× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
What is the conflict between IS and the Taliban?
google_news print-icon

আইএস ও তালেবানের বিরোধ কিসের

আইএস-ও-তালেবানের-বিরোধ-কিসের
২০১৯ সালে আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে আইএস-কে যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়ায় তালেবান। ছবি: এফটিডব্লিউপি
কাবুলে বোমা বিস্ফোরণ জানান দিল, আফগানিস্তান এক দীর্ঘমেয়াদি রক্তপাত আর অস্থিরতার গহ্বরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের স্থানীয় সংস্করণ আইএস-কের সঙ্গে তালেবানের বিরোধের উৎস কী? আর কতটা শক্তিধর এই সংগঠন?

আফগানিস্তানের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে দুটি বোমা বিস্ফোরণ পুরো কাবুলকেই নাড়া দিয়েছে। এ রকম একটি হামলা যে হতে পারে, আশঙ্কা করছিলেন অনেকেই। কিন্তু এর ভয়াবহতার চেয়েও বড় বিস্ময় হয়ে এসেছে এর সময়জ্ঞান।

ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসহ ৯০ আফগান বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়। আহত হয় অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা আগে সতর্ক করে জানিয়েছিল, কাবুল বিমানবন্দরে চলমান চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) হামলা চালাতে পারে।

কাবুল পতনের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা একীভূত করার চেষ্টা করছে তালেবান। এতে সৃষ্ট নিরাপত্তাসংকটের সুযোগ আইএস-কে নিতে পারে বলে চলতি মাসের শুরুর দিকেও সতর্ক করা হয়।

বোমা বিস্ফোরণের পর এক বিবৃতিতে হামলার দায় নেয় ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টএনপিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসের অঙ্গসংগঠন আইএস-কে তালেবানের চরম বিরোধী শক্তি।

আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর আইএস-কেকে নির্মূলের চেষ্টা তালেবান করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী কোনো সংগঠনকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাতে দেবে না তালেবান- এই শর্তে দেশটি থেকে সব সেনা প্রত্যাহারে গত বছর রাজি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘৯/১১ আমাদের দেশে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের শিক্ষা দিতে ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালানো হয়।

‘আফগানিস্তান থেকে আল-কায়েদা আমাদের ওপর আবার হামলা চালাবে না, এই বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর দেশটি থেকে আমাদের সব সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।’

তবে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের রক্তাক্ত পরিস্থিতি আফগানিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন সন্ত্রাসবাদেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর আফগানিস্তানে অভিযানের পর আল-কায়েদা দুর্বল হতে শুরু করে।
চলতি মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবানকে অভিনন্দন জানায় আল-কায়েদা।

আফগানিস্তানে আল-কায়েদাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে কার্যক্রম চালাতে দেবে না বলে তালেবান জানালেও আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবান সম্পর্ক বজায় রেখেছে বলে মনে করেন অনেকে।

তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের শাসনামলে আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়া হয়। সেখান থেকে ৯/১১ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালায় আল-কায়েদা।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের পর আল-কায়েদার অস্তিত্ব তেমন চোখে না পড়লেও জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের কমপক্ষে ১৫টি প্রদেশে আল-কায়েদার ৫০০ যোদ্ধার উপস্থিতি রয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান নাইম।

তবে নাইমের বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিন্ন করার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বরং মতাদর্শগত অভিন্নতা ছাড়াও বিয়ের মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করে দুই সংগঠন আগের চেয়ে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

আইএস ও তালেবানের বিরোধ কিসের

২০০১ সালের পর আল-কায়েদার শক্তি অনেকটাই কমে যায়। ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানে আইএসের উপস্থিতি কেমন

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে কাজ করা শুরু করে আইএস-কে।

২০১৪ সালে আইএসের তৎকালীন প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য জানান পাকিস্তানি হাফিজ সাঈদ খান।

সাঈদের হাত ধরে বেশির ভাগ পাকিস্তানি যোদ্ধা নিয়ে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে ছোট সংগঠন হিসেবে আইএস-কের কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

পাকিস্তানি তালেবান ও আফগান তালেবানের কয়েকজন যোদ্ধাও ওই সময় আইএস-কেতে যুক্ত হয়।

ইরাক ও সিরিয়ায় ঘাঁটি থাকা আইএসের মতো আইএস-কেও আফগানিস্তানের পুরো অঞ্চল দখল করতে চায়।

আফগানিস্তানে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস হামলার জন্য সুপরিচিত আইএস-কে। শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রায়ই তাদের হামলার শিকার হয়।

২০১৯ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, সিরিয়া ও ইরাকে আইএস অঞ্চল হারানোর পর আফগানিস্তানে তাদের অঙ্গসংগঠন আইএস-কের হাতে সন্ত্রাসবাদ অর্থায়নের জন্য কোটি কোটি টাকা রয়েছে।

আফগানিস্তানে অঞ্চল দখলে আইএস-কে কখনো সফল হয়নি। মসজিদ, স্কুল, বিয়ে অনুষ্ঠানে বেসামরিক নাগরিকদের হামলাই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।

২০১৫ সালের দিকে আইএস-কের প্রতিষ্ঠাতা সাঈদসহ মূল নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় প্রাণ হারান।

তা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে আইএস-কের বিনাশ হয়নি।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের কোনার ও নানগারহার প্রদেশে আইএস-কের দেড় হাজার থেকে দুই হাজারের বেশি যোদ্ধা রয়েছে। এ ছাড়া ছোট ছোট দলে তারা আফগানিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।

আফগানিস্তানে আইএস ও আল-কায়েদার হুমকি কতটা

আফগানিস্তানে তালেবানের এবারের শাসনামলে আল-কায়েদা ফের শক্তিশালী হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

আর আইএস-কের বিষয়ে নীতিনির্ধারণীবিষয়ক সংস্থা এশিয়া প্রোগ্রামের উপপরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘আফগানিস্তানে আইএস-কে নিশ্চিতভাবে ফের শক্তিশালী হবে। তবে এখনই তারা দূরের কোনো লক্ষ্যে হামলা চালাতে পারবে না।’

আল-কায়েদাকে অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে না তালেবান। তবে আইএসের ক্ষেত্রে তালেবানের অবস্থান শুরু থেকেই ভিন্ন।

আইএসের উপস্থিতি তালেবানকে অস্তিত্ব সংকটে ভোগায়। দীর্ঘদিন ধরে আইএসের বিরুদ্ধে লড়ছে তালেবান।

গত সপ্তাহে বাইডেন বলেছিলেন, তালেবান ও আইএসের মধ্যে মিল হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মাইকেল কুগেলম্যান জানান, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সুযোগ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ছাড়বে না।

স্থানীয় পর্যায়ে হামলার পাশাপাশি সিরিয়া বা ইরাকের পরিবর্তে এখন আফগানিস্তানে আস্তানা গাড়তে পারে এসব সংগঠন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের ৮ থেকে ১০ হাজার যোদ্ধা এ মুহূর্তে অবস্থান করছে।

আইএস-কে ও তালেবানের সম্পর্ক

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আফগানবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সেথ জোনস বলেন, ‘আইএস ও আইএস-কের লক্ষ্য ইসলামিক আমিরাত প্রতিষ্ঠা। তালেবানও ইসলামিক আমিরাতের কথা বলে।

‘তা সত্ত্বেও আল-কায়েদা ও তালেবানের প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস ও আইএস-কে।’

সম্পদ ও অঞ্চল নিয়ে তালেবান ও আইএস-কের মধ্যে অহরহই সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের অন্যতম কারণ মতাদর্শগত ভিন্নতা।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ভাষ্য, ‘মতাদর্শগত ভিন্নতা ও সম্পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা তালেবান ও আইএস-কের মধ্যকার শত্রুতার মূল কারণ।

‘ইসলামের সর্বজনীন বিশ্বাসের মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি না করে সংকীর্ণ জাতিগত ও জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তালেবান জনমনে বৈধতা অর্জন করে বলে অভিযোগ আইএসের।’

আরও পড়ুন:
হতাহত নিয়ে উল্টো সুরে তালেবান
হামলার পরও আগস্টেই কাবুল ত্যাগ যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের
কাবুলে হামলাকারীদের চরম মূল্য দিতে হবে: বাইডেন
কাবুলে হামলায় ২৮ তালেবান নিহতের দাবি
কাবুলে নিহত বেড়ে ৯০, আইএসের দায় স্বীকার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Demand for student parliamentary elections

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ইবিতে ইকসু গঠন আন্দোলন নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ইবিতে ইকসু গঠন আন্দোলন নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন ও রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘ইকসু গঠন আন্দোলন’ নামে নতুন প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে (ক্যাফেটেরিয়া) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে আজ শনিবার অবস্থান কর্মসূচি ও ইকসু গঠনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর গ্রহণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্লাটফর্মটি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দাবি- ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা যখন বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্র সংগঠন গুলোকে ইকসু গঠনের দাবি নিয়ে যেতে দেখেছি, তখন আমরা বারবার আশায় বুক বাবলেও প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন না থাকার দোহাই দিয়ে ইকসু গঠনে অনাগ্রহ দেখিয়েছে।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, আইনে না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে ইকসু গঠন করা সম্ভব। কিন্তু অজানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার ইকসু গঠনে অনীহা দেখিয়েছে। অথচ আমাদের চব্বিশের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নয় দফার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিলো- প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইকসু গঠনের স্বার্থে প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো ব্যানার বা কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্লাটফর্মটি। তবে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা সংবাদ সম্মেলনটি সবার প্রতিনিধিত্ব করে কিনা প্রশ্ন উঠেছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি- ইকসু গঠনের জন্য নারী শিক্ষার্থী, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Students are taking classes on the porch of the building in Keshabpur

কেশবপুরে জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

কেশবপুরে জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভেরচী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় ও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ভিলেজ পলিটিক্সের ফাঁদে পড়ে গত ৪৬ বছরেও সরকারি কোন বহুতল ভবন পাইনি বিদ্যালয়টি। ফলে প্রয়োজনীয় ক্লাসরুম না থাকায় ৩০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান, ১৯৮৪ সালে কেশবপুর উপজেলার ভেরচী বাজার সংলগ্ন ভেরটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর এলাকার দানশীল কয়েকজন ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় তিন রুম বিশিষ্ট একটি টিনসেড আধাপাকা ঘর নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় চেয়ার, বেঞ্চ ও টেবিল জোগাড় করে সেখানে পাঠদান শুরু হয়। প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০৫ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৫ জন এবং ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন ৭ জন। সব নিয়মকানুন মেনে বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১৯৮৬ সালের ০১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করেন। চারটি গ্রামের মাঝখানে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ায় দিন দিন ছেলে মেয়েদের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি ভবন বা ক্লাসরুম। সেই পুরাতন টিনশেড দিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ৬ষ্ট শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর জরাজীর্ণ ভবনের বারান্দায় সংখ্যা ৩০৫ জন। কিন্তু জরাজীর্ণ পুরাতন ওই ভবনে রয়েছে মাত্র তিনটি ক্লাসরুম। সেখানে বসার ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষকরা ৮ম, ৯ম ও ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান ভবনের বারান্দায় এবং খোলা আকাশের নিচে। এছাড়া ছেলে মেয়েদের ব্যবহারের জন্য নেই প্রয়োজনীয় ওয়াসরুম বা কমনরুম। ফলে নানা সমস্যার মধ্যে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।

প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র পাল বলেন, প্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয়। একটি বহুতল ভবন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Akhaura Marathon took part in the country

আখাউড়া ম্যারাথনে অংশ নিলেন দেশের ৩০০ দৌড়বিদ

আখাউড়া ম্যারাথনে অংশ নিলেন দেশের ৩০০ দৌড়বিদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ‘মাদকমুক্ত আখাউড়া গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের দৌড়বিদদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আখাউড়া ম্যারাথন। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দুই ক্যাটাগরির ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন দেশের তিন শত দৌড়বিদ। আখাউড়া রানিং কমিউনিটির আয়োজনে এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

পুর্ব আকাশে সূর্য উঠার আগেই উপজেলা পরিষদ মাঠে হাজির হতে থাকেন দৌঁড়বিদরা। সকাল ছয়টায় শুরু হয় দৌঁড়। ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহনকারিরা উপজেলা-কলেজপাড়া-নারায়ণপুর-খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রোড-কল্যাণপুর-চানপুর পথে পাঁচ কিলোমটার গিয়ে একই পথে ফিরে আসেন। পাঁচ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারীরা কলেজপাড়া-নারায়ণপুর-খালাজুড়া-আনোয়ারপুর রোডে আড়াই কিলোমিটার গিয়ে ফিরে আসেন। দুই ক্যাটাগরিতে ৬জনকে ক্রেস্টের পাশাপাশি নগদ অর্থ পুরস্কৃত করা হয়। অংশগ্রহণকারী সবাইকে মেডেল ও টি-শার্ট দেওয়া হয়।

আয়োজকদের অন্যতম মো. রুবায়েদ খান বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এ প্রতিযোগিতা। এর মাধ্যমে আমরা সমাজে মাদকবিরোধী বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের আয়োজন সফল হয়েছে। আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে রাখা প্রতিযোগিরা বেশ আনন্দের সঙ্গে এতে অংশ নেয়।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Six sacks of rice in Sirajganj

সিরাজগঞ্জে সরকারি ৩৫ বস্তা চাল উদ্ধার

সিরাজগঞ্জে সরকারি ৩৫ বস্তা চাল উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ চৌহালীর এনায়েতপুরে সরকারি বরাদ্দের ৩৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় নৌকা ঘাট থেকে সরকারি ভর্তুকি মূল্যের ১৫ টাকা কেজি দরের চাল গুলো উদ্ধার করা হয়।

উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারি ভর্তুকিমূল্যে দেওয়া চাল কিছু অসাধু ব্যক্তি ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশে গুদামে মজুদ করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চালগুলো উদ্ধার করা হয়।

বর্তমানে চালগুলো জব্ধ করে সৌদিয়া চাঁদপুরের ইউনিয়ন ইউপি সদস্য জনাব মো. পরান বেপারীর জিম্মায় রাখা হয়েছে এবং এনায়েতপুর থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে নিলামের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হবে।

অভিযানে এনায়েতপুর থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এলাকায় আলোচনা চলছে, এ চালগুলো এনায়েতপুর থানাধীন ১৩ নম্বর জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে থাকা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অবৈধভাবে বিক্রি করা চাল। চাল পরিবহনের নৌকার মালিক এবং এর সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করলেই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trying to be generously connected to different countries to increase trade diversity and capacity trade adviser

বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সাথে উদারভাবে সংযুক্ত হওযার চেষ্টা করছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সাথে উদারভাবে সংযুক্ত হওযার চেষ্টা করছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন ,বাণিজ্যে বৈচিত্র্য ও সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সাথে উদারভাবে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি। বিক্রয় প্রবৃদ্ধি ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ মূল্যে আমদানির সক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে আমরা পাকিস্তানের প্রতিপক্ষের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করেছি।

শুক্রবার ( ২২ আগস্ট ) দুপুরে চট্রগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার চিটাগাং এর হল রুমে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত "মিটিং উইথ জাম কামাল খান ও শেখ বশিরউদ্দীন" শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাণিজ্য বৃদ্ধি করা, আমদানি ও রপ্তানির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং এসব খাতের বাইরেও আমরা অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করছি। আশা করি, বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ীর একত্র শক্তিতে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি হবে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন ,দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক পথনকশা (রোডম্যাপ) তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে জাম কামাল খান বলেন, আমরা ভাবছি, আগামী কয়েক বছরের জন্য একটি বাণিজ্য রোডম্যাপ তৈরি করব। কোন খাতগুলোতে নজর দিতে হবে, কোথায় বিনিয়োগ আসবে, কোন খাত রপ্তানি-আমদানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে—সেসব ওই রোডম্যাপে উঠে আসবে। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ স্বাক্ষরের পরই এ বিষয়ে খসড়া তৈরি হবে।

গ্লোবাল ইকনমিক ট্রেন্ড দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ এসেছে আমরা যদি একটি সঠিক ব্যবসায়িক রোডম্যাপ তৈরি করতে পারি তাহলে অবশ্যই ব্যবসা বাণিজ্য অগ্রগতি হবে। আগামী পাঁচ বছরে আমরা কোথায় থাকতে চাই, কোন খাতে আমাদের শিল্পকে নিতে চাই, সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। নতুন প্রযুক্তি এআইয়ের সহযোগিতায় (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এখন আর বছরের নয়, ঘণ্টার হিসাবেই সবকিছু বদলে যাচ্ছে। তাই প্রস্তুত থাকতে হবে। খাদ্য, কৃষি, উৎপাদন, বাণিজ্য, মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, সেবা খাত, মানুষে মানুষে সংযোগ, স্বাস্থ্যসেবা—এসবই আমাদের অগ্রাধিকার খাত। লেদার, ফুটওয়্যার, তৈরি পোশাক; এগুলোতেও আমরা শক্তিশালী। পাকিস্তান গম, চাল উৎপাদন করছে এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করছে। তাই আমার মনে হয়, এখানে দারুণ সহযোগিতা হতে পারে।

পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আগ্রহ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, তবে বিমান সংযোগ না থাকলে এটি সম্ভব নয়। আমরা এই বছরের শেষ নাগাদ সরাসরি পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ও বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে ফ্লাইট চূড়ান্ত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। দুই দেশে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হলে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সংযোগ, পণ্য পরিবহনসহ সবকিছু আরও সহজ হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। বক্তব্য দেন বিএসআরএমের চেয়ারম্যান আলিহুসেইন আকবরআলী, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমজাদ হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ। সমাপনী বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন।
বৈঠকে ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ চট্রগ্রামের সাথে করাচির সরাসরি বিমান পরিবহন ও সামুদ্রিক জাহাজে পণ্য পরিবহণ চালু করা এবং শীপ বিল্ডিং খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির আহবান জানান। এর মাধ্যমে দুদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী হবে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলে তাঁরা অভিমত ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

বিচ্ছিন্ন জনপদ গুয়াগাছিয়ায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন

বিচ্ছিন্ন জনপদ গুয়াগাছিয়ায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চারদিক থেকে মেঘনা নদী দ্বারা পরিবেশিত, মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এক জনপদ গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ঐতিহাসিক উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করছে স্থানীয়রা।

জানা যায়, সড়কপথে গজারিয়া উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা গুয়াগাছিয়া। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ছাড়া সেখানে যাওয়ার কোন উপায় নেই। সন্ধ্যার পর অথবা বৈরি আবহাওয়ায় ট্রলার বন্ধ হয়ে গেলে নদী পার হতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের। ইউনিয়নটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সেভাবে। রাস্তাঘাট না থাকার কারণে সেখানে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তো। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি কম থাকায় সেখানে তৈরি হয়েছে কয়েকটি নৌডাকাত গ্রুপ। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মেঘনা নদীতে চলাচলকারী নৌযান থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ওই নৌডাকাত গ্রুপের সদস্যরা। সম্প্রতি অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জেরে নৌডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর হাতে খুন হয় ডাকাত সর্দার বাবলা, স্যুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। এরপর আবারো আলোচনায় আসে গুয়াগাছিয়ার নিরাপত্তার বিষয়টি।

গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প, একটি নৌপুলিশ ফাঁড়ি এবং একটি কোস্টগার্ড স্টেশন নির্মাণে উদ্যোগের কথা জানায় প্রশাসন। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সেখান একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হলো।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে ক্যাম্পটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম, গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. হামিদা মুস্তফা, গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ, গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.শহীদুল ইসলাম।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। যাক আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে অবশেষে আমরা কাজটি শুরু করতে পারলাম। আশা করছি এখন থেকে গুয়াগাছিয়ায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে পুলিশ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন’।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ করে রাতের আঁধারে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এই ক্যাম্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।’

মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, এবার গুয়াগাছিয়ায় সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা কমে আসবে। যেহেতু সার্বক্ষণিক পুলিশ এখানে অবস্থান করবে যেকোনো ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Chakrias Dulahazara Safari Park is added to the 4 African tiger cubs

চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে যোগ হলো আফ্রিকার ৩ বাঘ শাবক

এখন পার্কে ৭টি বাঘের মধ্যে ৪টি স্ত্রী ও ৩টি পুরুষ
চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে যোগ হলো আফ্রিকার ৩ বাঘ শাবক

কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সাফারি পার্ক। প্রকৃত সাফারিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে চলমান রয়েছে। যেখানে বিশাল বেষ্টরনিতে বন্যপ্রাণী ঘুরে-বেড়াবে আপন মহিমায়। আর পর্যটক-দর্শনার্থীরা এনক্লোজারের ভেতর থেকে এসব বন্য প্রাণীর বিচরণ স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগে মেতে উঠবেন। তারই আলোকে এবার পার্কটিতে সংযোজন করা হয়েছে তিনটি সাব এডাল্ট বাঘ শাবক। সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সংগৃহীত এই বাঘ শাবককে ইতোমধ্যে পার্কে আনার পর সেগুলোকে আলাদা নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র তথা কোয়ারেন্টাইন শেডে রাখা হয়েছে। আর প্রতিনিয়ত এসব শাবকের আচার-আচরণ নজরদারির মধ্যে রেখে প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহসহ যত্ন-আত্তি করা হচ্ছে।

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী চিকিৎসক (ভেটেরিনারী সার্জন) হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন জানান, সুদূর আফ্রিকা থেকে কার্গো বিমানে করে ঢাকায় আনার পর বাঘ শাবক তিনটিকে কোয়ারেন্টাইন শেডে একটানা ২১ দিন পর্যন্ত রাখা হবে। মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনেই এসব বাঘ ২১দিন পর্যন্ত তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে একটি সূত্র জানায়।

চিকিৎসক জুলকার নাইন আরও বলেন, ‘যখন কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় শেষ হবে তখনই বাঘ শাবক তিনটির শারিরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্ক কর্তৃপক্ষ বুঝে নেবেন। যদি এই সময়ের মধ্যে কোনো শাবক অসুস্থ হিসেবে প্রতীয়মান হয় তাহলে তা গ্রহণ করা হবে না।’

কর্তৃপক্ষ জানায়, আর্ন্তজাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে আফ্রিকা থেকে বাঘ শাবক তিনটি কার্গো বিমানে করে আনা হয়। শাবক তিনটির মধ্যে রয়েছে পুরুষ লিঙ্গের একটি এবং অপর দুটি স্ত্রী লিঙ্গের। এগুলো মূলত এখনো সাব এডাল্ট তথা আনুমানিক আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে হবে বয়স। অবশ্য একটি বাঘ প্রাপ্তবয়স্ক হতে সময় লাগে ৪ থেকে ৬ বছরের মধ্যে। সেই হিসেবে এখনো বাঘ শাবকতিনটি সাব এডাল্ট হলেও এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে মায়ের দুধ ছেড়ে দিয়ে মাংসাশী খাবার গ্রহণ করতে শুরু করে। এবারের নতুন এই তিন অতিথিকেও আনার পর কোয়ারেন্টাই শেডে রেখে গরুর মাংস খেতে দিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্স।

সাফারি পার্কে বাঘ শাবক সরবরাহের জন্য নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান- সুদূর আফ্রিকা থেকে কার্গো বিমানে করে বাঘ শাবকতিনটিকে ঢাকায় আনার পর খাঁচায় বন্দি করে ট্রাকে করে সোজা নিয়ে আসা হয় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে। এর পর থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে ২১দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাই শেডে রেখে তাদের প্রাত্যহিক খাবারসহ প্রয়োজনীয় যত্ন-আত্তি করা হবে। এর পর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্ক কর্তৃপক্ষকে বাঘ শাবক তিনটিকে হস্তান্তর করা হবে।

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মনজুরুল আলম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুদূর আফ্রিকা থেকে সংগৃহীত এই তিন বাঘ শাবককে এখনো পার্ক কর্তৃপক্ষ বুঝে নেয়নি। কারণ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা-নেওয়াসহ পরিবেশ-প্রতিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয় অন্যতম। তাই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন শেডে রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট বন্যপ্রাণী চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পরিচর্যার মধ্যে রাখা হয়েছে শাবকগুলোকে। এর পর নিয়মানুযায়ী আমরা সাব এডাল্টের এসব শাবক বুঝে নেওয়ার পর নির্দিষ্ট বেষ্টনিতে রাখা হবে এবং অন্যান্য প্রাণীর মতোই তাদেরও যত্ন-আত্তি করা হবে পার্কের পক্ষ থেকে।

তিনি আরও জানান- আগে থেকেই এই সাফারি পার্কে বাঘ রয়েছে দুই জোড়া। তন্মধ্যে নয়ন-আঁখি এবং জয়-জ্যোঁতি দম্পতি পার্কে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটক-দর্শনার্থীকে আনন্দ দিয়ে আসছে। এবার নতুন করে অতিথি হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে আরও তিন বাঘ শাবক। আগামীতে এসব শাবকও পরিপূর্ণ বয়সের হয়ে উঠবে এবং বাঘের প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এমনটাই জানান পার্কের এ কর্মকর্তা।

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, ‘সুদূর আফ্রিকা থেকে আনার পর সাফারি পার্কে প্রেরিত বাঘ শাবক তিনটি যাতে এখানকার বন-জঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এসব শাবকের কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় পার হলেই তাদের নির্দিষ্ট বেষ্টনীতে রাখা হবে এবং তাদের প্রত্যেকের নামও দেওয়া হবে।’

ডিএফও আরও বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ইতোমধ্যে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটিকে প্রকৃত সাফারি পার্কে রূপান্তরের প্রক্রিয়া প্রায়ই সম্পন্ন হয়ে গেছে। এরই অংশ হিসেবে বাঘ ও সিংহের বেষ্টনি নির্মাণ করা হয়েছে একরের পর একর বনভূমিতে। যাতে এসব বন্য প্রাণী দীর্ঘ এলাকাজুড়ে তাদের বিরচণ করাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ-প্রতিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। আগামীতে এসব বাঘ প্রাপ্তবয়স্ক হলেই উন্মুক্ত বিচরণের জন্য নির্মিত বেষ্টনীতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর দেশি-বিদেশি পর্যটক-দর্শনার্থীরা খাচায় বন্দি হয়ে এসব বন্য প্রাণীর বিচরণ ও জীবনাচার স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।’

মন্তব্য

p
উপরে