ভারতের কোভিড-১৯ টিকা সনদকে স্বীকৃতি দিয়েছে কিরগিজস্তান, মরিশাস, মঙ্গোলিয়া, ফিলিস্তিন ও এস্তোনিয়া। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে পূর্ব ইউরোপের কয়েকটিসহ ত্রিশটি দেশ ভারতের করোনা টিকার সনদকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
টুইটে অরিন্দম দাস বলেন, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এই দেশগুলো ভারতের টিকাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
যে দেশগুলো এর আগে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক স্বীকৃতির বিষয়ে একমত হয়েছে তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, নেপাল, বেলারুশ, লেবানন, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া অন্যতম।
এর আগে, অস্ট্রেলিয়া সরকারও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করা ভ্রমণকারীদের স্বীকৃতি দিয়েছিল।
অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া হল তালিকায় যোগদানের সর্বশেষ দেশ যারা ভারতের কোভিড-১৯ টিকার সনদকে পারস্পরিকভাবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে।
বাগচি জানান, টিকা সনদের স্বীকৃতি জনগণকে মহামারী পরবর্তী বিশ্বে শিক্ষা, ব্যবসা, পর্যটন এবং অন্যান্য জিনিসের জন্য বিভিন্ন দেশে যেতে সহায়তা করবে। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে কথাবার্তা চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার একটি বিশেষ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছিলেন, ভারত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে কোভিড-১৯ টিকা সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতির প্রস্তাব করেছে।
অক্টোবরের শুরুতে যুক্তরাজ্য ভারত থেকে টিকা নিয়ে যাওয়া যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত নিলে ভারত তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। পাল্টা হিসেবে ব্রিটেন থেকে যাওয়া যাত্রীদের উপরও কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত আরোপ করে দেশটি। এর পরে দুই দেশের কুটনৈতিক সমাঝোতায় ইতিবাচক সিদ্ধান্ত মেলে।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৮২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৭ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৪৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ ডিসেম্বর রোববার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯২ হাজার ৩৫১ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৩৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৫৪৭ জন রোগী।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯০ হাজার ৪৪০ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৮৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দেশে এসব মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩২ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর বুধবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮৯ হাজার ৬০৩ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৯০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬০ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৩০ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮৮ হাজার ৭১৫ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগে অভিযান চালিয়ে নারী-পুরুষ মিলে ২১ দালালকে আটক করে যৌথ বাহিনী। পরে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়।
ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহানের নেতৃত্বে সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, নতুন ভবন প্যাথলজি বিভাগসহ হাসপাতালের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব দালালকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- সুমন (সাজা তিন মাস), সাইদুর রহমান (সাজা এক মাস), শিশির আহমেদ (জরিমানা এক হাজার টাকা), কাউসার (সাজা এক মাস), আরিফ (রাজা তিন মাস), নজরুল ইসলাম (সাজা এক মাস), সাগর (সাজা ১৬ দিন), রিমন (সাজা তিন মাস), জয়দেব বর্মণ (জরিমানা এক হাজার টাকা), মাহমুদা বেগম (সাজা তিনদিন), মুনতাহার বেগম (জরিমানা এক হাজার টাকা), মমতাজ বেগম (সাজা সাতদিন) শেফালী আক্তার (সাজা তিন দিন), মোর্শেদা বেগম (জরিমানা এক হাজার টাকা), শাহিনুর বেগম (সাজা এক মাস), শাহনাজ বেগম (জরিমানা এক হাজার টাকা), শিউলি বেগম (জরিমানা এক হাজার টাকা), শিউলি বেগম (জরিমানা এক হাজার টাকা), মর্জিনা বেগম (জরিমানা এক হাজার টাকা), সাইফুল (সাজা সাত দিন) ও রাজিব (সাজা সাত দিন)।
অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মেডিক্যালে দালাল চক্রের বিষয়ে অভিযোগ ছিল। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ওই ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দালাল চক্র নির্মূলে নিয়মিত অভিযান চলবে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। আমরা চাই দালালমুক্ত ঢাকা মেডিক্যাল। এখানে চিকিৎসা নিতে এসে কোনো রোগী বা তাদের স্বজন যেন প্রতারণার শিকার না হোন তা নিশ্চিত করা হবে।’
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে চলতি বছরে একদিনে রেকর্ড ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার এই সময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৭৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম রোববার এক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, ডেঙ্গু জ্বরে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮৭ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৯২ জন ডেঙ্গু রোগী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় পাঁচজন, দক্ষিণ সিটি এলাকায় চারজন এবং খুলনা বিভাগে দুজন মারা গেছেন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চলতি নভেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ১৪৪ জন মারা গেছেন। এর আগে আগস্টে ৩০ জন, সেপ্টেম্বরে ৮৭ জন ও অক্টোবরে ১৩৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সব মিলে ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৪৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ নভেম্বর রোববার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮৬ হাজার ৭৯১ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ১৪ এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৮৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম শনিবার নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৯৪ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৩৯২ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মাট ৪৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ ও বাকি ৫১ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শনিবার (২৩ নভেম্বর) পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন মোট ৮৫ হাজার ৭১২ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
মন্তব্য