অস্তিত্ব সংকটে থাকা ভালুক আকৃতির বড় পান্ডার যমজ সন্তান জন্মদানের ঘটনা বাড়ছে। ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি যমজ সন্তান জন্ম দিয়েছে জায়ান্ট পান্ডা।
আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কঠিন এ কাজকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
চীনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির আধুনিকায়ন করে জায়ান্ট পান্ডাদের যমজ সন্তান জন্মদানে সক্ষম করা হচ্ছে।
স্পেনের মাদ্রিদ চিড়িয়াখানায় গত সোমবার এক জোড়া সন্তানের জন্ম দেয় হুয়া জুইবা নামের একটি জায়ান্ট পান্ডা। চীনের সিচুয়ান প্রদেশের অবস্থিত শেংদু রিসার্চ বেইজ অফ জায়ান্ট পান্ডা ব্রিডিংয়ের আবিষ্কার ছিল হুয়া জুইবা।
চলতি বছর জাপান, জার্মানি আর চীনে বেশ কয়েকটি জায়ান্ট পান্ডা যমজ সন্তান জন্ম দিয়েছে। নিছক সৌভাগ্য কিংবা কাকতালীয় নয় এসব ঘটনা। পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে পুরো বিষয়টিকে সম্ভব করেছেন বিজ্ঞানীরা।
স্পেনে জন্ম নেয়া যমজ ভাইবোন পান্ডা দুটির আকৃতি কবুতরের সমান। পুরুষ পান্ডাটি শূন্য দশমিক ১৩৭ কেজি ও নারী পান্ডাটি শূন্য দশমিক ১৭১ কেজি ওজন নিয়ে জন্মেছে।
চীনা বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে দুই সন্তানের জন্ম দেয় মা পান্ডা।
চলতি বছরের এপ্রিলে প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী পান্ডাটি একটি পুরুষ পান্ডার সংস্পর্শে যায়। তখন থেকেই স্ত্রী পান্ডাটিকে নজরদারিতে রাখতে শুরু করেন চীনা বিজ্ঞানীরা। নিয়মিত তার স্বাস্থ্যপরীক্ষার পাশাপাশি স্প্যানিশ চিড়িয়াখানায় পান্ডার জন্মদানে সহযোগিতাকারী কর্মীদেরও সাহায্য করেন তারা।
আচরণগত পরিবর্তন ও মূত্রের হরমোন পরীক্ষা করে চীনা বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নেন, পান্ডাটির গর্ভধারণের সেরা সময় ১৩-১৪ এপ্রিল।
সে অনুযায়ী পান্ডাটির দেহে কৃত্রিমভাবে দুইবার বীর্য প্রবেশ করাতে স্প্যানিশ গবেষকদের নির্দেশনা দেন চীনা বিশেষজ্ঞরা।
১৪ আগস্টের দিকে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল হুয়া জুইবা। একই সঙ্গে তার ঘুম বেড়ে গিয়েছিল। গর্ভাবস্থায় পান্ডাদের জন্য এটি স্বাভাবিক আচরণ।
বিষয়টি মাদ্রিদের বিশেষজ্ঞদের জানায় চীনা বিশেষজ্ঞ দল। উভয়পক্ষই পান্ডাটির সন্তান জন্মের সময় উপস্থিত থাকতে ও সহযোগিতা করতে দুইজন বিশেষজ্ঞকে চিড়িয়াখানায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
৩১ আগস্ট দুইজন বিশেষজ্ঞ স্পেনে পৌঁছান এবং চিড়িয়াখানার কর্মীদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে শুরু করেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর নিরাপদেই দুই সন্তানের জন্ম দেয় হুয়া জুইবা।
এর আগে ফ্রান্সে হুয়ান হুয়ান ও জাপানে ঝেন ঝেন নামের দুটি জায়ান্ট পান্ডা যমজ সন্তান জন্ম দেয়।
অস্তিত্ব সংকটে থাকা জায়ান্ট পান্ডার বংশরক্ষায় কৃত্রিম প্রজনন কর্মসূচি চালু করেছে চীনের বিভিন্ন চিড়িয়াখানা।
গত ১০ জুন চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে শংকিং চিড়িয়াখানায় জোড়া পান্ডা জন্ম দেয়া মাং জাই নামের একটি জায়ান্ট পান্ডা। শিশু দুটির ওজন ছিল যথাক্রমে শূন্য দশমিক ১৬১ কেজি ও শূন্য দশমিক ১৫১ কেজি।
পান্ডা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার কারণে যমজ পান্ডা জন্মের ঘটনা বাড়ছে।
শেংদু রিসার্চ বেইজের পান্ডা বিশেষজ্ঞ উ কোংজু জানান, এককালে শুধু পান্ডাদের আচরণগত পরিবর্তন দেখে তাদের প্রজননের সময় নির্ধারণ করা যেত। কিন্তু এখন, গত এক দশক ধরে তাদের হরমোনে পরিবর্তনসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য দেখে আরও সঠিকভাবে এটি নিশ্চিত করা যায়।
