× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Padma Shri in the hands of a doctor for one taka
google_news print-icon

এক টাকার ডাক্তারের হাতে ‘পদ্মশ্রী’

এক-টাকার-ডাক্তারের-হাতে-পদ্মশ্রী
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ৫৭ বছর রোগী দেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম তুলেছেন এক টাকার ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের তরফে ডা. সুশোভনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ‘লংগেস্ট অ্যাওয়ারনেস রিবন’ পুরস্কার।

রোগী দেখতে এক টাকা ফি নিয়ে গরিবের ‘ভগবান’ হয়ে ওঠা চিকিৎসক বীরভূমের সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় পেলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। সমাজে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এই চিকিৎসকের হাতে এই বিশেষ সম্মাননা তুলে দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

দীর্ঘ ৫৭ বছর রোগী দেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম তুলেছেন এক টাকার ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের তরফে ডা. সুশোভনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ‘লংগেস্ট অ্যাওয়ারনেস রিবন’ পুরস্কার।

দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে সোমবার এক অনুষ্ঠানে ২০২০ সালে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মনোনীত পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্মানীত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিধিনিষেধের জন্য প্রায় দেড় বছর পর এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় পদ্মশ্রী পুরস্কার নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে বোলপুরে ফেরার পর শহরে খুশির হুল্লোড় ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতিদিন সকালে বাড়ির সামনে লম্বা লাইন। বীরভূম ও আশপাশের জেলার রোগীরা এখানে ভিড় জমান। নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবায় ব্যবস্থাপত্র পেতে হাজির হন। বিনামূল্যে গরিব মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেছেন গরিবের ডাক্তার।

কলকাতা আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৯৬২ সালে এমবিবিএস করেন সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য যান লন্ডনে। তার প্রথম কর্মক্ষেত্র বিশ্বভারতী পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল।

হাসপাতালে চাকরির পাশাপাশি তিনি নিজের বাড়িতে এক টাকা ফিতে রোগী দেখা শুরু করেন। শুরুটা ১৯৬৩ সালে। আজও তিনি একইভাবে রোগী দেখে চলেছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কমপক্ষে দেড়শ’ রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন ডা. সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারত সরকারের দেয়া পদ্মশ্রী সম্মাননা পেয়ে খুশি ডা. সুশোভন। তিনি বলেন, ‘আমাকে সম্মান জানানোয় ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যতদিন বাঁচবো, গরিব মানুষের পাশে থাকব।’

আরও পড়ুন:
পাটগ্রামে মৃত ভারতীয় নাগরিকের দেহ গেল রংপুরে
পাকিস্তানের পর দিল্লির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান চীনের
ভারতে ক্রিকেট জালিয়াতিতে বড় চক্র
চার মেইডেনে বিশ্বরেকর্ড অক্ষয়ের
ভোপালে হাসপাতালে আগুন, ৪ নবজাতকের মৃত্যু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
No vaccination in schools and colleges without permission

অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন নয়

অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন নয় জরায়ু ক্যান্সারের নকল ভ্যাকসিনের অ্যাম্পুল। ছবি: নিউজবাংলা
শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬ হাজার নারীকে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন দেয়ার খবর প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চিঠিতে ঔষধ প্রশাসন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম স্কুল-কলেজে না চালাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলেজে ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এক চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬ হাজার নারীকে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন দেয়ার খবর প্রকাশের পর ১৯ মার্চ চিঠিটি দেয়া হয়। এর আগের দিন অভিযান চালিয়ে রাজধানীর দারুসসালামে ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন থেকে নকল ভ্যাকসিনের আলামত উদ্ধার করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে সব জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সব জেলার ঔষধ প্রশাসনকে।

তাতে বলা হয়েছে, সেরাভিক্স ভ্যাকসিন নকল পাওয়া গেছে। আন-রেজিস্টার্ড হেপাটাইটিস-বি’র ভ্যাকসিনের ভায়াল থেকে খালি ভায়ালে আংশিক ভরে সেরাভিক্স ভ্যাকসিনের লেবেল লাগিয়ে একটি চক্র নকল করছে।

গত ১৮ মার্চ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দারুসসালামের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন থেকে নকল ভ্যাকসিনের আলামত পেয়েছে। গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে নকল ভ্যাকসিনের প্রচারণা করা হয়েছে।

চিঠিতে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজ ও বেসরকারি পর্যায়ে কোনো ধরনের ভ্যাকসিনেশন করতে হলে এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমোদন থাকা আবশ্যক। ঔষধ প্রশাসন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি ছাড়া এ ধরনের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম স্কুল-কলেজে না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৮ মার্চ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দারুস সালাামের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশনে অভিযান চালিয়ে নকল ভ্যাকসিনের আলামত পেয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছি। কিছু সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠান নকল ভ্যাকসিন উদ্ধারের খবর পেয়ে সতর্ক হয়ে গেছে।

‘আমরা এখন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের অভিযান চলাকালেও এ ধরনের মাইকিং শুনতে পেয়ে ধাওয়া করেছিলাম। কিন্তু তারা পালিয়ে যায়।’

