× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
The Taliban killed four kidnappers and hanged them in public
google_news print-icon

চার অপহরণকারীকে মেরে জনসমক্ষে ঝোলাল তালেবান

চার-অপহরণকারীকে-মেরে-জনসমক্ষে-
-ঝোলাল-তালেবান
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতের রাস্তা। ছবি: এএফপি
হেরাত প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মৌলভি শের আহমেদ মুহাজির বলেছেন, চার ব্যক্তির মরদেহ বিভিন্ন জনসমাগম এলাকায় প্রদর্শন করা হয়েছে। মানুষকে এই শিক্ষা দিতে যে, ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তানে অপহরণের মতো ঘটনা সহ্য করা হবে না।

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে বন্দুকযুদ্ধে চার অপহরণকারীকে মেরে ক্রেনে করে তাদের মরদেহ জনসমক্ষে ঝুলিয়েছে তালেবান।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হেরাত প্রদেশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা। শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

হেরাত প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মৌলভি শের আহমেদ মুহাজির বলেছেন, চার ব্যক্তির মরদেহ বিভিন্ন জনসমাগম এলাকায় প্রদর্শন করা হয়েছে। মানুষকে এই শিক্ষা দিতে যে, ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তানে অপহরণের মতো ঘটনা সহ্য করা হবে না।

তালেবানদের দেয়া এমন শাস্তির বিভিন্ন গ্রাফিক্স ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, মরদেহগুলো একটি পিকআপে রাখা। আর সেখান থেকে ক্রেনে করে একটি মরদেহ উঁচিয়ে ধরা হয়েছে। আর মানুষজন পিকআপটি ঘিরে আছে। অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন তালেবান যোদ্ধারা।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হেরাতের একটি রাস্তার মোড়ে ক্রেন থেকে একটি মরদেহ নিচে নামানো হচ্ছে। ওই মরদেহের বুকে লেখা, ‘অপহরণকারীদের এভাবে শাস্তি দেয়া হবে।’

হেরাত শহরের গুরুত্বপূর্ণ চত্বরগুলোতে মরদেহগুলো প্রদর্শন করা হয়। গত মাসের ১৫ তারিখ আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর জনসমক্ষে তালেবানের দেয়া এটাই সর্বোচ্চ শাস্তি। আর এই শাস্তি ২০ বছর আগের তালেবান সরকারের শাস্তিরই অনুরূপ।

এ বিষয়ে একটি ভিডিও ক্লিপে বিবৃতি দিয়েছেন হেরাত প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মুহাজির, যা বার্তা সংস্থা এএফপির হাতেও পৌঁছেছে।

তাতে মুহাজির জানান, শনিবার সকালে এক ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানতে পারে নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনার পর পুলিশ শহরের বাইরের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়। তালেবান যোদ্ধারা একটি চেকপয়েন্টে অপহরণকারীদের আটক করে। এ সময় গোলাগুলি হয়।

মুহাজির বলেন, ‘কয়েকটি মিনিটের ওই লড়াইয়ে আমাদের একজন মুজাহিদীন আহত হন এবং চার অপহরণকারীর মৃত্যু হয়। আমরা ইসলামি আমিরাত। কেউ আমাদের জাতির ক্ষতি করতে পারবে না। এখানে কাউকে অপহরণ করা যাবে না।’

শনিবারের এই ঘটনার আগেও মুহাজির তার প্রদেশে একটি অপহরণের ঘটনার তথ্য দেন। জানান, অপহরণকৃত এক ছেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় একজন অপহরণকারীকে হত্যা করা হয় এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপহরণের এমন আরও একটি ঘটনা ঘটেছে হেরাতে। তবে ওই ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে তালেবান। তালেবানের উদ্যোগের আগেই অপহরণকারীরা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অপহৃতকে মুক্তি দেয়।

চার অপহরণকারীকে মেরে জনসমক্ষে 
 ঝোলাল তালেবান
হেরাতের রাস্তায় জনসমক্ষে ঝোলানো এক অপহরণকারীর মরদেহ। ছবি: সংগৃহীত

মুহাজির বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের অনেক হতাশ করেছে। আমরা যেখানে হেরাতে আছি, সেখানে মানুষকে অপহরণ করা হচ্ছে।

‘কাউকে অপহরণ বা হয়রানি না করতে এবং অন্য অপহরণকারীদের শিক্ষা দিতে আমরা শহরের বিভিন্ন চত্বরে তাদের ঝুলিয়েছি। এটার মাধ্যমে পরিষ্কার করেছি যে যারা চুরি, ছিনতাই করবে, অপহরণ করবে বা আমাদের মানুষের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কোনো কাজ করবে, তাদের এমন শাস্তিই দেয়া হবে।’

দুই দশক পর আবার আফগানিস্তান দখল করে তালেবান জানায়, তারা ২০ বছর আগের অবস্থানে নেই। সহনশীলতার কথা বলেছিল কট্টর ইসলামি গোষ্ঠীটি। শত্রুদের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা জানায় তারা। সবাইকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আশ্বাস দেয়। সরকারে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখারও ইঙ্গিত দেয়।

তালেবানের এসব আশ্বাসের বাস্তবের কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে তালেবান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে, সেখানে বেশির ভাগ সদস্যই পশতু জাতিগোষ্ঠীর; মন্ত্রিসভায় নেই কোনো নারী সদস্য। এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও মানা করে দিয়েছে তারা।

এমনকি সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মাথা কেটে নেয়ার (শিরশ্ছেদ) পাশাপাশি অঙ্গচ্ছেদ হিসেবে হাত-পা কেটে ফেলার শাস্তি ফের চালু করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন তালেবান।

যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লা নূরুদ্দীন তুরাবি এসব কথা জানান।

১৯৯০-এর দশকে অপরাধের শাস্তি হিসেবে শিরশ্ছেদ ও অঙ্গচ্ছেদের পক্ষে সাফাই গাইলেন এই শীর্ষ নেতা। পাশাপাশি এমন কঠোর সাজার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যে বিরোধিতা রয়েছে তাও নাকচ করে দেন তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা নূরুদ্দীন তুরাবি।

আরও পড়ুন:
বিশ্বের চাওয়া পূরণে ‘প্রস্তুত’ তালেবান
তালেবানের ওপর চাপ সৃষ্টিতে বিশ্ব একজোট: ব্লিঙ্কেন
তালেবান সরকার নিয়ে হতাশ এরদোয়ান
আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যখাত বাঁচাতে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Salman Anisul Palk and Mobins 3 day remand in the murder case

হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, পলক ও মবিনের ৪ দিনের রিমান্ড

হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, পলক ও মবিনের ৪ দিনের রিমান্ড আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলক ও শমসের মবিন চৌধুরী। কোলাজ: ইউএনবি
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত সোমবার শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তৃণমূল বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের মবিন চৌধুরীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত সোমবার শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অংশ নেন পারভেজ মিয়া। বিকালে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৯ অক্টোবর মামলা করেন নিহতের মা কানিছ ফাতেমা।

আরও পড়ুন:
গলা কেটে হত্যা: দাফন-কাফনে সহযোগিতা করেও হলো না রক্ষা
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২ মার্চ
জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির সরাসরি সম্প্রচার চেয়ে রিট
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধারণা পুলিশের
৭ দিনে আড়াই হাজার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার হবে: আইন উপদেষ্টা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The wounded and martyred family began to provide financial assistance to the martyr family

অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু

অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সোমবার জুলাই শহীদ ২১টি পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘সবসময় ভাবি যাদের কারণে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলার সাহস করছি, তাদের এই ত্যাগ কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সোমবার জুলাই শহীদ ২১টি পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

বৈঠকে তিনটি শহীদ পরিবার ও তিনজন যোদ্ধা বক্তব্য দেন। তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্তি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

জুলাইয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘সবসময় ভাবি যাদের কারণে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দেশটাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলার সাহস করছি, তাদের এই ত্যাগ কোনো নিক্তি দিয়ে মাপা যায় না।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের ইতিহাসের স্রষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘যে জাতি ইতিহাসকে স্মরণ করতে পারে না, সে জাতি জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে না। এই স্বীকৃতিটা জাতির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা।’

শহীদ পরিবার ও আহতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের অংশ হলেন। এটা হলো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এর বাইরেও আপনাদের দায়িত্ব সমাজের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।’

সব হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে...অবিচার যেন না হয়। আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে।

‘আমরা যদি অবিচারে নামি, তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাৎটা থাকল কোথায়? আমরা অবিচারে নামব না। আমরা যারা অপরাধী, তাদের পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করব। যারা অপরাধী নয়, পুলিশের হাতে দেওয়ার মতো নয়, তাদের মানুষ করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাব। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’

ওই সময় তিনি জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের আহ্বান জানান, দেশে কোনো সহিংসতা ও হানাহানি যেন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে।

বৈঠকে আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদরা ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন এবং আহতগণ ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে অভিহিত হবেন এবং পরিচয়পত্র পাবেন।

প্রতিটি শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জুলাইয়ে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি শহীদ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

জুলাই যোদ্ধারা দুটি মেডিক্যাল ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুবিধাদি পাবেন।

গুরুতর আহতদের ‘ক্যাটাগরি এ’ অনুযায়ী এককালীন ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি গুরুতর আহত প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধা মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্ত হবেন ও মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। তারা কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন।

‘ক্যাটাগরি বি’ অনুযায়ী, জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি/আধাসরকারি কর্মসংস্থান প্রাপ্য হবেন।

জুলাই যোদ্ধাদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। তারা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন।

এখন পর্যন্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। এ ছাড়া আহতদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন:
শাহবাগ মোড় অবরোধ, বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি শহিদ পরিবারের স্বজনদের
জুলাই অভ্যুত্থানকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য ফেব্রুয়ারিতে
অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ সরকারের
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে অভিমত চায় সরকার
জুলাই ঘোষণাপত্র: অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপে বিএনপি

মন্তব্য

রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট চরমে, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট চরমে, ভোগান্তিতে যাত্রীরা রাজধানীর একটি সড়কের যানজট। ছবি: ইউএনবি
আবদুল্লাহপুর, কুড়িল, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, কাকরাইল এবং পল্টন এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে শত শত যাত্রীকে, অথচ তারা দেখা পাননি বাসের। যে দুই-চারটি বাস যাচ্ছে তারও গেট লাগানো এবং যাত্রীতে ঠাসা। ওঠার নেই কোনো উপায়।

গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট, যা ধারণ করেছে তীব্র আকার। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

আবদুল্লাহপুর, কুড়িল, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, কাকরাইল এবং পল্টন এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে শত শত যাত্রীকে, অথচ তারা দেখা পাননি বাসের। যে দুই-চারটি বাস যাচ্ছে তারও গেট লাগানো এবং যাত্রীতে ঠাসা। ওঠার নেই কোনো উপায়।

সরেজমিনে সোমবার দেখা যায়, সড়কে বাস না চললেও রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও রামপুরা ব্রিজের শেষ প্রান্তে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে আছে।

কেন তারা রাস্তায় নামেনি জানতে চাইলে ভিক্টর বাসের হেলপার সুমন বলেন, ‘নতুন নিয়মানুযায়ী বাস গোলাপি রং করতে অনেক বাসই নামেনি রাস্তায়। আর ই-টিকেটিং চালু হলে ড্রাইভার-হেলপার ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই বাকিরাও বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি।’

গত সপ্তাহে ঢাকার আবদুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর রুটে রাজধানীতে চলাচল করা বাস গোলাপি রং করে ই-টিকেটিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

প্রাথমিকভাবে ২১ কোম্পানির ২ হাজার ৬১০ বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিংয়ের আওতাভুক্ত করা হলেও আগামীতে এ সংখ্যা এবং রুটের পরিধি আরও বাড়বে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

রং করার এ কার্যক্রমে দুই দিন ধরে আবদুল্লাহপুরের এ রুটে রীতিমতো বাস সংকট দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রাফিক কার্যক্রম জোরদার করায় অনেকেই মামলার ভয়ে বাস নিয়ে বের হচ্ছেন না।

অনেক চালক ও হেলপারের দাবি, ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।

অনাবিল বাসের চালক আলমগীর বলেন, ‘জায়গায় জায়গায় সার্জেন্ট আর চেকপোস্ট। রাস্তায় নামলেই শিওর মামলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাস নিয়ে নামা যাবে তখন।’

এদিকে বাসের সংখ্যা কম থাকায় রাস্তায় বেড়েছে রিকশা আর বাইকের চলাচল। একদিকে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে বেপরোয়া বাইক- সব মিলিয়ে এ রুটে একটু পর পর সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট।

মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে বের হয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় আধা ঘণ্টার ওপর দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাইনি। রিকশাভাড়া আকাশচুম্বী। সব মিলিয়ে হঠাৎ করেই রাস্তায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’

রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে পুরানা পল্টন যাবেন ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান। রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত হেঁটে এসে ভিড় ঠেলে কোনো রকমে রমজান বসে উঠেছেন। ভেবেছেন, কাকরাইল নেমে সেখান থেকে আবার হেঁটে পুরানা পল্টন যাবেন।

ভয়াবহ যানজটের কারণে বাসটিকে চলতে হচ্ছিল ঢিমেতালে। পরে মালিবাগ-মৌচাক নেমে আবার হাঁটা শুরু করেন তিনি।

সড়কে দুর্দশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় নেমে জানতে পারি ভিক্টর পরিবহনসহ কয়েকটি বাস চলছে না, যে কারণে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন।

‘কেউ হেঁটে যাচ্ছেন। কিন্তু গাড়িতে উঠেও দেখা যাচ্ছে সেটা চলছে না। এতে উভয় সংকটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।’

এদিকে বাস সংকটের মধ্যেই রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুনর্বাসন এবং আর্থিক সাহায্যের দাবিতে অবস্থান নেন দুবাইফেরত প্রবাসীরা। এতে করে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, বাংলামোটর, কাকরাইল ও কাওরানবাজার এলাকাতেও বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়।

সড়কে যানজট ও বাসের সংখ্যা কেন কম সে ব্যাপারে স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেনি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

ট্রাফিক বিভাগের উত্তরা জোনের সহকারী ডেপুটি কমিশনার (এডিসি) ফজলুল করিম বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আমরাও বাসের সংখ্যা কম পেয়েছি, কিন্তু কী কারণে রাস্তায় বাস কম, সে ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার জানা যায়নি।

‘ধারণা করা হচ্ছে, অনেক বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আসতে চাওয়ায় রং করতে দেওয়া হয়েছে। এতে করে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বাস নেমেছে রাস্তায়।’

বাড্ডা ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার শারমিন আক্তার বলেন, ‘গোলাপি রঙের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে অনেক বাসের হেলপার এবং ড্রাইভার ধর্মঘট করেছে। তাই তারা বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি। এতে করেও গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে শুরু কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং যেখানে সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার দাবিতে সায়েদাবাদ এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন বাসচালক ও হেলপাররা। এতে করে এসব এলাকার যান চলাচল এক রকমের বন্ধ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা সাফ জানিয়ে দিয়েছি রাজধানীর সড়কে কোনো ভাঙাচোরা আনফিট গাড়ি চলবে না। ধীরে ধীরে সব গাড়ি ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আনা হবে।

‘এর প্রতিবাদে তুরাগ এবং বলাকা বাসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ই-টিকেটিংযের ডিভাইস সংক্রান্ত কাজের কারণে অনেক বাস সড়কে নামেনি। এ ছাড়া অনেকে বুঝে না বুঝে এ ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে।

‘যারা সড়কে বাস না নামিয়ে উল্টা রাস্তা অবরোধ করছে, তাদেরকে কেউ খারাপ উদ্দেশ্য হাসিলে ইন্ধন দিচ্ছে।’

ক্ষোভ জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‌‘এটা নতুন কিছু না। কোনো সিদ্ধান্ত বাস মালিকদের মনমতো না হলে তারা যাত্রী জিম্মির হাতিয়ার ব্যবহার করে।

‘অন্যদিকে সরকার সিদ্ধান্ত দেয় ঠিকই, কিন্তু মনিটরিং করে না। এতে করে সড়কে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। সরকারের উচিত মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।’

দ্রুত সমস্যার সমাধান করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আনফিট গাড়ি, যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানামা, বাড়তি ভাড়া রাখা বন্ধ করতে সরকারের শক্তিশালী মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:
শুক্রাবাদে গ্যাসের আগুনে স্বামীর পর প্রাণ গেল স্ত্রীর
শুক্রাবাদে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে এক পরিবারের তিনজন দগ্ধ
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য শুক্র-শনিবারও ‘হাফ পাস’
ডেমরায় গাড়ির ধাক্কায় নারী নিহত
‘পুলিশ-শূন্য’ ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীরা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Mahmudur Rahman was dismissed in the abduction and murder case of Joy

জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাহমুদুর রহমানকে খালাস

জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাহমুদুর রহমানকে খালাস আদালতে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। ছবি: বাসস
রায় ঘোষণার সময় সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। তার উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। তার উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২৩ জানুয়ারি আপিল শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।

মাহমুদুর রহমানের পক্ষে অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, ‌‘মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়।

‘প্রশ্নবিদ্ধ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ত্বরিত গতিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। রায় ঘোষণা করা বিচারকের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। আজ আপিলের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।’

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে।

একই আইনের ১২০ (খ) ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

ওই ঘটনায় ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মাহমুদুর রহমান একসময় বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিএনপি সরকারে দায়িত্ব পালন করেন। এসব দায়িত্ব পালন শেষে তিনি সাংবাদিকতায় নিজেকে যুক্ত করেন।

দেশের জনপ্রিয় দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকায় লেখনীর কারণে মাহমুদুর রহমানকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্মম নির্যাতন করা হয়।

তিনি বিগত সরকারের সব অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ও আপসহীন ছিলেন।

আরও পড়ুন:
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন বরখাস্তকৃত ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
রানা প্লাজার রানার জামিন স্থগিতই থাকছে
আইনজীবী জেড আই খান পান্নার আগাম জামিন
স্বাধীনতার স্টেপে ছিল, মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের ভূমিকা ছিল না: মাহমুদুর
জামিন পেলেন এম এ মান্নান, আদালতে হট্টগোল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The youth of Thakurgaon demanded the rescue of arrested weapons in the operation

ঠাকুরগাঁওয়ে অভিযানে যুবক আটক, অস্ত্র উদ্ধারের দাবি

ঠাকুরগাঁওয়ে অভিযানে যুবক আটক, অস্ত্র উদ্ধারের দাবি ঠাকুরগাঁওয়ে বিশেষ অভিযানে আটক যুবক। ছবি: নিউজবাংলা
প্রাথমিকভাবে আসামি কোনো স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কি না কিংবা তার নামে আগে কোনো মামলা আছে কি না জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি আবারও জানানো হবে। তবে আগের কোনো মামলা তার বিরুদ্ধে নেই।’

ঠাকুরগাঁওয়ে বিশেষ অভিযানে সোহেল রানা (৩৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সদর থানা পুলিশ পৌর শহরের গোবিন্দনগরের বিসিক এলাকা থেকে সোমবার ভোররাতে তাকে আটক করে।

পুলিশের দাবি, ওই যুবকের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত সোহেল রানা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহমানপুর ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ বাজারে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে কর্মরত।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ টিম বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কক্ষের বিছানার নিচ থেকে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান বলেন, ‌‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, তার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে তার স্বয়ং কক্ষের বিছানার নিচে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি বিদেশি পিস্তল মনে হয়েছে।

‘একজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে যুবকের আটক হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

ঠাকুরগাঁও পুলিশের অভিযানের বিষয় তুলে ধরে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, আটক যুবকের নামে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তার কাছ থেকে পাওয়া বন্দুকে কোনো গুলি ছিল না।

প্রাথমিকভাবে আসামি কোনো স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কি না কিংবা তার নামে আগে কোনো মামলা আছে কি না জানতে চাইলে এসপি আরও বলেন, ‘তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি আবারও জানানো হবে। তবে আগের কোনো মামলা তার বিরুদ্ধে নেই।’

আরও পড়ুন:
‌‌‘মিথ্যা সাক্ষী দেয়নি বলেই কি বাবা জেলে?’
নিপুণকে লন্ডন যেতে বাধা, বিমানবন্দর থেকে ফেরত
ফেনী সীমান্তে নাইজেরিয়ান নাগরিক আটক
নলডাঙ্গার বিলে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ
ভারতে আটক বাংলাদেশের ৬ জেলেকে বেনাপোলে হস্তান্তর

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Capital Market The rise of Chittagong in Dhaka at the beginning of the second working day

পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন ডিএসই ও সিএসইর লোগো। ফাইল ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১১ পয়েন্ট।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বিপরীতে দিনের শুরুতেই সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১১ পয়েন্ট।

বাকি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ ও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ২ পয়েন্ট।

লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭০ কোম্পানির, কমে ৮৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে ৬০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমে ১৮ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ৩৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ২১, কমে ১৪ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ২০ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সব সূচকের পতন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Operation will continue until the Devil is over Home Advisor

ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।’

ডেভিল যতদিন শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রবিবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাকিদেরও আনা হবে।’

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদের টার্গেট করে ডেভিল হান্ট অপারেশন চলবে বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।

গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের।

পরে শনিবার রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল জোরদার করা হয়।

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
‌‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: গাজীপুরে আটক ৪০
গাজীপুরসহ দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব
প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে