২০ বছরের সামরিক উপস্থিতি শেষে আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গোটাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবারের মধ্যে নিজেদের সব সেনা সরিয়ে নিতে শেষ মুহূর্তে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটি।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আর ৩০০ নাগরিক আফগানিস্তান ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা আফগান-আমেরিকানদের অনেকে দেশটিতে থেকে যেতে পারেন।
১৪ আগস্টের পর প্রায় ছয় হাজার আমেরিকানকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।
যাদের দমনের জন্য ২০০১ সালে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেই কট্টরপন্থি ধর্মীয় গোষ্ঠী তালেবান ইতিমধ্যে দেশটির রাজধানী কাবুল দখল করেছে। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার গঠনের চেষ্টাও চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি।
ভিনদেশি সেনাদের দেশ ছাড়ার খবরেও স্বস্তিতে নেই আফগানিস্তানের জনগণ। এর কারণ তালেবানের আগের শাসনামল নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা।
১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছিল তালেবান। এরপরই শরিয়া আইন কায়েমের নামে তারা দেশটির নারীদের ওপর নিপীড়ন চালাতে শুরু করে।
তালেবানের আগের শাসনামলে নারীদের জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক করা হয়। শিক্ষা ও কাজের অধিকার থেকেও বঞ্চিত হন তারা। এমনকি সংবাদপত্রেও নারীদের ছবি ছাপানো নিষিদ্ধ করা হয়।
ইসলামবিরোধী এমন অভিযোগ তুলে গান-বাজনাও নিষিদ্ধ করেছিল কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটি।
এবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আগেরবারের চেয়ে নিজেদের উদার দেখানোর চেষ্টা করছে তালেবান। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, শরিয়া আইনের ভেতরেই নারীর অধিকার রক্ষা করবে তারা। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার কথাও বলা হচ্ছে।
কাবুল দখলের পর সবার জন্য সাধারণ ক্ষমারও ঘোষণা দেয় গোষ্ঠীটি।
তালেবানের এমন অঙ্গীকারে আশ্বস্ত হচ্ছেন না আফগানরা। গোষ্ঠীটির কাবুল দখলের পরই বিমানবন্দরে ভিড় জমাতে শুরু করেন তারা। ইতিমধ্যে দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানদেরও সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
যুদ্ধের শুরু যেভাবে
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। একই সঙ্গে চারটি সমন্বিত হামলায় প্রাণ হারান প্রায় তিন হাজার মানুষ।
এ হামলার পরই আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ওই বছরের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। উৎখাত করা হয় ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয়া কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবান সরকারকে।
মঙ্গলবার যখন যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সেনাটিও আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে, সেই মুহূর্তে দেশটির ক্ষমতার দখল থাকছে তালেবানের হাতেই।
যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি
আগস্টের মাঝামাঝি আফগানিস্তান যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এতে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দুই হাজার ৩০০ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২০ হাজার ৬০০ সেনা।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যুক্তরাজ্য হারিয়েছে প্রায় ৪৫০ সেনা।
দীর্ঘস্থায়ী এ যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মূল্য চুকাতে হয়েছে আফগানিস্তানের জনগণকে। বিদেশি সেনা ও তালেবানসহ অন্য গোষ্ঠীগুলোর সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ আফগান। এদের মধ্যে প্রায় ৭১ হাজারই বেসামরিক নাগরিক।
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছে প্রায় দুই ট্রিলিয়ন (দুই হাজার বিলিয়ন) ডলার।
শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি
১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ক্ষমতায় আসার পর দেশটি থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করে পশ্চিমাসহ বিভিন্ন দেশ।
কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্ধারকাজ করছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। মিত্র দেশগুলোর সময় বাড়ানোর চাপ থাকলেও ৩১ আগস্টের মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ করার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
আগে থেকেই বিমানবন্দরটিতে হামলার আশঙ্কা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে জন্য আফগান ও নিজেদের নাগরিকদের সতর্কও করে। বৃহস্পতিবার সকালেও বিমানবন্দরে হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তাদের নাগরিকদের বিমানবন্দরে না আসার অনুরোধও করে।
বিমানবন্দর ও আশপাশের কিছু এলাকা থেকে আফগানদের সরিয়ে দিয়ে খালিও করা হয় এ দিন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিমানবন্দরের বাইরে অ্যাবে গেটের পাশে এক বোমা হামলায় ১৭০ জন নিহত হন। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনাও ছিলেন।
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এ দিন প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে তারা। এ ছাড়া তালেবানের কাবুল দখলের পর প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শেষ মুহূর্তে সোমবারেও কাবুল বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে আইএস-কে। তবে এ হামলায় কেউ হতাহত হননি।
এর আগের দিন রোববারে আইএস-কে জঙ্গি সন্দেহে কাবুলের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ বেসামরিক নাগরিক, যাদের ছয়জনই শিশু। স্বজনরা জানিয়েছেন, আফগানিস্তান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই নিহতরা। তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও ছিল।
২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ধারাবাহিকতায় আফগান সরকারকে এড়িয়ে তালেবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি বিষয়ক আলোচনা শুরু করে দেশটি।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তালেবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। এর বিনিময়ে বিদেশি সেনাদের ওপর হামলা বন্ধের অঙ্গীকার করে তালেবান। এ বছরের মে মাস থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এই সুযোগে আফগানিস্তানের একের পর এক অঞ্চল দখল করতে শুরু করে কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটি।
এপ্রিলের মাঝামাঝি আফগান যুদ্ধ অবসানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সেনা সরিয়ে নেয়া হবে।
তবে হঠাৎ করেই জুলাইয়ে সেনা প্রত্যাহারের তারিখ এগিয়ে এনে ৩১ আগস্ট ঘোষণা করেন বাইডেন।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে নিজ গায়ে আগুন দিয়েছেন এক যুবক।
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যে আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে, তার বাইরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন এক ব্যক্তি। আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।
সম্পর্ক গোপন রাখতে পর্নো তারকাকে দেয়া ঘুষের মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচারিক কার্যক্রম চলছিল এ আদালতে। ওই ব্যক্তি যখন নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন, ট্রাম্প তখন ভেরতেই ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তু করে এমনটা করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যক্তি প্রথমে নিজের শরীরে তরল জ্বালানি ঢালেন, এর পর আগুন ধরিয়ে দেন সবার সামনেই।
ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই এ মামলায় ট্রাম্পের বিচার চলবে।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঘটনায় ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সাত দেশের জোট জি-৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
তারা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করেন বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএনবি।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, যৌথ বিবৃতিতে তারা মিয়ানমারে অস্ত্র ও জেট ফুয়েলসহ অন্যান্য উপকরণের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সব রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলেছেন। তারা একটি অর্থবহ ও টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে অবিলম্বে যেকোনো সহিংসতা বন্ধ, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের থেকে শুরু করে নির্বিচারে আটক সব বন্দিদের মুক্তি এবং সব অংশীজনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ প্রতিষ্ঠার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি শুক্রবার বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে, যেকোনো ধরনের জোরপূর্বক শ্রম থেকে বিরত থাকতে এবং সব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও অভাবী মানুষের কাছে দ্রুত, নিরাপদ ও অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’
মিয়ানমারে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের জন্য জবাবদিহি অপরিহার্য উল্লেখ করে জি-৭ দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৬৬৯ নম্বর প্রস্তাবের (২০২২) ব্যাপক বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেছি। মিয়ানমার বিষয়ক নবনিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূতের নেতৃত্ব এবং দেশটিতে আবাসিক সমন্বয়কারী নিয়োগের মাধ্যমে এ সংকটে জাতিসংঘের আরও সম্পৃক্ততা সমর্থন করি।’
আরও পড়ুন:ইরানের ইস্পাহানে শুক্রবার ‘ইসরায়েলের’ হামলার তাৎক্ষণিক জবাব দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ঘটনার বিদেশি উৎসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরের কোনো হামলার শিকার হইনি এবং আলোচনা হামলার চেয়ে বেশি হচ্ছে অনুপ্রবেশ নিয়ে।’
সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইস্পাহানের কাছে বিস্ফোরণের পর কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।
ইস্পাহান শহরের কাছে ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।
আরও পড়ুন:ইরানের ইস্পাহানে বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের হামলার খবরে শুক্রবার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে উল্লেখ করে রয়টার্স জানিয়েছে, এশিয়ার শেয়ার ও বন্ডে ধস নামে, যেখানে উল্লম্ফন দেখা যায় স্বর্ণ ও অশোধিত জ্বালানি তেলের দামে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি জানার পর পুঁজিবাজার ও তেলের বাজারে শুরুতে যে প্রভাব পড়ে, সেটি কমে এসেছে। হামলার পরিসর ছোট এবং কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি বলে ইরানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন বাস্তবতা সৃষ্টি হয়।
শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিভিত্তিক এমএসসিআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সূচকের পতন হয় দুই দশমিক ছয় শতাংশ, যেটি পরবর্তী সময়ে কমে দাঁড়ায় দুই শতাংশে।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার শঙ্কায় ব্রেন্টের অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম শুরুতে চার দশমিক দুই শতাংশ বাড়লেও পরবর্তী সময়ে তা কমে বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় দুই দশমিক চার শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধি কমার পর ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্টের অশোধিত তেলের দাম দাঁড়ায় ৮৯ দশমিক ২২ ডলারে।
সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইস্পাহানের কাছে বিস্ফোরণের পর কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।
ইস্পাহান শহরের কাছে ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।
আরও পড়ুন:ইসরায়েলের তিনটি ড্রোন ইরান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির মহাকাশ সংস্থা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শুক্রবার কোয়াডকপ্টারের ছবি সংযুক্ত করে দেয়া পোস্টে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান লিখেন, ‘তারা (ইসরায়েল) বলেছে যে, আমরা ৫০০ সুইসাইড ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছি...এখন তারা জবাব দিয়েছে এই তিন কোয়াডকপ্টার (ড্রোনসদৃশ আকাশযান) দিয়ে, যার সবগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।’
হাসির ইমোজি দিয়ে ওই পোস্টে দালিরিয়ান আরও লিখেন, ‘তারা শুধু বলেছে যে, তারা (হামলার) আগে আমেরিকাকে জানায়নি।’
সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
আরও পড়ুন:ইসরায়েলের হামলার খবরের মধ্যে ইরানের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম শুক্রবার বলেছে, দেশটির পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদে আছে।
সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
এদিকে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে লিখেন, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সফলভাবে কিছু ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এ মুহূর্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো খবর নেই।
ইস্পাহানের কাছে শেকারি সেনা বিমানঘাঁটিতে তিনটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ।
আরও পড়ুন:ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হ্যাটট্রিক তথা টানা তৃতীয় জয়ের সম্ভাবনার মধ্যে শুক্রবার দেশটিতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে আজ ভোট হচ্ছে।
সাত ধাপের এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সব আসনে ভোট হচ্ছে তামিলনাড়ু (৩৯), রাজস্থান (১২), উত্তর প্রদেশ (৮), উত্তরাখণ্ড (৫), অরুণাচল প্রদেশ (২), মেঘালয় (২), আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (১), মিজোরাম (১), নাগাল্যান্ড (১), পুদুচেরি (১), সিকিম (১) ও লাক্ষাদ্বীপে (১)। এর বাইরে আসাম ও মহারাষ্ট্রের পাঁচটি করে আসনে, বিহারের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের তিনটি, মণিপুরের দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু-কাশ্মীর ও ছত্রিশগড়ের একটি করে আসনে ভোট হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চার রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে আজ ভোট।
ভারতে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষার এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে এককভাবে ৩৭০টিতে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তথা এনডিএ ৪০০টি আসনে জয়ী হোক, এমনটি চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এর আগে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোকসভায় ৩৫৩টি আসন পায় এনডিএ, যেখানে বিজেপির একক আসনের সংখ্যা ৩০৩টি।
লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট ১ জুন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য