বিটকয়েন, ইথারিয়াম, লাইটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরির ঘটনা বাড়ছেই। চলতি বছরেই ৬০০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাক হয় ‘পলি নেটওয়ার্ক’ থেকে। ‘পলি নেটওয়ার্ক’ হলো অনলাইনে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের সেন্ট্রালাইজড প্ল্যাটফর্ম। যদিও এই ঘটনার পর হ্যাকার অর্থ ফেরত দেয়।
তবে সব সময় অর্থ ফেরতের ঘটনা ঘটে না। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘পলি নেটওয়ার্ক’ হ্যাকিংয়ের চার মাস পরেই হ্যাকাররা বিটমার্ট থেকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি সরিয়ে ফেলে। দুটি ‘হট ওয়ালেট’ খুলে ফেলার জন্য হ্যাকাররা চুরি হওয়া ‘প্রাইভেট কি’ ব্যবহার করে। এ ঘটনায় জড়িত হ্যাকারদের শনাক্ত করা যায়নি।
কমপারিটেকের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হ্যাকিং ১০টি ঘটনার পাঁচটিই ঘটেছে এ বছরে। অর্থনৈতিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রমাগত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে এই ধরনের অর্থ চুরির ঘটনাগুলো ঘটছে। সামনে অনেক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান মেটাভার্সে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে নাম রেখেছে ‘মেটা’। ফোর্টনাইটের মতো গেমিং প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মেটাভার্সে পরিণত হয়েছে। ফলে নন-ফাঞ্জিবল টোকেনের (এনএফটি) চাহিদা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোয় যে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার আরও বেড়ে যাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বাড়লে এ-সংক্রান্ত অপরাধও বাড়বে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাকারদের প্রধানত দুই ধরনের টার্গেট থাকে। একটি সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ ও অন্যটি ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্স। সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জগুলোয় একজন ব্যবহারকারী তার ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা ও ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন। পোলোনিক্স, বাইনান্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ সুবিধা দেয়। আর ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্সে সাধারণত একজন ব্যবহারকারী নিজের ডিভাইসটিতেই অর্থ জমা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘মেটামাস্কের’ মতো ইথারিয়াম ওয়ালেটগুলো জনপ্রিয়।
সাধারণত সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ হ্যাকের ক্ষেত্রে হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানের ‘প্রাইভেট কি’ চুরি করার চেষ্টা করে। আর ডিসেন্ট্রাইলজড ফিন্যান্সের ক্ষেত্রে হ্যাকারকে একজন ক্রিপ্টো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত কম্পিউটারকে লক্ষ্য করে বানাতে হয়। তখন ট্রোজানের মতো ম্যালওয়ার ও কি লগার বাইন্ডিং করে ফিশিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। ফলে দেখা যায় শুধু অর্থ হারানোর ঝুঁকিই নয়। একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যও ঝুঁকিতে থাকে।
ক্রিপ্টো হেডের প্রতিষ্ঠাতা এডাম মরিস বলেন, যদি হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করতে সক্ষম হয়, তারা মুহূর্তের মধ্যেই অর্থ উত্তোলন করতে পারে নিজের কোনো অস্তিত্ব জানান না দিয়েই।
তবে হ্যাকারদের কবল থেকে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করতে হয়, সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন ক্রিপ্টোক্রাইম অ্যানালিস্ট জন ম্যাকগিল। তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচানোর শতভাগ নিশ্চিত কোনো উপায় নেই। তবে সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে যেই এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করা হবে তার ইতিহাস ও সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে তারা কত দ্রুত সাড়া দেয়, তা দেখা বাঞ্ছনীয়।
মরিসের মতে, ক্রিপ্টোঅ্যাসেট রক্ষা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হলো হার্ডওয়্যার ওয়ালেট। তবে সে ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা হলো ‘প্রাইভেট কি’র সংরক্ষণ সম্পূর্ণ ব্যক্তির ওপর। কেউ যদি তার ‘প্রাইভেট কি’ হারায়, সে ক্ষেত্রে কখনই ক্রিপ্টোঅ্যাসেট উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।
বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ‘অপো’ রবিবার বাংলাদেশে যুগান্তকারী স্মার্টফোন সিরিজ ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ উন্মোচন করেছে।
সিরিজটি বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ উন্মুক্ত করেছে।
অপোর ভাষ্য, স্মার্টফোনটি শুধু প্রযুক্তির প্রতীক নয়, বরং এটি ব্যবহারকারীদের জীবনকে আরও আনন্দময় ও সৃজনশীল করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি: এক নতুন অভিজ্ঞতা
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্টফোন যা আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ দিচ্ছে। এটি আইপি৬৯-রেটেড ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স সুবিধার মাধ্যমে পানির ২ মিটার গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত ফটো ও ভিডিও ধারণের সুযোগ দেয়। এ ছাড়াও পানির অন্ধকার ও রঙের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এআই কালার ক্যালিব্রেশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ফোকাস, রঙ ও কনট্রাস্টের সমন্বয় করে।
ফিচারটি ব্যবহারকারীদের পানির তলদেশে অসাধারণ ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে সাহায্য করবে।
মডেল
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’-এর দুটি মডেল হলো ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ ও ‘অপো রেনো১৩ এফ’ ।
রেনো১৩ ৫জি: ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৫৯ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৫৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৮০ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং, ১২ জিবি র্যাম (১২জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। এটি পাম হোয়াইট ও লুমিনাস ব্লু রঙে পাওয়া যাবে ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকায়।
রেনো১৩ এফ: ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি ওলেড ডিসপ্লে, ৫৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৪৫ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং, ৮ জিবি র্যাম (৮জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। এটি পাম পার্পল ও গ্রাফাইট গ্রে রঙে পাওয়া যাবে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকায়।
এআই প্রযুক্তির বিস্ময়
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’-এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে এর অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংবলিত ফিচারগুলো।
এআই লাইভফটো: শাটার প্রেস করার আগে ও পরে ১.৫ সেকেন্ডের টাইম ক্যাপসুল রেকর্ড করে নেয়। এআই ডি-ব্লারিং, ইআইএস ও ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে শটগুলো স্থিতিশীল করে।
এআই এডিটর স্যুট: ঝাপসা ছবিকে হাই-কোয়ালিটি ভিজ্যুয়ালে রূপান্তর করে। এ ছাড়াও এআই আনব্লার, এআই রিফ্লেকশন রিমুভার এবং এআই ইরেজার ২.০-এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বিষয় সরিয়ে দেওয়া যায়।
গেমিং ও নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা
গেমার্স ও স্ট্রিমারদের জন্য ‘এআই লিংকবুস্ট ২.০’ ফিচার উল্লেখযোগ্য। এটি লো-সিগনাল অথবা ক্রাউডেড এরিয়াতে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
৯টি ৩৬০° ডিগ্রি অ্যান্টেনা, ডুয়েল-চ্যানেল ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ অ্যাসিলারেশন ব্যবহার করে নির্বিঘ্ন গেমিং ও স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা দেয়।
ডকুমেন্টেশন ও মাল্টি-টাস্কিং
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের জন্য এ স্মার্টফোনে রয়েছে এআই সংবলিত ডকুমেন্টেশন টুলস। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো।
ডকুমেন্টস অ্যাপ: লেখা সামারাইজেশন ও এডিটিং করতে সাহায্য করে।
এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট নোটস: ফরম্যাটিং ও কনটেন্ট এক্সপ্যানশন সক্ষমতা দেয়।
প্রি-অর্ডার অফার
অপো-ভক্তরা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘রেনো১৩ সিরিজ’ প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। প্রি-অর্ডারের সঙ্গেই বিশেষ উপহারসহ ড্রিম ট্রিপ জেতার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও অপো ট্রাভেল ব্যাগ এবং ১০০ শতাংশ শিওর শট অপো সুপার শিল্ড কার্ডসহ নানা আয়োজন রয়েছে।
সিরিজের বিষয়ে অপো সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর ইয়াং গু বলেন, “‘মেক ইউর মোমেন্ট’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা বর্তমান সময়কে ধারণ ও ভালো লাগার মুহূর্তকে গ্রহণের জন্য একটি নতুন প্রজন্মকে ক্ষমতায়িত করছি।”
অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এই অনন্য ফিচারটি স্মার্টফোনপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ অর্জন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।”
