× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Farmers ban on India is immobilized on the Delhi border
google_news print-icon

কৃষকদের ‘ভারত বনধ্’, অচল দিল্লি সীমান্ত

কৃষকদের-ভারত-বনধ্-অচল-দিল্লি-সীমান্ত
কৃষকদের ‘ভারত বনধ্’ কর্মসূচির ফলে গুরগাওঁ ও নয়ডার সঙ্গে দিল্লি সীমান্তে তৈরি হয় বিশাল যানজট। ছবি: এনডিটিভি
তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত বছরের নভেম্বর থেকে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। টানা ১০ মাস বাড়ি ফেরেননি বিক্ষোভরত লাখো কৃষক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা বিক্ষোভ এটি।

১০ মাস পর নতুন গতি পেল ভারতের কৃষক আন্দোলন। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সোমবার ভোর থেকে শুরু হয় ‘ভারত বনধ্’ কর্মসূচি। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাজারো কৃষকের অবস্থান ধর্মঘটে অচল রাজধানী দিল্লির সীমান্ত। বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন।

পার্লামেন্টে আইন তিনটি অনুমোদন পাওয়ার এক বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে ‘ভারত বনধ’ বা দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম)। ৪০টি কৃষক ইউনিয়নের জোট এসকেএমের ডাকে বেশ কয়েকটি জাতীয় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনরত কৃষকরা।

এসকেএম জানায়, কর্মসূচির আওতায় বন্ধ থাকবে সারা ভারতের স্কুল, কলেজ, সরকারি, বেসরকারি অফিস-আদালত ও অন্যান্য কর্মক্ষেত্র, দোকানপাট, কলকারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু। কেবল জরুরি সেবা চালু রাখতে দেয়া হবে বলে জানায় জোটটি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় ভোর ছয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত হয় এ বিক্ষোভ। গাজিপুরের আন্দোলনস্থলের কাছে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করে দেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। এতে উত্তর প্রদেশ থেকে বের হওয়া যানবাহন মাঝপথেই আটকা পড়ে। গুরগাওঁ ও নয়ডার সঙ্গে দিল্লি সীমান্তে তৈরি হয় বিশাল যানজট।

রাজধানীতে প্রবেশের পথে সব যানবাহনে দিল্লি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি করায় যানজট আরও দীর্ঘ হয়। বন্ধ ছিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তও।

প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল ও বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারও কৃষকদের এ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে।

কংগ্রেস দলটির প্রত্যেক কর্মী, রাজ্য শাখার প্রধান ও অন্যান্য নেতাদের ভারত বনধ্-এ যোগ দেয়ার আহ্বান জানায়।

পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নভজ্যোৎ সিং সিধু দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াইয়ে নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই। তিনটি অসাংবিধানিক কালো আইনের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে লড়াই করতে কংগ্রেসের প্রতিটি কর্মীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’

উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী জানান, শান্তিপূর্ণ ভারত বনধ্ কর্মসূচিতে তার দলেরও সমর্থন আছে।

তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত বছরের নভেম্বর থেকে চলছে এ কৃষক আন্দোলন। টানা ১০ মাস বাড়ি ফেরেননি বিক্ষোভরত লাখো কৃষক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা বিক্ষোভ এটি।

যাবতীয় প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে নিজেদের দাবি আদায়ে অনড় কৃষকরা। তীব্র শীত, দাবদাহ, ঝড়-বৃষ্টি, এমনকি করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও রাজধানী নয়া দিল্লিসংলগ্ন প্রধান মহাসড়কগুলোতে তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন তারা।

ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (বিকেইউ) প্রধান রাকেশ তিকাইত রোববার বলেন, ‘প্রয়োজনে আরও ১০ বছর বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত কৃষকরা। তাও কলঙ্কজনক এ আইন বাতিল হবে না।

‘কৃষিমন্ত্রী আমাদের আলোচনার জন্য ডাকছেন। আলোচনায় বসতে আমাদের সমস্যা নেই। খালি সময় আর জায়গা বললেই হবে। কিন্তু তিনি বলছেন যে এসব আইন নাকি আমাদেরই স্বার্থে। তাহলে ১০ বছর লাগলেও এ জায়গা থেকে নড়ছি না আমরা।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্টে পাস হয় তিনটি কৃষি আইন। কৃষকদের দাবি, এসব আইনের ফলে বস্তুত কৃষি খাতের বেসরকারিকরণ ঘটবে এবং খাতটি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। কারণ আইনগুলোতে সরকার নিয়ন্ত্রিত পাইকারি বাজারের চেয়েও কম দামে পণ্য কেনার সুযোগ দেয়া হয়েছে ক্রেতাদের। এতে উৎপাদক পর্যায়ে ন্যূনতম দামও মিলবে না বলে শঙ্কা কৃষকদের।

ক্ষুদ্র চাষিদের মতে, বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন তারা। এতে গম ও চালের মতো প্রধান শস্যগুলো অনেক কম দামে বিক্রি করতে হবে তাদের।

যদিও মোদি সরকারের দাবি, কৃষি আইন সংস্কারের ফলে কৃষকদের জন্য নতুন সুযোগ ও ভালো দাম পাওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে।

এসকেএম জোটের অভিমন্যু কোহারের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ মাস ধরে মোদি সরকার কৃষকদের দাবি ও বিক্ষোভ উপেক্ষা করছে। তাই বাধ্য হয়েই সরকারের নীতিমালার বিরুদ্ধে সব অঞ্চল, শ্রেণির, বয়সের কৃষক ও কৃষিপণ্যের বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টদের ভারত বনধ্ কর্মসূচিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাতে হয়েছে।

কোহার বলেন, ‘সরকার দাবি করছে যে, বিরোধী দলশাসিত দুই থেকে তিনটি রাজ্যেই নাকি বিক্ষোভ হচ্ছে। কিন্তু আজ আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে সারা দেশের মানুষের সমর্থন রয়েছে আমাদের প্রতি। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, আসাম থেকে গুজরাট পর্যন্ত ছড়িয়েছে এ আন্দোলন।’

হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ আর কর্ণাটকসহ মোদির দল বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোর কৃষকরাও আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বলে জানান কোহার।

চলতি মাসের শুরুতে ভারতের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশে একটি সমাবেশে যোগ দেয় পাঁচ লাখের বেশি কৃষক। চলমান কৃষক আন্দোলনে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় কর্মসূচি সেটি।

সব কর্মসূচিই শান্তিপূর্ণ থাকবে বলে আগেই আশ্বাস দিয়েছে কৃষক ইউনিয়নগুলো। এ পর্যন্ত বেশিরভাগ আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি ট্রাক্টর মিছিলের সময় সংঘর্ষে প্রাণ যায় কমপক্ষে একজনের; আহত হয় ৮০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য।

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ওই সহিংসতার জন্য কৃষকদের দায়ী করেছিল মোদি প্রশাসন। কৃষকদের দাবি ছিল, অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করে কৃষকদের ন্যায্য আন্দোলন বন্ধের অপচেষ্টা ছিল সেটি।

১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতের অর্ধেক বাসিন্দাই জীবিকা অর্জনের জন্য কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির দুই দশমিক সাত ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির প্রায় ১৫ শতাংশই কৃষিনির্ভর।

আরও পড়ুন:
ভারতে নারী বিচারক বাড়ছে : বিচারপতি নাগারত্ন
কিশোরীকে গণধর্ষণ, অপ্রাপ্তবয়স্কসহ ২৬ আসামি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Five more bodies in the country

দেশে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা শনাক্ত

রবিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি। এই সময়ের মধ্যে পাঁচ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৭ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এ নিয়ে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৬ জনে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The chief adviser to the country left for London

লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমিরাতের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, এই সফরে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।

সফরসঙ্গী হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।

এ ছাড়া, দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ার লক্ষ্যে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর। প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Extra precautions with passengers from India
করোনা সংক্রমণ

ভারত থেকে আগত যাত্রীদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা

ভারত থেকে আগত যাত্রীদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা

সম্প্রতি ভারতে করোনায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে দেশটিতে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৯১ জনে পৌঁছেছে। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আগাম সতর্কতা হিসেবে ভারত থেকে যেসব রুটের ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে, সেসব ফ্লাইটের সব যাত্রী স্ক্রিনিং শুরু করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে ভারতের চেন্নাই, কলকাতা, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই থেকে ঢাকায় ফ্লাইট আসে। এই ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ গণমাধ্যমকে জানান, পার্শ্ববর্তী দেশে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও জোরদার করা হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা। গত ২ জুন থেকেই বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। ভারত থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যত মাস্ক এবং পিপিই রাখা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট থেকে আগত যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রবেশপথে বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার।

বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও সতর্কতা প্রচারও চলছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো কার্যকর থাকবে।

ভারতের স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে কেরালায়। সেখানে বর্তমান সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯৫৭ জন। অপরদিকে গুজরাটে এই সংখ্যা ৯৮০ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৭৪৭ জন, দিল্লিতে ৭২৮ জন কর্ণাটকে ৪২৩ জন এবং মহারাষ্ট্রে ৬০৭ জন।

সতর্কতার অংশ হিসেবে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bhola Coast Guard and police separately arrested a drug businessman

ভোলায় কোষ্টগার্ড ও পুলিশের পৃথক অভিযান, এক মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

ভোলায় কোষ্টগার্ড ও পুলিশের পৃথক অভিযান, এক মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও সামান্দা ইউনিয়নে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড ভোলা বেইস ও পুলিশের সমন্বয়ে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ২৭৪ পিছ ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজা সহ এক মাদককারবারী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার মধ্যরাত ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা সদর উপজেলার সামান্দা ইউনিয়নে সামান্দা গ্রাম থেকে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫ শত টাকা মূল্যের ২৭৪ পিস ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজা এবং নগদ ১২ হাজার ৮ শত ৪৫ টাকা সহ মাদক ব্যাবসায়ী আব্বাস (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য আসামীকে জব্দকৃত সকল আলামত সহ ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড। উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং চোরাচালান রোধে অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সীমান্তে চোরাচালান রোধে কোষ্টগার্ড কতৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Delivery in Daulatpur Delief in Caesarean Delivery

দৌলতপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় সিজারিয়ান ডেলিভারিতে প্রসূতির মৃত্যু

দৌলতপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় সিজারিয়ান ডেলিভারিতে প্রসূতির মৃত্যু তারাগুনিয়া ক্লিনিক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে এবং দ্রুত লাশ দাফনের পরামর্শ দেন।

নিহত আখি খাতুন উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব কবিরাজ পাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আখিকে প্রথমে থানার মোড় এলাকার ‘আলসেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’-এ নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর জটিল অবস্থা বুঝে উন্নত পরীক্ষার পরামর্শ দেন। তবে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, আলসেফা হাসপাতালের পরামর্শ উপেক্ষা করে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের দালালদের প্ররোচনায় তাকে সেখানে নেওয়া হয়।

নিহতের মা ও খালা জানান, তারাগুনিয়ার আবুলের ক্লিনিকে (তারাগুনিয়া ক্লিনিক) নেওয়ার পর কয়েকজন চিকিৎসক আখিকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য নিয়ে যান। সিজার শেষ করে বেডে আনার পর থেকেই রোগীর অবস্থা অস্বাভাবিক ছিল। চিকিৎসকরা একপর্যায়ে তার পেটে চাপাচাপি করে, পরে অবস্থার অবনতি দেখে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন, কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা আখিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবার আরও বলেন, ক্লিনিকেই আঁখি মারা গিয়েছে কিন্তু ক্লিনিক মালিক দায়ভার এড়াতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড এর নাটক করে।

পরে মৃতদেহ আবার ক্লিনিকে ফেরত আনা হয় এবং মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী ক্লিনিকের সামনে হট্টগোল করে ও ক্লিনিক ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে ডেকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করেন এবং রাত ৮ টার সময় দাফন সম্পন্ন করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে ওই দিন ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক হোসেন বলেন, "আমাকে ক্লিনিক থেকে রোগী গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, রোগী মারা গেছে। এরপর তারা জোরাজুরি করে ইসিজি করেন ও সদর হাসপাতাল থেকেই ডেট সার্টিফিকেট নিয়ে আবার ক্লিনিকে ফিরিয়ে আনা হয়।"

সিজারিয়ান অপারেশনে অংশ নেওয়া চিকিৎসকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে, ক্লিনিক মালিকের ছেলে এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তাশরিক সঞ্চয় ঘটনার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের ফোন করে নিরুৎসাহিত করেন। তিনি স্বীকার করেন, “রোগীর মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ক্লিনিকে ঘটেছে।”

অন্যদিকে, আলসেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’ থেকে রোগী কেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবিষয় ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপক সুজন হোসেন জানান, “রোগীর শারীরিক সমস্যা বুঝতে পেরে আমরা উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিই। তবে রোগীর স্বজনরা আমাদের পরামর্শ না নিয়ে অন্য ক্লিনিকে চলে যান।”

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সিজারের ৬ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত খাবার খাওয়া নিষেধ থাকলেও রোগী খাবার খেয়ে সেটা ডক্টরের কাছে গোপন রাখে যার ফলে সিজার পরবর্তী সমস্যা হয় ও রোগী মারা যায়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The desired price did not match the skin due to inexperience
শিল্প উপদেষ্টা

অনভিজ্ঞতার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে, মেলেনি কাঙ্ক্ষিত দাম

অনভিজ্ঞতার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে, মেলেনি কাঙ্ক্ষিত দাম

অনভিজ্ঞতার কারণে অনেকে চামড়ায় দেরিতে লবণ দিয়েছেন। এতে করে চামড়া নষ্ট হওয়ায় এবং মান কমে যাওয়ায় অনেকে কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

আজ সোমবার সাভার চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় চামড়ার দর কমে যাওয়া নিয়ে আড়তদার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আদিলুর জানান, এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৮ হাজার পিস চামড়া এসেছে শিল্পনগরীতে। ঢাকায় আছে সাড়ে ৭ লাখ পিস।

চলতি বছর ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনোভাবেই যাতে চামড়া না পঁচে বা দাম পড়ে না যায় তাই সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনভিজ্ঞতার কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে, যদিও এর পরিমাণ কম। যাদের চামড়া নষ্ট হয়েছে এবং মান কমে গেছে তারা দাম কম পেয়েছেন।’

তিনি দাবি করেন, ‘চামড়ায় লবণ দেওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। অনেকেই দেরিতে লবণ দিয়েছেন, যার প্রভাব চামড়ার মানে পড়েছে। ফলে দামও কমেছে অনেক ক্ষেত্রে। তবে সরকারের তৎপরতার কারণে এ বছর খুব অল্পসংখ্যক চামড়াই নষ্ট হয়েছে।’

এ ছাড়া, গবাদি পশুর ল্যাম্পি স্কিন রোগের কারণে চলতি বছর ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In Jhenaigati the people of the bunch of sacrifice got the meat of sacrifice after that time

ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কোরবানির মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ

ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কোরবানির মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ গোমড়া গুচ্ছগ্রামে এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। ছবি: নিউজবাংলা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রাম - গোমড়া ও কান্দুলীর বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। তবে এবার ‘দৈনিক বাংলাদেশের খবর’ পত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের উদ্যোগে এই দুটি গ্রামের মানুষ কোরবানির মাংস পেয়েছে।

গোমড়া গুচ্ছগ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা আঙ্গুরী বেগম (৭০) বলেন, ‘১২ বছর ধরে আমরা কোরবানির মাংসের স্বাদ পাইনি। এবার রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশন আমাদের জন্য গরু দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুন।’

গুচ্ছগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেক গরিব মানুষ আছে যারা কোরবানি দিতে পারে না। এই উদ্যোগ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা সংগঠনটির কাছে কৃতজ্ঞ।’

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের দুঃস্থ মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করে সবাইকে কোরবানির মাংসের আওতায় আনার চেষ্টা করব। আমাদের বিভাগীয় কমিশনার স্যারও গোসত পাঠাচ্ছেন। যদি কোনো অসহায় মানুষ কোরবানির মাংস না পেয়ে থাকে, আমরা নিশ্চিত করব যেন তারা গোসত পায়।’

পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সংগঠনটি বিষয়টি নজরে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। সংগঠনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটি গরু কোরবানির ব্যবস্থা করেন।

অন্যদিকে কান্দুলী গুচ্ছগ্রামে শাহ অলি উল্লাহ ইসলাম সেন্টার বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে এবং অরফান শেল্টার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তায় একটি গরু কোরবানি দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, গত ৬ বছর ধরে এই গ্রামে কুরবানীর মাংস বণ্টন হয়নি। এবার দাতাদের সহযোগিতায় গ্রামবাসী মাংস পেয়ে খুশি।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন পর কুরবানীর মাংস পেয়ে আনন্দিত। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত না হয়।

মন্তব্য

p
উপরে