× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Religious controversy over the transplantation of pigs into human bodies
google_news print-icon

মানবদেহে শূকরের অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে ধর্মীয় বিতর্ক

মানবদেহে-শূকরের-অঙ্গ-প্রতিস্থাপন-নিয়ে-ধর্মীয়-বিতর্ক
গবেষকদের কাছে শূকর প্রাধান্য পাচ্ছে বেশ কয়েকটি কারণে। এই প্রাণীটি তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে, ঘন ঘন শাবক জন্ম দেয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- আকার-আকৃতির দিক থেকে এদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতোই। তবে শূকরের অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপন নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই।

মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনে আধুনিক বিজ্ঞানে বড় অবদান রাখছে জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন। তবে এ চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে ধর্মবিশ্বাসীদের। বিশেষত অন্য প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিজ দেহে ধারণ নিয়ে মুসলিম বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চলছে বিতর্ক।

জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন হলো এমন এক ধরনের পদ্ধতি, যার মাধ্যমে অন্য প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কোষ, টিস্যু বা দেহজ তরল মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হয়।

সম্প্রতি প্রথমবারের মতো মানুষের দেহে শূকরের কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপনে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা। জিনগতভাবে পরিবর্তিত একটি শূকরের কিডনি ব্যবহার করা হয়েছে এ কাজে।

টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিকে বিষয়টি চিকিৎসাবিজ্ঞানে মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত হচ্ছে; অন্যদিকে শূকরের অঙ্গ ব্যবহারে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বর্ষপুরোনো বিতর্ক নতুন করে উসকে উঠেছে।

ইসলাম ও ইহুদি ধর্মে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শূকরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।

আবার, ইনসুলিন থেকে শুরু করে হামের টিকা পর্যন্ত বিভিন্ন ওষুধে শূকরের দেহ থেকে সংগৃহীত নানা উপাদানের ব্যবহার রয়েছে। এমনকি ষাটের দশকে প্রথম অঙ্গ প্রতিস্থাপন শুরুর পর থেকে অনেক মুসলিমের হৃৎপিণ্ডকেই সচল রেখেছে শূকরের ভাল্ভ।

কাতারের হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির ইসলাম ও জৈবচিকিৎসাবিষয়ক নীতিশাস্ত্রের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ঘালি বলেন, ‘মূলধারার ধর্মীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিতেও কোনো বিকল্প না থাকলে শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহারে মুসলিমদের বাধা নেই।

‘ইসলাম ধর্মে নির্দেশিত বিধানে বলা আছে, চিকিৎসার কারণে প্রয়োজন হলে নিষিদ্ধ বস্তুও অনুমোদনযোগ্য। কারণ ইসলামে মানুষের প্রাণ বাঁচানো ফরজ।’

মৃত্যুশয্যায় থাকা লাখো রোগীর প্রাণ বাঁচানোর সম্ভাব্য শেষ পথ অঙ্গ প্রতিস্থাপন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আছেন এক লাখের বেশি রোগী। কিডনি ও যকৃতের জোগান না থাকায় বেশির ভাগই মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছেন।

এমন পরিস্থিতিতে সফল জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন এখনও গবেষকদের কাছে অনেকটা এক মরীচিকার নাম। অন্য প্রাণীর আস্ত একটি অঙ্গ বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মানবদেহে প্রতিস্থাপনের প্রথম চেষ্টার ৪০ বছর পেরিয়েছে, কিন্তু এখনও শতভাগ ক্ষেত্রে সাফল্য আসেনি।

অন্য প্রাণীর অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপনে প্রথম বাধা হলো, গ্রহীতার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই অঙ্গকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি নতুন কোনো টিস্যু মানবদেহের সংস্পর্শে এলে নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথে ৫৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে একটি শূকরের কিডনি এক রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শূকরের কিডনিগ্রহীতা একজন ‘ব্রেন-ডেড’ রোগী, অর্থাৎ যার মস্তিষ্ক কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। লাইফ সাপোর্ট থাকা ওই নারীর কিডনিও সম্প্রতি বিকল হতে বসেছিল।

তার দেহে শূকরের কিডনিটি যুক্ত করার পর কমপক্ষে তিন দিন কোনো ধরনের নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, চিকিৎসাবিজ্ঞানে যা নজিরবিহীন।

প্রতিস্থাপিত কিডনিটি যাতে রোগীর দেহ প্রত্যাখ্যান না করে, সেটি নিশ্চিতে জিনগতভাবে পরিবর্তিত একটি শূকরের অঙ্গ নেয়া হয়েছিল। ফলে ওই কিডনির টিস্যুতে তাৎক্ষণিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্র জীবাণুর উপস্থিতি ছিল না।

কেন শূকর? ছাগল বা ভেড়া নয় কেন?

