পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধানে চলছে নাসার অভিযান। তার অংশ হিসেবে এবার পাথর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে নাসার রোবট পারসিভারেন্স।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের চেষ্টায় নাসার রোবটটি মঙ্গল থেকে একটি শিলার নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছে।
রোবটটি দীর্ঘ সময়ের উদ্বেগ কাটিয়ে ‘রোচেট’ নামক একটি মোটা শিলা খণ্ডে ড্রিল করতে সফল হয়েছে।
মঙ্গল থেকে নাসা নতুন করে যে ছবি সংগ্রহ করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, রোবটটি সফলভাবে ড্রিল করতে পেরেছে।
এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো গ্রহ থেকে এটাই প্রথম কোনো শিলা সংগ্রহ।
মার্স রোভার আগামী এক বছরে এমন আরও দুই ডজনের বেশি শিলার নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বয়ে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে চলতি দশকের শেষ পর্যন্ত।
নাসার পারসিভারেন্স রোবটটি ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের জিজেরো ক্র্যাটারে অবতরণ করে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ৩৫০ কোটি বছর আগে মঙ্গলের নিরক্ষরেখার প্রায় ২০ ডিগ্রি উত্তরে ৪৫ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর একটি হ্রদ ছিল।
এ কারণে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, হ্রদটির পলিতে প্রাচীন ক্ষুদ্র জীবাণুধর্মী প্রাণের চিহ্ন ছিল। সেটি খুঁজতে যে স্থানে রোবটটি প্রথম মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করেছে, সেখান থেকে দুই কিলোমিটারের বেশি গতিতে কিছুটা উঁচু স্থান সিটাডেলে পৌঁছে নমুনাটি নিয়েছে।
এরপরই গবেষকদলটি রোচেট পাথরকে লক্ষ্য করেন ড্রিল করার।
রোবটটি একটি ক্যাশিং সিস্টেমের মাধ্যমে আঙুলের সমান ওই শিলা কেটে টাইটানিয়ামের টিউবে রেখে মুখ বন্ধ করে দেয়।
টিউবটি বন্ধ করার আগে রোভার এর ছবি তুলে রাখে। আগস্টের প্রথমে নমুনা সংগ্রহের একটি চেষ্টা হলেও সে সময় বিজ্ঞানীরা জানান, টিউবটিতে শিলা নিতে ব্যর্থ হয়।
সে সময় ড্রিল করতে গিয়ে পাথরটি ভেঙে গিয়ে চারপাশে পাউডারের মতো ছড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন:ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ব্র্যান্ডগুলো স্মার্টফোনে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করছে। টেকসই ও স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা দিতে যুক্ত করা হচ্ছে এসব প্রযুক্তি। একইসঙ্গে লুকিং বাড়ানোর জন্য গুরুত্ব পাচ্ছে ফোনের রং ও অন্যান্য বাহ্যিক ডিজাইনও। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা এমন একটি স্মার্টফোন হলো রিয়েলমি সি৭৫এক্স। আর্মরশেল প্রোটেশন-যুক্ত ড্যামেজ-প্রুফ ফিচার ফোন এটি। মধ্যম বাজেটের ফোনটি দিয়ে করা যাবে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফিও। চলুন এক নজরে দেখা যাক কী আছে নতুন এই স্মার্টফোনটিতে।
আইপি ৬৯ রেটিং
রিয়েলমি সি৭৫এক্স স্মার্টফোনটি পানি, ধুলো ও দুর্ঘটনাজনিত পতনেও ফোনকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। কারণ এই স্মার্টফোনটি আইপি৬৯, আইপি৬৮, আইপি৬৬ রেটিং সম্বলিত এবং মিলিটারি গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স সার্টিফাইড। আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচে এবং আইপি৬৯ হাই-প্রেসার, হাই-টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ফোনকে রক্ষা করে।
এ সার্টিফিকেশন অনুযায়ী, ফোনটি ০.৫ মিটার পানির নিচে ১০ দিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষত থাকে। এ ছাড়া ২.৫ মিটারে ১২ ঘণ্টা, ২ মিটারে ১ ঘণ্টা এবং ১.৫ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ডুবে থাকাসহ উচ্চচাপের পানি স্প্রে, এমনকি ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গরম পানির স্প্রেতেও কার্যক্ষম থাকে। এ জন্য দুর্ঘটনাবশত পানিতে পড়ে যাওয়া, বৃষ্টিতে ভেজা কিংবা অ্যাডভেঞ্চারের মতো পরিস্থিতিতে ফোনটি থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ।
ক্যামেরা
রিয়েলমি ‘সি৭৫এক্স’-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি রিয়ার ক্যামেরা। এছাড়া পেছনের প্যানেলে একটি ফ্লিকার লেন্স রয়েছে। যেটিকে অক্সিলারি লেন্সও বলা হয়। ফ্লিকার বা অক্সিলারি এই লেন্সের প্রধান কাজ হলো আলোর ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্ত করা, যা ছবি তোলার সময় গ্লেয়ার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পেছনের প্যানেলে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আরো একটি বাম্প রাখা হয়েছে। তবে পুরোপুরি বন্ধ রাখা এই বাম্পটি সেন্সর এরিয়া হিসেবেও কাজ করে। বাম্পটিতে দুইবার টাচ করলে কিউআর কোড স্ক্যান করা যাবে। এছাড়া ফোনটিতে রয়েছে একটি ৮-মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
ব্যাটারি সক্ষমতা
রিয়েলমি ‘সি৭৫এক্স’ এ রয়েছে- ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জ সক্ষমতার ৫৬০০এমএএইচ ব্যাটারি। ৫ মিনিটের চার্জেই ফোনে কথা বলা যায় ৩ ঘণ্টা। আর একবার পুরোপুরি চার্জ সম্পূর্ণ হলে ৭ ঘণ্টা টানা গেমিং, ১৩.২ ঘণ্টা ধারাবাহিক ইউটিউব ভিডিও প্লে এবং ২৪ ঘণ্টার স্ট্যান্ডবাই সম্ভব স্মার্টফোনটি দিয়ে।
এসব বৈশিষ্ট্য ছাড়াও রিয়েলমি ‘সি৭৫এক্স’ গ্রাহকদের দেবে এই সেগমেন্টের বেস্ট এআই এক্সপেরিয়েন্স। ডিভাইসটিতে আছে- গুগল জেমিনি চ্যাটবট এবং এটি ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর, দ্রুততম সময়ে কোনো কিছু অনুসন্ধান, অ্যাপগুলোর মধ্যে নির্বিঘ্ন এআই স্মার্ট লুপ, এআই ইমেজ এডিটিং অর্থাৎ ব্লারি বা ঘোলা ছবিকে স্পষ্ট করা ইত্যাদি ফিচার আছে। ৬/১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের রিয়েলমি‘সি৭৫এক্স’স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ১৭,৯৯৯ টাকায়। ফলে মধ্যম বাজেটের এই স্মার্টফোনটি হতে পারে প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য একটি দারুণ ডিভাইস।
দ্রুত পরিবর্তনশীল এই ডিজিটাল যুগে, বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়ীদের (এসএমই) জন্য সহজলভ্য এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য ই-কমার্স সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যথেষ্ট জটিল এবং ব্যয়বহুল একটি কাজ। এই কাজটিকেই সহজ করছে দেশীকমার্স।
দেশীকমার্স মূলত একটি SaaS সলিউশন যেটি দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায়। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্সকে সহজলভ্য করার স্বপ্ন নিয়ে দেশীকমার্সের যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। কোম্পানিটি এখন ১৫০-র অধিক দেশী উদ্যোক্তাকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
স্বপ্ন এবং সাধ্যের ব্যবধান ঘুচানোর পথে বিগত কয়েক দশকে প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে মানুষের কেনাকাটার ধরনে পরিবর্তন এসেছে বিশেষ করে ই-কমার্সের উত্থানের ফলে ব্যবসায়িক জগতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের একজন মধু বা আম বিক্রেতার পক্ষেও সরাসরি ঢাকার একজন কাস্টমারের কাছে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে।
২০১৮ সালে ঢাকাভিত্তিক BluBird Interactive Ltd.-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে Deshicommerce প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে এই উপলব্ধি থেকে দেশীয় ব্যবসায়ীরা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে নানা সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত জটিলতা এবং ওয়েবসাইট তৈরীর উচ্চ খরচ SME-দের ই-কমার্সে প্রবেশের স্বপ্নে বাধা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য DeshiCommerce এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যেটা দিয়ে নামমাত্র খরচে মাত্র কয়েক মিনিটে একটি দ্রুতগতির ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
একটা সময় ছিল যখন ভালো মানের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করতে কয়েক মাস এবং কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করতে হতো। দেশীকমার্স সেটাকে নিয়ে এসেছে মাত্র কয়েক মিনিট এবং কয়েকশো থেকে হাজার টাকার মধ্যে। Deshicommerce -এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিক হাসান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স সলিউশনকে সহজলভ্য ও সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা। যাতে তারা সহজেই অনলাইন ব্যবসা শুরু করে সফলতা পেতে পারেন।”
দেশীয় বাজারকে মাথায় রেখে ডিজাইন দেশীকমার্স প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশের বাজার ও ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে কাস্টমাইযেবল ডিজাইন, সহজ পণ্য ব্যবস্থাপনা, অর্ডার রিটার্ন রিফান্ড ম্যানেজমেন্ট, পেমেন্ট ও ডেলিভারি অপশন ব্যবহারের সুবিধা। প্ল্যাটফর্মটি RedX, Pathao, Steadfast-এর মতো লোকাল লজিস্টিকস এবং bKash, SSLCommerz-এর মতো পেমেন্ট গেটওয়ের সাথে ইন্টিগ্রেটেড যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে করে আরও সহজ।
ব্যবসার আকার অনুযায়ী দেশীকমার্স-এর বিভিন্ন প্রাইস প্যাকেজ রয়েছে যাতে উদ্যোক্তারা নিজেদের উপযোগী প্ল্যান বেছে নিতে পারেন।দেশীকমার্স মূলত SME দের উদ্দেশ্য করে তৈরী হলেও অনেক বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও দেশীকমার্স ব্যবহার করে তাদের ই-কমার্স বিজনেস পরিচালনা করছে। দেশীকমার্স-এর আর একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা কাজী শাহীন বলেন, “এর বড় কারণ হলো - দেশীকমার্স সহজে ব্যবহার করা খুব সহজ, মাত্র কয়েক মিনিটে আপনার সাইট রেডি হয়ে যাবে এবং আপনি সহজেই 'স্কেল' করতে পারবেন।”
ইকমার্স উদ্যোক্তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ডিজিটাল টুল ব্যবহারে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেশীকমার্স গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তাই দেশীকমার্স বিভিন্ন ভিডিও ও লেখার মাধ্যমে টিউটোরিয়াল, প্রিন্টযোগ্য পিডিএফ ইবুক এবং নিয়মিত ওয়েবিনার আয়োজন করে। সেইসাথে রয়েছে অনলাইন ও অন-সাইট প্রশিক্ষণের সুবিধা যা পরিচালনা করেন অভিজ্ঞ ট্রেইনাররা।
দেশীকমার্স একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা ই-কমার্স ব্লগও চালায়, যেখানে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, টুল ব্যবহারের কৌশল, মার্কেট রিসার্চ, ও ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির নানা আপডেট প্রকাশিত হয়। এসব তথ্য উদ্যোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে।
ভবিষ্যতে কী? ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বেটা ভার্সনে চালু হওয়ার পর থেকে দেশীকমার্স ইতোমধ্যেই ১৫০-এর বেশি অ্যাক্টিভ ইউজার পেয়েছে। ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে তারা প্রতিনিয়ত প্ল্যাটফর্ম উন্নয়ন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে দেশীকমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে যাচ্ছে AI-ভিত্তিক ফিচার যেমন স্বয়ংক্রিয় প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখা ও পার্সোনালাইজড প্রোডাক্ট রেকমেন্ডেশন যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।
দেশীকমার্স শুধু বাংলাদেশে থেমে থাকতে চায় না। ভবিষ্যতে কোম্পানিটি অন্যান্য এশিয়ান দেশ, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও নিজেদের বিস্তার ঘটাতে চায়। উদ্ভাবন, নির্ভরযোগ্যতা ও পার্টনারশিপের ওপর ভর করে তারা হতে চায় গ্লোবাল ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের অন্যতম চালিকাশক্তি।
বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি যেমন বাড়ছে, তেমনি দেশীকমার্স-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো স্থানীয় ব্যবসাগুলোর অনলাইন জগতে টিকে থাকা এবং বেড়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার এই লাইসেন্স অনুমোদন করেন তিনি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৫ মার্চ ‘নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিস বাংলাদেশ নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিস অপারেটর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদন করা লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলঙ্কার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল।
এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশের নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেইসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।’
ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলো মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে। সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, যার ধারণ ক্ষমতা খুবই সীমিত। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে। হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে।
তিনি জানান, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেলভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিস কেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, স্টার্লিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে। প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে।
বর্তমান অত্যাধুনিক যুগে জীবন চলার পথে যেকোনো কাজেই এগিয়ে যান না কেন, আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া প্রশ্নবিদ্ধসহ প্রতিবন্ধকতায় সম্মুখীন হবেন। আর আপনিই যে আপনি, তা কেবল আঙ্গুলের ছাপেই শনাক্তপূর্বক বলে দিবে। মজার ব্যাপার হলো যে আপনার আঙ্গুলের ছাপ শুধুই আপনার; সারা পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি মানুষের ছাপের সঙ্গে কোনো মিল হবে না। শুধু তাই নয়, সৃষ্টির গোড়া থেকে শুরু করে যত মানুষ এই ধরায় এসেছেন এবং পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত যত মানুষ আসবেন, কারও আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিল তথা এক হবে না। আঙ্গুলের এই ব্যতিক্রম ছাপের ব্যাপারে এখন বিজ্ঞানীরা জোর গলায় বললেও এ কথাটি ১৪০০ বছর আগেই পবিত্র কোরআন শরিফের সুরা ক্বিয়ামাহ (মক্কায় অবতীর্ণ)-তে উল্লেখ করা হয়েছে। আর যেভাবেই বলি না কেন, আঙ্গুলের ছাপ আল্লাহতায়ালার মহাবিস্ময়কর সৃষ্টি।
এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য, বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান কি বলেছে জানেন? এ ব্যাপারে বিজ্ঞান বলে যে গর্ভাবস্থায় যখন ভ্রূণের মাত্র ১০ সপ্তাহ বয়স, তখন তার আঙ্গুলের ছাপ গঠিত হয়। আর সেটা সারাজীবন একই থাকে; পরিবর্তন হয় না। কোনো দুই ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ কখনই এক হয় না। এমনকি জমজ ভাই-বোনদের ক্ষেত্রেও না। কিন্তু কেন? এর কারণ মায়ের গর্ভে প্রতিটি শিশুর বেড়ে ওঠার পরিবেশ একেবারেই আলাদা হয়; যা তাদের আঙ্গুলের ছাপের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া আপনার আঙ্গুলের ছাপে আরও অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে? এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে আঙ্গুলের ছাপ কেবল আপনাকে শনাক্ত করবে, তাই নয়। একইসঙ্গে আপনার জ্বিনগত দিক দিয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য বহন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের আঙ্গুলের ছাপ আঁকা-বাঁকা, তাদের বহুমূত্র ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে। এই রকম আরও নানা রোগের চিহ্ন বহন করে থাকে, যা এখনো গবেষণার পর্যায়ে আছে।
এক সময় শুধু অপরাধীকে ধরতে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের পরিচয়ের জন্য; যেমন- আইডেন্টেটি কার্ড ও পাসপোর্ট বইসহ বায়োমেট্রিক্স তথ্য সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে এই ছাপ ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া বাংলাদেশে মোবাইল সিম কিনতে আঙ্গুলের ছাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকি, অনেক অফিসে ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। এই আঙ্গুলের ছাপের বিষয়টি আল্লাহর কুদরতের এক অকাট্য প্রমাণ বৈ কিছু নয়। পবিত্র কোরআনে ১৪০০ বছর আগেই আল্লাহতায়ালা এই সৃষ্টির কথা বলেছিলেন। আর এতে এটাই প্রমাণ করে, কোরআন কখনো মানুষের লেখা নয়; বরং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত এক পরিপূর্ণ জীবনবিধান। ১৬৮৪ সালে সর্বপ্রথম ইংলিশ ফিজিশিয়ান, উদ্ভিদ বিজ্ঞানী এবং অনুবীক্ষণ যন্ত্রবিদ ‘নিহোমিয়া গ্রিউ’ বৈজ্ঞানিক দৈনিক-ই প্রকাশ করে এতে করতল ও আঙ্গুলের ছাপের রহস্যের সংযোগ সূত্রের ধারণার উত্থাপন করেন। তবে ১৬৮৪ সালের পূর্বে ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পর্কে আর কোনো বিজ্ঞানীর আলোকপাতের কথা পাওয়া যায় না। এর পরবর্তীতে দীর্ঘ বিরতির পর ১৮০০ সালের পর ফিঙ্গার প্রিন্ট পুনরায় জোরভাবে বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং এ ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন আঙ্গিকে গুরুত্ব দেন। এসব বিজ্ঞানীদের মধ্য উল্লেখযোগ্য হলেন, জেন জিন্সেন, সৈয়দ মুহাম্মাদ কাজী আজিজুল হক (খুলনা) ও ব্রিটিশ কর্মকর্তা এওয়ার্ড হেনরি। অবশ্য ১৬৮৫ সালে ডার্চ ফিজিসিয়ান ‘গোভার্ড বিডলো’ এবং ইটালিয়ান বিজ্ঞানী ‘মারসিলো বিডলো’ এনাটমির ওপর বই প্রকাশ করে ফিঙ্গার প্রিন্টের ইউনিক গঠনের ওপর নানা বিষয় তুলে ধরেন। প্রকাশ থাকে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ অব্দে ব্যবসায়িক কাজে ছোট ছোট শুকনো কাদার খণ্ডে ব্যাবিলিয়ানদের আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। আর ১৮৯১ সালে আর্জেন্টিনার হুয়ান ভুসেটিস অপরাধী ধরার পদ্ধতি আবিষ্কার করার মাধ্যমে আধুনিক যুগের আঙুলের ছাপের ব্যবহার শুরু করেন।
কথা প্রসঙ্গে আবার আল কোরআনের কথাই ফিরে আসি। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, আল্লাহতায়ালা যখন কোরআনে বারবার বিচার দিবস ও পুনরুত্থানের কথা বলেছেন। তখন কাফিররা এই বলে হাসাহাসি করত যে পচাগলা হাড়গুলোকে কীভাবে একত্রিত করা যাবে? একজনের অস্থির সঙ্গে অন্যজনেরগুলো কি বদল হবে না? এ ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন প্রতি-উত্তরে বলেছেন, ‘মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করতে পারব না? বরং আমি তার অঙ্গুলিগুলোর ডগা পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম’ (আল কিয়ামাহ, আয়াত ৩-৪)। বস্তুত এখানে মহান রব ফিঙ্গার প্রিন্টের সক্রিয়তার ওপর ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর আল্লাহতায়ালা কেবল মানুষের অস্থিতে মাংস পরিয়েই উত্থিত করবেন না; বরং এমন নিখুঁতভাবে মানুষকে পুনরায় জীবিত করবেন, যেমন- জীবদ্দশায় তার আঙ্গুলের সূক্ষ্ম রেখা পর্যন্ত সুবিন্যস্ত ছিল। এখানে এটাই ইঙ্গিত করা হয়েছে যে পুনরুত্থানে কত নিখুঁতভাবে পুনরায় মানুষকে হুবহু অবয়ব দেওয়া হবে। কাফিররা বলে গলা পচা অস্থি একজনেরগুলোর সঙ্গে অন্যজনেরগুলো কি মিশ্রিত হবে না? এ ক্ষেত্রে আল্লাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন যে অস্থি মিশ্রিত হওয়া তো দূরে থাক; বরং নিখুঁতভাবে তিনি মানুষকে পুনরুত্থিত করবেন।
আসলে যেভাবেই বলি না কেন, ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রকারান্তরে ডেটা ব্যাংক বলে অভিহিত। কেননা জ্বিনের মধ্য সন্নিবেশিত প্রায় সব বৈশিষ্ট্য, শুধু শারীরিক গঠনই নয় বরং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত আঙ্গুলের ছাপে এনকোড করা থাকে। তাই আল্লাহ এখানে কাফিরদের জবাব ও জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন দিয়েছেন যে শুধু মাত্র আঙ্গুলের ডগার প্রিন্ট দিয়ে যদি একটি মানুষের সম্যক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। তবে প্রত্যেক মানুষকে তার নিজের অস্থি দিয়ে পুনর্বিন্যস্ত করা কোনো ব্যাপারই না। এ সূত্র ধরে হয়তো অনেকেই বায়োমেট্রিকস বায়োলজিক্যাল ডেটা পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ করার প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত আছেন। এখানে গ্রিক শব্দ ইওঙ, যার অর্থ জীবন বা প্রাণ এবং গবঃৎরপ হলো পরিমাপ করা। মূলত বায়োমেট্রিকস এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে কোনো ব্যক্তির গঠনগত এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যাপারে আগেই উল্লেখ করেছি, একজনের আঙ্গুলের ছাপ বা টিপ-সই অন্য কোনো মানুষের সঙ্গে মিল নেই। আর এটি মাথায় রেখে প্রথমেই আঙ্গুলের ছাপ ডেটাবেইসে সংরক্ষণ করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারের মাধ্যমে আঙ্গুলে ছাপ ইনপুট নিয়ে ডেটাবেইজে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে তুলনাপূর্বক যেকোনো ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। আসলে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার হচ্ছে বহু ব্যবহৃত একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইস, যার সাহায্যে মানুষের আঙ্গুলে ছাপ বা টিপসইগুলো ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে, তা পূর্ব থেকে সংরক্ষিত আঙ্গুলের ছাপ বা টিপসইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তবে যারা দৈহিকভাবে আঙ্গুলের কাজ করেন, সে ক্ষেত্রে রেখাগুলো মিলে বা মুছে গেলে, এই পরীক্ষায় জটিলতার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
উপর্যুক্ত বর্ণনার প্রেক্ষিতে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, আঙ্গুলের ছাপ আল্লাহতায়ালার মহাবিস্ময়কর সৃষ্টি।
লেখক: বিশিষ্ট গবেষক, অর্থনীতিবিদ এবং লেখক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সম্মাননা ও পদকপ্রাপ্ত।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এখন থেকে ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি অডিটোরিয়ামে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘ইন্টারনেট সেবা: সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।
তিনি বলেন, গৃহীত সিদ্ধান্ত আজ থেকেই কার্যকর হবে। এখন থেকে ৫০০ টাকায় দ্বিগুণ গতির ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা পেলে আগামীতে ৫০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস ইন্টারনেট দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ব্রডব্যান্ডের স্পিড সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস হওয়া উচিত। যেসব ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্সের (আইএসপি) এই গতির ইন্টারনেট দেওয়ার সক্ষমতা আছে, তাদের লাইসেন্স দ্রুত আপগ্রেড করা উচিত।’
তবে আইএসপিএবির এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। সরকার ইতোমধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। পাঁচ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়া ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে প্রোভাইডাররা ইন্টারনেট কিনছেন মাত্র ৮০ টাকায় ১ জিবিপিএস, অথচ গ্রাহকরা কিনছে লাখ টাকায়। গ্রাহকদের প্রত্যাশা ছিল ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি হবে ২০ এমবিপিএস এবং সর্বোচ্চ হবে ১০০ এমবিপিএস।’
গ্রাহকদের ওপর বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় এবং অযৌক্তিক হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তাদের বহুল আলোচিত টেকসই স্মার্টফোন অপো এ৫ প্রো-এর একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাজারে এনেছে। এই নতুন সংস্করণে রয়েছে উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড, যার মধ্যে রয়েছে ৮ জিবি র্যা০ম এবং ২৫৬ জিবি রম, যা নিশ্চিত করে আরও উন্নত পারফরম্যান্স ও পর্যাপ্ত স্টোরেজ সুবিধা— স্মার্টফোনটি এখন সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৬,৯৯০ টাকায়।
স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিতে একেবারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে অপো এ৫ প্রো-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট, যার সঙ্গে রয়েছে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি মোড — একটি ব্যতিক্রমী ফিচার যা ডিভাইসটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা পানির নিচে অনায়াসে চমৎকার সব ছবি তুলতে পারবেন, যা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ও ফটোগ্রাফি প্রেমী মানুষদের জন্য একেবারে গেম-চেঞ্জার।
বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে আইপি৬৬, আইপি৬৮, এবং আইপি৬৯ সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত অপো এ৫ প্রো নতুনভাবে ‘টেকসই স্মার্টফোনকে’ সংজ্ঞায়িত করেছে। ডিভাইসটির জন্য ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং সার্টিফিকেশনগুলো পানি, ধুলাবালি ও আঘাতের বিরুদ্ধে অতুলনীয় সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তাই প্রতিকূল পরিবেশে বা দৈনন্দিন ব্যবহারে এই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ সঙ্গী।
তবে অপো এ৫ প্রো-কে বিশেষ করে তোলে শুধু এর টেকসই গঠনই নয়। মজবুত নির্মাণের পাশাপাশি এটির উচ্চমানের ফটোগ্রাফি সক্ষমতা। এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে এআই-চালিত ফিচার, যা মোবাইল ফটোগ্রাফিকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়।
এআই ইরেজার ২.০ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ মুছে ফেলতে পারেন, আর এআই রিফ্লেকশন রিমুভার গ্লেয়ার বা প্রতিফলন দূর করে আরও পরিষ্কার ও প্রফেশনাল লুকিং ছবি দেয়। এআই আনব্লার ফিচার ঝাপসা বা ফোকাস হারানো ছবিকে আবার স্পষ্ট করে তোলে, ফলে প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়ে নিখুঁতভাবে।
এছাড়াও এআই ক্লিয়ারিটি এনহান্সার ছবির প্রতিটি খুঁটিনাটি নিখুঁতভাবে এডিট করে উপহার দেয় ঝকঝকে, হাই-ডেফিনিশন ইমেজ। অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তির দিক থেকে, অপো এ৫ প্রো-এ ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্ট কালারওস ১৫ লাইট, যা চালিত হচ্ছে শক্তিশালী ট্রিনিটি ইঞ্জিনের মাধ্যমে। এই শক্তিশালী কম্বিনেশন নিশ্চিত করে স্মুথ, স্থিতিশীল ও দক্ষ পারফরম্যান্স—হোক সেটা মাল্টিটাস্কিং, ভিডিও দেখা বা যেকোনো অ্যাপ ব্যবহার। ইউজার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে, অপো দিচ্ছে ৪৮ মাসের ফ্লুয়েন্সি প্রোটেকশন, যা নিশ্চিত করে যে দীর্ঘদিন ব্যবহারের পরেও ডিভাইসটি আগের মতোই পারফর্ম করবে ও সাড়া দেবে।
অপো এ৫ প্রো সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন অপো বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh অথবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.oppo.com/bd/.
লাল-সাদা রঙ ও বর্ণিল উচ্ছলতায়, গানের সুরে সুরে ভিন্ন আনন্দ এবং আমেজে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের এই উৎসবমুখর সময়ে অপো বাংলাদেশ প্রযুক্তিপ্রেমীদের আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে নিয়ে এসেছে পারফেক্ট স্মার্টফোন ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’।
এই বৈশাখে গরমে যখন সবাই হাঁসফাঁস করে, নেমে পড়ে সুইমিং পুল, নদী কিংবা ঝর্ণায়- তখন উৎসবমুখর দারুণ সময় কাটাতে প্রয়োজন ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এর মতো সম্পূর্ণ ‘ওয়াটার প্রুফ’ বা পানিরোধী স্মার্টফোন। এই মোবাইলে রয়েছে- ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় আইপি৬৯ রেটিং; আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি সক্ষমতা- যাতে পানির নিচেও স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করা সম্ভব। ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ আপনাকে দেবে কোনো প্রোটেক্টিভ কেস এর সহায়তা ছাড়াই মুগ্ধকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করার সুযোগ।
অপোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ‘এআই লাইভ ফটো’ ফিচার শাটার ট্যাপ করার কিছু সময় আগেও এবং পরেও ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে সক্ষম, যা কি না ছবিগুলোকে অকেবারেই প্রাণবন্ত ও জীবন্ত শর্ট ক্লিপস তৈরি করে।
মন-মাতানো এমন সব ছবি ক্যামেরাবন্দি করার পর- ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এ আরো রয়েছে এআই-পাওয়ারড এডিটিং টুলস। যাতে ছবির অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সহজেই মুছে ফেলা যায়, আর এ জন্য রয়েছে এআই ইরেজার ২.০; এছাড়া ছবিতে সূর্যের আলো কিংবা পানির যেকোনো অযাচিত আবহ বা ইফেক্ট সহজেই এআই রিফ্লেকশন রিমুভার দিয়ে মুছে ফেলা সম্ভব; মুঠোবন্দি করা ছবি আরো স্পষ্ট করা যাবে এআই আনব্লার টুলস ব্যবহার করে এবং ছবির ডিটেইল নিশ্চিত করবে এআই ক্লিয়ারিটি এনহেন্সার। তাই ছবি তোলা থেকে শুরু করে এডিট এবং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার পুরো প্রক্রিয়াটি নির্বিঘ্ন করবে ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’।
বাংলাদেশের অপো’র সব আউটলেট ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এখন-ই পাওয়া যাচ্ছে, ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এবং এই মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
তাই এই নববর্ষে শুধু ছবি তোলা নয়, হয়ে উঠুন এই উৎসবের অংশও। জীবনের সবটা পুরোপুরিভাবে আবিষ্কার করুন ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ এর মাধ্যমে।
মন্তব্য