চিড়িয়াখানায় থাকা স্ত্রী পান্ডাদের ঋতুচক্রও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। সফল গর্ভধারণ নিশ্চিতে প্রাকৃতিকভাবে স্ত্রী ও পুরুষ পান্ডাদের মিলিত হতে দেয়ার পাশাপাশি প্রায়ই নারী পান্ডার দেহে কৃত্রিমভাবে বীর্য প্রবেশ করা বিজ্ঞানীরা।
দুই বা ততোধিক পুরুষ পান্ডার বীর্য ব্যবহার করে একই সঙ্গে দুই বা তিনটি সন্তান ধারণে সক্ষম করা যায় একেকটি স্ত্রী পান্ডাকে। এক্ষেত্রে জোড়ায় জন্ম নেয়া পান্ডার পিতা দুটি পান্ডাও হতে পারে।
এ ছাড়া পান্ডার জন্ম বৃদ্ধির দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে পান্ডাদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারা। বন্য পান্ডাদের তুলনায় চিড়িয়াখানায় থাকা পান্ডারা উন্নত মানের খাবার পায়। ফলে চিড়িয়াখানায় থাকা পান্ডারা গর্ভধারণও করে বেশি।
স্ত্রী পান্ডার উর্বরতা ও গর্ভধারণের জন্য পুষ্টি খুবই জরুরি বিষয়। অলস বলে বন্য পান্ডাদের খাবার খুঁজতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তাই একবারে তারা একটির বেশি সন্তান জন্ম দিতে পারে না।
সে তুলনায় চিড়িয়াখানায় থাকা পান্ডারা প্রতি বেলায় ভালো খাবার পায় এবং একাধিক সন্তান জন্মদানে সক্ষম হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:তৃতীয় কন্যা সন্তানের বাবা হলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসে কন্যা সন্তানের বাবা হওয়ার কথা জানান তিনি। সেখানে নিজের মেয়ের নামও জানিয়েছে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা।
পোস্টে জাকারবার্গ লেখেন, বিশ্বে স্বাগতম, অরেলিয়া চ্যান জাকারবার্গ!
এর আগে বুধবার রাতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন জাকারবার্গ৷
মার্ক জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের পরিচয় হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ ২০০৩ সালে প্রেমের সূত্রপাত হলেও একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন ২০১০ থেকে৷ দু বছর লিভ ইন সম্পর্কের পর দু’জনে বিয়ে করেন ২০১২ সালে৷ সে বছরই প্রিসিলা ডাক্তারি শিক্ষা সম্পন্ন করেন৷
২০১৫-এ জন্ম হয় তাদের প্রথম সন্তানের ৷ বড় মেয়ের নাম তারা রাখেন ম্যাক্সিমা চ্যান জাকারবার্গ ও দ্বিতীয় মেয়ের নাম আগস্ট চ্যান জাকারবার্গ।
আরও পড়ুন:আগুন লাগা বা তার আগে ধোঁয়া দেখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয়টি শনাক্ত করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা। আগুন লাগার খবর, লোকেশন, আগুন নেভানোর জন্য কাছাকাছি পানির উৎসসহ যাবতীয় তথ্য পৌঁছে যাবে রেসপন্স টিম ও প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে। তাতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাধারণ সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়েই এআই বেইজড ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ওয়ার্নিং সিস্টেমটি তৈরি করেছেন।
এই শিক্ষার্থীরা স্ট্রেংদেনিং আরবান পাবলিক-প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স (সুপার) কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাদের উদ্ভাবিত কৃত্রিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এই ফায়ার ডিটেকশন ও ওয়ার্নিং সিস্টেম ইতোমধ্যে রাজধানীর কল্যাণপুর বস্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রযুক্তি আগুন ও জলাবদ্ধতা সংক্রান্ত দুর্যোগ ঝুঁকির আগাম পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। সে সুবাদে এটির ব্যবহারে দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দুর্যোগ ঝুঁকি নিরসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ বিষয়ক কর্মশালায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান ড. খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সিস্টেম তৈরি করেছেন।
খলিলুর রহমান কর্মশালায় জানান, এই প্রযুক্তি তারা প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে স্থাপনের বিষয়ে কাজ করছেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউমেনিটেরিয়ান এইড -এর অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগের ঝুঁকি নিরসনে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ঝুঁকি নিরসনের জন্য ঘরে ঘরে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখতে হবে।
‘দুর্যোগ প্রতিরোধে প্রশিক্ষিত দল তৈরির পাশাপাশি বাসাবাড়িতে আগুন ও অন্যান্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এমন সরঞ্জামের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।’
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড পারপাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাপ্পা গঞ্চিকারা, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও জরুরি সাড়াদান ইউনিটের প্রধান মাসুদ রানা এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান সাদিয়া হামিদ কাজী।
প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে অ্যাকশনএইড, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ইউনাইটেড পারপাস ও ওয়ার্ল্ড ভিশন। এই প্রকল্পে কৌশলগত সহায়তাকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দফতর (ইউএনআরসিও)।
ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আইনানুগভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার সুপারিশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির ১২তম বৈঠকে এমন সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
বৈঠকে কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সদস্য বেগম সিমিন হোসেন (রিমি), মুহম্মদ শফিকুর রহমান, মো. মুরাদ হাসান ও খ. মমতা হেনা লাভলী অংশ নেন।
কমিটির ১১তম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ ও গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে প্রদর্শিত অডিও-ভিডিও প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সংগ্রহ করে সারাদেশে প্রচারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন/আইপি টেলিভিশন এবং অনলাইন রেডিও নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সচেতনভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
‘The Censorship of Films Act, 1963 (Amended 2006)’ যুগোপযোগী করার জন্য ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়নে কার্যক্রম গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
এছাড়া বাংলাদেশ বেতারের অর্গানোগ্রাম (পদ সৃজন) ফাইলটি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:পুরুষ ইঁদুরের কোষ থেকে ডিম্বাণু তৈরি করে প্রথমবারের মতো ইঁদুরশাবকের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা।
জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চেভেলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ন্যাচারে প্রকাশিত গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা৷ এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যাপত কাতসুহিকো হায়াশি৷
গবেষণাপত্রের পাশাপাশি একটি ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির স্টেম সেল এবং প্রজনন বিশেষজ্ঞ ডায়ানা লেয়ার্ড এবং তার সহকর্মী জোনাথন বায়ের্লের একটি মন্তব্যও প্রকাশ হয়েছে৷ তাদের মতে এই গবেষণাটি ‘প্রজনন গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে'৷
তারা লিখেছেন, সমকামীদের ক্ষেত্রে অন্যের ডিম্বাণু ব্যবহারের নৈতিক এবং আইনি সংকট এড়িয়ে নিজেদের সন্তান জন্মদানের সুযোগও তৈরি করছে এই গবেষণা ৷
