× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Al Qaeda declares victory in Kashmir after Afghanistan
google_news print-icon

কাশ্মীর পরবর্তী লক্ষ্য: আল-কায়েদা

কাশ্মীর-পরবর্তী-লক্ষ্য-আল-কায়েদা
প্রতীকী ছবি
মুসলিমদের ‘স্বাধীন করতে’ আল-কায়েদার পরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্রের তালিকায় কাশ্মীরের সঙ্গে আছে পশ্চিম এশিয়ার লেভান্ত বা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় দেশ ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবাননের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এ ছাড়া রয়েছে ইসলামিক মাগরিব বা আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ লিবিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, তিউনিসিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘দখলদারিত্ব’ থেকে আফগানিস্তান ‘স্বাধীন হয়েছে’ বলে উচ্ছ্বসিত নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা। অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদেরও ‘মুক্তির স্বাদ’ দিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক জিহাদ গড়ে তোলার তালিকায় আল-কায়েদার পরবর্তী লক্ষ্য ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর।

পাকিস্তানে আল-কায়েদার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রচারমাধ্যম আস-সাহাবে বলা হয়, ‘মুসলিম বিশ্বের ওপর স্বৈরাচারী শাসন আর নিপীড়ন চাপিয়ে দিয়েছে পশ্চিমারা। আল্লাহর ইচ্ছায় আফগানিস্তানে বিজয়ের মধ্য দিয়ে অন্যান্য অঞ্চলে নিপীড়িত মুসলিমদের সামনেও স্বাধীনতা অর্জনের পথ উন্মুক্ত হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ধর্মভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের জয়ে উল্লসিত আল-কায়েদা নেতারা। ‘সাহসী আফগানরা নিজেদের জয় নিশ্চিতের মাধ্যমে মুসলিমদের সংগ্রামকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে’ বলেও উল্লেখ করা হয় আস-সাহাবে।

মুসলিমদের ‘স্বাধীন করতে’ পরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্রের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকাও প্রকাশ করেছে আল-কায়েদা। এতে কাশ্মীরের পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ার লেভান্ত বা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় দেশ ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবাননের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে রাখা হয়েছে। এর বাইরে আছে ইসলামিক মাগরিব বা আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ লিবিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, তিউনিসিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেন।

তবে বিশেষ প্রাধান্য দেয়া হয়েছে কাশ্মীরকে। আল-কায়েদা শেষবার ভারতের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটির নাম নিয়েছিল সংগঠনটির জম্মু-কাশ্মীর শাখা চালুর ঘোষণার সময়।

ভারতে ইসলাম ধর্ম পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সে সময় জম্মু-কাশ্মীরে শাখা হিসেবে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠা করে আল-কায়েদা।

চীনের শিনজিয়াং আর রাশিয়ার চেচনিয়ায় মুসলিম নিপীড়নের জোরালো অভিযোগ থাকলেও আল-কায়েদার তালিকায় নেই ওই অঞ্চল দুটি। এটি আল-কায়েদার রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের চক্ষুশূল হলেও আফগানিস্তানের নতুন শাসক গোষ্ঠী তালেবান সম্প্রতি চীন ও রাশিয়ার পরোক্ষ সমর্থন অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

আল-কায়েদা প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরিসহ সংগঠনটির প্রধান নেতারা বর্তমানে পাকিস্তানে আছেন বলে মনে করা হয়।

বিবৃতিতে ‘পৃষ্ঠপোষক’ পাকিস্তান সরকারের প্রতি রাজনৈতিক আনুগত্য প্রদর্শনে আল-কায়েদার ওপর চাপের বিষয়টি স্পষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।

রাশিয়ার কঠিন শাসন এড়িয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএসে) যোগ দিয়েছিল বিপুলসংখ্যক চেচেন। অন্যদিকে শিনজিয়াংয়ে উইঘুর আদিবাসীসহ বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্মম নির্যাতন ও জাতিগত নিধন প্রচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে।

তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর নজিরবিহীন উদ্ধার অভিযানের সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় এ উদ্ধার অভিযানে চরম বিশৃঙ্খলার জন্য দেশগুলোর সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হয়নি চীন-রাশিয়া; নীরব সমর্থনও দিয়েছে তালেবানকে।

আর সম্প্রতি অনানুষ্ঠানিকভাবে হলেও চীন-রাশিয়া, এমনকি তুরস্কের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদারে তৎপর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের সুফলভোগী পাকিস্তান।

এ ছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকে নির্মূল প্রচেষ্টায় তালেবান সহযোগিতা করবে বলেও আশাবাদী মস্কো।

তালেবান ও আইএস কট্টরপন্থি ও উগ্রবাদী। তবে আইএসের দৃষ্টিকোণ থেকে শরিয়াহ আইন তালেবানের সংস্করণের চেয়েও অনেক বেশি কট্টর।

আফগানিস্তানে লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে আইএস। নিজেদের বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি তালেবানকে আখ্যা দিয়েছে ‘ধর্মত্যাগী’ বলে।

আরও পড়ুন:
তালেবানের সামনে ৫ চ্যালেঞ্জ
ঘানি-ট্রাম্পকে দুষছেন বাইডেন
দেশে ফিরলেন কাবুলে আটকে পড়া ৬ বাংলাদেশি
তালেবানের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ভারতের
তালেবানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার ঘোষণা চীনের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Transferred to 20 judges simultaneously

একযোগে ২৩০ বিচারককে বদলি

একযোগে ২৩০ বিচারককে বদলি

ঢাকাসহ ১৯ জেলায় ৪১ জন জেলা জজসহ একযোগে জেলা আদালতের ২৩০ বিচারককে বদলি করা হয়েছে। বদলি করা এসব বিচারকের মধ্যে রয়েছেন ৫৩ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, ৪০ জন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং ৯৬ জন সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

গতকাল সোমবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলির আদেশ দেয়।

বদলি করা জেলা ও দায়রা জজদের আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে বর্তমান পদের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
During the illegal infiltration the Bangladeshi detained with the smugglers on the Garo Hill border

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধ পথে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে পাচারকারীসহ ৭ বাংলাদেশী আটক

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।

বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Police Super Ujjal Kumar Roy inaugurated the Loto Showroom in Jhalakathi

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে লোটো শোরুম উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়

ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।

এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।

পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।

কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In July 5 people admitted in the ophthalology lost their eyesight
ট্রাইব্যুনালে চিকিৎসকের জবানবন্দি

জুলাইয়ে চক্ষুবিজ্ঞানে ভর্তি ১১ জন দুই চোখ, ৪৯৩ জন এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন

জুলাইয়ে চক্ষুবিজ্ঞানে ভর্তি ১১ জন দুই চোখ, ৪৯৩ জন এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন

রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে চিরতরে দুই চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন ১১ জন। আর ৪৯৩ জন চিরতরে হারিয়েছেন এক চোখের দৃষ্টি।

গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দেওয়া জবানবন্দিতে দৃষ্টি হারানোদের চোখে পিলেট ও বুলেট বিদ্ধ রোগীদের রক্তস্নাত ভয়াবহতার সাক্ষ্য দিলেন হাসপাতালটির রেটিনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক যাকিয়া সুলতানা।

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দেন ওই চিকিৎসক।

সাক্ষীর জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই থেকে আমাদের হাসপাতালে রোগী আসা শুরু করে। প্রথম দিন পাঁচজন রোগী পেয়েছিলাম যারা মেটালিক পিলেট ও বুলেট বিদ্ধ ছিল। ১৮ জুলাই ছিল রক্তস্নাত একদিন। সেদিন আনুমানিক ১০০ রোগী ভর্তি হয়েছিল। এর বাইরে আরও শতাধিক রোগীকে ওইদিন চিকিৎসা দেয়া হয়। ওইদিন দুপুরে আমি ইমার্জেন্সির সামনে এসে এক ভয়াবহ চিত্র দেখি। ১৪ থেকে ২৫ বছর বয়সি শতাধিক রোগীর একটা বড় অংশের কেউ এক চোখ, কেউ তাদের রক্তে ভাসা দুচোখ ধরে ছিলেন। তাদের চেহারা রক্তস্নাত ছিল।

সাক্ষীর জবানবন্দিতে ড. জাকিয়া সুলতানা নিলা বলেন, ১৮ জুলাই ১০ টি ওটি টেবিলে রাত ৯টা পর্যন্ত অপারেশন চলে। ১৯ জুলাই একই রকম চিত্র দেখতে পাই। অধিকাংশই মেটালিক পিলেট ও কেউ-কেউ বুলেট দ্বারা আহত ছিলেন। আহতের ধরনে ছিল কারো কর্নিয়া ছিদ্র, কারো চোখের সাদা অংশ ছিদ্র কিংবা কারো চোখ ফেটে যাওয়া অবস্থায় ছিলো।

২০২৪ সালের ৪, ৫,৬ আগস্ট অনেক বেশি রোগী রিসিভ করেন জানিয়ে এই চিকিৎসক তার জবানবন্দিতে বলেন, আমাদের হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে এক চোখে চিরতরে দৃষ্টি হারিয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা ৪৯৩ জন। দুই চোখে চিরতরে দৃষ্টি হারিয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা ১১ জন। দুই চোখে গুরুতর দৃষ্টি স্বল্পতায় ভুগছেন এমন রোগীর সংখ্যা ২৮ জন। আর এক চোখে গুরুতর দৃষ্টি স্বল্পতায় ভুগছেন এমন রোগীর সংখ্যা ৪৭ জন।

অধিকাংশ রোগী নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ওই সময় নিজের ডাক নাম ব্যাবহার করেছেন জানিয়ে এই চিকিৎসা বলেন, রোগীরা তাদের ভুল মোবাইল নম্বর ও আইডি কার্ড নাম্বার দিতো নিরাপত্তার কথা ভেবে বা কৌশল অবলম্বন করতে।

গতকাল ট্র্যাইব্যুনালে প্রসিকিউটসন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম। একসময় অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে জেরায় ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এদিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আজ সাক্ষ্য গ্রহণের সময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। গতকাল পর্যন্ত এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।

এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The government will determine the price of five life saving drugs

জীবনরক্ষাকারী ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার

জীবনরক্ষাকারী ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম এখন থেকে সরকার নির্ধারণ করবে। হাইকোর্ট ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করে ১৯৯৩ সালের সরকারি গেজেট পুনর্বহাল করেছে, যেখানে ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে সরকার তা প্রকাশ করেছিল। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, এসব ওষুধের দাম সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে।

গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, ১৯৮২ সালের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশের ১১ ধারা অনুযায়ী ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত ছিল। সে ধারার ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭৩৯টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু পরের বছর ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করে। সেখানে বলা হয়, মাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করবে, আর বাকি ওষুধগুলোর দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি ওষুধ অনেক ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হতে শুরু হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে সার্কুলারটি চ্যালেঞ্জ করে এইচআরপিবি। এর আগে প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ ৩১ জুলাই ২০১৮ তারিখে রুল জারি করে জানতে চান কেন সার্কুলারটিকে বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।

সেই মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের আদালতে তারিখ নির্ধারণ হয় এবং দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল সোমবার ওই সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন ওই আদালত।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি আদালতে যুক্তি দেন, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সরাসরি নাগরিকদের জীবনের অধিকার ও স্বাস্থ্যসুরক্ষার মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। সরকার এই নিয়ন্ত্রণ সীমিত করায় উৎপাদনকারীরা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশে সরকারের হাতে এই ক্ষমতা দেওয়া হলেও ১৯৯৪ সালের সার্কুলার তা খর্ব করেছে, যা সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবাদী পক্ষ, অর্থাৎ ওষুধ মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস. কে. মোরশেদ। তারা যুক্তি দেন, এইচআরপিবি এ ধরনের রিট করার বৈধতা রাখে না। তবে বাদীপক্ষ থেকে জবাবে বলা হয়, পূর্বে জনস্বার্থে স্বাস্থ্য খাত সম্পর্কিত একাধিক রিট দায়ের করে রায় পাওয়া গেছে, তাই এই রিটও বৈধ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ এজাজ করিব।

আদালত সংবিধানের ১১২ অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ১৯৯৪ সালের সার্কুলারটি অবৈধ। আদালত নির্দেশ দেন— এখন থেকে জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করবে। দাম নির্ধারণের পর তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। এমনকি স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

রিট পিটিশনার ছিলেন এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী। বাদী পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল। বিবাদীরা ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব, ডিজি হেলথ, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ছয়জন।

প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে গত ১৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার জীবনরক্ষাকারী ওষুধের নতুন তালিকা প্রণয়নের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। হাইকোর্ট তার রায়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সব ওষুধের দামও সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
I want women to be seen only as a human Runa Khan

আমি চাই নারীকে শুধু মানুষ হিসেবেই দেখা হোক: রুনা খান

আমি চাই নারীকে শুধু মানুষ হিসেবেই দেখা হোক: রুনা খান

জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী রুনা খান নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিশেষ করে ছোটপর্দার অভিনেত্রী হিসাবে বেশ পরিচিত তিনি। কিন্তু বড়পর্দাতেও অভিনয় করে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন অভিনেত্রী। এর মধ্যে পাঁচটি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। হালদা' সিনেমায় জাতীয় চলচ্চিত্র ও বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন রুনা খান।
সর্বশেষ যে ছবিতে কাজ করছেন, সেখানেই উঠে আসবে নায়িকাদের জীবনের আড়ালের কাহিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রুনা খান সিনেমার নানা প্রসঙ্গে নিয়ে কথা বলেছেন। মিডিয়াতে নারীকে উপস্থাপন ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও আলোচনা করেন অভিনেত্রী।
রুনা খান এবারই প্রথম ‘চলচ্চিত্র: দ্য সিনেমা’ নামক সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। এবার বড়পর্দায় তাকে দেখা যাবে নায়িকার ভূমিকায়। আলী জুলফিকার জাহেদীর পরিচালনায় নির্মাণ করা হচ্ছে এ সিনেমাটি। যেখানে নায়িকাদের জীবনের গল্প নিয়ে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন রুনা খান।
অভিনেত্রী বলেন, আমরা যারা অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত, দর্শকরা শুধু আমাদের পর্দায় দেখেন। কিন্তু পর্দার বাইরেও আমাদের আলাদা জীবন আছে, আছে সুখ-দুঃখের গল্প। এ নিয়েই ‘চলচ্চিত্র: দ্য সিনেমা’ সিনেমার কাহিনি। তিনি বলেন, আমি চাই নারীকে শুধু মানুষ হিসেবেই দেখা হোক। নাটক, সিনেমা কিংবা সংবাদ— সব জায়গায় নারীকে এমনভাবে উপস্থাপন করুক, যেন তারা স্বাভাবিক অধিকার পায়।
রুনা খান বলেন, এক বিশেষ চরিত্র রয়েছে, যা তার মধ্যে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সেটি হলো— ‘নীলপদ্ম’ সিনেমার ‘নীলা’ চরিত্র। নীলা চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে একজন যৌনকর্মী। এ চরিত্রটি করতে গিয়ে এ পেশার মানুষের জীবনের যে গভীর যন্ত্রণা, অপমান আর বাস্তবতা— তা খুব কাছ থেকে দেখেছি, অনুভব করেছি; আর এ অভিজ্ঞতাই আমাকে ভেতর থেকে বদলে দিয়েছে।
অভিনেত্রী বলেন, আমরা কি একটু বেশি মানবিক হতে পারি না? যৌনকর্মীদের প্রতিও যদি সহানুভূতি দেখানো যেত! আসলে এ চরিত্র আমাকে ভেতর থেকে বদলে দিয়েছে, মননশীল করেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
If the legal aid activities are available you will save a lot of time and money Law Advisor

আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে সহজলভ্য করলে প্রচুর সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে: আইন উপদেষ্টা

আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে সহজলভ্য করলে প্রচুর সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে: আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে সহজলভ্য করার মাধ্যমে প্রচুর সময় ও অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব। এই সেবা যারা পেয়েছেন তাদের ৯০ ভাগ মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আদালতের তুলনায় ১০ ভাগের একভাগ কম সময়ে তারা এই সেবা পাচ্ছেন।

আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডিআর : রোল অব ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এইড কমিটিস ইন ইমপ্লিমেন্টিং নিউ লেজিসলেশন্স’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন,বিচারপ্রত্যাশী মানুষের সময়, শ্রম এবং অর্থ বাঁচাতে সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লিগ্যাল এইডের কাজ চলমান থাকবে। তিনি বলেন, এক টাকা পরিমাণ অর্থ অনুদান না পেলেও আমরা বসে থাকব না, যতদিন মেয়াদ অবশিষ্ট আছে আমরা কাজ করে যাব এবং এমন ব্যবস্থা করে যাব, যেন আমরা চলে গেলেও মানুষ এর উপকার পান।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ কাজে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা না থাকলেও আপনারা ভবিষ্যতে এ মহৎ কাজ চালিয়ে যাবেন।’

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান,আইন ও বিচার বিভাগ সচিব শেখ আবু তাহের, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মাইকেল মিলার এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আজাদ সুবহানী।

মন্তব্য

p
উপরে