প্রেমিককে বিয়ের জন্য অবিশ্বাস্য ব্যাপার ঘটিয়েছেন এক তরুণী। রীতিমতো তিনি ধর্ষণের নাটক সাজান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরে সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পুলিশ বলছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই তরুণী। তিনি জানান, এদিন সকালে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর দিনভর অভিযোগ তদন্তে ব্যস্ত সময় পার হয় পুলিশের।
সব মিলিয়ে এক হাজার পুলিশ সদস্য এই মামলার তদন্তের কাজে অংশ নেন। একপর্যায়ে বেরিয়ে আসে ব্যাপারটা আসলে ‘বানানো গল্প’।
প্রেমিককে বিয়ে করতে এমন ধর্ষণের গল্প সাজানোর কথা স্বীকার করলেও, ঠিক কী কারণে এমনটি করেছেন এবং তার পরিকল্পনাই বা কী ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি ওই তরুণী।
এনডিটিভি জানায়, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই নাগপুর পুলিশের কমিশনার অমিতোষ কুমারসহ অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন। আড়াই শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। একে একে বের হতে থাকে রহস্য।
পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ওই তরুণী বলেন, ‘সকালে আমি গানের ক্লাসে যাচ্ছিলাম। এমন সময় সাদা রঙের একটি ভ্যানে দুজন লোক আমার গন্তব্য জানতে চান।
‘একপর্যায়ে তারা আমাকে ধরে ভ্যানে উঠিয়ে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলেন। এরপরই নাগপুরের চিখালি এলাকায় নির্জন একটি স্থানে আমাকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তারা।’
অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় এনে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ নথিবদ্ধ করা হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ কমিশনার অমিতোষ কুমারের নির্দেশে এক হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে ৪০টি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ শুরু হয়। ওই নারীর বন্ধুদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি জানান, ছয় ঘণ্টা ধরে দৌড়ঝাঁপ ও অর্ধশতাধিক মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওই তরুণী ‘গল্প সাজিয়েছেন’। আসলে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই তরুণী যেদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন, সেদিন নাগপুরের ভ্যারাইটি স্কয়ার এলাকা থেকে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে একটি বাসে ওঠেন তিনি। তাকে ১০টায় দেখা যায় জনসি রানি স্কয়ারে। ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি অটোরিকশায় ছিলেন আনন্দ টকিজ স্কয়ারে।
এরপর তিন চাকার একটি যানবাহন থেকে নেমে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে তাকে মাইয়ো হাসপাতালে ঢুকতে দেখা যায়। পরে ১০টা ৫৪ মিনিটে অটোরিকশায় চিখালি চত্বরে নামেন তিনি।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, একটি পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভিতে ওই তরুণীকে বেলা ১১টা ৪ মিনিটে কালামনা পুলিশ স্টেশনে ঢুকতে দেখা যায়। সেখানে ঢুকেই এদিন সকালে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ আনেন তিনি।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ধর্ষণের অভিযোগকে ‘সাজানো গল্প’ বলে স্বীকার করে ওই তরুণী জানান, প্রেমিককে বিয়ে করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু বলেননি তিনি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এটি এখনই বন্ধ করতে হবে।
মানবাধিকার সংস্থাটি তাদের নতুন প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘জেগে ওঠার’ আহ্বান জানিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, তাদের প্রতিবেদনটি ‘ইসরায়েলি সরকার ও সামরিক কর্মকর্তাদের অমানবিকতা এবং গণহত্যা’, গাজা থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত ধংসাত্মক ভয়াবহ তথ্য ও স্থল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টির প্রধান অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মাসের পর মাস ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক আচরণ, তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ইচ্ছাকৃতভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রকাশিত তথ্য দেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই জেগে ওঠা উচিত। কারণ এটা গণহত্যা। অবশ্যই এখনই এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় প্রাণঘাতী অভিযান চালানো শুরু করে। দেশটি হামাসকে চিরতরে নির্মূলের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন:নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে ইরান।
ক্যানসারের উদ্বেগের মধ্যে একটি জটিল অস্ত্রোপচারের পর তাকে তিন সপ্তাহের জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ইরানের একটি কারাগার থেকে বুধবার নোবেলজয়ী নার্গিসকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার সমর্থকরা।
তেহরানের ফুটেজে দেখা যায়, উন্মুক্ত কালো চুল এবং কাপড় দিয়ে ডান পা ঢাকা অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের হচ্ছেন মোহাম্মদী। রাস্তায় নেমে চিৎকার করে বলেন, ‘হ্যালো স্বাধীনতা! নারী, জীবন, স্বাধীনতা! স্বাধীনতা আমাদের অধিকার! স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক!’
মোহাম্মদীর সমর্থকদের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২১ দিনের জন্য মুক্তি পেয়েছেন। পরে আবারও তাকে সাজা ভোগ করতে কারাগারে যেতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নার্গিসের সমর্থকরা তার স্থায়ী মুক্তির আহ্বান জানালেও ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তার চিকিৎসা ছুটির কথা স্বীকার করেনি।
সমর্থকরা যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, ৫২ বছর বয়সী মোহাম্মদীর সঠিকভাবে নিরাময়ের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে কমপক্ষে তিন মাস থাকা প্রয়োজন।
একই সঙ্গে তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তাকে সাজা দেয়া অন্যায় ছিল।
মোহাম্মদী বর্তমানে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যা প্রচারণা ছড়ানোর অভিযোগে ১৩ বছর ৯ মাসের সম্মিলিত কারাদণ্ড ভোগ করছেন। বারবার গ্রেপ্তার ও দীর্ঘায়িত কারাবাস সত্ত্বেও তিনি মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ২০২২ সালের নারী নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকে সমর্থন করেন। মানব ও নারী অধিকারের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তার সময় অনেক নারী ইরানে হিজাবের বাধ্যবাধকতা অমান্য করেছিলেন।
কারাবাসের সময় নার্গিস মোহাম্মদীর স্বাস্থ্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালে একাধিক হার্ট অ্যাটাক ও জরুরি অস্ত্রোপচারের বিষয়টি জানিয়েছেন তার সমর্থকরা।
চলতি মাসের শুরুতে তার আইনজীবী জানান, ক্যানসার সন্দেহে একটি হাড়ের ক্ষতের কারণে তার সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচার করা হয়।
আরও পড়ুন:আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। পশ্চিমাবিরোধী এই জোট বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য ডলারের বিকল্প হিসেবে নতুন মুদ্রা চালু করলে সদস্য দেশগুলোর ওপর শতভাগ কর আরোপের কথা জানিয়েছেন তিনি।
এক্সে এক পোস্টে এসব কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ব্রিকস দেশগুলো ডলার থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চাই যে, তারা শক্তিশালী ইউএস ডলারের বিপরীতে নতুন মুদ্রা চালু করবে না। অন্যথায় তারা শতভাগ শুল্কের মুখোমুখি হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার হারাবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউএস ডলারের বিপরীতে নতুন মুদ্রা নীতি নিলে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোকে আমেরিকা থেকে বিদায় জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত হয় ব্রিকস জোট। চলতি বছর ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া ও মিসর নতুন সদস্য হিসেবে এই জোটে যুক্ত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর জানিয়েছিলেন, ৩৪টি দেশ এই জোটে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগ্রহীদের তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডনাল্ড ট্রাম্প তার অনুগত কাশ প্যাটেলকে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন তথা এফবিআইয়ের পরবর্তী পরিচালক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি শনিবার বলেন, এ পদক্ষেপের অর্থ সংস্থার বর্তমান নেতাকে প্রতিস্থাপন করা হবে।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
কট্টরপন্থি রিপাবলিকানরা বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, পক্ষপাতদুষ্ট সরকারি আমলাদের একটি কথিত ‘ষড়যন্ত্র’ পর্দার আড়াল থেকে ট্রাম্পকে দমিয়ে রাখতে কাজ করেছে।
এফবিআইয়ের বর্তমান পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ে ২০১৭ সালে ১০ বছরের মেয়াদে নিযুক্ত হন, যার অর্থ তাকে হয় পদত্যাগ করতে হবে বা বরখাস্ত করা হবে।
ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেন, “কাশ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যোদ্ধা, যিনি তার কর্মজীবন দুর্নীতির প্রকাশ, ন্যায়বিচার রক্ষা এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করার জন্য ব্যয় করেছেন।”
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কাশ আমার প্রথম মেয়াদে একটি অবিশ্বাস্য কাজ করেছে।’
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সশস্ত্র শাখা শনিবার উপত্যকায় এক আমেরিকান-ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে।
তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে জিম্মি রয়েছেন।
জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, ভিডিওতে এডান আলেকজান্ডারকে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ইংরেজিতে এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়হুকে হিব্রু ভাষায় সম্বোধন করতে দেখা যায়। ভিডিওটির তারিখ যাচাই করা যায়নি।
আলেকজান্ডার ৭ অক্টোবর আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইসরায়েলিদের প্রতি আহ্বান জানান।
এডানের মা ইয়ায়েল আলেকজান্ডার শনিবার সন্ধ্যায় তেল আবিবে জিম্মিদের এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘এই ভিডিও আমাকে বিচলিত করেছে। এটি আমাদের আশার অন্তরালে ইডান ও অন্যান্য জিম্মিরা বাঁচার প্রত্যাশায় কতটা চিৎকার করছে এবং কতটা খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে তা দেখায়।’
ভিডিওটির প্রকাশকে ‘নিষ্ঠুর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন নেতানিয়াহু।
আরও পড়ুন:নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নাইজার নদীতে শুক্রবার ২০০ যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে ২৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক যাত্রী, যাদের বেশির ভাগই নারী।
নাইজেরিয়ার আবুজা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
নাইজার স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র ইব্রাহিম অদু এএফপিকে জানান, নৌকাটি কোগি রাজ্য থেকে পাশের নাইজার রাজ্যের একটি বাজারে যাওয়ার পথে ডুবে যায়।
কোগি রাজ্যের জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র সান্দ্রা মুসা জানান, উদ্ধারকারীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় নদী থেকে ২৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিখোঁজদের উদ্ধারে ডুবুরিরা তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি।
কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কী কারণে নৌকাটি ডুবে গেছে, তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।
নাইজেরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভালো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় নৌকাই ওইসব অঞ্চলের চলাচলের একমাত্র বাহন।
আরও পড়ুন:বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেনেটে পাস হওয়া এই আইন কার্যকর হলে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা টিকটক, ফেসবুকের মতো প্লাটফর্মগুলো ব্যাবহার করতে পারবে না।
অস্ট্রেলিয়ার হাউজে বুধবার ১০২-১৩ ভোটে পাস হওয়ার পর সেনেটে বিলটি ৩৪-১৯ ভোটে পাস হয়।
দেশটির হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভদের ভোটে পাস হওয়া এই বিলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মানতে ব্যর্থ হলে টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট এবং এক্স-এর মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ৩৩ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
বিলটি সমর্থনকারী দলের মধ্যে আছেন দেশটির লিবারেল পার্টির নেতারাও। দলটির সেনেটর মারিয়া কোভাচিচ বলেছেন, ‘বিলটি সরল ও স্পষ্ট। এটি বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের শনাক্ত ও তাদের অ্যাকাউন্টগুলো নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর আরও অনেক আগেই এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল।’
তবে শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হলে তা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার ওপর প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন আইনটির সমালোচকরা। কারণ এই আইন কার্যকর করতে ব্যবহারকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তাদের বয়স ১৬ বছরের উপরে।
বিলটির বিরোধিতা করা কয়েকজন সেনেটর বলেন, এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে সরকার। নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই সরকারের এমন পদক্ষেপ।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আইনটি পাস করা হলেও অনেক শিশু কল্যাণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক এর পরিণতি নিয়ে চিন্তিত। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা অনেক শিশুকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে পারে।
তবে প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর করবে তার নীতিমালা নিয়ে কাজ করার জন্য এক বছর সময় পাবে। এরপরই কার্যকর করা হবে জরিমানা।
তবে ভিপিএন বা অন্য কোনো মাধ্যমে শিশুরা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা শিশুদের জন্য কোনো শাস্তির বিধানও রাখা হয়নি আইনে।
মন্তব্য