চিকেন ফ্রাই পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়াই যায় না। যে কোনো উৎসবে, বন্ধুবান্ধবের জন্মদিনে কিংবা হালকা নাশতাতেও চিকেন ফ্রাই তো থাকবেই। সেই চিকেন ফ্রাই খেতে গিয়েই বিড়ম্বনায় পড়েন যুক্তরাজ্যের এক নারী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্যাব্রিয়েল নামের এক নারী বিখ্যাত ফাস্টফুড চেইন কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেনের (কেএফসি) হট উইংসের বাকেটে মুরগির আস্ত মাথা পেয়েছেন।
সেই মাথা আবার ভেজে দেয়া হয়েছে পালক-চোখ সব সহই। এসব দেখে আর খেতে পারেননি গ্যাব্রিয়েল। পুরো খাবারটাই ফেলে দিতে হয়েছে তাকে।
মুরগির মাথার সেই ছবি ‘টেকস ওয়ে ট্রমা’ নামের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেয়া হলে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে কেএফসির বিপক্ষে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সমালোচনার জেরে কেএফসি জানায়, এমন ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে তারা।
গ্যাব্রিয়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কেএফসি। সে যাতে পুনরায় কেএফসির ওপর আস্থা পায়, তাই তার পরিবারসহ তাকে কেএফসিতে তাদের কাজ দেখার দাওয়াত দেয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের জনসংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ২২ লাখের বেশি হয়েছে।
২০২২ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৌদির জনসংখ্যার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ বা ১ কোটি ৮৮ লাখ মানুষ জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিক। বাকি ১ কোটি ৩৪ লাখ বিদেশ থেকে আসা, যা মোট জনসংখ্যার ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ।
শুমারি অনুযায়ী, সৌদির লোকজনের গড় বয়স ২৯ বছর। দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যে ৩০ বছরের কম বয়সী ৬৩ শতাংশ।
পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, সৌদির মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ (১ কোটি ৯৭ লাখ) পুরুষ। নারীর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ, যা মোট জনগোষ্ঠীর ৩৯ শতাংশ।
শুমারির বিষয়ে সৌদির অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকসের চেয়ারম্যান ফয়সাল আল-ইব্রাহিম বলেন, ২০২২ সালের আদমশুমারি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রকল্প। এর ফল হবে পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির উন্নয়ন, বিভিন্ন খাতের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি, সৌদিতে বিনিয়োগ-সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা এবং ভিশন-২০৩০-এর লক্ষ্যগুলো পূরণের ভিত্তি।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসনের অংশ হিসেবে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-সানির সঙ্গে চলতি মাসে গোপন বৈঠক করেছেন আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন দল তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হয়বতুল্লাহ আখুনজাদা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা কাটানোর উপায় নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তালেবান নেতৃত্বের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।
বার্তা সংস্থাটি জানায়, গত ১২ মে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার শহরে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন তালেবানপ্রধান। এর মধ্য দিয়ে বিদেশি কোনো নেতার সঙ্গে প্রথম জ্ঞাত কোনো বৈঠকে অংশ নিলেন আড়ালে থাকতে পছন্দ করা তালেবানপ্রধান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি রয়টার্সকে জানায়, বৈঠকে আলোচ্য বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। তালেবানপ্রধান ও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচ্য সব বিষয়াদি সমন্বয় করছে বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপকে এগিয়ে নেয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি আরও জানায়, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতাকে মেয়েদের লেখাপড়া এবং নারীদের কর্মসংস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:উৎক্ষেপণের পরপরই ‘দুর্ঘটনায়’ বিধ্বস্ত হয়ে সমুদ্রে পড়েছে উত্তর কোরিয়ার একটি সামরিক নজরদারি স্যাটেলাইট।
স্থানীয় সময় বুধবার স্যাটেলাইটটির পরীক্ষা চালানো হয় বলে জানায় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মহাশূন্যে কার্যকর স্যাটেলাইট নেই উত্তর কোরিয়ার। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সামরিক নজরদারি স্যাটেলাইট নির্মাণকে তার অগ্রাধিকারের শীর্ষে রেখেছেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির মহাশূন্য কর্তৃপক্ষ উত্তর ফিওঙ্গান প্রদেশের চোলসান কাউন্টির সোহাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বুধবার সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে ‘চল্লিমা-১’ রকেটে করে ‘মাল্লিগিয়ং-১’ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে, তবে উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় পর্যায়ে রকেটটি বিধ্বস্ত হয়ে সমুদ্রে নিপতিত হয়।
কেসিএনএর খবরে আরও বলা হয়, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময় ধরা পড়া মারাত্মক ত্রুটির বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টি নজরে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর। দেশটির জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানান, স্যাটেলাইট পরীক্ষাটি দ্রুতই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং আকাশযানটি অস্বাভাবিক উড্ডয়নের ফলে সমুদ্রে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন:সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে উগান্ডায় নতুন আইন পাস হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউয়ারি মুসেভেনি রোববার ‘অ্যান্টিহোমোসেক্সুয়ালিটি বিল ২০২৩’ নামের বিলটিতে সই করলে তা আইনে পরিণত হয়।
এ আইনের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন উল্লেখ করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
উগান্ডায় সমকামিতা আগে থেকেই বেআইনি। আফ্রিকার ৩০টির বেশি দেশেও সম লিঙ্গে যৌনাচার নিষিদ্ধ, তবে সেসব দেশে এত কঠোর শাস্তির বিধান নেই।
নতুন আইনের আওতায় নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই সমকামিতা, উভকামী, তৃতীয় লিঙ্গ ও অন্যান্য ‘বিকৃত’ যৌনাচারের জন্য শাস্তি পেতে হবে।
এখন থেকে উগান্ডায় সমকামিতার ফলে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া কেউ সমকামিতার পক্ষে প্রচার করলে তাকে ২০ বছর কারাভোগ করতে হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ আইনকে সার্বজনিন মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন।
বাইডেন তার প্রতিক্রিয়ায় পূর্ব আফ্রিকান দেশটিতে সহায়তা ও বিনিয়োগ বন্ধেরও হুমকি দেন।
উগান্ডা প্রতিবছর কয়েক বিলিয়ন ডলার বৈশ্বিক সহায়তা পেয়ে থাকে। আইনটি ঘিরে দাতাদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেশটির জন্য নতুন নিষেধাজ্ঞা বয়ে আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:মেক্সিকোয় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির উত্তরাঞ্চলের নুয়েভো লিওন ও তামাউলিপাসের মধ্যবর্তী একটি মহাসড়কে সোমবার ওই ঘটনা ঘটে।
নুয়েভো লিওন পাবলিক সিকিউরিটি সেক্রেটারি গেরার্দো পালাসিওস বলেন, ‘তিনটি সাঁজোয়া ট্রাক লক্ষ করে একটি সন্ত্রাসী দল গুলি ছুড়ে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাল্টা গুলিতে সন্দেহভাজন ১০ জন নিহত হন। আহত হন চার কর্মকর্তা।’
২০০৬ সালে মেক্সিকোর সরকার বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে।
ওই অভিযানে দেশটিতে ৩ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আনুমানিক এক লাখ নিখোঁজের তথ্য দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা।
কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যালিফ্যাক্সে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। নগরীর উত্তর-পশ্চিমে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
এএফপির প্রতিবেদনের বরাতে বাসস জানায়, স্থানীয় টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে সেখানকার ঘরবাড়ি ও সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়ি দাবানলে পুড়ে যেতে দেখা গেছে।
এ পরিস্থিতিতে রোববার রাতে অঞ্চলটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে শহরটির অন্যান্য বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি তাৎক্ষণিক ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোমবারও উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত বরাবর আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে।
টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে দাবানলের ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা যায়, তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
হ্যালিফ্যাক্সের মেয়র মাইক স্যাভেজ বলেন, ‘এ নগরীর ৪ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা একটি ‘নজিরবিহীন’ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন কোনো এলাকার লোকজনকে আর সরিয়ে নেইনি। আশা করছি, সম্ভবত সেখানের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, কিন্তু তারপরও এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি।’
এদিকে চলতি সপ্তাহে সেখানে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। এতে দাবানল অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে অভিযুক্ত করলেন তারই বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দুর্নীতির বিষয়ে তিনি জড়িত নন বলেও দাবি তার।
সোমবার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি এ বক্তব্য তুলে ধরেন বলে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দীর্ঘ দিন পর এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর বিশেষ আদালতে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন অর্পিতা। তার জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানেই তার আইনজীবী দাবি করেছেন, অর্পিতা পরিস্থিতির শিকার।
আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে অর্পিতা বলেছেন, ‘আমার বাড়ি থেকে টাকা গহনা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু আমি পরিস্থিতির শিকার। মাস্টারমাইন্ড হলেন পার্থ।’
অবশ্য ইডির দাবি, অর্পিতা দায় অস্বীকার করতে পারেন না। যা হয়েছে, তার জন্য তিনি সমানভাবে দায়ী। অর্পিতা যে সব সংস্থার সঙ্গে জড়িত, সেই সব সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এই দাবি করেছে ইডি।
অর্পিতার আইনজীবী দাবি করেছেন, তার মক্কেল এ সব সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করতেন না। সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ।
এজলাসে অর্পিতার আইনজীবী দাবি করেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আনা হয়েছে, সবটাই মিথ্যে। এমনকি অর্পিতাকে গ্রেপ্তারের আগে তার বয়ানও রেকর্ড করা হয়নি। তার ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন আইনজীবী।
ইডি দাবি করেছে, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন অর্পিতা। যদিও তার আইনজীবী সেই কথা মানেননি।
আদালতে প্রশ্ন উঠেছে, অনন্ত টেক্সট ফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে অর্পিতার কী সম্পর্ক ছিল? তার আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই সংস্থা পার্থ, তার মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায়, জামাই অর্থাৎ পার্থের পরিবার নিয়ন্ত্রণ করতেন। অর্পিতা নিয়ন্ত্রণ করতেন না। তিনি এই সংস্থা থেকে লাভবানও হননি। সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে যাদের দেখানো হয়েছে, তারা সবাই ভুয়া। পার্থই তাদের কাজ করাতেন।
আইনজীবীর অভিযোগ, সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে যাদের নাম উঠেছে, তাদের এখনও স্পর্শ করেনি ইডি। কেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
২০২২ সালের জুলাইয়ের শেষের দিকে দক্ষিণ কলকাতায় অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে সাড়ে ২২ কোটি রুপি উদ্ধার করেন ইডি তদন্তকারীরা। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আরও রুপি উদ্ধার হয় তার বাসা থেকে।
অর্পিতাকে গ্রেপ্তারের আগে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় মন্ত্রী পার্থকে। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন মন্ত্রী।
মন্ত্রী পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা উদয়ন সংঘের পূজার মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন। নাকতলা পার্থ চ্যাটার্জির পূজা বলে সুপরিচিত। এ ছাড়া সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর আইনি উপদেষ্টা ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
তার কাছে বিপুল পরিমাণ রুপি কোথা থেকে এলো তদন্তকারীদের সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই মডেল।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে গচ্ছিত টাকার সঙ্গে শিক্ষক দুর্নীতি মামলার কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন ইডির তদন্তকারীরা। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। কয়েক দফা রিমান্ডেও নেয়া হয় দুজনকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য