× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
7 arrested for sabotage in India
google_news print-icon

ভারতে রামলীলা-নবরাত্রীতে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা, আটক ৬

ভারতে-রামলীলা-নবরাত্রীতে-সন্ত্রাসী-হামলার-পরিকল্পনা-আটক-৬
নাশকতার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে রাজস্থানের কোটা থেকে একজনকে আটক করা হয়। তিনজনকে আটক করেছে উত্তর প্রদেশের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড এটিএস। বাকি দুজন দিল্লিতে আটক হয়েছেন।

ভারতের কমপক্ষে তিনটি রাজ্যে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে কমপক্ষে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য।

জানা যায়, রামলীলা, নবরাত্রীর মতো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন উৎসব সামনে রেখে হামলার পরিকল্পনা চলছে বলে খবর পেয়েছে পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নেমে মঙ্গলবার কয়েকজনকে আটক ও জিনিসপত্র জব্দ করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের সদস্যরা।

আটককৃতদের কয়েকজন ছদ্ম নাম-পরিচয় ব্যবহার করছিলেন।

এদের মধ্যে জান মহম্মদ শেখের বাড়ি মহারাষ্ট্রে, ওসামা ওরফে শামির বাড়ি দিল্লির জামিয়া নগরে, মূলচন্দ ওরফে সাজু উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলির বাসিন্দা, জিশান কামারের বাড়ি এলাহাবাদে, মোহাম্মদ আবু বকরের বাড়ি বাহরইচে এবং মোহাম্মদ আমির জাভেদের বাড়ি লক্ষ্নৌতে।

প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে হামলার পরিকল্পনা ছিল সন্ত্রাসীদের।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটককৃতদের মধ্যে ওসামা ও জিশান প্রতিবেশী পাকিস্তানের মদদপুষ্ট। পাকিস্তানের আন্তবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দুজনই।

অভিযোগ, আইএসআইয়ের নির্দেশেই এতদিন চলছিলেন তারা। তাদের ওপর নির্দেশ ছিল উত্তর প্রদেশ ও দিল্লির জনবহুল এলাকায় উৎসবের ভিড়ভাট্টার মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটানোর।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত কমিশনার নীরজ ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে আমরা নাশকতার পরিকল্পনার খবর জানতে পারি। পরে মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে রাজস্থানের কোটা থেকে একজনকে আটক করা হয়। তিনজনকে আটক করেছে উত্তর প্রদেশের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড এটিএস। বাকি দুজন দিল্লিতে আটক হয়েছেন।’

আটককৃতদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এদের মধ্যে ওসামা ও জিশান কিছুদিন আগে ওমানের মাস্কটে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে নৌকায় চড়ে পাকিস্তানে গিয়ে ১৫ দিন অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নের তারা। তাদের শক্তিশালী জঙ্গি হয়ে ওঠার শিক্ষাও দেয় আইএসআই। প্রশিক্ষণ শেষে তারা দুবাই হয়ে ভারতে ফিরে আসেন।’

নীরজ ঠাকুর বলেন, ‘এ চক্রান্তে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিমের হাত থাকতে পারে। কারণ সমীর নামে তার কাছের একজনকে পাকিস্তানের এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ভাড়া করেছিল। তার ওপর বিস্ফোরকসহ গ্রেনেড ও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।’

ভারপ্রাপ্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘জেরার মুখে আটককৃতরা স্বীকার করেছেন যে তাদের মধ্যে ইব্রাহিম নামে একজনের কাজ ছিল তহবিল জোগান দেয়া। আর লালা নামের একজনের দায়িত্ব ছিল আন্ডারওয়ার্ল্ডের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে আরও ১৪ থেকে ১৫ জন ছিল, যারা বাংলা ভাষায় কথা বলত।’

নীরজ ঠাকুর জানান, জঙ্গিরা ভারতে লুকিয়ে থাকলেও তাদের পরিচালনা করা হতো সীমান্তের ওপার থেকে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Sheikh Hasina has made the liberation war as a fathers property Tuku

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।

শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাপের সম্পত্তি বানিয়ে পঁচিয়ে দিয়েছে: টুকু

শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Teachers do not want to stay in haor because of social and political problems Primary and Mass Education Advisor

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

সামজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে হাওর এবং চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকতে চান না এবং তারা শহরে চলে আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, আমার বাড়ি হাওরে আমি সবই জানি। বিষয়গুলো নিয়ে আমি পরিষ্কার। এটা শুধু হাওরের সমস্যা না। সব জায়গাতেই চরাঞ্চলে শিক্ষকেরা থাকতে চায় না এবং তারা শহরে আসতে চায়। এই বিষয়টি সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র যদি আমাদের সমস্যা হতো তাহলে সমাধান করা যেতো। আমাদের নিয়ম কি? আমাদের নিয়ম হচ্ছে শিক্ষকেরা উপজেলাতে নিয়োজিত হবেন, যেখানে চাকরি পাবেন সেখানে থাকবেন। কিন্তু বদলির বিষয়গুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। তদবিরগুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। উপর থেকে আসে সমস্যাগুলো। এগুলো কিসের সমস্যা? এগুলো আমাদের সামাজিক সমস্যা, আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা। বিষয়টি জটিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এগুলোকে যতটুকু সম্ভব কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করছি। আমরা বরাবরই চাই হাওরে শিক্ষকেরা থাকুক। কিন্তু বিভিন্নভাবে বিষয়গুলো হয় না।

সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণও একই গ্রেডে আছে, এক্ষেত্রে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার জন্য এটিইওদের গ্রেড উন্নয়নে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই একই গ্রেডের কর্মকর্তারা রয়েছেন। যারা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা। কলেজগুলোতে যান যেখানে প্রিন্সিপাল এবং প্রফেসররা একই। মেডিকেল কলেজে যান সেখানেও একই। এমন অনেক জায়গাতেই রয়ে গেছে। ফলে এইটা হলেই যে করা যায় না এটা ঠিক না। এটা হচ্ছে আমার অবস্থান। দুই নাম্বার অবস্থান তাদের গ্রেডের উন্নতি প্রয়োজন কিনা? অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ তারা দশম গ্রেডে ঢুকছেন তাদের তো পদোন্নতি প্রয়োজন। সুতরাং তাদের গ্রেড উন্নতি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি এটা প্রয়োজন। আমরা সেজন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখছি যে তাদের গ্রেডের উন্নতি করা হউক। উন্নতি না হলেই চেইন অফ কমাণ্ড ভেঙে যাবে এটি আমরা ঠিক মনে করি না।

মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিভাবকদের আর্কষণ করার জন্য। এটা তাদের ব্যবসা। আর অভিভাবকরা মনে করে সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করলে প্রেস্টিজ চলে যাবে। অনেক কিছু চলে যেটা সংবিধান বা আইন মেনে চলে না। কিন্তু আমাদের অবস্থান কি সেটা জানা আমাদের কর্তব্য। আমাদের সংবিধান বলে শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার। আমরা একটা আইন করেছি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা। অর্থাৎ দেশের প্রত্যেকটা শিশু অবৈতনিক শিক্ষা পাবে। এজন্য অভিভাবকরা প্রত্যেকটা শিশুকে এটা গ্রহণ করাতে বাধ্য। আমাদের শিশুদের ছোট বেলা থেকেই বিভিন্নভাবে ভাগ করে ফেলছে। আমাদের যাদের অর্থের অভাব নেই তারা দামি দামি স্কুল খুললাম। আমাদের যারা নীতিনির্ধারক তাদের সন্তানেরা পড়ছে দামি স্কুলে। সাধারণ মানুষের সন্তানেরা পড়ছে সরকারি স্কুলে। ফলে সরকারি স্কুল, অবৈতনিক স্কুল যে মনোযোগ পাওয়ার কথা তা পায় না। সেজন্য আমাদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দের প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা বলেন, জেলায় ৮০৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিহীন রয়েছে। অহেতুক কারন দেখিয়ে যেন কেউ প্রশিক্ষণ থে‌কে‌ বিরত না থা‌কেন। নির্বাচন ব্যতীত অন্যান্য দায়িত্ব যেনো পালন করতে না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পে‌য়ে‌ছেন। এতে আপনা‌দের প্রতিও রা‌ষ্ট্রের চা‌হিদা বে‌ড়ে‌ছে, সে‌দিক‌টি খোয়াল রাখ‌তে হ‌বে। সহকা‌রি শিক্ষক‌দেরও মূল‌্যায়ন করা প্রয়োজন। স্কুল ফি‌ডিং কার্যক্রম চালু হ‌বে ১৮০‌টি স্কু‌লে। খা‌দ্যের মান নি‌য়ে প্রশ্ন উঠ‌লে নমুনা সংগ্রহ ক‌রতে হবে। খাদ্যের নমুনাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কর‌তে হ‌বে। ইউপিইটি‌সি ইন্সট্রাক্টররা ম‌ডেল স্কু‌লে স‌ঠিকভাবে ম‌নিট‌রিং ক‌রে না। পি‌টিআই'র ইন্সট্রাক্টরদেরও এ কা‌জে লাগা‌তে হ‌বে। প্রাথ‌মি‌কের সকল শূন‌্যপ‌দ পূর‌নের বিষ‌য়ে দ্রুত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে। বিদ্যালয়ের জ‌মি সংক্রান্ত মামলা জট কমানোর জন‌্য জেলা প্রশাসক ব‌্যবস্থা নি‌বেন ব‌লে তিনি আশা ক‌রেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই মূহুর্তে কিন্তু শিক্ষকদের শূন্য পদের সংখ্যা বেশি নয়। সাড়ে ১৩ হাজার পদ শূন্য। আমরা আশা করতেছি এই মাসের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিব এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করব। জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলাতেই মিড ডে মিল চালু আছে।

এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এনডিসি (পলিসি এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Human bond in Amtali demanding the return of three seats in Barguna district

বরগুনা জেলার তিন আসন ফেরত পাওয়ার দাবিতে আমতলীতে মানববন্ধন

বরগুনা জেলার তিন আসন ফেরত পাওয়ার দাবিতে আমতলীতে মানববন্ধন

বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে আমতলীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ সড়কে সহস্রাধিক মানুষ এতে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে তিনটি সংসদীয় আসন ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান।

জানা গেছে, ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত উপকূলীয় বরগুনা জেলার আয়তন ১,৮৩১.৩১ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার। স্বাধীনতার পর থেকে এ জেলায় বরগুনা-১, বরগুনা-২ এবং বরগুনা-৩ নামে তিনটি আসন ছিল। পায়রা ও বিশখালী নদীর ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় বিভক্ত এ আসনগুলো ২০০৮ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন ১/১১ সরকার সমর্থিত নির্বাচন কমিশন দুইটি আসনে সংকুচিত করে। বর্তমানে বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী উপজেলা মিলে বরগুনা-১ আসন এবং পাথরঘাটা, বেতাগী ও বামনা উপজেলা নিয়ে বরগুনা-২ আসন গঠন করা হয়। এতে জেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে আসছে বলে অভিযোগ ওঠে।

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন খসড়া গেজেট প্রকাশ করলেও বরগুনায় তিনটি আসন পুনর্বহালের উদ্যোগ নেয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ১০ আগস্ট ১৩০ জন ব্যক্তি লিখিত আপিল করেন। আগামী ২৫ আগস্ট এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক অ্যাডভোকেট মজিদ মল্লিক, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন (ভিপি) , সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, এনএসএস নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না, প্রেসক্লাব সভাপতি রেজাউল করিম বাদল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকির, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন মামুন, সৈয়দ আসাদুজ্জামান কাওসারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।

বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য ও বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব অ্যাডভোকেট খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সাবেক এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, “সুষম উন্নয়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর সংসদে পৌঁছানো এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও নদী ভাঙন প্রতিরোধে বরগুনায় তিনটি আসন পুনর্বহাল জরুরি।”

সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মজিদ মল্লিক বলেন, “ভৌগলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন বরগুনার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Upazila residents in terms of new theft in Badalgachi at night

বদলগাছীতে রাত পোহালেই নতুন চুরির খবর, আতঙ্কে উপজেলাবাসী

বদলগাছীতে রাত পোহালেই নতুন চুরির খবর, আতঙ্কে উপজেলাবাসী

বর্তমানে চুরি আতঙ্কে রয়েছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলাবাসী। এই উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চুরির ঘটনা। চোরেরা সুযোগ বুঝে এক রাতেই ৩-৪ টি জায়গায় চুরি করছে অনায়াসে।

সর্বশেষ শুক্রবার ২২আগষ্ট উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় সিদ্দিকের ফিডের দোকানে চুরি করতে এসে এক চোর আটক হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে রাতে আরো তিন জন চোরকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে গত বুধবার একই রাতে তিনটি দোকান ও একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। আর এভাবেই গত ২৮-০৭-২৫ থেকে এখন পর্যন্ত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এসব চুরি আবার বেশি হচ্ছে খোদ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বাজার, দোকানপাট থেকে। এছাড়া বাদ যাচ্ছে না গ্রামীণ বাড়িঘর। এ অবস্থায় নিরাপত্তায়হীনতায় আর হতাশায় দিন কাটছে উপজেলার মানুষের। দেখা দিয়েছে চুরি আতঙ্ক।

স্থানীয়রা বলছেন চুরির মালামাল উদ্ধার ও চোরদের আটক না করায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। আবার হঠাৎ করে চুরি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন নেশার টাকা জোগাড় ও পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের অভাব।

