সাতসকালে ঠান্ডা পানিতে অনেকে গোসল করতে চান না। আবার অনেকে অভ্যাসবশত এ কাজটি করেন।
তারা হয়তো জানেন না, ঠান্ডা পানিতে গোসল মানসিক প্রশান্তি দেয়ার পাশাপাশি শারীরিক উপকারও হয়।
সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সায়েন্স এলার্ট।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তি ও জেলখানার কয়েদিদের ‘উত্তপ্ত ও অস্থির মস্তিষ্ক শীতল ও বেপরোয়া ইচ্ছাকে’ বাগে আনার লক্ষ্যে প্রথম ঠান্ডা পানিতে গোসল করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে ঠান্ডা পানিতে গোসলের প্রভাব নিয়ে বড় আকারে গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণায় জানা যায়, উষ্ণ পানিতে গোসল করা ব্যক্তিদের চেয়ে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা ব্যক্তিরা কম অসুস্থতায় ভোগেন। এতে তাদের কাজে উপস্থিতির হারও বেশি থাকে।
গবেষণার অংশ হিসেবে তিন হাজারের বেশি মানুষকে চারটি দলে ভাগ করা হয়। প্রথম দলকে প্রতিদিন উষ্ণ পানিতে গোসল করতে বলা হয়।
দ্বিতীয় দলকে ৩০ সেকেন্ড, পরের দলকে ৬০ সেকেন্ড ও শেষ দলকে ৯০ সেকেন্ড ঠান্ডা পানিতে গোসল করার কথা বলেন গবেষকরা।
সবাইকে এক মাস এ রুটিন মানতে বলা হয়।
তিন মাসের ফলোআপ শেষে গবেষকরা দেখেন, ঠান্ডা পানিতে গোসল করা তিনটি দলের সবাই ২৯ শতাংশ কম অফিসে অসুস্থতাজনিত ছুটি নেন।
ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে অসুস্থ কম হওয়ার প্রকৃত কারণ সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের ভাষ্য, এর মাধ্যমে দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে।
চেক রিপাবলিকে করা আগের এক গবেষণায় জানা যায়, দেড় মাস ধরে সপ্তাহে তিনবার ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তরুণ কয়েকজন ক্রিয়াবিদ। ওই সময় তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতার কিছুটা উন্নতি হয়।
তবে গবেষণায় উঠে আসা ওই তথ্য নিশ্চিতে আরও বড় ধরনের অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকদের ধারণা, ঠান্ডা পানি মানবদেহে স্নায়ুতন্ত্র আরও সক্রিয় করে। গোসলের সময় নোরেপিনেফ্রিন হরমোনের বৃদ্ধি ঘটে। এটি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া ঠান্ডা পানি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। শরীরে ঠান্ডা পানি লাগলে চামড়ায় রক্ত চলাচল কমে যায়। গোসল শেষ হলে দেহ আপনাআপনি উষ্ণ হয়। এতে চামড়ার উপরিভাগে রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে।
এ ছাড়া ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে দেহের ওজন কমে যেতে পারে বলেও ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
দেশের বাজারে নতুন ফিচারযুক্ত কলিং স্মার্টওয়াচ নিয়ে এসেছে গ্যাজেট বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মোশন ভিউ।
কিসিলেক্ট ব্র্যান্ডের কলিং স্মার্টওয়াচ কেএস কেনায় ১ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা বা ওয়ারেন্টি সুবিধা মিলবে।
এক বছরের মধ্যে ফিজিক্যাল ড্যামেজ ছাড়া অন্য যেকোনো সমস্যা হলে তা বিনা মূল্যে সারিয়ে কিংবা পরিবর্তন করে দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
স্লিম মেটাল বডির চার কোনাকৃতির স্মার্টওয়াচটিতে আছে ১.৭৮ ইঞ্চির ৩৬৮*৪৪৮ পিক্সেলের অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যাতে রয়েছে অলওয়েজ-অন-ডিসপ্লে (এওডি) ফিচার।
ডিসপ্লেটির বিশেষত্ব হলো এটি স্প্লিট ডিসেপ্ল। অর্থাৎ একসঙ্গে স্মার্টওয়াচটির ডিসপ্লে দুটি অংশে ভাগ করে ব্যবহার করা যাবে। খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে ডিসেপ্ল ব্যবহারের পাশাপাশি স্বচ্ছ দেখার অভিজ্ঞতাও পাওয়া যাবে। এমনকি রোদেও এটি খুব সহজেই চোখে পড়বে।
স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে ৩৩০ এমএএইচ ব্যাটারি। ব্যাটারি ফুলচার্জ হতে ২ ঘণ্টার মতো সময় নেয়। আর একবার ফুল চার্জে সাধারণ ব্যবহারে চার থেকে সাত দিন, খুব বেশি ব্যবহারে আড়াই থেকে সাড়ে চার দিনের ব্যাকআপ মিলবে, তবে ব্যাটারি সেভার মোডে এটি ব্যাকআপ দেবে ১০ দিন পর্যন্ত।
স্মার্টওয়াচটির বিশেষত্ব হলো স্মার্টফোনে ব্লুটুথের মাধ্যমে যুক্ত থাকা অবস্থায় ডিভাইসটি থেকে সরাসরি কল করা যাবে কিংবা ফোনে আসা কল রিসিভ করেও কথা বলা যাবে। এ জন্য ঘড়িটিতে যুক্ত আছে বিল্ট-ইন স্পিকার ও মাইক্রোফোন। এ ছাড়া এতে রয়েছে বিল্ট-ইন মিউজিক প্লেয়ার ফিচার। যেকোনো ধরনের ল্যাগ ছাড়াই কল করার জন্য ওয়াচটিতে দেয়া হয়েছে ব্লুটুথ ৫.২ সংস্করণ।
ফিটনেসের দিকে নজর দিয়ে কিসিলেক্ট কলিং স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে ১০০টি স্পোর্টস মোড। এটি অস্বাভাবিক হার্ট রেট শনাক্ত করতে পারে। পাশপাশি ঘুমের মান, অক্সিজেনের পরিমাণ, শ্বাসপ্রশ্বাস এবং ট্রেস মনিটর করতে পারে সহজেই।
স্মার্ট ওয়াচটিতে আইপি-৬৮ গ্রেডের ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স থাকায় এটি হাতে থাকা অবস্থায় সাঁতার কাটা যাবে। এ ছাড়াও কিসিলেক্ট কলিং স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে রোটেটিং, মিউজিক প্লেয়ার, এআই ভয়েজ অ্যাসিস্ট্যান্ট, গেমস, ক্যালকুলেটর, স্টপওয়াচ, ডায়নামিক ইউআই, ওয়েদার, পাসওয়ার্ড প্রটেকশন, এইচডি অডিও, মেসেজ পুশ, স্লিপ মনিটরসহ আরও অনেকে নতুন ফিচার।
দেশে কিসিলেক্টের একমাত্র পরিবেশক মোশন ভিউয়ের সব আউটলেট, অনুমোদিত রিটেইল পয়েন্টে ও অনলাইনে স্মার্টওয়াচটি পাওয়া যাচ্ছে। এর দাম ৬ হাজার ৮৯০ টাকা।
দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় মোশন ভিউয়ের বিপণন চালু আছে। নিজস্ব ৩১টি ব্র্যান্ড আউটলেট, ২ হাজারের বেশি রিটেইল ও অনলাইনে তাদের পণ্য পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নামে প্রচুর ফেক আইডি খোলা হয়েছে জানিয়ে ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন বলেছেন, রিপোর্ট করেও এই সমস্যার সমধান পাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া এক পোস্টে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, আমার নামে ফেক আইডি প্রচুর এই ফেসবুকে। ইদানিং এক ফেক আইডিকে আমার আইডি ভেবে আমার অনেক বন্ধুরাও বিশ্বাস করছে।
তিনি লিখেছেন, ফেক আইডিটি যে বানিয়েছে, সে এমন ধুরন্ধর যে, মানুষকে বোকা বানাবার জন্য আমার রিয়েল আইডির প্রোফাইল পিকচার তো ইউজ করেছেই, বিপুল পরিমাণ ফলোয়ার সংখ্যা বসিয়ে দিয়েছে ওয়ার্কের জায়গায়।
তসলিমা পোস্টে লিখেছেন, ফেসবুককে অনেকদিন রিপোর্ট করেও কাজ হচ্ছে না। তবে আমার রিয়েল আইডির বিরুদ্ধে ফেসবুকে রিপোর্ট করলে বেশ কাজ হয়। আমার আইডিতে রিমেম্বারিং স্টিকার জুড়ে দেয়া হয়, অর্থাৎ আমি মরে গেছি। অথবা আমার পোস্টের রিচ জিরো করে দেয়া হয়।
সুইডেনের পাসপোর্টধারী হিসেবে দিল্লিতে বসবাস করছেন তসলিমা। ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে তখন আন্দোলনের মুখে পড়তে হয় তাকে।
আরও পড়ুন:কর্মশালার বিষয়ের বাইরে গিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর চটেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
সচিবালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের করণীয়বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটে।
ওই কর্মশালার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ২৮ মিনিট কথা বলেন ইয়াফেস ওসমান। এরপর অনুমতি নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে চাইলে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘বলো ভাই, তোমাদের তো আবার সময়ের দাম আছে। তো এতগুলো কথা বললাম, এগুলো কি একটাও কাজের কথা হয় নাই? আচ্ছা বলো।’
এরপর ওই সাংবাদিক বলেন, ‘রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল সরবরাহে কত দেরি হতে পারে?’
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই ব্যাপারে এখন কিছু বলব না। এত কথার মধ্যে তোমরা চলে গেলে রূপপুরে।’
ওই সময় মন্ত্রীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, ‘আজকের ওয়ার্কশপের সঙ্গে এই প্রশ্ন সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’
পরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বুঝি না, তোমরা প্রফেশনাল না? আর ইউ প্রফেশনাল? লেট মি দিস অ্যান্সার? ইউ আর প্রফেশনাল, লাইক মি আর্কিটেকচার। তোমরা তো প্রফেশনাল। তোমাদের রেগুলার প্রফেশনাল স্টাডির কোনো ব্যবস্থা আছে? নাই।’
ওই সময় কয়েকজন সাংবাদিক মন্ত্রীকে জানান, সাংবাদিকদের জন্যও সেই ব্যবস্থা রয়েছে।
তখন মন্ত্রী বলেন, ‘ঘোড়ার ডিম আছে তোমাদের। আমাদের একটা ইনস্টিটিউট আছে। ওখান থেকে যদি সার্টিফিকেট না পাও, ইউ ক্যান নট প্রাকটিস। কারণ হলো, ওটার (ইনস্টিটিউট) শুরুটা হয় আমার হাত দিয়ে। ওইগুলো করো আগে। বিকজ বাংলাদেশকে আমরা ওই জায়গায় নিতে চাই।’
এরপর একজন সাংবাদিক বলেন, ‘সনদ ছাড়া সাংবাদিকতা করা যাবে না সেই বাধ্যবাধকতা নেই।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘ওইটাই তো প্রবেলম। তোমার যদি একটা ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকে, কালকে বলে দিলা তুমি সাংবাদিক। তুমি তো প্রফেশনালিজমের কিছু বোঝোই না। একটা প্রফেশন মাস্ট নো দ্যাট সাবজেক্ট। তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। একটা কথা বলে দিলা যেকোনো জায়গা থেকে চলে আসলে। তার মানে তোমাদের কোনো স্ট্যান্ডার্ড নাই।
‘তোমার প্রফেশনালি যদি জ্ঞান-গরিমা থাকে, নেচারালি তখন তুমি একভাবে বলবা, আর যদি না থাকে আরেকভাবে বলবা। তারপরও তুমি বলছো আমরা আসতে পারি যেকোনো জায়গা থেকে? এনিওয়ে ভাই, আমি তোমার এই কথায় যেতে চাই না। একদিন আইসো, তোমাদের বসদের সাথে কথা হয় তো, ওদের সাথেই কথা বলব। তোমাদের সাথে বলে আর লাভ নাই।’
সাংবাদিকরাও এসব বিষয়ে কথা বলতে শুরু করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা এই সাবজেক্ট বাদ দিয়ে দাও। আমি ওই জন্য বলছি তোমরা এই সাবজেক্টের ওপর ধরো না কেন? এটা বাদ দিয়ে তুমি চলে গেলে অন্য জায়গায়। এটা নিয়ে আর কোনো কথাই হবে না।
‘তুমি এখানে আসছো কী জন্য? তুমি রূপপুরের ব্যাপারে কথা বলতে আসছো? এখান থেকে তোমার প্রশ্ন বের করতে হবে, উত্তর নিতে হবে। সেটা হলে তুমি প্রোপার জিনিসটা করলা।’
ওই সময় একজন সাংবাদিক মন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা যারা সাংবাদিকতা করি তাদের সাবজেক্টের বাইরেও প্রশ্ন করতে হয়। আপনাকে আমরা পাই না, গত ৮-৯ মাসে আপনার প্রোগ্রামে আসিনি, এই প্রথম আসলাম। তাও আবার জরুরি ভিত্তিতে আসতে বলেছেন। ১১টার প্রোগ্রাম, ১১টা ১০ মিনিটে আমাদেরকে জানিয়েছেন। আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে চলে এসেছি।
‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জনগণের জানার আগ্রহ আছে। জনসাধারণের ভিউ থেকে আমাদেরও অনেক কিছু জানতে হয়।’
তখন মন্ত্রী ক্ষেপে গিয়ে ধমকের সুরে বলেন, ‘আমি একটা কথা পরিষ্কার বলে যাই। ইউ লিসেন টু মি। আপনারা যদি না আসতে চান, চলে যান। গেট গোয়িং।’
এরপর সেখানে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকরাও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ছাড়তে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ইউ শুড গো। আমি বললাম প্রশ্নটা ওটার ওপর না করে এটার ওপরে করেন। এটা বলতে পারব না আমি?’
