মহাকাশে নতুন নতুন অভিযানের জন্য ১০ জন ট্রেইনি নভোচারী নিয়োগ দিয়েছে নাসা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাইক্লিস্ট, চিকিৎসক, পাইলটসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
১২ হাজার আবেদনকারী থেকে সোমবার ১০ জন ট্রেইনি নভোচারীর নাম ঘোষণা করে নাসা। জানুয়ারি থেকে তাদের টেক্সাসের জনসন স্পেস সেন্টারে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সেখানে তাদের দুই বছরের ট্রেনিং চলবে।
নিয়োগপ্রাপ্তদের স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, ‘আমরা আবার চাঁদে যাচ্ছি। আমরা মঙ্গলে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আমরা নতুন ১০ অভিযাত্রীকে স্বাগত জানাই।’
যে ১০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের বয়স ৩২ থেকে ৪৫ এর মধ্যে। তাদের এখন কঠিন ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কীভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়, মহাশূন্যে কীভাবে হাঁটতে হয়, রোবোটিক বিষয়াদি শেখানো হবে তাদের। এ ছাড়া ট্রেনিং জেট টি-৩৮ চালানোর পাশাপাশি শেখানো হবে রুশ ভাষা, যাতে প্রতিপক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।
ট্রেনিংয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাদের পাঠানো হতে পারে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বিভিন্ন অভিযানে বা মহাকাশের গভীর কোনো অভিযানে।
এসব অভিযানের মধ্যে আছে চলতি দশকের শেষ দিকে চন্দ্রাভিযান। এই অভিযানের নাম আর্টিমিস মিশন। এই মিশনের মধ্য দিয়ে চাঁদে প্রথম কোনো নারী এবং সাদা চামড়ার বাইরে কারোর পদচিহ্ন ফেলবার চেষ্টা করছে নাসা।
এই প্রথম আবেদনের মাধ্যমে নভোচারী নিয়োগ দিল নাসা। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে যাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি রয়েছে, মূলত তাদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল। মেডিক্যাল ডিগ্রি আছে বা যাদের পাইলট টেস্ট সম্পন্ন আছে, তারাও আবেদন করতে পেরেছিলেন।
আবেদনকারীদের মধ্যে অনলাইন টেস্ট শেষে ১০ জনকে ট্রেইনি নভোচারী হিসেবে বেছে নিয়েছে নাসা।
নিয়োগ পাওয়াদের একজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জেসিকা উইটার। তিনি বলেন, ‘আমি খুব ছোট থেকেই নভোচারী হতে আগ্রহী ছিলাম। আমি যখন ছোট্ট বালিকাটি ছিলাম, তখনই স্কুলের পার্কে রকেট নিয়ে খেলা করতাম। বিজ্ঞানের ক্লাস আমার খুব ভালো লাগত।’
নিয়োগ পাওয়া আরেকজন হলেন যুদ্ধবিমানের পাইলট নিকোল আয়ারস। দুই শর বেশি ঘণ্টা যুদ্ধবিমান পরিচালনায় অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। যে কয়েকজন নারীর সর্বাধুনিক এফ-২২ ফাইটার জেট পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের মধ্যে আয়ারস একজন। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো নারীদের মাধ্যমে পরিচালিত একটি এয়ারক্রাফটের নেতৃত্ব দেন তিনি।
ট্রেইনি নভোচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল ফিজিক্সের সহযোগী অধ্যাপক ৩৮ বছর বয়সী ক্রিস্টোফার উইলিয়ামস। তিনি ক্যানসারে রেডিয়েশন থেরাপি নিয়ে গবেষণা করছেন।
নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে নাসার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৪৫ বছর বয়সী অনিল মেননের। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর এই কর্নেল এর আগে নাসার স্পেসএক্সের প্রথম ফ্লাইট সার্জন হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
চিকিৎসক অনিল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও তার মা-বাবা ভারত ও ইউক্রেনের। ২০১০ সালে হাইতি ভূমিকম্প, ২০১৫ সালে নেপালে ভূমিকম্প এবং ২০১১ সালে রেনো এয়ার শো দুর্ঘটনায় কাজ করেছেন তিনি।
১০ জনের দলে ডাক পাওয়া ক্রিস্টিনা বির্চের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে একাধিক ডিগ্রিধারী। গণিত, বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকিউলার বায়োফিজিক্সে ডিগ্রির পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেট করেছেন তিনি।
তবে এসবে ক্যারিয়ার গড়েননি ক্রিস্টিনা। নিজেকে গড়ে তোলেন একজন সাইক্লিস্ট হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্র্যাক সাইক্লিস্ট দলের পরিচিত মুখ ছিলেন ক্রিস্টিনা। খেলেছেন অলিম্পিকে। জিতেছেন বিশ্বকাপ মেডেল।
