× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
The Taliban is facing resistance in Madhuchandrimati
google_news print-icon

মধুচন্দ্রিমাতেই প্রতিরোধের মুখে তালেবান

মধুচন্দ্রিমাতেই-প্রতিরোধের-মুখে-তালেবান
আফগানিস্তানের সরকারি ভবনগুলোতে তালেবানের পতাকা সরিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিক্ষুব্ধরা। ছবি: সংগৃহীত
দেশটির বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে বিক্ষোভ শুরু করেছে সাধারণ জনতা। সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তারা সংগঠনটির পতাকা নামিয়ে জাতীয় পতাকা তুলছেন। তালেবানের কাছে নতি স্বীকার না করা এক প্রখ্যাত যোদ্ধার ছেলে চেয়েছেন অস্ত্র সহায়তা। জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণে ত্যক্ত বিরক্ত অনেকেই তার দলে।

কেউ কাউকে ছাড় দেয় না, এমন একটি দেশে একের পর এক শহর যুদ্ধ না করে তুলে দেয়া হয়েছে তালেবানের হাতে। অপ্রত্যাশিতভাবে প্রেসিডেন্ট রণে ভঙ্গ দেয়ার পর রাজধানীও তাদের পদানত হয় সহজেই।

দুই দশক পর আফগানিস্তান আবার কওমি মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পর বেশ ফুরফুরে মেজাজে তারা।

কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে এসেছে রোববার। নব্বই দশকে যখন দেশটির প্রধান শহরের নিয়ন্ত্রক ছিল, সে সময় তারা যে কঠোরতা দেখিয়েছে, এবার সেটা দেখাবে না, বারবার এমন ঘোষণা আসছে। বহুজন বলাবলি করছেন, ‘এই তালেবান সেই তালেবান নয়’। তারা বুঝি এবার চমক দেখাবে। আর যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে অনীহা দেখানোয় কেউ বুঝি তালেবানকে কিছুই বলতে পারবে না।

কিন্তু ঘটনা নিচ্ছে অন্য মোড়। সাধারণ জনতার প্রতিরোধের মুখেই যে তালেবান পড়তে যাচ্ছে, সে ইঙ্গিত স্পষ্ট। এরই মধ্যে অস্ত্র চেয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে বহুল পরিচিত এক প্রয়াত যোদ্ধার ছেলের পক্ষ থেকে।

আবার পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির ডেপুটি, অর্থাৎ ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ অজ্ঞাত স্থান থেকে এক বার্তায় দিয়েছেন প্রতিরোধের ডাক। বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পালিয়ে যাওয়ায় তিনিই এখন প্রেসিডেন্ট।

মধুচন্দ্রিমাতেই প্রতিরোধের মুখে তালেবান

আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। ছবি: সংগৃহীত

তার এই ঘোষণার দৃশ্যত বড় কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু একেবারেই কি নেই, সেই প্রশ্নও উঠতে পারে।

সালেহ অজ্ঞাত স্থান থেকে বার্তা দিয়েছেন সোমবার। আর বুধবারই তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ দেখা গেছে দেশটির জালালাবাদ শহরে।

এই শহরটিও যুদ্ধ ছাড়া তুলে দেয়া হয়েছিল। আর সেই শহরের বাসিন্দারাই তালেবানের তোলা পতাকা নামিয়ে নিজের দেশের পতাকা উড়িয়েছেন।

বিরোধিতা যে তালেবান একদম সহ্য করবে না, তা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দেয় তাদের যোদ্ধারা। সোজা বুক বরাবর গুলিতে প্রাণ যায় তিন জনের, আহত হয় আরও বহু।

ঘটনা এই একটি নয়। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাধীনতা দিবসেও দেখা গেল একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

বৃহস্পতিবার জালালাবাদের আসাদাবাদ ছাড়াও বিক্ষোভ হয়েছে অন্তত ৫টি শহরে। বাদ যায়নি রাজধানী কাবুলও। এখানেও তালেবানের সরাসরি গুলি। আর্তনাদ, প্রাণহানি।

বিক্ষোভকারীরা তালেবানের পতাকা নামিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, আগামীতে জনপ্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে ‘বিজয়ী’ তালেবানদের।

