× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
How to calculate the age of the stars
google_news print-icon

তারাদের বয়স গণনা কীভাবে

তারাদের-বয়স-গণনা-কীভাবে
মহাবিশ্বে একেকটি ছায়াপথ মানে নানা বয়সী বিপুলসংখ্যক তারার সমাহার। ছবি: সংগৃহীত
বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর তথ্য সংগ্রহের পরও সুপরিচিত তারারা বিজ্ঞানীদের নিত্যনতুন চমক দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে রেড সুপারজায়ান্ট হিসেবে পরিচিত বেটেলজিউস তারার আলো ম্লান হয়ে যেতে শুরু করে। সে সময় বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারেননি সেখানে ঠিক কী ঘটছে। অনেকে ভেবেছিলেন যে তারাটি সুপারনোভা হিসেবে মহাজাগতিক বিস্ফোরণের শিকার হতে যাচ্ছে। পরে জানা যায় যে মানুষের মন খারাপের মতোই তারাদেরও মাঝে মাঝে নিভু নিভু দিন যেতে পারে।

দূর আকাশের জ্বলজ্বলে নক্ষত্র বা তারারা আজও অধরা রয়ে গেলেও তাদের রহস্যভেদ হয়েছে আগেই। তারাদের বিষয়ে বহুকালের অনেক অজানা তথ্যই আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে এখন জানা।

কয়েক শ বছর ধরে রাতের আকাশে তারাদের দিকে টেলিস্কোপ ধরে রাখার পর জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর সাধারণ নক্ষত্রপ্রেমীরাও আজ যেকোনো তারার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো বলে দিতে পারে সহজেই। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে তারার ভর, গঠন ইত্যাদির কথা।

তারার ভর হিসাব করার প্রক্রিয়া তেমন কঠিন নয়। কোনো সঙ্গী তারা থাকলে সেটিকে প্রদক্ষিণরত তারাটি ঘুরে আসতে কত সময় নেয়, তা জানা এবং এরপর খানিকটা বীজগণিতের সূত্র প্রয়োগ করলেই জানা যাবে দ্বিতীয় তারাটির ভর। তারাটি কিসে তৈরি, তা জানতে হলে পরীক্ষা করতে হবে সেটি থেকে বিচ্ছুরিত আলোর বর্ণচ্ছটা।

সায়েন্স নিউজ ফর স্টুডেন্টসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজও তারাদের বিষয়ে যে রহস্য পুরোপুরি ভেদ করে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা, সেটি হলো তারাদের বয়স যাচাই।

বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডেভিড সোডারব্লোম বলেন, ‘একমাত্র সূর্যের বয়সই জানি আমরা। অন্য তারাদের সম্ভাব্য বয়স জানতে সেগুলোর বিষয়ে হাতে থাকা তথ্য আর অন্য তারাদের সঙ্গে সেগুলোর তুলনামূলক একটি সম্পর্ক দাঁড় করাই আমরা।’

বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর তথ্য সংগ্রহের পরও সুপরিচিত তারারা বিজ্ঞানীদের নিত্যনতুন চমক দিয়ে যাচ্ছে।

২০১৯ সালে রেড সুপারজায়ান্ট হিসেবে পরিচিত বেটেলজিউস তারার আলো ম্লান হয়ে যেতে শুরু করে। সে সময় বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারেননি সেখানে ঠিক কী ঘটছে। অনেকে ভেবেছিলেন যে তারাটি সুপারনোভা হিসেবে মহাজাগতিক বিস্ফোরণের শিকার হতে যাচ্ছে। পরে জানা যায় যে মানুষের মন খারাপের মতোই তারাদেরও মাঝে মাঝে নিভু নিভু দিন যেতে পারে।

আমাদের সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র সূর্যের আচরণ অন্য মধ্যবয়সী নক্ষত্রের মতো নয় বলে যেদিন বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করলেন, সেদিনও অনেক নতুন হিসাবের সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল তাদের।

বিজ্ঞানীরা জেনেছেন যে সমবয়সী ও সমভরের অন্য নক্ষত্রদের মতো সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্র সমান সক্রিয় নয়। এর অর্থ হলো, মধ্যবয়সী তারাদের আচরণও এখন পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্ধারণ করতে পারেননি গবেষকরা।