আরও পড়ুন:স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স। এখন থেকে প্রতি শনিবার ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোনের জন্য বিনা মূল্যে সার্ভিসিং সেবা পাবেন।
ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল সার্ভিস পার্টনার কার্লকেয়ার এই ‘ফ্রি সার্ভিস ডে’ চালু করেছে, যা প্রতি শনিবার অব্যাহত থাকবে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীরা আরও সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী ও সহজ সেবা অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। কার্লকেয়ারের সাপ্তাহিক ফ্রি সার্ভিস ডেতে ডিভাইস ক্লিন-আপ, প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আপডেট এবং মেরামতের সুবিধা থাকছে।
সারা দেশে কার্লকেয়ারের ৭৪টি সার্ভিস পয়েন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি ফ্লাগশিপ সার্ভিস সেন্টার। শুধু রাজধানীতেই ৯টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে।
ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, বাড্ডা এবং মিরপুরে কার্লকেয়ারের অত্যাধুনিক সার্ভিস সেন্টারগুলোতে গ্রাহকরা উন্নত সেবা নিতে পারবেন।
যা থাকছে ফ্রি সার্ভিস ডেতে
১. বিনামূল্যে স্মার্টফোন ক্লিন-আপ।
২. ফ্রি সফটওয়্যার আপডেট, যা ডিভাইসের নিরাপত্তা ও পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।
৩. ওয়ারেন্টির বাইরে থাকা মেরামতের ক্ষেত্রে ১৫% ছাড়।
৪. প্রতি শনিবার মেরামতের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি।
৫. গ্রাহকদের জন্য বিশেষ উপহার।
ইনফিনিক্স ও কার্লকেয়ারের ভাষ্য, তাদের লক্ষ্য ব্যস্ত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবী, পেশাজীবী—সবাই যেন তাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে নির্ভরযোগ্য বিক্রয়োত্তর সেবা পেতে পারেন।
কার্লকেয়ারের বিস্তৃত সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইনফিনিক্স নিশ্চিত করতে চায়, বিক্রয়োত্তর সেবা নিয়ে গ্রাহকদের আর কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীরা যেকোনো শনিবার নিকটস্থ কার্লকেয়ার সেন্টারে গিয়ে এ বিশেষ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো এবার বাংলাদেশের বাজারে ‘রেনো১৩ সিরিজ’-এর উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে।
দেশে শিগগিরই উন্মোচন হতে যাচ্ছে এ সিরিজের স্মার্টফোন, যেখানে গ্রাহকদের জন্য অপেক্ষা করছে ফ্যাশন ও প্রযুক্তির এক অভিনব মেলবন্ধন।
প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত আকর্ষণীয় ডিজাইন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অনবদ্য ফ্যাশন উপকরণের সমন্বয়ে ডিভাইসটি গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে।
প্রজাপতির ডানার মতো করে তৈরি বাটারফ্লাই শ্যাডো এবং লুমিনাস লুপ ডিজাইনের মাধ্যমে নান্দনিকতা ও আবেগময় ভাব প্রকাশে ‘রেনো১৩ সিরিজ’ নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
একনজরে দেখা যাক, কী নতুনত্ব থাকছে এ স্মার্টফোনে
বাটারফ্লাই শ্যাডো ডিজাইন: প্রকৃতিতে রূপান্তরবিষয়ক সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতীকগুলোর একটি হচ্ছে প্রজাপতি, যেটিকে বাটারফ্লাই শ্যাডো ডিজাইনের অনুপ্রেরণা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এটি শুধু দেখার মতো সৌন্দর্যই নয়, বরঞ্চ এই অলংকরণ প্রকৃতির গভীর অকৃত্রিম নান্দনিকতা, সাহসিকতা ও শহুরে জীবনের গতিময়তা ফুটিয়ে তোলে। এ ছাড়া লেজার ডিরেক্ট রাইটিং টেকনিকের মাধ্যমে নিখুঁত এ নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে ফোনটি নাড়াচাড়া করলে উড়ন্ত প্রজাপতির মতোই প্রতিবিম্ব পড়বে।
ফ্যাশন ও প্রযুক্তির নতুন চ্যাপ্টার: বর্তমান দুনিয়াতে ফ্যাশন ও প্রযুক্তি দুটোই খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। ডিজাইন, প্রকৃতি ও আবেগের মিশেলে ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ সবার সামনে উপস্থাপন করছে ভিন্ন কিছু। বাটারফ্লাই শ্যাডো ও লুমিনাস লুপ শুধু ফিচার নয়, এগুলো ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষারই যেন বহিঃপ্রকাশ।
প্রিমিয়াম ডিজাইন: রেনো১৩ সিরিজের মাধ্যমে স্বকীয় ডিজাইন ভাবনার প্রতি অপোর দায়বদ্ধতা ও কারিগরি দক্ষতার বিষয়টি আবারও স্পষ্ট হয়েছে। এটির ক্যামেরা মডিউল এবং ব্যাক ফ্রেম নিখুঁতভাবে একই সঙ্গে মিলে যায়। তাই এটি দেখতে দারুণ লাগে ও মোটেই অসমাঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয় না। এতে ডিভাইসটি আরও নান্দনিক হয়ে ওঠে ও প্রকাশ পায় পরিশীলতা।
লুমিনাস লুপ: লুমিনাস লুপ হচ্ছে ক্যামেরা মডিউলকে ঘিরে অভিনব সেলফ-ইলুমিনেটিং রিং, যা আবেগকেন্দ্রিক ডিজাইনের চর্চায় রেনো১৩ সিরিজকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এটি শুধু দেখার নান্দনিক কোনো বিষয়ই নয়, বরং ব্যবহারকারী ও ডিভাইসের মধ্যে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিরও একটি উপকরণ। প্রাকৃতিক বায়োলুমিনেসেন্স থেকে অনুপ্রাণিত এ লুমিনাস লুপ রেনো১৩ সিরিজকে কেবল একটি ফোনের চাইতে নিবিড় বিশেষ কিছু হিসেবেই প্রমাণ করতে পেরেছে।
ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ইকোসিস্টেম অনেকগুলো আন্তঃসংযুক্ত ডিভাইসের একটি নেটওয়ার্ক, যা ব্যবহারকারীদের একটি সমন্বিত অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
সম্প্রতি ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের তিনটি আইওটি ইকোসিস্টেম ডিভাইস উন্মোচন করেছে।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির এ তিনটি ডিভাইস— ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ ও ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২— একে অপরের সাথে সহজে সংযুক্ত হয়ে প্রোডাক্টিভিটি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সেরা ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করে।
সহজ সংযোগ
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য এর ডিভাইসগুলোর মধ্যে সহজে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা। যেমন: ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ ও ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩-এর মধ্যে সহজে অডিও ট্রান্সফার করা যায় ফলে মিটিং বা কোনো সিনেমা দেখার সময় স্ক্রিন থেকে সাময়িক সময়ের জন্য দূরে চলে গেলেও মিটিং করা বা সিনেমা চালু রাখা সম্ভব। ৩২ ফুটেরও বেশি কার্যকরী রেঞ্জ নিয়ে ওয়ান প্লাস বাডস প্রো ৩-এর শক্তিশালী ব্লুটুথ ৫.৪ এ ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী।
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ এই ডিভাইস দুটির মাঝে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে। এটি ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন চেক করার পাশাপাশি মিউজিক প্লেব্যাক নিয়ন্ত্রণ করতে এমনকি ওয়ানপ্লাস প্যাড ২-এর রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ইন্টারকানেক্টিভিটি ফিচার ডিভাইসগুলোকে আরও কার্যকর ও ব্যবহারকারীদের লাইফস্টাইলের সাথে মানানসই করে তোলে।
সবকিছু আরও সহজে
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের প্রতিটি ডিভাইস জীবনকে সহজ করতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২-এর উন্নত ডিজাইন ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স কাজ, পড়াশোনা ও বিনোদনের জন্য একটি বহুমুখী ডিভাইস। এর ১২.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে ও উচ্চ রিফ্রেশ রেট একটি মসৃণ ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ ডাইনাঅডিও টিউনিং ও অ্যাডাপটিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশনের মাধ্যমে স্টুডিও-মানের সাউন্ড অনুভূতি দেয়। যাতায়াত, ব্যায়াম বা ফোনে কথা বলা যেকোনো পরিস্থিতিতে এটি নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। যেকোনো ওয়ানপ্লাস ডিভাইসের সাথে দ্রুত সংযুক্ত হতে সক্ষম ডিভাইসটির এডজাস্টেবল এয়ারপিস থাকায় হওয়ায় খুব সহজেই কানের সাথে মানিয়ে যায়।
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো নোটিফিকেশন ও ডিভাইসটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের হাতের নাগালে এনে দেয়। ফিটনেস ট্র্যাকিং, হার্ট রেট মনিটরিং, কল নোটিফিকেশনের মতো ফিচার এটিকে স্বাস্থ্য ও প্রোডাক্টিভিটি বজায় রাখতে দারুণ কার্যকরী ডিভাইসে পরিণত করেছে।
বাড়বে কর্মদক্ষতা
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের মূলে রয়েছে প্রোডাক্টিভিটি। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২-এর শক্তিশালী প্রসেসর ও ব্যবহারকারীবান্ধব ইন্টারফেসের জন্য মাল্টিটাস্কিংয়ে দক্ষ। ওয়ানপ্লাস স্টাইলো নোট নেওয়া এবং স্কেচ করার জন্য আদর্শ করে তোলে। ওয়ানপ্লাস ম্যাগনেটিক কীবোর্ড একটি মিনি ওয়ার্কস্টেশনে রূপান্তরিত করে, যা রিপোর্ট বা ইমেইল লেখার জন্য পারফেক্ট।
ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ উন্নত নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিষ্কার কল ও মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে। ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ রিমাইন্ডার, মিটিং অ্যালার্ট ও ফিটনেস আপডেট দিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের কাজগুলো সহজ করে তোলে।
প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে নতুন ধারা
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেম উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্মার্ট ও কানেক্টেড জীবনধারার একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩, এবং ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২-এর সমন্বয়ে তৈরি এই ইকোসিস্টেম ব্যবহারকারীদের জীবনকে সহজ ও আরও সময় সাশ্রয়ী করে তুলবে। শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, বা প্রযুক্তিপ্রেমী— সবার জন্য ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেম একটি স্মার্ট ও কার্যকর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে।
আরও পড়ুন:প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসের পর যুক্তরাষ্ট্রে ফের কার্যক্রম শুরু করেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও হোস্টিং সার্ভিস টিকটক।
স্থানীয় সময় রবিবার থেকেই দেশটিতে টিকটকের কার্যক্রম পুনর্বহাল করা হয়।
এর আগে ট্রাম্প বলেন, স্থানীয় সময় সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিতে প্রবেশ পুনর্বহাল করবেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অভিষেকের আগে একটি শোভাযাত্রায় তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই, যে কারণে এটিকে রক্ষা করতে হবে। ১৭ কোটি আমেরিকান অ্যাপটি ব্যবহার করেন।’
এক বার্তায় টিকটকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে টিকটিক ফিরেছে।’ এর আগে রবিবার সন্ধ্যাতেও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে টিকটিক ছিল না।
চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা প্রবেশ শুরু করলে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের সেবাদাতাদের সঙ্গে একটি চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক আবার পুনর্বহাল হচ্ছে। এ ছাড়া টিকটককে কার্যক্রম চালাতে দিলে সেবাদাতাদের কোনো ধরনের সাজার মুখে পড়তে হবে না, এমন আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। টিকটকের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।'
এর আগে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি আইন গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় টিকটক ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৭ কোটি গ্রাহক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন।
আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মালিকানা বিক্রি না করলে কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা।
গত বছরের এপ্রিলে কংগ্রেসে পাস হওয়া আইনটির বিষয়ে টিকটক, বাইটড্যান্স ও কিছুসংখ্যক ব্যবহারকারী চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে ওই আইন বহাল রাখার আদেশ দেন।
বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হলো, এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
আরও পড়ুন:মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ইন্টারনেট ডাটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর মঙ্গলবার এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেছে।
এ সমঝোতার অংশ হিসেবে উবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫-এর অফিশিয়াল মোবিলিটি পার্টনার হয়েছে। এতে দর্শনার্থীরা মেলায় যাতায়াতে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন এবং ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও মো. আনোয়ার হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
উবার এ সমঝোতার আওতায় দর্শনার্থীদের নিরাপদ ও আরামদায়কভাবে মেলা পরিদর্শনে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রোমো কোড সরবরাহ করবে। এ ছাড়াও এ উদ্যোগকে সফল করতে বিশেষ পার্কিং সুবিধাও দেওয়া হবে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে উবারের এ উদ্যোগ দর্শনার্থীদের বাণিজ্য মেলায় যাতায়াত আরও সহজ ও আরামদায়ক করবে।
এমওইউর বিষয়ে উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘উবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাথে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫-এর অংশীদার হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছে। আমরা নানান উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও সুবিধাজনক পরিবহন সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘উবার দর্শনার্থীদের মেলায় যাতায়াতে একটি মসৃণ ও ঝামেলামুক্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে ও তাদের ভ্রমণকে আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক করবে।’
দর্শনার্থীরা উবার ব্র্যান্ডেড বুথ বা উবারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিশেষ প্রোমো কোড সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য