তিউনিসিয়ায় নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সাবেক উপদেষ্টা রিধা গারসালাওউইকে সাময়িকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তিনি এ নিয়োগ দেন বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওই দিনই তিউনিসিয়ার সংবিধানের ৮৯ ধারা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রিধা শপথ নেন। প্রেসিডেন্ট সাইদ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিউনিসিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন মন্ত্রী একসময় দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসসহ অন্য শহরে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট বিলুপ্তিরও আহ্বান জানায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রী হিচেম মেচিচিকে বরখাস্ত করেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট সাইদ।
পাশাপাশি এক মাসের জন্য দেশের পার্লামেন্টের কার্যক্রমও স্থগিত করেন তিনি।
নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে সাইদ বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করছেন। তিউনিসিয়া কোনো পাপেট রাষ্ট্র নয়।
‘ঐতিহাসিক এ মুহূর্ত আমাকে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশবাসীসহ পুরো বিশ্বকে আমি বলতে চাই, সংবিধান অনুযায়ী কাজ করতে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কোনো নাগরিক অধিকারবঞ্চিত হয়নি। আইন অনুযায়ীই দেশ চলছে।’
নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পাশাপাশি দেশে বিরাজমান সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে তিউনিসিয়ার জনগণ।
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট সাইদের সমর্থকরা তার এক সপ্তাহের ভেতরে নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গত ১০ বছর ধরে তিউনিসিয়ার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতিবাচক পদক্ষেপে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অচলাবস্থা থেকে মুক্তি চাইছিলেন অনেকে।
ওই দল জাতীয় স্বার্থের চেয়ে নিজেদের সুযোগ-সুবিধার দিকেই বেশি নজর দেয় বলে মত সাইদের সমর্থকদের।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, গণতন্ত্রের পথে ফিরতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্ট সাইদকে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পার্লামেন্টের কার্যক্রম ফের শুরুরও তাগিদ দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী মেচিচিকে বরখাস্তের পরে তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রীকে পদ থেকে সরান প্রেসিডেন্ট সাইদ।
এ ছাড়া তিউনিসিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান প্রসিকিউটরসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়।
বুধবার দেশটির জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ওয়াতানিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পদ থেকে সরান সাইদ।
এ ছাড়া আইনপ্রণেতাদের দায়মুক্তির সংসদীয় বিধানও তুলে নেন প্রেসিডেন্ট সাইদ।
মঙ্গলবার থেকে টানা এক মাসের কারফিউর ঘোষণা দেন একসময়ের আইন বিষয়ের প্রভাষক সাইদ। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এ কারফিউ বলবৎ থাকবে।
প্রেসিডেন্ট সাইদের এসব পদক্ষেপকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে নিন্দা জানায় ইসলামপন্থি দলসহ তিউনিসিয়ার বিরোধী দলগুলো।
তবে সাইদ পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ীই পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।
২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে বিদেশিদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগে তিউনিসিয়ার তিন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সাইদ।
১ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ তিউনিসিয়ায় করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
১০ বছর আগে তিউনিসিয়ায় বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সূচনা হয়। পুরো অঞ্চলে ‘আরব বসন্ত’ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে উত্তর আফ্রিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
তবে বিপ্লবের মাধ্যমে তিউনিসিয়ায় কর্মসংস্থান ও সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টিতে জনগণের আশা দ্রুতই ধূলিসাৎ হয়।
এক দশক ধরে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তিউনিসিয়া।
সম্প্রতি করোনার প্রাদুর্ভাব দেশটির পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত করে তোলে।
رئيس الجمهورية #قيس_سعيد يصدر أمرا رئاسيا يقضي بتكليف السيّد رضا غرسلاوي بتسيير وزارة الداخلية. #TnPR pic.twitter.com/zj4KXSJiMe
— Tunisian Presidency - الرئاسة التونسية (@TnPresidency) July 29, 2021
সম্প্রতি ভারতে করোনায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে দেশটিতে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৯১ জনে পৌঁছেছে। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আগাম সতর্কতা হিসেবে ভারত থেকে যেসব রুটের ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে, সেসব ফ্লাইটের সব যাত্রী স্ক্রিনিং শুরু করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে ভারতের চেন্নাই, কলকাতা, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই থেকে ঢাকায় ফ্লাইট আসে। এই ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ গণমাধ্যমকে জানান, পার্শ্ববর্তী দেশে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও জোরদার করা হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা। গত ২ জুন থেকেই বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। ভারত থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যত মাস্ক এবং পিপিই রাখা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট থেকে আগত যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রবেশপথে বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার।
বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও সতর্কতা প্রচারও চলছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো কার্যকর থাকবে।
ভারতের স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে কেরালায়। সেখানে বর্তমান সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯৫৭ জন। অপরদিকে গুজরাটে এই সংখ্যা ৯৮০ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৭৪৭ জন, দিল্লিতে ৭২৮ জন কর্ণাটকে ৪২৩ জন এবং মহারাষ্ট্রে ৬০৭ জন।
সতর্কতার অংশ হিসেবে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও সামান্দা ইউনিয়নে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড ভোলা বেইস ও পুলিশের সমন্বয়ে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ২৭৪ পিছ ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজা সহ এক মাদককারবারী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাত ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা সদর উপজেলার সামান্দা ইউনিয়নে সামান্দা গ্রাম থেকে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫ শত টাকা মূল্যের ২৭৪ পিস ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজা এবং নগদ ১২ হাজার ৮ শত ৪৫ টাকা সহ মাদক ব্যাবসায়ী আব্বাস (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য আসামীকে জব্দকৃত সকল আলামত সহ ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড। উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং চোরাচালান রোধে অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সীমান্তে চোরাচালান রোধে কোষ্টগার্ড কতৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে এবং দ্রুত লাশ দাফনের পরামর্শ দেন।
নিহত আখি খাতুন উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব কবিরাজ পাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আখিকে প্রথমে থানার মোড় এলাকার ‘আলসেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’-এ নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর জটিল অবস্থা বুঝে উন্নত পরীক্ষার পরামর্শ দেন। তবে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, আলসেফা হাসপাতালের পরামর্শ উপেক্ষা করে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের দালালদের প্ররোচনায় তাকে সেখানে নেওয়া হয়।
নিহতের মা ও খালা জানান, তারাগুনিয়ার আবুলের ক্লিনিকে (তারাগুনিয়া ক্লিনিক) নেওয়ার পর কয়েকজন চিকিৎসক আখিকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য নিয়ে যান। সিজার শেষ করে বেডে আনার পর থেকেই রোগীর অবস্থা অস্বাভাবিক ছিল। চিকিৎসকরা একপর্যায়ে তার পেটে চাপাচাপি করে, পরে অবস্থার অবনতি দেখে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন, কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা আখিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবার আরও বলেন, ক্লিনিকেই আঁখি মারা গিয়েছে কিন্তু ক্লিনিক মালিক দায়ভার এড়াতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড এর নাটক করে।
পরে মৃতদেহ আবার ক্লিনিকে ফেরত আনা হয় এবং মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী ক্লিনিকের সামনে হট্টগোল করে ও ক্লিনিক ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে ডেকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করেন এবং রাত ৮ টার সময় দাফন সম্পন্ন করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে ওই দিন ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক হোসেন বলেন, "আমাকে ক্লিনিক থেকে রোগী গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, রোগী মারা গেছে। এরপর তারা জোরাজুরি করে ইসিজি করেন ও সদর হাসপাতাল থেকেই ডেট সার্টিফিকেট নিয়ে আবার ক্লিনিকে ফিরিয়ে আনা হয়।"
সিজারিয়ান অপারেশনে অংশ নেওয়া চিকিৎসকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, ক্লিনিক মালিকের ছেলে এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তাশরিক সঞ্চয় ঘটনার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের ফোন করে নিরুৎসাহিত করেন। তিনি স্বীকার করেন, “রোগীর মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ক্লিনিকে ঘটেছে।”
অন্যদিকে, আলসেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’ থেকে রোগী কেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবিষয় ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপক সুজন হোসেন জানান, “রোগীর শারীরিক সমস্যা বুঝতে পেরে আমরা উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিই। তবে রোগীর স্বজনরা আমাদের পরামর্শ না নিয়ে অন্য ক্লিনিকে চলে যান।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সিজারের ৬ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত খাবার খাওয়া নিষেধ থাকলেও রোগী খাবার খেয়ে সেটা ডক্টরের কাছে গোপন রাখে যার ফলে সিজার পরবর্তী সমস্যা হয় ও রোগী মারা যায়।
অনভিজ্ঞতার কারণে অনেকে চামড়ায় দেরিতে লবণ দিয়েছেন। এতে করে চামড়া নষ্ট হওয়ায় এবং মান কমে যাওয়ায় অনেকে কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
আজ সোমবার সাভার চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় চামড়ার দর কমে যাওয়া নিয়ে আড়তদার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আদিলুর জানান, এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৮ হাজার পিস চামড়া এসেছে শিল্পনগরীতে। ঢাকায় আছে সাড়ে ৭ লাখ পিস।
চলতি বছর ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনোভাবেই যাতে চামড়া না পঁচে বা দাম পড়ে না যায় তাই সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনভিজ্ঞতার কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে, যদিও এর পরিমাণ কম। যাদের চামড়া নষ্ট হয়েছে এবং মান কমে গেছে তারা দাম কম পেয়েছেন।’
তিনি দাবি করেন, ‘চামড়ায় লবণ দেওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। অনেকেই দেরিতে লবণ দিয়েছেন, যার প্রভাব চামড়ার মানে পড়েছে। ফলে দামও কমেছে অনেক ক্ষেত্রে। তবে সরকারের তৎপরতার কারণে এ বছর খুব অল্পসংখ্যক চামড়াই নষ্ট হয়েছে।’
এ ছাড়া, গবাদি পশুর ল্যাম্পি স্কিন রোগের কারণে চলতি বছর ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রাম - গোমড়া ও কান্দুলীর বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। তবে এবার ‘দৈনিক বাংলাদেশের খবর’ পত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের উদ্যোগে এই দুটি গ্রামের মানুষ কোরবানির মাংস পেয়েছে।
গোমড়া গুচ্ছগ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা আঙ্গুরী বেগম (৭০) বলেন, ‘১২ বছর ধরে আমরা কোরবানির মাংসের স্বাদ পাইনি। এবার রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশন আমাদের জন্য গরু দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুন।’
গুচ্ছগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেক গরিব মানুষ আছে যারা কোরবানি দিতে পারে না। এই উদ্যোগ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা সংগঠনটির কাছে কৃতজ্ঞ।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের দুঃস্থ মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করে সবাইকে কোরবানির মাংসের আওতায় আনার চেষ্টা করব। আমাদের বিভাগীয় কমিশনার স্যারও গোসত পাঠাচ্ছেন। যদি কোনো অসহায় মানুষ কোরবানির মাংস না পেয়ে থাকে, আমরা নিশ্চিত করব যেন তারা গোসত পায়।’
পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সংগঠনটি বিষয়টি নজরে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। সংগঠনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটি গরু কোরবানির ব্যবস্থা করেন।
অন্যদিকে কান্দুলী গুচ্ছগ্রামে শাহ অলি উল্লাহ ইসলাম সেন্টার বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে এবং অরফান শেল্টার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তায় একটি গরু কোরবানি দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, গত ৬ বছর ধরে এই গ্রামে কুরবানীর মাংস বণ্টন হয়নি। এবার দাতাদের সহযোগিতায় গ্রামবাসী মাংস পেয়ে খুশি।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন পর কুরবানীর মাংস পেয়ে আনন্দিত। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত না হয়।
থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১টা ২৫ মিনিটে থাই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। রাত তিনটার দিকে তিনি বিমানবন্দর ছাড়েন বলে বিমানবন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ৮ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে (প্রশাসন) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া এই ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম ও এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদীর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গত ৯ জুন সোমবার রাত ৩ ঘটিকার সময় নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী এর অভিযানে শিবপুর থানাধীন কারারচর এলাকার এপেইস ফিলিং স্টেশনের সন্নিকটে একটি প্রাইভেটকার আটক করে এবং এর ভিতর থেকে ৯ হাজার ৭শত ৫০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, দুটি মোবাইল সেট ও মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মো: মানিক মিয়া (৪৮) পিতা: মো: আব্দুল বারিক সাং-চাউরা, থানা-বিজয়নগর-জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার জুয়েল রানা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ধৃত: আসামী মানিক মিয়া জানায়, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট সরবরাহ করে আসছিলো। এব্যাপারে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য