জেনোট্রান্সপ্ল্যান্ট গবেষণার প্রায় শুরু থেকেই বিজ্ঞানীদের প্রথম পছন্দ শূকর।

ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিনের কার্ডিয়াক জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন প্রোগ্রামের পরিচালক ড. মুহাম্মদ মনসুর মহিউদ্দিন বলেন, ‘মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য শূকর একটি সমস্যা, কিন্তু বিশ্বের বাকিদের জন্য তা নয়। তারা শূকরের মাংস তো খাচ্ছেই।’

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মহিউদ্দিন দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের অনুশাসন চর্চা করেন। জেনোট্রান্সপ্ল্যানটেশন খাতে পৃথিবীর খ্যাতিমান গবেষকদেরও তিনি একজন।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথে ড. মহিউদ্দিন ও তার সহকর্মীরা ২০১৪ সালে কয়েকটি বেবুনের দেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন। এর মধ্যে একটি হৃৎপিণ্ড কার্যকর ছিল প্রায় তিন বছর।

ড. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা শূকরের জিনোমের পরিপূর্ণ নকশা নির্ণয় করতে পেরেছি। একজন মানুষের সঙ্গে একটি শূকরের জৈবিক পার্থক্য আমরা জানি। শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের দেহের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কী কী পরিবর্তন আনা দরকার, তাও জানি। তবে গরু-ছাগলের দেহের জিনগত তথ্য আমাদের খুব একটা জানা নেই।’

মানুষ নয়, কিন্তু কাছাকাছি প্রজাতির- এমন প্রাণীর মধ্যে প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গ সংগ্রহের জন্য সবচেয়ে আদর্শ হলো গরিলা। জিনগত দিক থেকেও মানুষের সঙ্গে সবচেয়ে মিল এ প্রজাতির। বানরের ওপর সর্বাধুনিক জেনোট্রান্সপ্ল্যান্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার অন্যতম কারণ এটি।

তবে বেবুন, গরিলা আর শিম্পাঞ্জি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী বলে এদের নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব নয়। করোনাভাইরাসের মতো প্রাণীদেহ থেকে মানুষে সংক্রমণযোগ্য ভাইরাসের কারণেও বেবুন, গরিলা আর শিম্পাঞ্জি উদ্বেগের কারণ।

এমন পরিস্থিতিতে গবেষকদের কাছে শূকর প্রাধান্য পায় বেশ কয়েকটি কারণে। এই প্রাণীটি তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে, ঘন ঘন শাবক জন্ম দেয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- আকার-আকৃতির দিক থেকে এদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতোই।

ইসলামে শূকর নিকৃষ্ট প্রাণী

শূকরের হৃৎপিণ্ডের ভাল্ভ প্রতিস্থাপন বা অগ্ন্যাশয় থেকে সংগৃহীত উপাদান থেকে ওষুধ তৈরি একটি বিষয়, আর শূকরের আস্ত একটি প্রত্যঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপন ভিন্ন বিষয়। দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই।

জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে মানবদেহের কিছু জেনেটিক উপাদান শূকরের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে বাস্তবতা হলো, এতে শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রূপ নেয় না, শূকরেরই থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে মুসলিম বিশ্বের বড় অংশই স্বাভাবিক কারণেই স্বেচ্ছায় শূকরের অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপনে আপত্তি জানাচ্ছে। তবে কারো জীবন ঝুঁকিতে থাকলে বাধ্য হয়ে স্বজনদের মত দেয়ার বিষয়টি একেবারেই আলাদা।

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা গত মাসে সফল কিডনি প্রতিস্থাপনের ঘোষণা দেয়ার পরই মিসরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদরা বিষয়টির নিন্দা জানান। তাদের যুক্তি, শূকর ইসলামে নিষিদ্ধ।

১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে তখনকার ভারতীয় সৈনিকদের একাংশ বিদ্রোহ করেছিল। এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন মূলত মুসলিম পদাতিক সেনারা। লি-এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজ দাঁত দিয়ে কাটতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তারা, কারণ কার্তুজগুলো সিল করা থাকত শূকরের চর্বি দিয়ে।

এমনকি মুসলিম মা-বাবাদের আপত্তির কারণে শিশুদের জন্য নির্মিত পেপ্পা পিগ কার্টুনকে ঘিরেও তৈরি হয়েছিল তুমুল বিতর্ক।

মুসলিমদের স্বাস্থ্য বৈষম্য ও ইসলামিক জৈবনীতিশাস্ত্র বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ ড. আসিম পাদেলা বলেন, ‘পবিত্র কোরআনে যে শূকরকে অপবিত্র বলা হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। বিতর্কের বিষয় হচ্ছে, কখন এটি নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু ইসলামে সবচেয়ে আগে এটি নিষিদ্ধ।

‘এটা অনেকটা ওয়াইনের মতো। অনাহারে মরতে বসার অবস্থা থাকলে তখন সামনে মদ থাকলে তা পান করে প্রাণ বাঁচানোর অনুমতি আছে, কিন্তু এটা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি।’

ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি কোনগুলো, তা নিয়েও ইসলামিক বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। কারণ, শূকরের দেহ থেকে সংগৃহীত উপাদানে তৈরি পণ্য ব্যবহার কিছু ক্ষেত্রে অনুমোদিত বলে অনেকে মনে করেন।

মিসরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা দার আল-ইফতা আল-মিসিরিয়াহ একটি ডিক্রি জারি করে বলেছে, শূকরের হৃৎপিণ্ডের ভাল্ভ রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হলে মানবদেহে প্রতিস্থাপন ইসলামের বিধিবহির্ভূত নয়। শূকরের মৌলিক উপাদানগুলো বদলে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত রূপান্তরের পর এর ভাল্ভ মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।

ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইসলামে নিষিদ্ধ ওয়াইনকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে শরিয়তসম্মত ভিনেগার তৈরির উদাহরণ দেয়া হয়েছে ডিক্রিতে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের দায় কতটা?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেনোট্রান্সপ্ল্যানটেশন গবেষণায় অঙ্গদাতা প্রাণী হিসেবে শূকর প্রাধান্য পাওয়ার কারণ পশ্চিমা বিশ্বে শূকরের মাংস খাওয়ায় কোনো বিধিনিষেধ নেই।

হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির ঘালি বলেন, ‘যদি আমি ইহুদি বা মুসলিম না হই, সে ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় শূকর ব্যবহার না করার কি কোনো কারণ আছে?

