সাংবাদিক হত্যায় জড়িত অপরাধীদের সাজা না দেয়ার ভিত্তিতে প্রতিবছর গ্লোবাল ইমপিউনিটি ইনডেক্স বা বৈশ্বিক দায়মুক্তি সূচক প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। এ বছর এই তালিকায় বাংলাদেশের কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তালিকায় ২০২০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০। একধাপ উন্নতি নিয়ে এবার হয়েছে ১১।
সিপিজের এই তালিকায় বাংলাদেশের ঠিক পরেই রয়েছে ভারত। আর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান রয়েছে সূচকের যথাক্রমে নবম ও পঞ্চম স্থানে।
সাংবাদিক হত্যায় জড়িত খুনিরা পার পেয়ে যাওয়ার সূচকে শীর্ষে সোমালিয়া। এ ছাড়া সূচকের ১২টি দেশের মধ্যে ২য় ও ৩য় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিরিয়া ও ইরাক।
সিপিজে বলছে, সংঘর্ষ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দুর্বল বিচারব্যবস্থার কারণে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইরাকে ক্রমশ বাড়ছে।
সূচকে মেক্সিকো, ফিলিপাইন ও ব্রাজিল রয়েছে যথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে। আর রাশিয়া রয়েছে দশম স্থানে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতের্তের শাসনামলে সাংবাদিকরা নানা ধরনের ভয়ভীতি ও ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন। বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বার্থে নিরলস ও নির্ভীকভাবে কাজ করার জন্য দেশটির সাংবাদিক মারিয়া রেসা এ বছর শান্তিতে নোবেল পান।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিপিজের বৈশ্বিক দায়মুক্তি সূচকের ১২ দেশের তালিকায় ২০০৮ সাল থেকে টানা অবস্থান করছে পাকিস্তান।
সিপিজে থেকে বলা হয়, গত ১০ বছরে সাংবাদিক হত্যার ৮১ শতাংশ ঘটনায় অপরাধী থাকে প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ দিয়েছেন সেই জজ মিয়া।
বৃহস্পতিবার জজ মিয়ার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশটি স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশপ্রধান, তখনকার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১১ জনকে পাঠানো হয়েছে।
১৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে নোটিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নোটিশে বলা হয়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতা-কর্মীসহ ২২ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় জজ মিয়া নামের এক নিরীহ যুবককে। জজ মিয়াকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি। ২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, ‘পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ ও মুকুল।’
পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অব্যাহতি দেয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়া জজ মিয়াকে। বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবনে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের অভিযান নিয়ে যখন তিনি চড়াও, তখন অবকাশে পরিবারের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটাচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শীতকালীন বাসভবন নামে পরিচিত মার-এ-লাগোতে এফবিআইয়ের এমন অভিযান কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ট্রাম্প।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেনকে সমীচীন জবাব দেয়ার কথাও জানিয়েছেন এই রিপাবলিকান নেতা।
অভিযানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এমন বার্তা দেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
সোমবার এফবিআই অভিযান চালাতে পারে এমন খবর পেয়ে শুক্রবার থেকেই ফ্লোরিডার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন ট্রাম্প সমর্থকরা।
স্থানীয় সময় বুধবার পারিবারিক অবকাশে অংশ নিতে সাউথ ক্যারোলিনায় পৌঁছান জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন।
প্রেসিডেন্টের বহনকারী বিশেষ উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে চেপে সেখানে যান বাইডেনপুত্র।
হোয়াইট হাউস ছেড়ে ট্রাম্প তার পাম বিচ এস্টেটের ওই বাসভবনে যাওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সঙ্গে নিয়েছিলেন কি না তা জানতে ফেডারেল তদন্তের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।
জুনিয়র বাইডেন, তার স্ত্রী মেলিসা কোহেন এবং তাদের ছেলে বিউ মেরিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুসে জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং ছবি তোলেন। জো বাইডেন এরপর সবাইকে নিয়ে ছুটি কাটাতে সাউথ ক্যারোলিনার কিয়াওয়াহ দ্বীপে উড়াল দেন।
তাদের অবকাশে যাওয়ার দুই দিন আগে স্থানীয় সময় সোমবার এফবিআই এজেন্টরা ট্রাম্পের ফ্লোরিডার রিসোর্ট ও বাড়ি মার-এ-লাগোতে অভিযান চালান।
অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডের অধীনে বিচার বিভাগ কেন অভিযানের মতো এমন কঠোর পদক্ষেপ নেবে তা নিয়ে নানা মহলে উঠেছে প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও সন্দেহ।
হান্টার বাইডেনের আর্থিক এবং বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ে ফেডারেল তদন্ত যখন একটি জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখন জনমানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এমন তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে কি না তা নিয়েও সন্দেহ জেগেছে জনমনে।
করসংক্রান্ত তদন্তে বাইডেনপুত্রকে অভিযুক্ত করা হবে কি না তা নিয়ে সংকটে পড়েছেন ফেডারেল কর্মকর্তারা। একটি সূত্র এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে।
ফেডারেল কর্মকর্তারা কর আইন লঙ্ঘন, সম্ভাব্য বিদেশি লবিং ছাড়াও আরও কিছু বিষয়ে হান্টার বাইডেনকে অভিযুক্ত করবেন কি না তা খতিয়ে দেখছেন।
ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ বিচার ব্যবস্থা ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি হান্টার বাইডেনের ব্যবসায়িক লেনদেন বিষয়ে তদন্ত করে গত মাসের শেষ দিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এ বিষয়ে বিচারক জানিয়েছেন, বাইডেনপুত্রের বিষয়ে এখনও অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
ট্রাম্পের নিযুক্ত ডেলাওয়্যার প্রসিকিউটর ইউএস অ্যাটর্নি ডেভিড ওয়েইস তদন্তকাজটি পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন:ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি সেনাক্যাম্পে বন্দুকধারীর হামলায় ৩ সেনা নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা এ সময় সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সেনা সদস্যের পাল্টা গুলিতে ২ বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুকেশ সিং বলেন, ‘কয়েকজন সন্ত্রাসী পারগালের আর্মি ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করলে রক্ষীরা তাদের চ্যালেঞ্জ জানায়। এ সময় গোলাগুলি শুরু হয়।’
ক্যাম্পের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে আরো সেনা পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এই হামলার পেছনে রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়্যেবা।
২০১৮ সালে জম্মুর সুনজোয়ান ক্যাম্পে হামলার পর এটিই সেনা ক্যাম্পে সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা।
২০১৬ সালে উরি ক্যাম্পে একই ধরনের হামলায় ১৮ সেনা নিহত হন।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক টুইট বার্তায় নিহত সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহত সেনাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইভান্সভিল শহরে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টার এই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩৯টি বাড়ি।
এ ঘটনায় ইভান্সভিল ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান মাইক কনেলি জানিয়েছেন, দুপুর ১টার দিকে বিস্ফোরণে মোট ৩৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের সময় কতটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে তা বিভাগ নিশ্চিত করতে পারেনি। কারণ কিছু বাড়িতে তারা এখনও ঢুকতে পারেননি।’
ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি বাড়ির মধ্যে কমপক্ষে ১১টি বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে, কনেলি স্থানীয় ইভান্সভিল কুরিয়ার অ্যান্ড প্রেসকে এমনটি জানিয়েছেন।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরকবিষয়ক ব্যুরো তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিস্ফোরণের ফলে ভবনের ধ্বংসাবশেষ ১০০ ফুট ব্যাসার্ধে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে।
ইভান্সভিল পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট আনা গ্রে বলেন, অন্তত একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার পরিবারের ব্যাবসায়িক কোনো প্রশ্নের উত্তর নিউ ইয়র্ক রাজ্যের তদন্তকারীদের দিতে অস্বীকার করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের কর্মকর্তারা বলছেন, লোন ও ট্যাক্সের ছাড়ের বিষয়ে এবং নিজের সম্পদের বিষয়ে ট্রাম্প কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করেছেন।
তবে ট্রাম্প বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারটি ব্লক করার জন্য মামলা করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ম্যানহাটনে পৌঁছানোর এক ঘণ্টা পরই অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে উপস্থিত হলেও কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের অধীনে প্রতিটি নাগরিকের প্রদত্ত অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধাগুলোর অধীনে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছি।’
জেমসের কার্যালয় থেকে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প পঞ্চম সংশোধনীর কথা বলে কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি।
অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল সত্য ও আইনের অনুসরণ করবেন।’
একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত থাকবে।
আইনি বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প বুধবার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন, কারণ তার দেয়া উত্তরগুলো সেই অপরাধ তদন্তে তার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হতে পারে।
তবে পঞ্চম সংশোধনী একজন নাগরিককে ফৌজদারি মামলায় নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষী হতে বাধ্য করা থেকে রক্ষা করে।
এর আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট-ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের সঙ্গে বুধবার দেখা করতে যাচ্ছেন তিনি।
জেমস সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রতিষ্ঠানের সম্পদের মূল্য ভুলভাবে বর্ণনা করেছে কি না, তা তদন্ত করছেন।
জেমসের কার্যালয় জানুয়ারিতেও ট্রাম্পকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল।
এফবিআই এজেন্টরা মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মার-এ-লাগো এস্টেটে অভিযান চালায়। এরপর ট্রাম্পের অসংখ্য আইনি জটিলতাগুলো আবার লাইমলাইটে চলে আসে।
এফবিআইয়ের দাবি, ২০২১ সালে হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় গোপনীয় কিছু তথ্য সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এমন ধারণাই এখন স্পষ্ট।
চলতি বছরের মে মাসে অ্যাটর্নি জেনারেলের তদন্ত রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জানিয়ে তদন্ত শেষ করতে ট্রাম্পের একটি মামলা খারিজ করেছিলেন এক বিচারক।
জেমস একজন ডেমোক্র্যাট, সোচ্চার ট্রাম্প সমালোচক। আদালতের ফাইলিংয়ে তিনি জানিয়েছেন, তার অফিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে।
ট্রাম্পের কোম্পানি ‘লোন, বিমা কভারেজ এবং ট্যাক্সসহ প্রচুর অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য সম্পদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। তাই তদন্তের মাধ্যমে জড়িত পক্ষের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
এর আগে ট্রাম্পের ছেলে ডনাল্ড জুনিয়র এবং ইভাঙ্কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ট্রাম্পের সাক্ষ্য ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি অফিস ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অফিসও ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ব্যাবসায়িক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির তদন্তে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন এবং ফিন্যান্স চিফ অ্যালেন ওয়েইসেলবার্গের বিরুদ্ধে কর জালিয়াতির অভিযোগ আছে।
আরও পড়ুন:ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলছে দাবানল। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একদিকে উচ্চ তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত জনজীবন, অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরাও দাবানলের জন্য দায়ী করে আসছে জলবায়ু পরিবর্তনকে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের ইতিহাসে চলতে থাকা সবচেয়ে বড় দাবানলের পেছনে নাশকতার আশঙ্কার কথা বলছেন স্বয়ং দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিনি।
মধ্য ফ্রান্সের অ্যাভেরন ভ্রমণের সময় দারমানিনি সাংবাদিকদের বুধবার বলেন, সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৮ জায়গায় নতুন করে আগুন লেগেছে, এটি অস্বাভাবিক।
এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের আগুনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়টিও বলার সময় তিনি এটিকে হিংসাত্মক আগুন হিসেবেই অভিহিত করেন।
ফ্রান্সে দেশটির ইতিহাসে চলতে থাকা সবচেয়ে বড় দাবানলে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমি আগুনে পুড়ে গেছে। ফায়ার ফাইটাররা আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। বোর্দেওক্সের প্রধান মহাসড়ক এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানকার ১০ হাজার বাসিন্দাকে এরই মধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে থাইল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টায় আছেন বলে জানিয়েছে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তিনি কখন সফর করতে চেয়েছিলেন, তা প্রকাশ করা হয়নি।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সাংগ্রাট বলেন, ‘গোটাবায়ার একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে, যা তাকে ৯০ দিনের জন্য যেকোনো দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। তিনি ব্যাংককে অস্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাইছেন।
‘শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যে সাবেক প্রেসিডেন্টের থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। পরে তিনি অন্য দেশে চলে যাবেন।’
সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র ঘাটতির কারণে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও অফিসে হামলা চালায়। পরদিন ১৪ জুলাই সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান গোটাবায়া রাজাপাকসে।
সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগ করেন গোটাবায়া। তিনিই শ্রীলঙ্কার প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি মধ্যবর্তী মেয়াদে পদত্যাগ করেছেন।
গোটাবায়া বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর ছেড়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সূত্রের বরাতে রয়টার্স এ খবর ছেপেছে। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ মন্তব্যের জবাব দেয়নি। সিঙ্গাপুরে শ্রীলঙ্কার দূতাবাস থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গোটাবায়ার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী কলম্বোতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার তার সিঙ্গাপুর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এক্সটেনশনের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত তা হয়নি।’
প্রভাবশালী রাজাপাকসে পরিবারের সদস্য গোটাবায়া। তিনি শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর পর প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রতিরক্ষা সচিব থাকাকালীন সরকারি বাহিনী ২০০৯ সালে তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের পরাজিত করে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। কিছু অধিকার গোষ্ঠী এখন চাইছে, গোটাবায়া যে যুদ্ধাপরাধ করেছেন, তা তদন্ত করা হোক। গোটাবায়া এর আগে কঠোরভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটাবায়া যদি শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসেন, তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হলে, আইন তাকে নাও বাঁচাতে পারে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য