× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Ban on Afghan girls schools is anti Islamic Imran
google_news print-icon

আফগান মেয়েদের স্কুলে বারণ ইসলামবিরোধী: ইমরান

আফগান-মেয়েদের-স্কুলে-বারণ-ইসলামবিরোধী-ইমরান
আফগানিস্তান ও তালেবান ইস্যু নিয়ে বিবিসির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
আফগানিস্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী শিক্ষার্থীরা দ্রুত ফিরবে বলে বিশ্বাস পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘নারীদের শিক্ষিত করার দরকার নেই, এই ধারণা ইসলামসম্মত নয়। এমন ধারণার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।’

আফগানিস্তানে নারী শিক্ষার্থীদের স্কুলে না পাঠাতে তালেবান সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন প্রতিবেশী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বলেছেন, শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ করতে না দেয়া ইসলামবিরোধী ধারণা।

বিবিসিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের নারী শিক্ষা বিরোধী মনোভাব নিয়ে এ মন্তব্য করেন ইমরান খান।

গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলে দেয়া হয়। তবে ক্লাসে রাখা হচ্ছে না কোনো মেয়ে শিক্ষার্থী। কেবল ছেলে শিক্ষার্থী এবং পুরুষ শিক্ষকদের স্কুলে আসতে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আফগানিস্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী শিক্ষার্থীরাও দ্রুত ফিরবে বলে বিশ্বাস ইমরান খানের।

বিবিসির সাংবাদিক জন সিম্পসনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তারা (তালেবান) ক্ষমতায় আসার পর যেসব বিবৃতি দিয়েছে তা খুবই উৎসাহ ব্যঞ্জক। আমি মনে করি, তারা নারী শিক্ষার্থীদেরও স্কুলে যেতে অনুমতি দেবে।’

‘নারীদের শিক্ষিত করার দরকার নেই, এই ধারণা ইসলামসম্মত নয়। এমন ধারণার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই’, যোগ করেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী।

ইমরান খান জানান, যেসব শর্ত রাখা হয়েছে তা পূরণ করতে পারলেই কেবল তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে ইসলামাবাদ।

সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করতে এবং মানবাধিকাররের প্রতি সম্মান দেখাতে তালেবান নেতৃত্বের প্রতি ফের আহ্বানও জানান ইমরান খান। তিনি এটাও বলেছেন যে, পাকিস্তানের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া উচিত হবে না।

একের পর এক প্রদেশ জয়ের পর গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে পুরো আফগানিস্তান দখলের ষোলকলা পূর্ণ করে তালেবান।

দুই দশক পর আবার আফগানিস্তান দখল করে তালেবান জানায়, তারা ২০ বছর আগের অবস্থানে নেই। সহনশীলতার কথা বলেছিল কট্টর ইসলামী গোষ্ঠীটি। শত্রুদের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা জানায় তারা। সবাইকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আশ্বাস দেয়। সরকারে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখারও ইঙ্গিত দেয়।

তালেবানের এসব আশ্বাসের বাস্তবের কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে তালেবান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে, সেখানে বেশির ভাগ সদস্যই পশতু জাতিগোষ্ঠীর; মন্ত্রিসভায় নেই কোনো নারী সদস্য। এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও মানা করে দিয়েছে তারা।

সবার অংশগ্রহণের সরকার না হলে আফগানিস্তান গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলেও মনে করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘তারা যদি সব গোত্রকে সরকারে না টানে তাহলে আগে বা পরে তাদেরকে গৃহযুদ্ধে পড়তে হবে। যার অর্থ, অস্থিতিশীল, বিশৃঙ্খল আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের জন্য উত্তম জায়গায় পরিণত হবে। আর এটা দুশ্চিন্তার বিষয়।’

আরও পড়ুন:
অর্থসংকটে আফগান গণমাধ্যম, তথ্যে প্রবেশাধিকার খর্ব
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা: তালেবান
তালেবানের বিরুদ্ধে রাজপথে ১৩ আফগান কিশোরী
সরকারি চাকরিজীবী নারীদের ঘরে থাকার আদেশ তালেবানের
আফগানিস্তানে সিরিজ হামলায় নিহত ৭

