× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Rahul explained the difference between Hindu and Hindutva
google_news print-icon

হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদীর পার্থক্য বোঝালেন রাহুল

হিন্দু-ও-হিন্দুত্ববাদীর-পার্থক্য-বোঝালেন-রাহুল
জয়পুরের সমাবেশে রাহুল গান্ধী।
সমাবেশে রাহুল দাবি করেন, হিন্দুত্ববাদীরা সারা জীবনই ক্ষমতার অনুসন্ধান করে। এর জন্য তারা যেকোনো কিছু করতে পারে। তারা ‘সত্যাগ্রহ’ নয়, ‘সত্তাগ্রহ’-এর পথ অনুসন্ধান করে।

হিন্দুত্ববাদীদের সরিয়ে হিন্দুদের ক্ষমতায় আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী।

রোববার রাজস্থানের জয়পুরে এক রাজনৈতিক সভায় এমন মন্তব্য করেন রাহুল। তিনি মনে করেন, ভারতীয় রাজনীতিতে ‘হিন্দু’ আর ‘হিন্দুত্ববাদী’ এই শব্দ দুটি আলাদা অর্থ বহন করে।

একটি উদাহরণ দিয়ে হিন্দু আর হিন্দুত্ববাদীর পার্থক্যও দেখিয়ে দেন ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির সাবেক সভাপতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একজন হিন্দু। আর তাকে যিনি হত্যা করেছিলেন সেই নথুরাম গডসে ছিলেন হিন্দুত্ববাদী।’

রাহুল বলেন, ‘আজকের দিনে ভারতের রাজনীতিতে হিন্দু আর হিন্দুত্ববাদী এই শব্দ দুটির মধ্যে লড়াই চলছে। দুটি শব্দ আলাদা অর্থ বহন করে। আমি হিন্দু, হিন্দুত্ববাদী নই।’

ক্ষমতাসীন বিজেপিকে লক্ষ্যবস্তু করে রাহুল বলেন, ‘হিন্দুত্ববাদীরা শুধু ক্ষমতা চায়। আর তারা ২০১৪ সাল থেকেই ক্ষমতায় আছে। আমাদের উচিত এইসব হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া এবং হিন্দুদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা।’

রোববার রাজস্থানের জয়পুরে মুদ্রাস্ফীতিবিরোধী এক আন্দোলনে অংশ নেন রাহুল। এই আন্দোলনকে ‘অবধারিত লড়াই’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে ভারতীয় কংগ্রেস পার্টি।

কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ছাড়াও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই সমাবেশে অংশ নেন।

সমাবেশে রাহুল দাবি করেন, হিন্দুত্ববাদীরা সারা জীবনই ক্ষমতার অনুসন্ধান করে। এর জন্য তারা যেকোনো কিছু করতে পারে। তারা ‘সত্যাগ্রহ’ নয়, ‘সত্তাগ্রহ’-এর পথ অনুসন্ধান করে।

হিন্দু কে, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘হিন্দু সে-ই, যিনি সবাইকে কাছে টেনে নেন এবং সব ধর্মকেই সম্মান করেন।’

উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে রাহুল বলেন, ‘আপনারা হিন্দুদের যেকোনো ধর্মগ্রন্থ পড়ে দেখতে পারেন। তা হোক রামায়ণ, মহাভারত, গীতা কিংবা উপনিষদ। আমাকে বলুন যে, কোথায় লেখা আছে, গরিবকে মার খেতে হবে। কোথায় লেখা আছে, হতদরিদ্র মানুষেরা নির্যাতিত হবে।’

আরও পড়ুন:
সভাপতি পদে রাহুলকেই চায় কংগ্রেসের যুব শাখা
৭০ বছরের সম্পদ ‘করপোরেট বন্ধুদের’ উপহার দিচ্ছেন মোদি: রাহুল 
দলিত শিশুর ‘ধর্ষণ-হত্যা’ তদন্তে দিল্লি পুলিশ
বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে ঐক্য চান রাহুল
ট্রাক্টর চালিয়ে সংসদে রাহুল গান্ধী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Aricha Kazirhat ferry service stopped due to shipping crisis

নাব্য সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ

নাব্য সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার রাত থেকে আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করায় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের সারি। ছবি: নিউজবাংলা
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, নাব্য সংকটের কারণে সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন যমুনার ডুবোচরে ফেরি ধাক্কা খেয়েছে। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার রাত থেকে এই নৌপথে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নাব্য সংকট কাটিয়ে দ্রুত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।

