× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Corona deaths in India are 3 million more than the official estimate research
google_news print-icon

করোনায় ভারতে সরকারি হিসাবের চেয়ে ৩০ লাখ বেশি মৃত্যু

করোনায়-ভারতে-সরকারি-হিসাবের-চেয়ে-৩০-লাখ-বেশি-মৃত্যু-
মরদেহের চাপে শ্মশানগুলোতে জায়গা সংকটে গঙ্গার তীরে চলছে দাহ। ছবি: এএফপি
১৩৩ কোটি মানুষের দেশ ভারতে করোনায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা যে সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি, এ ধারণা দিন দিন জোরালো হচ্ছে। গত কয়েক মাসে বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশসহ ভারতের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র বেশ কয়েকটি রাজ্য করোনায় মৃত্যুর সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে।

ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সরকারি হিসাবে সোয়া চার লাখের কাছাকাছি। কিন্তু নতুন গবেষণায় বেরিয়ে ভিন্ন তথ্য।

এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির শুরু থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা ৩৪ লাখের বেশি।

নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে করোনায় মৃত্যুহার সরকারি হিসাবের চেয়ে ১০ গুণ বেশি হতে পারে।

এতে উল্লেখ করা হয়, শঙ্কা বাস্তব হলে করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ নিঃসন্দেহে ভারত। মহামারির প্রকৃত চিত্র নিয়ে সরকারের রাখঢাক ও গোপনীয়তা রক্ষার প্রবণতা আর ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থার ফলে দেশটির পরিস্থিতি ভয়াবহ।

সরকারি হিসাবেই করোনায় প্রাণহানিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরের অবস্থানে ভারত। সংক্রমণ শনাক্তের দিক থেকেও অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষে।

ভারতে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ১৬ লাখের বেশি মানুষের দেহে।

চলমান মহামারিতে মৃত্যু ও সংক্রমণে শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণ গেছে ছয় লাখ ৩০ হাজার মানুষের। সংক্রমিত তিন কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ।

মহামারিকালে আগের বছরের তুলনায় অতিরিক্ত মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করেনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলোর বেশিরভাগই এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের গবেষকরা করোনায় মৃত্যুর প্রকৃত চিত্র উদঘাটনে তথ্যের তিনটি উৎসের দ্বারস্থ হন। তথ্যের বিশদ বিশ্লেষণ করে তারা জানিয়েছেন, ভারতে সরকারি হিসাবের সঙ্গে প্রকৃত প্রাণহানির পার্থক্য ভয়াবহ।

প্রথম হিসাবেই গত মাস পর্যন্ত দেড় বছরে ভারতে করোনায় মৃত্যু সরকারি হিসাবের চেয়ে ৩০ লাখ বেশি।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসাবে এ পার্থক্য আরও বেশি। এই দুই হিসাবে দেশটিতে করোনায় প্রাণহানি যথাক্রমে ৪০ লাখ ও ৪৯ লাখ; যা সরকারি তথ্যের প্রায় ১০ ও ১২ গুণ।

তবে এসব হিসাবেও কিছু ত্রুটি আছে বলে স্বীকার করেছেন গবেষকরা। শেষ পর্যন্ত করোনায় প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা অজানাই থেকে যেতে পারে বলেও উদ্বেগ জানিয়েছেন তারা।

১৩৩ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা যে সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি, এ ধারণা দিন দিন জোরালো হচ্ছে নানা কারণে।

গত কয়েক মাসে বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশসহ ভারতের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র বেশ কয়েকটি রাজ্য করোনায় মৃত্যুর সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে।

এর আগে উত্তর প্রদেশে গঙ্গার তীরে হাজারো মানুষের কবর শনাক্তের ঘটনায় করোনায় তাদের মৃত্যু কি না, তা নিয়ে তোলপাড় হয় দেশজুড়ে।

অক্সিজেনের হাহাকার, হাসপাতালে শয্যা সংকটে চিকিৎসা ছাড়াই মানুষের মৃত্যুর কারণে মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কাজুড়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে ছিল ভারত।

কিন্তু গবেষকরা বলছেন, দেশটিতে মহামারির প্রথম ধাক্কা ছিল আরও বেশি প্রাণঘাতী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দ্বিতীয় ধাক্কার মতো মহামারির প্রথম ধাক্কা আকস্মিক ও একমুখী ছিল না; বরং প্রথম দফায় অনেক সময় নিয়ে ও বিস্তৃত পরিসরে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। সেটির স্থায়িত্বও দীর্ঘ ছিল।’

নতুন গবেষণার ফল সঠিক হলে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর মহামারিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি দেখছে ভারত।

ভারতে মহামারির প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি উদঘাটনে কয়েক মাস ধরে কাজ করছেন সংবাদকর্মী, শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানীরা। করোনার ভয়াবহতার চিত্র দেশটির শ্মশান ও সমাধিক্ষেত্রগুলোতে জায়গা সংকটে স্পষ্ট।

উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা ও চিকিৎসায় অনেকের মধ্যে অনীহা; চিকিৎসা ব্যয়ের কারণে ঋণে জর্জরিত হওয়ার ভয়ে গুরুতর অসুস্থ অনেকের হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতেই থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় চিকিৎসকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন।

দ্রুত বিস্তারের ফলে করোনার রূপ পরিবর্তিত ও অতি সংক্রামক অসংখ্য ভ্যারিয়েন্ট দেশজুড়ে ছড়িয়েছে বলে চলতি বছরের মার্চে সরকারকে সতর্ক করে বিজ্ঞানবিষয়ক উপদেষ্টাদের একটি ফোরাম। সে সতর্কবার্তা আমলে নেয়নি বলে সে সময় ভীষণ তোপের মুখেও পড়ে ভারত সরকার।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশের বেশি মানুষের দেহে করোনার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে। এ হিসাবে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যাও শনাক্তের তুলনায় অনেক অনেক বেশি।

ভারতে মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র সাত দশমিক তিন শতাংশ এ পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
করোনার মারাত্মক আরও ভ্যারিয়েন্টের শঙ্কা ডব্লিউএইচওর
১৩২ দেশে ডেল্টার হানা: ডব্লিউএইচও
জুতো ছোট হওয়ার দেশে করোনায় মানুষের মৃত্যু!
টিকা নিয়ে ২, মোট ৩ বার করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক
২৫ হাজার বছর আগে এসেছিল আরেক ভয়ংকর করোনা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
3 people are killed in corona

করোনায় ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১০

করোনায় ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১০

দেশে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে আরও ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭৩ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১০ জনসহ চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৮ জনে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হওয়ায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৫১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
5 Dengue identifications in Kapasia in 7 days

৩ দিনে কাপাসিয়ায় ডেঙ্গু ১০ জন শনাক্ত

৩ দিনে কাপাসিয়ায় ডেঙ্গু ১০ জন শনাক্ত

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতো ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ৩ দিনে ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। গত ২২ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এই ৩ দিনে ১০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত রোববার থেকে আমরা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগীর তথ্য সংগ্রহ করে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করেছি। তিনি জানান, আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত রোববার কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে ২ জন, রেডিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২ জন, হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২ জন ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে।

কাপাসিয়া উপজেলার সরকারি - বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই রক্ত পরীক্ষা করেছেন। রক্ত পরীক্ষার পর এক দিনে ৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ২৩ জুন, সোমবার কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, রেডিয়াম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১ জন, ইরাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১জনসহ মোট ৩ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া গত মঙ্গলবার হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে ২ জন মহিলার রক্ত পরীক্ষার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In the country 5 more infected in the country are 5 deaths this year

দেশে করোনায় আরও ১৯ জন আক্রান্ত, চলতি বছরে ১৯ মৃত্যু

দেশে করোনায় আরও ১৯ জন আক্রান্ত, চলতি বছরে ১৯ মৃত্যু

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি। বুধবার (২৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

দেশে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৯ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট ২৯ হাজার ৫১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Two more deaths in Dengue are admitted to the hospital

ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৬

ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৬

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এডিশ মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মুত্যৃর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলতি বছরে ডেঙ্গু যেনো ভয়বহ রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২৬ জন। সবচেয়ে বেশি ১১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল বিভাগে। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিভাগে ১১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৯ জন, ময়মনসিংহে ৫ জন ও সিলেট বিভাগে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৯ জন। চলতি বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন মোট এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৫৭৫ জন। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In the last 24 hours the death of dengue is 5 deaths this week

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৯৪, চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৩

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৯৪, চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৩

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯৪ জন। আর চলতি সপ্তাহের এই কয়েকদিনে রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটে। এ সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে আক্রান্ত হয় সর্বোচ্চ ১৫৭ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯৪ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০২ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ৫৪৪ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In Barisal Dengue the death of a hundred year old woman is 120

বরিশালে ডেঙ্গুতে শতবর্ষী নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১২৬

বরিশালে ডেঙ্গুতে শতবর্ষী নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১২৬

বরিশাল বিভাগের বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধা রাবেয়া (১০০) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোরে তিনি বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরগুনার বাসিন্দাই রয়েছে ৬ জন। এদিকে গত রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১২৯ জন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার ভোরে মৃত্যু হওয়া শতবর্ষী রাবেয়া বেগম বরগুনা সদরের বাসিন্দা। তাকে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য বিভাগে তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে ৮ জন।

পটুয়াখালী জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৭ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, ভোলা সদর হাসপাতালে ৫ জন ভর্তি হয়েছে। পিরোজপুরে ১৬ জন ও বরগুনায় ৭৩। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠিতে কেউ আক্রান্ত হয়নি।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশংকাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরুতে হবে। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশে-পাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

আন্তর্জাতিক
Two more deaths are admitted to the hospital in the ups and more of the dengue victim

ডেঙ্গু আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯২

ডেঙ্গু আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯২

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে ঊর্ধ্বগতির আক্রান্তের হারের মধ্যে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯২ জন।

সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন ও বরিশাল বিভাগে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর আক্রান্তের হারে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০৬ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ১৫০ জন। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

p
উপরে