‘যদি এই বিজ্ঞানের জন্ম ইসলামি সভ্যতার স্বর্ণযুগে হতো এবং বিকাশ ঘটত, তাহলে শূকর নয়, অন্য কোনো প্রাণীই অগ্রাধিকার পেত।’

মুসলিম দেশগুলো নিজেদের জাতীয় বাজেটের খুব ক্ষুদ্র অংশ গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যবহার করে। এমনকি ধনী পশ্চিমা দেশগুলোর সমান মাথাপিছু আয় যেসব মুসলিম দেশের, তাদের ক্ষেত্রেও বাস্তবতা একই।

পাদেলার মতে, খুব প্রয়োজন হলেও শূকরের মাধ্যমে সংগৃহীত কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাত করা ছাড়া ব্যবহার একজন আদর্শ মুসলিমের কাজ নয়।

তিনি বলেন, ‘পশ্চিমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে মুসলিম বিশ্ব ও মুসলিম শিক্ষাবিদরা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। অথচ বাস্তবতা হলো, আমরা বিনিয়োগ করছি না বলেই আমাদের হালাল গবেষণা বা শরিয়তসম্মত উন্নয়নকাঠামো নেই।’

আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতির উদ্ভাবকরাও অনেক সময় বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশ্বাস বিবেচনায় নেন এবং নিজেদের উদ্ভাবনে তার ছাপও রাখেন।

উদাহরণ হিসেবে পাদেলা ‘জিহোভাহ’র উইটনেসেস’ নামের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের একটি গোত্রের কথা তুলে ধরেন। কয়েক লাখ অনুসারীর এই গোত্রটিতে ধর্মীয় কারণে রক্তদান নিষিদ্ধ। এ কারণে তাদের জন্য পুরোপুরি রক্তবিহীন পূর্ণাঙ্গ অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা হয়েছে।

মুসলিম বিশ্বের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে পাদেলা বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ আমরা খরচ করি নতুন ভবন তৈরির পেছনে। অথচ আমাদের দরকার বিশাল এক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। নিজেদের মূল্যবোধের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেন এই কাজটি আমরা করি না?’

আরও পড়ুন:
মানুষের দেহে শূকরের কিডনির সফল প্রতিস্থাপন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
OnePlus brings new Nord 7 Series smartphone and IoT device

ওয়ানপ্লাস আনল নতুন নর্ড ৫ সিরিজের স্মার্টফোন ও আইওটি ডিভাইস

ওয়ানপ্লাস আনল নতুন নর্ড ৫ সিরিজের স্মার্টফোন ও আইওটি ডিভাইস

বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের নর্ড সিরিজের দুটি নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। সম্প্রতি এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫ এবং ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই ৫ স্মার্টফোন দুটি উন্মোচন করে।

নতুন নর্ড ৫ মডেলে রয়েছে কোয়ালকমের সর্বাধুনিক স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন থ্রি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম, যা নর্ড সিরিজে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসর হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে নর্ড সিই ৫ মডেলে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮৩৫০-অ্যাপেক্স চিপসেট, যা দ্রুতগতির পারফরম্যান্স ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি সুবিধা দেবে।

ওয়ানপ্লাসের প্রতিষ্ঠাতা পিট লাউ বলেন, “ওয়ানপ্লাস নর্ড সিরিজে আমরা সাধারণ কিন্তু আকর্ষণীয় ডিজাইনের সঙ্গে উচ্চমানের প্রযুক্তির সমন্বয় করেছি। এ কারণে আমরা বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের ভালোবাসা পেয়েছি। আমরা সব সময়ই উন্নতির পথে—এই নীতিতে বিশ্বাসী। বিভিন্ন দামের ফোনে উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করে আমরা প্রযুক্তিকে আরও সহজলভ্য করে তুলছি। আমাদের বিশ্বাস, নতুন নর্ড ৫ সিরিজ ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে।”

গেইমচেঞ্জিং পারফরম্যান্স নিয়ে হাজির নর্ড ৫

ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫—নর্ড সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন, যাতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন®️ ৮ সিরিজের চিপ, স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন ৩, যা শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও গতিশীল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। ৪ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির চিপসেটটির সঙ্গে রয়েছে দ্রুতগতির এলপিডিডিআর৫এক্স র‍্যাম। যার আনটুটু স্কোর ১৫ লাখ ৯০ হাজারের বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। এসব কারণে গেম খেলা, ভিডিও দেখা কিংবা মাল্টিটাস্কিংয়ে মিলবে স্মুথ অভিজ্ঞতা।

ডিভাইসটিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন এলিট গেমিং™️ সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে উন্নত গ্রাফিক্স প্রযুক্তি ও তাৎক্ষণিক আলো-ছায়া বিশ্লেষণের সক্ষমতা। পাবজি মোবাইল খেলা যাবে ৯০ এফপিএস গতিতে, (যা বাড়িয়ে নেওয়া যাবে ১৪৪ পর্যন্ত)। একইভাবে কল অব ডিউটি মোবাইলেও মিলবে সর্বোচ্চ ১৪৪ এফপিএস গতি। সর্বাধুনিক কাইরো-ভেলোসিটি ভিসি কুলিং প্রযুক্তির সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে ফ্ল্যাগশিপ মানের গ্রাফিন স্তর। ফলে দীর্ঘ সময় উচ্চ গতির ব্যবহারেও ডিভাইসটি থাকে ঠান্ডা, পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটে না।

নর্ড ৫-এর এআই নাইট পোটের্ট প্রযুক্তি সোলো সেলফি ও প্রাণবন্ত রাতের গ্রুপ ফটোতে এনে দেবে ফ্ল্যাগশিপমানের উজ্জ্বল ছবি। ফোনটির ক্যামেরাতে আরও থাকছে রিচ এইচডিআর, বাস্তবসম্মত আলো ও স্বাভাবিক স্কিন টোন। নাইটলাইফের আলোর ঝলকানিতেও ছবি থাকবে ঝকঝকে কারণ এতে রয়েছে ওয়ানপ্লাস-এর এইচডিআর ও ন্যাচারাল কালার অ্যালগরিদমের ৫০ মেগাপিক্সেল সনি এলওয়াইটি-৭০০ মেইন সেন্সর।

ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৫-এ রয়েছে মিডিয়াটেকের ডাইমেনসিটি ৮৩৫০-অ্যাপেক্স চিপসেট, যা ৪ ন্যানোমিটার টিএসএমসি প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে রয়েছে শক্তিশালী আর্মভি৯ অক্টা-কোর প্রসেসর যার গতি সর্বোচ্চ ৩.৩৫ গিগাহার্জ এবং মালি-জি৬১৫ গ্রাফিক্স প্রসেসর। দ্রুতগতির এলপিডিডিআর৫এক্স র‍্যামের সমন্বয়ে নর্ড সিই৫ আন্টুটু বেঞ্চমার্কে ১৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। ফলে গ্রাফিক্স প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতায় ৬০ শতাংশ উন্নতি এবং ৫৫ শতাংশ পাওয়ার সাশ্রয় করে।

বিশাল ব্যাটারি, দীর্ঘস্থায়ী শক্তি

নর্ড ৫-এ থাকছে ৬৮০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি, যা একবার চার্জে দুই দিন পর্যন্ত চলতে পারে। আর নর্ড সিই৫ মডেলে রয়েছে আরও বড় ৭১০০ এমএএইচের ব্যাটারি এবং ৮০ ওয়াটের সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং। ফোনটি মাত্র ৫৬ মিনিটেই সম্পূর্ণ চার্জ করা যায়। ব্যাটারি হেলথ ম্যাজিক ও বাইপাস চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে ফোনগুলো স্মার্টভাবে শক্তি ব্যয় করে, তাপ কমায় এবং দীর্ঘ সময় গেমিং ও কাজের ব্যাকআপ দেয়। এতে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিন্তে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমে নতুন সংযোজন

নর্ড ৫ সিরিজের পাশাপাশি ওয়ানপ্লাস তাদের ইকোসিস্টেমকে আরও কানেক্টেড করেছে তাদের নতুন ডিভাইস—ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩, ওয়ানপ্লাস বাডস ৪ এবং শক্তিশালী ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩ দিয়ে।

ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩-এ ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক ওয়্যার ওএস ৫ অপারেটিং সিস্টেম, পাওয়ার সেভার মোডে ১৬ দিন পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ৬০ সেকেন্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সুবিধায় ৬টি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সূচক পরিমাপ করা যায়। টাইটানিয়াম ডিজাইন ও দুটি শক্তিশালী চিপসেটের সমন্বয়ে এতে রয়েছে শতাধিক স্পোর্টস মোড, যা ব্যবহারকারীর ফিটনেস ট্র্যাকিংকে করে আরও উন্নত ও নির্ভরযোগ্য।

ওয়ানপ্লাস বাডস ৪ দেয় সর্বোচ্চ ৪৫ ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর বাস্তব সময় ভাষান্তর সুবিধা এবং সহজ স্লাইড ইশারা নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এছাড়া, ব্লুটুথ সংযোগে স্থিতিশীলতার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্টেডি কানেক্ট প্রযুক্তি এবং একই সঙ্গে দুইটি ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা স্মুথ ও স্মার্ট অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩-তে দেওয়া হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেট, ১৩.২ ইঞ্চির স্টানিং ১৫৫ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৩.৪কে ডিসপ্লে। সঙ্গে রয়েছে স্টাইলো পেন ও তিনভাঁজ ফোলিও কভার, যা ব্যবহারকে আরও আরামদায়ক করে তুলে ও ডিভাইসকে সুরক্ষিত করে তোলে।

পাশাপাশি বাজারে এসেছে প্যাড লাইট এবং ওয়্যারলেস হেডফোন, যা মিলিয়ে ওয়ানপ্লাসের প্রযুক্তি জগৎকে করেছে আরও শক্তিশালী ও সমন্বিত।

দাম ও কবে পাওয়া যাবে

বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫ ফাইভজি এবং নর্ড সিই৫ ফাইভজি আগামী ১৬ জুলাই থেকে অনলাইনে দারাজ, পিকাবু, ডলবেয়ার, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারে এবং একইসঙ্গে অফলাইনে পাওয়া যাবে। মার্বেল স্যান্ড ও প্যান্টম গ্রে রঙে নর্ড ৫ (১২+৫১২জিবি) পাওয়া যাবে ৫৩,৯৯৯ টাকায় এবং মার্বেল মিস্ট ও ব্ল্যাক ইনফিনিটি রঙে নর্ড সিই৫ (৮+২৫৬জিবি) পাওয়া যাবে ৩৫,৯৯৯ টাকায়।

ডিভাইসগুলো ৯ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রি-অর্ডার করা যাবে। প্রি-অর্ডারের থাকছে এক বছরের ডিসপ্লে রিপ্লেসমেন্ট সুযোগ এবং র‍্যাফেল ড্রতে পুরস্কার হিসেবে থাকছে একটি কিনলে আরেকটি জেতার সুযোগ অথবা প্রিমিয়াম ব্যাক কাভার।

ওয়ানপ্লাস প্যাড ৩ পাওয়া যাচ্ছে (১২+২৫৬জিবি) ৭৩,৪৯৯ টাকায় ফ্রস্টেড সিলভার ও নিম্বাস গ্রে রঙে, আর স্ট্রম ব্লু (১৬+৫১২জিবি) ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে ৭৮,৯৯৯ টাকায়। প্যাড লাইট পাওয়া যাচ্ছে ২৯,৪৯৯ টাকায়। এছাড়াও ওয়ানপ্লাস স্মার্ট কিবোর্ড এবং স্টাইলো ২ শিগ্রই উন্মোচন করা হবে। পাশাপাশি ওয়ানপ্লাস ওয়ান ৩ এমারেল্ড টাইটান রঙে পাওয়া যাচ্ছে ৩৩,৯৯৯ টাকায় এবং ওয়ান ৪৩এমএম ব্ল্যাক ও সিলভার স্টিল রঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে ৩০,৪৯৯ টাকায়। ওয়ানপ্লাস বার্ডস ৪ দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে ৯,৯৯৯ টাকায়।

সবগুলো ডিভাইস ওয়ানপ্লাসের অফিসিয়াল ফ্ল্যাগশিপ স্টোর, এক্সক্লুসিভ ব্র্যান্ড স্টোর এবং অনলাইনে দারাজ, পিকাবু এবং গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারে পাওয়া যাবে। ওয়ানপ্লাসের সব আইওটি ডিভাইসগুলোতে পাওয়া যাবে এক বছরের ওয়ারেন্টি।

আন্তর্জাতিক
New IT Consultancy Service in line with demand

চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে নতুন আইটি কনসালটেন্সি সার্ভিস

চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে নতুন আইটি কনসালটেন্সি সার্ভিস

দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত আইটি সাপোর্ট ও মেইনটেন্যান্স প্রদানকারী কোম্পানি ‘সার্ভিসিং২৪’ প্রতিষ্ঠানটির নতুন উদ্যোগ ‘আইটি কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ চালু করেছে। এটির লক্ষ্য ব্র্যান্ড বা ব্যবসাগুলোর আইটি অবকাঠামো বিশ্লেষণ করে উপযুক্ত সমাধান পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি সাপোর্ট প্রদান করা।

আইটি কনসালটেন্সি সার্ভিসের আওতায় রয়েছে- সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং, অ্যাপ্লিকেশন, ক্লাউড মাইগ্রেশন, অ্যাপ্লিকেশন মডার্নাইজেশন এবং মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কার্যকর পরামর্শ ও প্রয়োগযোগ্য সমাধান দেওয়া।

এই সেবাটি প্রদান করা হবে ৫টি ধাপে। সেগুলো হচ্ছে- আইটি অ্যাসেসমেন্ট, রিকয়ারমেন্ট অ্যানালাইসিস, সল্যুশন ডিজাইন, ওইএম ও ভেন্ডর অ্যাসেসমেন্ট ধাপ এবং সবশেষে ডিপ্লয়মেন্ট, ইমপ্লিমেন্টেশন ও সাপোর্ট প্রদান।

আইটি অ্যাসেসমেন্ট ধাপে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইটি অবকাঠামো বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোথায় সমস্যা, সীমাবদ্ধতা বা ঝুঁকি রয়েছে তা শনাক্ত করা হবে। এতে প্রযুক্তিগত ও বিজনেস ইমপ্যাক্ট দুটোই বিবেচনায় নেওয়া হবে।

এরপর রিকয়ারমেন্ট অ্যানালাইসিস ধাপে চিহ্নিত সমস্যাগুলোর ভিত্তিতে কী ধরনের হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা হবে, যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে টিসিও (টোটাল কস্ট ওনারশিপ) ও আরওআই (রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট) এর উপর।

পরবর্তীতে সল্যুশন ডিজাইন ধাপে কাস্টমাইজড, ব্যয়সাশ্রয়ী পরিবেশ-বান্ধব এবং স্কেলেবল সল্যুশন ডিজাইন করে দেওয়া হবে, যা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান চাহিদা ও ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিকে মাথায় রেখে প্রস্তুত করা হবে।

আর ওইএম ও ভেন্ডর অ্যাসেসমেন্ট ধাপে প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য কোন ওইএম বা ভেন্ডর সবচেয়ে উপযুক্ত হবে তা মূল্যায়ন করে ক্লায়েন্টদের উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করা হবে, যাতে তারা সঠিক প্রযুক্তি থেকে সর্বোচ্চ উপকার পেতে পারেন।

