বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিটকয়েনকে সরকারি মুদ্রা ঘোষণা করেছে মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর।
বিটকয়েনের ১২ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো দেশ, যারা তাদের লেনদেনে ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে বিটকয়েনকে সরকারি মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করল।
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলক চালু করা ডিজিটাল মুদ্রাটি মানুষজন ডলারের পাশাপাশি কীভাবে লেনদেন করেন এবং কত মানুষ এতে আগ্রহী হন তা দেখতে চায় দেশটি।
এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে উৎসাহী ও এর বিরোধী উভয় অংশের মানুষের মতামত নেয়া হবে। সেই সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সি মধ্য আমেরিকান দেশটির মানুষের ওপর কতটা প্রভাব রাখতে পারে সেটিও দেখার কথা বলেছে দেশটির সরকার।
এ জন্য সালভাদর ৪০০ বিটকয়েন কিনেছে। যার বর্তমান মূল্য ২ কোটি ডলার। এ ছাড়া দেশটি আরও ‘অনেক’ বিটকয়েন কেনার পরিকল্পনা করেছে বলে টুইট করে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে।
প্রথম লটে তারা ২০০টি বিটকয়েন নিয়ন্ত্রণে পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরীক্ষাটি যদি সফল হয়, তবে অন্য দেশ এল সালভাদরকে অনুসরণ করবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিটকয়েন ওয়ালেট চিভো চালু করছে, ওয়ালেটে আগে থেকেই ৩০ ডলার লোড করা থাকবে। ওয়ালেটের নিবন্ধন করতে দেশটির জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়া ব্যবসা ও সরকারকে কর পরিশোধের ক্ষেত্রে বিটকয়েন ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করার কথা জানায় সালভাদরের সরকার।
দেশটির ৪০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে বলেন, ‘বিটকয়েন আর্থিক ব্যবস্থায় আরও বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করবে এবং রেমিট্যান্স পাঠানো আরও সহজ করবে।’
যদিও এরই মধ্যে দেশটিতে বিটকয়েন চালু করা নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন, বিটকয়েনকে কোনোভাবেই যেন সরকারি মুদ্রা করা না হয়।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বিটকয়েন স্বাভাবিক লেনদেনে কিছুটা সমস্যা দেখছেন এর দাম ওঠানামায়।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতি বিটকয়েনের দাম ছিল ১০ হাজার ডলার। সেটা চলতি বছর এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ডলারে। দুই মাস পরে তার দাম কমে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ডলারে।
সবশেষ বুধবার প্রতি বিটকয়েনের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৪৪৬ ডলারে।
আরও পড়ুন:অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপের সুফল মিলতে শুরু করেছে। করোনা মহামারি আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ ধরে বিশ্বব্যাপী তৈরি হয় ডলার সংকট। বিশ্ব বাণিজ্যের বড় অংশই যেহেতু নিয়ন্ত্রণ হয় ডলারে, সেহেতু যুদ্ধ ও করোনা মহামারিকে পুঁজি করে বাড়তে থাকে মুদ্রাটির চাহিদা।
করোনা মহামারি-পরবর্তী বাংলাদেশেও বেড়ে যায় আমদানি চাহিদা। তাতে করে প্রয়োজন বাড়ে ডলারের। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে দফায় দফায় বিক্রি করতে হয়েছে ডলার। ফলে দুই বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ নেমে আসে প্রায় অর্ধেকে।
তবে ডলার সংকট কিংবা রিজার্ভ কমে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিশেষ করে গভর্নর হিসেবে আবদুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পরই অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে নেয়া হয় বেশ কিছু পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিলাসি পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করে নির্দেশনা দেয় ব্যাংকগুলোকে। সেসব পদক্ষেপের সুফল মিলতে শুরু করেছে। আমদানি ও রপ্তানির ঘাটতি পূরণে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে তাদের নেয়া পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের চার মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বলছে, গেল চার মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমে হয়েছে ৩৮০ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ৯৬২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরের চার মাসের হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে বাণিজ্য ঘাটতি, ১৮২ কোটি ডলার। অতি প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও সার আমদানির প্রভাবে এটা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাণিজ্য ঘাটতি কমার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে দেশে মোট আমদানি হয়েছে ২ হাজার ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পণ্য। আগের অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে তা ছিলো ২ হাজার ৫৫১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে চার মাসে আমদানি কমেছে ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অন্যদিকে একই সময়ে রপ্তানি থেকে মোট আয় এসেছে ১ হাজার ৬৪৬ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ছিলো ১ হাজার ৫৮৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ রপ্তানিতে বড় কোনো প্রবৃদ্ধি না হলেও বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানি বাড়ানো গেলে বাণিজ্য ঘাটতি আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি কোনো আমদানিকারক যেন পণ্যের বাড়তি দাম দেখিয়ে আমদানি করতে না পারে সেদিকেও রয়েছে কঠোর নজরদারি।
‘প্রতিটি ব্যাংককে আমরা সতর্কতার সঙ্গে আমদানির ঋণপত্র খুলতে বলেছি। আমদানিতে যেন কোনোভাবেই কোনো মিথ্যা তথ্য না আসে সেদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর নজরদারি করছে। শুধু তাই নয়, আমদানির আড়ালে যেন কোনোভাবেই অর্থ পাচার না হয় সেদিকেও আমাদের নজরদারি রয়েছে।’
তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্ববাজারে আমদানি পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া দাম বাড়তি মনে হলে তা সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। এজন্য আমদানি কিছুটা কমে এসেছে।
আমদানি কমানোর প্রবণতা অব্যাহত থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কোনো ভুল দামে পণ্য আমদানি করতে দেবে না। আমার মনে হয় এতে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ঘাটতি কমে আসবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতি কমে ৩ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এটা ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে ছিলো ১ হাজার ৭১৫ কোটি ডলার বা ১৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি দেখা যায় ২০২০-২১ অর্থবছরে। করোনা মহামারি শুরুর প্রথম বছরে বাণিজ্য ঘাটতি সব রেকর্ড ভেঙে ছাড়িয়ে যায় ৩ হাজার ৩২৫ কোটি ডলারের ঘর। সে হিসাবে গত অর্থবছরে তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় অর্ধেক হয় বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি অর্থবছর শেষে তা আরও কমে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। তবে এর প্রভাবে যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি কমে না আসে সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ তাদের।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অফ বাংলাদেশের (আইসিএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন এফসিএ বলেন, ‘রিজার্ভের কথা চিন্তা করে আমদানি কমিয়ে আনতে হবে; সেটা ধীরে ধীরে হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকরা কাঁচামাল আমদানি করতে না পারলে রপ্তানিও কমে আসবে।’
তার পরামর্শ, আমদানির আড়ালে যেন অর্থ পাচার না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ল্যান্ড ডেভেলপার, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা হাউজিং জিতল মর্যাদাপূর্ণ ‘ওয়ার্ল্ড বিজনেস আউটলুক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’। এই পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে বসুন্ধরা হাউজিং বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী ল্যান্ড ডেভেলপার কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেল যা রিয়েল এস্টেট সেক্টরের জন্য নতুন একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
গত ২৫ নভেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কুইন্স পার্কের ম্যারিয়ট মারকুইস-এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এই পুরস্কারটি ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন (ডিআইটিপি) থেকে তুলে দেন নাটিয়া সুচিন্দা এবং পুরস্কারটি গ্রহণ করেন জনাব বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান (বিক্রয় ও বিপণন), বসুন্ধরা গ্রুপ।
এই পুরস্কারটি একটি আধুনিক এবং গতিশীল জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরির জন্য বসুন্ধরা হাউজিং-এর অবদানকে তুলে ধরে, যা ঢাকায় প্রথম পরিকল্পিত এবং একমাত্র রাজউক-অনুমোদিত আধুনিক স্মার্ট সিটি।
শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এমন কোনো শর্ত বা ধারা অন্তর্ভুক্তি সমর্থন করে না বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা অতীতে এমন উদাহরণ দেখেছি, যেখানে ক্রেতার কাছ থেকে এলসির শর্ত উদ্ধৃত করে এটিকে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা হিসেবে সাধারণীকরণ করা হয়েছে।’
বিজিএমইএ’র এক সদস্যকে বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে লেটার অফ ক্রেডিটের (এলসি) অনুলিপি অ্যাসোসিয়েশনের নজরে এসেছে।
বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে এলসি অনুলিপিতে বলা হয়, ‘আমরা জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনো দেশ, অঞ্চল বা দলের সঙ্গে লেনদেন করব না। নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো বিলম্ব, অকার্যকারিতা বা তথ্য প্রকাশের জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই।’
বিজিএমইএ বলেছে, ‘এই ধারার ব্যাখ্যায় উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে, যা সঠিক নয়। উল্লিখিত ধারার এলসি গ্রহণকারী সদস্যদের সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাখ্যা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
‘যদি এই ধারা শুধু বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের পক্ষে জারি করা এলসিগুলোতে প্রদর্শিত হয়, তবে এটি নৈতিকতার লঙ্ঘন করে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের সদস্য কারখানাগুলোকে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে এ ধরনের ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা/পুনর্বিবেচনারও আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিজিএমইএ বলছে, ‘বৈশ্বিক বাণিজ্য দৃশ্যপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। মানবাধিকার ও পরিবেশগত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাচ্ছে, অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোও বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে।
‘যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল, তাই বাণিজ্য নীতির যেকোনো উন্নয়ন আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে।’
বিজিএমইএ বলেছে, এটি লক্ষ্য করা উচিত, এলসি একটি নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছ থেকে এসেছিল এবং এটি কোনো দেশের দ্বারা সংবিধিবদ্ধ আদেশ বা নোটিশ নয়। সুতরাং এটিকে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ হিসেবে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত নয়।
‘আমরা বুঝতে পারি মানবাধিকার ও পরিবেশগত যথাযথ অধ্যয়ন আমাদের অনেক রপ্তানি বাজারের জন্য ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে।’
এতে বলা হয়, ‘বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও উচ্চ শ্রমমানকে এগিয়ে নেয়ার জন্য চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর সই হওয়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের স্মারকটি চলমান বিশ্বব্যাপী শ্রম প্রচারাভিযানে উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করেছে। কারণ এটির সম্পৃক্ততা এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে বেশ অনন্য বলে মনে হয়।’
বিজিএমইএ’র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা এর চেতনাকে সম্মান করি এবং মূল নীতিগুলোর সঙ্গে একটি সামঞ্জস্য খুঁজে পাই। যদিও স্মারকলিপিতে কূটনৈতিক ও সহায়তা সরঞ্জামের পূর্ণ পরিসর অন্তর্ভুক্ত এবং যথাযথভাবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা, ভিসা বিধিনিষেধ ও অন্যান্য পদক্ষেপসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। তবে এটি বাংলাদেশের জন্য গৃহীত হয়নি, বরং এটি শ্রমিকদের অধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অবস্থান।’
আরও পড়ুন:তৈরি পোশাকশিল্প ও এর বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ আরও গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির দূত পিটার হাস।
বাংলাদেশ তুলা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রমাণভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতির সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করেছে, যা গার্মেন্টস শ্রমিকদের সামনে থাকা গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করবে।’ খবর ইউএনবির।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য একটি স্থিতিশীল ও প্রত্যাশিত পরিচালনার পরিবেশের জন্য শক্তিশালী শ্রম আইন ও তাদের বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা যখন তৈরি পোশাক খাতের দিকে তাকাই, বাংলাদেশে আমাদের মিশনের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো উন্নত শ্রমমানের মাধ্যমে উপলব্ধ টেকসই এবং বিস্তৃতভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি আমাকে শ্রম অধিকারের দিকে মনোনিবেশ করায়।’
রাষ্ট্রদূত স্মরণ করিয়ে দেন, গত ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ‘অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এম্পাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শীর্ষক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নতুন স্মারকলিপি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘নতুন এ বৈশ্বিক শ্রম কৌশলটি সব আমেরিকান সরকারি সংস্থাগুলোকে সরকার, শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রচার ও সুরক্ষার জন্য সম্পৃক্ততা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন:ঢাকা সফররত সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বদর আই আলবদরের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর লে মেরিডিয়েন হোটেলে বুধবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দূরদর্শী নেতার মধ্যে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে হোটেল লে মেরিডিয়েন ঢাকা’র চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) হাসান আহমেদ ও জেনারেল ম্যানেজার মি. কস্তাস উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ প্রকাশ করে সৌদি আরব থেকে ৩১ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সৌদি আরবের বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ব্যবসা সম্প্রসারণের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত দেশে চেইন হোটেল, উচ্চমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক অঞ্চল, জ্বালানি এবং রিয়েল এস্টেটসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সেক্টরে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জেনারেল ইলেক্ট্রিক, ম্যারিয়ট, কোহলবার্গ ক্রাভিস রবার্টস-কেকেআর, নেব্রাস পাওয়ার (কাতার), এলআইসি ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য বিশ্বখ্যাত সংস্থার সঙ্গে তার অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাণিজ্য রয়েছে।
সৌদি আরবের কোম্পানিগুলো চেইন হোটেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রিয়েল এস্টেট খাতে সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বাংলাদেশে বিশেষ করে অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সম্ভাব্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে- ম্যারিয়ট হোটেল প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, হেইলিবেরি স্কুল এবং অন্যান্য বড় মাপের অবকাঠামো প্রকল্প।
বৈঠকে বদর আই আলবদর ড. সরাফাতকে সম্ভাব্য অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার আমন্ত্রণ জানান। সৌদি আরবের আরও বাণিজ্য সহযোগিতা এবং সম্প্রসারণকে সহজতর করার লক্ষ্যে বিশ্বকাপ মৌসুমে আসন্ন এক্সপো ২০৩০ ওয়ার্ল্ড ফেয়ারে কৌশল নির্ধারণ এবং প্রকল্পগুলো প্রদর্শন করতে উভয় পক্ষ পারস্পরিকভাবে সম্মত হয়েছে।
ড. সরাফাত এ অঞ্চলে হোটেল এবং অবকাঠামোগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করে সৌদি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বমূলক ব্যবসা পরিচালনাকে একটি সুযোগ হিসেবে অভিহিত করেন।
বৈঠকটি বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদারত্বের ক্ষেত্র তৈরি করে, যা উভয় দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন:রিজার্ভ নিয়ে এবার সুখবর দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ডিসেম্বর মাসে দেশের রিজার্ভ আর কমবে না, বরং কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
বুধবার সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এর আগেও বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ কিছুটা বাড়বে বলে জানিয়েছিলেন।
রিজার্ভ না কমার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র উল্লেখ্য করেছেন বিদেশি ঋণ ও সহায়তার বড় অংক আসবে ডিসেম্বরে।
জানা গেছে, চলতি ডিসেম্বরেই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সহায়তা ও ঋণ বাবদ ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি পাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তাতেই প্রতিদিনের ডলার বিক্রির চাপ সামাল দেয়ার পাশাপাশি রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের জেরে পুরো পৃথিবীতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে দাম বাড়তে থাকে প্রায় সব ধরনের পণ্যের। পাশাপাশি করোনা-পরবর্তী দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে থাকলে প্রয়োজন পড়ে বাড়তি আমদানির। সেই সময় থেকেই আমদানির চাপ সামাল দিতে ডলারের সংকট তৈরি হয়। সেই চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে দফায় দফায় ডলার বিক্রি করে আসছে। তাতে একসময়ের ৪৮ বিলিয়ন ডলার থাকা রিজার্ভ কমে এখন ১৫ দশমিক ৮২ বিলিয়নে এসেছে।
সম্প্রতি ডলারের দাম দুই দফায় কমানো হয়েছে। বিদেশ থেকেও ভালো রেমিট্যান্স আসছে। তারপরও হুন্ডিসহ নানা কারণে অস্থিরতা কমছে না ডলারের বাজারে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রিজার্ভ শক্তিশালী হলে ডলারের বাজারের অস্থিরতাও কিছুটা কমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চলতি মাসে এডিবি থেকে রিজার্ভে বাজেট-সহায়তার ৪০ কোটি ডলার যুক্ত হবে। এ ছাড়াও ডিসেম্বরের ১২ তারিখ আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাব সংস্থাটির পর্ষদে অনুমোদন পেতে পারে। সেটি অনুমোদন পেলে পরদিনই তা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ পাবে আরও ৬৮ কোটি ডলার। সব মিলে ১০৮ কোটি ডলার বা এক বিলিয়নের খানিকটা বেশি অর্থ যোগ হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে। আর তাতেই রিজার্ভ কমার পরিবর্তে বরং কিছুটা বাড়ার আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উল্লেখ্য, বর্তমানে রিজার্ভ থেকে প্রতিদিন ছয় থেকে আট কোটি ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের প্রয়োজনে জ্বালানী ও রাসায়নিক সার কেনার জন্য অনেকটা বাধ্য হয়ে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। জানা যায়, এ কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার বিক্রি করতে হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ৫ ডিসেম্বর দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দাড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারে। তবে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমান এখন ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের মতো। এজন্য এডিবি ও আইএমএফ থেকে প্রাপ্ত অর্থ বর্তমান সময় বিবেচনায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধিতে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ার পর অবশেষে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি স্বর্ণে এক হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা। তবে ৫ শতাংশ ভ্যাট ও মজুরিসহ ক্রেতাকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে খরচ করতে হবে এক লাখ ১৭ হাজার ৩০ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। জানানো হয়েছে,বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
সবশেষ ৩০ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। এর আগে ২৭, ১৯ ও ৬ নভেম্বর এবং ২৭ অক্টোবর দাম বাড়ানো হয়। অর্থাৎ টানা পাঁচ দফা দাম বাড়ানোর পর স্বর্ণের দাম কমানো হলো। এর আগে টানা পাঁচ দফা বাড়ার মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠে যায় স্বর্ণের দাম।
বুধবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এ দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা।
আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ২২৬ টাকা।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা কমিয়ে ৮৮ হাজার ৪৭১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২২৫ টাকা কমিয়ে ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ৩০ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৮৯ হাজার ৯২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৯৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপা ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য