পদার্থবিদ্যার সূত্র ব্যবহার করে এবং পরোক্ষ বিভিন্ন পরিমাপের সঙ্গে তুলনা করে একটি তারার বয়স কেবল ধারণা করে নিতে পারেন বিজ্ঞানীরা। রকমভেদ অনুযায়ী একেক ধরনের তারার ক্ষেত্রে একেকটি পদ্ধতি অধিক কার্যকর বলে বিভিন্ন সময়ে জানা গেছে।

তারার বয়স নির্ণয় জরুরি কেন

মহাবিশ্বে একেকটি ছায়াপথ মানে নানা বয়সী বিপুলসংখ্যক তারার সমাহার। তারাদের বয়স জানা গেলে সংশ্লিষ্ট ছায়াপথের সৃষ্টি-বিবর্তন, কীভাবে সেটিতে বিভিন্ন গ্রহের জন্ম ইত্যাদি বিষয়ে বিশদ তথ্য জানা সম্ভব হতে পারে। তারার বয়স নির্ণয়ের মাধ্যমে অন্য সৌর জগৎগুলোতে প্রাণ সন্ধানের কাজও সহজ হয়ে যেতে পারে।

তারাদের জন্ম কীভাবে, সে বিষয়ে বিজ্ঞানীদের ভালোই ধারণা আছে। তারাদের জীবনের গতি-প্রকৃতি, মৃত্যুর তথ্যও আর রহস্যে আটকে নেই। যেমন কম বয়সী তারায় হাইড্রোজেনের আধিক্য থাকে। দীর্ঘ সময় সেই হাইড্রোজেন জ্বালানির অনেকটা পুড়ে যাওয়ার পর তারারা নিভু নিভু হয়ে যায়। একপর্যায়ে এসব তারার মাধ্যমে মহাবিশ্বে গ্যাস ছড়িয়ে যায়- কখনও বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে, কখনও সামান্য গোঙানির পরই সেগুলো জড় পদার্থে রূপ নেয়।

এই একেকটি ধাপ একেকটি তারার জীবনে কখন আসে, সেটি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে গিয়েই ধাঁধায় পড়ে যান বিজ্ঞানীরা। ভরের ওপর নির্ভর করে অনেক তারাই বয়সের মাইলফলক ছোঁয়ার পরেও বহু পথ পাড়ি দেয়, অনেক তারা তার আগেই নিভে যায়।

বিশাল নক্ষত্রের অনেকগুলোরই মৃত্যু ঘটেছে তুলনামূলক কম বয়সে। শত-কোটি বছর ধরে স্থিরভাবে জ্বলজ্বলে থেকে যাওয়া বিশাল আকৃতির তারার সংখ্যা হাতে গোনা।

বিংশ শতাব্দীতে ইজনার হারৎজস্প্রাং ও হেনরি নরিস রাসেল নামের দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী বয়সভেদে নক্ষত্রের তালিকা তৈরির নতুন একটি ধারণার প্রচলন করেন। তারা প্রতিটি তারার তাপমাত্রার সঙ্গে এর উজ্জ্বলতার তুলনামূলক ছক তৈরি করেছেন। সব তথ্য এক জায়গায় এনে বয়স অনুযায়ী তারাদের শ্রেণিবিভাগের এই ডায়াগ্রামটি হারৎজস্প্রাং-রাসেল ডায়াগ্রামস নামে পরিচিত।

বর্তমানে ওই নমুনাগুলো ব্যবহার করেই গুচ্ছ তারা, অর্থাৎ একই সময়ে জন্মেছে বলে মনে করা হয়- এমন তারাদের বয়সের একটি সাধারণ হিসাব বের করেন বিজ্ঞানীরা।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Mibro Lite 2 Calling Smartwatch with Motion View

মিব্রো লাইট ২ কলিং স্মার্টওয়াচ আনল মোশন ভিউ

মিব্রো লাইট ২ কলিং স্মার্টওয়াচ আনল মোশন ভিউ মিব্রো লাইট ২ ব্লুটুথ কলিং স্মার্টওয়াচ। ছবি: মোশন ভিউ
মিব্রো লাইট ২ স্মার্টওয়াচে রয়েছে ১ দশমিক ৩ ইঞ্চির অ্যামোলেড অলওয়েজ অন ডিসপ্লে, যার রেজ্যুলেশন ৩৬০*৩৬০ পিক্সেল। বৃত্তাকার ডিভাইসটিতে অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকায় রোদেও খুব পরিষ্কারভাবে ডিসপ্লে দেখা যায়। এতে নিজের পছন্দমতো ওয়াচফেস সেট করা যায়।

দেশের বাজারে মিব্রো লাইট ২ ব্লুটুথ কলিং স্মার্টওয়াচ এনেছে বাংলাদেশে ব্র্যান্ডটির বিপণন প্রতিষ্ঠান মোশন ভিউ।

মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে এসে দেশের বাজারে স্মার্টওয়াচটির উন্মোচন করে প্রতিষ্ঠানটি।

যা আছে স্মার্টওয়াচে

মিব্রো লাইট ২ স্মার্টওয়াচে রয়েছে ১ দশমিক ৩ ইঞ্চির অ্যামোলেড অলওয়েজ অন ডিসপ্লে, যার রেজ্যুলেশন ৩৬০*৩৬০ পিক্সেল। বৃত্তাকার ডিভাইসটিতে অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকায় রোদেও খুব পরিষ্কারভাবে ডিসপ্লে দেখা যায়। এতে নিজের পছন্দমতো ওয়াচফেস সেট করা যায়।

কলিং স্মার্টওয়াচ হওয়ায় মিব্রো লাইট ২ ডিভাইসটিতে রয়েছে উন্নতমানের ব্লুটুথ সংযোগ। সে জন্য স্মার্টওয়াচটিতে দেয়া হয় ৫.১ ব্লুটুথ সংস্করণ। ফোন কল করা কিংবা রিসিভ করে কথা বলার জন্য মিব্রো লাইট ২ স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে মাইক্রোফোন ও স্পিকার।

দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে ৩৫০ এমএএইচের ব্যাটারি। ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে। আর একবার ফুল চার্জে স্মার্টওয়াচটি চলে ১২ দিন। ফোনে আসা সব নোটিফিকেশন স্মার্টওয়াচ থেকেই দেখা যাবে এবং প্রয়োজনে মেসেজের রিপ্লাইও করা যাবে। হরেক রকম সেন্সরযুক্ত মিব্রো লাইট ২ ব্রান্ডের স্মার্টওয়াচে ৬০টির বেশি নানা স্পোর্টস মোড যুক্ত করা আছে।

মিব্রো লাইট ২ স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন ফিচার। এতে দেখা যাবে হার্ট রেট, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, ঘুমের পরিমাণ, শ্বাস-প্রশ্বাস। হাঁটাচলা ও চলাচলের সব ধরনের রেকর্ড এই স্মার্টওয়াচে পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে রয়েছে লেদার ও সিলিকন স্ট্র্যাপ।

৫৪ দশমিক ২ গ্রাম ওজনের স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে ২এটিএম গ্রেডের ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স। ফলে এটি হাতে থাকা অবস্থায় পানির নিচে টানা ২০ মিনিট থাকা যাবে, এমনকি এটি পরে সাঁতার কাটাও যাবে।

দাম

স্মার্টওয়াচটির দাম ৫ হাজার ৫৯০ টাকা। সেই সঙ্গে মিলবে ১২ মাসের ওয়ারেন্টি সেবা, তবে ঈদের আগে ওয়াচটি কিনলে ক্রেতারা মোশন ভিউয়ের ওয়েবসাইটে একটি ভাউচার পাবেন এবং সেটি দিয়ে অনলাইনে অর্ডার করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ছাড় মিলবে।

দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় মোশন ভিউয়ের বিপণন চালু আছে। নিজস্ব ৪৫টি ব্র্যান্ড আউটলেট, ২ হাজারের বেশি রিটেইল ও অনলাইনে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য পাওয়া যায়।

বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের অরিজিনাল স্মার্ট গ্যাজেট (যেমন: স্মার্ট ওয়াচ, ইয়ারফোন, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি) গ্রাহকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং সেগুলোর পূর্ণ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Tiktok Awami League

টিকটকে আওয়ামী লীগ

টিকটকে আওয়ামী লীগ
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্ট ফলো করুন। একই সাথে বন্ধুদের ইনভাইটেশন দিন।

ভিডিও শেয়ার করার প্ল্যাটফর্ম টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার ফেসবুকে দলের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্ট ফলো করুন। একই সাথে বন্ধুদের ইনভাইটেশন দিন।

পোস্টে আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক (https://www.tiktok.com/@albdofficial) যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেয়া হয়েছে কিউআর কোডও।

আরও পড়ুন:
প্রেমিকার টিকটক নিয়ে যুবককে ছুরিকাঘাত, পালিয়েছে অভিযুক্ত এসএসসি পরিক্ষার্থী
টিকটকার হতে বাড়ি ছাড়লেন ২ তরুণী, অবশেষে ধরা
২০২২ সালের জনপ্রিয় ট্রেন্ড ও ক্রিয়েটরস তালিকা প্রকাশ করেছে টিকটক

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The friend request is going away when you enter the Facebook profile

ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুঁ মারলেই ‘চলে যাচ্ছে’ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট

ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুঁ মারলেই ‘চলে যাচ্ছে’ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এমন তথ্য শেয়ার করছেন অনেকে। কেউ বলছেন, প্রচুর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাচ্ছেন, কেউ বা বলছেন, অটো রিকোয়েস্ট চলে যাচ্ছে কারো কাছে।

বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। কারো প্রোফাইলে শখের বশে একটু ঢুঁ মারতে গিয়ে রীতিমতো গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলছেন কেউ কেউ। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চলে যাচ্ছে বন্ধুত্বের আবেদন গ্রহণের অনুরোধ।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এমন তথ্য শেয়ার করছেন অনেকে। কেউ বলছেন, প্রচুর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাচ্ছেন, কেউ বা বলছেন, অটো রিকোয়েস্ট চলে যাচ্ছে কারো কাছে।

ফেসবুক অবশ্য এখনও বিবৃতি দিয়ে এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। কথা বলেনি কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গেও। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে দিচ্ছেন স্ক্রিন শটও।

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার ওয়েবসাইটে কমিউনিটি ক্যাটাগরিতে গিয়ে প্রশ্ন রেখে আসছেন ব্যবহারকারীদের অনেকে। সেখানেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে এমন সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এসেছে এ তথ্য।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনাকাঙিক্ষত ‘বাগ’ এই সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে আসলে কী ঘটেছে তা অবশ্য কর্তৃপক্ষই জানাতে পারবে ঠিকঠাক।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে সীমিত হচ্ছে ফেসবুকের বিজ্ঞাপনী কার্যক্রম
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কোপানোর ঘটনায় আটক ২
ফেসবুক, গুগলে চাকরি পেতে কী লাগে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Twitter is bringing the facility of video calling

টুইটার আনছে ভিডিও কলের সুবিধা

টুইটার আনছে ভিডিও কলের সুবিধা
মাস্ক বলেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে যে কারো সঙ্গে ভয়েস এবং ভিডিও চ্যাট করা যাবে শিগগিরই। এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যে কারো সঙ্গে ফোন নম্বর না দিয়ে কথা বলতে পারবেন আপনি।

অডিও ও ভিডিও কলের সুবিধা আনছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এক টুইটবার্তায় এ তথ্য দিয়েছেন বলে বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মাস্ক বলেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে যে কারো সঙ্গে ভয়েস এবং ভিডিও চ্যাট করা যাবে শিগগিরই। এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যে কারো সঙ্গে ফোন নম্বর না দিয়ে কথা বলতে পারবেন আপনি।

কল সুবিধাবার সঙ্গে টুইটারে যুক্ত হবে এনক্রিপ্টেড মেসেজিং সুবিধাও। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড থাকলে মেসেজ, ফটো, ভিডিও, ভয়েস মেসেজ, ডকুমেন্ট, স্ট্যাটাসের আপডেট ও কল বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে সহজেই।

কলের সুবিধা যুক্ত হওয়ার ফলে এখন থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো কল সুবিধা নিতে পারবেন টুইটার ব্যবহারকারীরা।

এ ছাড়া অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয়- এমন অ্যাকাউন্টও মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:
পুতিনকে ভালো বন্ধু মনে করেন না মাস্ক
টুইটারে ফের কর্মী ছাঁটাই
২০ কোটি টুইটার ব্যবহারকারীর ই-মেইল হ্যাক

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Googles first foldable phone teaser released

গুগলের প্রথম ফোল্ডেবল ফোনের টিজার প্রকাশ

গুগলের প্রথম ফোল্ডেবল ফোনের টিজার প্রকাশ পিক্সেল ফোল্ডের ফার্স্ট লুক। ছবি: সংগৃহীত
পিক্সেল ফোল্ডের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে গুগল কোনো তথ্য প্রকাশ না করলেও ডিভাইসটির প্রায় সব তথ্যই ফাঁস হয়ে গেছে।

অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল স্ল্যাপ ডিভাইসের পর ফোল্ডেবল ফোনের প্রতিযোগিতায় নামছে গুগল। কিন্তু কবে আসবে এই ফোল্ডেবল ফোন, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি প্রযুক্তি বিশ্বের নামকরা লিকস্টাররা।

অবশেষে গুগল নিজেই সবার সামনে উপস্থাপন করলো কাঙ্ক্ষিত সেই ফোন। বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের প্রস্তুতকৃত প্রথম ফোল্ডেবল ফোনের একটি টিজারও প্রকাশ করেছে গুগল।

আগামী ২০ মে ডেভেলপারদের নিয়ে আয়োজিত গুগলের ইভেন্টে ‘পিক্সেল ফোল্ড’ নামের ফোনটিকে উপস্থাপন করা হবে।

প্রকাশিত টিজারে দেখা গেছে, গুগলের আসন্ন ডিভাইসটি স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড সিরিজের মতোই বইয়ের ডিজাইনে করা হয়েছে।

তাছাড়া, পিক্সেল ফোল্ডে থাকবে ৩টি রিয়ার ক্যামেরা। ফোনের ভেতরের স্ক্রিনে বড় বেজেল থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। বেজেলের উপরে একটি সেলফি ক্যামেরাও দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে।

গুগলের প্রথম ফোল্ডেবল ফোনের টিজার প্রকাশ

যদিও পিক্সেল ফোল্ডের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে গুগল এখনও কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে ডিভাইসটির প্রায় সব তথ্যই ফাঁস হয়ে গেছে।

লিক হওয়া তথ্য অনুযায়ী, পিক্সেল ফোল্ডে থাকবে ৭.৬ ইঞ্চি স্ক্রিন, যার রেজ্যুলেশন হবে ১৮৪০x২২০৮ পিক্সেল। ফোনের ডিসপ্লের অ্যাসপেক্ট রেশিও হবে ৬:৫। ওলেড (OLED) প্যানেলসহ ফোনটি বাজারে আসবে, যার রিফ্রেশ রেট থাকবে ১২০ হার্টজ।

তিনটি রিয়ার ক্যামেরা সিস্টেমের প্রাইমারি সেন্সর হিসেবে ৪৮ মেগাপিক্সেলের সেন্সর দেওয়া হবে, যা অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (OIS)-সহ আসবে। ফোনের দ্বিতীয় ক্যামেরা সেন্সরটি হবে ১০.৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স। আর তৃতীয় লেন্সটি ১০.৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স, যার সাথে ২০x সুপার রেস জুম পাওয়া যাবে।

২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাথে ফোনটিতে ৪৫০০ অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি থাকবে।

ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ডড্রয়েড ১৩-সম্বলিত ফোনটির ওজন ২৩৮ গ্রাম হবে বলে জানা গেছে।

তবে ফোনটির দাম পিক্সেলের অন্য মডেলগুলোর মতো তুলনামূলক কম হবে না। লিকের তথ্য অনুযায়ী, ফোনটি কিনতে গুণতে হবে ১৭৯৯ ডলার বা ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Can earthquakes be predicted in advance?

ভূমিকম্প কি আগে থেকে আঁচ করা যায়

ভূমিকম্প কি আগে থেকে আঁচ করা যায় তুরস্কে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত স্থাপনা। ফাইল ছবি
ইউএসজিএসের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নির্দিষ্ট কয়েক বছরের মধ্যে কোনো এলাকায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে হিসাব-নিকাশ করতে পারেন তারা।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার ভোরে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ৪.৩ মাত্রার এ ভূমিকম্প টেরই পাননি অনেকে।

এ ধরনের কম্পনের পর একটি আলোচনা ঘুরেফিরে আসে। সেটি হলো বড় কোনো ভূমিকম্পের কবলে দেশ পড়তে যাচ্ছে কি না।

ভূমিকম্প নিয়ে গবেষকদের পূর্বাভাসও আলোচনায় আসে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঢাকায় ভূমিকম্পের পর ডাচ ভূতত্ত্ববিদ ফ্র্যাংক হুগারবিটসের একটি পূর্বাভাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সোলার সিস্টেম জিওমেট্রি সার্ভে (এসএসজিইওএস) নামের সংস্থার ইউটিউব চ্যানেলে ২ মে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন এ ভূতত্ত্ববিদ, যেখানে তিনি ভারতের আসাম, বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে চলতি বছর বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা বলেছেন। শুক্রবার তার সেই ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে গিয়ে অনেকে বাংলাদেশে ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়ে এসেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের সময়ও এ ভূতত্ত্ববিদ আলোচনায় এসেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন, তিনি ‘সঠিক’ পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।

হুগারবিটসের পোস্ট করা ভিডিও দেখে কারও কারও মধ্যে জিজ্ঞাসা দেখা দিতে পারে যে, ভূমিকম্প আগে থেকে আঁচ করা যায় কি না। এর স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের ভাষ্য, ইউএসজিএস কিংবা অন্য কোনো সংস্থার বিজ্ঞানীরা কখনও বড় ভূমিকম্প নিয়ে পূর্বাভাস দেননি।

ইউএসজিএসের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নির্দিষ্ট কয়েক বছরের মধ্যে কোনো এলাকায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে হিসাব-নিকাশ করতে পারেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামী প্রতিষ্ঠান ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (ক্যালটেক) মতে, ঠিক কখন এবং কোথায় ভূমিকম্প হবে, সেটা আগে থেকে ধারণা করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্প কতটা ব্যাপক হবে, তা নিয়েও পূর্বাভাস দেয়া যায় না।

এ বিষয়ে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ মেহেদী হাসান আনসারী নিউজবাংলাকে বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে আগে থেকে অনুমান করা যায় না।

আরও পড়ুন:
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারত পাকিস্তান আফগানিস্তান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ইকুয়েডরে ১৩, পেরুতে একজনের মৃত্যু
তুরস্কে ফের ভূমিকম্প, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ধস
ফের ভূমিকম্পে কাঁপল তুরস্ক
ভূমিকম্প: বাস্তুহারাদের জন্য পৌনে ৩ লাখ বাসাবাড়ি বানাবে তুরস্ক

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
AI godfather quits Google after warning artificial intelligence is dangerous

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘বিপজ্জনক’, সতর্ক করে গুগল ছাড়লেন এআই গডফাদার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘বিপজ্জনক’, সতর্ক করে গুগল ছাড়লেন এআই গডফাদার ‘এই গডফাদার’খ্যাত জিওফ্রে হিন্টন। ছবি: সংগৃহীত
‘আমি গুগলের চাকরি ছেড়েছি যাতে শুধু গুগল নয়, অন্য সকল প্রযুক্তিক্ষেত্রে এআই কিভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তা ব্যাখ্যা করতে পারি।’

নিজের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ভয়াবহতা সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে গুগলের চাকরি ছাড়লেন ‘এই গডফাদার’খ্যাত জিওফ্রে হিন্টন।

সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউরাল নেটওয়ার্কে হিন্টনের অগ্রগামী কাজ আজকের দিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অনেক ডিভাইসকে পূর্ণতা দিয়েছে। গুগলের এআই উন্নয়ন কর্মসূচির সাথে এক দশক ধরে তিনি যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তিনি এআই প্রযুক্তি ও এটিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে হিন্টন বলেন, ‘আমি নিজেকে সান্ত্বনা দিই যে আমি না করলেও অন্য কেউ এটা করত।’

সোমবার একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘গুগলের সমালোচনা নয়, বরং এআই-এর ভয়াবহতা সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলার জন্যই আমি চাকরি ছেড়েছি।’

‘আমি গুগলের চাকরি ছেড়েছি যাতে শুধু গুগল নয়, অন্য সকল প্রযুক্তিক্ষেত্রে এআই কিভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তা ব্যাখ্যা করতে পারি।’

‘তবে এক্ষেত্রে গুগল খুবই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে’, বলেন তিনি।

হিন্টনের প্রসংশা করে গুগলের প্রধান বিজ্ঞানী জেফ ডিন বলেছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতের ভিত্তিই গড়ে দিয়েছেন হিন্টন।’

সিএনএন-কে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে ডিন বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা একটি দায়িত্বশীল পদ্ধতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাহসিকতার সাথে উদ্ভাবন করার পাশাপাশি আমরা এআই-এর নতুন ঝুঁকিগুলোও বুঝতে শিখছি।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই চ্যাটবটের কারণে ভুল তথ্য প্রচার ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের চাকরি হারানোর শঙ্কায় যখন ক্রমবর্ধমান সংখ্যক আইন প্রণেতা ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই গুগল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন হিন্টন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এই ব্যাপক আগ্রহ গত বছরের শেষদিকে চ্যাটজিপিটি’র আবির্ভাবের পর থেকে শুরু হয়। এরপর থেকেই বিশ্বের বড় বড় ‘টেক জায়ান্ট’রা নিজেদের প্রস্তুতকৃত ডিভাইস ও সার্ভিসগুলোতে একইরকম ‘এআই টুল’র ব্যবহার করার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। ওপেন এআই, মাইক্রোসফট ও গুগল এই প্রতিযোগিতার শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে আইবিএম, অ্যামাজন, বাইডু ও টেনসেন্ট-এর মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও ওই একই ধরণের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

প্রযুক্তি জগতের কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ‘সমাজ এবং মানবতার জন্য গভীর ঝুঁকি’ উল্লেখ করে কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী এআই সিস্টেমের প্রশিক্ষণ বন্ধ করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবগুলোর জন্য একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। চিঠিটি ওপেন এআই-এর জিপিটি-৪ ঘোষণা করার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই স্বাক্ষরিত হয়।

জিপিটি-৪ প্রযুক্তির আরও শক্তিশালী সংস্করণ যা চ্যাট জিপিটি-কে আরও শক্তিশালী করে। প্রাথমিক পরীক্ষা ও একটি কোম্পানির ডেমোতে, জিপিটি-৪ মামলার খসড়া তৈরি করতে, মানসম্মত পরীক্ষায় পাস করতে এবং হাতে আঁকা স্কেচ থেকে একটি কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।

নিউইয়র্ক টাইমসে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে হিন্টন এআই-এর সক্ষমতার কারণে ‘চাকরি কমে সম্ভাবনা ও সত্য কি তা আর অনেকেই জানতে পারবে না’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এআই-এর এই অগ্রগতি ছিল হিন্টন ও অন্য প্রযুক্তিবিদদের কাছে অভাবনীয়।

এক স্বাক্ষাতকারে হিন্টন বলেন, ‘প্রযুক্তির এই বিষয়টি যে আসলে মানুষের চেয়েও স্মার্ট হয়ে উঠতে পারে, খুব কম লোকেই তা বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু অনেকেই ভেবেছিল যে সেই সময় আসতে এখনও অনেক দেরি। আমিই তো ভেবেছিলাম যে অন্ততঃ এই পর্যায়ে আসছে আরও ৩০ থেকে ৫০ বছর তো লাগবেই। তবে বুঝতেই পারছেন, আমি আর এমনটা ভাবি না।’

তবে শুধু হিন্টনই প্রথম গুগলের কর্মী নন, গত বছরের জুলাই মাসে ডেটা সুরক্ষা নীতি লঙ্ঘন করার দায়ে কোম্পানিটি একজন প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করে। তিনিও অভিযোগ করেছিলেন যে একটি অপ্রকাশিত এআই সিস্টেম খুবই সংবেদনশীল হয়ে উঠছে। তবে তার ওই দাবিকে অনেক বিজ্ঞানীরাই তখন সমর্থন করেননি।

মন্তব্য

p
উপরে