হায়াশি অবশ্য বলছেন, এই গবেষণা এখনও একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ গত সপ্তাহে লন্ডনের ক্রিক ইনস্টিটিউটে জিন এডিটিং সম্মেলনে তিনি বলেন, ইঁদুর এবং মানুষের মধ্যে অনেক বড় পার্থক্য রয়েছে৷
২০১৮ সালে এক চীনা গবেষণায় দুই নারী ইঁদুর থেকে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু পুরুষ ইঁদুর থেকে সন্তান জন্ম দিতে পারলেও তাদের বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি৷
জাপানের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় একটু ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছেন৷ তাদের গবেষণায় পুরুষ ইঁদুর থেকে জন্ম দেয়া শাবক স্বাভাবিকভাবে বড় হয়েছে, নিজেরাও আবার ছানার জন্ম দিয়েছে৷
এই পদ্ধতিতে প্রথমে পুরুষ ইঁদুরের লেজ থেকে একটি কোষ নেয়া হয়েছে৷ এরপর সেই কোষকে স্টেম সেলে রূপ দেয়া হয়েছে৷
এরপর পুরুষ ইঁদুরের সেই স্টেম সেলকে নারী কোষে, তারপর সেটিকে ডিম্বাণুতে রূপান্তর করা হয়েছে৷ এরপর সেই ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে এক নারী ইঁদুরের গর্ভে স্থাপন করা হয়েছে৷
গবেষণাটি এখনও একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং যে পদ্ধতি এখানে অনুসরণ করা হয়েছে সেটা এখনও অনেক অপর্যাপ্ত ৷
গবেষণায় ৬৩০টি ভ্রুণ নারী ইঁদুরের গর্ভে স্থাপন করা হলেও কেবল এর সাতটি থেকেই সন্তান জন্ম দেয়া গেছে৷
কেন এত অল্প সংখ্যক ভ্রুণ বাঁচলো সেটি এখনও গবেষকেরা নিশ্চিত হতে পারেননি৷
মানুষের স্টেম সেলে কিভাবে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে, সেটিও নিশ্চিত নন গবেষকেরা৷
জিনের পরিবর্তন ঘটানোর প্রক্রিয়ায় ভুল বা অন্য কোনো কারণে যেসব জটিলতা তৈরি হতে পারে, সে বিষয়ে বিজ্ঞানীদের সতর্ক থাকার ওপর জোর দিয়েছেন লেয়ার্ড৷
আরও পড়ুন:কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় আমরা কোনো কিছু কপি করে পেস্ট করতে ভুলে যাই। আগেরটার বদলে অন্য একটা কপি করে ফেলি। এতে আগের কপি করা আইটেমটা হারিয়ে যায়।
এই সমস্যার সমাধান পেতে হলে আপনাকে উইন্ডোজের স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে সার্চ করতে হবে ‘ক্লিপবোর্ড সেটিংস’।
সেখান থেকে ‘ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি’ সচল করে দিতে হবে। এরপর থেকে আপনি যা কিছু কপি করবেন তার মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫টি আইটেম আপনার উইন্ডোজের ক্লিপবোর্ড হিস্ট্রিতে সংরক্ষণ থাকবে।
আপনি ‘windows+ v’ চাপতে পারেন এবং আপনার পছন্দমতো জায়গাতে পেস্ট করতে পারেন।
নারী উদ্যোক্তা ফোয়ারা ফেরদৌসকে নিয়ে ‘ঘর সামলাই, ব্যবসাও সামলাই’ শিরোনামে দেয়া মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রামীণফোনের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ওই পোস্টের পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলছেন অনেকে।
গ্রামীণফোনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রোববার পোস্টটি দেয়ার পরপরই শেয়ার হতে থাকে এটি। নানা ক্যাপশন যোগ করে বা ছবি দিয়ে এ নিয়ে লিখেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
ফেসবুকে ওই নারী উদ্যোক্তার একটি ছবি দিয়ে গ্রামীণফোনের পোস্টে তার দু পাশে লেখা হয়েছে ‘ঘর সামলাই, ব্যবসাও সামলাই’।
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘গৎবাঁধা চাকরির গণ্ডিতে থাকতে চাননি তিনি। স্বাধীনভাবে কাজ করতে, উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ফোয়ারা ফেরদৌস। ফেসবুকে পটের বিবি নামে পেইজ খুলে শুরু করেন ব্যবসা।’
এতে লেখা হয়েছে, ‘একদিকে সংসার সামলে, অন্যদিকে সামলেছেন ব্যবসা। শুধু তিনিই না, তার এ উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। বন্ধ হতে যাওয়া ৩০ বছরের পুরোনো ব্লকের কারখানা চালু হয়েছে আবারও! কে বলে মেয়েরা ব্যবসা বোঝে না!’