গত ১৫ মার্চ নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম শিপন, ফয়সাল আহম্মেদ, আল আমিন, নুরুজ্জামান সাগর ও আতিকুল ইসলাম নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিন বছর ধরে জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্স বাংলাদেশে আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর এটাকে সুযোগ হিসিবে কাজে লাগায় প্রতারক চক্রটি। হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিনের একটি অ্যাম্পুল খুলে অন্তত ১০টি জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন বানিয়ে বিক্রি করছে চক্রটি।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের বরাত দিয়ে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের গোয়েন্দারা জানান, চোরাইপথে ভারত থেকে এই ভ্যাকসিন আনতে অ্যাম্পুল প্রতি খরচ হয় ৩৫০ টাকা। একটি অ্যাম্পুল খুলে ১০টি অ্যাম্পুল বানানো হয়। পরে সেগুলোতে লাগিয়ে দেয়া হয় জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্সের লেবেল।

লেভেল লাগানোর পর জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্সের প্রতিটি অ্যাম্পুল বিক্রি করা হয় আড়াই হাজার টাকা করে। গাজীপুরের প্রায় ৬ হাজার নারীর কাছে জনপ্রতি তিনটি করে ১৮ হাজার অ্যাম্পুল ভ্যাকসিন বিক্রি করে চক্রের সদস্যরা। এর মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।

পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা ও আশপাশের প্রায় ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করে নকল টিকা বিক্রির তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী, শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের কাছে নকল ভ্যাকসিনের তিনটি করে ডোজ বিক্রি করেছে ওই প্রতারক চক্র।

নকল ভ্যাকসিন তৈরির কারখানা মালিক গ্রেপ্তার

নকল ভ্যাকসিন তৈরির কারখানা মালিক হিমেলকে রোববার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগ। তাকে দু’দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। এর আগে নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. গোলাম সবুর বলেন, ‘কারখানা মালিক হিমেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই নকল ভ্যাকসিন তৈরি ও বিপণনে জড়িত অন্যদের বিষয়ে জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছি।’

আরও পড়ুন:
৬ হাজার নারীর দেহে জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন
জরায়ু ক্যানসার আক্রান্ত ৮৫ ভাগ নারীই স্ক্রিনিংয়ের বাইরে
জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূলে করণীয় কী

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
What is important to know about healthy food for Iftar

ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, যা জানা জরুরি

ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, যা জানা জরুরি ইফতারে অনেকের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে পানি ও খেজুর। ছবি: সংগৃহীত
‘দুই থেকে তিনটা খেজুর নিন এবং এক থেকে দুই গ্লাস পানি নিন। পান করুন। ব্যস, ফাইন। ফার্স্ট ক্লাস একটা ইফতার হয়ে গেল। এটিই হচ্ছে ইফতার। খেজুর আপনাকে পূর্ণ এনার্জি সাপ্লাই দেবে। কীভাবে?’

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে ২৪ মার্চ শুরু হতে পারে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এ মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে অনেকেই গোগ্রাসে গিলতে থাকেন একের পর এক খাবার। এসবের বেশির ভাগই তৈলাক্ত কিংবা অস্বাস্থ্যকর। এগুলো খাওয়ার ফলে একদিকে যেমন রোজার সংযম নষ্ট হয়, তেমনই বড় ক্ষতি হয় শরীরের।

ইফতারে কোন ধরনের খাবার বর্জন এবং কোনগুলো গ্রহণ করা উচিত, তা এক ভিডিওতে তুলে ধরেছেন মনোদৈহিক ও জীবনযাপনবিষয়ক রোগের থেরাপিস্ট এবং কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কোঅর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান। পরামর্শগুলো তার ভাষায় উপস্থাপন করা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।

ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকা

ইফতারের কথা মনে হলে আমাদের মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। আহ, কী চমৎকার প্লেটভর্তি খাবার! মুড়ি, চানাচুর, ছোলা, ভাজা, বেগুনি, পেঁয়াজু, চপ, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি। অল দিজ আর ডেড ফুড (এর সবগুলোই মৃত খাবার)। অল দিজ আর নট ফুড (এগুলো আদতে কোনো খাবারই নয়)। এসব মৃত খাবার, তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত, ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাবার আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

আপনি ১২ ঘণ্টা, ১৪ ঘণ্টা, ১৬ ঘণ্টা স্টোমাককে খাবার থেকে বিরত রেখেছেন। সে নিজেকে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেছে, নিজেকে তৈরি করছে, যেন সে সারা বছর আপনাকে ভালো সার্ভিস দেয়। ১২ ঘণ্টা, ১৪ ঘণ্টা অভুক্ত থেকে আপনি এ রকম অবৈজ্ঞানিক এবং চর্বিযুক্ত, ভাজাপোড়া খাবার দিলেন। তাকে এই রকম ভাজা পোড়া খাবার; তাকে দিলেন এই রকম হালিম। স্টোমাকের আপনি বারোটা বাজায়া দিলেন।