আরও পড়ুন:৫০ হাজার বছর পর রাতের আকাশে দেখা যাবে সবুজ ধূমকেতু। বুধবার এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকবে। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চল থেকে রাতে ধূমকেতুটি দেখা যাওয়ার কথা রয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ ধুমকেতুটির নাম দিয়েছেন ‘সি/২০২২ ই৩ (জেডটিএফ)’। জানুয়ারির শুরুতে সূর্যকে প্রদক্ষিণের পর পৃথিবীর আকাশে ধুমকেতুটি দেখতে পায় বিজ্ঞানীরা। এর আগে গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি টেলিস্কোপে ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫০ হাজার বছর আগে শেষবার ধূমকেতুটি দেখা গিয়েছিল। বুধবার পৃথিবী থেকে ২ কোটি ৬০ লাখ মাইল দূরে হবে এর অবস্থান।
সবুজাভ ধূমকেতুটির রাসায়নিক গঠনকে প্রতিফলিত করে। সূর্যালোক এবং কার্বন অণুর মধ্যে মিথষ্ক্রিয়ার ফলে এটি সবুজ দেখায়।
ধূমকেতু দেখতে চাইলে সেরা সময় বুধবার রাত। শহুরে বাতি থেকে দূরে, তুলনামূলক আঁধার কোনো এলাকায় গিয়ে দেখার চেষ্টা করতে পারেন। এ জন্য আকাশ পরিষ্কার থাকা জরুরি। সবচেয়ে ভালো হয় দূরবীনে চোখ রাখলে।
বাংলাদেশের বাজারে জি-টাইড ব্র্যান্ডের ব্লুটুথ কলিং স্মার্ট ওয়াচ এনেছে ব্র্যান্ডটির বিপণন প্রতিষ্ঠান মোশন ভিউ লিমিটেড।
ফেসবুক লাইভে শনিবার বিকেলে ‘জি-টাইড এস-১ লাইট’ মডেলের স্মার্টওয়াচটি উন্মোচন করা হয়।
লাইভে মোশন ভিউয়ের পক্ষ থেকে স্মার্টওয়াচের ফিচার ও সুবিধাগুলো নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
উন্মোচনের ক্ষণে লাইভে যুক্ত হয়ে বেশ কয়েকজন জিতে নেন জি-টাইড এস-১ লাইট, আকর্ষণীয় গিফট ও অফিশিয়াল টি-শার্ট।
৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির স্মার্টওয়াচটিতে থাকা বিভিন্ন ফিচারে ২৪ ঘণ্টা হার্ট রেট মনিটর, ঘুমের কোয়ালিটি পর্যবেক্ষণ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, দেহের তাপমাত্রা পরিমাপসহ আরও নানা সুবিধা রয়েছে। একবার ফুল চার্জে টানা ৭ দিন ব্যবহার করা যাবে ডিভাইসটি।
আয়াতাকার ওয়াচে ২.৫ডি কার্ভ শেপের ১ দশমিক ৮৫ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ওয়াচটিকে জিটি ফিট প্রো অ্যাপের মাধ্যমে যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড কিংবা আইফোনের সঙ্গে ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযুক্ত করা যাবে।
স্মার্ট ঘড়িটির অন্যতম বিশেষত্ব হলো এতে থাকা ব্লুটুথ কলিং ফিচার। মোবাইলে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় সরাসরি এই ওয়াচ থেকেই কল রিসিভ বা কাউকে কল করা যাবে।
এ ছাড়া ফোনে আসা সব নোটিফিকেশন স্মার্টওয়াচ থেকেই দেখা যাবে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে মেসেজের রিপ্লাইও দেয়া যাবে।
নানা ধরনের সেন্সরযুক্ত জি-টাইড ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচে ১০০টির বেশি স্পোর্টস মোড যুক্ত রয়েছে। হার্ট রেট মনিটরের মতো আরও কিছু হেলথ ফিচার রয়েছে এতে।
স্মার্ট ওয়াচটিতে আইপি-৬৮ গ্রেডের ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স থাকায় এটি হাতে থাকা অবস্থায় সাঁতার কাটা যাবে।
মোশন ভিউ জানায়, শনিবার থেকেই দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির সব আউটলেট, অনুমোদিত রিটেইল পয়েন্ট ও অনলাইনে স্মার্টওয়াচটি পাওয়া যাবে।
১২ মাসের ওয়ারেন্টি সুবিধাসহ স্মার্টওয়াচটির কালো রঙের ভার্সনটির দাম ৩ হাজার ৪৯০ টাকা। ধূসর রঙের সংস্করণের দাম পড়বে ৩ হাজার ৬৯০ টাকা।
উভয় সংস্করণের সঙ্গে একটি অতিরিক্ত স্ট্র্যাপ ও একটি অফিশিয়াল ট-শার্ট বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে।
জি-টাইড ব্র্যান্ডের আরেকটি মডেলের স্মার্টওয়াচ (আর-১) এবং লে-১ মডেলের ওয়্যারলেস ইয়ারফোনও বাজারে পাওয়া যায়।
দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় মোশন ভিউয়ের বিপণন চালু আছে। নিজস্ব ২৭টি ব্র্যান্ড আউটলেট, ২ হাজারের বেশি রিটেইল ও অনলাইনে তাদের পণ্য পাওয়া যায়।
বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের অরিজিনাল স্মার্ট গ্যাজেট (যেমন: স্মার্ট ওয়াচ, ইয়ারফোন, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি) গ্রাহকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি সেগুলোর ক্ষেত্রে পূর্ণ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন:ডিজিটাল কানেকটিভিটি তথা ইন্টারনেট সংযুক্তিকে স্মার্ট বাংলাদেশের চাবিকাঠি আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর ভিত্তিতেই বিনির্মাণ হবে স্মার্ট সমাজ।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে ডিডিওবার্তায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নানা পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় তিন দিনের এ মেলার আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে দেয়া ভিডিওবার্তায় স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কানেকটিভিটির গুরুত্ব তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল কানেকটিভিটি। এর ভিত্তিতেই স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ তৈরি হবে।
বক্তব্যে ডিজিটাল পণ্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি। সে লক্ষ্য পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই।
সরকারের লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অফ থিংস, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, রোবোটিকস ও বিগ ডেটার মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়। তিনি বলেন, সরকার শিল্পাঞ্চলগুলোতে ফাইভজি সেবা নিশ্চিত করতে চায়।
ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙ্গামাটি জেলার বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন স্থাপন করেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচনী অঙ্গীকারে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশি জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। সরকার ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করেছে, যা সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
দেশে মোবাইল ব্যবহার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ১৮ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি।’
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ডিজিটাল বৈষম্য এবং দামের পার্থক্য দূর করা হয়েছে।’
প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “সারা দেশে ‘এক দেশ এক দরের’ একটি সাধারণ শুল্ক চালু করা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ খাতে প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৪ ক্যাটাগরিতে ২২ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে নতুন প্রবর্তিত পোস্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক টেক জায়ান্ট। মেটা, অ্যামাজনসহ আরও কিছু কোম্পানির হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণার পর একই পথে হেঁটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনসে মেশিন (আইবিএম) করপোরেশন।
নগদ অর্থের বার্ষিক রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় স্থানীয় সময় বুধবার ৩ হাজার ৯০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
আইবিএমের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) জেমস কাভানাহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বড় ধরনের ছাঁটাইয়ের পরও গ্রাহকমুখী গবেষণার জন্য এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কোম্পানিটি।
ছাঁটাইয়ের ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে আইবিএমের শেয়ারের ২ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারদরের পতনের নেপথ্যে রয়েছে চাকরিচ্যুতি এবং তারল্যের রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার খবর।
অর্থবাজারবিষয়ক সাইট ইনভেস্টিং ডটকমের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জেসে কোহেন বলেন, দৃশ্যত মনে হচ্ছে, আইবিএমের ঘোষিত ছাঁটাই নিয়ে অর্থবাজার সংশ্লিষ্টরা হতাশ। কোম্পানিটি তাদের মোট জনবলের দেড় শতাংশ ছাঁটাই করেছে।
তার ভাষ্য, আইবিএমের কাছে ব্যয় সংকোচনের আরও কড়া পদক্ষেপ আশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
গত বছরের জন্য তারল্যের বার্ষিক রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার কোটি ডলার নির্ধারণ করেছিল আইবিএম, তবে কোম্পানিটি ৯৩০ কোটি ডলার রিজার্ভ রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য