× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Pegasus scandal Rahul leads 14 party alliance against Modi
google_news print-icon
পেগাসাস কেলেঙ্কারি

মোদির বিরুদ্ধে ১৪ দলের জোট, নেতৃত্বে রাহুল

মোদির-বিরুদ্ধে-১৪-দলের-জোট-নেতৃত্বে-রাহুল
দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বুধবারের বৈঠকে ভারতের বিরোধী দলের নেতারা। ছবি: এনডিটিভি
বিরোধীদের অব্যাহত চাপের মুখেও পেগাসাস ইস্যুতে অনুসন্ধান হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর ভেতরে থেকে নজরদারির অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব নয় বলে দাবি দিল্লির।

ইসরায়েলের হ্যাকিং সফটওয়্যার পেগাসাসের মাধ্যমে রাজনীতিকদের ফোনে আড়ি পাতার ঘটনায় জোট বেঁধেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ ভারতের ১৪টি রাজনৈতিক দল।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজধানী দিল্লিতে বুধবার সকালে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১৪ দলের বৈঠক হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা করেন নেতারা।

বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস নেতা ও আইনপ্রণেতা রাহুল গান্ধী। উপস্থিত ছিলেন দলটির আরও অনেক শীর্ষ নেতা।

পেগাসাসের নজরদারির সম্ভাব্য শিকার রাহুলও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো গত সপ্তাহে জানায়, পেগাসাসের ফাঁস হওয়া নজরদারিকৃত ফোনের তালিকায় রয়েছে রাহুলের ব্যবহৃত কমপক্ষে দুটি মোবাইল ফোন নম্বর।

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নজরদারির অভিযোগের বিষয়ে রাহুলের নেতৃত্বে বৈঠকটিতে ছিলেন ক্ষমতাসীন বিজেপির (ভারতীয় জনতা পার্টি) একসময়ের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র শিব সেনার নেতারাও। কট্টর হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের মিল থাকায় বিজেপির জোট সরকারেরও অংশ ছিল শিব সেনা।

ওয়াশিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ানসহ ১০ দেশের ১৬টি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে সম্প্রতি বেরিয়ে আসে ১৪ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ দেশ-বিদেশের হাজারো রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে আড়ি পাতার বিস্ফোরক তথ্য।

পেগাসাসের তথ্য অনুযায়ী, তাদের গ্রাহক বিভিন্ন দেশের সরকার। সে হিসেবেই ভারতের বিভিন্ন দলের নেতাদের ফোনে আড়ি পাতার জন্য সন্দেহের তীর নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে।

এরই মধ্যে পার্লামেন্টে তুমুল বিরোধিতার মুখে পড়েছেন মোদি ও ক্ষমতাসীন দলের অন্য আইনপ্রণেতারা। গোলমালের মুখে পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিতও হয় চলতি সপ্তাহে।

এ অবস্থায় পেগাসাসকাণ্ডে সরকারের বিরুদ্ধে কৌশল গ্রহণে কংগ্রেস, শিব সেনার সঙ্গে যোগ দিয়েছে সিপিআই (কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া), সিপিএম (কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া- মার্ক্সিস্ট), আরজেডি (রাষ্ট্রীয় জনতা দল), এনসিপি (ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি), এএপি (আম আদমি পার্টি), ডিএমকে (দ্রাবিড়া মুন্নেরা কাজাঘাম) ও আঞ্চলিকভাবে প্রভাবশালী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

বৈঠকে অংশ নেয়া অন্যান্য দলের মধ্যে রয়েছে সমাজবাদী পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, মুসলিম লীগ, রিভল্যুশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টি, কেরালা কংগ্রেস ও বিরুথালাই চিরুথাইগাল কাচি।

ভারতে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিরোধী দলের প্রধান ও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের কার্যালয়ে বৈঠকটি হয়।

বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, পার্লামেন্ট অধিবেশন বিরোধীরা ইচ্ছে করে হতে দিচ্ছে না বলে বিরোধী দলগুলোর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে সরকার। অথচ জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ও তাদের অধিকার নিশ্চিতেই বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে ক্ষোভ জানিয়েছেন নেতারা।

পার্লামেন্টের কার্যক্রম কংগ্রেসের কারণে ব্যাহত হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের পরই হয় আজকের বৈঠকটি।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতাদের নিয়ে অনুরূপ একটি বৈঠক করেন রাহুল। এ দিন বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতাদের প্রতিবাদ ও বিতর্কের জেরে নয়বার মুলতবি হয় লোকসভার অধিবেশন।

পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি পাঠায় বিরোধী সাতটি দল। চিঠিতে পেগাসাস কেলেঙ্কারি ও কৃষক আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে পার্লামেন্টে আলোচনায় রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ করা হয়।

চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল প্রভাবশালী নেতা মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, শারদ পাওয়ারের এনসিপি, রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি, আকালি দল, ন্যাশনাল কনফারেন্স, সিপিআই ও সিপিএমের।

এতে বলা হয়, ‘আমরা বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্য। দেশে অস্থিরতার ঘটনায় দুই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনাকে অবগত করতে এই চিঠি লিখছি এবং আপনার দৃষ্টি কামনা করছি।

‘বিষয় দুটি হলো তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন এবং রাজনীতিক, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের ফোনে ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের মাধ্যমে আড়ি পাতা।’

চিঠিতে কংগ্রেসের স্বাক্ষর ছিল না। কারণ পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনায় বসতে বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ দাবির সঙ্গে একমত নয় দলটি। তবে পার্লামেন্টে অচলাবস্থার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস।

পেগাসাস ইস্যুতে পার্লামেন্টে আলোচনার দাবি তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে বুধবারের বৈঠকে অংশ নেয়নি দলটি।

তবে দাবি নিয়ে দ্বিমত নেই বলে পরে জানান তৃণমূলের আইনপ্রণেতা ডেরেক ও’ ব্রায়ান।

তিনি বলেন, ‘পেগাসাস ইস্যুতে অন্যান্য দলের সঙ্গে সহাবস্থানেই আছে তৃণমূল। আজকের বৈঠকে অংশ না নেয়ার বিষয়ে কংগ্রেসকে আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল।’

এদিকে মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন দিল্লি সফররত মমতা। দাবি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বে পেগাসাস ইস্যুতে যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখার।

মমতার ভাগনে ও তৃণমূল আইনপ্রণেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও পেগাসাসের সম্ভাব্য নজরদারির শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে ফাঁস হওয়া ফোন নম্বরের তালিকা থেকে জানা গেছে।

বিরোধীদের অব্যাহত চাপের মুখেও পেগাসাস ইস্যুতে অনুসন্ধান হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর ভেতরে থেকে নজরদারির অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব নয় বলে দাবি দিল্লির।

আরও পড়ুন:
পেগাসাসের কাছে আইফোনের তথ্য চেয়েছিল ফেসবুক!
পশ্চিমবঙ্গে পেগাসাস ইস্যুতে তদন্ত কমিশন
স্মার্টফোনে পেগাসাসের আক্রমণ বুঝবেন কী করে
পেগাসাস কাণ্ড: মোদিকে রাষ্ট্রদ্রোহী বললেন রাহুল
পেগাসাস: বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক নিয়ন্ত্রণের ভয়ঙ্কর অস্ত্র

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
In Pakistans military vehicle unprovoked attacks 12 soldiers killed

পাকিস্তানে সামরিক গাড়িতে অতর্কিত হামলা, ১২ সেনা নিহত

পাকিস্তানে সামরিক গাড়িতে অতর্কিত হামলা, ১২ সেনা নিহত

আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ১২ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি পাহাড়ি বাদার এলাকায় যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তীব্র গোলাগুলির পর ১২ জন সেনা এবং ১৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। সেই সঙ্গে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছে।

পাকিস্তানি তালেবান নামক একটি জিহাদিগোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, সৈন্যদের কাছ থেকে অস্ত্র এবং ড্রোনও দখলে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোরের দিকে হামলার পর তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে আকাশে হেলিকপ্টার দেখতে পেয়েছে।

পাকিস্তানি তালেবানের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত এই এলাকায় সাধারণত সামরিক যান চলাচলের আগে কারফিউ জারি করা হয়। পথগুলো স্ক্যান করা হয়।

ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, ভারতের সহায়তায় আফগানের তালেবান প্রশাসন পাকিস্তানি তালেবানদের আশ্রয় দিচ্ছে। কাবুল এবং নয়াদিল্লির এই অভিযোগ অস্বীকার করে। সশস্ত্র গ্রুপটি আফগান তালেবান থেকে অনুপ্রাণিত।

২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানে এই গোষ্ঠীটি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা জোরদার করেছে। ফলে সেনাসহ শত শত বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The future world is not for the arrogant for liberal people Putin

ভবিষ্যতের পৃথিবী উদার মানুষের জন্য, অহংকারীদের জন্য নয়: পুতিন

ভবিষ্যতের পৃথিবী উদার মানুষের জন্য, অহংকারীদের জন্য নয়: পুতিন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা সাইবারস্পেসে আটকে থাকার চেয়ে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন উদার মানুষ হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে এক কালচারস অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি দ্রুত বিকাশমান প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ভবিষ্যতের বিশ্বে মানুষের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

পুতিন বলেন, মানবতার ভবিষ্যৎ তাদের হাতে, যারা ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এবং পরিবারকে মূল্য দেয়- সাইবারস্পেসে আটকে থাকা অহংকারী একাকীদের চেয়ে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ভবিষ্যতের পৃথিবী অহংকারীদের জগৎ নয়, যারা সম্পূর্ণরূপে সাইবারস্পেসে ডুবে আছে। ভবিষ্যতের পৃথিবী ‘নিজের জন্য’ নীতিতে বিশ্বাসী একাকী লোকদেরও নয়, বরং এমন লোকদের জগৎ যারা এখনো ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বকে মূল্য দেয়, তাদের প্রিয়জনদের লালন করে, সমাজের সঙ্গে তাদের অবিচ্ছেদ্য সংযোগ এবং এর প্রতি দায়িত্ব বোঝে।

তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং প্রবণতা ভবিষ্যদ্বাণী করে। তবে আমি বিশ্বাস করি বিজ্ঞান, শিল্পকলা ও সামাজিক ক্ষেত্রে আবিষ্কার এবং অগ্রগতির উপযোগী মৌলিক সমাধানগুলো শুধু মানুষের অনুপ্রেরণা, প্রতিভা এবং স্রষ্টার অনুপ্রেরণা ও প্রতিভার মাধ্যমেই দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, মানবজাতিকে এই নতুন বাস্তবতাকে ‘অধিগ্রহণ’ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, রাশিয়ান পরিচয় এবং জাতীয় চরিত্র উভয়ই ‘পরিবারের শেকড়ে প্রোথিত।’

পুতিন গত বছরের গোড়ার দিকে ‘পরিবার’ নামে একটি জাতীয় প্রকল্প চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর লক্ষ্য ছিল- শিশুসহ পরিবারগুলো সহায়তা করা এবং দেশে জন্মহার বাড়ানো।

মস্কো তখন থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা চালু করেছে, যেমন- পরিবারে প্রতিটি সন্তানের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে বড় অঙ্কের অর্থ প্রদান, বিস্তৃত মাতৃত্বকালীন সুবিধা এবং পরিবারগুলোতে চলমান আর্থিক সহায়তা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
2 lakhs of casualties in Gaza

গাজায় হতাহত ২ লক্ষাধিক

গাজায় হতাহত ২ লক্ষাধিক

গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি সম্প্রতি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি বা তার অধীনস্থরা কোনো আইনি পরামর্শের তোয়াক্কা করেননি।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানায়, যুদ্ধের প্রথম ১৭ মাস ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) নেতৃত্ব দিয়ে গত মার্চে পদত্যাগ করেন হালেভি। সম্প্রতি দক্ষিণ ইসরায়েলের এক কমিউনিটি সভায় তিনি বলেন, গাজার ২২ লাখ মানুষের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা প্রায় ‘২ লাখেরও বেশি মানুষ’। তার এ অনুমান গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যের কাছাকাছি, যা এতদিন ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ‘হামাসের প্রোপাগান্ডা’ বলে উড়িয়ে দিত। তবে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো বরাবরই এই তথ্যকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৭১৮ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৯ জন। এছাড়া বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত শুক্রবারও ইসরায়েলি হামলায়, বিশেষ করে গাজা সিটির আশপাশে, আরও ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

ফাঁস হওয়া ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত নিহতদের ৮০ শতাংশের বেশি বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারান প্রায় ১ হাজার ২০০ জন, যার মধ্যে ৮১৫ জন ছিলেন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক। নিহতদের অনেকেই সামরিক সদস্য ছিলেন।

হালেভি সভায় বলেন, ‘এটি কোনো কোমল যুদ্ধ নয়। আমরা প্রথম মিনিট থেকেই গ্লাভস খুলে ফেলেছি।’ তার দাবি, ৭ অক্টোবরের আগেই ইসরায়েলের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইডিএফ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সীমার মধ্যেই কাজ করে, তবুও স্বীকার করেন যে তিনি কখনোই আইনি পরামর্শকে গুরুত্ব দেননি।

তার ভাষায়, ‘কেউ আমাকে একবারও থামায়নি। একবারও না। সামরিক অ্যাডভোকেট জেনারেল ইফাত তোমের-ইয়েরুশালমি, যার আমাকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতাও নেই, তিনিও না।’

তবে ওয়াইনেট নিউজে প্রকাশিত রেকর্ডিংয়ে হালেভির এই বক্তব্য ছিল না। পত্রিকাটির বরাত দিয়ে আরও জানানো হয়, হালেভির দৃষ্টিতে সামরিক আইনজীবীদের আসল কাজ হলো- আইডিএফের কর্মকাণ্ডকে বৈধ হিসেবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা।

এই মন্তব্য নিয়ে দ্য গার্ডিয়ান আইডিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গত শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল সফার্দ বলেন, হালেভির বক্তব্য নিশ্চিত করেছে যে সামরিক আইনি উপদেষ্টারা কার্যত ‘রাবার স্ট্যাম্প’ হিসেবে কাজ করেন।

এর আগে হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়, হালেভির উত্তরসূরি বর্তমান আইডিএফ চিফ অব স্টাফ ইয়াল জামিরও সামরিক অ্যাডভোকেট জেনারেলের আইনি পরামর্শ উপেক্ষা করেছেন। তোমের-ইয়েরুশালমি জানিয়েছিলেন, গাজা সিটির প্রায় ১০ লাখ মানুষকে দক্ষিণে সরে যেতে বলার আগে সেখানে পর্যাপ্ত আশ্রয় ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু সেই পরামর্শ উপেক্ষা করেই হামলা চালানো হয়। গত শুক্রবারের ইসরায়েলি হামলায় নিহত অনেক ফিলিস্তিনি সম্ভবত ওইসব মানুষ, যারা দক্ষিণে যেতে পারেনি বা ঘরবাড়ি ছাড়তে অনিচ্ছুক ছিল- কারণ দক্ষিণেও ইসরায়েলের বোমা হামলার ঝুঁকি থেকে যায়।

‘হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন’ গঠনের প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে অনুমোদন পেয়েছে। ইসরায়েল এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করলেও জাতিসংঘ তা কার্যকর রাখতে অনঢ় রয়েছে। তবে ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হামাস। খবর রয়টার্সের। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এ ভোটাভুটি হয়।

প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে সাধারণ পরিষদের ১৪২টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র ১০টি দেশ। তাদের মধ্যে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল ১২টি দেশ। সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল ফ্রান্স ও সৌদি আরব।

এই প্রস্তাবকে ‘নিউইয়র্ক ঘোষণা’ বলা হচ্ছে। ঘোষণায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলা যেমন- নিন্দনীয়, তেমনি গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ, অবরোধ ও অনাহারও অমানবিক। এতে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তুলে ধরে তা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট, সময়সীমাসাপেক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগের দিনই ঘোষণা দেন, ফিলিস্তিন কখনোই স্বাধীন রাষ্ট্র হবে না। জাতিসংঘের ঘোষণাও প্রত্যাখ্যান করে তেল আবিব।

গত শুক্রবার ভোটের পর ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন বলেন, ঘোষণায় হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ না করাই প্রমাণ করে যে সাধারণ পরিষদ বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন এক রাজনৈতিক সার্কাসে পরিণত হয়েছে।

যদিও, ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান উপেক্ষা করে নিজেদের ঘোষণায় অনড় থাকার সিদ্ধান্ত জানায় জাতিসংঘ।

তবে, হামাস এই ঘোষণা অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা এটিকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। ভোটের ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর উচ্চপর্যায়ের সাধারণ পরিষদ বৈঠকে কিছু দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে বলেও জানায় গণমাধ্যম।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
At least 5 students killed in airstrikes at Myanmar High School

মিয়ানমারে উচ্চ বিদ্যালয়ে বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৯ শিক্ষার্থী নিহত

মিয়ানমারে উচ্চ বিদ্যালয়ে বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৯ শিক্ষার্থী নিহত

মিয়ানমারের একটি পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ১৯ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

দেশটির একটি জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে।

আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইনের নিয়ন্ত্রণের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে।

