বিশেষ এক ধরনের সাপের বিষে প্রাপ্ত একটি উপাদান দিয়ে করোনাভাইরাসের বংশবিস্তার রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন ব্রাজিলের গবেষকরা।
ধারণা সত্যি হলে কোভিড নাইনটিনের ওষুধ আবিষ্কারের পথে এটি সম্ভাব্য প্রথম উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। তবে এ জন্য সাপ ধরার বা পালার প্রয়োজন হবে না। গবেষণাগারেও উপাদানটি তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রাজিলের জারারাকুসু সাপের বিষের একটি আণবিক উপাদান করোনার বিস্তারকে বাধাগ্রস্ত করে। বানরের কোষে ওই উপাদান প্রয়োগের ফলে ভাইরাসের বিস্তারের সক্ষমতা ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো গেছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী মলিকিউলসে গত মাসে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ইউনিভার্সিটি অফ সাও পাওলোর অধ্যাপক রাফায়েল গুইদো বলেন, ‘ভাইরাসের খুব গুরুত্বপূর্ণ আমিষের অংশটিকে বাড়তে বাধা দিয়েছে সাপের বিষের ওই উপাদানটি।’
পিট ভাইপার প্রজাতির সাপ জারারাকুসু। এর বাস দক্ষিণ আমেরিকায়। অঞ্চলটির অন্যতম আতঙ্ক সাপের বিষ মারাত্মক বিষাক্ত। একেকটি লম্বায় সোয়া দুই মিটার পর্যন্ত হতে পারে। বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে আর আর্জেন্টিনাতেও দেখা মেলে এই সাপের।
জারারাকুসুর বিষের আণবিক উপাদান বা মলিকিউল হলো এক ধরনের পেপটাইড বা দলবদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি অন্য কোনো কোষে আঘাত করা ছাড়াই করোনাভাইরাসের পিএলপ্রো এনজাইম বা উৎসেচকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। ভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ এই পিএলপ্রো উৎসেচক।
ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুণের জন্য পরিচিত পেপটাইড রাসায়নিক সংশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণাগারেও তৈরি করা সম্ভব বলে জানান গুইদো।
অর্থাৎ এটি তৈরিতে সাপ ধরা বা পালার কোনো দরকার হবে না। অর্থাৎ পরিবেশ বা প্রাণীর ক্ষতি করা ছাড়াই এ ওষুধ তৈরি করা সম্ভব।
পরবর্তী ধাপে ডোজভেদে উপাদানটির কার্যকারিতার পার্থক্য নির্ণয় করবেন গবেষকরা। মানবকোষেও এটি পরীক্ষা হবে, তবে কবে, তা এখনও অস্পষ্ট।
আরও পড়ুন:পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথড পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। এজন্য শনিবার রাত ২টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন বা ধীরগতি দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শনিবার রাত ২টা থেকে পরদিন রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এসময় সি-মি-উই সাবমেরিন ক্যাবলসের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথড পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সি-মি-উই-৪ সাবমেরিন ক্যাবলসের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে নোট ৪০ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ‘নোট ৪০এস’ উন্মোচন করেছে ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে ও ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্যের স্মার্টফোনটিতে ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা পাবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইনফিনিক্সের ভাষ্য, নোট ৪০এস স্মার্টফোনটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তরুণ, টেক-স্যাভি ব্যবহারকারী এবং পেশাদারদাররা পাবেন টপ-নচ পারফরম্যান্স ও সুবিধা।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস মডেলটিতে রয়েছে উজ্জ্বল ৬.৭৮-ইঞ্চি থ্রিডি কার্ভড অ্যামলয়েড ডিসপ্লে। ডিসপ্লের ফ্ল্যাগশিপ স্তরের থ্রিডি কার্ভড এজগুলো নান্দনিক আকর্ষণ সৃষ্টি করে, পাশাপাশি এটি ত্রিমাত্রিক দেখার অভিজ্ঞতা দেবে। স্মার্টফোনটির ডিসপ্লের রেজুলেশন ২৪৩৬*১০৮০ পিক্সেল এবং এতে রয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটসহ আল্ট্রা ক্লিয়ার ভিজুয়ালস এবং ফ্লুইড অ্যানিমেশন।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস গেমিং, স্ট্রিমিং এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হতে পারে ভালো বিকল্প। ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং ডিভাইস ব্যবহারের সময় চোখের আরামের জন্য নীল রশ্মি নির্গমনের ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে।
ডিভাইসটিতে আছে ২০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং ৩৩ ওয়াট অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০। এটি ম্যাগ পাওয়ার এবং ম্যাগ প্যাড ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় ব্যবহারকারীরা একই সঙ্গে দ্রুত ও সুবিধাজনক চার্জিং প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস-এর প্রধান আকর্ষণ ব্যাটারি লাইফ। ডিভাইসটিতে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি রয়েছে, যা একবার ফুল চার্জে দিনভর ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ম্যাগচার্জারে ব্যবহারকারীরা ঘরে বা বাইরে ডিভাইসটিকে দ্রুত চার্জ করার সুবিধা পাবেন।
ফটোগ্রাফি, রিলস, ভিডিওতে জেন-জিদের রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। তাদের কথা মাথায় রেখে ইনফিনিক্স নোট ৪০এস ডিভাইসটির ক্যামেরা ফিচারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে, যা নির্বিঘ্নে তাদের সব চাহিদা পূরণ করতে পারে।
ফোনটির প্রধান ক্যামেরা ১০৮ মেগাপিক্সেলের। এ ছাড়াও রয়েছে একটি ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, যা দিয়ে ঝকঝকে নিখুঁত সেলফি তোলা সম্ভব। একই সঙ্গে এতে আছে সুপার নাইট, স্লো মোশন এবং টাইম-ল্যাপসের মতো দরকারি সব মোড, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা কম আলোতে দিনে বা রাতে যেকোনো পরিবেশে অসাধারণ ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে পারবেন।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস স্মার্টফোনটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে দেয়া হয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি ৯৯ চিপসেট, যা মাল্টিটাস্কিং এবং এটি উচ্চ-গতির কর্মক্ষমতার জন্য অপ্টিমাইজ করা। এটি সারা দিন ল্যাগমুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে।
ডিভাইসটিতে আছে ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ। নতুন স্মার্টফোনে ইনফিনিক্সের সবশেষ এক্সওএস ১৪ স্কিনের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ১৪ এর সমন্বয় থাকায় ব্যবহারকারীরা কাস্টমাইজযোগ্য ইন্টারফেসের সুবিধা পাবেন। ডিভাইসটিতে আছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং আইপি ৫৪ ধুলোবালি ও স্প্ল্যাশ প্রতিরোধের মতো বৈশিষ্ট্য, যা এটিকে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সুরক্ষিত এবং টেকসই করে তোলে।
অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এবং ভিনটেজ গ্রিন—এ দুটি রঙে স্মার্টফোনটি বাজারে এসেছে, যার মূল্য মাত্র ২৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। বাজেট ফ্রেন্ডলি ফোনটি ব্যবহারকারীদের একটি প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা দেবে বলে আশা করছে ইনফিনিক্স।
সারা দেশের যেকোনো অফিশিয়াল স্টোর থেকে গ্রাহকরা ইনফিনিক্স নোট ৪০এস স্মার্টফোনটি কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের ডিসপ্লের ক্ষেত্রে প্রথাগত ফ্ল্যাট স্ক্রিন এবং থ্রিডি কার্ভড বা বাঁকানো ডিসপ্লের মধ্যে কোনটি সেরা, সেটি নিয়ে তর্ক চলে আসছে।
উভয় ডিসপ্লেরই বেশ কিছু সুবিধা আছে, তবে নান্দনিকতা ও কার্যকারিতার সমন্বয়ের জন্য বর্তমান তরুণদের কাছে থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে যারা ডিভাইসে নতুনত্ব ও স্টাইল খুঁজছেন, তাদের কাছে কার্ভড ডিসপ্লে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।
এমন বাস্তবতাকে মাথায় রেখে টেক ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স তাদের আসন্ন নোট ৪০ সিরিজের নতুন স্মার্টফোনে থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে যুক্ত করছে।
নতুন মডেলটি তরুণ এবং টেক-স্যাভি ইউজার তথা যারা নতুন প্রযুক্তিপণ্য ও ডিজিটাল গ্যাজেট সহজে ব্যবহার করতে পারেন, ভালোভাবে বুঝতে পারেন, তাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে ইনফিনিক্স। প্রতিষ্ঠানটির মতে, এর মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নের ইনফিনিক্স যে লক্ষ্যে কাজ করছে, তার প্রতিফলন ঘটবে।
ইনফিনিক্স জানায়. শুধু নান্দনিকতার জন্য নয়, থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের বাঁকানো প্রান্তগুলো ব্যবহারকারীদের দেয় এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। পড়াশোনা, গেম খেলা, মোবাইলে প্রিয় অনুষ্ঠান দেখা কিংবা কাজের সময় মাল্টিটাস্কিং করার ক্ষেত্রে মসৃণ অভিজ্ঞতা পান ব্যবহারকারীরা।
অন্যদিকে ডিভাইসের চারপাশে থাকা বাঁকানো কোণাগুলো কেবল দেখতেই দৃষ্টিনন্দন নয়, এটি এর্গোনোমিক গ্রিপ তৈরি করতে সহায়তা করে। ফলে ডিভাইসটিকে আরও হালকা মনে হয় এবং সহজেই বহন করা যায়।
অন্যদিকে ফ্ল্যাট ডিসপ্লে গতানুগতিক, সহজবোধ্য ব্যবহার অভিজ্ঞতা দিলেও থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের মতো এটি ত্রিমাত্রিক নয়। ফ্ল্যাট বা সমান্তরাল ডিসপ্লের ডিভাইস হাতে নিলে একটু হার্ড মনে হতে পারে এবং ভিডিও বা গেম খেলার ক্ষেত্রে তা স্বাচ্ছন্দ্যকর অনুভূতি দেয় না।
দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট ডিসপ্লে টেকসই হলেও কার্ভড ডিসপ্লের মতো এটি মসৃণ, মর্ডান লুক এবং আরামদায়ক অভিজ্ঞতা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই পিছিয়ে। এ ছাড়াও আসন্ন নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে তাদের ডিজাইন করা নমনীয়তা এবং কার্যকারিতার একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ অফার করছে। নতুন নোট সিরিজের মডেলটিতে থাকছে ৩৩ ওয়াটের ফার্স্ট চার্জার।
এটি ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সাধারণত প্রিমিয়াম ডিভাইসে পাওয়া যায়।
ইনফিনিক্স জানায়, ফোনের পেছনে থাকা চার্জারটি দিয়ে সইজেই স্ন্যাপ এবং পাওয়ার আপ করা যাবে, যা প্যাঁচানো ক্যাবলের ঝামেলা থেকে রেহাই দেবে।
প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, দ্রুত গতিসম্পন্ন হওয়ায় একই সঙ্গে এ ডিভাইস শিক্ষার্থী এবং তরুণ পেশাদারদের দ্রুতগতির জীবনধারার সঙ্গে পুরোপুরি উপযুক্ত।
নতুন এ ডিভাইসে যোগ করা হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের একটি মেইন ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা, যাতে করে ঝকঝকে, স্পষ্ট হাই-রেজুলেশনের ছবি পাওয়া যায়।
ফ্ল্যাগশিপের ট্যাগ ছাড়াই গ্রাহকরা স্মার্টফোনটিতে ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল সব বৈশিষ্ট্য পাবেন বলে জানিয়েছে ইনফিনিক্স।
টেক ব্র্যান্ডটি জানায়, রাতে পড়াশোনা থেকে শুরু করে সপ্তাহান্তে অ্যাডভেঞ্চার পর্যন্ত জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো ধারণের জন্য একটি নিখুঁত সঙ্গী হবে এ ডিভাইস।
ইনফিনিক্স আরও জানায়, যারা বাজেট ফ্রেন্ডলি ভালো পারফরম্যান্সের একটি ফোনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন, তাদের জন্য খুব শিগগিরই বাংলাদেশের বাজারে আসতে যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের নতুন ফোনটি।
নোট ৪০ প্রো উন্মোচনের পর যারা ইচ্ছে থাকলেও শুধু বাজেটের কারণে ডিভাইসটি কিনতে পারেননি, তাদের জন্য নতুন ডিভাইসটি চাহিদা এবং বাজেটের সম্বন্বয় ঘটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:আধুনিক মোবাইল গেমগুলোতে দারুণ গ্রাফিক্স ও দ্রুত গতির সঙ্গে প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত ব্যাটারি পারফরম্যান্স ও স্থিতিশীল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। এসব কিছু প্রাধান্য দিয়ে তরুণদের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে ইনফিনিক্স হট সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।
২০২৪ সালের শুরুতে বাজারে এসেছে হট ৪০ সিরিজের প্রথম ফোন ‘ইনফিনিক্স হট ৪০ আই’। পরে বাজারে আসে একই সিরিজের আরও দুই স্মার্টফোন ‘হট ৪০ প্রো’ এবং ‘হট ৪০’।
মেটামেটেরিয়াল অ্যান্টেনা, এক্সবুস্ট গেমিং ইঞ্জিন এবং ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পেয়ার ব্যাটারি লাইফের মতো ট্রেন্ড-সেটিং ফিচার আছে আধুনিক এসব স্মার্টফোনে।
শুরু থেকেই বাজারের সব গেমিং স্মার্টফোন সেগমেন্টে নেতৃত্ব দিয়েছে ইনফিনিক্সের এ তিন ফোন।
গেমিংয়ের সময় গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের মাঝখানে হঠাৎ সংযোগ হারানোর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে হট ৪০ প্রোতে আছে একটি মেটামেটেরিয়াল অ্যান্টেনা। এ ছাড়াও স্মুথ গেমিং নিশ্চিত করতে ফোনটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি ৯৯ প্রসেসর এবং ৮ গিগাবাইট র্যাম।
ফোনটির ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটসহ ৬.৭৮ ইঞ্চি এফএইচডি প্লাস ডিসপ্লেতে আপনার প্রিয় গেমগুলোকে দেখাবে অত্যন্ত মসৃণ ও প্রাণবন্ত।
গেমিংয়ের জন্য ফোনের পারফরম্যান্সকে অপটিমাইজ করতে হট ৪০ প্রোতে রয়েছে গেম মোড এবং গেম টার্বোর মতো ট্রেন্ডিং সব ফিচার।
১০৮ মেগাপিক্সেলের ব্যাক এবং ৩২ মেগাপিক্সলের সেলফি ক্যামেরার ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
হট ৪০ ফোনটির গেম অ্যান্টেনা ফোনের ওয়াইফাই জোনকে বর্ধিত করে। আধুনিক এই প্রযুক্তি গেমিংয়ের সময় সিগন্যাল রিসিপশন বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করেছে ইনফিনিক্স। এতে গেমাররা কোনো প্রকার আটকে যাওয়া ছাড়াই গেমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবে।
গেমিংয়ের সব চাহিদা পূরণে যথেষ্ট মসৃণ ডিসপ্লের ফোনটিতে আরও আছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ প্রসেসর ও ৮ গিগাবাইট র্যাম। একই সঙ্গে আছে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পেয়ার এবং ৩৩ ওয়াটের ওয়্যারড চার্জিং অ্যাডাপটর, যা দিয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ চার্জ হতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট।
বর্তমানে এ গেমিং ফোনটির দাম ১৭ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
হট ৪০ সিরিজের সবচেয়ে সাশ্রয়ী গেমিং ফোন হচ্ছে ইনফিনিক্স হট ৪০ আই। নির্ঝঞ্ঝাট গেমিং অভিজ্ঞতা দিতে ফোনটিতে রয়েছে অক্টাকোর ইউনিসক টি ৬০৬ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম এবং ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। আধুনিক ফিচারের ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা।
হট ৪০ সিরিজ ছাড়াও ইনফিনিক্সের আছে হট ৩০ সিরিজ। এ সিরিজের ফোনগুলোতে মিলবে দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ ও ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা।
প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণদের বাড়তি চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন এনে গেমিং স্মার্টফোনের বাজারকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে চলেছে ইনফিনিক্সের হট সিরিজ। দেশের যেকোনো অফিশিয়াল শোরুম থেকে কিনতে পারবেন পছন্দের ইনফিনিক্স স্মার্টফোন।
আরও পড়ুন:সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রোববার শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এই অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর অনেক জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার অপারেটরদের ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক মিডিয়া ব্লক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এর ছয় ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেয়া হয়। তার একদিন পর আবারও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো।
কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ আয়োজনের কথা জানান আন্দোলনের সমন্বয়করা। এছাড়া রাজধানীতে সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, টেকনিক্যাল, মিরপুর ১০, রামপুরা, তেজগাঁও, ফার্মগেট, পান্থপথ, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় বিক্ষোভ এবং গণসমাবেশ আয়োজনের কথা রয়েছে।
কর্মসূচি সফল করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশে আবারও আকস্মিকভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই অ্যাপ সুনির্দিষ্টভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ করা হয়েছে বলে স্থানীয় মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা গেছে। সূত্র: ইউএনবি
শুক্রবার আনুমানিক দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই বিধিনিষেধের মধ্যে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশে প্রবেশ স্থগিত করা হয়। এই পদক্ষেপ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর অন্তর্বর্তী বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতার সর্বশেষতম পদক্ষেপ। যদিও বর্তমান বিধিনিষেধের নির্দিষ্ট কারণগুলো স্পষ্ট করা হয়নি।
নিষেধাজ্ঞার সময়কাল সম্পর্কে জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর প্রতিনিধিরা বলেন, এক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
গ্রামীণফোনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু অ্যাপ ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’
ফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তাদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দেশে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালুর তিন দিনের মধ্যে গ্রাহকরা পাঁচ গিগাবাইট (জিবি) ডেটা বোনাস হিসেবে পাবেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে রোববার বৈঠকের পর রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মোবাইল ইন্টারনেটে ফোরজি সেবা চালু নিয়ে পলক সাংবাদিকদের বলেন, ‘তো আজকে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যে আমাদের বৈঠক শেষে, যে আজকে বিকাল তিনটার সময় আমরা আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কে ফোরজি ইন্টারনেট কানেকটিভিটি আমরা পুনস্থাপন করতে পারব ইনশাল্লাহ এবং বিকাল তিনটার পর থেকে সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি পুনস্থাপন করা হবে ইনশাল্লাহ এবং তার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা আমরা সবসময় দেব এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, তারাও যত দ্রুত সম্ভব তাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে এবং আশা করছি আমরা যে, আজকে বিকাল তিনটা থেকে আমরা পুনরায় মোবাইল ফোরজি নেটওয়ার্ক আমরা পুনঃসংযোগ করতে পারব, পুনস্থাপন করতে পারব।
‘এর সাথে সাথে যারা মোবাইলের, যাদের ইন্টারনেটের প্যাকেজগুলো ছিল, সেটা আসলে তাদের তো ব্যক্তিগতভাবে কোনো দোষ নাই, কিন্তু এ নেটওয়ার্কটা আসলে নিরবচ্ছিন্ন না থাকাতে তারা সেই সময় ইন্টারনেটটা ব্যবহার করতে পারে নাই। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে আমরা আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যে, তিন দিনের জন্য আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক যারা ব্যবহার করবেন এবং ফোরজিতে যখন যুক্ত হবেন, তখন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রত্যেক গ্রাহক তিন দিনের জন্য ফাইভ জিবি (গিগাবাইট) বোনাস ডেটা তারা পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা হচ্ছে বোনাস, যেটা সকল ইন্টারনেট গ্রাহক যারা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটে যুক্ত হবেন আজকে তিনটার পর তারা তিন দিনের মধ্যে তারা ফাইভ জিবি ডেটাটা, প্যাকেজটা তারা বোনাস হিসেবে পাবেন। এ বিষয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর তারা সম্মত হয়ে গেছেন।’
মন্তব্য