× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Cancer defeated 6 times in 9 years
google_news print-icon

৯ বছরে ৬ বার পরাজিত ক্যানসার

৯-বছরে-৬-বার-পরাজিত-ক্যানসার
অদম্য জয়ন্ত কানড়োইয়ের কাছে ছয়বার হার মেনেছে ক্যানসার। ছবি: দ্য বেটার ইন্ডিয়া
২০২০ সালের নভেম্বরে ষষ্ঠবার ক্যানসার শনাক্তের পর অস্থিমজ্জা স্থানান্তরের জটিল চিকিৎসার যন্ত্রণাও সহ্য করতে হয় জয়ন্তকে। তিনি বলেন, ‘ছয়বার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছি। প্রায় প্রতিবারই দেহের নতুন কোনো অংশ আক্রান্ত হয়েছে। যতবার অসুস্থ হয়েছি, আত্মীয়রা আমার মা-বাবাকে পরামর্শ দিয়েছিল কোনো হাসপাতালে আমাকে ফেলে রেখে আসতে। তারা ভেবেছিল যে আমি যেহেতু বাঁচবোই না, শুধু শুধু কেন আমার বোঝা টানবেন আমার মা-বাবা।’

২৩ বছর বয়সী ভারতীয় যুবক জয়ন্ত কানড়োইয়ের ওজন মাত্র ৩৬ কেজি, কিন্তু তার কণ্ঠের বলিষ্ঠতায় স্পষ্ট লড়াকু ব্যক্তিত্ব। জয়ন্তর প্রতিদ্বন্দ্বী সহজ কেউ নয়। প্রাণঘাতী রোগ ক্যানসারের সঙ্গে তার লড়াই চলছে কিশোর বয়স থেকে। জীবন জয়ের যুদ্ধে গত নয় বছরে ছয়বার ক্যানসারকে হারিয়েছেন তিনি।

জয়ন্ত জানান, গত নয় বছরে গুণে গুণে এক হাজার ২৩৭ দিন বা প্রায় চার বছরই হাসপাতালে কেটেছে তার। ক্যানসারকে জিততে না দিলেও তার শরীরজুড়ে রোগটির ধ্বংসলীলা। ১৭টি কেমোথেরাপি, ৬০টির বেশি রেডিওথেরাপি আর অস্থিমজ্জা স্থানান্তরের মতো কঠিন চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।

একের পর এক অস্ত্রোপচার, আর শরীর-মনের শক্তি নিংড়ে নেয়া ওষুধ, আর স্বাস্থ্যপরীক্ষার কষ্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলেছেন জয়ন্ত। তার কাছে ক্যানসার এখনও অজেয়।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের আজমির শহরের বাসিন্দা জয়ন্ত। ২০১৩ সালে যখন দশম শ্রেণির ছাত্র সে, তখন প্রথম ক্যানসার ধরা পড়ে তার।

তিনি বলেন, ‘ঘাড়ের ডান দিকে মাংসপিণ্ডর মতো কিছু একটা অনুভব করি। পরে জানা যায়, এটা ক্যানসার। সেই প্রথম হজকিন লিম্ফোমার নাম শুনি আমি। কোনো ব্যথা ছিল না। কিন্তু দিন দিন মাংসপিণ্ডটি বড় হচ্ছিল।

‘প্রথমবার অপারেশন থিয়েটার দেখি আমি সে সময়। ভয় পাইনি একটুও। জয়পুরের ভগবান মহাবীর ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি হই। অস্ত্রোপচারের পর শুরু হয় কেমোথেরাপির ধাক্কা। ছয়টি কেমোথেরাপি নিয়ে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম আমাকে ক্যানসারমুক্ত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেই দিনটির সব স্মৃতি আজও চোখে ভাসে আমার।’

এরপর জয়পুর থেকে আজমিরে ফেরেন জয়ন্ত, অংশ নেন মাধ্যমিক পরীক্ষায়, নিজ ক্লাসে প্রথম হন তিনি। গর্ব নিয়ে জয়ন্ত বলেন, ‘শিক্ষাজীবনের পুরো সময়েই প্রথম সারির শিক্ষার্থী ছিলাম আমি।’

এসবের মধ্যেই ক্যানসারমুক্ত জয়ন্ত তীব্র ক্লান্তিতে ভুগতেন। এতটাই যে লম্বা সময়ের জন্য স্কুলেও যেতে পারছিলেন না। অথচ পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত একটি দিনও স্কুল বাদ না দেয়ার রেকর্ড ছিল তার।

একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় জয়ন্তর দেহে আরেকটি মাংসপিণ্ড ধরা পড়ে; এবার ঘাড়ের বাম পাশে। ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আবারও ভগবান মহাবীর ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন।

জয়ন্ত কখনোই নিজের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটতে দেননি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উৎরে যান এসবের মধ্যেই, বিকমে পড়াশোনা শুরু করেন।

জয়ন্ত বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৭ সালের শুরুতে আবারও ক্যানসার ধরা পড়ে আমার শরীরে, এবার অগ্ন্যাশয়ে। প্রায়ই পেটে অসহ্য ব্যথা হতো। পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায় শেষ বর্ষে পড়াশোনার সময়। দিল্লিতে একা থাকছিলাম বলে বাবা আমাকে দ্রুত বাড়িতে ফিরে চিকিৎসা শুরু করার অনুরোধ করেন।’

দ্য বেটার ইন্ডিয়ার জুলাই মাসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অসুস্থতা মারাত্মক রূপ নেয়ায় পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখেই ২০১৭ সালে আজমিরে ফেরেন জয়ন্ত। তিনি বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ না করে বাড়ি ফেরার কারণে খুব কষ্টে ছিলাম। কিন্তু ব্যথাও সহ্য করতে পারছিলাম না। ভেঙেচুরে যাচ্ছিলাম মনে হতো।’

সেবার চিকিৎসকরা জানান, অগ্ন্যাশয়ের টিউমারে পৌঁছাতে জয়ন্তর পেটে নয় ইঞ্চি লম্বা ফুটো করতে হবে।

জয়ন্ত বলেন, ‘সেবারই প্রথম বাবার মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখলাম। টিউমারটা মাত্র এক সেন্টিমিটার ছিল। কিন্তু পাকস্থলীর যে অংশে এটি ছিল, সে অংশটি কেটে ফেলে দিতে হবে- এই চিন্তা আমার বাবাকে কুড়ে খাচ্ছিল।’

অগ্ন্যাশয়ে টিউমার ধরা পড়ার দুই বছর পর কেমোথেরাপিসহ সব চিকিৎসা শেষ করেন জয়ন্ত। তৃতীয়বার ক্যানসারকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেই নতুন উদ্যমে শুরু করেন পড়াশোনা। সশরীরে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমে নাম লেখান তিনি, সম্পন্ন করেন স্নাতক।

জয়ন্তর বাবা ৫৭ বছর বয়সী অশোক কানড়োই বলেন, ‘পড়াশোনার জন্য ছেলেকে আবারও দূরে পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চাইনি। ওর ডিগ্রির চেয়ে জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নয় বছর ধরে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু সন্তানের সুস্বাস্থ্য চেয়েছি। তাই চেয়ে যাব আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।’

২০১৯ সালে আবারও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হন জয়ন্ত; ২০১৭ সালে যেখানে ক্যানসার ধরা পড়েছিল, ঠিক সেই একই জায়গায় ধরা পড়ে নতুন টিউমার।

চতুর্থবার ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পরও মুখের হাসি মুছতে দেননি জয়ন্ত। দীর্ঘযুদ্ধে শরীর ভেঙে পড়লেও আবারও চিকিৎসা শুরু করেন; আবারও জয়ী হয়ে ফেরেন।

গত দুই বছরে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার আর দেখা দেয়নি। কিন্তু গত বছর জয়ন্তর ডান হাতের বগলের নিচে আরেকটি টিউমার ধরা পড়ে। এবার ছেলেকে নিয়ে আহমেদাবাদের গুজরাট ক্যানসার হাসপাতালে যান বাবা।

জয়ন্ত বলেন, ‘২০২০ সালের ২০ মার্চ চিকিৎসা শেষে আজমিরে নিজের বাড়িতে ফিরলাম। পরদিন থেকে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে লকডাউন শুরু হলো। অস্ত্রোপচারপরবর্তী চিকিৎসার জন্য আহমেদাবাদ যাওয়ার দরকার হলেও আর যেতে পারিনি।’

ক্যানসারের পঞ্চম আঘাত থেকে সেরে উঠতে না উঠতেই আট মাসের ব্যবধানে জয়ন্ত জানতে পারেন ষষ্ঠবারের মতো শরীরে বাসা বেঁধেছে হতচ্ছাড়া রোগটি। সময় ২০২০ সালের নভেম্বর। এবার ক্যানসারের আক্রমণস্থল তলপেট।

এই সময় অস্থিমজ্জা স্থানান্তরের জটিল চিকিৎসার যন্ত্রণাও সহ্য করতে হয় জয়ন্তকে। শরীরে সুঁই ঢোকাতে ভয় না পেলেও মেরুদণ্ডের নিচ থেকে অস্তিমজ্জা বের করে আনার সময় অসহনীয় ব্যথা সহ্য করতে হয়েছিল তাকে।

জয়ন্ত বলেন, ‘ছয়বার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছি। প্রায় প্রতিবারই দেহের নতুন কোনো অংশ আক্রান্ত হয়েছে। যতবার অসুস্থ হয়েছি, আত্মীয়রা আমার মা-বাবাকে পরামর্শ দিয়েছিল কোনো হাসপাতালে আমাকে ফেলে রেখে আসতে। তারা ভেবেছিল যে আমি যেহেতু বাঁচবোই না, শুধু শুধু কেন আমার বোঝা টানবেন আমার মা-বাবা।

‘আজ যখন আমি অন্যদের বাঁচতে উৎসাহ দিই, আমার ওই আত্মীয়-স্বজনরা হাঁ করে তাকিয়ে শোনে। তারা আজ আমাকে ভাগনে ডেকে যোগাযোগ করতে চায়।’

পুরো যাত্রা শুধু জয়ন্তর জন্য নয়, তার পরিবারের জন্যও একইরকম ক্লান্তিকর ছিল। শারীরিক ব্যথা সহ্য করেছেন তিনি, একইরকম মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গেছে তার পুরো পরিবার। এখন সবাই খুশি।

ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা তৈরি, দুঃস্থদের চিকিৎসায় তহবিল সংগ্রহ, ক্যানসারে আক্রান্তদের মনোবল বাড়ানো ইত্যাদি লক্ষ্য নিয়ে বন্ধুদের সহযোগিতায় একটি দাতব্য সংগঠন গড়ে তুলেছেন জয়ন্ত। সংগঠনটিতে বর্তমানে ৩৫০ জন নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবক আছেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The number of people in the dengue is increasing

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন শনাক্ত, চলতি বছর ১০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ এবং এপ্রিলে ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে এবং জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে, বিশেষ করে বরগুনায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
অঞ্চলভেদে নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন; ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ জন; খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫৮ জন রোগী। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এডিস মশার বিস্তার এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, 'মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা চার থেকে পাঁচগুণ এবং আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনে। এর আগে ২০২৩ সালের পুরো বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালের পুরো বছরের (১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট হিসাব অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৭৫ জন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The body of 20 more people in the country

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এই সময়ের মধ্যে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Dengue death of 5 more people in a day

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

মন্তব্য

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর সিলেট এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে করোনার আক্রমন শুরুর পর সিলেটে প্রথম এই কোন রোগী মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৬৯ বছর বয়েসি পুরুষ ১৯ জুন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। এছাড়া সিলেটে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব‍্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। তিনি করোনা ছাড়াও আরও অন‍্যান‍্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
One more death in Karona in Chittagong is the new identification

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে চলতি জুন মাসেই জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়াল।

২৮ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চলতি জুন মাসে মোট ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Two more deaths in Barisal Dengue

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ১০৫
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় গোটা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৫ জন আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে বর্তমানে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করা দুজন হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ও বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন।

বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে