো প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা অ্যাপটির মাধ্যমে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই এমন ডিজাইন করেছেন।
‘যারা কোনো কিছু পোস্ট করুক না কেন, আমরা আমাদের নীতিগুলো সবার কাছেই সমানভাবে প্রয়োগ করি।’
গত কয়েক বছর থেকেই ইসরায়েলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। গত অক্টোবরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইসরায়েলি সমালোচক বলেন, ফিলিস্তিনি ও তাদের সমর্থকদের প্ল্যাট ফর্মটিতে ব্যাপক দমনপীড়ন চলছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে মানবাধিকারবিষয়ক কোনো কথা তারা বলতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনি অনেক প্রতিবেদক আছেন যারা নানা ধরনের সমালোচনামূলক বক্তব্য দমনের অভিযোগ করেছেন ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
মেটার মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের আরবি ও হিব্রু ভাষার একটি দল রয়েছে, যারা আমাদের কমিউনিটিকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করেন। তারা অন্যের জন্য ক্ষতিকর কনটেন্টগুলো মুছে ফেলেন।’
আরও পড়ুন:স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স। এখন থেকে প্রতি শনিবার ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোনের জন্য বিনা মূল্যে সার্ভিসিং সেবা পাবেন।
ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল সার্ভিস পার্টনার কার্লকেয়ার এই ‘ফ্রি সার্ভিস ডে’ চালু করেছে, যা প্রতি শনিবার অব্যাহত থাকবে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীরা আরও সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী ও সহজ সেবা অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। কার্লকেয়ারের সাপ্তাহিক ফ্রি সার্ভিস ডেতে ডিভাইস ক্লিন-আপ, প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আপডেট এবং মেরামতের সুবিধা থাকছে।
সারা দেশে কার্লকেয়ারের ৭৪টি সার্ভিস পয়েন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি ফ্লাগশিপ সার্ভিস সেন্টার। শুধু রাজধানীতেই ৯টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে।
ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, বাড্ডা এবং মিরপুরে কার্লকেয়ারের অত্যাধুনিক সার্ভিস সেন্টারগুলোতে গ্রাহকরা উন্নত সেবা নিতে পারবেন।
যা থাকছে ফ্রি সার্ভিস ডেতে
১. বিনামূল্যে স্মার্টফোন ক্লিন-আপ।
২. ফ্রি সফটওয়্যার আপডেট, যা ডিভাইসের নিরাপত্তা ও পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।
৩. ওয়ারেন্টির বাইরে থাকা মেরামতের ক্ষেত্রে ১৫% ছাড়।
৪. প্রতি শনিবার মেরামতের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি।
৫. গ্রাহকদের জন্য বিশেষ উপহার।
ইনফিনিক্স ও কার্লকেয়ারের ভাষ্য, তাদের লক্ষ্য ব্যস্ত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবী, পেশাজীবী—সবাই যেন তাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে নির্ভরযোগ্য বিক্রয়োত্তর সেবা পেতে পারেন।
কার্লকেয়ারের বিস্তৃত সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইনফিনিক্স নিশ্চিত করতে চায়, বিক্রয়োত্তর সেবা নিয়ে গ্রাহকদের আর কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীরা যেকোনো শনিবার নিকটস্থ কার্লকেয়ার সেন্টারে গিয়ে এ বিশেষ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো এবার বাংলাদেশের বাজারে ‘রেনো১৩ সিরিজ’-এর উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে।
দেশে শিগগিরই উন্মোচন হতে যাচ্ছে এ সিরিজের স্মার্টফোন, যেখানে গ্রাহকদের জন্য অপেক্ষা করছে ফ্যাশন ও প্রযুক্তির এক অভিনব মেলবন্ধন।
প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত আকর্ষণীয় ডিজাইন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অনবদ্য ফ্যাশন উপকরণের সমন্বয়ে ডিভাইসটি গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে।
প্রজাপতির ডানার মতো করে তৈরি বাটারফ্লাই শ্যাডো এবং লুমিনাস লুপ ডিজাইনের মাধ্যমে নান্দনিকতা ও আবেগময় ভাব প্রকাশে ‘রেনো১৩ সিরিজ’ নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
একনজরে দেখা যাক, কী নতুনত্ব থাকছে এ স্মার্টফোনে
বাটারফ্লাই শ্যাডো ডিজাইন: প্রকৃতিতে রূপান্তরবিষয়ক সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতীকগুলোর একটি হচ্ছে প্রজাপতি, যেটিকে বাটারফ্লাই শ্যাডো ডিজাইনের অনুপ্রেরণা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এটি শুধু দেখার মতো সৌন্দর্যই নয়, বরঞ্চ এই অলংকরণ প্রকৃতির গভীর অকৃত্রিম নান্দনিকতা, সাহসিকতা ও শহুরে জীবনের গতিময়তা ফুটিয়ে তোলে। এ ছাড়া লেজার ডিরেক্ট রাইটিং টেকনিকের মাধ্যমে নিখুঁত এ নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে ফোনটি নাড়াচাড়া করলে উড়ন্ত প্রজাপতির মতোই প্রতিবিম্ব পড়বে।
