× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
5 challenges in front of the Taliban
google_news print-icon

তালেবানের সামনে ৫ চ্যালেঞ্জ

তালেবানের-সামনে-৫-চ্যালেঞ্জ
বিদেশি সেনা প্রত্যাহার সম্পন্নের পর মঙ্গলবার কাবুল বিমানবন্দরে আফগান বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজের ককপিটে তালেবান যোদ্ধারা। ছবি: এএফপি
সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে তালেবানকে। বিদ্রোহী থাকাকালীন বছরের পর বছর তারা নিজেরাই আফগান ভূখণ্ডে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এখন শাসক দল হিসেবে আফগান জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতে নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে তালেবান সরকারকে।

২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দুই দশক পর আরও বেশি শক্তি নিয়ে আফগানিস্তানের মসনদে আবির্ভূত হয়েছে তালেবান। এবার আগের চেয়েও বেশি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে কট্টরপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

খনিজ সম্পদে ভরপুর আফগানিস্তান চার দশকের বেশি সময়ের সংঘাতে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে। গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটে জর্জরিত দেশটি। এর ওপর কট্টরপন্থি বলে দেশটির নতুন শাসক দল কূটনৈতিকভাবেও একঘরে।

এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পরাশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করে ফিরে এলেও দেশ পরিচালনায় বেশ কিছু বড় বাধার সম্মুখীন হতে হবে গোষ্ঠীটিকে।

তালেবানের সামনে প্রায় অবধারিত পাঁচটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে ডনের প্রতিবেদনে

আস্থার অভাব

দ্বিতীয় দফার শাসনামলে ঠিক কেমন ভূমিকা নেবে তালেবান, তা নিয়ে শঙ্কা-সন্দেহ-উদ্বেগে দিন পার করছে সাধারণ আফগানদের বড় অংশ। তাদের এ শঙ্কা অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দেয়ারও উপায় নেই।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় দেশ শাসন করে তালেবান। সে সময় আফগানদের ওপর শরিয়াহ আইনের নামে কঠোর জীবনযাত্রা চাপিয়ে দিয়েছিল ধর্মভিত্তিক দলটি।

নারীদের শিক্ষা গ্রহণ, চাকরি করা ও উন্মুক্ত স্থানে যাওয়া-আসাসহ সব ধরনের মৌলিক অধিকার নিষিদ্ধ, বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শীদের নির্মমভাবে হত্যা করা, হাজারা সম্প্রদায়ের মতো ধর্মীয় ও আদিবাসী সংখ্যালঘুদের ওপর গণহত্যাসহ নানা অরাজকতার জন্ম দিয়েছিল তালেবান যোদ্ধারা।

এবার অবশ্য ক্ষমতা দখলের পর গোষ্ঠীটির সুর কিছুটা নমনীয়। সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একীভূত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইসহ আফগান রাজনীতিতে স্পর্শকাতর বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছে তালেবান নেতারা।

নব্বইয়ের দশকের কঠোর শাসনব্যবস্থার তুলনায় বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর পরিবর্তন দৃশ্যমান করতে শিয়া হাজারা সংখ্যালঘুদের কাছে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন সুন্নিপন্থি তালেবান নেতারা। ১৯৯০ সালের পর তালেবানের বর্বর নিপীড়নের সাক্ষী হয়েছিল হাজারারা।

এ অবস্থায় গ্রামাঞ্চলগুলোতে দীর্ঘ সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটবে, এমন প্রত্যাশায় কিছুটা স্বস্তিতে স্থানীয়রা। কিন্তু শেষ পর্যন্তে কাজে তালেবানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে কি না, সে প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত বেশিরভাগ আফগান।

নারী অধিকারের মতো বিষয়ে শিথিলতার কথাও বলেছে তালেবান, তবে শরিয়াহ আইনের আওতায় যার অর্থ স্পষ্ট করেনি গোষ্ঠীটি। নারীরা, বিশেষ করে যারা শহরে থাকেন, তারা এখন থেকেই ঘরবন্দি। না পারতে বাইরে বের হলেও আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা থাকছে তাদের।

অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয়

বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ আফগানিস্তান। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের অভিযানে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিপুল পরিমাণে বিদেশি সহায়তা পেয়েছিল দেশটি।

২০২০ সালেও বেসামরিক সরকারশাসিত আফগানিস্তানে মোট বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ৪০ শতাংশের বেশি এসেছিল আন্তর্জাতিক সহায়তা থেকে।

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর সেসব সহায়তার বেশিরভাগই স্থগিত করা হয়েছে। বাকি সহায়তার বিষয়েও কোনো নিশ্চয়তা নেই।

আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে গচ্ছিত আছে, তাতেও প্রবেশাধিকার পাবে না তালেবান শাসকগোষ্ঠী।

সব মিলিয়ে তালেবানের নতুন সরকার বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা, পানি, বিদ্যুৎ আর পরিবহনের মতো সেবা-পরিষেবাগুলো চালু রাখা অনিশ্চিত।

দীর্ঘ সংঘাতের পাশাপাশি তীব্র খরার কারণে খাদ্যের মজুত কমছে বলে খাদ্যসংকটের দিক থেকেও আফগানিস্তান মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের মতে, বিদ্রোহী থাকাকালীন আফিম-হেরোইনসহ নানা খাত থেকে তালেবানের নিজস্ব আয় অবশ্য কম ছিল না। কিন্তু আফগানিস্তানের জাতীয় বাজেটের সামনে সে আয় কিছুই নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এ দফায় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর অবশ্য আয়ের কিছু খাত নিশ্চিত করেছে তালেবান। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সীমান্ত পারাপার থেকে শুল্ক বাবদ প্রাপ্ত রাজস্বের কথা। কিন্তু জাতীয় চাহিদার তুলনায় এ আয়ও খুব সামান্য।

মেধা পাচার

নগদ অর্থের সংকটের পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ে তীব্র অভাবের মুখে পড়তে যাচ্ছে আফগানিস্তানের নতুন শাসক দল। তা হলো দক্ষ জনশক্তি।

গত ১৫ আগস্ট তালেবান রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের উদ্ধার অভিযানের সুযোগে দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় এক লাখ আফগান।

দীর্ঘ অস্থিতিশীলতার কারণে আগেও অনেক মানুষ যে যেভাবে পেরেছে, দেশ ছেড়েছে। এদের অনেকেই ছিলেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতা-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও সম্ভাবনাময়।

আমলা, ব্যাংকার, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী তালেবানের শাসন থেকে বাঁচতে চেয়েছে।

মেধা পাচারের এ সংকট যে আফগান অর্থনীতিকে সামনের দিনগুলোতে আরও বড় সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে, সে বিষয়ে তালেবানও অবগত।

দক্ষ জনশক্তিকে দেশ না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। চিকিৎসা-প্রকৌশলে ‘বিশেষজ্ঞ’দের দেশে প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

কূটনীতিতে কোণঠাসা

প্রথম দফার শাসনামলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘অচ্ছুত’ ছিল আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।

এবার গোষ্ঠীটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পেতে উদগ্রিব হিসেবেই দৃশ্যমান হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ কাবুলে নিজেদের কূটনৈতিক মিশন ও দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে বা কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে।

এ অবস্থায় আপাতত আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মুখাপেক্ষী তালেবান। কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আগেই প্রতিবেশী পাকিস্তান, ইরান, চীন, রাশিয়া আর কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে গোষ্ঠীটি।

কোনো দেশই আফগানিস্তানের নতুন সরকার হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি এখনও। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, স্বীকৃতি ‘অর্জন করে নিতে হবে’ তালেবানকে।

আফগানদের নিরাপদে দেশ ছাড়তে দিতে তালেবানের ওপর চাপ প্রয়োগ করা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে ভেটো না দিলেও সম্মতিও দেয়নি দ্বিধাবিভক্ত চীন ও রাশিয়া।

আইএস জঙ্গিদের আধিপত্যের শঙ্কা

আফগানিস্তানের শাসনব্যবস্থা এখন তালেবানের করায়ত্তে হলেও তাদের বিদ্রোহী যুগের অবসানের সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি মুছে যায়নি।

সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। গত সপ্তাহেই কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ১৮০ জন নিহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে আইএসের আঞ্চলিক শাখা আইএস-কে।

বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় হাজার সেনার উপস্থিতিতে ওই হামলায় প্রাণ গেছে ১৩ জন আমেরিকান সেনারও।

তালেবান ও আইএস কট্টরপন্থি ও উগ্রবাদী। কিন্তু আইএসের দৃষ্টিকোণ থেকে শরিয়াহ আইন তালেবানের সংস্করণের চেয়েও অনেক বেশি কট্টর।

আফগানিস্তানে লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে আইএস। নিজেদের বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি তালেবানকে আখ্যায়িত করেছে ‘ধর্মত্যাগী’ বলে।

এ অবস্থায় সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে তালেবানকে। বিদ্রোহী থাকাকালীন বছরের পর বছর তারা নিজেরাই আফগান ভূখণ্ডে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।

