× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Suu Kyi was sentenced to four years in prison
google_news print-icon

সু চির চার বছরের কারাদণ্ড

সু-চির-চার-বছরের-কারাদণ্ড
আদালতের কাঠগড়ায় অং সান সু চি। ছবি: এএফপি
ড. সাসা বলেন, ‘তিনি (সু চি) ঠিক নেই। মিলিটারি জেনারেল তাকে ১০৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা তাকে কারাগারেই মেরে ফেলতে চান।’

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন আদালত।

‘গণ অসন্তোষে’ উসকানি ও করোনাভাইরাসের আইন ভাঙার দায়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইনে এ সাজা দেয়া হয়েছে তাকে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, সু চির সঙ্গে একই অভিযোগে সমান চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও।

৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে দেশটির জান্তা সরকার বিভিন্ন অভিযোগে এক ডজনের বেশি মামলা করেছে। যদিও সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সু চির বিরুদ্ধে প্রায় ১০ মাসে ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন, দুর্নীতি, প্রতারণা, করোনাভাইরাস মহামারিকালীন বিধিনিষেধ উপেক্ষা, অবৈধ ওয়াকিটকি আমদানিসহ কমপক্ষে ১২টি মামলা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

সব শেষ তার বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার কেনা ও ভাড়া দেয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা করে সেনা সরকার।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী; আটক করে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ অনেককে।

তখন থেকেই সু চিকে বন্দি করে রাখে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তবে সু চিকে কবে, কখন এবং আদৌ কারাগারে নেয়া হবে কি না সে সম্পর্কে জানা যায়নি।

তাদের গ্রেপ্তারের পর থেকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে নজিরবিহীন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মিয়ানমার। বিক্ষোভ দমনে কঠোর হয় সেনাবাহিনী।

নিজের বিরুদ্ধে আনা সামরিক সরকারের এসব মামলার বিরুদ্ধে সু চি লড়াই করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নতুন গঠন করা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের এক মুখপাত্র।

এই সরকারে রাখা হয়েছে গণতন্ত্রপন্থি নেতা ও সমর্থকদের। এ ছাড়া সমমনা আরও কিছু দলের নেতারাও এই সরকারের হয়ে কাজ করছে।

সে সরকারের মুখপাত্র ড. সাসা বলেন, ‘তিনি (সু চি) ঠিক নেই। মিলিটারি জেনারেল তাকে ১০৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা তাকে কারাগারেই মেরে ফেলতে চান।’

গত বছর নির্বাচনে এনএলডি ভূমিধ্বস জয় পাওয়ার পর সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার ক্ষমতা কেড়ে নেয়।

এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি মানুষকে হত্যা এবং ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স।

বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সু চি। তাই দেশটিতে সামরিক শাসন অব্যাহত রাখতে সু চিকে সারা জীবনের জন্য রাজনীতি থেকে উৎখাত করতে চায় সেনাবাহিনী। ফলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এসব মামলা দিয়ে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
সেই ২২ জেলেকে ছাড়ল মিয়ানমার
‘২২ জেলেসহ চারটি ট্রলার নিয়ে গেছে মিয়ানমার’
মিয়ানমার থেকে অস্ত্র-মানব পাচার রোধে প্রয়োজনে গুলি
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা স্বীকার মিয়ানমারের দুই সেনার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Rangbilas varieties of sugarcane bumper

রংবিলাস জাতের আখের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

রংবিলাস জাতের আখের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি আখের খেতে কৃষক।

কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার মতো বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি ইউনিয়নের তালুকপাড়াতে আখ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। উৎপাদন ব্যয় বাদ দিয়েও দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় আখ চাষে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। কৃষি বিভাগ বলছে, আখ চাষ সম্প্রসারণে সরকারি প্রকল্প নেওয়া হবে, পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কৃষকদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি জরিপ মৌসুমে কুমিল্লার মুরাদনগর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, বিপাড়া, চান্দিনা, দাউদকান্দি, চৌদ্দগ্রাম, লাঙ্গল কোট, লালমাই, বরুড়াসহ ১০ উপজেলায় প্রায় ৩০০ শত হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০০ শত হেক্টর জমি।

অন্য জেলার তুলনায় আখ চাষ একসময় খুবই কম ছিল। তবে গত কয়েক বছরে লাভজনক হওয়ায় অনেক কৃষক আখ চাষে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে উঁচু জমি ও বেলে-দোয়াশ মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা হোসেন মিয়া।

বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামের কৃষক ইয়াছিন, খোকন মেম্বার, খায়ের মেম্বার, ফারুক আহম্মেদ,তা রু মিয়া, আলী নেওয়াজ তাদের নিজ ধানি জমিতে গত কয়েক বছর যাবত আখ চাষ শুরু করেন। আখ ফলনে কৃষক ইয়াছিন জানান, গত বছর ১ লাখ টাকা খরচ করে এবার প্রায় ৩ লাখ টাকার আখ বিক্রি করেন। চলতি বছরেও তার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং ভালো দামের আশায় রয়েছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে প্রতি পিস আখ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এ আখ চিবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি গুড় তৈরির জন্যও বেশ জনপ্রিয়।

কৃষক খোকন মেম্বার বলেন ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় বেশি দাম পাওয়ায় আমরা খুশি।’

এলাকার আরেক কৃষক তারুমিয়া জানান, ‘আগে শুধু ধান করতাম। কিন্তু ধানে তেমন লাভ নেই। এখন আখ করে দেখছি খরচ কম, লাভ বেশি। তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে আখ চাষ করব। ৯ মাসে ফলন আসে, আমাদের এলাকায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে এবার রংবিলাস ২০৮ নম্বর ও ৫৩২ নম্বর জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব আখ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কুমিল্লা জেলা ও ঢাকা, চট্টগ্রামের খুচরা ব্যবসায়ীরা জমিতে কন্টাক করে ক্রয় করে প্রতিকানি ৩-৪ লাখ টাকা। এতে ধারণা করা হয় প্রতি ১০০ আখ ৪০০০-৫০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে জমিতে।

স্থানীয় আখ বিক্রেতা খায়ের বলেন, ‘এলাকায় এখন আখের প্রচুর চাহিদা। বাজারে তুললেই বিক্রি হয়ে যায়। প্রতি পিস ৬০-৮০ টাকা দরে আখ বিক্রি করছি। এই আখ কার্তিক অগ্রহায়ণে রোপণ করা হয়, যত্ন দিয়ে কীটনাশক ছিটানোর পরে দীর্ঘ ৯ মাস অপেক্ষা করে ফলন বিক্রির জন্য রেডি হয়। এই ফলনে কৃষকরা খুশি কারণ অল্প খরচে তিনগুণ লাভ। তাই চাষিরা আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, আখ একটি অর্থকরী ফসল। একসময় আখ চাষ হারিয়ে যাচ্ছিল, তবে গত দুই বছর থেকে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি উপজেলায় আখ চাষ হচ্ছে। কৃষকরা আরও বেশি করে আখ চাষে আগ্রহী হন সে জন্য প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
UP Chairmans death in thunderbolt in Kamlganj

কমলগঞ্জে বজ্রপাতে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

কমলগঞ্জে বজ্রপাতে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বজ্রপাতে এক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। সোমবার দুপুরে সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নে মোকাবিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু আব্দুল্লা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষি জমিতে তিনি ধানের মধ্যে ঘাস কাটতে গেছেন, তখন প্রচুর বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়। তখন কোনো একসময় তিনি মারা যান।

ইউপি সদস্য আবু আব্দুল্লা জানান, সকাল থেকে অনেক খুজাঁখুজি হয় ফজলুর রহমানকে। পরিবারের সদস্যরা জানান ধানি জমিতে গেছেন। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কৃষি জমির মধ্যে ওনার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি।

মৃত্যুট কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুখের পুরো অংশ কালো হয়ে গেছে। বজ্রপাতে তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এ প্রতিবেদককে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ‘মৃত্যুর বিষয়টি শুনে আমি রওয়ানা হয়েছি। তবে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে আমি এখনও নিশ্চিত না।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Rangamati Buddhist Bihar on the occasion

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রাঙামাটির বৌদ্ধ বিহারগুলোতে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রাঙামাটির বৌদ্ধ বিহারগুলোতে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান রাঙামাটির বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাঙামাটি জেলায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।

সোমবার জেলার রাজ বনবিহারসহ বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান ও প্রাতরাশ, মঙ্গল সূত্র পাঠ, বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদীপ পুজা, হাজার বাতি দান, ফানুস দানসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, রাজবন বিহারের র র আবাসিক প্রধান ও বনভান্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।

রাজবন বিহারের র র উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় হাজার হাজার পূর্ণার্থীর সাধু-সাধু ধ্বণিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ। শুভ প্রবারণা পুর্ণিমা উপলক্ষে ওইদিন রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে পূর্ণার্থীর ঢল নামে।

এছাড়া প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাজবন বিহারে হাজার বাতি প্রজ্জ্বলণ ও ফানুষ উত্তোলনের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।

রাজবন বিহার ছাড়াও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সন্ধ্যা নামলেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিহারগুলোতে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানসহ ফানুস ওড়ানো হবে।

উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পুর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন। আজকের (সোসবার) এই দিন থেকে পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারগুলোতে শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব।

কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী রাজবন বিহারের দেশের সর্ববৃহৎ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

রাজবন বিহারের র এই কঠিন চীবর দানোৎসবে দেশ, বিদেশ ও পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ সমাগম ঘটবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের র র উপসক-উপাসিকা পরিষদের সহসভাপতি নিরুপা দেওয়ান।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The symbol of justice and justice is scales Abdul Halim

ন্যায় ও ইনসাফের প্রতিক হলো দাঁড়িপাল্লা: আব্দুল হালিম

ন্যায় ও ইনসাফের প্রতিক হলো দাঁড়িপাল্লা: আব্দুল হালিম বক্তব্য রাখছেন আব্দুল হালিম।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করব, কিন্তু প্রতিহিংসায় যাব না। জনগণের ভোটে যারাই নির্বাচিত হয়ে আসবে আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সবাই মিলে তাদেরকেই স্বাগত জানাব।

দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আয়োজিত আসন ভিত্তিক নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার দুপুর ৩ টায় দেবীগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের হল রুমে দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আয়োজিত আসনভিত্তিক নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি- ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন এবং বামপন্থি দলগুলোসহ সব দলের নেতারা একসঙ্গে বসেছে। আগামীর বাংলাদেশটা এমন হবে। সবার রাজনৈতিক আদর্শ নিজ নিজ দলের কাছে থাকবে। দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা সবাই এক থাকবো। আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল দলকে বলেছি- আমরা সবাই মিলে ফ্যাসিবাদ তারিয়েছি, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ফ্যাসিস্ট ভারতে চলে গেছে, কিন্তু ফ্যাসিজমের যেসব রং, রূপ রয়ে গেছে- এগুলো সব বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। এজন্য মানুষকে বুঝাতে হবে, তাদের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে- ন্যায় ও ইনসাফের প্রতিক হলো দাঁড়িপাল্লা।

তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছে- জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অতীতের তোকমা কেউ আর বিশ্বাস করে না। এই বিশ্বাসের রেজাল্ট পেয়েছি- ডাকসু এবং জাকসুতে। এই বিশ্বাসের রেজাল্ট আগামীর বাংলাদেশে আসবে। এজন্য অহমিকা শতভাগ বর্জন করতে হবে।

পঞ্চগড়-২ আসনের জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালক মাওলানা আব্দুল বাসেত এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য আব্দুর রশিদ, পঞ্চগড়-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সফিউল্লাহ সুফি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি আবুল বাশার বসুনিয়া, দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসেন প্রমুখ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
World Settlement Day celebrated in Magura

মাগুরায় বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

মাগুরায় বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

‘পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা, নগর সমস্যায় সাড়া’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মাগুরায় বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বসতি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ পারভেজ। সভাই প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শামীম কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ শিবলী সাদিক, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।

এ সময় বক্তারা বলেন, নিরাপদ আবাসন তৈরিতে সরকারি নীতিমালা মেনে চলা উচিত।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Mother hilsa to protect the auction nets after seizing the boat in Padma to protect the hilsa 

মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মায় অভিযান, নৌকা জব্দের পর নিলাম, জাল ধ্বংস 

মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মায় অভিযান, নৌকা জব্দের পর নিলাম, জাল ধ্বংস  অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়।

মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে তৃতীয় দিনের অভিযানে জাল ও নৌকা জব্দ করে উন্মুক্ত নিলাম করেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার সকালে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ছাত্তার মেম্বার পাড়া ও কলাবাগান এলাকায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও একটি নৌকা জব্দ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদুর রহমান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি ত্রিনাথ সাহা, মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের দাড়িত্বে থাকা পেটি অফিসার শাহিন আলমসহ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের দল।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান পরিচালনা চলছে এবং এ অভিযান প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে। এ সময় নদীতে থাকা জেলেদের আটকসহ জাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ এবং আটকৃতদের মৎস্য আইন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হবে। সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময় পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় দিনের মতো পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৫০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মাছ শিকারে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও ৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল ফেরিঘাটে এনে পুড়িয়ে ফেলা, মাছগুলো নদীর তীরবর্তী অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকাটি উন্মুক্ত নিলামে ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Patients suffer from doctors crisis at Panchagarh Modern Sadar Hospital

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড় জেলার স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু ১০০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত রোগীর ভিড় লেগেই থাকে। জেলার পাঁচটি উপজেলার হাজারও মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটে আসে এই হাসপাতালে।

ভর্তি ও বহির্বিভাগ মিলে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেও, পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা।

জরুরি সেবা সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নেন এই হাসপাতালে।

আধুনিক সদর হাসপাতাল, পঞ্চগড় এ চিকিৎসকের পদ সংখ্যা ৩৭টির বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ২২ জন। ১৫টি পদ শূন্য।

এর মধ্যে মেডিসিন কনসালটেন্ট, গাইনি কনসালটেন্টের পদ ও শূন্য রয়েছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পদও শূন্য রয়েছে, একজন মেডিকেল অফিসারকে সাময়িকভাবে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাই মেডিকেল অফিসারেরও সংকট প্রকট। প্রায় ১০টির মতো মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে।

বহির্বিভাগে প্রতিদিনই প্রায় ১২০০-১৪০০ রোগী সেবা নিচ্ছে, এর মধ্যে মহিলা রোগী সবচেয়ে বেশি প্রায় ৬০০-৮০০, পুরুষ প্রায় ৩০০-৪০০, শিশু প্রায় ৩০০।

চিকিৎসককে একাধিক ওয়ার্ড, বহির্বিভাগ এবং জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে হয়, যা বাস্তবে অত্যন্ত কঠিন। বিশেষ করে শিশু বিভাগ, মেডিসিন, গাইনি ও সার্জারি বিভাগে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি থাকায় সেখানে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হলেও, নার্স ও সেবা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। চিকিৎসক না থাকায় অনেক সময় জটিল রোগীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে।

ডা. মো. রহিমুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে ডাক্তার সংকট বহুদিনের সমস্যা। আমাদের এখানে ৩৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন। তা ছাড়া স্পেশালাইজড ডাক্তারও খুব কম। ফলে আমাদের চিকিৎসকদের একাধিক বিভাগে কাজ করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত নতুন ডাক্তার নিয়োগ হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

পঞ্চগড় জেলার অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একই সমস্যা বিরাজ করছে। জেলার দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী, তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার সংখ্যা খুবই সীমিত। ফলে সেবার মান স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের প্রত্যন্ত জেলা হিসেবে পঞ্চগড়ে চিকিৎসক নিয়োগে অনীহা দেখা যায়। অনেকে পদায়ন পেলেও যোগ দিতে চান না, আবার কেউ যোগ দিয়ে কিছুদিন পর বদলি হয়ে যান। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এ জেলায় ডাক্তার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিকরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকলে আধুনিক হাসপাতাল থাকার কোনো সুফলই জনগণ পাচ্ছে না। দ্রুত ডাক্তার নিয়োগ এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি তুলেছেন তারা।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে এখনকার বাস্তব চিত্র- দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় রোগী, ব্যস্ত নার্স ও সেবিকারা, আর একদিকে হিমশিম খাওয়া স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক।

স্বাস্থ্যসেবার এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্রুত পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। যদিও ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে; কিন্তু ডাক্তারও সরঞ্জাম নেই। এসব না থাকায় এ পর্যন্ত হাসপাতাল চালু হয়নি।

মন্তব্য

p
উপরে