দুই দশকের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করা তালেবানের মধ্যে পরিবর্তন খুব সামান্যই দেখছে বিশ্ব। সেই সামান্য পরিবর্তনের একটি হলো আধুনিক যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
এবিসি নিউজের একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিকে দেশের ভেতরে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আশ্রয় নিচ্ছে তালেবান, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের স্বীকৃতি পেতেও সামাজিক মাধ্যমকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক দল।
ক্ষমতা দখলের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন আনার দাবি করেছে তালেবান। নারী অধিকার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ নানা আশ্বাস দিয়েছে গোষ্ঠীটি, কিন্তু এসব আশ্বাস সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে বহির্বিশ্বের বেশির ভাগ রাষ্ট্রনেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শঙ্কা, তালেবানের শাসনামলে আবারও আল-কায়েদার মতো নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর চারণক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে আফগানিস্তান।
মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে নিকৃষ্ট উদাহরণ গোষ্ঠীটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়তা উদ্বেগজনক ও ভীতিকর।
কারণ এবার ক্ষমতায় এসে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নিজেদের প্রতি ঢালাও সমর্থন দেখছে গোষ্ঠীটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বড় অংশ অনিয়ন্ত্রিত বলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উগ্রবাদীদের আকৃষ্ট করা ও নিজেদের উগ্রবাদী আদর্শ আরও ছড়িয়ে দেয়া সহজ হবে তালেবানের জন্য।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণেই এবার বহির্বিশ্বের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে সক্ষম হয়ে উঠেছে তালেবান, যা আগে কঠিন ছিল। এভাবে দেশ ও দেশের বাইরে অনেক ঘটনাবলিও এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবাদ ও সংবাদমাধ্যমবিষয়ক জ্ঞানের অভাব আর অপপ্রচারকে পুঁজি করে জনসমর্থন নিজেদের দিকে টানতে তালেবান দীর্ঘদিন ধরেই বেশ কৌশলী। এভাবেই আফগান সরকারকেও অবস্থানগতভাবে দুর্বল করে তুলেছে গোষ্ঠীটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ছবি, ভিডিও আর বিবরণীতে কাবুলে চলমান নৈরাজ্যের চিত্র অস্পষ্ট। অথচ তালেবানশাসিত অঞ্চলগুলোতে গোষ্ঠীটি প্রচার করছে শহরের পরিস্থিতি ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল, যা আগে ছিল না।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্মমতা আর নিপীড়ক নীতির জন্য সমালোচিত তালেবান সম্প্রতি ভাবমূর্তি তৈরির জন্য বিপরীতমুখী বার্তা দিচ্ছে অনলাইনে। তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়। তাই আফগানিস্তানের বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর পশ্চিমাদের ধোঁকা দেয়ার এ কৌশল নিয়েছে গোষ্ঠীটি।
ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক থিংকট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিসের সিনিয়র ফেলো টম জোসেলিন বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কৌশলী তালেবান…নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিতে বেশ কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গোষ্ঠীটি। বিভিন্ন ঘটনায় আফগান সরকার প্রতিক্রিয়া জানানোর আগেই তালেবানের বক্তব্য জানতে পারতাম আমরা।’
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে তালেবান, এটাই মুখ্য বিষয়। তারা জানে কীভাবে সাংবাদিকদের নাচাতে হয়। তারা জানে কীভাবে কী বললে সে বক্তব্য পশ্চিমা দেশগুলোর কানে তা শ্রুতিমধুর শোনাবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয় গোষ্ঠীটি।’
বার্তার বন্যা তালেবানের
২০১৭ সালে সবশেষ প্রকাশিত তথ্যে বিশ্বব্যাংক জানায়, আফগানিস্তানে মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১১ দশমিক চার শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পায়। নব্বইয়ের দশকে তালেবানের আগের শাসনামলে এ হার ছিল শূন্য।
১৭ বছরের ব্যবধানে দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠী তৈরি হলেও আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক থেকে ৪৯ শতাংশ পিছিয়ে ছিল আফগানরা।
অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রোতা হিসেবে আফগানরা নয়, তালেবানের লক্ষ্য বহির্বিশ্ব।
অন্যদিকে তালেবানের স্থানীয় শ্রোতা, অর্থাৎ আফগান সমর্থকরাও দেশটির সংবাদমাধ্যম অবকাঠামোর ভগ্নদশার বলি। ক্ষমতাসীনদের মিথ্যা বিবৃতির ফাঁকফোকর ধরতে সেসব সংবাদমাধ্যম ব্যর্থ। সাধারণ আফগানদের জন্যও ঘটনার সত্যতা যাচাই করা কঠিন।
তার ওপর বিশ্বের অনেক অঞ্চলের মতো আফগানিস্তানেও ইন্টারনেটবিষয়ক শিক্ষার হার সামান্য বলে মনে করেন গবেষকরা। ফলে সত্যের চেয়ে অপপ্রচারের বিস্তারই সেখানে বেশি।
জোসেলিন জানান, তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুইটারে বেশ কয়েক বছর ধরেই ভীষণ সক্রিয়। গত সপ্তাহের আলোচিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছিলেন মুজাহিদ।
ইংরেজি, আরবি, পশতু ও উর্দুসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় তালেবান নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের বার্তা প্রচার করে থাকে।
জোসেলিন বলেন, ‘তালেবান প্রতিদিন যত ভাষায় বার্তা প্রকাশ করে, তত সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও করে না।’
অনলাইনে উগ্রবাদের প্রচার ঠেকাতে পদক্ষেপ নিয়েছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও দেশ। এতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থকদের ইন্টারনেটভিত্তিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে এলেও তালেবান এখনও বাধাহীনভাবেই সামাজিক যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালেবান ইস্যুতে কোনো নির্দেশনাও পায়নি। তাদের তালেবানবিরোধী কোনো নীতিমালাও নেই।
এর ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গোষ্ঠীটিকে নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন।
অথচ বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ফেসবুক-টুইটারসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ। এ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর দ্বিমুখী নীতি নিয়ে সরব ট্রাম্পবিরোধীরা।
ফেসবুকের দাবি, প্রতিষ্ঠানটির ‘বিপজ্জনক সংগঠনবিষয়ক নীতি’র আওতায় কয়েক বছর ধরেই নিষিদ্ধ তালেবান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলাদা কালো তালিকায় তালেবানের নাম না থাকলেও সরকারের কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে গোষ্ঠীটির ওপর। সে হিসেবেই ফেসবুকেও তারা নিষিদ্ধ।
তালেবান বা তালেবানের পক্ষে পরিচালিত অ্যাকাউন্টগুলো মুছে দেয়া হয়েছে বলে দাবি ফেসবুকের।
এ ধরনের অ্যাকাউন্ট শনাক্তে আরবি, পশতুসহ বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ একটি বিশেষজ্ঞ দলও গঠন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিবৃতিতে ফেসবুক বলেছে, ‘কোনো দেশে স্বীকৃত সরকারের বিষয়ে ফেসবুক সিদ্ধান্ত নেয় না; বরং সে ক্ষেত্রে বিশ্ব সম্প্রদায়ের গৃহীত পদক্ষেপে শ্রদ্ধাশীল থাকাকেই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করে। ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন, সে হিসেবে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও আমাদের নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে টুইটার এখনও কোনো অবস্থান ঘোষণা করেনি। আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে টুইটারে যাবতীয় তৎপরতা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক আগেই ফেসবুক-টুইটারে তালেবানকে নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।
জোসেলিন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তালেবানকে নিজস্ব একটি বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। আত্মঘাতী হামলা থেকে শুরু করে নারীদের ওপর নিপীড়ন, কঠোর শরিয়াহ আইন প্রয়োগের বিষয়গুলোতে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করেছে তারা।’
যোগাযোগের সস্তা ও কার্যকর মাধ্যম
জার্মান থিংকট্যাংক মার্শাল ডিজিটাল ফান্ডের সহকারী গবেষক অ্যাড্রিয়েন গোল্ডস্টেইন জানান, টুইটারে সক্রিয় কমপক্ষে ছয়জন তালেবান কর্মকর্তা। তাদের অনুসারী সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ।
এ নেতাদের সাম্প্রতিক সব টুইটেই তালেবানকে দেখানো হয়েছে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হিসেবে। গোষ্ঠীটির সংবাদ সম্মেলনেও এমন ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
তালেবানের টুইট অপপ্রচার আর মিথ্যায় ভরপুর বলে অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিডিয়া এশিয়া জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনেও এ ধারণাতেই সমর্থন দেয়া হয়।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও পরামর্শক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে ভিন্ন কিছুই প্রকাশ করে তালেবান; হোক তা সামাজিক বা অন্য কোনো মাধ্যমে।
২০১৮ সালে গবেষণাটি করার সময় কেউ ধারণাও করেনি যে তিন বছরের মাথায় আবারও আফগানিস্তান দখল করবে তালেবান। কিন্তু গোষ্ঠীটি সে সময় ঠিকই আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চেয়েও বেশি ও বিভিন্ন ভাষায় টুইটারে বার্তা প্রকাশ করত নিয়মিত।
একটি ঘটনা নিয়ে তালেবান ও সংবাদমাধ্যম আর বেসরকারি সংস্থাগুলোর তথ্যের অসংগতি ছাড়াও গবেষণায় বেরিয়ে আসে সামাজিক মাধ্যমের ওপর তালেবানের নির্ভরশীলতার তথ্যও।
কারণ বিস্তৃত পরিসরে বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য এর চেয়ে সস্তা ও সহজ আর কোনো মাধ্যম নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের জন্য কোনো আধুনিক অবকাঠামো বা বিশেষজ্ঞেরও প্রয়োজন হয় না।
বিষয়টির সুযোগ নিয়ে ন্যূনতম অর্থ ও সময় ব্যয় করে আফগান সরকারের চেয়েও অনলাইনে বেশি প্রচার চালিয়েছে তালেবান।
অথচ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় যেকোনোভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ রেখেছিল এ তালেবানই। নিষেধাজ্ঞা অমান্যে পেতে হতো কঠোর শাস্তি।
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমেই পরিবর্তনীয়। টুইটার ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ আফগানদের অনেকেই এখন দেশটির অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবহিত করে ও সাহায্য চায়।
আরও পড়ুন:ইরানের ইস্পাহানে শুক্রবার ‘ইসরায়েলের’ হামলার তাৎক্ষণিক জবাব দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ঘটনার বিদেশি উৎসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরের কোনো হামলার শিকার হইনি এবং আলোচনা হামলার চেয়ে বেশি হচ্ছে অনুপ্রবেশ নিয়ে।’
সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইস্পাহানের কাছে বিস্ফোরণের পর কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।
ইস্পাহান শহরের কাছে ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।
আরও পড়ুন:ইরানের ইস্পাহানে বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের হামলার খবরে শুক্রবার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে উল্লেখ করে রয়টার্স জানিয়েছে, এশিয়ার শেয়ার ও বন্ডে ধস নামে, যেখানে উল্লম্ফন দেখা যায় স্বর্ণ ও অশোধিত জ্বালানি তেলের দামে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি জানার পর পুঁজিবাজার ও তেলের বাজারে শুরুতে যে প্রভাব পড়ে, সেটি কমে এসেছে। হামলার পরিসর ছোট এবং কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি বলে ইরানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন বাস্তবতা সৃষ্টি হয়।
শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিভিত্তিক এমএসসিআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সূচকের পতন হয় দুই দশমিক ছয় শতাংশ, যেটি পরবর্তী সময়ে কমে দাঁড়ায় দুই শতাংশে।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার শঙ্কায় ব্রেন্টের অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম শুরুতে চার দশমিক দুই শতাংশ বাড়লেও পরবর্তী সময়ে তা কমে বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় দুই দশমিক চার শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধি কমার পর ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্টের অশোধিত তেলের দাম দাঁড়ায় ৮৯ দশমিক ২২ ডলারে।
সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইস্পাহানের কাছে বিস্ফোরণের পর কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।
ইস্পাহান শহরের কাছে ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।
আরও পড়ুন:ইসরায়েলের তিনটি ড্রোন ইরান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির মহাকাশ সংস্থা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শুক্রবার কোয়াডকপ্টারের ছবি সংযুক্ত করে দেয়া পোস্টে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান লিখেন, ‘তারা (ইসরায়েল) বলেছে যে, আমরা ৫০০ সুইসাইড ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছি...এখন তারা জবাব দিয়েছে এই তিন কোয়াডকপ্টার (ড্রোনসদৃশ আকাশযান) দিয়ে, যার সবগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।’
হাসির ইমোজি দিয়ে ওই পোস্টে দালিরিয়ান আরও লিখেন, ‘তারা শুধু বলেছে যে, তারা (হামলার) আগে আমেরিকাকে জানায়নি।’
সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
আরও পড়ুন:ইসরায়েলের হামলার খবরের মধ্যে ইরানের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম শুক্রবার বলেছে, দেশটির পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদে আছে।
সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
এদিকে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে লিখেন, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সফলভাবে কিছু ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এ মুহূর্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো খবর নেই।
ইস্পাহানের কাছে শেকারি সেনা বিমানঘাঁটিতে তিনটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ।
আরও পড়ুন:ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হ্যাটট্রিক তথা টানা তৃতীয় জয়ের সম্ভাবনার মধ্যে শুক্রবার দেশটিতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে আজ ভোট হচ্ছে।
সাত ধাপের এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সব আসনে ভোট হচ্ছে তামিলনাড়ু (৩৯), রাজস্থান (১২), উত্তর প্রদেশ (৮), উত্তরাখণ্ড (৫), অরুণাচল প্রদেশ (২), মেঘালয় (২), আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (১), মিজোরাম (১), নাগাল্যান্ড (১), পুদুচেরি (১), সিকিম (১) ও লাক্ষাদ্বীপে (১)। এর বাইরে আসাম ও মহারাষ্ট্রের পাঁচটি করে আসনে, বিহারের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের তিনটি, মণিপুরের দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু-কাশ্মীর ও ছত্রিশগড়ের একটি করে আসনে ভোট হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চার রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে আজ ভোট।
ভারতে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষার এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে এককভাবে ৩৭০টিতে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তথা এনডিএ ৪০০টি আসনে জয়ী হোক, এমনটি চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এর আগে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোকসভায় ৩৫৩টি আসন পায় এনডিএ, যেখানে বিজেপির একক আসনের সংখ্যা ৩০৩টি।
লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট ১ জুন।
আরও পড়ুন:ইরানের একটি স্থানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছে এবিসি নিউজ।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এ খবর জানায়।
এবিসির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার জানায়, ইরানের কেন্দ্রস্থলে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই ইরানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেল।
এবিসির প্রতিবেদনের সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।
ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইস্পাহান, সিরাজ ও তেহরানে বিমান চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।
ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে ইস্পাহান প্রদেশে। অঞ্চলটিতে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কেন্দ্রে থাকা নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রও রয়েছে।
গত শনিবারের হামলার জবাব দেয়ার কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল। দেশটি বড় পরিসরে কোনো হামলা চালালে এবং এর জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা করলে গাজা যুদ্ধ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন:ইসরায়েলে রকেট ও ড্রোন হামলার পর ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ট দুই মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্র। কারণ হিসেবে ইসরায়েলের ওপর তেহরানের ওই আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক যুদ্ধের ইন্ধন যোগাতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি অফিস অফ ফরিন অ্যাসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি) জানিয়েছে, ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন উৎপাদনে জাড়িত ইরানের ১৬ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া ইরানের সামরিক বাহিনী ও অন্যান্য নিষিদ্ধ গোষ্ঠীকে সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগ এনে দেশটির ইস্পাত উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সংস্থা ও গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাহমান গ্রুপকেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওএফএসি।
অন্যদিকে, ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি ইরানি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যুক্তরাজ্য।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো।
হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটিতে কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে বলে জানা যায়। এ হামলায় সাত বছর বয়সী এক ইসরায়েলি শিশু মারাত্মক আহত হয়। এর বাইরে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইতোমধ্যে ইরানের জবাবের পাল্টা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের অবশ্যই নিজেদের সুরক্ষা করার অধিকার রয়েছে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের সামরিক তৎপরতাকে নিরুৎসাহিত করে, দেশটির ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ চালিয়ে যেতে ওএফএসিকে নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন বলেছেন, ‘যারা ইরানকে হামলায় ইন্ধন দেয় ও তা সমর্থন করে, তাদের সবাইকে এটি স্পষ্ট করতে চাই যে, সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেবে।’
ট্রেজারি বিভাগের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও ইরানের বাণিজ্যিক গ্রেডের মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স শিল্পের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স খাতে ইরানের রাশ টেনে ধরতেই তাদের এ সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশটির বাইরে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
ইসরায়েলে হামলার পর এ অঞ্চলে ইরানের কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যতের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে চলতি সপ্তাহেই সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র। তার পরপরই বৃহস্পতিবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল ওয়াশিংটন।
ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দেশ ইরান ও এর নেতাদের আর্থিক শাস্তির মুখোমুখি করতেই ক্যাপিটল হিলে তড়িঘড়ি করে এসব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারাও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে তেহরানের মিত্র দেশগুলো তথা গাজা, ইয়েমেন ও লেবাননে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবাহের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে।
এ বিষয়ে ইইউ-এর পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান জোসেফ বরেল বলেছেন, ‘তেহরানকে শাস্তি দিতে ও ইসরায়েলের ওপর ভবিষ্যত হামলা প্রতিরোধে সহায়তায় বিদ্যমান ইইউ নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও প্রসারিত করা হবে।’
তবে একইসঙ্গে ইসরায়েলকেও সংযমী হতে বলেছেন তিনি।
বরেল বলেন, ‘আমরা একটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি, মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক যুদ্ধ, যা বিশ্বের বাকি অংশ বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের এটি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য