× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
The United Kingdom has told its citizens to leave Afghanistan quickly
google_news print-icon

নাগরিকদের আফগানিস্তান দ্রুত ছাড়তে বলল যুক্তরাজ্য

নাগরিকদের-আফগানিস্তান-দ্রুত-ছাড়তে-বলল-যুক্তরাজ্য
আফগানিস্তান দ্রুত ছাড়তে শুক্রবার নিজেদের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্য। ছবি: এএফপি
যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস নিজেদের ওয়েবসাইটে বলে, ‘আপনারা যদি এখনও আফগানিস্তানে অবস্থান করেন, তাহলে দ্রুত দেশটি ছাড়ার বন্দোবস্ত করুন। সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।’

আফগানিস্তানের দখল নিয়ে সরকারি বাহিনী ও তালেবানের লড়াইয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় দেশটি দ্রুত ত্যাগে নিজেদের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

স্থানীয় সময় শুক্রবার এ আহ্বান জানানো হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সরকারি দপ্তর ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস আফগানিস্তানে সব ধরনের ভ্রমণের বিষয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘যুক্তরাজ্যের সব নাগরিককে এ মুহূর্তে আফগানিস্তান ছাড়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’

যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘আপনারা যদি এখনও আফগানিস্তানে অবস্থান করেন, তাহলে দ্রুত দেশটি ছাড়ার বন্দোবস্ত করুন। সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।’

জরুরি ভিত্তিতে আফগানিস্তান ছাড়তে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের ওপর নির্ভর করা ঠিক হবে না বলে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জানান দপ্তরের কর্মকর্তারা।

কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান ছাড়ার ক্ষেত্রে দপ্তরের সহযোগিতার সক্ষমতা ‘খুবই অপ্রতুল’।

যুক্তরাজ্যের সরকারি দপ্তরটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীরা বিশেষ ধরনের হামলা চালাচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে হামলার তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে।’

আফগানিস্তান থেকে প্রায় দুই দশক পর বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের শেষ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগান সরকার উৎখাতে মরিয়া তালেবান।

দেশটির একটি প্রাদেশিক রাজধানী, বেশ কয়েকটি জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ বর্ডার ক্রসিং এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।

বিভিন্ন প্রাদেশিক রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করাই এখন সংগঠনটির লক্ষ্য।

চলতি বছরের মে মাস থেকে শুরু করা হামলায় এরই মধ্যে আফগানিস্তানের গ্রামাঞ্চলের একটা বড় অংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরান সীমান্তবর্তী হেরাত প্রদেশের রাজধানী হেরাত এবং দক্ষিণে হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহ দখলে আফগান সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছে সংগঠনটি।

একই সঙ্গে একসময় তালেবানের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কান্দাহার শহর দখলেও জোর চেষ্টা করছে সংগঠনটি।

গত কয়েক দিন ওই সব অঞ্চল ঘিরে আফগান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তুমুল লড়াই হয়।

শুক্রবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ইরানের সীমান্তবর্তী জারাঞ্জ দখলের মাধ্যমে প্রথম দেশটির কোনো প্রদেশের রাজধানী নিয়ন্ত্রণে নিতে সমর্থ হয় তালেবান।

নিমরোজ প্রদেশের গভর্নর রোহ গুল খায়েরজাদ বলেন, রাজধানী শহর জারাঞ্জ দখলে কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়েনি তালেবান।

একই দিন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক মসজিদে দেশটির গণমাধ্যম তথ্যকেন্দ্রের প্রধান দাওয়া খান মিনাপালকে গুলি করে হত্যা করে তালেবান।

দাওয়া খানের মৃত্যুর বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিরওয়াইজ স্ট্যানিকজাই বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা ফের কাপুরুষোচিত কাজ করেছে। আফগানিস্তানের এক দেশপ্রেমিক নাগরিক তাদের হাতে শহিদ হয়েছেন।’

আফগান সরকারের মিডিয়া দপ্তরের প্রধানকে খুনের দায় নিয়ে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘মুজাহিদিনরা বিশেষ হামলা চালিয়ে দাওয়া খানকে হত্যা করেছে। নিজ কৃতকর্মের জন্য তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।’

এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মদির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও বন্দুক হামলা চালায় তালেবান।

ওই ঘটনায় চার হামলাকারীসহ আটজন নিহত হয়। আহত হয় ২০ জন।

আরও পড়ুন:
এবার প্রাদেশিক রাজধানী দখল তালেবানের
মিডিয়া দপ্তরের প্রধানকে মসজিদে খুন করল তালেবান
আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, নিহত ৪
‘একজন তালেবানকেও জীবিত ছাড়ব না’
তালেবানের বিরুদ্ধে নির্বিচার হত্যার অভিযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Naogaon is celebrating the monsoon festival

নওগাঁয় বর্ষা উৎসব উদযাপন

নওগাঁয় বর্ষা উৎসব উদযাপন

‘মন মোর মেঘেরও সঙ্গী’ এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে নওগাঁয় উদযাপিত হলো বর্ষা উৎসব-১৪৩২।

শনবিার (১২ জুলাই) রাত ৮টায় শহরের প্যারিমোহন লাইব্রেরী গ্রন্থাগারে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই বর্ষা উৎসব। শুরুতে দলীয় গান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় উৎসব। পরে একে একে গান, নাচ, আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

এছাড়াও বর্ষাকথনসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধমে রাত ১০টায় শেষ হয় এই বর্ষা বরণ উৎসবটি। বর্ষা বরণ উৎসবের আয়োজন করেন ‘নওগাঁ সাংস্কৃতিক ঐক্য’ নামে একটি সংগঠন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সংগঠনটির সভাপতি মনোয়ার লিটন ও সাধারন সম্পাদক মাগফুরুল হাসান বিদ্যুৎ।

অনুষ্ঠানে নাচ, গান আর কবিতা আবৃত্তি ও বর্ষাকথনে ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসে গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষার আবেদনের কথা। শিল্পীদের এমন পরিবেশনায় বর্ষা বন্দনায় মেতে ওঠে স্থানীয় শিল্পী এবং সংস্কৃতি কর্মীরা।

আয়োজকরা জানান, বর্ষা উৎসব উদযাপন করার মাধ্যমে প্রকৃতির প্রতি মানুষের ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ পায়। এছাড়াও প্রজন্মের সাথে প্রজন্মের মিল বন্ধন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও শহরের যান্ত্রিক জীবনে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যর ধারনা দিতে এমন উৎসবের আয়োজন।

নওগাঁ সাংস্কৃতিক ঐক্য সংগঠনটির সভাপতি মনোয়ার লিটন বলেন, বর্ষা আবহমান বাংলার শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। বর্ষার সাথে বাংলার মানুষের সম্পর্ক বহু প্রাচীন। বর্ষায় প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। প্রচন্ড খরতাপের পর বর্ষা এলে প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি। সাহিত্যের পরতে পরতে বর্ষা যেমন উদ্ভাসিত তেমই যাপিত জীবনেও বর্ষা এনে দেয় নিজেকে খুজে পাওয়ার মূহুর্ত। গ্রীষ্মের ধূলোমলিনতা ধুয়ে প্রকৃতি সবুজের সমারোহে সাজে। জীর্ণতা ধুয়ে মুছে, নব-যৌবন আর শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিক এবারের বর্ষা এমনি প্রত্যাশার কথা বলেন তিনি।

মন্তব্য

নবীনগরে ভাঙা ড্রেনে দুর্ভোগে জনজীবন

নবীনগরে ভাঙা ড্রেনে দুর্ভোগে জনজীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ রোড়ের পৌর এলাকার আলীয়াবাদ বাজারে সড়কের পাশে মাটির চাপে ড্রেইন ভেঙে গিয়ে মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

জানা যায়- জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে নবীনগর- কোম্পানিগঞ্জ সড়কের আলীয়াবাদ বাজারে সড়কের পাশের ড্রেইটি ভেঙে যাওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সড়কটি। ঝুঁকি নিয়েই এ সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করে নবীগর, কুমিল্লা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যানবহন। তাই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ সড়ক যাতায়াতকারী যাত্রীদের। আলীয়াবাদ বাজারে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ- পৌরসভার এ ড্রেইনটি দিয়ে আলীয়াবাদ গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। ফলে ওই এলাকায় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। অবিলম্বে ড্রেইনটি নির্মাণ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল ও ফাটল ধরে যাওয়া সড়কের কাজ দ্রুত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান- প্রতিদিন পৌর এলাকারসহ আশপাশের গ্রামের হাজারো মানুষ আসে এ বাজারে। এ ড্রেইনটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। পরিবহণ শ্রমিকরা জানান- ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এ স্থানে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ড্রেনটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে প্রতি দিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নবীনগর পৌরসভার প্রশাসক রাজীব চৌধুরী বলেন-"সড়কের মালিক সওজ, তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা জানিয়েছেন দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে"।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Jailhajat in the murder of Khatib in Chandpur

চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত আসামি জেলহাজতে

চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত আসামি জেলহাজতে

চাঁদপুরে ‘রাসূল (সা.) বার্তা বাহক’ এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরে খতিবের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি বিল্লাল হোসেনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১২ জুলাই) তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন চাঁদপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি। এরপর আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, শুক্রবার (১১ জুলাই) এই ঘটনায় আহত খতিব মাওলানা আ ন ম নুরুর রহমান মাদানীর ছেলে আফনান তাকি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

এসব তথ্য ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি আব্দুল কাদের খান ও জেলা জজ আদালতের এপিপি ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম।

চাঁদপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক শহীদুল্লাহ ইউএনবিকে জানান, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে আসামিকে আদালতে আনা হয়। এরপর আসামি বিচারকের কাছে জবানবন্দী দেন। জবানবন্দী শেষে বিকালে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন— চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন।

এদিকে, শনিবার দুপুর থেকে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ায়, খতিব নুরুর রহমান মাদানী মারা গেছেন।

তবে মামলার বাদী আহত খাতিবের ছেলে আফনান তাকী জানান, তারা বাবা প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ঢাকা হলি কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং শঙ্কামুক্ত আছেন।

গুরুতর আহত খতিব মাওলানা নূরুর রহমান মাদানী শহরের গুনরাজদী এলাকার বাসিন্দা। তিনি মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে প্রায় শুক্রবার খুতবা দেন।

অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহর খাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। শহরের বকুলতলায় বসবাস করেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বাদ জুমা মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে হামলার শিকার হন মাওলানা নূরুর রহমান মাদানী। আগেই জুম্মার নামাজে আলোচনা ও খুতবা নিয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন ওই এলাকার ভ্রাম্যমাণ সবজি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। ঘটনার দিন নামাজ শেষে তিনি মসজিদের ভেতরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি) দিয়ে খতিবের ওপর হামলা চালান। এতে খতিবের কানে ও মাথায় মারাত্মক জখম হয়। পরবর্তীতে মুসল্লিরা তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ সময় হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন মুসল্লিরা।

এদিকে, এই ঘটনায় শহরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিকাল ৩টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব।

এ ছাড়া, বিকাল ৫টায় শহরের রেলওয়ে বায়তুল আমিন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Domestic fish in the market in the rainy season

বর্ষায় রূপগঞ্জের হাটে বাজারে দেশি মাছ

স্বাদ বেশি দামও বেশি
বর্ষায় রূপগঞ্জের হাটে বাজারে দেশি মাছ

গোলাকান্দাইলের হাটে এসেছেন শামীম মিয়া। তিনি বলেন, সারা বছর চাষের মাছ খেতে আর ভাল লাগে না। বর্ষাকালে আশেপাশের এলাকা থেকে প্রচুর দেশি মাছ রূপগঞ্জের হাট বাজারে পাওয়া যায়, তা কিনতেই হাটে আসা। আবুল হোসেন নামে আরেকজন বলেন, নতুন পানির টাটকা মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে দাম একটু বেশি। এখন বর্ষাকাল। নতুন পানি এসেছে নদী-নালা, খাল-বিল, খেত, হাওর-বাঁওড়ে। মুক্ত জলাশয়ে এখন পাওয়া যাচ্ছে দারকিনা, পুঁটি, মলা, ঢেলা, চেলা, চান্দা, খলসে, গজার, বোয়াল, চিতল, বাগাড়, আইড়সহ নানা প্রজাতির মাছ। গ্রামগঞ্জ হয়ে এসব মাছ যাচ্ছে রাজধানীসহ বড় বড় শহরে।
কায়েতপাড়া বাজারে শনিবার দেখা যায়, নীলাস্বরের দোকানে পুঁটি, বোয়াল, ট্যাংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। পুঁটিগুলো টাটকা, আকারে বেশ বড়। তিনি প্রতি কেজি পুঁটি এক হাজার টাকা দর হাঁকাচ্ছিলেন। তাঁর দোকান থেকে আধা কেজি পুঁটি দর-কষাকষি করে ৪০০ টাকায় কেনেন ব্যবসায়ী আলো মিয়া। ৬০০ টাকায় আধা কেজি ট্যাংরা, ১ হাজার টাকায় এক কেজি ওজনের একটি বোয়াল কেনেন তিনি।
বর্ষার এই মৌসুমে দেশি মাছের প্রতি মানুষের আগ্রহও বেশি। গাউছিয়ার তাতবাজার এলকার কাঁচাবাজার থেকে বড় আকারে এক কেজি বেলে মাছ ১ হাজার ৩০০ টাকায় কেনেন বেসরকারি চাকরিজীবী মিঠু। এ ছাড়া এক হাজার টাকা কেজির চিংড়ি মাছ এবং ২ হাজার ৩০০ টাকা দরের ইলিশও কিনেছেন তিনি। মিঠু বলেন, দেশি মাছের দাম অনেক বেশি। বাসার লোকজন বাইল্যা মাছ খেতে চাচ্ছিল, দাম বেশি সত্ত্বেও এক কেজি কিনলেন।
বাজারে নানা প্রজাতির ছোট মাছের পাশাপাশি বড় মাছও লক্ষণীয়। ভুলতা বাজারের বাচ্চু মিয়ার দোকানে অনেক মাছের মধ্যে একটি রুই মাছ পাওয়া গেল ১২ কেজি ওজনের। প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা হিসেবে এই মাছটি ১৯ হাজার ২০০ টাকা হাঁকাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর দোকানে চার কেজি ওজনের চিতলও ছিল। প্রতি কেজি এক হাজার টাকা করে চার হাজার টাকা দাম চান একটি চিতল মাছের। তাঁর কাছে ছয় কেজি ওজনের আইড় মাছও দেখা গেল। বাচ্চু মিয়া বলেন, নদীর মাছ এগুলো। সব সময় এমন মাছ পাওয়া যায় না। তাই দাম বেশি।
তাঁর পাশেই মাছ নিয়ে বসে ছিলেন মতিন। সাত কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছের দাম চাইছিলেন তিনি সাত হাজার টাকা। মতিনের মতে, যাদের বড় পরিবার তারা বড় আকারের মাছ কেনে। নদ-নদীর এসব বড় মাছ খুব সুস্বাদু।
মুক্ত জলাশয়ের মাছের দাম বেশ চড়া। বাজারভেদে ও আকারভেদে দেশীয় এসব দামের পার্থক্য হয়ে থাকে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পুঁটি ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, প্রতি কেজি ট্যাংরা ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বেলে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০, বাইন ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০, চিংড়ি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০, মলা ৬০০ টাকা, পিয়ালি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, গুলশা ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বাতাসি ১ হাজার ২০০, কাচকি ৮০০, শোল ১ হাজার টাকা, মাগুর ৫০০ থেকে ৬০০, শিং ৪০০ থেকে ৫০০, পাবদা ৪০০, বাগাড় ১ হাজার টাকা, আইড় ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০, বোয়াল ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, চিতল ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বড় রুই ১ হাজার ৬০০ টাকা প্রতি কেজি।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে উৎপাদিত মোট মাছের ৫৯ শতাংশ চাষের। নদী, খাল, বিল, হাওরের মতো মুক্ত জলাশয়ের মাছ মোট উৎপাদনের মাত্র ১৫-১৭ শতাংশের মতো। অর্থাৎ মুক্ত জলাশয়ের মাছের উৎপাদন কম। তা ছাড়া মুক্ত জলাশয়ের মাছের স্বাদ বেশি। সরবরাহ কম এবং চাহিদা বেশি থাকায় মুক্ত জলাশয়ের মাছের দাম বেশি।
বর্ষার নতুন পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে খেতে, বিলে, হাওরে, নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দেখা মেলে। মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, মিঠাপানির মাছ প্রায় ২৬১ প্রজাতির। এর মধ্যে বর্ষায় ৩০-৩৫ প্রজাতির ছোট মাছ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দেখা যায়।
মুড়াপাড়া কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক খোরশেদ আলম বলেন, বর্ষা শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দারকিনা, পুঁটি, মলা, ঢেলা, চেলা, টাকি, শোল, গজার, শিং, মাগুরহ অসংখ্য ছোট প্রজাতির মাছ দেখা যায়। শুষ্ক মৌসুমে অল্প পানিতে কিছু মাছ থাকে। অনেক মাছ বৃষ্টি আসার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ে। ডিম থেকে পোনা খুব দ্রুত বড় হয়। বৃষ্টির কারণে বিল, খাল ও নদীর সংযোগ হওয়ায় মাছ ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। মাছের প্রাচুর্য বাড়ে।
মৎস্য অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, মুক্ত জলাশয়ের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে অধিদপ্তর কাজ করছে। রূপগঞ্জে মাছের অভয়াশ্রম নেই বললেই চলে। এর আওতায় নদী বা খাল-বিলের গভীর অংশে মাছ ধরা নিষেধ থাকে সারা বছর। সেখানে মাছ তৈরি হবে এবং বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়। প্রকল্প নিয়ে এ ধরনের অভয়াশ্রমের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
India returned the body of Obaidur after two and a half months

আড়াই মাস পর ওবাইদুরের মরদেহ ফেরত দিল ভারত

আড়াই মাস পর ওবাইদুরের মরদেহ ফেরত দিল ভারত

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে মোঃ ওবাইদুল হোসেন (৪০) নামের এক বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ভারতের অভ্যন্তরে মেইন পিলার ৪৮ এর নিকট মধুপুর নামক স্থানে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকার বিষয়টি বিএসএফ মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি)-কে অবহিত করে। পরে জানা যায়, মৃতদেহটি ২০০ গজ ভেতরে ভারতের এলাকায় পড়ে ছিল এবং একইদিন ভারতীয় পুলিশ সেটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পরদিন ২৮ এপ্রিল মোঃ হানেফ আলী নামে এক ব্যক্তি যাদবপুর বিওপিতে এসে দাবি করেন যে, মৃতদেহটি তার ছেলে মোঃ ওবাইদুল হোসেনের, যিনি ২৬ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। মৃত সন্তানের মরদেহ ফেরতের জন্য তিনি বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করেন।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে নিয়মিত পত্রালাপ ও চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলস্বরূপ ৯ জুলাই বিএসএফ জানায়, ভারতীয় পুলিশ মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। পরে ১২ জুলাই দুপুর ৩টা ৫৫ মিনিটে সীমান্ত পিলার ৪৭/৪-এস এর নিকটে শূন্যরেখায় মরদেহটি আনা হয়।

এ সময় বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে মোঃ ওবাইদুল হোসেনের পিতা হানেফ আলী এবং পমাতা নাছিমা খাতুন মরদেহ এবং তার পরিধেয় বস্ত্র দেখে সনাক্ত করেন। এরপর বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি মহেশপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।

পরে মহেশপুর থানা পুলিশ স্থানীয় যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া ও গ্রাম মেম্বার মোঃ হাসানুজ্জামানের উপস্থিতিতে মৃতদেহটি ওবাইদুল হোসেনের পরিবারের কাছে হস্তান্তর কর বিজিবি জানায়, সীমান্তে মানবিকতা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমন্বয়ের ভিত্তিতে এই মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Mob Violence cannot disrupt the normal activities of the country RAB Director General

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র‌্যাব মহাপরিচালক

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র‌্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র‍্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র‍্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’

‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’

‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’

র‍্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
July 7 Announcing the memorandum to the President to withdraw the case with the withdrawal of the case

১৩ জুলাই ‘২৪ : মামলা প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম, রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা

১৩ জুলাই ‘২৪ : মামলা প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম, রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা

সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের এক দফা দাবিতে ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই গণপদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা তুলে নিতে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।

১৩ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই দাবিতে ১৪ জুলাই রোববার রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপিও প্রদানের ঘোষণা দেন তারা। পাশাপাশি জেলা শহরগুলোতে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আগামীকাল রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শিক্ষার্থীরা গণপদযাত্রায় অংশ নেবেন। এরপর শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ ও ঢাকার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এতে অংশগ্রহণ করবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেবেন ।

পুলিশকে মামলা তুলে নিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, শাহবাগ থানায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা মামলা করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ বলছে যে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষতি সাধন করেছে। ক্ষতি যদি হয় তাহলে অজ্ঞাতনামা মামলা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমাদের নামেই মামলা দিতে পারেন।

এইদিন আন্দোলনকারীদের দাবি ও বক্তব্যকে সংবিধান এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিরোধী বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। রাস্তা বন্ধ না করে আন্দোলন থেকে সরে আসতে বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

এদিকে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ বলেন, আন্দোলনের নামে জানমালের ক্ষতি করলে কিংবা সড়ক অবরোধ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌক্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তাদের দাবি ন্যায্য হলেও সরকার ভিন্ন খাতে নিতে অপকৌশল করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

কোটা সংস্কারের বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় নির্বাহী বিভাগ এই মুহূর্তে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা দিলে তা অসাংবিধানিক হবে বলে মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

১৩ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দিনব্যাপী গণসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এ গণসংযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও এইদিন রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে চলমান আন্দোলন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৩৮ সদস্যের এ কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের ২৪ জন শিক্ষার্থীকে সমন্বয়ক এবং ১৪ জনকে সহসমন্বয়ক হিসেবে রাখা হয়।

এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজবাড়ী রেলস্টেশনের সামনে শনিবার রেললাইনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকাগামী মধুমতী এক্সপ্রেস আটকে দেন তারা।

মন্তব্য

p
উপরে