এখন শাসক দল হিসেবে আইএসের হামলা থেকে আফগান জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতে নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে তালেবান সরকারকে।

আরও পড়ুন:
ঘানি-ট্রাম্পকে দুষছেন বাইডেন
দেশে ফিরলেন কাবুলে আটকে পড়া ৬ বাংলাদেশি
তালেবানের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ভারতের
তালেবানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার ঘোষণা চীনের
পাঞ্জশির দখলে গিয়ে প্রাণ হারালেন ৭ তালেবান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Hizbollah attacks deep into Israel

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর ইসরায়েলি হামলায় এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয় বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। ছবি: এএফপি
হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইসরায়েলের একর শহরের উত্তরে দেশটির ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের এত ভেতরে এটিই হিজবুল্লাহর প্রথম হামলা।

হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির ভাষ্য, ইসরায়েলি হামলায় তাদের এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয়।

হামলার একটি ছবি প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ, যেটি দৃশ্যত স্যাটেলাইট চিত্র। এতে হামলাস্থল চিহ্নিত করা হয়েছে লাল দাগ দিয়ে।

হিজবুল্লাহর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের কোনো স্থাপনায় হিজবুল্লাহর হামলার বিষয়ে তথ্য নেই।

এর আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের কাছে ‘আকাশপথে আসা দুটি লক্ষ্য’ প্রতিহত করা হয়েছে।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হানিনে আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হন।

আরও পড়ুন:
পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে
হামলার জবাব এখনই নয়: ইরানের কর্মকর্তা
ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
10 killed in mid air collision between two planes in Malaysia

মালয়েশিয়ার আকাশে দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ১০

মালয়েশিয়ার আকাশে দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ১০
রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য একটি সামরিক মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর ওই দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়।

মালয়েশিয়ায় একটি সামরিক মহড়ার সময় মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলভার সাড়ে ৯টার দিকে মালয়েশিয়ার লুমু শহরে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য একটি সামরিক মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর ওই দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়। পরে বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় বাহন দুটি। কেউই বেঁচে নেই।

নানা মাধ্যমে এর ফুটেজও প্রকাশিত হয়েছে।

রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ১০ জনকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। লুমুত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মরদেহ শনাক্তের জন্য। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

যে দুটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে এর মধ্যে একটি হলো এইচওএম এম৫০৩-৩। এতে সাতজন আলোরী ছিলেন। চলমান ট্র্যাকে বিধ্বস্ত হয়েছে এই উড়োজাহাজটি। অন্যটি ফেনেক এম৫০২-৬। এতে ছিলেন তিনজন আরোহী। এটি বিধ্বস্ত হয় কাছাকাছি একটি সুইমিং পুলে।

রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়য়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

এর আগে গত মার্চ মাসে একটি মালয়েশিয়ান কোস্ট গার্ড উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় মালয়েশিয়ার আংসা দ্বীপের কাছে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনার পর পাইলট, কো-পাইলট এবং এতে থাকা দুই যাত্রীকে জেলেরা উদ্ধার করেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Taiwan was shaken by more than 80 earthquakes

ভূমিকম্পে ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান

ভূমিকম্পে ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। ছবি: এপি
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। এতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়।

এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্পে দফায় দফায় কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব কম্পন অনুভূত হয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তীব্রতার ভূমিকম্পের উৎপত্তি পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েনে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশিমক ৩।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসনের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে প্রথম যে ভূমিকম্প আঘাত হানে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশিমক ৫। রাজধানী তাইপেতেও এ কম্পন অনুভূত হয়। এরপর দফায় দফায় কম্পন অনুভূত হতে থাকে। বিশেষ করে মঙ্গলবার সকালে আঘাত হানা দুটি ভূমিকম্প ছিল তীব্র।

রিখটার স্কেলে প্রথমটির তীব্রতা ছিল ৬.০ এবং দ্বিতীয়টির ৬.৩।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। এতে অন্তত ১৭ জন মারা গেছে। অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

তীব্র এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে।

তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। তাতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়।

এদিকে নতুন এ ভূমিকম্পের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপক দলকে পাঠানো হয়েছে।
কেউ হতাহত হয়নি বলে তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলে তাইওয়ানে ঘন ঘন ভূমিকম্প আঘাত হানে।

আরও পড়ুন:
মৃদু ভূমিকম্পে কাঁপল চুয়াডাঙ্গা
চীনে আঘাত হানল ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
জাপানে ভূমিকম্পে নিহত ৩০, চলছে উদ্ধারকাজ
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
চীনে ভূমিকম্পে নিহত শতাধিক

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
UK passes law to send migrants to Rwanda

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে যুক্তরাজ্যে আইন পাস

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে যুক্তরাজ্যে আইন পাস অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে আইন পাস করেছে যুক্তরাজ্য। ছবি: বিবিসি
এর আগে নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাজ্য। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বাইরুতার সঙ্গে এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।

নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে আইন পাস করেছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউজ অফ লর্ডসের বিরোধিতা এবং নানা বিতর্কের পর পার্লামেন্টে মঙ্গলবার সকালে এ সংক্রান্ত বিলটি পাস করে আইনে পরিণত করা হয় বলে জানায় বিবিসি।

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ৩১৭টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩৭ টি। মোটামুটি বড় ব্যবধানেই বিলটি পাস হয়।

এ আইনে রুয়ান্ডাকে একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সেখানে কিছু আশ্রয়প্রার্থী পাঠানো সরকারের পরিকল্পনার একটি মূল অংশ।

হাউস অব লর্ডস থেকে এই বিলের বিষয়ে দুটি আপত্তি জানানো হয়। সেই বিষয়ে হাউস অব কমনসে বিতর্ক শুরু হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে। পরে দীর্ঘ বিতর্ক শেষে মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে বিলটি পাস হয়।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সোমবার জানান, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর ফ্লাইট ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই শুরু করতে চান। প্রথম ফ্লাইট জুলাইয়ে রুয়ান্ডায় রওনা হবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার ঋষি বলেন, ‘আমরা বিমানঘাঁটি প্রস্তুত রেখেছি। বাণিজ্যিক বিমান ভাড়া করেছি এবং অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরকে পাহারা দিয়ে রুয়ান্ডায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫০০ স্টাফকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আর কোনো যদি এবং কিন্তু নেই। ফ্লাইটগুলো রুয়ান্ডায় যাচ্ছে। আমরা প্রস্তুত, ফ্লাইটগুলো পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’

এর আগে নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাজ্য। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বাইরুতার সঙ্গে এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নিজ দেশের অভিবাসী কেন্দ্রগুলো থেকে সব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রুয়ান্ডা পাঠাবে ব্রিটেন। সেই সঙ্গে ব্রিটেন থেকে যাওয়া অভিবাসীদের অন্য কোনো দেশে পাঠানো যাবে না বলে রুয়ান্ডারকে শর্ত দেয়া হয়েছে।

ওই সময় চুক্তিতে মতানৈক্য থাকায় যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন রবার্ট জেনরিক।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশিদের ভোট দেয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না: যুক্তরাজ্য
মতের দ্বন্দ্বে পদত্যাগ করলেন যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রী
সরকারে ক্যামেরন, ব্রিটেনের রাজনীতিতে আলোড়ন
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান বরখাস্ত
সিগারেট নিষিদ্ধ হচ্ছে যুক্তরাজ্যে!

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
This time in Saudi Arabia heavy rain has submerged the roads

এবার ভারি বর্ষণের কবলে সৌদি আরব, তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট

এবার ভারি বর্ষণের কবলে সৌদি আরব, তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ভারী বর্ষণে তলিয়ে যাওয়া সৌদি আরবের রাস্তায় ভাসছে গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত
আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা জারি করে বলেছে, আগামী কয়েকদিন বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। সতর্কতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ভারি বৃষ্টিপাতের কবলে পড়েছে আরেক মরুর দেশ সৌদি আরব। রাজধানী রিয়াদের কিছু অঞ্চলসহ দেশটির অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাটও।

সৌদি আরবের আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা জারি করে বলেছে, আগামী কয়েকদিন বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। সতর্কতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শনিবার থেকে রাজধানী রিয়াদসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানী রিয়াদ ছাড়াও দিরিয়াহ, হুরায়মালা, ধুর্মা থেকে কুয়াইয়াহ পর্যন্ত।

আবহাওয়ার চলমান এ পরিস্থিতি মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই সময়কালে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে সতর্কতার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টির সময় উপত্যকা ও জলাবদ্ধ এলাকা থেকে নাগরিকদের দূরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সবশেষ গেল সপ্তাহে অতি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা যায় দুবাই ও শারজাহতে।

আরও পড়ুন:
আমিরাতে ৭৫ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, নিহত অন্তত ১

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Storm of criticism of Modi for taunting Congress with Muslims

মুসলিমদের জড়িয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদির, সমালোচনার ঝড়