তারা গত বছর সেখানকার বেশ কিছু ভূখণ্ড দখল করে নেয়।

২০২১ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি’র বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে যে রক্তাক্ত বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সশস্ত্র বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়, রাখাইন লড়াই সেগুলোর অন্যতম।

এএ শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম-এ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাতের ঠিক পরেই কিয়াউকতাও শহরের দুটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলায় ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সী ১৯ জন শিক্ষার্থী নিহত ও আরও ২২ জন আহত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিরীহ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর জন্য আমরা নিহতদের পরিবারের মতোই দুঃখিত ।’

তারা হামলার জন্য জান্তাকে দায়ী করেছে, কিন্তু ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য জান্তার মুখপাত্রের কাছে এএফপি’র আহ্বানের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও জানিয়েছে, একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালিন একটি জান্তা যুদ্ধবিমান সেখানে দুটি ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা ফেলেছে।

ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে, ‘নৃশংস হামলার’ নিন্দা জানিয়েছে।

এএফপি কিয়াউকতাওয়ের আশপাশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। সেখানে ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা অচল রয়েছে।

মিয়ানমারের বিভিন্ন ফ্রন্টে সেনাবাহিনী তাদের শাসনের বিরোধিতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হিমশিম খাচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত বেসামরিক সম্প্রদায়ের ওপর বিমান ও কামান হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Nepal is returning to calm

শান্ত অবস্থায় ফিরছে নেপাল

শান্ত অবস্থায় ফিরছে নেপাল

নেপালের রাজধানী ধীরে ধীরে শান্ত পরিস্থিতির দিকে ফিরছে। কারফিউ শিথিল হওয়ায় দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

শনিবার সকালের মধ্যে রাস্তার পরিবেশ অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছে। দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ৭৩ বছর বয়সী সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে মঙ্গলবার ভয়াবহ বিক্ষোভের মুখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন।

নেপালে ২০০৮ সালে এক দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের অবসান ও রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ এ বিক্ষোভে কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছে।

দেশটিতে সহিংস বিক্ষোভের ফলে সরকার পতন এবং সংসদে আগুন দেওয়ার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় বুধবার থেকে রাস্তায় বিপুল সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এখন সেখানে রাস্তায় সৈন্যদেরর উপস্থিতি কমিয়ে আনা হয়েছে। খবর এএফপি’র।

এদিকে শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য অবস্থান ঘোষণাকারী সুশীলা কার্কি শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও দুর্নীতিমুক্ত ভবিষ্যত গঠনের দায়িত্ব পেলেন। দুর্নীতিমুক্ত দেশ বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি।

নেপালে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে অনেক নেপালি কার্কির নিয়োগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

সমাজকর্মী সুরজ ভট্টরাই (৫১) বলেন, নেপাল তার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রী, আমাদের সাবেক প্রধান বিচারপতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখবেন এবং সুশাসনকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

কাঠমান্ডুর একটি দোকানে কর্মরত ২৩ বছর বয়সী দুর্গা মাগার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত আপাতত ভালো।

তিনি আরও বলেন, এই সময়ে জনগণের, বিশেষ করে তরুণদের কাছে প্রধান সমস্যা হল দুর্নীতি।

তিনি আরও বলেন, ‘জেন জেড’ অথবা বড় কোনো রাজনৈতিক নেতা যেই এটি করুক, তা বিবেচ্য বিষয় নয়, এটি কেবল বন্ধ করা দরকার।

দুর্গা মাগার আরও বলেন, আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী হবে, তবে আমরা আজ সন্তুষ্ট। আশা করি ভবিষ্যতে পরিস্থিতি এতটা উত্তেজনাপূর্ণ থাকবে না।

তবে দুর্নীতি নির্মূল করার আশা এতো সহজ হবে না বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Foreign drama cinema is the death sentence in North Korea

বিদেশি নাটক-সিনেমা দেখলেই উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড

বিদেশি নাটক-সিনেমা দেখলেই উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড

বিদেশি নাটক-সিনেমা দেখা বা শেয়ার করার মতো কাজের জন্য উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে - জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। শুক্রবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কিম জং উনের নেতৃত্বে গত এক দশকে দেশটিতে প্রযুক্তি-নির্ভর দমননীতি আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। খবর আল জাজিরা।

জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর জানায়, সাত দশক ধরে কিম রাজবংশ উত্তর কোরিয়ায় পরম ক্ষমতা ধরে রেখেছে। এর ফলে জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই ভীতি, দমন-পীড়ন ও সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে বাস করছে।

জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়া মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রধান জেমস হিনান জেনেভায় ব্রিফিংয়ে বলেন, কোভিড-যুগের বিধিনিষেধের পর থেকে রাজনৈতিক ও সাধারণ অপরাধ উভয়ের জন্যই মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় কে-ড্রামা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষকে ইতিমধ্যেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে রাষ্ট্রীয় নজরদারি ব্যবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নাগরিকদের জীবনের প্রতিটি দিক এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এমনকি শিশুদেরও বাধ্যতামূলকভাবে কয়লাখনি ও নির্মাণকাজের মতো কঠিন শ্রমে নিয়োজিত করা হচ্ছে।

এ প্রতিবেদনকে জাতিসংঘ বলছে গত এক দশকের বিস্তৃত পর্যালোচনা। এর আগে ২০১৪ সালের ঐতিহাসিক প্রতিবেদনে মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণ, নির্যাতন, অনাহার এবং ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে কারাগারে আটকে রাখার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ উঠে এসেছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সতর্ক করে বলেন, “যদি উত্তর কোরিয়া বর্তমান গতিপথে এগিয়ে চলে, তবে জনগণ আরো বেশি নির্মম দমননীতি, ভয় ও ভোগান্তির শিকার হবে।”

নতুন প্রতিবেদন নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি উত্তর কোরিয়ার জেনেভা মিশন কিংবা লন্ডন দূতাবাস।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In Japan the number of people aged 5 or more is one lakh

জাপানে ১০০ বা তারও বেশি বয়সি মানুষের সংখ্যা এক লাখ

জাপানে ১০০ বা তারও বেশি বয়সি মানুষের সংখ্যা এক লাখ

জাপানে ১০০ বা তারও বেশি বয়সি মানুষের সংখ্যা ১ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। যা নতুন এক রেকর্ড। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শতবর্ষী এসব মানুষের প্রায় ৯০ শতাংশই নারী।

গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জাপান। যা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির জন্য এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একদিকে যেমন জাপানের জনসংখ্যা কমছে, অন্যদিকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাপানে মোট ৯৯ হাজার ৭৬৩ জন শতবর্ষী ছিলেন। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৪ হাজার ৬৪৪ জন বেশি। এদের মধ্যে প্রায় ৮৮ শতাংশই নারী।

জাপানের সবচেয়ে প্রবীণ নাগরিক হলেন ১১৪ বছর বয়সি শিগেকো কাগাওয়া। তিনি কিয়োটোর কাছে নারা অঞ্চলে থাকেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছেন, এ নারীর বয়স যখন ৮০ বছর ছিল তখনও তিনি চিকিৎসক হিসেবে তার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন।

দীর্ঘজীবী হওয়ার ব্যাপারে কাগাওয়া বলেন, ‘রোগীর বাড়ি বাড়ি হেঁটে গিয়ে সেবা দেওয়ার অভ্যাস আমার পা দুটিকে মজবুত করেছে, আর এটাই আমার বর্তমান প্রাণশক্তির মূল উৎস।’

বয়স ১১৪ হলেও তিনি এখনো খালি চোখে ভালো দেখতে পান। তার দিন কাটে টিভি দেখে, খবরের কাগজ পড়ে ও ক্যালিগ্রাফি করে।

জাপান গত কয়েক বছর ধরেই জনসংখ্যার সংকটে রয়েছে। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ায় স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষার খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু এই ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় কর্মশক্তির সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে।

গত মাসে প্রকাশিত সরকারি তথ্যে দেখা গেছে যে, ২০২৪ সালে জাপানি নাগরিকের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ ৯ লাখেরও বেশি কমেছে।

দেশটির সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ওই সময় এ পরিস্থিতিকে ‘নীরব জরুরি অবস্থা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। জনসংখ্যা হ্রাসের এই প্রবণতা ঠেকাতে তিনি পরিবার-বান্ধব নানা উদ্যোগ হিসেবে কর্মঘণ্টার নমনীয়তা এবং বিনামূল্যে ডে-কেয়ারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সরকারের এই প্রচেষ্টাগুলো এখনো জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্কতা রোধে তেমন কোনো কার্যকর প্রভাব রাখতে পারেনি।

মন্তব্য

p
উপরে