× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
What is the conflict between IS and the Taliban?
google_news print-icon

আইএস ও তালেবানের বিরোধ কিসের

আইএস-ও-তালেবানের-বিরোধ-কিসের
২০১৯ সালে আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে আইএস-কে যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়ায় তালেবান। ছবি: এফটিডব্লিউপি
কাবুলে বোমা বিস্ফোরণ জানান দিল, আফগানিস্তান এক দীর্ঘমেয়াদি রক্তপাত আর অস্থিরতার গহ্বরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের স্থানীয় সংস্করণ আইএস-কের সঙ্গে তালেবানের বিরোধের উৎস কী? আর কতটা শক্তিধর এই সংগঠন?

আফগানিস্তানের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে দুটি বোমা বিস্ফোরণ পুরো কাবুলকেই নাড়া দিয়েছে। এ রকম একটি হামলা যে হতে পারে, আশঙ্কা করছিলেন অনেকেই। কিন্তু এর ভয়াবহতার চেয়েও বড় বিস্ময় হয়ে এসেছে এর সময়জ্ঞান।

ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসহ ৯০ আফগান বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়। আহত হয় অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা আগে সতর্ক করে জানিয়েছিল, কাবুল বিমানবন্দরে চলমান চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) হামলা চালাতে পারে।

কাবুল পতনের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা একীভূত করার চেষ্টা করছে তালেবান। এতে সৃষ্ট নিরাপত্তাসংকটের সুযোগ আইএস-কে নিতে পারে বলে চলতি মাসের শুরুর দিকেও সতর্ক করা হয়।

বোমা বিস্ফোরণের পর এক বিবৃতিতে হামলার দায় নেয় ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টএনপিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসের অঙ্গসংগঠন আইএস-কে তালেবানের চরম বিরোধী শক্তি।

আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর আইএস-কেকে নির্মূলের চেষ্টা তালেবান করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী কোনো সংগঠনকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাতে দেবে না তালেবান- এই শর্তে দেশটি থেকে সব সেনা প্রত্যাহারে গত বছর রাজি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘৯/১১ আমাদের দেশে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের শিক্ষা দিতে ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালানো হয়।

‘আফগানিস্তান থেকে আল-কায়েদা আমাদের ওপর আবার হামলা চালাবে না, এই বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর দেশটি থেকে আমাদের সব সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।’

তবে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের রক্তাক্ত পরিস্থিতি আফগানিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন সন্ত্রাসবাদেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর আফগানিস্তানে অভিযানের পর আল-কায়েদা দুর্বল হতে শুরু করে।
চলতি মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবানকে অভিনন্দন জানায় আল-কায়েদা।

আফগানিস্তানে আল-কায়েদাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে কার্যক্রম চালাতে দেবে না বলে তালেবান জানালেও আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবান সম্পর্ক বজায় রেখেছে বলে মনে করেন অনেকে।

তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের শাসনামলে আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়া হয়। সেখান থেকে ৯/১১ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালায় আল-কায়েদা।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের পর আল-কায়েদার অস্তিত্ব তেমন চোখে না পড়লেও জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের কমপক্ষে ১৫টি প্রদেশে আল-কায়েদার ৫০০ যোদ্ধার উপস্থিতি রয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান নাইম।

তবে নাইমের বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিন্ন করার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বরং মতাদর্শগত অভিন্নতা ছাড়াও বিয়ের মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করে দুই সংগঠন আগের চেয়ে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

আইএস ও তালেবানের বিরোধ কিসের

২০০১ সালের পর আল-কায়েদার শক্তি অনেকটাই কমে যায়। ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানে আইএসের উপস্থিতি কেমন

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে কাজ করা শুরু করে আইএস-কে।

২০১৪ সালে আইএসের তৎকালীন প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য জানান পাকিস্তানি হাফিজ সাঈদ খান।

সাঈদের হাত ধরে বেশির ভাগ পাকিস্তানি যোদ্ধা নিয়ে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে ছোট সংগঠন হিসেবে আইএস-কের কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

পাকিস্তানি তালেবান ও আফগান তালেবানের কয়েকজন যোদ্ধাও ওই সময় আইএস-কেতে যুক্ত হয়।

ইরাক ও সিরিয়ায় ঘাঁটি থাকা আইএসের মতো আইএস-কেও আফগানিস্তানের পুরো অঞ্চল দখল করতে চায়।

আফগানিস্তানে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস হামলার জন্য সুপরিচিত আইএস-কে। শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রায়ই তাদের হামলার শিকার হয়।

২০১৯ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, সিরিয়া ও ইরাকে আইএস অঞ্চল হারানোর পর আফগানিস্তানে তাদের অঙ্গসংগঠন আইএস-কের হাতে সন্ত্রাসবাদ অর্থায়নের জন্য কোটি কোটি টাকা রয়েছে।

আফগানিস্তানে অঞ্চল দখলে আইএস-কে কখনো সফল হয়নি। মসজিদ, স্কুল, বিয়ে অনুষ্ঠানে বেসামরিক নাগরিকদের হামলাই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।

২০১৫ সালের দিকে আইএস-কের প্রতিষ্ঠাতা সাঈদসহ মূল নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় প্রাণ হারান।

তা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে আইএস-কের বিনাশ হয়নি।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের কোনার ও নানগারহার প্রদেশে আইএস-কের দেড় হাজার থেকে দুই হাজারের বেশি যোদ্ধা রয়েছে। এ ছাড়া ছোট ছোট দলে তারা আফগানিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।

আফগানিস্তানে আইএস ও আল-কায়েদার হুমকি কতটা

আফগানিস্তানে তালেবানের এবারের শাসনামলে আল-কায়েদা ফের শক্তিশালী হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

আর আইএস-কের বিষয়ে নীতিনির্ধারণীবিষয়ক সংস্থা এশিয়া প্রোগ্রামের উপপরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘আফগানিস্তানে আইএস-কে নিশ্চিতভাবে ফের শক্তিশালী হবে। তবে এখনই তারা দূরের কোনো লক্ষ্যে হামলা চালাতে পারবে না।’

আল-কায়েদাকে অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে না তালেবান। তবে আইএসের ক্ষেত্রে তালেবানের অবস্থান শুরু থেকেই ভিন্ন।

আইএসের উপস্থিতি তালেবানকে অস্তিত্ব সংকটে ভোগায়। দীর্ঘদিন ধরে আইএসের বিরুদ্ধে লড়ছে তালেবান।

গত সপ্তাহে বাইডেন বলেছিলেন, তালেবান ও আইএসের মধ্যে মিল হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মাইকেল কুগেলম্যান জানান, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সুযোগ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ছাড়বে না।

স্থানীয় পর্যায়ে হামলার পাশাপাশি সিরিয়া বা ইরাকের পরিবর্তে এখন আফগানিস্তানে আস্তানা গাড়তে পারে এসব সংগঠন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের ৮ থেকে ১০ হাজার যোদ্ধা এ মুহূর্তে অবস্থান করছে।

আইএস-কে ও তালেবানের সম্পর্ক

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আফগানবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সেথ জোনস বলেন, ‘আইএস ও আইএস-কের লক্ষ্য ইসলামিক আমিরাত প্রতিষ্ঠা। তালেবানও ইসলামিক আমিরাতের কথা বলে।

‘তা সত্ত্বেও আল-কায়েদা ও তালেবানের প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস ও আইএস-কে।’

সম্পদ ও অঞ্চল নিয়ে তালেবান ও আইএস-কের মধ্যে অহরহই সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের অন্যতম কারণ মতাদর্শগত ভিন্নতা।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ভাষ্য, ‘মতাদর্শগত ভিন্নতা ও সম্পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা তালেবান ও আইএস-কের মধ্যকার শত্রুতার মূল কারণ।

‘ইসলামের সর্বজনীন বিশ্বাসের মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি না করে সংকীর্ণ জাতিগত ও জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তালেবান জনমনে বৈধতা অর্জন করে বলে অভিযোগ আইএসের।’

আরও পড়ুন:
হতাহত নিয়ে উল্টো সুরে তালেবান
হামলার পরও আগস্টেই কাবুল ত্যাগ যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের
কাবুলে হামলাকারীদের চরম মূল্য দিতে হবে: বাইডেন
কাবুলে হামলায় ২৮ তালেবান নিহতের দাবি
কাবুলে নিহত বেড়ে ৯০, আইএসের দায় স্বীকার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Attempts to bring Sheikh Hasina back will continue Touhid Hossain

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: তৌহিদ হোসেন

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: তৌহিদ হোসেন

ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ বিষয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘(প্রত্যার্পণের জন্য দিল্লিকে) আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আবারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

তবে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অনুশোচনা’ আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘অনুশোচনা’ শব্দটিকে ‘লোডেড টার্ম’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘কে কতটুকু অনুতপ্ত, তা আমি জানি না। তবে আমরা বিষয়টিকে এভাবেই দেখছি যে, প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আবারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠায়, যেখানে প্রত্যার্পণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করা হয়। ভারত সরকার তখন তা গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করে।

পানি বণ্টন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি এবং আগামী বছর মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলা ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের মতো বিষয়গুলো দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে বলে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

‘এই বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য এবং আমরা সেই পথেই এগোচ্ছি,’ বলেন উপদেষ্টা।

সম্প্রতি ঢাকা, বেইজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠককে গণমাধ্যমে সার্কের বিকল্প জোট হিসেবে প্রচার করার বিষয়টিকেও নাকচ করে দেন মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই ব্যাখ্যা মোটেও সঠিক নয়। তিনি আরও যোগ করেন, ‘বৈঠকটি কখনোই সার্কের বিকল্প ছিল না। এটি ছিল সহযোগিতার কিছু ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক এবং এটি কোনোভাবেই কোনো জোট নয়।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Feni program will turn around 

ঘুরে দাঁড়াবে ফেনী কর্মসূচির সমাপ্তি 

বন্যা পুনর্বাসনে অর্ধ কোটি টাকার ঘর নির্মাণ-মেরামত 
ঘুরে দাঁড়াবে ফেনী কর্মসূচির সমাপ্তি 

ফেনীর বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘ঘুরে দাঁড়াবে ফেনী’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় শহরের এক রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়ের মাধ্যমে সফল সমাপ্তি টানা হয়। গত ১০ মাসে এ কর্মসূচির আওতায় গৃহনির্মাণ ও মেরামতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যা বেসরকারি উদ্যোগে বেশ বড় কার্যক্রম। এরমধ্যে নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে ২০ টি, মেরামত হয়েছে ২৫ টি ঘর। এরমধ্যে দুটি মাদ্রাসা ভবন রয়েছে। এছাড়াও ২৫টি পরিবারকে ২ বান্ডেল করে টিন ও নগদ ২০ হাজার করে দেয় হয়েছে নিজ নিজ ঘর মেরামতের জন্য। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এমন ১০ জনকে দেয়া হয় ক্ষুদ্র ব্যবসার পুঁজি। চিকিৎসা অনুদান দেয়া হয়েছে আরও ২০ জনকে।

এ উদ্যোগের অন্যতম সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম অপুর পরিচালনায় পুরো প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন সমন্বয়ক ও সংবাদকর্মী আসাদুজ্জামান দারা। এ সময়ে অর্থ সহায়তা প্রদানকারি ১৯ টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

দীর্ঘ ১০ মাসব্যাপী জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে বেসরকারি উদ্যোগে এ বিশাল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে বলে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা মতামত দেন। সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে মতামত ব্যক্ত করেন শাহজালাল ভুইয়া, আরিফুর রহমান, সফিউল্লাহ রিপন, কপিল মাহমুদ, এম এ আকাশ। ঘর গ্রহণকারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ছাগলনাইয়া লাংগল মোড়া গ্রামের জাহিদ হাসান।

ঘুরে দাঁড়াবে ফেনীর সমন্বয়কদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন নাসির উদ্দিন সাইমুম ও জালাল উদ্দিন বাবলু৷ এছাড়াও সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিবুল হক রাসেল, হারুন উর রশিদ, শান্তি চৌধুরী, মুহাম্মদ আবু তাহের ভুইয়া, ইমন উল হক, রিয়াজ উদ্দিন রবিন, কামরুল হাসান রানা, ওসমান গনি রাসেল ও মোহাইমিন তাজিম।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Chittagong senior lawyer Bir freedom fighter Mirza Kashir Uddin Ahmed died

চট্টগ্রামের প্রবীণ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা কছির উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন

চট্টগ্রামের প্রবীণ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা কছির উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাতটায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এই প্রবীণ সদস্যের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

অ্যাডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এলএলবি পাস করে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে আমৃত্যু তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই কন্যা রেখে গেছেন। তার তিন ছেলে-মেয়েই আইনপেশায় নিয়োজিত। বড় ছেলে সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মির্জা শোয়েব মুহিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সাতকানিয়ার প্রয়াত চিকিৎসক মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ মরহুমের বড় ভাই। দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখার তার ভাতিজা।

চট্টগ্রাম আদালত ভবনে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বেলা সাড়ে ১২টায়। এতে অংশ নেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম ও মহানগর দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম। আরও অংশ নেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা, জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জামায়াতে মহানগরের আমির নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

মরহুমের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার উপজেলার মাদার্শার দেওদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাকে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় পুলিশের একটি চৌকস দল ‘গার্ড অফ অনার’ প্রদান করে। এতে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিস্তা করিম, সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ।

বিকালে তৃতীয় ও শেষ জানাজার পর মাদার্শা বুড়িপুকুর মসজিদের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

বিভিন্ন মহলের শোক

অ্যাডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিনের মৃত্যুতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শোক জানিয়েছে— সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি, সাতকানিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতি, সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ-চট্টগ্রাম, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ, সাতকানিয়া ল’ইয়ার্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এএসএম বজলুর রশিদ মিন্টু।

এছাড়া সাতকানিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে সুকান্ত বিকাশ ধর, দিদারুল আলম, জাহেদ হোসাইন, হারুনর রশিদ, ইকবাল মুন্না, তারেক হোসাইন, সাইফুল ইসলাম, মিনহাজ বাঙালি, মো.আরিফুল ইসলাম, মামুনুল হক, মোহাম্মদ হোছাইন, মাসুদুল করিম, টিআই খাইরু,লোহাগাড়ার তাজউদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন রশিদীসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন গভীর শোক জানিয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Cabs human bond in Chittagong demanding relief on rice legs

ভাতের পাতে স্বস্তির দাবিতে চট্টগ্রামে ক্যাবের মানববন্ধন

ভাতের পাতে স্বস্তির দাবিতে চট্টগ্রামে ক্যাবের মানববন্ধন

চালের ক্রমাগত অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি বাড়ার কারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা। অবিলম্বে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের ভাষ্য, প্রতি সপ্তাহেচালরে দাম ২-৫ টাকা করে বাড়িয়ে সর্বশেষ ভরামৌসুমে ৮-১০ টাকা বাড়ার কারণে সাধারণ মানুয়েরখাদ্য নিরাপত্তা হুমকরি মুখে পড়েছে। সরকার নিত্যপণ্যের বাজার তদারকিতে কিছু উদ্যোগথাকলেও চালে বাজার নিয়ন্ত্রণে সেধরণের দৃশ্যমান উদ্যোগ না থাকায় চালের অসাধু ব্যবসায়ীরাতাদের ইচ্ছা মতো দাম বাড়ায় ও কমায়। আবার খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) ও টিসিবিরফ্যামিলি র্কাড র্কাযক্রমও সক্রিয় নয়। সেকারণে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে জনজীবনে তীব্রসংকট নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) নগরীর জামালখান প্রেসক্লাব চত্ত্বরে “ভাতের পাতে স্বস্তি ফেরাও” স্লোগান নিয়ে আয়োজিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে বিভিন্ন বক্তারা উপরোক্ত দাবি জানান।

যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরেরসভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি), কনজ্যুমারস অ্যাসোসয়িশেন অব বাংলাদশে (ক্যাব) চট্টগ্রাম, প্রাণ ও আইএসডইি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্যরাখনে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, এডাব চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতিও বিশিষ্ট নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু ও বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিবঅ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসানসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সমাবেশে চালের মূল্য ও সার্বিক মুল্যস্ফীতির নয়িন্ত্রণেসংকটপূর্ণ অবস্থা নিরসনে তারা কৃষকের কাছ থেকে সরকারের সরাসরি চাল ক্রয়ের আওতা বৃদ্ধি, দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনিং ব্যবস্থাচালু, বাজার, উৎপাদন, মূল্য নির্ধারণ এবং ভোগের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকের স্বার্থ রক্ষায়পদক্ষেপ গ্রহণ, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তার সহায়তায়টিসিবি এবং ওএমএস কর্মসূচির আওতাবৃদ্ধির মাধ্যমে প্রয়োজনভিত্তিক সহায়তার উদ্যোগ ও মিল, করপোরেট গ্রুপসহ চালের বাজার যথাযথমনিটরিং এবং সিন্ডিকেট এর অপতৎপরতা রোধ করার মাধ্যমে দ্রুত বাজার পরিস্থিতিনিয়ন্ত্রণ করে চালের মূল্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আনার দাবি জানান।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Wildlife killing on the key campus is on the rise

চবি ক্যাম্পাসে বন্যপ্রাণী হত্যা বেড়েই চলছে

ধরাছোঁয়ার বাইরে অপরাধীরা
চবি ক্যাম্পাসে বন্যপ্রাণী হত্যা বেড়েই চলছে

সবুজ অরণ্য, পাহাড়, ঝর্ণার বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যেমন সৌন্দর্যের স্বর্গভূমি তেমনি অসংখ্য বন্যপ্রাণী, পাখির আবাসস্থল। তবে এখানে অবাধেই চলছে বন্যপ্রাণী হত্যা। শাস্তির আওতায়ও আসছে না অপরাধীরা। ২০১২ সালে দেশের জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়েছিল বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন। যেখানে বন্যপ্রাণী শিকার, হত্যা, কেনাবেচা, বা এদের আবাসস্থল ধ্বংস নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া এই আইন লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জরিমানা, কারাদণ্ড। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদেও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। তবে এই আইনের কার্যকর প্রয়োগ নেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। মায়া হরিণ, শূকর, বন মোরগ, অজগরসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণীর এই আবাস্থলে নিয়মিতই হচ্ছে প্রাণী হত্যা। এসব প্রাণী হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের। বিশেষজ্ঞরাও জানাচ্ছেন শঙ্কার কথা। গত ২৪ জুন চবির ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মো. নুরুল হামিদ কানন একটি মৃত শূকরের ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করে লিখেন, ‘শূকর পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছে না আপনাদের হাত থেকে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের উত্তর পাশের ব্রিজের নিচে একটি বন্য শূকরকে মাথায় আঘাত করে রাতে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা এমন গর্হিত কাজ করেন তারা পরিবেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর।’ বুধবার (০২ জুলাই) সালমান শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘বুধবার (০২ জুলাই) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটা পাহাড় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় একটি চিতা বিড়ালের মৃত্যু হয়। চিতা বিড়াল বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে লাল তালিকায় আছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চিতা বিড়ালের উপস্থিতি আছে জানা ছিল না। অজগর, মায়া হরিণ, বন্য শূকর, শিয়াল এসবের কথাই আগে জানা ছিল। তবে এই চিতা বিড়ালটির মৃত্যু কয়েকটি ভাবনার জন্ম দিয়েছে। ’

তিনি আরও লিখেন, ‘আজকের চবি যেখানে প্রতিষ্ঠিত এটা মূলত বন্য প্রাণীদেরই এলাকা। আমরা তাদের এলাকা দখল করেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। যেহেতু এখানে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা হয় সেহেতু এখানে বসবাসরত প্রাণীগুলোর প্রতিও আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। তাদের নিরাপদ, ঝঞ্ঝাটহীন জীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

শিক্ষার্থীদের মতে, ‘ মধ্যরাতে প্রাণীদের চলাচল ও খাবার সন্ধানের সময়। এই সময়ে যানবাহনের চলাচল সীমিত করা দরকার। উচ্চগতিতে গাড়ি চালানোও বন্ধ করে দেওয়া উচিত। প্রাণীর নিরাপদ আবাস গড়তে ক্যাম্পাসের ভেতরে গাড়ি চালকদেরও কিছু নির্দেশনা জানানো উচিত। তা ছাড়া জরিপ করে বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান সংরক্ষণ ও জীবনযাপনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিশেষজ্ঞ শিক্ষক, গবেষকদের মতামত নিয়ে এই কাজগুলো বাস্তবায়ন করা উচিত।’

জানতে চাইলে প্রাণীবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ‘বন্যপ্রাণীগুলো যখন রাতে চলাচল করে তখন এগুলোর চোখে লাইট পড়লে তারা দেখতে পায় না। তখন গাড়ি চালকরা হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবেই তাদের মেরে দেয়। আমাদের এখানে যখন রাস্তা দিয়ে প্রাণীগুলো চলাচল করে, তখন তাদের রক্ষা করার চেয়ে মেরে ফেলার মানসিকতাই বেশি কাজ করে। আমি বিদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে দেখেছি বন্যপ্রাণী রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমাদের এখানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বিলবোর্ড, প্লেকার্ড , কিংবা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যা যা প্রয়োজন তা আমরা করব। এনিয়ে আমরা প্রশাসনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটি আছে। আমাদের ক্যাম্পাস অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা। এখানে অনেক বন্যপ্রাণীর বসবাস আছে। এগুলো সচরাচর দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমরা পরিবেশ আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন মেনে চলি। এর আগেও বন্যপ্রাণী হত্যার দায়ে অনেককে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বন্যপ্রাণী হত্যার যে ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং কমিটিকে আমরা নির্দেশনা দিব।

মন্তব্য

জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ

জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ

সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজীর বিরুদ্ধে জাল সনদ এবং ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে পদ গ্রহণসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে আব্দুল মালেক গাজীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে দশ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২৯ জুন ২০২৫ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-১) মো. নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্মারকে এ তথ্য ওঠে এসেছে। এতে বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলাধীন নবারুণ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজীর বিরুদ্ধে জাল সনদ এবং ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে পদ গ্রহণ ও বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে আনীত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন। এ অবস্থায় তদন্ত প্রতিবেদনের মতামতের আলোকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর প্রমাণিত হওয়ায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৮.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে পত্র প্রাপ্তির দশ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Two students took the exam in Sakhipur and left the body

সখীপুরে মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষা দিলেন ২ শিক্ষার্থী

সখীপুরে মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষা দিলেন ২ শিক্ষার্থী

পুরো বাড়িতে শোকের মাতম। শোকে স্বজনেরা লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন অবস্থায় মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন দুই শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে মায়ের লাশ দাফনে অংশ নেবে তারাও। হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন এবং সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন বিষয় দুটি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায়। উপজেলার হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার এবং সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী লাবনী আক্তারের মা মারা গেছেন।

মা হারানো সায়মা আক্তার সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এবং লাবনী আক্তার সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্রে থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার আগে অশ্রুসিক্ত চোখে কেন্দ্রে আসেন তারা।

স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার হতেয়া গ্রামের মো. রায়হান মিয়ার মেয়ে সায়মা আক্তারের-মা শিল্পী আক্তার (৪০) কিডনীজনিত সমস্যার কারণে ২ জুলাই রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়িতেই মারা যান। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। অন্যদিকে উপজেলার কচুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার। তার মা সফিরন (৪৫) বুধবার (০২ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী ছিলেন। উভয়ে পরিবারের ছোট সন্তান।

লাবনীর মায়ের জানাজা সকাল সাড়ে ১১টার অনুষ্ঠিত হয় অন্যদিকে সায়মার মায়ের জানাজা বাদ যোহর অনুষ্ঠিত হয়।

হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, সায়মা মেধাবী শিক্ষার্থী। তবে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিতে আসা সত্যি কষ্টদায়ক। আল্লাহ যেন তার সহায় হোন।

মন্তব্য

p
উপরে