মুসলিমদের জড়িয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদির, সমালোচনার ঝড় রোববার ভারতের ঝাড়খান্ডের একটি জনসভায় ভাষণ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
রোববার ঝাড়খান্ডের ওই ভাষণে ভারতের মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শেষ হতে না হতেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম দফায় ভোটের হার আশানুরূপ না হওয়ায় তিনি সরাসরি ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হাঁটছেন বলে মত বিরোধীদের।

বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘ইন্ডিয়া’ভুক্ত দলগুলো বলছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট টানতে ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছেন মোদি।

বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য এখন পর্যন্ত এ অভিযোগের কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি।

রোববার রাজস্থানের একটি জনসভায় গিয়ে মোদি বলেন, ‘সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর মুসলিমদের অধিকার সবার আগে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ বণ্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয়া হবে দেশের সম্পদ।’

তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের ইশতেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গহনার হিসাব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় বইছে ভারতজুড়ে।

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘প্রথম দফার ভোট শেষ হতেই হতাশ হয়ে পড়েছেন মোদি। তার মিথ্যাচারের মাত্রা এতটাই নিচে নেমেছে যে এখন মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছেন।’

রাহুল লিখেছেন, ‘কংগ্রেসের এবারের ইশতেহার বৈপ্লবিক। এ বিপ্লবের প্রতি বিপুল জনসমর্থন উঠতে শুরু করেছে। এবার মানুষ তার পরিবার, কর্মসংস্থান, ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভোট দেবে। অন্য ভাবনায় বিচ্যুত হবে না ভারতের জনগণ।’

আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্বৈরশাসকের আসল চেহারা আবারও উন্মোচিত হয়েছে। এটি জনগণের নেতৃত্ব নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নেয়া বাবা সাহেব আম্বেদকারের সংবিধানকে ধ্বংস করার আরেকটি পদক্ষেপ। আমি আবারও বলছি- এটা শুধু সরকার গঠনের নির্বাচন নয়, এটা দেশ বাঁচানোর নির্বাচন, সংবিধান রক্ষার নির্বাচন।’

মোদিকে তোপ দেগেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও।

তার কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী সরাসরি মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী বলেছেন। আসলে ২০০২ সাল থেকে মুসলিমদের নির্যাতন করেই ভোট পেয়ে আসছেন মোদি। আমরা যদি দেশের সম্পদের কথা বলি, তাহলে মোদি সরকারের আমলে দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার তার ধনকুবের বন্ধুদের।

‘ভারতের এক শতাংশ মানুষ আজ দেশের সম্পদের ৪০ শতাংশ খেয়ে ফেলছে। সাধারণ হিন্দুদের মুসলমানদের ভয় দেখানো হচ্ছে, অথচ সত্য এই যে, আপনার টাকায় অন্য কেউ ধনী হচ্ছে।’

এদিকে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে ২০০৬ সালে মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যের একটি ভিডিওর ২২ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ ছড়িয়ে দেয় বিজেপি। এর জবাবে পরে ওই ভাষণের ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ প্রচার করে কংগ্রেস।

কংগ্রেসের প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মনমোহন বলেছিলেন ক্ষমতায়নের কথা, অথচ মোদি বলেছেন মানুষের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেয়ার কথা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Israels military intelligence chief resigns

পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান

পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান
সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসেবে ৭ অক্টোবরের ঘটনার দায়ভার মাথায় নিয়ে মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তাকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ করেছেন।’

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান পদত্যাগ করেছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলা ঠেকানোর ব্যর্থতার দায়ভার মেনে নিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে এএফপি।

সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসেবে ৭ অক্টোবরের ঘটনার দায়ভার মাথায় নিয়ে মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তাকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ করেছেন।’

তিনি চিফ অফ জেনারেল স্টাফের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সুশৃঙ্খল ও পেশাদার প্রক্রিয়ায় মেজর জেনারেল আহারন হালিভার উত্তরসূরী নিয়োগ দেয়া হলে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) থেকে অবসর নেবেন।’

গত বছর হালিভা জানান, তিনি অক্টোবর ৭ এই হামাসের নজিরবিহীন হামলা সম্পর্কে আগে থেকে তথ্য না পাওয়া ও গোয়েন্দা বিভাগের অন্যান্য ব্যর্থতার দায়ভার স্বীকার করে নিয়েছেন।

টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, বর্তমানে সেনাবাহিনী হালিভার বিরুদ্ধে হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জুনের শুরুতে তদন্তের ফল আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভির কাছে জমা দেয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে