করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেয়া ব্যক্তিদের চেয়ে টিকা না নেয়া ব্যক্তিরা ১১ গুণ বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) শুক্রবার নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।
সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাসৃষ্ট শারীরিক জটিলতা প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতা এ গবেষণার মাধ্যমে ফের হাজির করল সিডিসি।
শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে সিডিসির পরিচালক রশেল ওয়েলেন্সকি বলেন, ‘দুমাস আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশজুড়ে প্রভাব বিস্তারকারী ভাইরাস ছিল।
‘ওই সময় যারা টিকা নেননি, তারা সাড়ে চার গুণ বেশি করোনায় আক্রান্ত হন, ১০ গুণ বেশি হাসপাতালে ভর্তি হন ও ১১ গুণ বেশি ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেন।’
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১৩টি অঞ্চলে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিডিসি।
সিডিসি তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, ডেল্টা ধরনের আঘাতে ব্যাপক সংক্রমণের সময় টিকার সব ডোজ নেয়া ব্যক্তিরাও করোনায় বেশি আক্রান্ত হন।
বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন, সংক্রমণ মোকাবিলায় টিকা সর্বোচ্চ কার্যকর হলে জুনের শেষ সময় থেকে পুরো জুলাই মাসে টিকার সব ডোজ নেয়া ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হবেন।
তবে টিকার সব ডোজ নেয়ার পরও ১৮ শতাংশ ব্যক্তির দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গবেষকদের ভাষ্য, সার্স-কোভ-২-এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্ভাব্য কমে যাওয়ায় আক্রান্তের ওই হার সংগতিপূর্ণ।
টিকাকে আরও কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দেশজুড়ে বুস্টার ডোজের পরিকল্পনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) প্রথমে ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফাইজার ছাড়াও মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকারও বুস্টার ডোজ জনগণকে দেয়ার অনুমতি দেয়া হতে পারে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রধান চিকিৎসাবিষয়ক উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফাউচি বলেছিলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিহত ও টিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে রয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে টিকার বুস্টার ডোজ অনুমোদন দেয়ার আহ্বান জানান।
ফাউচি বলেন, ‘আগের গবেষণা টিকা নেয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কমে যাওয়ার কথা বলে।
‘সাম্প্রতিক গবেষণা ও ইসরায়েলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমার মনে হয়েছে, টিকার বুস্টার ডোজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চাইতে করোনায় আক্রান্ত হওয়াই উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সক্ষম।’
আরও পড়ুন:নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২৪-এর বাংলাদেশ পর্বের ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
এ হ্যাকাথন শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে একটানা ৩৬ ঘণ্টা চলার পর শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয়।
গতকাল রাতে রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং অনলাইনে একসঙ্গে শুরু হওয়া নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ফলাফলে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘কোয়ান্টাম ভয়েজার্স’ তাদের গৌরবগাঁথা সাফল্য রচনা করে।
টিমের সদস্যরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ রায়হান (টিম লিডার), ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের জাহাঙ্গীর হোসেইন ও ফারহান মাসুদ সোহাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মুয়াম্মার তাজওয়ার আসফি এবং ইউসুফ হাসান সিফাত।
গত ১০ বছর বিশ্বব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী তরুণদের একত্রিত করে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে বেসিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করা হয়।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীকে সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।
এবার বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নেন।
সর্বমোট ৫০০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে বাছাইকৃত শীর্ষ ৫০টি নিয়ে এআইইউবিতে এবং বাকি ৪৫০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-এর দুই দিনব্যাপী নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন।
আরও পড়ুন:তরুণ প্রজন্মের দৈনন্দিন জীবনের সৃজনশীলতা, বুদ্ধিমত্তা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি এআই∞ (Infinix AI∞) চালু করেছে ট্রেন্ডি টেক ব্যান্ড ইনফিনিক্স।
এটি পরবর্তী প্রজন্মের এআই সল্যুশনস, যার কেন্দ্রবিন্দু হলো ফোলাক্স, যা আধুনিক ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করে।
ফোলাক্সটি জিপিটি-৪০, জেমিনি এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে ইনফিনিক্স-এর নিজস্ব এআই মডেল দিয়ে চালিত।
ইনফিনিক্সের এ উদ্ভাবন তরুণদের মধ্যে নতুন একটি ট্রেন্ডের শুরু করতে যাচ্ছে, যা তাদের জীবনকে সহজ ও উন্নত করবে।
টেক্সট, ভয়েস বা ইমেজ ইনপুটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ইনফিনিক্স এআই∞-এর মাধ্যমে একটি নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা উপভোগ করেন, যেখানে রিয়েল-টাইম ফিডব্যাক এবং ব্যক্তিগত সুপারিশ পাওয়া যায়। এটি বুদ্ধিমান সৃজনশীল সহকারীর কাজ করে, যা নিত্যদিনের কাজকে আরও সহজ, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে মানুষের উৎপাদনশীলতাকে বাড়িয়ে দেবে।
ইনফিনিক্স এআই∞-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো লাইভ টেক্সটস, যা ছবি এবং নথি থেকে মুহূর্তের মধ্যেই তথ্য নেয় এবং সেটিকে ছোট করে। শিক্ষার্থী, প্রফেশনালস এবং গবেষকদের জন্য নতুন এ প্রযুক্তি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে লাইভ টেক্সটস∞ ডেটাকে দ্রুত ও সংক্ষিপ্ত করে, যা ডেটা পুনরুদ্ধারকে আরও কার্যকর এবং দক্ষ করে তুলবে।
যারা সৃজনশীল কাজ করতে চান, তাদের জন্য আছে এআই ম্যাজিক ক্রিয়েট∞ টুল, যা ব্যবহারকারীর ধারণাকে সহজেই বাস্তবে রূপান্তর করতে সহায়তা করে। বিশেষ এ টুল আইডিয়া জেনারেশন এবং সেটি পরিমার্জনের প্রক্রিয়াও নির্দেশ করতে পারে। পাশাপাশি ম্যাজিক ক্রিয়েটের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস, স্টোরি, পোস্ট, ভিডিও বা ছবির ক্যাপশন তৈরিতে সহায়তা নেয়া যাবে।
অন্যদিকে যারা ভ্রমণপিপাসু এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর, তাদের জন্য ভিজ্যুয়াল লুক আপ∞ ফিচারটি একটি আদর্শ গাইডলাইন, যেখানে বিভিন্ন নিদর্শনের ছবি, দিক নির্দেশনা, ইতিহাস, সংস্কৃতি বা বিভিন্ন সাইট সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেয়া থাকে।
ইনফিনিক্স এআই∞ নিত্যদিনের কাজ সহজ করতে অ্যাডভান্স কিছু ফিচারও সাজেস্ট করে। যেমন: এআই ওয়ালপেপার, যা ব্যবহারকারীর সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক পছন্দগুলোর সঙ্গে খাপ খায়।
এ ছাড়া এআই ইরেজার ও স্মার্ট কাটআউটের মতো টুল ইমেজ এডিটিংকে আরও উন্নত করে। এআই স্কেচ ব্যবহার করে কঠিন সব ধারণাকে পলিশ ডিজাইনে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। আরও আছে স্মার্ট সার্চ, যা দ্রুত ও প্রয়োজনীয় ভাষায় খুঁজে বের করার সুযোগ দেয় এবং মোবাইল ডেটা ও ব্যালেন্স অনুসন্ধানও করতে সাহায্য করে।
ইনফিনিক্সের এআই∞ উদ্ভাবন স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রযুক্তিটি অ্যাপ, ক্লাউড পরিষেবা এবং ভয়েস রিকগনিশনকে একত্রিত করে একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম তৈরি করেছে, যা প্রতিটি মিথস্ক্রিয়ার সঙ্গে বিকাশ লাভ করে এবং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে হাজারের বেশি পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে উন্নত হওয়া টুলটি ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী রিয়েল টাইমে ব্যক্তিগত ফিডব্যাকও দেয়।
ইনফিনিক্স এআইয়ের ব্যবস্থাপক তুয়ানওয়ে শি বলেন, ‘ইনফিনিক্স এআই∞ প্রথমবারের মতো ১০০টির বেশি ভাষাকে সমর্থন করছে, যা আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলে ভাষা ও কমিউনিকেশনের ফাঁক রোধ করবে। এ উদ্ভাবনী এআই প্রযুক্তি সৃজনশীলতা, উৎপাদনশীলতা এবং বৈশ্বিক সংযোগকে এক জায়গায় এনেছে।’
ট্রান্সফরমার প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই টুল যেকোনো প্রসঙ্গ বোঝা এবং ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। উন্নত প্রশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে এটি দ্রুত এবং সঠিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে। পাশাপাশি কর্মক্ষমতাকে অপ্টিমাইজ করে।
ফোলাক্সের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর সাহায্যে এটি স্মার্টফোন এআইতে নতুন একটি মান স্থাপন করছে এবং দক্ষ ও উচ্চ স্তরের কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করছে।
আরও পড়ুন:পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথড পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। এজন্য শনিবার রাত ২টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন বা ধীরগতি দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শনিবার রাত ২টা থেকে পরদিন রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এসময় সি-মি-উই সাবমেরিন ক্যাবলসের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথড পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সি-মি-উই-৪ সাবমেরিন ক্যাবলসের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে নোট ৪০ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ‘নোট ৪০এস’ উন্মোচন করেছে ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে ও ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্যের স্মার্টফোনটিতে ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা পাবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইনফিনিক্সের ভাষ্য, নোট ৪০এস স্মার্টফোনটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তরুণ, টেক-স্যাভি ব্যবহারকারী এবং পেশাদারদাররা পাবেন টপ-নচ পারফরম্যান্স ও সুবিধা।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস মডেলটিতে রয়েছে উজ্জ্বল ৬.৭৮-ইঞ্চি থ্রিডি কার্ভড অ্যামলয়েড ডিসপ্লে। ডিসপ্লের ফ্ল্যাগশিপ স্তরের থ্রিডি কার্ভড এজগুলো নান্দনিক আকর্ষণ সৃষ্টি করে, পাশাপাশি এটি ত্রিমাত্রিক দেখার অভিজ্ঞতা দেবে। স্মার্টফোনটির ডিসপ্লের রেজুলেশন ২৪৩৬*১০৮০ পিক্সেল এবং এতে রয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটসহ আল্ট্রা ক্লিয়ার ভিজুয়ালস এবং ফ্লুইড অ্যানিমেশন।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস গেমিং, স্ট্রিমিং এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হতে পারে ভালো বিকল্প। ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং ডিভাইস ব্যবহারের সময় চোখের আরামের জন্য নীল রশ্মি নির্গমনের ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে।
ডিভাইসটিতে আছে ২০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং ৩৩ ওয়াট অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০। এটি ম্যাগ পাওয়ার এবং ম্যাগ প্যাড ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় ব্যবহারকারীরা একই সঙ্গে দ্রুত ও সুবিধাজনক চার্জিং প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস-এর প্রধান আকর্ষণ ব্যাটারি লাইফ। ডিভাইসটিতে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি রয়েছে, যা একবার ফুল চার্জে দিনভর ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ম্যাগচার্জারে ব্যবহারকারীরা ঘরে বা বাইরে ডিভাইসটিকে দ্রুত চার্জ করার সুবিধা পাবেন।
ফটোগ্রাফি, রিলস, ভিডিওতে জেন-জিদের রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। তাদের কথা মাথায় রেখে ইনফিনিক্স নোট ৪০এস ডিভাইসটির ক্যামেরা ফিচারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে, যা নির্বিঘ্নে তাদের সব চাহিদা পূরণ করতে পারে।
ফোনটির প্রধান ক্যামেরা ১০৮ মেগাপিক্সেলের। এ ছাড়াও রয়েছে একটি ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, যা দিয়ে ঝকঝকে নিখুঁত সেলফি তোলা সম্ভব। একই সঙ্গে এতে আছে সুপার নাইট, স্লো মোশন এবং টাইম-ল্যাপসের মতো দরকারি সব মোড, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা কম আলোতে দিনে বা রাতে যেকোনো পরিবেশে অসাধারণ ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে পারবেন।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস স্মার্টফোনটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে দেয়া হয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি ৯৯ চিপসেট, যা মাল্টিটাস্কিং এবং এটি উচ্চ-গতির কর্মক্ষমতার জন্য অপ্টিমাইজ করা। এটি সারা দিন ল্যাগমুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে।
ডিভাইসটিতে আছে ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ। নতুন স্মার্টফোনে ইনফিনিক্সের সবশেষ এক্সওএস ১৪ স্কিনের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ১৪ এর সমন্বয় থাকায় ব্যবহারকারীরা কাস্টমাইজযোগ্য ইন্টারফেসের সুবিধা পাবেন। ডিভাইসটিতে আছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং আইপি ৫৪ ধুলোবালি ও স্প্ল্যাশ প্রতিরোধের মতো বৈশিষ্ট্য, যা এটিকে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সুরক্ষিত এবং টেকসই করে তোলে।
অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এবং ভিনটেজ গ্রিন—এ দুটি রঙে স্মার্টফোনটি বাজারে এসেছে, যার মূল্য মাত্র ২৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। বাজেট ফ্রেন্ডলি ফোনটি ব্যবহারকারীদের একটি প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা দেবে বলে আশা করছে ইনফিনিক্স।
সারা দেশের যেকোনো অফিশিয়াল স্টোর থেকে গ্রাহকরা ইনফিনিক্স নোট ৪০এস স্মার্টফোনটি কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের ডিসপ্লের ক্ষেত্রে প্রথাগত ফ্ল্যাট স্ক্রিন এবং থ্রিডি কার্ভড বা বাঁকানো ডিসপ্লের মধ্যে কোনটি সেরা, সেটি নিয়ে তর্ক চলে আসছে।
উভয় ডিসপ্লেরই বেশ কিছু সুবিধা আছে, তবে নান্দনিকতা ও কার্যকারিতার সমন্বয়ের জন্য বর্তমান তরুণদের কাছে থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে যারা ডিভাইসে নতুনত্ব ও স্টাইল খুঁজছেন, তাদের কাছে কার্ভড ডিসপ্লে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।
এমন বাস্তবতাকে মাথায় রেখে টেক ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স তাদের আসন্ন নোট ৪০ সিরিজের নতুন স্মার্টফোনে থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে যুক্ত করছে।
নতুন মডেলটি তরুণ এবং টেক-স্যাভি ইউজার তথা যারা নতুন প্রযুক্তিপণ্য ও ডিজিটাল গ্যাজেট সহজে ব্যবহার করতে পারেন, ভালোভাবে বুঝতে পারেন, তাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে ইনফিনিক্স। প্রতিষ্ঠানটির মতে, এর মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নের ইনফিনিক্স যে লক্ষ্যে কাজ করছে, তার প্রতিফলন ঘটবে।
ইনফিনিক্স জানায়. শুধু নান্দনিকতার জন্য নয়, থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের বাঁকানো প্রান্তগুলো ব্যবহারকারীদের দেয় এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। পড়াশোনা, গেম খেলা, মোবাইলে প্রিয় অনুষ্ঠান দেখা কিংবা কাজের সময় মাল্টিটাস্কিং করার ক্ষেত্রে মসৃণ অভিজ্ঞতা পান ব্যবহারকারীরা।
অন্যদিকে ডিভাইসের চারপাশে থাকা বাঁকানো কোণাগুলো কেবল দেখতেই দৃষ্টিনন্দন নয়, এটি এর্গোনোমিক গ্রিপ তৈরি করতে সহায়তা করে। ফলে ডিভাইসটিকে আরও হালকা মনে হয় এবং সহজেই বহন করা যায়।
অন্যদিকে ফ্ল্যাট ডিসপ্লে গতানুগতিক, সহজবোধ্য ব্যবহার অভিজ্ঞতা দিলেও থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের মতো এটি ত্রিমাত্রিক নয়। ফ্ল্যাট বা সমান্তরাল ডিসপ্লের ডিভাইস হাতে নিলে একটু হার্ড মনে হতে পারে এবং ভিডিও বা গেম খেলার ক্ষেত্রে তা স্বাচ্ছন্দ্যকর অনুভূতি দেয় না।
দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট ডিসপ্লে টেকসই হলেও কার্ভড ডিসপ্লের মতো এটি মসৃণ, মর্ডান লুক এবং আরামদায়ক অভিজ্ঞতা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই পিছিয়ে। এ ছাড়াও আসন্ন নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে তাদের ডিজাইন করা নমনীয়তা এবং কার্যকারিতার একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ অফার করছে। নতুন নোট সিরিজের মডেলটিতে থাকছে ৩৩ ওয়াটের ফার্স্ট চার্জার।
এটি ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সাধারণত প্রিমিয়াম ডিভাইসে পাওয়া যায়।
ইনফিনিক্স জানায়, ফোনের পেছনে থাকা চার্জারটি দিয়ে সইজেই স্ন্যাপ এবং পাওয়ার আপ করা যাবে, যা প্যাঁচানো ক্যাবলের ঝামেলা থেকে রেহাই দেবে।
প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, দ্রুত গতিসম্পন্ন হওয়ায় একই সঙ্গে এ ডিভাইস শিক্ষার্থী এবং তরুণ পেশাদারদের দ্রুতগতির জীবনধারার সঙ্গে পুরোপুরি উপযুক্ত।
নতুন এ ডিভাইসে যোগ করা হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের একটি মেইন ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা, যাতে করে ঝকঝকে, স্পষ্ট হাই-রেজুলেশনের ছবি পাওয়া যায়।
ফ্ল্যাগশিপের ট্যাগ ছাড়াই গ্রাহকরা স্মার্টফোনটিতে ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল সব বৈশিষ্ট্য পাবেন বলে জানিয়েছে ইনফিনিক্স।
টেক ব্র্যান্ডটি জানায়, রাতে পড়াশোনা থেকে শুরু করে সপ্তাহান্তে অ্যাডভেঞ্চার পর্যন্ত জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো ধারণের জন্য একটি নিখুঁত সঙ্গী হবে এ ডিভাইস।
ইনফিনিক্স আরও জানায়, যারা বাজেট ফ্রেন্ডলি ভালো পারফরম্যান্সের একটি ফোনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন, তাদের জন্য খুব শিগগিরই বাংলাদেশের বাজারে আসতে যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের নতুন ফোনটি।
নোট ৪০ প্রো উন্মোচনের পর যারা ইচ্ছে থাকলেও শুধু বাজেটের কারণে ডিভাইসটি কিনতে পারেননি, তাদের জন্য নতুন ডিভাইসটি চাহিদা এবং বাজেটের সম্বন্বয় ঘটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:আধুনিক মোবাইল গেমগুলোতে দারুণ গ্রাফিক্স ও দ্রুত গতির সঙ্গে প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত ব্যাটারি পারফরম্যান্স ও স্থিতিশীল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। এসব কিছু প্রাধান্য দিয়ে তরুণদের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে ইনফিনিক্স হট সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।
২০২৪ সালের শুরুতে বাজারে এসেছে হট ৪০ সিরিজের প্রথম ফোন ‘ইনফিনিক্স হট ৪০ আই’। পরে বাজারে আসে একই সিরিজের আরও দুই স্মার্টফোন ‘হট ৪০ প্রো’ এবং ‘হট ৪০’।
মেটামেটেরিয়াল অ্যান্টেনা, এক্সবুস্ট গেমিং ইঞ্জিন এবং ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পেয়ার ব্যাটারি লাইফের মতো ট্রেন্ড-সেটিং ফিচার আছে আধুনিক এসব স্মার্টফোনে।
শুরু থেকেই বাজারের সব গেমিং স্মার্টফোন সেগমেন্টে নেতৃত্ব দিয়েছে ইনফিনিক্সের এ তিন ফোন।
গেমিংয়ের সময় গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের মাঝখানে হঠাৎ সংযোগ হারানোর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে হট ৪০ প্রোতে আছে একটি মেটামেটেরিয়াল অ্যান্টেনা। এ ছাড়াও স্মুথ গেমিং নিশ্চিত করতে ফোনটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি ৯৯ প্রসেসর এবং ৮ গিগাবাইট র্যাম।
ফোনটির ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটসহ ৬.৭৮ ইঞ্চি এফএইচডি প্লাস ডিসপ্লেতে আপনার প্রিয় গেমগুলোকে দেখাবে অত্যন্ত মসৃণ ও প্রাণবন্ত।
গেমিংয়ের জন্য ফোনের পারফরম্যান্সকে অপটিমাইজ করতে হট ৪০ প্রোতে রয়েছে গেম মোড এবং গেম টার্বোর মতো ট্রেন্ডিং সব ফিচার।
১০৮ মেগাপিক্সেলের ব্যাক এবং ৩২ মেগাপিক্সলের সেলফি ক্যামেরার ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
হট ৪০ ফোনটির গেম অ্যান্টেনা ফোনের ওয়াইফাই জোনকে বর্ধিত করে। আধুনিক এই প্রযুক্তি গেমিংয়ের সময় সিগন্যাল রিসিপশন বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করেছে ইনফিনিক্স। এতে গেমাররা কোনো প্রকার আটকে যাওয়া ছাড়াই গেমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবে।
গেমিংয়ের সব চাহিদা পূরণে যথেষ্ট মসৃণ ডিসপ্লের ফোনটিতে আরও আছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ প্রসেসর ও ৮ গিগাবাইট র্যাম। একই সঙ্গে আছে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পেয়ার এবং ৩৩ ওয়াটের ওয়্যারড চার্জিং অ্যাডাপটর, যা দিয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ চার্জ হতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট।
বর্তমানে এ গেমিং ফোনটির দাম ১৭ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
হট ৪০ সিরিজের সবচেয়ে সাশ্রয়ী গেমিং ফোন হচ্ছে ইনফিনিক্স হট ৪০ আই। নির্ঝঞ্ঝাট গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে ফোনটিতে রয়েছে অক্টাকোর ইউনিসক টি ৬০৬ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম এবং ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। আধুনিক ফিচারের ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা।
হট ৪০ সিরিজ ছাড়াও ইনফিনিক্সের আছে হট ৩০ সিরিজ। এ সিরিজের ফোনগুলোতে মিলবে দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ ও ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা।
প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের বাড়তি চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন এনে গেমিং স্মার্টফোনের বাজারকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে চলেছে ইনফিনিক্সের হট সিরিজ। দেশের যেকোনো অফিশিয়াল শোরুম থেকে কিনতে পারবেন পছন্দের ইনফিনিক্স স্মার্টফোন।
আরও পড়ুন:সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রোববার শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর অনেক জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার অপারেটরদের ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক মিডিয়া ব্লক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এর ছয় ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেয়া হয়। তার একদিন পর আবারও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো।
কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ আয়োজনের কথা জানান আন্দোলনের সমন্বয়করা। এছাড়া রাজধানীতে সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১০, রামপুরা, তেজগাঁও, ফার্মগেট, পান্থপথ, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় বিক্ষোভ এবং গণসমাবেশ আয়োজনের কথা রয়েছে।
কর্মসূচি সফল করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য