নভোচারী গড়া নিয়ে নাসার শেষ কোর্স সম্পন্ন হয় ২০১৭ সালে। ওই ব্যাচের দুজন রাজা চারি ও কায়লা ব্যারন বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:ইরান দ্বিতীয়বারের মতো মহাকাশে স্যাটেলাইট বহনে সক্ষম রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমেদ হুসেনি জানিয়েছেন, তিন পর্যায়ে স্যাটেলাইট বহনে সক্ষম রকেট জুলজানাহর পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কঠিন প্রপালশন পর্যায় ও তরল প্রপালশন পর্যায়। রকেটের তৃতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতেই হোসেইনি বলেছিলেন যে প্রতিটি গবেষণার জন্য উৎক্ষেপণের সময় জুলজানাহর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হয় এবং মূল্যায়ন করা হয়।
আরও দুটি জুলজানাহর পরীক্ষামূলক রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
আশা করা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সংযোজন ও সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জুলজানাহ স্যাটেলাইট বহনে সক্ষম রকেট ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পেলোড বহনে সক্ষম হবে।
এর আগে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে জুলজানাহ স্যাটেলাইট ক্যারিয়ার রকেটকে উৎক্ষেপণ করেছিল।
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতি ইমাম হুসাইন (র.)-এর ঘোড়ার নামানুসারে এই স্যাটেলাইট ক্যারিয়ার রকেটের নামকরণ করা হয়েছে জুলজানাহ। রকেটটি ২৫.৫ মিটার লম্বা এবং এর ওজন প্রায় ৫২ টন।
ইরান বরাবরই বলে আসছে, পরমাণু কর্মসূচির মতোই দেশটির স্যাটেলাইট কর্মসূচির উদ্দেশ্যও শান্তিপূর্ণ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে আসছে। তারা মনে করছে, ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের অংশ হিসেবে সামরিক প্রয়োগের লক্ষ্য থাকতে পারে ইরানের স্যাটেলাইট কর্মসূচির।
আরও পড়ুন:রিয়েলমি স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য এক নাইট ফটোওয়াক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। যারা মোবাইলে যেকোনো স্মৃতিময় মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে ভালোবাসেন, এই আয়োজন তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ করে দেবে বলে বলছে রিয়েলমি।
প্রতিযোগিতাটি নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে এবং ফটোগ্রাফি বিষয়ে আগ্রহীদের একজন স্বনামধন্য ফটোগ্রাফারের সাথে আলোচনার সুযোগ করে দেবে। আর তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেবেন সেই পেশাদার ফটোগ্রাফার।
এ ক্যাম্পেইনের প্রথম ধাপে, সারা দেশের ফটোগ্রাফি অনুরাগীদের তাদের প্রোফাইল জমা দিতে বলা হয়। বিভিন্ন অনলাইন ফটোগ্রাফি কমিউনিটির জন্যও এটি উন্মুক্ত ছিল। শতাধিক সাবমিশন থেকে, রিয়েলমি ফটোওয়াকের জন্য ১৬ জন ফটোগ্রাফার বাছাই করে।
প্রতিযোগিতাটির ৱতত্ত্বাবধানে ছিলেন স্বনামধন্য ফটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দী। তিনি বিবিসি বাজ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা, নেচার অ্যান্ড লাইফ-স্টাইল ক্যাটাগরিতে ডিইউপিএস আয়োজিত থার্ড অ্যানুয়াল ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন এবং আইআইইউপিই ২০০৮ (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টার ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফি কম্পিটিশন) সহ বিভিন্ন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
তিনি নির্বাচিত ফটোগ্রাফারদের স্মার্টফোন দিয়ে সেরা শট নেয়ার বিভিন্ন কৌশল ও টিপস দেয়ার জন্য একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করবেন। পরে নির্বাচিত ফটোগ্রাফারদের ফটোগ্রাফি দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য ফটোওয়াকে নেয়া হবে।
প্রতিযোগিতায় চার ক্যাটাগরিতে ছবি তুলতে হবে– নেচার অ্যাট নাইট, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি, পোর্ট্রেট অ্যাট নাইট ও ক্রিয়েটিভ অ্যাট নাইট।
অভিজিৎ নন্দীও এসব ক্যাটাগরিতে ছবি তুলবেন। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফি ক্লাব তাদের ছবিতে নতুন ও ভিন্নধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এই চার বিভাগের সকল ছবি রিয়েলমির আসন্ন ৯ প্রো সিরিজের স্মার্টফোন দিয়ে তোলা হবে।
মোবাইল ফটোগ্রাফির প্রতি যেসব তরুণদের প্রবল অনুরাগ রয়েছে, এই প্রতিযোগিতা তাদের সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটাতে এবং রাতের সৌন্দর্য ভিন্নভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ক্রিপ্টো ফার্ম ‘হারমনি’ থেকে ১০ কোটি ডলারের (৯৩০ কোটি টাকা) ডিজিটাল মুদ্রা চুরি হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানটির ব্লকচেইনের মাধ্যমে ক্রিপ্টো স্থানান্তর করার সফটওয়্যার ‘ব্রিজে’ আঘাত করেছে।
হারমনি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, চুরির ঘটনায় অপরাধীকে শনাক্ত করতে, চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনতে জাতীয় কর্তৃপক্ষ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করছে তারা।
হ্যাকিংয়ের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিপ্টো সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
লন্ডনভিত্তিক ব্লকচেইন অ্যানালিটিক্স ফার্ম এলিপটিক বলছে, শুধু ২০২২ সালেই বিভিন্ন ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠানের ব্রিজ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে।
এর আগে মার্চে অনলাইনে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো গেম এক্সি ইনফিনিটির মূল প্রতিষ্ঠান স্কাই ম্যাভিসের নিজস্ব ওয়ালেট রোনিন নেটওয়ার্কে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।
প্রায় ৬২ কোটি ডলার চুরি করে নিয়েছিল হ্যাকাররা। সেখানে এখনও ঝুঁকিতে আছে হাজার হাজার গেমারের অর্থ।
এদিকে গত বছর ৬০ কোটি ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাক হয় ‘পলি নেটওয়ার্ক’ থেকে। ‘পলি নেটওয়ার্ক’ হলো অনলাইনে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের সেন্ট্রালাইজড প্ল্যাটফর্ম। যদিও এই ঘটনার পর হ্যাকার অর্থ ফেরত দেয়।
এক্সি ইনফিনিটির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই বলছে, ‘অনুসন্ধানে তারা নিশ্চিত হয়েছে উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকিং গ্রুপ ল্যাজারাস এই চুরির জন্য দায়ী।’
ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক প্রযুক্তির খরচ জোগাতেই এই ধরনের চুরিতে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সাইবার আক্রমণ চালিয়ে চুরি করা ক্রিপ্টো সম্পদ দিয়েই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ব্যয় মেটায় উত্তর কোরিয়া।
সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচানোর শতভাগ নিশ্চিত কোনো উপায় নেই। তবে সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে যেই এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করা হবে তার ইতিহাস ও সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে তারা কত দ্রুত সাড়া দেয়, তা দেখা বাঞ্ছনীয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেশটির হ্যাকাররা সাইবার আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার (৫০ মিলিয়ন ডলার) ডিজিটাল সম্পদ চুরি করে। তাদের সাইবার আক্রমণের লক্ষ্য ছিল উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার তিনটি ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময় ও কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম।
ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাকারদের প্রধানত দুই ধরনের টার্গেট থাকে। একটি সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ ও অন্যটি ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্স। সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জগুলোয় একজন ব্যবহারকারী তার ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা ও কেনাবেচা করতে পারেন।
পোলোনিক্স, বাইনান্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ সুবিধা দেয়।
ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্সে সাধারণত একজন ব্যবহারকারী নিজের ডিভাইসটিতেই অর্থ জমা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘মেটামাস্কের’ মতো ইথারিয়াম ওয়ালেটগুলো জনপ্রিয়।
ক্রিপ্টো হেডের প্রতিষ্ঠাতা এডাম মরিস বলেন, যদি হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করতে সক্ষম হয়, তারা মুহূর্তের মধ্যেই অর্থ উত্তোলন করতে পারে নিজের কোনো অস্তিত্ব জানান না দিয়েই।
তবে হ্যাকারদের কবল থেকে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করতে হয়, সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন ক্রিপ্টোক্রাইম অ্যানালিস্ট জন ম্যাকগিল।
তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচানোর শতভাগ নিশ্চিত কোনো উপায় নেই। তবে সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে যেই এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করা হবে তার ইতিহাস ও সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে তারা কত দ্রুত সাড়া দেয়, তা দেখা বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন:মহাজাগতিক যেকোনো ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে হয় বহু বছর। এবার এমনই এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। যা এর আগে হয়েছিল ১৮ বছর আগে। আবার এই ঘটনা দেখতে চাইলে অপেক্ষা করতে হবে আরও ১৮ বছর।
আমাদের সৌরজগতের প্রধান পাঁচটি গ্রহ শুক্রবার থেকে একই সারিতে উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে আবারও।
স্পেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোরের আগে আকাশ পরিষ্কার থাকলে বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিগ্রহ দেখার জন্য খালি চোখই যথেষ্ট।
তবে বুধগ্রহকে দেখার জন্য এটিই বিশেষ সুযোগ, সাধারণত সূর্যের উজ্জ্বল আলোর কারণে বুধ অস্পষ্ট থাকে।
বলা হচ্ছে পাঁচটি গ্রহের অর্ধাকার চাঁদের মতো এই সংযোগ শুক্রবার সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে এবং বিশ্বের অধিকাংশ জায়গায় সোমবার পর্যন্ত দেখা যাবে।
মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং সোসাইটি ফর পপুলার অ্যাস্ট্রোনমির প্রফেসর লুসি গ্রিন ব্যাখ্যা করেছেন যে, ‘মুক্তোর একটি মালার মতন দিগন্তের কাছাকাছি থেকে তা ছড়িয়ে পড়বে।’
শেষবার গ্রহগুলোর এই অর্ধচন্দ্রাকৃতির সংযোগ ঘটেছিল ২০০৪ সালে। পরে আবার এই সংযোগ দেখতে চাইলে অপেক্ষা করতে হবে ২০৪০ সাল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচ জেলায় ফিরে আসতে শুরু করেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এরই মধ্যে সে অঞ্চলের ১ হাজার ১৪৬টি সাইট সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানায়, ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকা আরও ৯৭৬ সাইট চালু করতে অপারেটররা কাজ করে যাচ্ছে। মঙ্গল ও বুধবারের মধ্যে প্রায় শতভাগ সাইট চালু করা সম্ভব হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার কয়েক লাখ বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, বিভিন্ন সাইটে পানি উঠে যাওয়ায় সেখানে চার মোবাইল অপারেটরের ৩ হাজার ৬১৭টি সাইটের মধ্যে প্রায় দুই হাজার সাইট বিকল হয়ে পড়ে। এতে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন সে অঞ্চলের মোবাইল ব্যবহারকারীরা।
নেটওয়ার্ক পুনরায় চালু করতে সে এলাকায় বিটিআরসির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অপারেটররা কাজ শুরু করে। তবে সাইটে জেনারেটর, জেনারেটরের তেলসহ অন্য সরঞ্জাম পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মীদের।
তারপরও জোর চেষ্টায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৬ সাইট চালু করা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় বিটিআরসি।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো- আইএসপি
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য এলাকায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় আইএসপি অপারেটরদের নেটওয়ার্ক অপারেশনস সেন্টার, পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স (পিওপি) স্থাপনাগুলো প্লাবিত ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
যেসব পিএপিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে, সেসবে পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পরিষেবা দেয়া হচ্ছে। জেলাগুলোতে কিছু পিওপি-এ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুনামগঞ্জসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আইএসপি অপারেটরগুলো তাদের টিম পাঠিয়ে নেটওয়ার্ক সচল রাখার জন্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আইআইজি
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ সিলেট বিভাগের অন্য এলাকায় ১৫টি আইআইজি অপারেটরের ৪৮টি পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স আছে, যার অধিকাংশই সচল রয়েছে। তবে বন্যাপ্লাবিত এলাকায় অবস্থিত অনেক সাইটে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগে সাময়িক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।
সিলেটে কয়েকটি আইআইজি পিওপি-এ ডিজেল জেনারেটরের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য একটি অস্থায়ী প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার কিছুসংখ্যক পিএপিতে বিদ্যুৎব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত ডিজেলচালিত জেনারেটর এবং পোর্টেবল জেনারেটর ভাড়া করা হয়েছে।
বিএসসিএল
গত শনিবার ১২টি ভিস্যাট সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনীর কাছে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে হাই-টেক পার্ক ক্যাম্পে একটি, সুনামগঞ্জ ডিসির কার্যালয়ে একটি এবং সার্কিট হাউসে একটি চালু করা হয়েছে।
সিলেট স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ২৩টি ভিস্যাট রোরবার পৌঁছানো হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি ভিস্যাট স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি ভিস্যাট স্থাপনের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন:শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক বাংলাদেশে তাদের #এডুটক বা শিক্ষাভিত্তিক অনলাইন ক্যাম্পেইন চালুর ঘোষণা দিয়েছে। ক্যাম্পেইনটি শুরু হচ্ছে দেশের অনলাইন শিক্ষাভিত্তিক শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের সঙ্গে। ট
#একশোতেএকশো (#EkshoTeEksho) শিরোনামে ওই ক্যাম্পেইনটিতে মাসজুড়ে দেশের জনপ্রিয় #এডুটক ক্রিয়েটররা বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে শিক্ষাভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি ও পাবলিশ করবেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে টিকটক জানায়, তারা এই অঞ্চলে শিক্ষার বিষয়টি আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে এবং সবার জন্য শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি ও সহজলভ্য করতে হ্যাশট্যাগ #এডুটক উন্মোচন করছে।
এখন পর্যন্ত শত কোটি ভিউ অর্জনের পর #এডুটক এর ক্রিয়েটরদের কাছ থেকে শেখা এবং নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। এখানে একাডেমিক কনটেন্ট কিংবা কারিগরি দক্ষতা যেমন পাবলিক স্পিকিং, বিতর্ক, লেখার দক্ষতা যেমন পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এবং এডিটিংয়ের মতো দক্ষতাও শেখানোর মত কনটেন্ট থাকতে পারে।
এর বাইরেও কনটেন্ট ক্যাটেগরি যেমন- অঙ্কন, অরিগামি, রুবিকস কিউব সমাধান, সংগীত এবং আরও অনেক কিছু থাকতে পারে।
অংশগ্রহণকারীদেরকে এই চ্যালেঞ্জের জন্য কনটেন্ট তৈরীর আমন্ত্রন জানানো হবে উপস্থাপিত প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে। টিকটক ব্যবহারকারীরা #একশোতেএকশো ফলো করে প্রতিদিন শিক্ষামূলক কনটেন্ট দেখার পাশাপাশি নতুন অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
বাংলাদেশে #একশোতেএকশো ক্যাম্পেইন প্রথম এমন কোনো ক্যাম্পেইন, যেখানে দেশের বেশ কিছু জনপ্রিয় শিক্ষামূলক কনটেন্ট নির্মাতা যেমন আয়মান সাদিক, মুনজেরিন শহিদ, এনায়েত চৌধুরী, খালিদ ফারহান এবং অন্যরা অংশ নিচ্ছেন। এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য সারা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য খুব সহজেই শিক্ষামূলক কনটেন্ট পৌঁছে দেয়া।
টেন মিনিট স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক বলেন, ‘শিক্ষামূলক কনটেন্ট মজাদার এবং সবার জন্য সহজলভ্য করে টিকটক ডিজিটাল লার্নিংয়ের জন্য একটা মান দাঁড় করিয়েছে। #একশোতেএকশো ক্যাম্পেইন দিয়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে কাজ করার একটা ভালো সুয়োগ পেয়েছি এবং আমরা বিশ্বাস করি, একসঙ্গে কাজ করে আমরা দুর্দান্ত কিছু অর্জন করতে পারব। টেন মিনিট স্কুল এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে খুব আননন্দিত, আমরা মনে করি এই কাজের জন্য টিকটক একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে ডিজিটালাইজড করার এই কাজে টিকটক এবং টেন মিনিট স্কুলের এই অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানাই। টেন মিনিট স্কুলের উচ্চ মানের একাডেমিক কনটেন্ট টিকটক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সবার কাঝে সহজে পৌঁছে যাবে, ফলে দেশের লাখ লাখ তরুণ জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে।’
একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সৃজনশীল কাজকর্ম ও আনন্দ সৃষ্টিতে অনুপ্রাণিত করে টিকটক। সে সঙ্গে টিকটক ব্যবহারকারীদের সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সে জন্য তাদের ডিভাইস থেকে নতুন উদ্ভাবনী ক্যাম্পেইন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরি করতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশে দ্রুতই বেড়ে চলেছে টিকটক ব্যবহারকারী, ফলে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এডুটেক উদ্যোগগুলো প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে তাদের ফ্যানদের সঙ্গে সংযুক্ততা বাড়াচ্ছে।
টিকটক শুধু বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে না, বরং একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে শিক্ষা খাতকে নতুনভাবে তুলে ধরছে, যাতে সবাই তাদের মেধা তুলে ধরছে, তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে কাজ করছে বলেও জানায় বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন:পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমত্তার খোঁজে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে বিজ্ঞানীরা, তবে তেমন কিছুর দেখা এখনও পাওয়া যায়নি। অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রায়ই এলিয়েনের অস্তিত্বের বিভিন্ন প্রমাণ সামনে নিয়ে এলেও শেষ পর্যন্ত সেই প্রমাণগুলো আর টেকেনি।
সবশেষ চীনের একটি রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তি পত্রিকায় বলা হয়, দেশটির গবেষকরা দাবি করেছিলেন, তারা খুব সম্ভবত তাদের রেডিও টেলিস্কোপ ‘স্কাই আই’তে বুদ্ধিমান এলিয়েনদের পাঠানো সংকেত পেয়ে থাকতে পারে।
তবে লাইফ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এলিয়েন গবেষকদের এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।
চীনে প্রাপ্ত এলিয়েন সংকেত গবেষণা প্রকল্পের একজন সহ-লেখক ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমত্তা খোঁজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এসইটিআই) গবেষক ড্যান ওয়ারথিমার যিনি প্রথম সংকেতগুলো দেখেছিলেন তিনি লাইফ সায়েন্সকে বলেছিলেন, এটি মানব হস্তক্ষেপ (ন্যারো ব্যান্ড রেডিও সিগন্যাল) থেকে এসেছে, বহির্জাগতিক বিষয় নয়।
সাধারণত ন্যারো ব্যান্ড রেডিও সংকেতগুলো প্রাকৃতিক উৎস থেকে সৃষ্টি হয় না।
স্কাই আই টেলিস্কোপের সংকেত ধারণের মতো ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালেও বিজ্ঞানীরা এমন একটি সংকেত শনাক্ত করে, যা তারা ধারণা করেছিলেন প্রক্সিমা সেন্টোরি থেকে এসেছে, যেখানে অন্তত সম্ভাব্য বাসযোগ্য গ্রহ রয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
সেখান থেকে প্রাপ্ত সংকেতটিও ছিল ন্যারো ব্যান্ডের।
যদিও দুই বছরের গবেষণায় বেরিয়ে আসে যে, কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়েছিল। সেটি কোনো এলিয়েন প্রযুক্তি থেকে আসা রেডিও সিগন্যাল ছিল না।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের দৈত্যাকার স্কাই আই টেলিস্কোপ পৃথিবীর বাইরে জীবনের চিহ্নের সন্ধান পেয়েছে।
যদিও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, পৃথিবীর বাইরের সভ্যতা অনুসন্ধান দলের প্রধান বিজ্ঞানী ঝাং টঞ্জি বলেছেন, সন্দেহজনক সংকেতগুলো রেডিও হস্তক্ষেপও হতে পারে এবং এর জন্য আরও তদন্তের প্রয়োজন।
দৈনিকটি পরে এ-সংক্রান্ত সব প্রতিবেদন ও পোস্টগুলো মুছে ফেলে।
তবে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দৈনিক থেকে কেন প্রতিবেদনটি সরিয়ে দেয়া হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়।
খবরটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবুতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরটি চলে এসেছে।
স্কাই আই বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেডিও টেলিস্কোপ। এটি ন্যারো-ব্যান্ড ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যালে কাজ করে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বহির্জাগতিক প্রাণের অনুসন্ধান শুরু করে স্কাই আই। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম গুইঝো প্রদেশে এর অবস্থান। টেলিস্কোপটির ব্যাস ৫০০ মিটার (১ হাজার ৬৪০ ফুট)।
ঝাংয়ের মতে, কম ফ্রিকোয়েন্সির এই রেডিও ব্যান্ড টেলিস্কোপ স্কাই আই অত্যন্ত সংবেদনশীল। বহির্জাগতিক প্রাণের সন্ধানে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য