কেউ বলেছেন, চাকরি নারীর নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এর সঙ্গে ঘরও সামলাতে হবে বলে পোস্টে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা ঠিক নয়। আবার পোস্টটিকে ইতিবাচক বলেছেন কেউ কেউ।
গ্রামীণফোনের পোস্ট করা ছবি শেয়ার করে অর্জয়িতা রিয়া লিখেছেন, ‘কোনো মেয়ে যদি ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে ঘরও সামলায়, এর মানে এই না যে তাদের হাজবেন্ডদেরকে গ্রামীণফোন ঘর সামলাতে নিষেধ করছে।
‘যারা বিজ্ঞাপনটার সমালোচনা করছেন, তাদের কথা শুনলে মনে হয় ঘর সব নারীরা না, পুরুষেরা সামলাচ্ছে। বিজ্ঞাপনে এরকম বলা হলে বরং মিথ্যা প্রচারণা হবে। গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ তারা এই প্রচলিত মিথ্যাচারটা করেনি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘যা হওয়া দরকার, করপোরেট হাউজগুলো সেগুলো যেন হচ্ছে বা হয়েছে সেভাবে দেখায়। এই মিথ্যাচারের প্রভাবেই আপনাদের মধ্যেও ধারণা হয়েছে যে পুরুষগুলি খুব ঘর সামলাচ্ছে। বাস্তবতা বুঝতে শিখুন। যা বাস্তবে নাই, বিজ্ঞাপনের ওপর তার দায় চাপাবেন না।’
আঁখি ভদ্র লিখেছেন, ‘একটু খেয়াল রাখবেন, বিজ্ঞাপনের ভাষার কারণে ব্যক্তি ফোয়ারা ফেরদৌস-এর ওপর যেন কাঁদা না ছিটে। শী ইজ আ স্টার। প্রচুর প্রচুর মেয়ে তাকে দেখে সাহস করেছে ব্যবসায় উদ্যগী হতে। তিনি পেরেছেন। তবে বিজ্ঞাপনের ভাষার সাথে আমিও একমত নই।’
তামান্না সেতু লিখেছেন, ‘বরং তাদের (পুরুষ) কাজ তাদের সামলাতে দিন। আপনারটা আপনি সামলান।’
উদিসা ইসলাম লিখেছেন, ‘ঘরও কিন্তু সামলাইতে হবে-মোড়ল গ্রামীণফোনে কইসে।’
শাশ্বতী বিপ্লব লিখেছেন, ‘ঘর তো সামলাইতেই হইবো। সাথে স্বামীও। না সামলাইলে ব্যবসাটা সামলানোর অনুমতি পাইবেন না। ঘর সামলানোর ক্লান্তি নিয়া ব্যবসা সামলাইবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফোয়ারা ফেরদৌস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। গ্রামীণফোন পোস্ট দিয়েছে, তাদের বক্তব্য নিতে পারেন।’
গ্রামীণফোনের সঙ্গে এ ব্যাপারে ফোন ও ফেসবুকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:নেটওয়ার্ক নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিমকার্ড ব্যবহারকারীরা যখন ভোগান্তিতে পড়েন তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের তাদের অপারেটরে চলে আসার আহ্বান জানিয়েছিল বাংলালিংক।
বাংলালিংকের এমন কাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশের আরেক মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা।
গত বৃহস্পতিবার ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে গ্রামীণফোনের সিমকার্ড ব্যবহারকারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে বাংলালিংকের ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়ে বলা হয়, ‘চলে আসুন বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন FASTEST 4G নেটওয়ার্ক বাংলালিংক-এ আর কানেক্টেড থাকুন সবসময়, সবখানে।’
পোস্টের কমেন্টে ব্যবহারকারীরা লিখছেন নানা মন্তব্য। কেউ কেউ একে দেখছেন গ্রামীণফোন কোম্পানিকে খোঁচা দেয়া হিসেবে। একজন লিখেছেন, কারও পৌষ মাস,কারও সর্বনাশ! আরেকজন লিখেছেন, সুযোগ পেয়েছে আজকে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, এক অপারেটেরের গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করে পরিস্থিতির সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করতে দেখে হতাশ হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হলোর ধারাবাহিকভাবে ব্যতিক্রমী পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহক বৃদ্ধি করা, অন্যায্য কৌশল অবলম্বন করে নয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমরা প্রতিদিন নিজেদেরকে ক্রমাগত উন্নয়ন ঘটাতে সফল হবো।
আমরা ইন্ডাস্ট্রির বাকি বন্ধুদের সঙ্গে মিলে একটি #SmartBangladesh গড়ায় অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ!
এদিকে বাংলালিংক দুঃসময়ের সুযোগ নিলেও কোম্পানিটির ৪ কোটি গ্রাহক হওয়ায় শুক্রবার তাদের অভিনন্দন জানিয়েছে গ্রামীণফোন। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গ্রামীণ ফোনের পক্ষ থেকে পোস্ট করা একটি কার্ডে লেখা হয়, অভিনন্দন বাংলালিংক ৪ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জনে। এর ওপরে ক্যাপশনে লেখা হয়, স্মার্ট বাংলাদেশের পথে banglalink digital, grameenphone,robi এবং teletalk-সবার সঙ্গে কাজ করার এখনই সময়।
গ্রামীণফোন ধন্যবাদ জানানোর পর কোম্পানিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে একটি কার্ড পোস্ট করেছে বাংলালিংকও। সেখানে বলা হয়, ধন্যবাদ গ্রামীণফোন আমাদের ৪ কোটি মাইলফলক অর্জনে শুভেচ্ছার জন্য। চলো প্রতিটি গ্রাহকদের জন্য নিশ্চিত করি নিজেদের সেরাটাই; একে অপরকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাই।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য