আর থানা পুলিশ বলছে চুরির রহস্য উৎঘাটনসহ চোরকে ধরার চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিনিয়ত কারো না কারো মূল্যবান জিনিস চুরি করছে চোরেরা। কখনও কারো বাড়ির গরু-ছাগল চুরি হচ্ছে, কখনও গভীর নলকূপের ট্র্র্র্র্র্র্যান্সফরমার চুরি, কখনও পাওয়া যাচ্ছে দোকান চুরির খবর। আবার কখনও বাড়ির গেট থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। যেন চোরদের চুরির নিরাপদ উপজেলায় পরিণত হয়েছে।

এখন চায়ের দোকান মূখর হয় চুরির খবরে। পুলিশ যেন নির্বেকার, কোন ভাবেই চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। করতে পারছে না রহস্য উৎঘাটন। তাই পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভূক্তভোগীরা।

জানা যায়, গত ২০ আগষ্ট একই রাতে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শরিফুলের মুদি দোকান, উপজেলার মোড়ে সোহাগের চায়ের দোকান, বাজার এলাকায় মাসুদের মুদি দোকান এবং হটাৎপাড়া এলাকার মজিদুলের বাড়ির ওয়াটার পাম্প চুরি হয়।

এর আগে গত ১০ আগষ্ট রাতে বাজার এলাকার সবচেয়ে বড় মুদি দোকান লিটন ভ্যারাইটি ষ্টোরের ইটের ১০ ইঞ্চি দেয়াল ভেঙে দোকানে চুরি। এর দুই দিন পর বাজারের আরেক বড় মুদি দোকান ফারুক ষ্টোরের উপরের টিন খুলে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।

এছাড়া গত ৭ আগষ্ট সবজি দোকানদার সুমন হোসেন তার পালসার মোটরসাইকেলটি দুপুরে বাড়ির দরজার সামনে রেখে ভাত খাচ্ছিলো। পরে এসে দেখে মোটরসাইকেল নেই, চুরি হয়ে গেছে।

গত ২৮জুলাই উপজেলার খাদ্যগুদামের সামনে সার্থক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক সানজাদ রয়েল সাগরের সিনজেনটা দোকানের ইটের দেয়াল ভেঙে মালামাল চুরি হয়।

এর ৩-৪ দিন পর মথুরাপুর ইউপির সদস্য পরিমল চন্দ্রের বাড়ির লোহার গ্রিল কেটে মোটরসাইকেল ও গরু চুরির ঘটনা ঘটে।

এভাবেই গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৩৫ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী চুরি হয়েছে উপজেলার মোড় ও বাজার এলাকায়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সানজাদ রয়েল সাগর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,“দোকান ভেঙে নগদ টাকা আর মালামাল নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আমার চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ তো গভীর ঘুমে বিভোর। দেখি কবে পুলিশের ঘুম ভাঙে।”

আরেক ভূক্তভোগী সবজি ব্যবসায়ী সুমন হোসেন বলেন,“আমার মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর থানায় গিয়েছি জিডি করার জন্য। পুলিশ জিডি না নিয়ে অভিযোগ দিতে বলে। সেই মোতাবেক অভিযোগ লিখে আমি ওসির কাছে জমা দিতে গেলে ওসি আমাকে বলেন“ আপনার কাছে যদি এক লাখ টাকা থাকে বাহিরে রাখবেন, টাকা আর গাড়ী একই জিনিস। গাড়ী বাড়ির বাহিরে রাখলেন কেন? এখন চুরি হয়েছে সব দোষ পুলিশের হবে।”

মুদি ব্যবসায়ী শরিফুল হোসেন বলেন,“ যেভাবে দিনের পর দিন চুরি হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে আমরা কিভাবে ব্যবসা করবো।”বারবার চুরির ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ জমছে। মানুষ প্রশ্ন তুলছে চোরদের লাগাম টানবে কে? এভাবে চলতে থাকলে বদলগাছীর শান্ত পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। কোন কোন গ্রামে চুরির ভয়ে মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে না। কেউ ঘুমাচ্ছে ঘরের উঠানে,আবার কেউ টর্চ লাইট হাতে পাহারা দেন। চোরের ভয়ে অস্থির জনজীবন।

এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, আমরা চোরকে ধরতে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত কোন চুরির ঘটনার রহস্য উৎঘাটন বা চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার হয়েছে কি/না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালামাল উদ্ধার হয়নি,তবে আমরা আশাবাদী চোর সহ চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার হবে খুব নিকটে। চার জন চোর আটক আছে। আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
BNP state will come to power by the peoples vote GK Gausch

জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে: জি কে গউছ

জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে: জি কে গউছ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার তিন বারের সাবেক মেয়র জি কে গউছ বলেছেন, আমার পূর্বে হবিগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির কোনো মেয়র নির্বাচিত হননি। আমি ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে তিন বার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। ভোট চুরি না হলে আমি সদরের এমপি ছিলাম। দল যখন যেভাবে চেয়েছে আমি সেইভাবেই দায়িত্ব পালন করেছি। দলের নেতাকর্মীদের আগ্রহে এবং অনুরোধে আমি হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শুক্রবার রাতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী সফল করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গউছ বলেন, জেলা বিএনপির সম্মেলন ৬ সেপ্টেম্বর। বিএনপি যারা করেন, যারা রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, শরীরের ঘাম ঝড়িয়েছেন, আন্দোলন করেছেন, তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন কারা প্রার্থী হবেন, আর কাদেরকে তারা ভোট দিবেন। কিন্তু মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হলে বুঝতে হবে সামথিং ইজ রং। দুষ্ট লোকের দুষ্টামি কখনো বন্ধ হয় না। দুষ্ট লোকেরা ঘিয়ের মধ্যেও কাটা বাছতে শুরু করে। তাদের কাজই হচ্ছে ভালো কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা, তারা বিএনপির কউন্সিলকে নিয়ে গুজব রটাচ্ছে, মিথ্যাচার করছে, তাদের বিষয়ে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। তারা মূলত আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের এমপিরা পালিয়েছে, সাথে শত শত কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এসব টাকা বিএনপির সামনের সারির নেতাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে খরচ করা হচ্ছে। এটা বিএনপি নেতাকর্মীদের মাথায় থাকতে হবে।

জি কে গউছ বলেন, জোর জবরদস্তি করে মানুষের মন জয় করা যায় না। জোর করে মানুষের দোয়া, ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তাই জনগণ বিরক্ত হয় এমন কাজ যেন আমরা কেউ না করি। কারণ জনগণের ভোটের মাধ্যমেই আমাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে।

পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়ালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মুহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন প্রমুখ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The boat was missing when the boat was drowned

কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে দুজন নিখোঁজ

কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে দুজন নিখোঁজ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে শামসুদ্দিন ও নুসরাত নামে দুজন নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ধারাম হাওরে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের খোঁজ মিলেনি।

কনে দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবে দুজন নিখোঁজ

ওইদিন সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া থেকে জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুরে বিয়ের জন্য কনে দেখতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ৭ জন রওনা দেন। নৌকাটি ধারাম হাওরে গেলে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় চালকসহ ৫ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও ষাট বছর বয়সী শামসুদ্দিন ও সাত বছর বয়সী নুসরাত নিখোঁজ হয়। শামসুদ্দিন সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে ও নুসরাত কান্দাপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুজনকে মূমুর্ষূ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল এসে পৌঁছেছে। তারাও উদ্ধার কাজে অংশ নিবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Unity protest against wrongdoing is the tradition of Dhaka University Vice Chancellor

অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য- উপাচার্য

অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য- উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা আজ ২৩ আগস্ট ২০২৫ শনিবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন ও কারা নির্যাতিত তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যগতভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ যখন উচ্চারিত হয়, তখন তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মানুষের গভীর বিশ্বাসেরই প্রতিফলন।

২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট স্মরণ করে উপাচার্য সেই সময় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা সবসময় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ থেকেছি। এ ঐতিহ্যের দায় আমাদের সবার। ভবিষ্যতেও যদি একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, ডাক পড়লে আমরা আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করব।

সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে উপাচার্য আরও বলেন, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা পরাস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যার যার জায়গা থেকে দেশের জন্য কাজ করব।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় যাঁরা আন্দোলন করেছেন তাঁদের আমরা স্মরণ করছি। শিক্ষকরা আন্দোলনে সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাল হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই সকল অংশীজনের পরামর্শে এগিয়ে গেছে এবং এই চর্চা অব্যাহত থাকবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ২০০৭ সালের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার ওপর আঘাত এসেছিল। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি দেশের মানুষের ছিল প্রবল আকাঙ্ক্ষা ।

তিনি বলেন, তখন দেশের মানুষ সবচেয়ে বড় সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দিকে তাকিয়ে ছিল। আমরা আন্দোলন করেছি এবং দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজকের আয়োজন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠায় যারা আন্দোলন করেছেন তাদের স্মরণ করার অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তা না থাকলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব নয়। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গ্রেফতারকৃত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

মন্তব্য

p
উপরে