সবশেষে ডিপ্লয়মেন্ট, ইমপ্লিমেন্টেশন ও সাপোর্ট ধাপে- চাহিদা অনুযায়ী ক্লায়েন্টরা চাইলে সার্ভিসিং২৪ থেকে ডিপ্লয়মেন্ট সার্ভিস গ্রহণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানটির অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার টিম প্রয়োজনীয় সল্যুশনটি দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করবে।

ডিপ্লয়মেন্ট শেষে, ক্লায়েন্টদের জন্য চালু থাকবে নিয়মিত মনিটরিং, প্রিভেন্টিভ মেইনটেন্যান্স এবং সমস্যাভিত্তিক সাপোর্ট পরিষেবা, যা ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস নামে পরিচিত। এর ফলে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পাবে নিরবচ্ছিন্ন, নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই আইটি অপারেশন নিশ্চিত করার সুবিধা।

এ প্রসঙ্গে সার্ভিসিং২৪ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসির ফিরোজ বলেন, “সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ধরন উভয়েরই পরিবর্তন আসে। গ্রাহকদের নতুন চাহিদার কথা ভেবেই আমরা এবার সমন্বিতভাবে বড় পরিসরে আইটি কনসালটেন্সি সার্ভিসেস চালু করেছি। এতে তারা নিঃসন্দেহে উপকৃত হবেন। নতুন এই উদ্যোগ সার্ভিসিং২৪ এর ভবিষ্যৎ ভিশনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত।”

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
APO reduced the price of three phones

তিন ফোনের দাম কমালো অপো

তিন ফোনের দাম কমালো অপো

উদ্ভাবনী স্মার্টফোনের জন্য সুপরিচিত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো বছরের মাঝামাঝি বাংলাদেশে তাদের জনপ্রিয় এ সিরিজের স্মার্টফোনে ছাড় ঘোষণা করেছে। অপো এ৫ প্রো (৮ জিবি + ২৫৬ জিবি) এখন পাওয়া যাচ্ছে ২৪,৯৯০ টাকায়, এর আগের দাম ছিল ২৬,৯৯০ টাকা; অপো এ৩ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) এখন মাত্র ১৮,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, এর আগের দাম ছিল ১৯,৯৯০ টাকা; আর অপো এ৩এক্স (৪ জিবি + ৬৪ জিবি) এখন ১২,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, আগে এর দাম ছিল ১৩,৯৯০ টাকা। এই অফারগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য অপো’র পারফরম্যান্স, ডিউরেবিলিটি ও ডিজাইন আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।

যারা শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও টেকসই ডিজাইন চান, তাদের জন্য অপো এ৫ প্রো এক দারুণ বিকল্প। কঠিন পরিবেশে টিকে থাকার সক্ষমতা রয়েছে এই ফোনের। এতে ব্যবহার করা হয়েছে আইপি৬৯ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজট্যান্স, মিলিটারি গ্রেড শক রেজিজট্যান্স এবং সর্বাধুনিক এআই ক্যামেরা সিস্টেম। এর ইন্টেলিজেন্ট ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপে রয়েছে এআই সিন রিকগনিশন, এআই পোর্ট্রেট রিটাচিং ও এইচডিআর ইমেজিং; যা আলো কম বা বেশি যাই থাক না কেন, নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তোলা নিশ্চিত করে।

যারা প্রতিদিনের ব্যবহারে নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর স্মার্টফোন চান, তাদের জন্যই এই অপো এ৩ নিয়ে আসা হয়েছে। মিলিটারি গ্রেড শক রেজিজট্যান্স, মাল্টিপল লিকুইড রেজিজট্যান্স এবং ১,০০০ নিটস আল্ট্রা ব্রাইট ডিসপ্লের কারণে এটি টাফনেস ও ক্ল্যারিটি নিশ্চিত করতে পারে। এর শক্তিশালী ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ ও ৫১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ও নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। এর ৬.৬৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে ও অপ্টিমাজড প্রসেসিং পাওয়ার কাজ ও বিনোদন উভয়ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

এদিকে, অপো এ৩এক্স সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও ডিউরেবিলিটি নিশ্চিত করে। এর নির্ভরযোগ্য ফিচার ও কমপ্যাক্ট ডিজাইন কাজ ও খেলার মধ্যে নিখুঁত ভারসাম্য নিশ্চিত করে; যার প্রতিদিনের ব্যবহারে স্মার্টফোনের ওপর নির্ভর করতে চান, তাদের জন্য এটি একদম যথার্থ হবে।

এ সম্পর্কে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়ং বলেন, “অপোতে আমরা সর্বাধুনিক স্মার্টফোন প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপো এ৩, এ৫ প্রো ও এ৩এক্স-এর ওপর এই ছাড়গুলো আমাদের এই প্রতিশ্রুতি পূরণেরই প্রতিফলন; যেখানে আমরা বাংলাদেশের ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে মানসম্মত ও ডিউরেবল স্মার্টফোন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

দেশজুড়ে সকল অনুমোদিত অপো স্টোরে এখন নতুন দামে এই ডিভাইসগুলো পাওয়া যাবে। আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh অথবা ওয়েবসাইট www.oppo.com/bd ভিজিট করুন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trump is going to sit in the discussion to buy tickets

টিকটক কিনতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

টিকটক কিনতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

সামাজিকমাধ্যম টিকটকের মালিকানা পেতে চলতি সপ্তাহেই চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি চুক্তি অনেকটাই এগিয়েছে বলে দাবি তার।

শুক্রবার (৪ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘সোমবার বা মঙ্গলবার সম্ভবত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বা তার কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো। তবে, আমাদের চুক্তি অনেকটাই চূড়ান্ত।-খবর দ্য গার্ডিয়ানের

তিনি জানান, এ বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি নিজে চীন সফর করতে পারেন কিংবা শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারেন। গত মাসে দুই নেতা পরস্পরকে নিজ নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

গত মাসে, ট্রাম্প টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান চীনভিত্তিক বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদগুলো বিক্রির জন্য তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে এ চুক্তির জন্য চীনের সম্মতি নিতে হবে।

চুক্তি নিয়ে বেইজিংয়ের ওপর কতটা আস্থা রয়েছে—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নই, তবে মনে করি হবে। প্রেসিডেন্ট শি এবং আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। এ চুক্তি চীনের জন্যও ভালো, আমাদের জন্যও ভালো।’

গত জুনে ট্রাম্প তৃতীয় দফায় নির্বাহী আদেশ দিয়ে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময় বাড়ান। এর ফলে বাইটড্যান্সের হাতে আরও ৯০ দিন সময় আছে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ বিক্রি করার জন্য, অন্যথায় টিকটক মার্কিন বাজারে নিষিদ্ধ হবে।

চলতি বসন্তে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখাকে একটি নতুন মার্কিন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার আলোচনা চলছিল। সেখানে নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে, ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে বেইজিং এ পরিকল্পনায় আপত্তি জানায় এবং আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিন পর সুপ্রিম কোর্ট টিকটক নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার রায় দিলে তিনি প্রথম নির্বাহী আদেশে সময়সীমা বাড়ান। দ্বিতীয় নির্বাহী আদেশ আসে এপ্রিল মাসে। তখন বিক্রি বা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ছিল ১৯ জুন। এখন তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Satellite methansat lost in space

মহাকাশে হারিয়ে গেল উপগ্রহ ‘মিথেনস্যাট’

মহাকাশে হারিয়ে গেল উপগ্রহ ‘মিথেনস্যাট’ কৃত্রিম উপগ্রহ। ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার চেষ্টায় বড় ধাক্কা খেয়েছে বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও গবেষণা মহল। তেল ও গ্যাস খাতসহ বিভিন্ন উৎস থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস শনাক্ত করতে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা প্রায় ১০৩৬ কোটি টাকা মূল্যের (৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার) উপগ্রহ মিথেনস্যাট এখন আর কক্ষপথে সাড়া দিচ্ছে না। এই ঘটনায় পরিবেশবিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

গত বছর ইলন মাস্কের স্পেসএক্স রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল উপগ্রহটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করে গুগল, জেফ বেজোস এবং আরও কয়েকটি প্রভাবশালী সংস্থা ও ব্যক্তি। পাঁচ বছরব্যাপী এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের নির্গমন উৎস শনাক্ত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া।

উপগ্রহটির তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স ফান্ড (ইডিএফ) জানিয়েছে, দশ দিন আগে মিথেনস্যাটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, উপগ্রহটি শক্তি হারিয়েছে এবং পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নেই। তবে এখনো বিষয়টি তদন্তাধীন।

ইডিএফ জানিয়েছে, কিছু সফটওয়্যার ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে নতুন করে আরেকটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি।

মিথেন একটি অতি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস, যা ১০০ বছরের ব্যবধানে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের চেয়ে প্রায় ২৮ গুণ বেশি প্রভাব ফেলে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মতে, যদিও ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নির্গমন ৩০ শতাংশ কমানোর আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তারপরও প্রতি বছর এর মাত্রা বাড়ছেই।

মিথেন নির্গমনের প্রধান উৎসগুলো হলো তেল ও গ্যাস উৎপাদন, কৃষি এবং ল্যান্ডফিলে (ভাগাড়) উচ্ছিষ্ট খাবারের পচন। বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণকারী অনেক উপগ্রহ বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়, যার ফলে মিথেন নির্গমনের জন্য দায়ী প্রধান উৎসগুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়।

মিথেনস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা ছিল। যাতে সরকার ও গবেষকরা দূষণকারীদের শনাক্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। গুগল তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি দিয়ে এ তথ্য ব্যবহার করে বৈশ্বিক মিথেন মানচিত্র তৈরিরও পরিকল্পনা করেছিল।

উপগ্রহটিতে যুক্ত ছিল বিশ্বের অন্যতম সংবেদনশীল যন্ত্র, যা ছোট থেকে বড় সব ধরনের মিথেন নির্গমন শনাক্ত করতে সক্ষম। বিশেষভাবে কৃষিভিত্তিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নির্গমন উৎস শনাক্তে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত।

বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণে অন্যতম উৎস হলো কার্বনম্যাপার (CarbonMapper) এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির সেন্টিনেল-৫পি উপগ্রহের TROPOMI যন্ত্র। তবে সেন্টিনেল-৫পি-এর সাত বছর মেয়াদি মিশন চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা। এরপর গ্রিনহাউস গ্যাস নিরীক্ষণের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

ইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সাহসী পদক্ষেপ ও ঝুঁকি নেওয়া জরুরি। মিথেনস্যাট ছিল সেই সাহসী উদ্যোগের একটি প্রতীক।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Why is there no life on Mars? NASA Rover indicates the mystery Veda