আপনার পরিপাকতন্ত্রের বিশ্রাম হলো না। পরিপাকতন্ত্র রমজানের পূর্বেও যে রকম ছিল, রমজানের মধ্যেও একই অবস্থায় থাকবে। ফলে সে আপনার জন্য কোনো সার্ভিস দিতে পারবে না। অতএব রমজানে হালিম, ফাস্ট ফুড এই জাতীয় খাবার থেকে আপনি বিরত থাকুন।

ইফতার উৎসব নয়

আর কী করবেন? ইফতার উৎসবে মত্ত হবেন না। রমজানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মশুদ্ধি। আপনি যদি ইফতার পার্টিতে আনলিমিটেড ইফতার খান, এইটুকু বলে দিতে পারি যে, রমজানের মধ্যেই আপনি আগে থেকে অসুস্থ হবেন, এমনকি আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে, স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। ওজন আরও বাড়বে। এসব তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত খাবারে প্রচুর ক্যালোরি থাকে।

যা খাবেন

তাহলে আমরা ইফতারে কী খাব? ভেরি সিম্পল। রোজা রাখার কারণে ১২/১৪/১৬ ঘণ্টা আপনার স্টোমাক রেস্টে থাকে। খুবই সফট, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার খেয়ে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) রোজা ভাঙতেন। সেটি হলো খেজুর।

দুই থেকে তিনটা খেজুর নিন এবং এক থেকে দুই গ্লাস পানি নিন। পান করুন। ব্যস, ফাইন। ফার্স্ট ক্লাস একটা ইফতার হয়ে গেল। এটিই হচ্ছে ইফতার। খেজুর আপনাকে পূর্ণ এনার্জি সাপ্লাই দেবে। কীভাবে?

খেজুরের মূল উপাদান হচ্ছে সুক্রোজ। এই খেজুর ভালো করে চিবাবেন, সময় নিয়ে চিবাবেন। চিবিয়ে গিলে নেবেন। স্টোমাকে গিয়ে এই খেজুর থেকে সুক্রোজ ভেঙে তৈরি হবে গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ। ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে এই গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ রক্তে প্রবেশ করবে। এর ফলে আপনার যে ব্লাড সুগার কমে গিয়েছিল, আপনার সেই ব্লাড সুগারকে রিপেয়ার করে ফেলবে; মুহূর্তের মধ্যে আপনি চাঙা হয়ে যাবেন; যে চাঙা হওয়ার জন্য আপনারা গুড়ের শরবত, চিনির শরবত, এই শরবত, ওই শরবত খেতেন। কোনো শরবত খাওয়ার প্রয়োজন নাই।

দুই থেকে তিনটি খেজুর। সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নামাজে চলে যান। এরপর নামাজ থেকে ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে ফেলুন।

রাতের খাবারে কী থাকতে পারে

রাতের খাবারে কী থাকতে পারে? আমরা সারা বছর দুপুরে যে খাবার খাই, সেটাই হবে রমজানে আপনার রাতের খাবার। কী রকম? একটা বড় প্লেট নেন। ভাত নেবেন এক কাপ। এনাফ।

এক কাপের বেশি ভাত নেবেন না এবং অবশ্যই নিতে হবে লাল চালের ভাত। সাথে পর্যাপ্ত সবজি, ভর্তা, শাক, সালাদ, ডাল, এক টুকরো মাছ অথবা মুরগি হলে এক টুকরো মুরগি। গরু এবং খাসি পুরো রমজানজুড়ে আপনি অ্যাভয়েড করুন।

আর কী করবেন? এর সাথে কয়েক রকম ফল রাখুন। একটা ডিম খেতে পারেন। একটু ভেজানো ছোলা আদা দিয়ে খেয়ে ফেলেন। কিছু টকদই খেতে পারেন, কিছু বাদাম খেতে পারেন, কিছু বীজ খেতে পারেন। অল্প অল্প করে খেতে পারেন। ব্যস।

আমরা বলতে পারি এইভাবে যদি আমরা ইফতার করি ৩০টা রমজানে, ৩০ দিন পর আপনার বাড়তি ওজন কমে যাবে। আপনার টাইপ টু ডায়াবেটিস রিভার্স হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আপনি অনেকগুলো ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবেন। আপনার ব্রেনের আয়ু বেড়ে যাবে।

আরও পড়ুন:
বিএনপির ইফতারে আমন্ত্রিত হিন্দুদেরও গরুর মাংস পরিবেশন
ইফতার পার্টি ও ইসলামের বিধি-বিধান
জবিতে সম্প্রীতির ইফতার
৩০ হাজার অসহায়ের দুয়ারে আ.লীগ নেতার সেহরি-ইফতার
ইফতারি খেয়ে বিচারকসহ অসুস্থ ৩০, কারাগারে ৩

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Turmeric for sunburned skin care

রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদ

রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদ ত্বকে হলুদ ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন অনেকে। ছবি: ইমেডিহেলথ
‘রোদে পোড়া ত্বকের জন্য হলুদ খুবই উপকারী। ত্বকের ধরন অনু্যায়ী হলুদের ব্যবহার একটু ভিন্নভাবে করতে হয়।’