ফ্যাশন ও প্রযুক্তির নতুন চ্যাপ্টার: বর্তমান দুনিয়াতে ফ্যাশন ও প্রযুক্তি দুটোই খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। ডিজাইন, প্রকৃতি ও আবেগের মিশেলে ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ সবার সামনে উপস্থাপন করছে ভিন্ন কিছু। বাটারফ্লাই শ্যাডো ও লুমিনাস লুপ শুধু ফিচার নয়, এগুলো ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষারই যেন বহিঃপ্রকাশ।
প্রিমিয়াম ডিজাইন: রেনো১৩ সিরিজের মাধ্যমে স্বকীয় ডিজাইন ভাবনার প্রতি অপোর দায়বদ্ধতা ও কারিগরি দক্ষতার বিষয়টি আবারও স্পষ্ট হয়েছে। এটির ক্যামেরা মডিউল এবং ব্যাক ফ্রেম নিখুঁতভাবে একই সঙ্গে মিলে যায়। তাই এটি দেখতে দারুণ লাগে ও মোটেই অসমাঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয় না। এতে ডিভাইসটি আরও নান্দনিক হয়ে ওঠে ও প্রকাশ পায় পরিশীলতা।
লুমিনাস লুপ: লুমিনাস লুপ হচ্ছে ক্যামেরা মডিউলকে ঘিরে অভিনব সেলফ-ইলুমিনেটিং রিং, যা আবেগকেন্দ্রিক ডিজাইনের চর্চায় রেনো১৩ সিরিজকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এটি শুধু দেখার নান্দনিক কোনো বিষয়ই নয়, বরং ব্যবহারকারী ও ডিভাইসের মধ্যে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিরও একটি উপকরণ। প্রাকৃতিক বায়োলুমিনেসেন্স থেকে অনুপ্রাণিত এ লুমিনাস লুপ রেনো১৩ সিরিজকে কেবল একটি ফোনের চাইতে নিবিড় বিশেষ কিছু হিসেবেই প্রমাণ করতে পেরেছে।
ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ইকোসিস্টেম অনেকগুলো আন্তঃসংযুক্ত ডিভাইসের একটি নেটওয়ার্ক, যা ব্যবহারকারীদের একটি সমন্বিত অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
সম্প্রতি ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের তিনটি আইওটি ইকোসিস্টেম ডিভাইস উন্মোচন করেছে।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির এ তিনটি ডিভাইস— ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ ও ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২— একে অপরের সাথে সহজে সংযুক্ত হয়ে প্রোডাক্টিভিটি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সেরা ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করে।
সহজ সংযোগ
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য এর ডিভাইসগুলোর মধ্যে সহজে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা। যেমন: ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ ও ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩-এর মধ্যে সহজে অডিও ট্রান্সফার করা যায় ফলে মিটিং বা কোনো সিনেমা দেখার সময় স্ক্রিন থেকে সাময়িক সময়ের জন্য দূরে চলে গেলেও মিটিং করা বা সিনেমা চালু রাখা সম্ভব। ৩২ ফুটেরও বেশি কার্যকরী রেঞ্জ নিয়ে ওয়ান প্লাস বাডস প্রো ৩-এর শক্তিশালী ব্লুটুথ ৫.৪ এ ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী।
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ এই ডিভাইস দুটির মাঝে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে। এটি ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন চেক করার পাশাপাশি মিউজিক প্লেব্যাক নিয়ন্ত্রণ করতে এমনকি ওয়ানপ্লাস প্যাড ২-এর রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ইন্টারকানেক্টিভিটি ফিচার ডিভাইসগুলোকে আরও কার্যকর ও ব্যবহারকারীদের লাইফস্টাইলের সাথে মানানসই করে তোলে।
সবকিছু আরও সহজে
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের প্রতিটি ডিভাইস জীবনকে সহজ করতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২-এর উন্নত ডিজাইন ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স কাজ, পড়াশোনা ও বিনোদনের জন্য একটি বহুমুখী ডিভাইস। এর ১২.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে ও উচ্চ রিফ্রেশ রেট একটি মসৃণ ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ ডাইনাঅডিও টিউনিং ও অ্যাডাপটিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশনের মাধ্যমে স্টুডিও-মানের সাউন্ড অনুভূতি দেয়। যাতায়াত, ব্যায়াম বা ফোনে কথা বলা যেকোনো পরিস্থিতিতে এটি নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। যেকোনো ওয়ানপ্লাস ডিভাইসের সাথে দ্রুত সংযুক্ত হতে সক্ষম ডিভাইসটির এডজাস্টেবল এয়ারপিস থাকায় হওয়ায় খুব সহজেই কানের সাথে মানিয়ে যায়।
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো নোটিফিকেশন ও ডিভাইসটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের হাতের নাগালে এনে দেয়। ফিটনেস ট্র্যাকিং, হার্ট রেট মনিটরিং, কল নোটিফিকেশনের মতো ফিচার এটিকে স্বাস্থ্য ও প্রোডাক্টিভিটি বজায় রাখতে দারুণ কার্যকরী ডিভাইসে পরিণত করেছে।
বাড়বে কর্মদক্ষতা
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের মূলে রয়েছে প্রোডাক্টিভিটি। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২-এর শক্তিশালী প্রসেসর ও ব্যবহারকারীবান্ধব ইন্টারফেসের জন্য মাল্টিটাস্কিংয়ে দক্ষ। ওয়ানপ্লাস স্টাইলো নোট নেওয়া এবং স্কেচ করার জন্য আদর্শ করে তোলে। ওয়ানপ্লাস ম্যাগনেটিক কীবোর্ড একটি মিনি ওয়ার্কস্টেশনে রূপান্তরিত করে, যা রিপোর্ট বা ইমেইল লেখার জন্য পারফেক্ট।
ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ উন্নত নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিষ্কার কল ও মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে। ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ রিমাইন্ডার, মিটিং অ্যালার্ট ও ফিটনেস আপডেট দিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের কাজগুলো সহজ করে তোলে।
প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে নতুন ধারা
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেম উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্মার্ট ও কানেক্টেড জীবনধারার একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩, এবং ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২-এর সমন্বয়ে তৈরি এই ইকোসিস্টেম ব্যবহারকারীদের জীবনকে সহজ ও আরও সময় সাশ্রয়ী করে তুলবে। শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, বা প্রযুক্তিপ্রেমী— সবার জন্য ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেম একটি স্মার্ট ও কার্যকর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে।
আরও পড়ুন:প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসের পর যুক্তরাষ্ট্রে ফের কার্যক্রম শুরু করেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও হোস্টিং সার্ভিস টিকটক।
স্থানীয় সময় রবিবার থেকেই দেশটিতে টিকটকের কার্যক্রম পুনর্বহাল করা হয়।
এর আগে ট্রাম্প বলেন, স্থানীয় সময় সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিতে প্রবেশ পুনর্বহাল করবেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অভিষেকের আগে একটি শোভাযাত্রায় তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই, যে কারণে এটিকে রক্ষা করতে হবে। ১৭ কোটি আমেরিকান অ্যাপটি ব্যবহার করেন।’
এক বার্তায় টিকটকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে টিকটিক ফিরেছে।’ এর আগে রবিবার সন্ধ্যাতেও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে টিকটিক ছিল না।
চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা প্রবেশ শুরু করলে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের সেবাদাতাদের সঙ্গে একটি চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক আবার পুনর্বহাল হচ্ছে। এ ছাড়া টিকটককে কার্যক্রম চালাতে দিলে সেবাদাতাদের কোনো ধরনের সাজার মুখে পড়তে হবে না, এমন আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। টিকটকের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।'
এর আগে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি আইন গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় টিকটক ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৭ কোটি গ্রাহক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন।
আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মালিকানা বিক্রি না করলে কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা।
গত বছরের এপ্রিলে কংগ্রেসে পাস হওয়া আইনটির বিষয়ে টিকটক, বাইটড্যান্স ও কিছুসংখ্যক ব্যবহারকারী চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে ওই আইন বহাল রাখার আদেশ দেন।
বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হলো, এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
আরও পড়ুন:মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ইন্টারনেট ডাটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর মঙ্গলবার এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেছে।
এ সমঝোতার অংশ হিসেবে উবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫-এর অফিশিয়াল মোবিলিটি পার্টনার হয়েছে। এতে দর্শনার্থীরা মেলায় যাতায়াতে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন এবং ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও মো. আনোয়ার হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
উবার এ সমঝোতার আওতায় দর্শনার্থীদের নিরাপদ ও আরামদায়কভাবে মেলা পরিদর্শনে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রোমো কোড সরবরাহ করবে। এ ছাড়াও এ উদ্যোগকে সফল করতে বিশেষ পার্কিং সুবিধাও দেওয়া হবে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে উবারের এ উদ্যোগ দর্শনার্থীদের বাণিজ্য মেলায় যাতায়াত আরও সহজ ও আরামদায়ক করবে।
এমওইউর বিষয়ে উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘উবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাথে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫-এর অংশীদার হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছে। আমরা নানান উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও সুবিধাজনক পরিবহন সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘উবার দর্শনার্থীদের মেলায় যাতায়াতে একটি মসৃণ ও ঝামেলামুক্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে ও তাদের ভ্রমণকে আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক করবে।’
দর্শনার্থীরা উবার ব্র্যান্ডেড বুথ বা উবারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিশেষ প্রোমো কোড সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:নতুন বছরকে সামনে রেখে প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য বিশেষ অফার দিয়েছে জনপ্রিয় গ্লোবাল টেক ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
নতুন সব উদ্ভাবন ও স্টাইল যেন সব শ্রেণির গ্রাহকের কাছে সহজলভ্য হয়, সে জন্য মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন ইনফিনিক্স হট ৫০ মডেলে ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক হাজার টাকা ছাড়ে বর্তমানে হট ৫০ স্মার্টফোনটির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। আগে এর দাম ছিল ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ইনফিনিক্স জানায়, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য হট ৫০ স্মার্টফোনটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একই সঙ্গে মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন বাজারে এটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ইনফিনিক্সের নতুন বছরের অফার গ্রাহকের সেই চাহিদা পূরণ করবে, বিশেষ করে যারা মিড বাজেটের স্মার্টফোনে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা খুঁজছেন।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, উন্নত স্পেসিফিকেশন এবং স্মার্ট ডিজাইনের সমন্বয়ের মাধ্যমে ইনফিনিক্স হট ৫০ নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। এতে আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং এফএইচডি প্লাস রেজ্যুলেশন; যা একইসঙ্গে গেমিং, স্ট্রিমিং এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য চমৎকার ভিউইং অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
হট ৫০ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি ১০০ চিপসেট, যা ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইউএফএস ২.২ স্টোরেজের সাথে মসৃণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। এতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাথমিক রিয়ার ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, যা দিয়ে ফটোগ্রাফিপ্রেমী এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সূক্ষ্ম, প্রাণবন্ত ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন।
পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৮ ওয়াট ফার্স্ট চার্জিং ব্যবস্থা থাকায় ব্যবহারকারীদের চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না। স্লিক ব্যাক, সেজ গ্রিন এবং টাইটানিয়াম গ্রে রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।
বছরের শুরুতে যারা সাশ্রয়ী দামে প্রিমিয়াম বিল্ড, শক্তিশালী পারফরম্যান্সযুক্ত একটি নির্ভরযোগ্য এবং ফিচার-সমৃদ্ধ স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য হট ৫০ হতে পারে একটি আদর্শ পছন্দ।
দেশের সব অনুমোদিত রিটেইলার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইনফিনিক্স হট ৫০ বিশেষ মূল্যছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য