মঙ্গলে কেন প্রাণ নেই? রহস্য ভেদের ইঙ্গিত দিল নাসার রোভার

মঙ্গলে কেন প্রাণ নেই? রহস্য ভেদের ইঙ্গিত দিল নাসার রোভার

পৃথিবীর মতোই অনুরূপ বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও মঙ্গল গ্রহে কেন প্রাণের অস্তিত্ব নেই, যেখানে পৃথিবীতে প্রাণ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে? নাসার এক রোভার সম্প্রতি এমন একটি সূত্র খুঁজে পেয়েছে, যা এই প্রশ্নের জবাবের একটি সম্ভাব্য দিক উন্মোচন করেছে।

প্যারিস থেকে এএফপি জানায়, নতুন গবেষণা বলছে, মঙ্গলে এক সময় অল্প সময়ের জন্য নদী ও হ্রদ প্রবাহিত হলেও পুরো গ্রহটি মূলত মরুভূমিতেই পরিণত হয়েছিল। ফলে প্রাণ বিকাশের সম্ভাবনা স্থায়ী হয়নি।

মঙ্গল গ্রহে প্রাণ সৃষ্টির উপাদানগুলোর অনেকটাই থাকলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তরল পানি সম্ভবত দীর্ঘসময় ছিল না। অথচ প্রাচীন নদী ও হ্রদের নিদর্শনে বোঝা যায়, এক সময় এখানে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।

চলতি বছরের শুরুতে, নাসার কিউরিওসিটি রোভার এমন কিছু শিলা আবিষ্কার করে, যেগুলোতে কার্বনেট খনিজের উপস্থিতি রয়েছে। পৃথিবীতে এরকম খনিজ, যেমন লাইমস্টোন, বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে শিলায় আটকে রাখে।

বুধবার ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এই কার্বনেট শিলার প্রভাব মডেল করে দেখিয়েছেন যে, কীভাবে এটি মঙ্গলের আবহাওয়া ও জলবায়ুর গতিপথকে বদলে দিতে পারে।

গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহবিজ্ঞানী এডউইন কাইট বলেন, ‘মঙ্গল গ্রহে কিছু নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বসবাসযোগ্য পরিবেশ ছিল।’ তবে এই ‘ওএসিস’গুলো ছিল ব্যতিক্রম, নিয়ম নয়।

পৃথিবীতে কার্বন ডাইঅক্সাইড আবহাওয়া উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে, যা পরে শিলায় জমা হয় এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু মঙ্গলে আগ্নেয়গিরির গ্যাস নিঃসরণের হার তুলনামূলকভাবে খুবই কম, ফলে এই প্রাকৃতিক চক্রটি ব্যাহত হয়েছে।

মডেল অনুযায়ী, মঙ্গলে তরল পানির সংক্ষিপ্ত উপস্থিতির পর প্রায় ১০ কোটি বছরব্যাপী তা মরুভূমিতে রূপ নেয়, যা প্রাণ টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত দীর্ঘ ও কঠিন সময়।

কাইট বলেন, এখনও মঙ্গলের গভীরে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে, যা আমরা আবিষ্কার করতে পারিনি। নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার ২০২১ সালে মঙ্গলের একটি প্রাচীন ডেল্টায় অবতরণ করে এবং সেখানে কার্বনেটের চিহ্ন খুঁজে পায়।

বিজ্ঞানীরা এখন আরো বেশি কার্বনেট খুঁজে পেতে চান, যার সেরা উপায় হলো মঙ্গলের শিলা পৃথিবীতে এনে পরীক্ষা করা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আগামী এক দশকের মধ্যেই এ লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় রয়েছে।

এই অনুসন্ধানের মূল প্রশ্ন- পৃথিবীর মতো প্রাণ বহনকারী গ্রহ কি বিরল? ১৯৯০ এর দশকের পর থেকে বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরের প্রায় ৬ হাজার গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। তবে কেবল পৃথিবী ও মঙ্গলেই এমন শিলা পাওয়া যায়, যা দিয়ে তাদের অতীত বোঝা সম্ভব।

কাইট বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে মঙ্গলের পানিপূর্ণ যুগেও কোনো প্রাণ জন্ম নেয়নি, তাহলে বোঝা যাবে, মহাবিশ্বে প্রাণ সৃষ্টির প্রক্রিয়া বেশ কঠিন। আর যদি প্রাচীন প্রাণের কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়, তাহলে তা হবে সুস্পষ্ট বার্তা: ‘গ্রহ পর্যায়ে প্রাণ সৃষ্টি অনেক সহজ’।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Old video is a recent propaganda identified Banglafact

পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে অপপ্রচার: শনাক্ত বাংলাফ্যাক্টের

পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে অপপ্রচার: শনাক্ত বাংলাফ্যাক্টের

রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের একটি পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচারের গুজব শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম ‘বাংলাফ্যাক্ট’।

বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধান টিম জানায়, রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের পুরোনো ভিডিওটি সাম্প্রতিক বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এর সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছি এটি পুরোনো ঘটনা।

প্রতিষ্ঠানটির অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তরা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। সে সময় এসব ঘটনার প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। অথচ সম্প্রতি ওই ঘটনার ভিডিও বর্তমান সময়ের হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।

বাংলাফ্যাক্ট বলছে, বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনসাধারণকে যাচাইকৃত সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য

p
উপরে