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Irans Safety Head of Irans commitment to continue assistance to Lebanon

লেবাননের প্রতি ‘সহায়তা’ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ইরানের নিরাপত্তা প্রধানের

লেবাননের প্রতি ‘সহায়তা’ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ইরানের নিরাপত্তা প্রধানের

ইরানের নিরাপত্তা প্রধান লেবাননের প্রতি ‘সহায়তা’ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। লেবাননের সরকার তেহরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা তৈরির জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার পর বুধবার লেবাননে ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা প্রধান এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইরানের নিরাপত্তা প্রধান বলেন, তার সরকার লেবাননের প্রতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।

বৈরুত থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

গত বছর ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের আগে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার সরকারি পরিকল্পনার বিরোধিতা প্রকাশ করার পর আলী লারিজানির লেবানন সফর। হিজবুল্লাহ গত বছর ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের আগে লেবাননের সেনাবাহিনীর চেয়ে ভালো অস্ত্রে সজ্জিত বলে মনে করা হত।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান লারিজানি বৈরুতে অবতরণের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি লেবাননের জনগণ কষ্ট ভোগ করে, তাহলে আমরা ইরানেও এই যন্ত্রণা অনুভব করব এবং আমরা সকল পরিস্থিতিতে লেবাননের প্রিয় জনগণের পাশে থাকব’।

লারিজানিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর সড়কে বহু হিজবুল্লাহ সমর্থক জড়ো হয়েছিল। লারিজানি যখন সমর্থনের স্লোগান দিচ্ছিলেন, তখন তিনি তাদের স্বাগত জানাতে গাড়ি থেকে নেমে আসেন।

লেবাননে, লারিজানি প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ও প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালামের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সংসদ স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।

ইসরাইলের সাথে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইরান একাধিক আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে গত জুন মাসে দুই দেশের মধ্যে ১২ দিনের প্রকাশ্য যুদ্ধও অন্তর্ভুক্ত।

২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত নতুন লেবানন সরকার গোষ্ঠীটিকে আরো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

হিজবুল্লাহ ইরানের তথাকথিত ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ গাজার হামাস ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীসহ এই অঞ্চলের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি নেটওয়ার্কের অংশ, যারা ইসরাইলের বিরোধিতায় একত্রিত হয়েছিল।

ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, লেবাননের অস্ত্র সরবরাহের পথ বন্ধ করে দেয়। এটি দীর্ঘকাল ধরে ইরান ও হিজবুল্লাহর মধ্যে অস্ত্র সরবরাহের পথ হিসেবে কাজ করেছিল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Planning to test Putin is OTol Europe in support of Trumps Youkren

পুতিনকে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা ট্রাম্পের, ই্উক্রেনের সমর্থনে অটল ইউরোপ

পুতিনকে পরীক্ষা করার পরিকল্পনা ট্রাম্পের, ই্উক্রেনের সমর্থনে অটল ইউরোপ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার আসন্ন বৈঠককে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে তার ধারণাগুলো মূল্যায়নের একটি ‘অনুভূতিশীল বৈঠক’ বলে অভিহিত করেছেন। এদিকে ইউরোপীয় নেতারা কিয়েভের স্বার্থের প্রতি অটল রয়েছেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ট্রাম্প শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে আলাস্কায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে এটিই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আঞ্চলিক ছাড় প্রত্যাখ্যান করার সমালোচনা করেছেন।

অগ্রহণযোগ্য আপস জোরদার করার লক্ষ্যে পুতিন ট্রাম্পের সাথে জোট বাঁধবেন এই আশঙ্কায়, ইউরোপীয় নেতারা বুধবার জেলেনস্কি ও ট্রাম্প উভয়ের সাথেই আলাদাভাবে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম মাসগুলোয় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারবেন বলে মন্তব্য করার পর, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু কয়েক দফা আলোচনা, ফোন কল ও কূটনৈতিক সফরের পরও কোনো প্রকার সাফল্য আসেনি।

ট্রাম্প সাধারণত তার চুক্তি সম্পন্ন করার দক্ষতা নিয়ে গর্ব করতে পছন্দ করেন। আলাস্কায় সাফল্যের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে পুতিনের সঙ্গে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ আশা করছেন।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সত্যিই কিছুটা অনুভূতিপ্রবণ বৈঠক।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা দেখব তার মনে কী আছে এবং যদি এটি একটি ন্যায্য চুক্তি হয়, তাহলে আমি এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের, ন্যাটো নেতাদের এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছেও প্রকাশ করব।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি- অনেক ভাগ্য, লড়াই চালিয়ে যাও, অথবা আমি এও বলতে পারি, আমরা একটি চুক্তি সম্পাদন করতে পারি।’

জেলেনস্কি বলপ্রয়োগ করে দখল করা অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ট্রাম্প ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের এক সভায় প্রকাশ্যে জেলেনস্কির সমালোচনা করে বলেছিলেন তিনি জেলেনস্কির অবস্থান নিয়ে কিছুটা বিরক্ত এবং অঞ্চল বিনিময়ের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘কিছু বিনিময় হবে, জমির কিছু পরিবর্তন হবে।’

তবে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি পুতিনকে এই যুদ্ধ শেষ করতে বলবেন।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎজ বুধবার ফরাসি, ব্রিটিশ ও অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের এবং ইইউ ও ন্যাটো প্রধানদের ভার্চুয়াল আলোচনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

সোমবার মের্ৎজের কার্যালয় জানিয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দফা আলোচনায় রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের আরও বিকল্প, সম্ভাব্য শান্তি আলোচনার প্রস্তুতি এবং আঞ্চলিক দাবি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।

সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহার সঙ্গে দেখা করেন এবং আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিও নিয়েও আলোচনা করেন।

আলোচনার পরে ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাস বলেন, রাশিয়া ‘পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত, আমাদের কোনও ছাড় নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়।’ ‘এটি অতীতে কখনও রাশিয়ার সাথে কাজ করেনি এবং আজও পুতিনের সাথে কাজ করবে না।’

এদিকে পুতিনের দাবির কাছে আত্মসমর্পণের বিরুদ্ধে আবারও সতর্ক করেছেন জেলেনস্কি ।

জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘রাশিয়া হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে অস্বীকার করে, তাই কোনও পুরষ্কার বা সুবিধা গ্রহণ করা উচিত নয়। এটি কেবল একটি নৈতিক অবস্থান নয়, এটি একটি যুক্তিসঙ্গত অবস্থান।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Balochistans militant attacks killed 3 Pakistani troops

বেলুচিস্তানে জঙ্গি হামলায় ৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত

বেলুচিস্তানে জঙ্গি হামলায় ৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে জঙ্গি হামলায় অন্তত নয়জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ওয়াশুক জেলার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, বহু সংখ্যক জঙ্গি একটি পুলিশ স্টেশন এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায়।

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পথে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়। সন্ত্রাসীরা নয়জন সেনাকে হত্যা করে।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Netanyahu is the best way to stop the new plan for Gaza

গাজার জন্য নতুন পরিকল্পনা ‘যুদ্ধ বন্ধের সর্বোত্তম উপায়’ নেতানিয়াহু

গাজার জন্য নতুন পরিকল্পনা ‘যুদ্ধ বন্ধের সর্বোত্তম উপায়’ নেতানিয়াহু

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের গাজা সিটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার এবং হামাসের অবশিষ্ট ঘাঁটিগুলোতে হামলার পরিকল্পনার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। ইসরাইলি পরিকল্পনার ব্যাপারে চরম সমালোচনা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধের এটিই সর্বোত্তম উপায়’।

জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলার ফলে শুরু হওয়া যুদ্ধ ২২ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান রয়েছে। বর্তমানে ইসরাইল এ নিয়ে গভীর বিভাজনের মধ্যে রয়েছে—একদিকে একদল যুদ্ধের অবসান ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য চুক্তি চায়, অন্যদিকে আরেক দল ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের চিরতরে পরাজিত দেখতে চায়।

নেতানিয়াহুর সিকিউরিটি কেবিনেট সম্প্রতি হামলার তীব্রতা বাড়ানো এবং গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

নেতানিয়াহু গতকাল রোববার এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার এটাই সর্বোত্তম উপায় এবং দ্রুত শেষ করারও এটি সর্বোত্তম উপায়।’

জেরুজালেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নেতানিয়াহু বলেন, ‘নতুন অভিযান মোটামুটি সংক্ষিপ্ত সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।’

এই অভিযানের লক্ষ্য হবে, গাজা সিটিতে হামাসের অবশিষ্ট দুটি শক্ত ঘাঁটি ও তাদের মূল ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া। একই সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ করিডোর ও নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে হামাসের পরাজয় নিশ্চিত করা ছাড়া ইসরাইলের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে আমরা অনেক কিছু করে ফেলেছি। গাজার ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখনো দুটি শক্ত ঘাঁটি বাকি আছে। এগুলো হলো গাজা সিটি এবং আল মাওয়াসি মূল ঘাঁটি।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trump and Putin will meet in Alaska

আলাস্কায় মিলিত হবেন ট্রাম্প ও পুতিন

আলাস্কায় মিলিত হবেন ট্রাম্প ও পুতিন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন শুক্রবার আলাস্কায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় দেড়‘শ বছরেরও বেশি সময় আগে রাশিয়ার কাছ থেকে অঞ্চলটি কিনে নিয়েছিল।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, রাশিয়া থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে বিস্তৃত উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত প্রত্যন্ত রাজ্যের কিছু অংশে এখনও রাশিয়ার প্রভাব টিকে আছে।

জার শাসিত রাশিয়ার পক্ষ থেকে ১৭২৮ সালে এক অভিযানে ডেনিশ অভিযাত্রী ভিটাস বেরিং এশিয়া ও আমেরিকাকে পৃথককারী সংকীর্ণ প্রণালী দিয়ে প্রথম গমন করেন।

বর্তমানে বেরিং প্রণালী নামে পরিচিত এই অঞ্চলের আবিষ্কার পশ্চিমা বিশ্বে আলাস্কার অস্তিত্বের কথা প্রকাশ করে। যদিও আদিবাসীরা হাজার হাজার বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসছে।

বেরিং-এর অভিযানে দক্ষিণ কোডিয়াক দ্বীপে প্রথম উপনিবেশ স্থাপনের মাধ্যমে রাশিয়ান সামুদ্রিক শীল শিকারের এক শতাব্দীর সূচনা হয়।

১৭৯৯ সালে, জার প্রথম পল লাভজনক পশম ব্যবসার সুযোগ নেওয়ার জন্য রাশিয়ান-আমেরিকান কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যার ফলে প্রায়শই আদিবাসীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

১৮৬৭ সালে রাশিয়া এই রাজ্যটি ওয়াশিংটনের কাছে ৭.২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেয়।

টেক্সাসের দ্বিগুণেরও বেশি আয়তনের একটি এলাকা ক্রয় সেই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল, এমনকি চুক্তির মূল পরিকল্পনাকারী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম সেওয়ার্ডের নামে এটিকে ‘সেওয়ার্ডের বোকামি’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল।

রাশিয়ান-আমেরিকান কোম্পানি তৈরির পর রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চ আলাস্কায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে এবং রাজ্যে রাশিয়ান উল্লেখযোগ্য প্রভাবের অন্যতম হয়ে এখনও রয়ে গেছে।

ভবন সংরক্ষণের জন্য নিবেদিত একটি সংস্থার মতে, আলাস্কার উপকূলে অবস্থিত ৩৫টিরও বেশি গির্জা, যার মধ্যে কয়েকটির মধ্যে পেঁয়াজের আকৃতির গম্বুজ রয়েছে।