মধুচন্দ্রিমাতেই প্রতিরোধের মুখে তালেবান

প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসে বিরোধী ও ভিন্ন মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদিন। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে খোস্ত প্রদেশে কারফিউ জারি করেছে সতর্ক তালেবান। মধ্যরাত থেকে এই কারফিউ দেয়া হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। সড়কে দেখা গেছে তালেবান সশস্ত্র যোদ্ধা ও তাদের সাঁজোয়া যানের সরব অবস্থান।

এর মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও কার্যালয়ে দেশটির জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

রোববার তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশ ছেড়ে ভাগতে মরিয়া চেষ্টা করেছিল আফগানবাসী। মালবাহী বিমানে পণ্য হয়ে চড়ে জীবন বাঁচাতে চেয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ভেতরে জায়গা না পেয়ে নিজেকে চাকার সঙ্গে বেঁধেছিলেন দুই জন। ভেবেছিলেন এভাবেই উড়ে যাওয়া যাবে কোথাও, যেখানে কট্টর শাসনে থাকতে হবে না।

মধুচন্দ্রিমাতেই প্রতিরোধের মুখে তালেবান

তালেবান কাবুল দখলের পর বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগান নাগরিকরা। ছবি: এএফপি

কিন্তু সেটি হওয়ার ছিল না। আকাশ থেকে সেই বাঁধন ছিঁড়ে দুই জন পড়েছেন মাটিতে। কট্টর ধর্মীয় শাসন থেকে বাঁচার সাধ আর পূরণ হলো না।

তবে এখন আর পালানোর সুযোগ নেই। তাই বিদ্রোহেই নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনগণ।

গত কয়েকদিন তালেবানবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করে জনতা।

দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল প্রদেশ জালালাবাদের আসাদাবাদে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় বিক্ষোভের শুরু। জাতীয় পতাকা উড়িয়ে মিছিল করছিল বিভিন্ন বয়সী হাজারো আফগান নাগরিক। তারা দেশটির সরকারি ভবনগুলোতে তালেবানের পতাকা সরিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের দাবি জানান।

সড়কে লোডেড গান নিয়ে থাকা তালেবান যোদ্ধারা এই বিক্ষোভ সহ্য করেনি। সরাসরি গুলি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

একই ধরনের ঘটনা ঘটে কাবুলেও। শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর জাতীয় পতাকা নামিয়ে নিজেদের পতাকা তুলেছিল তালেবান। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় এতদিন উড়ছিল সেই পতাকাই।

১০২ বছর আগে স্বাধীনতা পাওয়ার দিনটিতে এই অবস্থা দেখে নিজেদের পরাধীন ভাবছিল সাধারণ মানুষ। তারা বিভিন্ন স্থানে তিন রঙের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে। তারা তালেবানদের দুই রঙের পতাকা বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা থেকে সরিয়েও ফেলে।

সড়কের পাশে সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধাদের উপস্থিতি ও তাদের সাঁজোয়া যানের ভীতিকে উপেক্ষা করে সাধারণ আফগান নাগরিকরা তালেবানবিরোধী স্লোগান দেয়। এ সময় তারা দেশটির জাতীয় পতাকা ও ‘আফগানিস্তান চিরঞ্জীব হোক’ বলে স্লোগান দেয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি তালেবানের ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে দেশটির বিভিন্ন স্থানে।

তালেবান হটাতে অস্ত্র চায় যোদ্ধারা

৯০ দশকে তালেবানের বিরুদ্ধে কাবুলের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পঞ্জশিরে প্রতিরোধ যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া আহমেদ শাহ মাসুদ ২০০১ সালে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান। তিনি পরিচিত ছিলেন ‘পঞ্জশিরের সিংহ’ নামে।

তার ছেলে আহমেদ মাসুদ এবার ডাক দিয়েছেন তালেবানকে ঠেকানোর। তিনি তার মিলিশিয়া বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র সহায়তাও চেয়েছেন।

মধুচন্দ্রিমাতেই প্রতিরোধের মুখে তালেবান

আফগানিস্তানের বীরযোদ্ধা আহমেদ শাহ মাসুদ (ডানে) ও তার ছেলে আহমেদ মাসুদ। ছবি: এএফপি

স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টের মতামতে মাসুদ এসব বার্তা দেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মাসুদ বলেন, ‘আমি আজ পঞ্জশির ভ্যালি থেকে লিখছি। আমার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে আমি প্রস্তুত। মুজাহিদীনরা তালেবানের ওপর ফের আঘাত হানতে তৎপর।’

হিন্দুকুশ পর্বতমালার মাঝে অবস্থিত পঞ্জশির কখনো তালেবানের হাতে পড়েনি। শুধু তাই নয়, আশির দশকে পঞ্জশির দখলে ব্যর্থ হয় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বাহিনীও।

তালেবান আফগানিস্তানের বড় অংশ গত কয়েক সপ্তাহে দখলে নিতে সমর্থ হলেও এখন পর্যন্ত পঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।

মাসুদ বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিশেষ বাহিনীর সাবেক সদস্য এবং কমান্ডারদের আত্মসমর্পণে বিরক্ত আফগান সেনারা এরই মধ্যে আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।’

আফগানিস্তানের অর্থ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবানের হাতে যাওয়ার আশঙ্কায় নিজেদের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা থাকা আফগানিস্তানের বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে আলোচনায়ও বসতে যাচ্ছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আফগানিস্তান ছাড়েনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা

রোববার তালেবান কাবুল দখলের পরপরই আফগানিস্তান থেকে দ্রুত নাগরিকদের দেশে ফেরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও প্রায় ১৫ হাজার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অবস্থান করছে।

আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া লোকজনকে কাবুল বিমানবন্দর পৌঁছতে তালেবান বাধা দেয়ায় নির্ধারিত সময়সীমার পরও দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অবস্থান করতে পারে। এবিসি নিউজকে স্থানীয় সময় বুধবার দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এসব বার্তা দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

মধুচন্দ্রিমাতেই প্রতিরোধের মুখে তালেবান

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের গতি ধীর হতে পারে বলে জানায় পেন্টাগন। ছবি: এএফপি

ওয়াশিংটন অঙ্গীকার করেছিল, সেনা প্রত্যাহারের আগেই আফগানিস্তানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পাশাপাশি দোভাষীসহ ৫০ থেকে ৬৫ হাজার আফগানকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করা হবে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অস্ত্র চায় তালেবানবিরোধীরা
আফগানিস্তানের টাকা আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র
স্বাধীনতা দিবসে তালেবানের গুলি, নিহত ২
আফগানিস্তানের অর্কেস্ট্রা টিকবে কি
কোনো টাকা নয়, এক কাপড়ে দেশ ছেড়েছি: ঘানি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

আন্তর্জাতিক
To build a financial system that will have the opportunity to be entrepreneur Chief Advisor

উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ থাকবে এমন আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ থাকবে এমন আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খিলজি রোডে ‘পিকেএসএফ’র নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ছবি : পিআইডি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষ কারো চাকরি করার জন্য জন্মায়নি, মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। তাই দেশে এমন আর্থিক ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে যেন সবাই উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পায়।

আজ রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খিলজি রোডে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘মানুষ কারো চাকরি করার জন্য আসে নাই। মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে সবাই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে।’

তিনি বলেন, এখনকার প্রজন্ম আগের মতো নয়। এখন গ্রামের ছেলেমেয়েরাও অনেক কিছু বোঝে, জানে, নিজস্ব চিন্তাভাবনায় সমৃদ্ধ। কাজেই এদের জন্য এমন একটি আর্থিক ও সামাজিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তারা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করতে পারে, চাইলে এককভাবে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি একটি কাঠামো তৈরি করতে পারি যেখানে মানুষ নিজের উদ্যোগ শুরু করতে পারবে, এমনকি চাইলে বিনিয়োগকারী হিসেবেও যুক্ত হতে পারবে—তাহলে এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন সম্ভব।’

অধ্যাপক ইউনূস মনে করেন, যে কেউ চাইলে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারবে, আবার ইচ্ছা করলে ব্যক্তি উদ্যোগেও এগিয়ে যেতে পারবে। এমনকি কেউ চাইলে বিনিয়োগ সংগ্রহ করে নিজ এলাকায় উদ্যোগ পরিচালনা করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সামনে অগ্রসর হতে চাই। পরীক্ষামূলকভাবে দেখা যেতে পারে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ। কিন্তু ইতোমধ্যে কয়েক লাখ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে, যাদের অনেকে ছেলে-মেয়ে মিলে দলগতভাবে কাজ করছে।’ তিনি বলেন, এই অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে এর সম্প্রসারণ ঘটানো সম্ভব।

পিকেএসএফ-এর জন্ম ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকিয়ে ইউনূস বলেন, এর সূচনা হয়েছিল অনেকটা ঘটনাচক্রে। ‘বিশ্বব্যাংক ২০ কোটি টাকা দিচ্ছিল, তা নিয়ে নানা পর্যায়ে চিঠিপত্র চালাচালি হচ্ছিল। আমি বলেছিলাম, এই চিঠিগুলো সংরক্ষণ করা হোক, এগুলো ইতিহাস। এই টাকা ঘিরেই সরকার, পরিকল্পনা কমিশন, দাতা সংস্থা—সবাই মিলে মতবিনিময় করেছে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ পর্যন্ত নিজে তাতে যুক্ত হয়েছেন।’

ড. ইউনূস বলেন, এই ২০ কোটি টাকা না এলে পিকেএসএফ হয়তো গঠিত হতো, কিন্তু এভাবে হতো না। তিনি জানান, সেসময় গঠন করা হয় একটি কমিটি, যার সভাপতি হন তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এবং আমি নিজে সদস্য হই। প্রস্তাবনার ভিত্তিতে একটি নাম ঠিক হয়—পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, প্রাথমিকভাবে পিকেএসএফ যে উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল, তা সময়ের সঙ্গে আরও বিস্তৃত হয়েছে। তবে বিভিন্ন সময় কাঠামোগত ও নীতিগত চ্যালেঞ্জ এসেছে। বিশেষ করে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এর-সঙ্গে কিছু দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যেটা দূর করা জরুরি।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো মাইক্রোক্রেডিট দিচ্ছি না। আমরা অংশীদার হই উদ্যোক্তার সঙ্গে। তাই এই কাঠামোকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, এখন সময় এসেছে এমন একটি আর্থিক কাঠামো দাঁড় করানোর, যেখানে প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তি উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে হবে। ‘আমরা ব্যবসার পার্টনার হতে চাই। কেউ যদি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আসে, আমরা তার সঙ্গে অংশীদার হব। শুধু ঋণ নয়—সোজা বিনিয়োগ। সে যদি পাঁচ লাখ টাকা চায়, আমরা দেব। তবে বিনিময়ে আমাদের শেয়ার থাকবে।’

এই মডেলে উদ্যোক্তা সফল হলে ধীরে ধীরে পুরো মালিকানা নিজের হাতে নিতে পারবে—এই ধারণার ভিত্তিতে তিনি একটি কাঠামো প্রস্তাব করেন, যেটি যৌথ মালিকানা থেকে সম্পূর্ণ মালিকানায় রূপান্তরযোগ্য।

তিনি বলেন, ‘সে যদি ভালো করে, তাহলে আমাদের অংশ ক্রয় করে নিয়ে নিতে পারবে। আমরা চাই সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে সহায়তা করতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তালিকা করে রাখিনি, কিন্তু বহু রকমের উদ্যোক্তা গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তি এখন বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা প্রত্যেক ব্যক্তিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে পারি। সে যে পথেই যেতে চায়, সেই সুযোগ করে দিতে হবে।’

বর্তমান আইন কাঠামো যে প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছিল তা আজকের বাস্তবতায় অনেকাংশে প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে এমন মন্তব্য করে ইউনূস বলেন, ‘৮০ দশকের যে আইন, তা আজকের উদ্যোক্তা ব্যবস্থার সাথে খাপ খায় না। বিশেষ করে পিকেএসএফ-এর নিজস্ব আইন, সেটাকে সংস্কার করে সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। নানামুখী কর্মসূচি সংযোজনের সুযোগ আছে।’

তিনি বলেন, ‘এই ভবনের যাত্রা হোক পিকেএসএফ-এর নতুন দিগন্তের সূচনা। দীর্ঘ ৩৫ বছরের যাত্রায় যা অর্জিত হয়েছে, তা একটি শক্ত ভিত। এখন সময় এসেছে বড় পরিসরে যাওয়ার।’

তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘টাকার কোনো অভাব হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ওপর আস্থা আছে। আমরা যদি একটি সমন্বিত ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম দাঁড় করাতে পারি, তাহলে সত্যিকারের উদ্যোক্তা তৈরির যে স্বপ্ন—তা বাস্তবায়ন সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ,পিকেএসএফ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
How many more days of rain will be the window weather office

বৃষ্টি আরও কত দিন থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃষ্টি আরও কত দিন থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এই বৃষ্টি আরও এক সপ্তাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলতে থাকতে পারে। এরপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই সময়ে বৃষ্টিপাত কোথাও কমবে আবার বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে তেলেঙ্গা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।

আজ রোববার সকাল ৯টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় রাজধানী ঢাকায় বাতাস দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

আজ রোববার সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে।

ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় দক্ষিণ বা পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।

আজ রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ইশ্বরদীতে; ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটে; ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া রাঙামাটিতে ৮৭, সন্দ্বীপে ৮০ এবং তেঁতুলিয়ায় ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Shardi Durga Puja will be celebrated seamlessly Home Advisor

শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নেই উদযাপিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নেই উদযাপিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ বছরও শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নেই উদযাপিত হবে।

তিনি আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন।

দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারও ভালোভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সবার সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিলো। এটা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন ছিলো না। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোর কমিটির সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু-একটি নির্বাচন হয়ে গেল, এসব বিষয়েও একটু আলোচনা হয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিরোধসহ সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে পূজা এবং ফরিদপুরের দুটি ইউনিয়ন নিয়ে যে সমস্যা, সে বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন,সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ফরিদপুরের দুই ইউনিয়নের কারণে বিভিন্ন জেলার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফরিদপুরে দুটি ইউনিয়ন আগে যে সংসদীয় আসনে ছিল, সেখান থেকে অন্য আসনে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশন করেছে। যুক্তি-তর্কের সবকিছু শোনার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা নিয়েই এলাকার লোকজনের মধ্যে একটা ক্ষোভ চলছে।

তিনি বলেন, এটা নিয়ে আসলেই যদি তাদের ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা যথাযথ চ্যানেলে জানানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই দুটি ইউনিয়নে কতজন লোক আর কতজন ভোটার? অথচ তারা লাখ লাখ লোককে জিম্মি করে রেখেছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আমরা আইন প্রয়োগ করে সড়ক ক্লিয়ার করবো।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কারাগারে কিছু সমস্যা আছে, এখানেও সংস্কার দরকার। বন্দিদের মধ্যে যাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, আমরা চাচ্ছিলাম লাইফটাইম সাজা তো ৩০ বছর, সেটা কমিয়ে কত করা যায়, যুক্তিযুক্ত একটা করে, যারা বয়স্ক হয়ে গেছে তাদের যাতে ছাড়ার ব্যবস্থা করা যায়।

বয়সটা কত নির্ধারণ করা হবে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করিনি। আলোচনার ভিত্তিতে মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়তো ২০ বছর করে দিতে চাচ্ছি। ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়তো আরও একটু বেশি হতে পারে।

তিনি বলেন, আবার কতগুলো স্পেসিফিক আছে, তার বয়সটা কত। যে ১৮ বছরে অপকর্ম করেছে, ২০ বছর পর তাকে ছেড়ে দিলে তখন তো তার বয়স ৩৮ বছর হয়। সে হয়তো এসে আবার অপকর্ম করতে পারে। এ বিষয়গুলো দেখা হবে, তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে আমরা একটু বেশি লিবারেল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The chief adviser is present at the meeting of the National consensus commission

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় উপস্থিত থাকছেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় উপস্থিত থাকছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ কমিশনের সভায় উপস্থিত থাকবেন।

দুপুর তিনটায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে 'জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫' বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে।

কমিশনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা দুপুর ৩টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে উপস্থিত হবেন।

সেখানে তাঁর বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করার কথা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা সভাকক্ষ ত্যাগ করার পর কমিশনের সাথে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি পরে ব্রিফ করবেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Seminar of Bangladesh Press Council to prevent unprofessionalism in Srimangal

শ্রীমঙ্গলে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সেমিনার

শ্রীমঙ্গলে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সেমিনার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত “অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ, সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, আচরণবিধি প্রতিপালন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন” শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকালে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা সভাকক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম উদ্দিন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা বিষয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. আব্দুস সবুর।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রেস কাউন্সিলের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সাখাওয়াত হোসেন।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক যুগান্তরের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ আবু জাফর সালাউদ্দিন, দৈনিক ইত্তেফাকের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ সাহেদ আহমেদ এবং দৈনিক খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি এহসানুল হক।

সেমিনারে শ্রীমঙ্গলে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অর্ধশতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The strike block is on the verge of demanding reinstatement of the Pabna 1 constituency

পাবনা-১ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়ায় হরতাল-অবরোধ চলছে

পাবনা-১ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়ায় হরতাল-অবরোধ চলছে

পাবনা-১ (বেড়া আংশিক-সাঁথিয়া) সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বেড়ায় হরতাল-অবরোধ চলছে। রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হরতাল চলবে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে।

হরতাল সমর্থনকারীরা পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের বেড়া সিএন্ডবি মোড়ে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও ট্টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। এদিকে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করা হয়।

রোববার সকাল থেকে কোনো বাস বা অন্য কোনো যান চলছে না সড়কে। বেড়া নগরবাড়ি ও কাজিরহাট নদী বন্দর বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ার কথা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

এর আগে শনিবার এক সভায় এই ঘোষণা দেয় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি।। শনিবার সকালে বেড়া উপজেলা সদরের সান্যালপাড়া সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আলহাজ ফজলুর রহমান ফকিরের সভাপতিত্বে পাবনা-১ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, বেড়া পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকছেদ আলী, পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি সাজেদুল ইসলাম দিপু, বণিক সমিতির প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, রিকশা ভ্যান সমিতির সধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন খাজা, চতুহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মোল্লাসহ বিভিন্ন সংগঠণের প্রতিনিধি।

সভায় রোববার বেড়া উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনে চূড়ান্ত সীমানার প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন সংশোধন করে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে পাবনা-১ আসন করা হয়েছে এবং পাবনা-২ আসনের (সুজানগর ও বেড়া উপজেলার একাংশ) সঙ্গে বেড়া উপজেলাকে পুরোপুরি সংযুক্ত করা হয়েছে।

এরপর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বেড়া উপজেলাবাসী। এর আগে একই দাবিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে পাবনা-১ আসন আলাদা করা হয়েছে। আর বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু সাঁথিয়া উপজেলার সঙ্গে যুক্ত।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
No one has the right to block the road Home Advisor

রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফরিদপুরের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারো নেই। তারা লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে রাখছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফরিদপুরের এই দুই ইউনিয়নের কারণে বিভিন্ন জেলার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ফরিদপুরে দুটি ইউনিয়ন আগে যে সংসদীয় আসনে ছিল, সেখান থেকে অন্য আসনে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশন করেছে। যুক্তি-তর্কে সবকিছু শোনার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা নিয়েই এলাকার লোকজনের মধ্যে একটা ক্ষোভ।

তিনি বলেন, এটা নিয়ে আসলেই যদি তাদের ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা যথাযথ চ্যানেলে জানানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই দুটি ইউনিয়নে কতজন লোক, আর কতজন ভোটার? অথচ তারা লাখ লাখ লোককে জিম্মি করে রাখছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না।

তিনি আরো বলেন, কোর কমিটির সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

দু-একটি নির্বাচন হয়ে গেল, এসব বিষয়েও একটু আলোচনা হয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিসহ সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে