× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
What is the conflict between IS and the Taliban?
google_news print-icon

আইএস ও তালেবানের বিরোধ কিসের

আইএস-ও-তালেবানের-বিরোধ-কিসের
২০১৯ সালে আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে আইএস-কে যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়ায় তালেবান। ছবি: এফটিডব্লিউপি
কাবুলে বোমা বিস্ফোরণ জানান দিল, আফগানিস্তান এক দীর্ঘমেয়াদি রক্তপাত আর অস্থিরতার গহ্বরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের স্থানীয় সংস্করণ আইএস-কের সঙ্গে তালেবানের বিরোধের উৎস কী? আর কতটা শক্তিধর এই সংগঠন?

আফগানিস্তানের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে দুটি বোমা বিস্ফোরণ পুরো কাবুলকেই নাড়া দিয়েছে। এ রকম একটি হামলা যে হতে পারে, আশঙ্কা করছিলেন অনেকেই। কিন্তু এর ভয়াবহতার চেয়েও বড় বিস্ময় হয়ে এসেছে এর সময়জ্ঞান।

ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসহ ৯০ আফগান বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়। আহত হয় অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা আগে সতর্ক করে জানিয়েছিল, কাবুল বিমানবন্দরে চলমান চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) হামলা চালাতে পারে।

কাবুল পতনের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা একীভূত করার চেষ্টা করছে তালেবান। এতে সৃষ্ট নিরাপত্তাসংকটের সুযোগ আইএস-কে নিতে পারে বলে চলতি মাসের শুরুর দিকেও সতর্ক করা হয়।

বোমা বিস্ফোরণের পর এক বিবৃতিতে হামলার দায় নেয় ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টএনপিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসের অঙ্গসংগঠন আইএস-কে তালেবানের চরম বিরোধী শক্তি।

আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর আইএস-কেকে নির্মূলের চেষ্টা তালেবান করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী কোনো সংগঠনকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাতে দেবে না তালেবান- এই শর্তে দেশটি থেকে সব সেনা প্রত্যাহারে গত বছর রাজি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘৯/১১ আমাদের দেশে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের শিক্ষা দিতে ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালানো হয়।

‘আফগানিস্তান থেকে আল-কায়েদা আমাদের ওপর আবার হামলা চালাবে না, এই বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর দেশটি থেকে আমাদের সব সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।’

তবে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের রক্তাক্ত পরিস্থিতি আফগানিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন সন্ত্রাসবাদেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর আফগানিস্তানে অভিযানের পর আল-কায়েদা দুর্বল হতে শুরু করে।
চলতি মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবানকে অভিনন্দন জানায় আল-কায়েদা।

আফগানিস্তানে আল-কায়েদাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে কার্যক্রম চালাতে দেবে না বলে তালেবান জানালেও আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবান সম্পর্ক বজায় রেখেছে বলে মনে করেন অনেকে।

তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের শাসনামলে আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়া হয়। সেখান থেকে ৯/১১ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালায় আল-কায়েদা।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের পর আল-কায়েদার অস্তিত্ব তেমন চোখে না পড়লেও জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের কমপক্ষে ১৫টি প্রদেশে আল-কায়েদার ৫০০ যোদ্ধার উপস্থিতি রয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান নাইম।

তবে নাইমের বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিন্ন করার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বরং মতাদর্শগত অভিন্নতা ছাড়াও বিয়ের মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করে দুই সংগঠন আগের চেয়ে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

আইএস ও তালেবানের বিরোধ কিসের

২০০১ সালের পর আল-কায়েদার শক্তি অনেকটাই কমে যায়। ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানে আইএসের উপস্থিতি কেমন

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে কাজ করা শুরু করে আইএস-কে।

২০১৪ সালে আইএসের তৎকালীন প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য জানান পাকিস্তানি হাফিজ সাঈদ খান।

সাঈদের হাত ধরে বেশির ভাগ পাকিস্তানি যোদ্ধা নিয়ে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে ছোট সংগঠন হিসেবে আইএস-কের কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

পাকিস্তানি তালেবান ও আফগান তালেবানের কয়েকজন যোদ্ধাও ওই সময় আইএস-কেতে যুক্ত হয়।

ইরাক ও সিরিয়ায় ঘাঁটি থাকা আইএসের মতো আইএস-কেও আফগানিস্তানের পুরো অঞ্চল দখল করতে চায়।

আফগানিস্তানে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস হামলার জন্য সুপরিচিত আইএস-কে। শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রায়ই তাদের হামলার শিকার হয়।

২০১৯ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, সিরিয়া ও ইরাকে আইএস অঞ্চল হারানোর পর আফগানিস্তানে তাদের অঙ্গসংগঠন আইএস-কের হাতে সন্ত্রাসবাদ অর্থায়নের জন্য কোটি কোটি টাকা রয়েছে।

আফগানিস্তানে অঞ্চল দখলে আইএস-কে কখনো সফল হয়নি। মসজিদ, স্কুল, বিয়ে অনুষ্ঠানে বেসামরিক নাগরিকদের হামলাই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।

২০১৫ সালের দিকে আইএস-কের প্রতিষ্ঠাতা সাঈদসহ মূল নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় প্রাণ হারান।

তা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে আইএস-কের বিনাশ হয়নি।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের কোনার ও নানগারহার প্রদেশে আইএস-কের দেড় হাজার থেকে দুই হাজারের বেশি যোদ্ধা রয়েছে। এ ছাড়া ছোট ছোট দলে তারা আফগানিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।

আফগানিস্তানে আইএস ও আল-কায়েদার হুমকি কতটা

আফগানিস্তানে তালেবানের এবারের শাসনামলে আল-কায়েদা ফের শক্তিশালী হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

আর আইএস-কের বিষয়ে নীতিনির্ধারণীবিষয়ক সংস্থা এশিয়া প্রোগ্রামের উপপরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘আফগানিস্তানে আইএস-কে নিশ্চিতভাবে ফের শক্তিশালী হবে। তবে এখনই তারা দূরের কোনো লক্ষ্যে হামলা চালাতে পারবে না।’

আল-কায়েদাকে অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে না তালেবান। তবে আইএসের ক্ষেত্রে তালেবানের অবস্থান শুরু থেকেই ভিন্ন।

আইএসের উপস্থিতি তালেবানকে অস্তিত্ব সংকটে ভোগায়। দীর্ঘদিন ধরে আইএসের বিরুদ্ধে লড়ছে তালেবান।

গত সপ্তাহে বাইডেন বলেছিলেন, তালেবান ও আইএসের মধ্যে মিল হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মাইকেল কুগেলম্যান জানান, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সুযোগ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ছাড়বে না।

স্থানীয় পর্যায়ে হামলার পাশাপাশি সিরিয়া বা ইরাকের পরিবর্তে এখন আফগানিস্তানে আস্তানা গাড়তে পারে এসব সংগঠন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের ৮ থেকে ১০ হাজার যোদ্ধা এ মুহূর্তে অবস্থান করছে।

আইএস-কে ও তালেবানের সম্পর্ক

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আফগানবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সেথ জোনস বলেন, ‘আইএস ও আইএস-কের লক্ষ্য ইসলামিক আমিরাত প্রতিষ্ঠা। তালেবানও ইসলামিক আমিরাতের কথা বলে।

‘তা সত্ত্বেও আল-কায়েদা ও তালেবানের প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস ও আইএস-কে।’

সম্পদ ও অঞ্চল নিয়ে তালেবান ও আইএস-কের মধ্যে অহরহই সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের অন্যতম কারণ মতাদর্শগত ভিন্নতা।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ভাষ্য, ‘মতাদর্শগত ভিন্নতা ও সম্পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা তালেবান ও আইএস-কের মধ্যকার শত্রুতার মূল কারণ।

‘ইসলামের সর্বজনীন বিশ্বাসের মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি না করে সংকীর্ণ জাতিগত ও জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তালেবান জনমনে বৈধতা অর্জন করে বলে অভিযোগ আইএসের।’

আরও পড়ুন:
হতাহত নিয়ে উল্টো সুরে তালেবান
হামলার পরও আগস্টেই কাবুল ত্যাগ যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের
কাবুলে হামলাকারীদের চরম মূল্য দিতে হবে: বাইডেন
কাবুলে হামলায় ২৮ তালেবান নিহতের দাবি
কাবুলে নিহত বেড়ে ৯০, আইএসের দায় স্বীকার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
If the two countries will jointly respond

আক্রান্ত হলে যৌথভাবে জবাব দেবে দুই দেশ

পাকিস্তান-সৌদি আরব প্রতিরক্ষা চুক্তি সই
আক্রান্ত হলে যৌথভাবে জবাব দেবে দুই দেশ

পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধি দল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

ভারতের ওপর প্রভাব খতিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ভারত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিদ্যমান একটি ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক রূপ হিসেবে দেখছে এবং এর ফলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা, সেইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরের খবর দেখেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের একটি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের বোঝাপড়াকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। ভারত সরকার এই চুক্তির প্রভাব জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কীভাবে পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত সরকার তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে সৌদি আরবের আল-ইয়ামামা প্রাসাদে বৈঠকের পর জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এই প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব ও ইসলামিক ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করা এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি যৌথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের উপস্থিতিও লক্ষণীয় ছিল।
এই চুক্তিটি এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে, যখন কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়কালে ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ পর্যন্ত তিনবার সৌদি আরব সফর করেছেন এবং ২০১৬ সালে তাকে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘কিং আব্দুল আজিজ স্যাশ’ প্রদান করা হয়েছিল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Reformation requires renovation in the process of reform Moin Khan

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কার প্রয়োজন: মঈন খান

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কার প্রয়োজন: মঈন খান

চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজেরই সংস্কারের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন, এক বছর ধরে সংস্কারপ্রক্রিয়া চলমান থাকলেও কোনো ধরনের সমাধানে পৌঁছাতে পারছে না। মূলত কমিশন প্রথাগত পদ্ধতি থেকে বের হতে পারছে না দেখে কোনো সমাধান আসছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন আবদুল মঈন খান। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের ওপর জোর করে একটা একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল যে বাংলাদেশে সবাইকে একইভাবে চিন্তা করতে হবে। কোনো ভিন্নমত থাকতে পারবে না।’ আজকেও কি সবাইকে ঐকমত্যে নিয়ে এসে আমরা গণতন্ত্র উদযাপন করব- এমন প্রশ্ন তোলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ধারণায় বিশ্বাস করি না।’
চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়া তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এখানে মতভেদ থাকতে পারে। প্রতিটি মানুষের ভিন্নমত থাকতে পারে। এ বৈচিত্র্যকে ধারণ করতে না পারলে আমি বিশ্বাস করি না যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কাজ করবে। শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। আর ১০-২০টি বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। আমরা চিন্তিত হব সব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল ও ১৮ কোটি মানুষ একমত হয়- তাহলে আমি চিন্তিত হয়ে যাব, এটা ভেবে যে দেয়ার ইজ সামথিং রং (এখানে কোনো ঘাপলা আছে)।’
ইংরেজি একটা প্রবাদ উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্যেই ঐক্য)। সব কাগজে সই করব, সবকিছু বাস্তবায়ন করব, সংবিধান ছুড়ে ফেলব, নতুন সংবিধান করব- এগুলো যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসে আসবে। তাতে আপত্তি করব না। কিন্তু জোর করে কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মনুষ্যত্ব কেমন, সেটা তো জানেন। তারা এক দিকে অধৈর্য, আরেক দিকে ইমোশনাল। এ দুটো জিনিস এক হয়ে গেলে তখন মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সেটা হয়েছেও।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
North Koreas Drone Testing Instructions to Develop AI Kims AI

উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পরীক্ষা তদারকি কিমের, এআই উন্নয়নের নির্দেশ

উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পরীক্ষা তদারকি কিমের, এআই উন্নয়নের নির্দেশ

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি আক্রমণাত্মক ড্রোন পরীক্ষা তদারকি করেছেন এবং দ্রুত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি উন্নয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)-এর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চালকবিহীন ড্রোনটি উড্ডয়নের পর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করছে।

খবরে বলা হয়েছে, এই মহড়া ‘কুমসং-সিরিজের কৌশলগত আক্রমণ ড্রোনের অসাধারণ যুদ্ধক্ষমতা’ প্রমাণ করেছে এবং কিম ‘ব্যাপক সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছেন।

কিম বলেছেন, ড্রোনগুলো প্রধান সামরিক সম্পদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিপিআরকে সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে এটি শীর্ষ অগ্রাধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি নতুনভাবে চালু হওয়া এআই প্রযুক্তি দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি ড্রোন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিশ্লেষক হং মিন বলেছেন, কিম ড্রোন প্রযুক্তিকে দেশের ‘মহাশক্তি হিসেবে মর্যাদা’ নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

ড্রোন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কারণ এগুলো কম খরচে বেশি কার্যকর হুমকি তৈরি করে; স্বয়ংক্রিয় মিশন সম্পাদন, নির্ভুলতা ও প্রাণঘাতী ক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাপক উৎপাদনের উপযোগিতা এবং কৌশলগত নমনীয়তা বাড়ায়।

রাশিয়া থেকে শিক্ষা:

পিয়ংইয়ং গত বছর প্রথমবার আক্রমণাত্মক ড্রোন উন্মোচন করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সক্ষমতা রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বাড়তে থাকা মৈত্রী সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

রাশিয়ার হয়ে লড়াই করা উত্তর কোরীয় সেনারা আধুনিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, বিশেষত যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহারের কৌশল।

দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লিম বলেছেন, এআই প্রযুক্তি ড্রোনগুলোকে এমনভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম করে, যাতে জিপিএস বা যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলেও পূর্বপ্রশিক্ষিত অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।

উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ও বেসামরিক সম্পদের ওপর জিপিএস জ্যামিং পরীক্ষা চালায়, যার ফলে বেশ কিছু জাহাজ ও বেসামরিক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

লিম আরও বলেন, রাশিয়ার প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০২৪ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ায় এআই চালিত প্রযুক্তি দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৪ সালে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে এবং গোলাবারুদ, ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার রকেট সিস্টেম সরবরাহ করেছে।

সিউল জানিয়েছে, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৬শ’ উত্তর কোরীয় সৈন্য নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
BSF pushed 5 people through the Naogaon border

নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নওগাঁর পত্নীতলা সীমান্ত দিয়ে ১৬ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবির ক্যাম্প থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এরআগে ভোরে উপজেলার শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- নাটোর জেলার মোতালেব শেখ (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৩৫), মজনু বিশ্বাস (৪৮), নয়ন খাঁ (২৫), মুকুল শেখ (২৫), মৃধুল শেখ (২০), সামির (১১), বিনা খাতুন (২৯), মিম (৮), মরিয়ম খাতুন (১০), রোজিনা খাতুন (১৮), মিরা খাতুন (৮ মাস), এলিনা খাতুন (২৮), জান্নাতুল সরকার (১০), জোছনা বেগম (৫০) এবং পাবনা জেলার মিরাজ শেখ (১৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ভোরে পত্নীতলা ১৪ বিজিবির শীতলমাঠ বিওপির সীমান্ত পিলার ২৫৪/১-এস এর কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করে। পরে বিজিবির টহল দল ঘুরকী গ্রামের পাকা রাস্তা সংলগ্ন চা দোকানের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের আটক করে। আটকদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, পাঁচ শিশু ও চার জন নারী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়- আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা বেশ কয়েক বছর পূর্বে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়েছিল। আটকের পর তাদেরকে পত্নীতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Congratulations to the chief adviser for being re elected in the UPU Council

ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) প্রশাসনিক কাউন্সিল (সিএ)-এ বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।

বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইউপিইউ কাউন্সিলের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৫৭ ভোটের মধ্যে ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। ১০ সদস্যের মধ্যে নবম স্থান অর্জন করে দেশটি। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মত চার বছরের জন্য কাউন্সিলের সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ।

এর আগের মেয়াদে বাংলাদেশ সীমিত ভূমিকা রেখেছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে মাত্র একটি সরাসরি বৈঠকে অংশ নেয়, বাকি কার্যক্রমে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। তাই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সুযোগ কম ছিল।

এ কারণে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, সীমিত অংশগ্রহণ পুনর্নির্বাচনের পথে বাধা হতে পারে। তবে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এ ফলাফলকে ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
3 days of milk with the cow

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!
গাভীর সাথে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিন বয়সী একটি বাছুরও। এমন আজব ঘটনায় ঐ খামারির বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ দাড়িয়ে দেখছেন দুধদোহন আবার কেউ তুলছেন ছবি। খামারির বাড়িতে এখন উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই আছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশী গ্রামে হারুনুর রশিদের খামারে ঘটেছে এমন ঘটনা। খামারিসহ স্থানীয়রা বলছেন, এটি মহান আল্লাহর খুদরত। তবে বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও।
খামারি হারুনুর রশিদ বলেন, দুই বছর পূর্বে ৭৫ হাজার টাকায় একটি বকনা বাছুর কিনেছিলেন তিনি। সেটি এবার প্রথমবার একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে। কিন্তুু বাছুরটির জন্মের পর থেকে দেখেন সেটির ওলান অন্যান্য বাছুরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বয়সের তুলনায় অনেকটা বড়। পরে ওলানে হাত দিয়ে দেখেন দুধও আসে। ঘটনাটি তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদেরকে জানালে তারাও এসে দেখে গেছেন। হারুনুর রশীদ আরও বলেন, এই বাছুরের দুধ দেখতে এবং স্বাদেও গাভীর মতোই। বিষয়টিকে আল্লাহর নিয়ামত বলেও মনে করেন তিনি। হারুন বলেন, এই বাছুরের দুধ আমি নিজেও খেয়েছি, আমার সন্তানদেরও খাইয়েছি।
হারুনুর রশীদের বাবা আব্দুল কাদির বাচ্চু বলেন, তার ৭০ বছর বয়সে এমন ঘটনা শুনেনওনি, দেখেনওনি। এমনকি তাদের পূর্বপুরুষদের মুখেও এমন ঘটনার কথা শুনেননি।
একই এলাকায় বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুবাদে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরেছেন। কিন্তুু কোথাও এমন ঘটনা তার চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই দুধ দিচ্ছে শুনে হারুনের খামারে এসেছেন। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও এখন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। মিজানুর বলেন, নিজের চোখে না দেখলে এটি কেউই বিশ্বাস করবে না।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম. এম. এ আউয়াল তালুকদার জানান, তার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। প্রলেকটিন হরমোন নির্গত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। তিনিও এই বিষয়টিকে আল্লাহ পাকের কুদরত বলে মনে করেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এই বাছুরের দুধ পান করলে কোন সমস্যা হবে না। গাভীর দুধ দেখতে ও স্বাদ যেমন, বাছুরের দুধও তেমনি হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bangladesh and China will move forward with their hands the chief adviser

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন।

চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অনুষ্ঠানে বলেন, ২০২৫ সাল কেবল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও।

তিনি আট দশক আগে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় চীনের অপরিসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শক্তিশালী রেকর্ডসহ একটি প্রধান শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্বে, চীনা জনগণ নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে।”

রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের উপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন, যা বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার একটি নজির।

ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিনি বলেন, দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কেও ভিত্তিতে সর্বদা "ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "চীন বাংলাদেশকে তার আধুনিকীকরণের যাত্রায় সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি চীন-বাংলাদেশ সম্প্রদায় গঠনে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত।"

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবাতে চীনের অবদানের প্রশংসা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন যে, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশী জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা প্রদান করেছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুটি দেশ জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশী কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞ সহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় ইউনান গোল্ডেন অ্যান্ড সিলভার বার্ড আর্ট ট্রুপ এবং কোয়ানঝো আর্ট ট্রুপের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, জাতিগত নৃত্য, অ্যাক্রোব্যাটিক্স এবং ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। দর্শকদের কাছে তা খুবই উপভোগ্য ছিল।

অতিথিরা চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন এবং জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানস্থলে এন্টারপ্রাইজ বুথ, পর্যটন প্রচারণা এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা কর্নারও ছিল, যা দর্শকদেরও ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।

মন্তব্য

p
উপরে