আলাস্কার অর্থোডক্স ডায়োসিস বলেছে, এটি উত্তর আমেরিকার প্রাচীনতম এবং এমনকি কোডিয়াক দ্বীপে একটি সেমিনারিও রয়েছে।

রুশ থেকে প্রাপ্ত একটি স্থানীয় উপভাষা যা আদিবাসী ভাষার সাথে মিশ্রিত হয়ে বিশেষ করে রাজ্যের বৃহত্তম শহর অ্যাঙ্কোরেজের কাছে বিভিন্ন সম্প্রদায়ে কয়েক দশক ধরে টিকে ছিল, যদিও এটি এখন মূলত বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

তবে দক্ষিণ কেনাই উপদ্বীপের বিশাল হিমবাহের কাছে, এখনও রুশ ভাষা শেখানো হচ্ছে।

১৯৬০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত ‘ওল্ড বিলিভার্স’ নামে পরিচিত একটি অর্থোডক্স সম্প্রদায়ের একটি ছোট গ্রামীণ স্কুল প্রায় একশ শিক্ষার্থীকে রাশিয়ান ভাষা শেখায়।

আলাস্কা ও রাশিয়ার নৈকট্য সম্পর্কে সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তব্যগুলোর মধ্যে একটি ছিল ২০০৮ সালে রাজ্যের তৎকালীন গভর্নর এবং রিপাবলিকান প্রার্থী জন ম্যাককেইনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারা প্যালিনের।

প্যালিন বলেন, ‘তারা আমাদের পাশের প্রতিবেশী এবং আপনি এলে আলাস্কার ভূমি থেকে, আলাস্কার একটি দ্বীপ থেকে রাশিয়া দেখতে পাবেন।’

আলাস্কার মূল ভূখণ্ড থেকে রাশিয়া দেখা সম্ভব না হলেও, বেরিং স্ট্রেইটে মুখোমুখি দুটি দ্বীপ মাত্র ২.৫ মাইল দূরে অবস্থিত।

রাশিয়ার বিগ ডায়োমেড দ্বীপটি আমেরিকান লিটল ডায়োমেড দ্বীপের ঠিক পশ্চিমে অবস্থিত, যেখানে কয়েক ডজন লোক বাস করে।

বছরের পর বছর ধরে, মার্কিন সেনাবাহিনী বলে আসছে যে তারা নিয়মিতভাবে এই অঞ্চলে আমেরিকান আকাশসীমার খুব কাছাকাছি চলে আসা রাশিয়ান বিমানগুলো আটক করে।

তবে রাশিয়া স্পষ্টতই তাদের একসময়ের দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধারে আগ্রহী নয়। পুতিন ২০১৪ সালে বলেছিলেন যে আলাস্কা ‘খুবই ঠান্ডা’।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Three fourths of UN members support the Palestinian state

জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে সমর্থন করে

জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে সমর্থন করে

জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য রাষ্ট্র ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সোমবার অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে স্বীকৃতি দেয়া হবে। প্যারিস থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের উপর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয় এবং এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের দাবি বিশ্বব্যাপী চাপ পুনরুজ্জীবিত করেছে।

এই পদক্ষেপ দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত একটি দৃষ্টিভঙ্গি ভেঙে দিয়েছে যে ফিলিস্তিনিরা কেবল ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই একটি রাষ্ট্রের মর্যাদা পেতে পারে।

এএফপির এক হিসাব অনুসারে, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ফ্রান্স, কানাডা এবং ব্রিটেনসহ কমপক্ষে ১৪৫টি সদস্য দেশ এখন একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদার জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার একটি সংক্ষিপ্তসার এখানে দেওয়া হল: - ১৯৮৮: আরাফাত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন ।

১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর, প্রথম ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা ইসরাইলি শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সময়, ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত একতরফাভাবে জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ঘোষণা করেন।

তিনি আলজিয়ার্সে নির্বাসিত ফিলিস্তিনি জাতীয় কাউন্সিলের এক সভায় এই ঘোষণা দেন। এখানে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং স্বাধীন ইসরাইল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পাশাপাশি বিদ্যমান ছিল।

এর কয়েক মিনিট পরে, আলজেরিয়া প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।

এক সপ্তাহের মধ্যে, আরব বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ, ভারত, তুরস্ক, আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশ এবং বেশ কয়েকটি মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশসহ আরও কয়েক ডজন দেশ এটি অনুসরণ করে।

পরবর্তী স্বীকৃতির ধারা ২০১০ সালের শেষের দিকে এবং ২০১১ সালের প্রথম দিকে আসে। এ সময় মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার সংকট সৃষ্টি হয়।

আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং চিলিসহ দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোও ফিলিস্তিনিদের তাদের রাষ্ট্রীয় দাবিকে সমর্থন করার আহ্বানে সাড়া দেয়।

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি নির্মাণের ওপর ইসরাইলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দাবির প্রতি বিভিন্ন রাষ্ট্র তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে।

হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামলার পর গাজায় ইসরাইলের অবিরাম হামলা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন বাড়িয়েছে।

চারটি ক্যারিবিয়ান দেশ (জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, বার্বাডোস এবং বাহামা) এবং আর্মেনিয়া ২০২৪ সালে এই ব্যাপারে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহন করে।

তিনটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রসহ চারটি (নরওয়ে, স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া) ইউরোপীয় দেশও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয।

সুইডেন ২০১৪ সালে কূটনৈতিক পদক্ষেপের পর ১০ বছরের মধ্যে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম পদক্ষেপ, যার ফলে ইসরাইলের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়।

পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়ার মতো অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র ইইউতে যোগদানের অনেক আগে থেকেই ১৯৮৮ সালে এ পদক্ষেপ নেয়।

অন্যদিকে, পূর্ব ব্লকের কিছু দেশ, যেমন হাঙ্গেরি এবং চেক প্রজাতন্ত্র এখনো রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগামী অধিবেশনে ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকারকে স্বীকৃতি দেবে।’

গত মাসে ফ্রান্স বলেছিল, তারা সেপ্টেম্বরে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চায়, অন্যদিকে ব্রিটেন বলেছে, ইসরাইল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়াসহ ‘বস্তুগত পদক্ষেপ’ না নিলে তারাও একই কাজ করবে।

কানাডাও সেপ্টেম্বরে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

কানাডা সেপ্টেম্বরে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, এটি একটি নাটকীয় নীতিগত পরিবর্তন যা ইসরাইল তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রকাশ করতে পারে এমন অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে, মাল্টা, ফিনল্যান্ড ও পর্তুগালও এই সম্ভাবনা উত্থাপন করেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Aljazeeras journalist killed in Israeli attacks in Gaza

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আলজাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আলজাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আলজাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় আল শিফা হাসপাতালের প্রধান ফটকের বাইরে সাংবাদিকদের তাঁবুতে এই হামলা চালানো হয়।

নিহত সাংবাদিকরা হলেন:

  • আনাস আল-শরিফ (২৮), প্রধান সংবাদদাতা
  • মোহাম্মদ ক্রিকেহ, ক্যামেরা অপারেটর
  • ইব্রাহিম জাহের, ফিল্ড রিপোর্টার
  • মোহাম্মদ নওফাল, প্রযোজক
  • মোমেন আলিওয়া, টেকনিশিয়ান

আনাস আল-শরিফের শেষ টুইটে গাজার আকাশে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণের ভয়াবহ দৃশ্য বর্ণনা করা ছিল। হামলার কিছুক্ষণ আগে তিনি লিখেছিলেন, "গাজার পূর্ব ও দক্ষিণে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ চলছে।"

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, আল-শরিফ হামাসের সাথে যুক্ত ছিলেন। তবে মানবাধিকার সংগঠন ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর বলেছে, "তিনি শুধুই একজন সাংবাদিক ছিলেন, সহিংসতার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।"

আলজাজিরা এই হামলাকে "সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের উসকানিমূলক প্রচারণা" বলে নিন্দা জানিয়েছে। গত এক মাসে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা এখন ১২ জনে পৌঁছেছে।

মন্তব্য

p
উপরে