নৌপথে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথ। কিন্তু যমুনা নদীতে এই নৌপথে নাব্য সংকটের কারণে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় আরিচা ফেরি ঘাট এলাকায় বাড়ছে পণ্যবাহী যানবাহনের সংখ্যা। ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয় জানায়, মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে বড় পাঁচটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। সম্প্রতি যুমনা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে মাঝেমধ্যেই নদীর ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছিল। পরে ফেরি চলাচলের চ্যানেলে ড্রেজিং শুরু করা হয়।

ঝুঁকি নিয়ে কিছুদিন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন নদীতে পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় নাব্য সংকট প্রকট হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় জান-মালের নিরাপত্তায় সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

পণ্যবাহী ট্রাকচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘নাটোর থেকে পণ্য নিয়ে শুক্রবার সকালে আরিচা ফেরি ঘাটে পৌঁছাই। ঘাটে এসে শুনি শুক্রবার রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে ফেরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পাটুরিয়া ফেরি পারাপারের জন্য ট্রাক ঘাট এলাকা থেকে বের করি।’

আরিচা দিয়ে ফেরি পারাপার হলে যাতায়াতে খরচ কম হয় বলে জানান তিনি।

আরেক ট্রাকচালক হাসেম আলী বলেন, ‘আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তি বেশি হয়। তার মধ্যে ঘাটে এসে যখন শুনি ফেরি বন্ধ তখন মেজাজ খারাপ বেশি হয়। কারণ আবার যানজট ঠেলে পাটুরিয়ায় যেতে হবে।

‘বেশ কয়েকদিন ধরেই নদীতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল দ্রুত ড্রেজিং করা। তা-না হলে আরিচার প্রবেশ মুখে কাউকে দিয়ে বলে দেয়া যে আরিচা ফেরি বন্ধ।’

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা ফেরি ঘাটের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ জানান, যমুনা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথের ফেরি চলাচল বন্ধের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ফেরি চলাচলের চ্যানেলসহ আশপাশে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, নাব্য সংকটের কারণে সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন যমুনার ডুবোচরে ফেরি ধাক্কা খেয়েছে। তারপর নদীতে পানি কমে যাওয়ায় বর্তমানে নাব্য সংকট বেশি দেখা দিয়েছে। পরে শুক্রবার রাত থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নাব্য সংকট কাটিয়ে দ্রুত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।

আরও পড়ুন:
নৌকায় উঠে কলেরা থেকে বাঁচার চেষ্টা, মোজাম্বিকে ডুবে ৯০ জনের মৃত্যু
অবশেষে পদ্মায় ভাসল ডুবে যাওয়া ‘রজনীগন্ধা’
৬ দিন পর নিখোঁজ ফেরি মাস্টারের মরদেহ উদ্ধার
আবারও ভাসবে ‘রজনীগন্ধা’, তবে হুমায়ন কোথায়
পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি: যানবাহন উদ্ধারে প্রত্যয় হামজা রুস্তম

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Two children died after drowning in Chakaria pond

চকরিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চকরিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু প্রতীকী ছবি।
শিশু দুটি শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে মসজিদের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে লোকজন মসজিদের পুকুরে পানির গভীর থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অলির বাপের পাড়া বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদের পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া শিশু দুটি হলো- ওই এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে ও সিকদারপাড়া জয়নাল আবেদীন দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাহাদাত হোসেন সামির এবং মো. শাহাব উদ্দিনের ছেলে ও সাহারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আল ফয়েজ মিশকাত।

এলাকাবাসী ও নিহত পরিবার সূত্র জানায়, শিশু দুটি শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে মসজিদের পুকুরে গোসল করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পরও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ওদের খুঁজতে বের হন।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে লোকজন মসজিদের পুকুরে নেমে সন্ধান চালান। এক পর্যায়ে সেখান থেকে ডুবন্ত অবস্থায় শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ওদের মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন:
ধলেশ্বরীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে বাবা-মেয়ে নিখোঁজ
পাবনায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
বৃষ্টির পানিতে ডুবে রাজধানীতে শিশু নিহত
ধলাই নদীতে পড়ে নারী নিখোঁজ
তাড়াশে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Dr Kamal Hossain talked about modernizing the constitution
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ

সংবিধান সমসাময়িক করার কথা বললেন ড. কামাল হোসেন

সংবিধান সমসাময়িক করার কথা বললেন ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানসহ সদস্যরা শনিবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তার মতিঝিলের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি সংবিধানকে সমসাময়িক করার কথা বলেন।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের আট সদস্য। রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের কার্যালয়ে শনিবার তারা এই সাক্ষাৎ করেন।

কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ ও মো. মুসতাইন বিল্লাহ।

ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে এই সাক্ষাতের সময় সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে জানান সংবিধান সংস্কার কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপ-পরিচালক মো. সাব্বির মাহমুদ।

এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানসহ উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি সংবিধানকে সমসাময়িক করার কথা উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন।

আরও পড়ুন:
পুনর্লিখন নয়, সংবিধান সংশোধনের পক্ষে মত বিশিষ্টজনদের
রাষ্ট্র সংস্কারে আরও চারটি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা
সংস্কার কমিটি তিনটি সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে
দুদক সংস্কারে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ চেয়েছে কমিশন
এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Money equivalent to and17 billion was laundered from the country TIB

দেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে: টিআইবি

দেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে গেছে: টিআইবি টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ফাইল ছবি
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞদের সিন্ডিকেট আছে। সে কারণে আমরা একজন সাবেক মন্ত্রীর কয়েকটি দেশে কয়েক শ’ অ্যাপার্টমেন্টের বিষয়ে জানতে পারছি। কিন্তু এই ঘটনা বরফখণ্ডের চূড়ামাত্র, এমন পাচারকারী আরও অনেকে আছেন।’

দেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচারের তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ধারণা করা যায় যে বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে।

রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে শনিবার ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে মোট কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা সম্ভব নয়। তবে ব্যাংকের মতো আনুষ্ঠানিক মাধ্যম ব্যবহার করে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচারের কথা জানা যায়।’

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বলয় প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলের মাধ্যমে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ও ব্যবসা- এই ত্রিমুখী আঁতাত মূল ভূমিকা পালন করেছে।

‘সব প্রতিষ্ঠানেই দীর্ঘ সময় ধরে দলীয়করণের চর্চা হয়েছে। গত ১৫-১৬ বছরে আমরা এর চূড়ান্ত রূপ দেখেছি। এতে আমলাতন্ত্রকে কর্তৃত্ব দিয়েছে রাজনৈতিক শক্তি আর তা বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন এজেন্সিকে। ফলে এসব জায়গায় কতটুকু পরিবর্তন আনা যাবে, তা গুরুত্বপূর্ণ।’

‘যে পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশা করছি তা যেন টেকসই হয়’, যোগ করেন তিনি।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একটি দৃষ্টান্ত আছে। সেটি হলো, সিঙ্গাপুর থেকে। দেশটি থেকে ২০০৭ সালে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের উদ্যোগ নেয়া হয় এবং পারস্পরিক আইনি সহায়তার মাধ্যমে ২০১৩ সালে ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৯৩০ কোটি ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয়েছিল।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব। তবে তা অনেক কঠিন ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। যেসব দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে, ওইসব দেশের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশগুলোর এ বিষয়ে সহযোগিতার মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘অর্থ পাচার বন্ধে সাপ্লাই (যে দেশ থেকে পাচার হয়) ও ডিমান্ড (যে দেশে পাচার হয়) উভয়ের মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ থাকতে হবে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞদের সিন্ডিকেট আছে। সে কারণে আমরা একজন সাবেক মন্ত্রীর কয়েকটি দেশে কয়েক শ’ অ্যাপার্টমেন্টের বিষয়ে জানতে পারছি। কিন্তু এই ঘটনা বরফখণ্ডের চূড়ামাত্র, এমন পাচারকারী আরও অনেকে আছেন।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, বিএফআইইউ- অর্থ পাচার বিষয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার পথনকশা আছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে, শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না। অর্থ পাচার রোধে বেশ কিছু আইনেরও প্রয়োজন আছে।’

আরও পড়ুন:
ক্ষমতায় গেলে দলগুলোর আচরণ পাল্টে যায়: ইফতেখারুজ্জামান
অর্থ পাচার রোধে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাতে হবে: ইফতেখারুজ্জামান

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Production stopped at Matarbari power plant due to coal shortage

কয়লা সংকটে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ

কয়লা সংকটে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে কয়লা আনা হয়ে থাকে। গত আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এদিকে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। কায়লা সংকটের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ইউনিট কমিশনিংয়ের জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে কয়লা আনা হয়ে থাকে। গত আগস্ট মাসে জাপানি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

প্রকল্পের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাই ও অপর ইউনিট ডিসেম্বরে চালু হয়। সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন পর্যন্ত জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে আনা হয়েছে ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা। সেই মজুদ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু সাবেক প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ একটি প্রতিষ্ঠানকে বেআইনি সুবিধা দিতে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় ১০ মাস দেরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

‘ওই অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতে অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় গত জুলাইয়ে। সেই আদেশটি পরে উচ্চ আদালতে স্থগিত করা হলেও দীর্ঘমেয়াদে কয়লা আমদানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। তবে সব প্রক্রিয়া শেষ করে নভেম্বরের শেষ দিকে কয়লা আমদানির চেষ্টা চলছে। কয়লা এলেই উৎপাদন শুরু হবে।’

আরও পড়ুন:
মাতারবাড়ী ঘিরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন স্বপ্ন
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক ধর্মঘট

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
17 murders in 54 years in riotous Mautupi village two chairman

দাঙ্গাবাজ মৌটুপী গ্রামে ৫৪ বছরে ১৭ খুন, হোতা দুই চেয়ারম্যান

দাঙ্গাবাজ মৌটুপী গ্রামে ৫৪ বছরে ১৭ খুন, হোতা দুই চেয়ারম্যান ভৈরব উপজেলার মৌটুপী গ্রামে দুই পরিবারের বিরোধে বাড়িঘরে ভাংচুরের খণ্ডচিত্র। ছবি ও কোলাজ: নিউজবাংলা
কর্তা বংশ আর সরকার বংশ- প্রভাবশালী দুই পরিবারের আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর, আগুন, লুটপাট আর হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের গ্রামটিতে। আসামি গ্রেপ্তার বা কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশও গ্রামটিতে যাওয়ার সাহস পায় না। পুরো গ্রাম জিম্মি দুই পরিবারের কাছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে একটি সাদেকপুর। এই ইউনিয়নের একটি দাঙ্গাবাজ গ্রাম মৌটুপী। সাত হাজার মানুষের ওই গ্রামে রয়েছে দুটি প্রভাবশালী পরিবার- কর্তা বংশ আর সরকার বংশ।

সাদেকপুর ইউনিয়নে দুই বংশের নেতারাই বার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছেন। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সরকার মো. সাফায়েত উল্লাহ সরকার বংশের লোক। এর আগে তার বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।

সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হক কর্তা বংশের লোক। দুই বংশের দুই চেয়ারম্যান এখন তাদের নিজ নিজ বংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুই বংশের ১৭ জন খুন হয়েছেন। এতে কমপক্ষে শতবার সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বার বার মারামারি-সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে এক হাজার মানুষ।

দাঙ্গাবাজ মৌটুপী গ্রামে ৫৪ বছরে ১৭ খুন, হোতা দুই চেয়ারম্যান
মৌটুপী গ্রামে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই পক্ষের অবস্থান। ছবি: নিউজবাংলা

সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কাইয়ূম মিয়া নামে সরকার বাড়ির এক ব্যক্তি খুন হন। আহত হন অন্তত ৫০ জন। এর কয়েক দিন আগে ইকবাল মিয়া নামে একই বংশের এক যুবক খুন হন।

গত ঈদুল আজহার পরদিন নাদিম মিয়া নামে কর্তা বংশের এক ব্যক্তি খুন হন। এর আগে ২০০৫ সালে সরকার বাড়ির সরকার সাফায়েত উল্লাহ চেয়ারম্যানের আপন দুই ভাই ওবাইদুল্লাহ ও হেদায়েত উল্লাহ ও তার এক চাচা সায়দুল্লাহ মিয়া কর্তা বংশের লোকজনের হাতে খুন হয়।

আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে এভাবে আরও বেশকিছু হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ-ভাংচুর লেগেই আছে। এসব খুন-সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও অর্ধশত মামলা আদালতে চলমান। আসামির সংখ্যা দুই বংশের কয়েক শ’ হবে।

তাৎপর্যের বিষয় হলো, দুই বংশের নেতৃত্ব দেয়া দু’জন বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান কেউ এলাকায় থাকেন না। নিজেদের বাড়িঘর থাকলেও তারা ভৈরব শহরে বসবাস করেন। আর প্রভাব বিস্তারের জন্য নেপথ্যে থেকে এলাকায় ঝগড়া-বিবাদ লাগিয়ে রাখেন।

একাধিক খুনের মামলার আসামি সরকার বংশের ‘মাথা’ মো. সাফায়েত উল্লাহ সরকার ও কর্তা বংশের ‘কর্তা’ তোফাজ্জল হক। তারা কখনও আদালত থেকে জামিন নেন, আবার কখনও নেন না। পুলিশের ভাষায় তারা পলাতক।

মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মৌটুপী গ্রামে যায় না। ঝগড়া-সংঘর্ষ হলেও পুলিশ তাৎক্ষনিখ ওই গ্রামে যেতে চায় না। কারণ দাঙ্গাবাজ গ্রামে যেতে পুলিশও ভয় পায়। কখনও গেলেও ব্যাপক আয়োজন করে অর্ধশত পুলিশ সদস্যকে দল বেঁধে যেতে হয়। নয়তো উল্টো পুলিশকেই হামলার শিকার হতে হয়।

দাঙ্গাবাজ মৌটুপী গ্রামে ৫৪ বছরে ১৭ খুন, হোতা দুই চেয়ারম্যান

স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বহুবার চেষ্টা করেও দুই বংশের বিরোধ মীমাংসা করতে পারেননি। বিশেষ করে দুই চেয়ারম্যান মীমাংসায় সম্মতি দেন না। তারা মামলা জিইয়ে রাখতেই যেন বেশি আগ্রহী। এলাকায় তারা মামলাবাজ হিসেবে চিহ্নিত। কারণ মামলা হলেই তাদের অর্থ-বাণিজ্য জমে ওঠে। কোনো পক্ষ কোনো ঘটনায় মামলা করলে আসামি করার ভয় দেখিয়ে তারা লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন। আবার চার্জশিট থেকে নাম প্রত্যাহারের নামেও চলে তাদের ‘বাণিজ্য’। তবে তারা দু’জনই এসব কথা অস্বীকার করেছেন।

মৌটুপী গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা অন্য বংশের লোক হয়েও এসবের বাইরে থেকে বাঁচতে পারি না। কোনো না কোনো বংশকে সমর্থন করতে হয়।

‘গত ৫৪ বছরে এই গ্রামে কমপক্ষে দেড় ডজন খুন হয়েছে, আহত হয়েছে হাজারের উপরে। মামলা হয়েছে শত শত। এসব বিরোধের হোতা দুই বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ ও তোফাজ্জল হক।’

একই গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মৌটুপী গ্রামে দুজন নেতার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুগের পর যুগ ধরে ঝগড়া-বিবাদ ও খুনোখুনি চলছে। এই দু’জনই ঝগড়ার হোতা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে মৌটুপী গ্রাম নীরব হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস আগে কর্তা বাড়ির নাদিম খুন হলে সরকার বাড়ির অন্তত দুশ’ বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পালিয়ে যায় সরকার বাড়ির শত শত পরিবারের লোকজন। পরে সরকার বংশের ইকবাল খুন হলে কর্তা বংশের শতাধিক বাড়িঘর লুটপাট হয়।

‘গত বৃহস্পতিবার তারা বাড়ি এলে আবারও সংঘর্ষ বাধে। খুন হন কাইয়ূম। মানুষ বলছে, দুই চেয়ারম্যানকে পরবাসে পাঠালে গ্রামের বিরোধ থামবে, নতুবা নয়।’

এ বিষয়ে সরকার বংশের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সরকার মো. সাফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘কর্তা বাড়ির বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হক এই বিরোধ লাগিয়ে রেখেছে। তারা আমার দুই ভাই ও চাচাকে হত্যা করেছে। গত শুক্রবারের সংঘর্ষের নায়ক সে, আমি নই। গ্রামের যেকোনো মীমাংসায় আমি রাজি। কিন্ত তোফাজ্জল হক মীমাংসায় রাজি নয়। গ্রামের দাঙ্গার জন্য সে-ই দায়ী।’

অপরদিকে কর্তা বংশের বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, ‘৫৪ বছর আগে সাফায়েতের বাবা আমার বংশের কফিল উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যা করে। ক’দিন আগে খুন করল আমার ভাই নাদিমকে। আরও কয়েকজনকে খুন করেছে। আমি গ্রামে থাকি না, থাকি ভৈরব শহরে। অথচ একাধিক ঘটনায় সাফায়েত আমাকে মামলার আসামি করেছে। তাহলে কিভাবে মীমাংসা করব।’

এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে গ্রামের দুই চেয়ারম্যানের বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার চলছে জানলাম। স্থানীয় জনগণ মৌটুপীকে দাঙ্গাবাজ গ্রাম বলে ডাকে।

‘আমি দুই মাস হলো এই থানায় যোগদান করেছি। এরই মধ্যে একজন খুন হলো মৌটুপী গ্রামে। এ নিয়ে দুই বংশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা দমন ও নিয়ন্ত্রণে আমি চেষ্টা করছি।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Inauguration of the 10 day heritage book festival on the completion of two eras

দুই যুগ পূর্তিতে ১০ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব’ উদ্বোধন

দুই যুগ পূর্তিতে ১০ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব’ উদ্বোধন যৌথভাবে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ ও তরুণ অনুবাদক মাহীন হক। ছবি: নিউজবাংলা
উৎসবে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পাঠক ঐতিহ্য প্রকাশিত দুই সহস্রাধিক বই থেকে তার পছন্দেরটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ২-১১ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব-২০২৪’ আয়োজন করেছে।

যৌথভাবে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ ও তরুণ অনুবাদক মাহীন হক।

স্বাগত বক্তব্যে ঐতিহ্যর প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান নাইম বলেন, ‘ঐতিহ্য দুই যুগ যাবৎ প্রকাশনা ক্ষেত্রে ধ্রুপদিয়ানা ও নতুনত্বের সমন্বয় সাধনের কাজ করে চলেছে। এবারের একক বই উৎসব লেখক-পাঠক-প্রকাশকের সংযোগ প্রতিষ্ঠার কাজ করবে।’

তরুণ অনুবাদক মাহীন হক বলেন, ‘ঐতিহ্য প্রকাশনা জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে চলেছে। প্রবীণ ও নবীনের সৃজনশীল অভিযাত্রাকে ঐতিহ্য ধারণ করছে সাহসিকতার সঙ্গে।’

বিশিষ্ট গবেষক শারমিন আহমদ বলেন, ‘ঐতিহ্য প্রতিকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সত্য ইতিহাসের একের পর এক বই প্রকাশ করেছে। একজন প্রকৃত প্রকাশকের বৈশিষ্ট্য এমনই হওয়া উচিত।’

ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ঐতিহ্য আমার প্রকাশক, আমাদের প্রকাশক। ঐতিহ্য শুধু মুনাফার দিকে খেয়াল রাখেনি, প্রকাশনার মধ্য দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বইয়ের ভবিষ্যৎ মানুষের ভবিষ্যতের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ। মুনাফাবাদী বিশ্বব্যবস্থা মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে, স্বার্থপরে পরিণত করছে। মানুষ বই পড়ায় আগ্রহী না হয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।

‘এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বাংলাদেশের মানুষ এবং সারা বিশ্বের মানুষকে বইয়ের অন্তর্গত মানবিক বাণী ধারণ করেই বেঁচে থাকার ও সুষম পৃথিবী গড়ার লড়াই করতে হবে।’

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যর ২৪ বছর পূর্তিতে প্রকাশিত ২৪টি বাংলা ক্ল্যাসিক বইয়ের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এরপর ফিতা কেটে ১০ দিনব্যাপী ঐতিহ্য বই উৎসব উদ্বোধন করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শারমিন আহমদ ও মাহীন হক।

ঐতিহ্য বই উৎসব চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

উৎসবে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পাঠক ঐতিহ্য প্রকাশিত দুই সহস্রাধিক বই থেকে তার পছন্দেরটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:
ফল উৎসব নিয়ে প্রস্তুতি সভা সিপিআইয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের
ফরিদপুরে দুদিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত
টোকিও বৈশাখী মেলায় সাড়া ফেলেছে বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা মাঙ্গা বই
কুড়িগ্রামে কিষাণ-কিষাণীর ঈদ উৎসব, দেখতে ভিড়
ফুল ভাসিয়ে ঐতিহ্যবাহী বিষু ও বিজু উৎসব শুরু

মন্তব্য

p
উপরে