একের পর এক হামলার মুখে পড়ে ত্রিপুরায় একই সুরে বিজেপিকে আক্রমণের নিশানা করেছে সিপিএম ও তৃণমূল।
কয়েকদিন আগে ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার তার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ধনপুরে যাওয়ার পথে তার গাড়িবহরে বিজেপির দুষ্কৃতকারীদের হামলার অভিযোগের পর বুধবার গোমতী জেলার উদয়পুরে ডিওয়াইএফআইয়ের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে সিপিএম ও বিজেপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ত্রিপুরা।
আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় আগরতলা, বিশালগড়, কাঠালিয়ায় সিপিএমের পার্টি অফিসে। একাধিক গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি, আগুন দেয়া হয় রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রতন ভৌমিকের গাড়িতে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দপ্তরেও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
বুধবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ‘মানুষ চাকরি চায়। খাদ্য চায়। গণতান্ত্রিক পরিবেশ চায়। এই দাবিকে দাবিয়ে রাখতে এরকম আক্রমণ করা হচ্ছে। বিজেপির মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে। ওরা নিজেরাও তা বুঝতে পারছে।’
অন্যদিকে ত্রিপুরার কৃষিমন্ত্রী বিজেপির প্রাণজিৎ সিংহ রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, ‘অনুমতি না নিয়ে মিছিল বের করেছিল সিপিএমের যুব সংগঠন। বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী মফিজ মিঞাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এমন সংঘর্ষের জন্য দায়ী তারাই।’
কিছুদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজা দিতে যাওয়ার সময় তার গাড়িবহরে বিজেপির দুষ্কৃতিকারীরা হামলা করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের যুব নেতৃত্বের ওপরও বিজেপির দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সদস্যদের হোটেল বন্দি করে রাখার অভিযোগ রয়েছে বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।
সিপিএমের যুব সংগঠনের মিছিলে বিজেপির হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের রাজ্যে দুয়ারে গুন্ডার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’
বুধবারের ঘটনার পর জয়া দত্ত ও আশীষ লাল সিংহের মতো তৃণমূল নেতৃত্ব সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে কথা বলেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সুস্মিতা দেব অগ্নিদগ্ধ একটি সংবাদমাধ্যমের অফিস পরিদর্শনে যান। এ ঘটনায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিজেপির তীব্র নিন্দা করেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপির সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ত্রিপুরা জুড়ে বিশাল মিছিল করে সিপিএম। এদিন মানিক সরকার বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ঘৃণা বাড়ছে।’
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ সিপিএম কর্মীরা তাদের আক্রমণ করেছে। এমন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে অগ্নিদগ্ধ ত্রিপুরার রাজনীতি।
২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে দলীয় সংগঠন মজবুত করতে গিয়ে তৃণমূলও সিপিএমের মতো বিজেপির হামলার মুখে পড়ছে। এই পরিস্থিতিই বিজেপিবিরোধী জোট গঠনে সিপিএম ও তৃণমূলকে কাছাকাছি আনছে।
আরও পড়ুন:ভারতের ইতিহাসে বিরতম ট্রেন দুর্ঘটনা। এটিকে একুশ শতকের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিয়তির পরিহাস কাকে বলে, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। বাবা-মা কোনোক্রমে রক্ষা পেলেও শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের সন্তানরা। নিজে বেঁচে গেলেও এখন সেসব বাবা-মায়ের সব হারানোর বুক ফাটা কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে দুর্ঘটনাস্থল ও আশেপাশের হাসপাতালগুলো।
৪০ বছর বয়সী লালজি সাগাই। বর্তমানে তার বড় ছেলের ঠাঁই হয়েছে সরো হাসপাতালের মর্গে। আর ছেলের মরদেহ পেতে হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন মা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন বিহারের মধুবনীর বাসিন্দা লালজি সাগাই। উন্নত জীবনের আশা নিয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা।
পেশায় নিরাপত্তাকর্মী লালজি ভেবেছিলেন তার মতোই কাজ করবে দুই সন্তান। কিন্তু নিয়তির লিখন ছিল ভিন্ন।
চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সাধারণ কোচের যাত্রী ছিলেন মা ও দুই ছেলে। শুক্রবারের দুর্ঘটনায় লালজির ছোট ছেলে ইন্দর বেঁচে গেলেও বড় ছেলে সুন্দরের মৃত্যু হয়।
বালেশ্বরের সরোতে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিজের ছেলের মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে লালজি সাগাই বলেন, ‘আমরা ৯ জনের একটি দল চেন্নাই যাচ্ছিলাম। সেখানে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করি আমি। যেহেতু আমাদের গ্রামে কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই, তাই আমি পরিবারের জন্য অতিরিক্ত আয় নিশ্চিত করতে দুই ছেলেকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু নিয়তি আমাদের জন্য এমন কিছু পরিকল্পনা করেছিল, যা আমি দুঃস্বপ্নেও অনুমান করতে পারিনি।’
সাগাই যখন কথা বলছিলেন, কষ্টে তার গলা বুজে আসছিল। বুকফাঁটা কান্না আটকে মধ্যবয়সী মা বলতে থাকেন, ‘দুর্ঘটনায় আমার বড় ছেলে মারা গিয়েছে। নিজের হাতে ছেলের লাশ সরিয়েছি।’
খরচ যাই হোক, ছেলের মরদেহ নিয়ে গ্রামে ফিরতে চান তিনি।
আরও পড়ুন:ভারতের কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসকে প্রথমে মূল লাইনে প্রবেশের সংকেত দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর সেই সংকেত তুলে নিলে ট্রেনটি বাড়তি লাইনে প্রবেশ করে।
ফলে সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়।
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার এখানেই সূত্রপাত বলে প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভারতীয় রেলের চার সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাতে ওই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে মূল লাইন দিয়ে অতিক্রমের অনুমতি দেয়ার পরও তা সরিয়ে নেয়া হয়। কেন এমনটা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
সংকেতের ওই গরমিলে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে এর বগি লাইনচ্যুত হয়ে অপর লাইনে গিয়ে পড়ে।
একই সময়ে বিপরীত দিকের মূল লাইন দিয়ে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটির ইঞ্জিন মালবাহী ট্রেনের ওপর গিয়ে পড়ে।
এদিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দায়ীদের সনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত আট শতাধিক যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) ও ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত আট শতাধিক যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) ও ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
শেষ খবর অনুযায়ী আহত যাত্রীদের গোপালপুর, খান্তাপাড়া, বালেশ্বর, ভাদরাক ও সোরো এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দায়ীদের সনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
এর আগে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, দুই ট্রেনের পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয় মালবাহী একটি ট্রেনও।
ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবিন পট্টনায়েক রাজ্যে এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার একুশ শতকের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মমতা এ মন্তব্য করেন বলে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বালেশ্বরে তিন ট্রেনের দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ২৬১ জনের। এ দুর্ঘটনায় আহত হন শত শত যাত্রী।
মমতা বলেন, ‘করমন্ডল সবচেয়ে ভালো এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর একটি। আমি তিনবার রেলমন্ত্রী ছিলাম। সেই জায়গা থেকে দেখেছি, এটি একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। এ ধরনের ঘটনাগুলোর ভার অর্পণ করা হয় রেলওয়ের নিরাপত্তা কমিশনের হাতে এবং তারা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি, ট্রেনটিতে সংঘর্ষ প্রতিরোধী কোনো ডিভাইস ছিল না। ট্রেনে এ ধরনের ডিভাইস থাকলে এ ঘটনা ঘটত না…যাদের প্রাণ গেছে, তাদের আর ফিরিয়ে আনা যাবে না, তবে এ মুহূর্তে আমাদের কাজ হলো উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।’
মমতা জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেককে দেয়া হবে ১ লাখ রুপি। এ ছাড়া সামান্য আহত প্রত্যেকে পাবেন ৫০ হাজার রুপি।
ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার তিন ট্রেনের দুর্ঘটনায় নিহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মমতা এ তথ্য জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেককে দেয়া হবে ১ লাখ রুপি। এ ছাড়া সামান্য আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।
এএনআই জানায়, ট্রেন দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৬১ জন। আহত যাত্রীদের গোপালপুর, খান্তাপাড়া, বালেশ্বর, ভাদরাক ও সোরো এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, দুই ট্রেনের পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয় মালবাহী একটি ট্রেনও।
ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শত শত যাত্রী।
ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই)।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৬১। আহত যাত্রীদের গোপালপুর, খান্তাপাড়া, বালেশ্বর, ভাদরাক ও সোরো এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, দুই ট্রেনের পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয় মালবাহী একটি ট্রেনও।
ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবিন পট্টনায়েক রাজ্যে এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
ক্ষতিপূরণ
রেলমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রত্যেকের পরিবার পাবে ১০ লাখ রুপি। মারাত্মক আহত ব্যক্তিদের ২ লাখ রুপি এবং সামান্য আহত যাত্রীদের ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।
দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রণালয় প্রদেয় অর্থের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৩৮ জন নিহত ও প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক ও বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
ভারতে এমন ট্রেন দুর্ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে বড় বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমন কিছু দুর্ঘটনার সময় ও তাতে হতাহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে ভারতভিত্তিক বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই)।
৬ জুন, ১৯৮১
ওই দিন বিহার রাজ্যে সেতু অতিক্রম করার সময় একটি ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে বাগমতী নদীতে পড়ে। এতে ৩০০ জনের বেশি যাত্রী নিহত হয়।
২০ আগস্ট, ১৯৯৫
ওই দিন উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলার পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস নামের ট্রেনের সঙ্গে কালিন্দী এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। এতে ৪০০ জন নিহত হয়।
২ আগস্ট, ১৯৯৯
ওই দিন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গাইসাল স্টেশনে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের সঙ্গে অবাধ আসাম এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৮৫ জন নিহত ও তিন শতাধিক যাত্রী আহত হয়।
২৬ নভেম্বর, ১৯৯৮
ওই দিন পাঞ্জাব রাজ্যের খান্না এলাকায় জম্মু তাওয়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি ধাক্কা খায় ফ্রন্টিয়ার গোল্ডেন টেম্পল মেইলের লাইনচ্যুত তিন বগিতে। এতে ২১২ জনের বেশি যাত্রী নিহত হয়।
৯ সেপ্টেম্বর, ২০০২
ওই দিন গয়া ও দেহরি-অন-সোন স্টেশনের মধ্যবর্তী একটি সেতু থেকে লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসের দুটি বগি। এতে ১৪০ জনের বেশি যাত্রী নিহত হয়।
২৮ মে, ২০১০
ওই দিন খেমাসুলি ও সারদিহা স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত হয়ে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায় জনেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস। এতে অন্তত ১৪০ জনের প্রাণহানি হয়।
২০ নভেম্বর, ২০১৬
ওই দিন উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে পুখরায়ন এলাকায় ইন্দোর-রাজেন্দ্র নগর এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ১৫২ জন নিহত ও ২৬০ জন আহত হয়।
২৯ অক্টোবর, ২০০৫
ওই দিন অন্ধ্র প্রদেশের বালিগোন্ডা এলাকায় আকস্মিক বন্যায় রেল সেতু ধসে পড়ার কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে ডেল্টা ফাস্ট নামের ট্রেন। এতে কমপক্ষে ১১৪ জন নিহত ও দুই শতাধিক যাত্রী আহত হন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য