ত্বকে লাবণ্য ফেরানোর পাশাপাশি রোদে পোড়া দেহের যত্নে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদ দিয়ে তৈরি হয় সাবান, যা প্রসাধনী হিসেবে বেশ কার্যকর।

ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করার পাশাপাশি প্রসাধনী হিসেবে হলুদের তৈরি সাবানের উপকারিতা নিয়ে জানিয়েছেন হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার ক্লিনিকের রূপ বিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন মৌসুমি। পরামর্শগুলোর তার ভাষায় পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হলো।

সুপ্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্ন ও নানা রোগের ওষুধ হিসেবে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। নানা আয়ুর্বেদিক গুণ থাকা কাঁচা হলুদ, শুকনো হলুদ গুঁড়ো বিভিন্ন উপায়ে আমরা ব্যবহার করি দৈনন্দিন জীবনে।

রোদে পোড়া ত্বকের জন্য হলুদ খুবই উপকারী। ত্বকের ধরন অনু্যায়ী হলুদের ব্যবহার একটু ভিন্নভাবে করতে হয়।

শুষ্ক ত্বক

শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে হলুদের রসটাকে বের করে নিতে হবে। তারপর সেটা দুই থেকে তিন মিনিট চুলায় ফুটিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে বেসন ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যায়।

তৈলাক্ত ত্বক

এ ক্ষেত্রেও একইভাবে হলুদের রস ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর মুলতানি মাটি নিয়ে হলুদের রসে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার সঙ্গে এক চামচ পুদিনা পাতা ও এক চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে হাত ও মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মিশ্র ত্বক

মিশ্র ত্বকের যত্নটা একটু ভিন্নভাবে নিতে হয়। কারণ এ ধরনের ত্বক একটু বেশি স্পর্শকাতর হয়। সে জন্য আগের মতোই হলুদের রস নিয়ে তার মধ্যে দেশি সবুজ মুগডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একে পেস্ট করে তুলসী পাতার রস ও কেওলিন পাওডার মিশিয়ে মুখ ও হাত-পায়ে লাগাতে পারেন। এতে যেমন ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে, তেমনি হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।

আর সব ধরনের ত্বকেই হলুদের রসের সঙ্গে ব্রাউন সুগার নিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন। এতে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়।

কখন ব্যবহারে বেশি উপকার

হলুদ সবসময় রাতে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদের যেকোনো প্যাক লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে একটা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে ত্বকের সজীবতা বাড়ে। আর হলুদের রস বা গুঁড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।

আরও পড়ুন:
গরমে ত্বকের যত্ন
শীতকালে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
There will be mother and child hospitals in every district Health Minister

প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: নিউজবাংলা
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের মা ও শিশুদের জন্য আলাদা করে সেবা দেয়ার জন্য। দেশের কয়েক শ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানি কমে যাবে।’ 

দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার সকালে রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের মা ও শিশুদের জন্য আলাদা করে সেবা দেয়ার জন্য। দেশের কয়েক শ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রসূতি মায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এটি করা গেলে দেশের মায়েদের প্রসবকালীন যে সমস্যা ও অর্থ ব্যয় হয় তা অনেকখানি কমে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর দেশের দায়িত্ব পরিচালনায় ছিলেন। এই অল্প সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিসিপিএস, বিএমআরসি প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাসহ স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সূচনা করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন আমাদেরকে এখন আর কী কী কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন দেশের মানুষের উন্নতির জন্য, দেশের মানুষের স্বস্তিতে থাকার জন্য।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের প্রায় ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন করে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজ, ২২টি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি জেলায় বেড সংখ্যা দ্বিগুন করেছেন। জেলা হাসপাতালগুলোতে অতি জরুরি ১০টি করে ডায়ালাইসিস সেন্টার করেছেন। উপজেলা হাসপাতালে বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিকিৎসাখাতে আগামীর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যান্সার, কিডনী, লিভার-চিৎিসাখাতে মানুষ যাতে ঢাকায় না এসে নিজ বিভাগেই নিতে পারে সেজন্য দেশের ৮ বিভাগেই ৮টি অতি উন্নত ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৫ তলা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে।’

শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক দোকানে, কল-কারখানায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শিশুদের বয়সে শিশুরা খেলাধূলা করবে, আনন্দ করবে। সেখানে শিশুদেরকে যেভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তা অমানবিক। অন্যদিকে, বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সরকার নানারকম প্রচারণা ও উদ্যোগ নিলেও বাল্যবিয়ে অহরহ ঘটছে।

‘বাল্যবিয়ে মানে একজন অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলেমেয়ের বিয়ে। এই বয়সে বিয়ে হলে তারা যেখানে নিজেরাই শিশু থাকে, সেই শিশুদের মধ্যে আরেক শিশুর জন্ম হয়। এতে মা ও শিশুর মৃত্যুঝুকি অনেকখানি বেড়ে যায়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশে সুস্থ-সবল বুদ্ধিমান শিশু হতে হবে। সে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবার কাজ করছি। এখন শিশুশ্রম ও বাল্য বিয়ে সব জায়গাতেই বন্ধ করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
জেলা পর্যায়েও দগ্ধদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিদেশিরা বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসবে, সেদিন দূরে নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রংপুর মেডিক্যালে ৬০০ যন্ত্রের সাড়ে চার শই অকেজো

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Causes and remedies for snoring

নাক ডাকার কারণ ও বন্ধের উপায়

নাক ডাকার কারণ ও বন্ধের উপায় বেশ কিছু পদক্ষেপে মুক্তি মিলতে পারে নাক ডাকা থেকে। ছবি: সংগৃহীত
আপনার যদি দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুম (৭ থেকে ৯ ঘণ্টা) না হয়ে থাকে, তাহলে নাক ডাকা বেড়ে যেতে পারে কিংবা হঠাৎ করে শুরুও হতে পারে। অতিরিক্ত ক্লান্তি শরীরের পেশিগুলোকে অলস করে দেয়, যা নাক ডাকার একটি কারণ।

নাক ডাকার প্রবণতা থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এতে আইকিউ তো কমেই, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও ঝাপসা হতে শুরু করে।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যায় অনেকে ভোগেন। আশপাশের মানুষের ঘুম নষ্ট হওয়ার অভিযোগও শুনতে হয় এমন মানুষকে।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘নাক ডাকার প্রবণতা থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ফলে আইকিউ তো কমেই, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও ঝাপসা হতে শুরু করে। তাই হালকাভাবে না নিয়ে এর সমাধানের চেষ্টা করাটা জরুরি।’

কারণ

আমিনুল ইসলাম শেখ জানান, বেশ কিছু কারণে মানুষ নাক ডাকতে পারে।

১. শরীরের বাড়তি ওজন, গর্ভাবস্থা ও কিছুটা বংশগত কারণ।

২. অ্যালার্জি, নাক বন্ধ হওয়া অথবা নাকের ভিন্ন গঠন। এসব কারণে নাকের ভেতরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে না ও নাক ডাকার সৃষ্টি হয়।

৩. মদ্যপান, ধূমপান ও বিশেষ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

৪. বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে চামড়া ঝুলে যায়, পুরু হয় ও গলার কিছু পেশি ফুলে যায়। এ কারণে বয়স্করা নাক ডাকেন তুলনামূলক বেশি।

মুক্তির উপায়

নাক ডাকা পেতে মুক্তি পেতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ডা. আমিনুল ইসলাম শেখ।

অতিরিক্ত ওজন কমানো

শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি করে। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত হওয়া সম্ভব।

শোয়ার অবস্থান সঠিক করা

শোয়ার অবস্থানের কারণেও কেউ নাক ডেকে থাকতে পারে।

সোজা ও চিৎ হয়ে শোয়ার কারণে জিহ্বা ও নরম তালু পেছনের দিকে হেলে যায়। এ কারণে মুখের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গাটা আটকে যায় ও শব্দের সৃষ্টি হয়। ডান কাতে শোয়া এ ক্ষেত্রে খুবই ভালো একটি সমাধান। বাম কাতে শোয়ার জন্য বুকের ওপর বেশি চাপ পড়তে পারে।

অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বা ছেড়ে দেয়া

অ্যালকোহল গ্রহণ শুধু নাক ডাকা নয়, শরীরের বিভিন্ন সমস্যার জন্য দায়ী। এটি বিভিন্ন পেশিকে অনেক বেশি শিথিল করে দেয়। ফলে শিথিল মাংস পেশিগুলো মুখের ভেতরে জায়গা আটকে দেয়। তাই যারা মদ্যপান ছাড়তে পারছেন না, তারা নাক ডাকার হাত থেকে রেহাই পেতে এখনই সচেষ্ট হোন।

পর্যাপ্ত ঘুম

আপনার যদি দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুম (৭ থেকে ৯ ঘণ্টা) না হয়ে থাকে, তাহলে নাক ডাকা বেড়ে যেতে পারে কিংবা হঠাৎ করে শুরুও হতে পারে। অতিরিক্ত ক্লান্তি শরীরের পেশিগুলোকে অলস করে দেয়, যা নাক ডাকার আরেকটি কারণ।

নাক পরিষ্কার করা

নাক বন্ধ থাকার জন্যও নাক ডাকার সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্যই অনেকে যারা কখনোই নাক ডাকেন না, তারাও নাক ডাকছেন বলে ঘরের লোকজন জানান। ঠান্ডাজনিত কারণে আপনার নাক বন্ধ হয়ে থাকলে শোয়ার আগে গরম পানির ভাপ নিয়ে যথাসম্ভব নাক পরিষ্কার করে ফেলুন।

ধূমপান ছেড়ে দেয়া

সিগারেটের ধোঁয়া নাকের ভেতর ও গলার মেমব্রেন টিস্যুর ক্ষতি করে। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

বালিশে ভারসাম্য

ঘুমানোর সময় একটি বাড়তি বালিশ নিয়ে মাথাটা একটু উঁচু জায়গায় রেখে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। মাথা উঁচু থাকলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়, তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শুধু মাথা ও বুকের দিকটাতেও যেন সামঞ্জস্য বজায় রাখে।

মেডিটেশন

মেডিটেশন বা ধ্যান শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যার অন্যতম সমাধান। ধ্যানের মাধ্যমে আপনার অজানা অনেক সমস্যার সমাধানও হতে পারে। হয়তো এর মাধ্যমে আপনি নাক ডাকা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।

প্রাকৃতিক উপাদান

এ ছাড়া প্রাকৃতিক কিছু উপাদান যেমন এলাচ, হলুদ, মধু, ঘি এবং অলিভ অয়েল এগুলো খেলেও নাক ডাকাসহ শরীরের নানা সমস্যার সমাধান মিলতে পারে, তবে এগুলো কী পরিমাণে খাবেন বা আদৌ খাবেন কি না, সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেয়া সর্বোত্তম।

নাক ডাকা খুব দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Health benefits of these and proper eating rules

ইসবগুলের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও খাওয়ার সঠিক নিয়ম

ইসবগুলের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও খাওয়ার সঠিক নিয়ম ইসবগুলের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত
‘অনেক স্টাডিতে দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিসকে ম্যানেজ করতে ইসবগুল সাহায্য করে। কেননা এটি গ্লাইসেমিক ইনডেস্ককে কন্ট্রোল করতে পারে।’

কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা কষা হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন। এর বাইরেও নানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে খাদ্যটির।

বাংলাদেশে অনেকের কাছে পরিচিত ইসবগুলের গুণাগুণ ও খাওয়ার নিয়ম এক ভিডিওতে তুলে ধরেছেন ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী। তার মুখের বিষয় পরামর্শগুলো তুলে ধরা হলো পাঠকদের সামনে।

ইসবগুল কী

ইসবগুল বা ইসপাগুলা হাস্ক আসলে সিলিয়াম হিসেবে পরিচিত বাইরের দেশে এবং এ সিলিয়াম আসলে একটি সিড (বীজ) থেকে আসে এবং যেটি দুটি ফরমে (ধরন) পাওয়া যেতে পারে। একটি হচ্ছে হাস্ক (তুষ বা ভুসি), আরেকটি হচ্ছে পাউডার (গুঁড়া)। অর্থাৎ ইসপাগুলা হাস্ক বা ইসবগুল যখন হাস্ক ফরমে খাচ্ছেন, বাজার থেকে যেটি নরমালি নিয়ে আসেন, সেটি আসলে অর্গানিক (প্রক্রিয়াজাতকৃত নয়)। কারণ এটি আসলে জাস্ট ক্লিনিং প্রসেস করা হয় এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে শুকিয়ে এটিকে জাস্ট জারে ভরা হয়।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে পাউডার ফরমে যেটি, সেটি আসলে কমার্শিয়ালি (বাণিজ্যিকভাবে) তৈরি হয়ে থাকে। যেহেতু কমার্শিয়ালি তৈরি হয়, স্বাভাবিকভাবেই তার মধ্যে কিছুটা কালার অ্যাডেড হয়, ফ্লেভার অ্যাড হয় এবং ডায়েট সুইটনারের কিছু ইনগ্রেডিয়েন্টস (উপাদান) থাকে, সেগুলো অ্যাড হয়ে থাকে।

স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

ইসবগুলের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কথা তুলে ধরেছেন তামান্না চৌধুরী।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা

ইসবগুল আমরা সাধারণত যে কনসেপ্ট থেকে খেয়ে থাকি, এটি একটা সলিউঅ্যাবল ফাইবার (আঁশ), যা আসলে লেক্সিটিভের কাজ করে। অর্থাৎ কনস্টিপেশন (কোষ্ঠকাঠিন্য) ঠিক করতে ইসবগুল সাহায্য করে। কেননা ইসবগুল বা এই হাস্ক বা পাউডার যেই ফরমেই আপনি খান না কেন, লেক্সিটিভ প্রোপারটিজের কারণে এটি পানির সাথে ফরমেশন করে ইন্টেস্টাইন থেকে বাওয়েল মুভমেন্টকে স্মুথ (অন্ত্র থেকে মল বের হয়ে আসা সহজ) করে, যার ফলে কনস্টিপেশন প্রিভেন্ট (কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ) হয় এবং যখন কনস্টিপেশন প্রিভেন্ট হয়, তখন যাদের পাইলস বা অ্যানাল ফিশারের প্রবলেম থাকে, সেটাও কিন্তু অনেকটা প্রিভেনশন হয়। তাই যারা শুধু পায়খানার সমস্যায় ভুগছেন, কনস্টিপেশনে আছেন, তাদের জন্য এটি একটি এক্সিলেন্ট খাদ্য উপাদান।

পাতলা পায়খানা দূরে সহায়তা করতে পারে

কিছু কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, লুজ মোশনের (পাতলা পায়খানা) ক্ষেত্রেও ইসবগুলের দারুণ ব্যবহার হয়েছে। কীভাবে? একটা এগজাম্পল দিচ্ছি। যারা ক্যানসার প্যাশেন্ট (রোগী), কেমোথেরাপি নিচ্ছেন, তাদের কিন্তু মেডিক্যাশন (ওষুধ সেবন) বা কেমোর কারণে লুজ মোশন হয়ে থাকে। দেখা গেছে, ইসবগুল পানিটাকে, লুজ ওয়াটারের মোশনটাকে ফরম করতে সাহায্য করে। যেহেতু তার স্টুল ফরমেশনের (মল তৈরি হওয়ার) জন্য পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন হয়, তখন কনসিস্ট্যান্সিটা অনেকটা উন্নত হয়। তাই কিছু কিছু ডায়রিয়ায় ডক্টরের পরামর্শে কিন্তু আপনি ইসবগুল খেতে পারেন।

আইবিএস চিকিৎসায় কাজে আসতে পারে

আইবিএস চিকিৎসাতেও কিন্তু ইসবগুলের ভালো ব্যবহার হয়। দেখা যাচ্ছে আইবিএসে যারা ভুগছেন তাদের অল্টারড হয়। রেগুলার পায়খানাটা কখনও কনস্টিপেশন (কষা) হচ্ছে, কখনও লুজ (পাতলা) হচ্ছে একটু। তাই তাদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় ডাক্তাররা সিলিয়াম হাস্ক বা পাউডার বা ইসবগুলের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে

অনেক স্টাডিতে দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিসকে ম্যানেজ করতে ইসবগুল সাহায্য করে। কেননা এটি গ্লাইসেমিক ইনডেস্ককে কন্ট্রোল করতে পারে। অর্থাৎ হঠাৎ করে সুগার বেড়ে যাওয়াটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যার ফলে আমরা অনেক সময় ডায়েটিশিয়ান হিসেবে ডায়াবেটিক প্যাশেন্টরা যদি খুব আবদার করেন যে আমি একটু ফ্রুট জুস কীভাবে খেতে পারি মাঝে মাঝে? তখন আমরা তাকে পরামর্শ দিয়ি থাকি যে, যদি কোনো ফ্রুট জুস আপনার খুব শখ হয়, খেতেই হয়, তাহলে তার সাথে অবশ্যই এক চামচ ইসবগুল মিক্স করে নেন। কেননা এটাতে ওই ফ্রুট ‍জুসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সটাকে ইমপ্রুভ করা সম্ভব, তবে এটা অবশ্যই প্রতি সময়ে প্র্যাকটিসের জন্য কিন্তু নয়।

রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক হতে পারে

রক্তে ব্যাড (ক্ষতিকর) কোলেস্টেরল কমাতে কিন্তু ইসবগুল সাহায্য করে। যেহেতু এটা হাস্ক, এটাতে ফাইবার (আঁশ) রয়েছে এবং এটা যেহেতু বাওয়েল প্রসেসটাকে (মল বের হওয়ার প্রক্রিয়া) ঠিক রাখে, অবশ্যই এটি গুড কোলেস্টেরলকে বাড়িয়ে ব্যাড কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে হার্ট ডিজিজ প্রিভেনশনের ক্ষেত্রেও ইসবগুলের পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে

ওয়েট রিডাকশনের (ওজন কমানো) ক্ষেত্রে আমরা ডায়েটিশিয়ানরা কিছু সময়ের জন্য ওয়েট ম্যানেজমেন্টের ডায়েটে যখন থাকবেন, তখন আসলে ইসবগুল হেল্প করে। কেননা ওয়েট রিডাকশন মানে হচ্ছে ক্যালোরি কন্ট্রোল, যেখানে আপনাকে অনেক খাবারটা একটু পরিমাণে কমিয়ে ফেলতে হয়, যার ফলে ফাইবারের চাহিদা পূরণে এবং রেগুলার যাতে আপনার ডায়েট করার কারণে কনস্টিপেশন প্রবলেম না হয়, সেই জন্য কিন্তু ইসবগুল আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি।

খাওয়ার সঠিক নিয়ম

ইসবগুল আপনি পাউডার বা হাস্ক যেভাবেই খান না কেন, বেশ কিছু জার্নালে বলা হয়েছে পাঁচ থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত। অর্থাৎ এক থেকে দুই চা চামচ পর্যন্ত সারা দিনে রেকমেন্ডেশন (পরামর্শ) রয়েছে, তবে এটি অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শে হতে হবে।

যারা ডক্টরের পরামর্শ ছাড়া খাচ্ছেন, তাদের জন্য ফাইভ গ্রাম বা এক চা চামচই যথেষ্ট এবং নিয়ম হচ্ছে আপনাকে ২৪০ এমএল (মিলিলিটার) ওয়াটার, অর্থাৎ বড় এক গ্লাস পানির মধ্যে খুব ভালো করে মিলিয়ে এটি খেতে হয়। এটি (পানির সঙ্গে) মিলানোর সাথে সাথে আপনাকে খেতে হবে। কোনোভাবেই মিলিয়ে রেখে দেওয়া যাবে না। কারণ এই ইসবগুল পানির সাথে গিয়েই কিন্তু আপনার ইনটেস্টাইনে (অন্ত্র) বাওয়েলের সাথে কাজ করবে। তাই অবশ্যই এটি স্ট্যাট ডোজ (প্রস্তুতের পরপরই গ্রহণ) হিসেবে খাবেন এবং ২৪০ এমএল পানির মধ্যে এক চামচ ইসবগুল আপনারা খাবেন। যাদের দুই চামচ খাওয়ার রেকমেন্ডেশন আছে, দিনে দুইবার খেতে পারেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
7 health benefits and nutritional value of dates

খেজুরের স্বাস্থ্যগত ৭ উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

খেজুরের স্বাস্থ্যগত ৭ উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যগত নানা উপকারিতা রয়েছে খেজুরের। ছবি: সংগৃহীত
সন্তান প্রসবের সময় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে খেজুর। গর্ভাবস্থার শেষ কয়েক সপ্তাহ খেজুর খেলে এটি সন্তান প্রসবের সময় জরায়ুর প্রসারণে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া প্রসবের সময় কমাতেও সহায়তা করতে পারে ফলটি।

আসন্ন রমজানে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ইফতারের অনুষঙ্গ হবে খেজুর। রোজা ছাড়াও বছরজুড়েই অনেকে খেজুর খেয়ে থাকেন। সুস্বাদু এ ফলের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন।

১. খুবই পুষ্টিকর

খেজুরে দারুণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। শুকনা হওয়ার কারণে এ ফলের ক্যালোরির পরিমাণ অধিকাংশ তাজা ফলের চেয়ে বেশি।

প্রতি ১০০ গ্রাম বা সাড়ে তিন আউন্স মেজদুল খেজুরে ২৭৭ ক্যালোরি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম আঁশ, ২ গ্রাম প্রোটিন, দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ পটাশিয়াম, ১৩ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, ৪০ শতাংশ কপার, ১৩ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ, ৫ শতাংশ আয়রন ও ১৫ শতাংশ ভিটামিন বি৬ রয়েছে। এর বাইরে খেজুরে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে।

২. উচ্চ আঁশযুক্ত

সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত আঁশ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ৭ গ্রাম আঁশ থাকে। এ কারণে ফলটি আঁশের বড় উৎস হতে পারে। আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।

৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ

খেজুরে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যেগুলোর বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আছে। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিছু রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে। এর বাইরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি রেডিক্যালের হাত থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে। ফ্রি রেডিক্যাল হলো অস্থিতিশীল কিছু অণু, যেগুলো শরীরে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া তৈরি করে রোগ সৃষ্টির কারণ হতে পারে। খেজুরে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ফ্ল্যাভেনয়েড, ক্যারোটেনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিড।

খেজুরের স্বাস্থ্যগত ৭ উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

৪. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে

খেজুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। ল্যাবরেটরিতে করা গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর মস্তিষ্কে ইন্টারলেউকিন ৬ তথা আইএল-৬-এর মতো প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান কমাতে সহায়তা করে। আইএল-৬-এর বেশি মাত্রায় উপস্থিতি আলঝেইমারের মতে রোগের উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করে।

৫. প্রসবকালীন ভূমিকা

সন্তান প্রসবের সময় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে খেজুর। গর্ভাবস্থার শেষ কয়েক সপ্তাহ খেজুর খেলে এটি সন্তান প্রসবের সময় জরায়ুর প্রসারণে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া প্রসবের সময় কমাতেও সহায়তা করতে পারে ফলটি।

৬. চিনির প্রাকৃতিক বিকল্প

খেজুর ফ্রুকটোজের একটি উৎস। ফলে থাকা এক ধরনের প্রাকৃতিক চিনি হলো ফ্রুকটোজ। এ উপাদানটির কারণে খেজুর অতি মিষ্টি স্বাদের। খেজুরে বেশ কিছু পুষ্টি, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি কোনো রেসিপিতে সাদা চিনির দারুণ বিকল্প হতে পারে।

খেজুরের স্বাস্থ্যগত ৭ উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

৭. সম্ভাব্য আরও কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

কেউ কেউ খেজুরের আরও কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কথা বলেছেন, যা নিয়ে বড় পরিসরে গবেষণা হয়নি।

খেজুরে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো কয়েকটি খনিজ আছে। গবেষণায় দেখা যায়, সবগুলো খনিজেরই হাড়ক্ষয়জনিত সমস্যা প্রতিরোধের সক্ষমতা আছে।

লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রক্তে শর্করা কমানোয় সহায়ক হওয়ার সম্ভাবনা আছে খেজুরের। যদিও এ বিষয়ে মানবকেন্দ্রিক আরও গবেষণা দরকার।

আরও পড়ুন:
খেজুরের রস এলো বলে
খেজুরের আড়ালে সিগারেট আমদানি
এবার স্বস্তি নেই খেজুরেও
বাজার সয়লাব রেকর্ড পরিমাণ আমদানি করা খেজুরে
হাটটি কেবল খেজুরের গুড় কেনাবেচার

মন্তব্য

p
উপরে