× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
মোদিকে তাড়াতে জোট চাইছেন মমতা
google_news print-icon

মোদিকে 'তাড়াতে' জোট চাইছেন মমতা

মোদিকে-তাড়াতে-জোট-চাইছেন-মমতা
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
'তারা গরিবদের টাকা না দিয়ে, টিকা না দিয়ে স্পাইগিরি করছে। গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভকে ধ্বংস করে দিয়েছে মোদি সরকার।’

নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে উৎখাতের আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলগুলোর কাছে তিনি সরাসরি এ প্রস্তাব দিয়ে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে সবাইকে জোটবদ্ধ হতে বলেন।

শহীদ দিবস পালনে বুধবার ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। এবারই প্রথম তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান জাতীয় স্তরে সম্প্রচার করা হয়। ২৮ বছর আগে ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী নিহত হন। সেই থেকে শহীদ দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল।

গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, বিহার, ঝড়খান্ড, তামিলনাড়ু এবং দিল্লিতে সম্প্রচার হয় তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বসে মমতার ভাষণ শোনেন দ্বিগবিজয় সিং, পি চিদাম্বরম, শারদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, কেশব রাও, রামগোপাল যাদবের মতো নেতারাও।

বিজেপিবিরোধী জোট গঠনের আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘ছেড়ে দিলে চলবে না। খেলা একটা হয়েছে, ৫ মে তার রেজাল্ট আপনারা পেয়েছেন। কিন্তু খেলা এখনো শেষ হয়নি। খেলা হবে, যতদিন না বিজেপি দেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জনবিরোধী মোদি সরকারকে উৎখাত করতে হবে। বিজেপিবিরোধী দলগুলোকে এখনই জোট গঠন করতে হবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য ঐক্য প্রয়োজন।

‘দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন। বিরোধীদের বিরক্ত করা হচ্ছে। এজেন্সিগুলোর অপব্যবহার হচ্ছে। কে বাদ আছে? শারদজি আপনিও না, চিদাম্বরমজিও নন। প্রতিবাদ করলে গুলি চলছে। গোলি, বোলি আর গালি, গোটা দেশে এই রাজনীতি করছে বিজেপি। বিভাজন মেরুকরণ আর সংঘাত।’

মমতা বলেন, ‘বাংলা দেখিয়েছে, এবার গোটা দেশ দেখাবে। দেশের সব রাজনৈতিক নেতাদের বলছি, নিজের পার্টিকে বোঝান, লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র আড়াই বছর বাকি। এখন থেকে পরিকল্পনা করুন। ফ্রন্ট তৈরি করুন। তাড়াহুড়ো যেমন নয়, তেমন ফেলে রাখাও নয়। বিজেপিকে দেশ থাকে তাড়াবই।'

তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সময় জোট করলে হবে না। আগেই জোটবদ্ধ হতে হবে। আমি আপনাদের নির্দেশমতো সেই জোটের একজন কর্মী হিসেবে লড়াই চালিয়ে যাব।’

সংকীর্ণ স্বার্থ ভুলে গিয়ে, দেশের স্বার্থে পুরো বিজেপিবিরোধী দলগুলোকে একজোট হয়ে দেশকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে তারা গোয়েন্দাগিরি করছে। ফোনে যা কথা বলব, রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। পেগাসাস, ডেঞ্জারাস, ফেরোসাস। তারা গরিবদের টাকা না দিয়ে, টিকা না দিয়ে স্পাইগিরি করছে। গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভকে ধ্বংস করে দিয়েছে মোদি সরকার।’

২৬ জুলাই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। তার দিল্লিতে থাকার সময় বিজেপিবিরোধী জোট গড়ার জন্য বৈঠকের আয়োজন করার জন্য শারদ পাওয়ার, চিদাম্বরমদের অনুরোধ করেন মমতা।

এর আগে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর দিল্লিতে গিয়ে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার এবং কংগ্রেস হাই কমান্ডের সঙ্গে মোদিবিরোধী মঞ্চের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন:
মোদি বিরোধী ঐক্য করতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা
দিল্লি জয়ের লক্ষ্যে মমতার ভার্চুয়াল ভাষণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Clash between Jubo League leader and councilor group in Natore kills 1

নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১ নাটোর পৌর কার্যালয় চত্বরে মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সিহাব হোসেন শিশির (ডানে)। ছবি: নিউজবাংলা
ঠিকাদারির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষের এই ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরু এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে আটক করা হয়েছে।

ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নাটোর পৌরসভা চত্বরে যুবলীগ নেতা হাসানুর রহমান হাসু ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরু গ্রুপের সংঘর্ষে সিহাব হোসেন শিশির নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় হাসানুর রহমান হাসু আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার এই ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরু এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত সিহাব হোসেন শিশির শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মোজাহার আলীর ছেলে ও কাউন্সিলর হিরুর সমর্থক।

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে পৌরসভার দ্বিতীয় তলায় ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কাউন্সিলর হিরু ও হাসুসহ দুই গ্রুপের কয়েকজনকে নিয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী আলোচনা করছিলেন। এ সময় পৌরসভা চত্বরে দুই গ্রুপের সমর্থকদের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। হাসু গ্রুপের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশিরের গলায় আঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরু ও ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসুকে আটক করেছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Syndicate behind Chasiks 20 Ghat Khas collection

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন কর্ণফুলীর একটি ঘাটে যাত্রী পারাপার। ছবি: নিউজবাংলা
উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় পহেলা বৈশাখে ২০ ঘাটের ইজারা হয়নি। আর এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে চসিকের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ইজারালোভী সিন্ডিকেটকে সহায়তা করছেন। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

কর্ণফুলীর সল্টগোলা-ডাঙারচর ঘাটসহ ২০টি নদী পারাপার ঘাট ইজারা না হওয়ায় নামমাত্র ‘খাস কালেকশন’ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বিরুদ্ধে। এতে করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চসিক রাজস্ব শাখার কর্মকর্তারা স্থানীয় পর্যায়ের পুরনো ইজারাদারদের সঙ্গে আঁতাত করে খাস আদায়ে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার মেয়রের নামও ভাঙাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চসিকের এসব ঘাট দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রীসহ পণ্য আনা-নেয়া করা হয়। ঘাটগুলো নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে ২০ ঘাটের ইজারা দেয়া সম্ভব হয়নি।

ঘাট ইজারা না হওয়াটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে চসিকের রাজস্ব শাখা ‘খাস কালেকশন’ আদায়ের দিকে হাঁটছে। এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিতে ইজারালোভী সিন্ডিকেটকে সহায়তা করছেন। খাস কালেকশনের নামে রাজস্ব আদায় কম দেখানোর সুযোগ তৈরি করছেন তারা।

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট
একটি ঘাটে ইজারাদারের টোল আদায়ের ঘর। ছবি: নিউজবাংলা

এই খাস কালেকশনকে রাজস্ব ফাঁকির কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছে পাটনিজীবী একাধিক সমিতি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন পুরনো ইজারা ব্যবসায়ী বলেন, খাস কালেকশনে টাকা আদায় কম দেখানো গেলে পরবর্তী বছরের ইজারা মূল্য কমানোর আইনগত পথ সৃষ্টি হয়। এছাড়া একাধিকবার খাস কালেকশনে পরের বছর আইনগত ঝামেলা এড়িয়ে কম টাকায় ইজারা নিতে পারেন ব্যবসায়ীরা। এভাবেই কিছু অসৎ কর্মকর্তার কারসাজিতে কয়েক বছর পর পর গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোর ইজারা মূল্য কমে যায় এবং সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়।

তারা বলেন, এই পদ্ধতিতে সরকারি কোষাগারে নামমাত্র অর্থ জমা হলেও বড় অংকের টাকা চলে যাবে চসিক সিন্ডিকেটের পকেটে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এ বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হবে চসিক কিংবা সরকার।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট (১৫১৬৩/২৩) পিটিশনের কারণে এবার বাংলা ১৪৩১ সনে চসিক নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটগুলোর ইজারা স্থগিত রয়েছে। ঘাটে ঘাটে আবার কানাঘুষাও চলছে যে এসব চসিকেরই কৌশল। কেননা এতে কপাল খুলে যায় একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ও চসিক-সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের।

চসিকের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটগুলো হলো- পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট, সল্টগোলা ঘাট, বাংলাবাজার ঘাট, নয়ারাস্তা পাকা পুলঘাট, সদরঘাট, ফিশারীঘাট, নতুনঘাট, এয়াকুব নগর লইট্যা ঘাট, পতেঙ্গা ১৪ নংম্বর ঘাট ও গুচ্ছগ্রাম ঘাট, ১১ নম্বর মাতব্বর ঘাট, ১২ নম্বর তিনটিংগা ঘাট, ৭ নম্বর রুবি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ঘাট, ৯ নম্বর বিওসি ঘাট, অভয় মিত্র ঘাট, চাক্তাই খালের পাশে পানঘাট থেকে গাইজ্জের ঘাট, পতেঙ্গা চাইনিজ ঘাট, বাকলিয়া ক্ষেতচর ঘাট, চাক্তাই ঘাট ও চাক্তাই লবণ ঘাট।

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট

চলতি বছরে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘাটের সম্ভাব্য ইজারা মূল্য ছিল- পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট ২ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সল্টগোলা ঘাট ৫৭ লাখ ৩২ হাজার ১০০ টাকা, বাংলাবাজার ঘাট ২৪ লাখ ৪ হাজার ৬০০ টাকা, সদরঘাট ২১ লাখ ৯৭ হাজার ১২৪ টাকা, ফিশারি ঘাট ২৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা, পতেঙ্গা ১৪ নম্বর ঘাট ও গুচ্ছগ্রাম ঘাট ৪২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা, ১১ নম্বর মাতব্বর ঘাট ৮৭ লাখ ৩২ হাজার ৪০০ টাকা এবং ৯ নম্বর বিওসি ঘাট ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা।

হিসাব করলে দেখা যায়, পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটের সম্ভাব্য ইজারা মূল্যের সঙ্গে ২০ শতাংশ ভ্যাট যোগ করলে মোট ইজারা দাঁড়ায় ৩ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এতে দৈনিক কিস্তি পড়ে ৮৮ হাজার ৬০২ টাকা। অনুরূপভাবে সল্টগোলা ঘাটের দৈনিক কিস্তি ১৮ হাজার ৮৪৫ টাকা।

এভাবে প্রতিটি ঘাটে দৈনিক ১০ হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকার মতো ইজারা আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু অতি কৌশলে চসিকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে দৈনিক মাত্র ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার নামমাত্র মূল্যে খাস কালেকশন আদায়ের প্রক্রিয়া নিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

অভয় মিত্র ঘাটের খাস কালেকশনকারী মো. আবুল জানান, দৈনিক দু’হাজার টাকা হিসাবে তিনি এই ঘাট নিয়েছেন। বাংলাবাজার ঘাটের লোকমান দয়াল জানান, দৈনিক সাড়ে ৫ হাজার টাকায় তিনি এই ঘাট দেখাশোনা করছেন।

চসিক নীতিমালায় ঘাট ইজারা কিংবা খাস আদায়ে সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত স্থানীয় পাটনিজীবী সমিতিকে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু খাস আদায়ের জন্য স্থানীয় পাটনিজীবী সমিতিগুলো মেয়রের কাছে ধর্না দিয়েও সাড়া না পায়নি। অনন্যোপায় হয়ে তারা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন কিংবা মানববন্ধন কর্মসূচির চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানা গেছে।

সল্টগোলা ডাঙ্গারচর পাটনিজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাম্পান মাঝিরা সাম্পান চালিয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে দুমুঠো ডাল-ভাত খেতে চাই। আমরা চাই কেউ আমাদের পেটে লাথি না মারে। টোল কিংবা খাস কালেকশন যে আদায় করবে করুক, আমরা এই ঘাটের মাঝি; আমরা যাত্রী পারাপার করতে চাই।

‘বর্তমানে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে খাস কালেকশন দিচ্ছি। এখনও চসিক থেকে কেউ আসেনি। আমরা সরকারি রেজিস্ট্রেশনধারী পাটনিজীবী সমিতি। কিন্তু বাইরের কিছু লোক ঘাট দখলের পাঁয়তারা করছে ঘাটে চাঁদাবাজি করার জন্য। আমরা এসব হতে দেব না।’

বেশিভাগ ঘাটের ইজারাদার আব্দুল শুক্কুর প্রকাশ তেল শুক্কুর বলেন, ‘আমরা কয়েকটি ঘাটের খাস কালেকশন করতেছি। ১৫ দিন পর পর সিটি করপোরেশনে টাকা দিতে হয়।’

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কিছু পাটনিজীবী সমিতি মিলে হাইকোর্টে রিট করে স্টে-অর্ডার করেছে; যাতে ইজারা টেন্ডার বন্ধ থাকে। সে কারণে ঘাটগুলোর ইজারা বন্ধ রয়েছে। আমরা ডকুমেন্টস সংগ্রহ করছি। শিগগিরই রিট শুনানি করে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর বর্তমানে ঘাটগুলো বিভিন্নজনকে বিভিন্নভাবে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এস্টেট শাখা ভালো বলতে পারবে।’

চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সাব্বির রাহমান সানি বিশেষ ট্রেনিংয়ে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে চসিকের সহকারী এস্টেট অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইন শাখা কাজ করছে। শিগগিরই হাইকোর্টের স্টে-অর্ডারটি ব্যাকেট করা হবে। তারপর ঘাটগুলোর টেন্ডার কল করা হবে। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব লোকজন ঘাটগুলো দেখাশোনা করছে। আর সল্টগোলা ডাঙারচর ঘাটে লোকজন গেছে।’

চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (সিআরও) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ মানতে হবে। কিছু করার নেই। খাস কালেকশনে ঘাট চলছে। যেহেতু আদালতের নির্দেশে স্থগিত ইজারা। রিট শুনানির জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। কিন্তু এভাবে খাস কালেকশন চলতে থাকলে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসবে না সেটাও সত্য।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The whole family got lost while bringing relief tins
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৪

ত্রাণের টিন আনতে গিয়ে হারিয়ে গেল পুরো পরিবার

ত্রাণের টিন আনতে গিয়ে হারিয়ে গেল পুরো পরিবার বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে নিহতদের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: নিউজবাংলা
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল টিন সহায়তার বরাদ্দ আনেন মিলন। মঙ্গলবার পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্য ও আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরে। পথে দুর্ঘটনায় স্ত্রী, দুই শিশু পুত্রসহ চিরতরে হারিয়ে গেলেন তিনি।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার সন্তান রাকিবুল ইসলাম মিলন চাকরি করতেন ঢাকায় সচিবালয়ে লিফটম্যান হিসেবে।

সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল টিন সহায়তার বরাদ্দ আনেন মিলন। মঙ্গলবার সকালে একটি পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্য ও আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। কিন্তু ত্রাণের সেই টিন আর আনা হলো না মিলনের।

পথিমধ্যে বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মিলন ছাড়াও তার স্ত্রী সুমি বেগম, দুই শিশু সন্তান আবু রায়হান ও আবু সিনান রুহানসহ ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিলনের মা খুড়িয়া বেগম। এ দুর্ঘটনায় মিলনের নানী শাশুড়ি মর্জিনা বেগমও প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি একই গ্রামের ওহাব মোল্লার স্ত্রী।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে আনা হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বোয়ালমারীর ছত্রকান্দা গ্রামটি আলফাডাঙ্গা উপজেলার সীমান্তঘেঁষা। তাদের ডাকঘর এই আলফাডাঙ্গাই। এ তথ্য জানিয়ে রাকিবুল ইসলাম মিলনের মামাতো ভাই নুরুজ্জামান খসরু বলেন, ‘কয়েকটি দরিদ্র পরিবারের জন্য ত্রাণের টিনের ব্যবস্থা করে সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে মিলন। সকালে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। তার আগে গত রাতে সবশেষ কথা হয়েছিল তার সাথে। বলেছিল, ত্রাণের টিনগুলো বুঝিয়ে দিয়ে ওই পথেই চলে যাবে ঢাকা। কিন্তু এটিই তার শেষ যাওয়া হয়ে গেল।’

খসরু জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম মিলন ছিলেন মেঝো। তার বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম একজন স্কুল শিক্ষক। আর ছোট ভাই হাবিবুর রহমান মাস্টার্স পাস করে আলফাডাঙ্গা সদরে ফোন-ফ্লেক্সির দোকান করেন।

আট বছর আগে আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের রোকায়েশ মোল্লার মেয়ে সুমিকে বিয়ে করেন মিলন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল
ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
In the three days of the Eid holiday more than 200 accidents were caused by motorcycles
ঢামেক ও পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য

ঈদ ছুটির তিনদিনে দুই শতাধিক দুর্ঘটনা, শীর্ষে মোটরসাইকেল

ঈদ ছুটির তিনদিনে দুই শতাধিক দুর্ঘটনা, শীর্ষে মোটরসাইকেল
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২১২ জন তরুণ ও যুবক। তাদের মধ্যে ৬০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন ১৩ জন। আর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি।

ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরদিন পর্যন্ত তিন দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুই শাতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই বেশি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ঈদের ছুটির এই তিন দিনে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২১২ জন তরুণ ও যুবক। তাদের মধ্যে ৬০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন ১৩ জন। বাকিদের চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঈদের ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকায় চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চালান। ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে ছুটির তিন দিনে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি। তাদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ ও যুবক।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক অশোক কুমার জানান, ‘ঈদের আগের দিন ২৩৪ জন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছিলেন ৪০ জন। অন্য দুর্ঘটনায় আহত ৫১ জন।

এছাড়া ঈদের দিন ২৫০ জন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছিলেন ৭৬ জন। অন্য দুর্ঘটনায় আহত ছিলেন ৫৪ জন। আর ঈদের পরদিন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫০ জন। অন্য দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নেন ৪০ জন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা।

ডা. অশোক আরও জানান, সাধারণত ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Action will be taken to close unregistered news portals Minister of State for Information

অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত মঙ্গলবার সচিবালয়ে ওনাব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি: নিউজবাংলা
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি করতে চায় না। তবে নিবন্ধনের একটি প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা এগিয়ে নিতে নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমকে প্রণোদনা ও সমর্থন দেয়ার প্রয়োজন আছে।’

অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশসহ (ওনাব) অন্যান্য পেশাদার সাংবাদিকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে ওনাব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

আরাফাত বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি করতে চায় না। তবে সাংবাদিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের দাবির সঙ্গে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি যে একটা শৃঙ্খলা আনা দরকার।

‘নিবন্ধনের একটি প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। দায়িত্বশীল সাংবাদিক ও সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমকে প্রণোদনা ও সমর্থন দেয়ার প্রয়োজন আছে।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকরাই বলছেন যে শৃঙ্খলার জন্য নজরদারি দরকার। গণমাধ্যম এতটাই মুক্ত ও স্বাধীন যে নিবন্ধন ছাড়াও তারা চলছে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন। এটা প্রমাণ করে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্ত গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে অবাধ স্বাধীনতার কারণে কিছুটা শৃঙ্খলার অভাবও হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অনিবন্ধিত পোর্টালগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর অপতথ্যের বিস্তার হয়। এই অপতথ্যের বিস্তার অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের ছাড়াও বিভিন্ন পেশাদার সাংবাদিকদের পীড়া দেয় বলে বিভিন্ন সময় তারা জানিয়েছেন।

‘এটি খুব ভালো দিক যে আমাদের সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার বিকাশ চাচ্ছেন। এখানে সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে একমত।’

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং স্বচ্ছতায় স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে। নজরদারিতে নয় বরং দায়িত্বশীলতায় বিশ্বাস করে। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। অপতথ্যের বিস্তৃতি, গুজব ও অপপ্রচার সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম, গণতন্ত্র সবকিছুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সবার স্বার্থে এগুলো রোধ করার জন্য সরকার ও গণমাধ্যমের একটি অংশীদারত্ব দরকার।’

গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ অন্যান্য নীতিমালা সময়োপযোগী ও আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় ওনাব সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ ও খোকন কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন আরাফাত
‘বিএনপি নির্বাচন বানচালে সফল হলে দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতো’
তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শুধু নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল চালানোর অনুমতি দেয়া হবে: আরাফাত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
8 arrested with weapons in special army operation in Bilaichhari

বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৮

বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৮ ছবি: আইএসপিআর
আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

রাঙামাটির বিলাইছড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপানিছড়া পাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এদিন সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ বেঙ্গল কর্তৃক ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে সেনা সদস্যদের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটককৃতদের বিলাইছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ পাউডার দিয়ে সফট ড্রিংকস বানানো কারখানা সিলগালা
ময়মনসিংহে তিন হাসপাতাল এক ক্লিনিক সিলগালা
অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় পুরান ঢাকার ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সেনাবাহিনী বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে: সেনাপ্রধান
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই কোরের সদস্যদের প্রস্তুত হতে বললেন সেনাপ্রধান

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The causes of the Faridpur accident were known

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল অতিরিক্ত গতি থাকায় সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় যানবাহন দুটির সামনের অংশ। ছবি: নিউজবাংলা
সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ফরিদপুরের কানাইপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরও দুজন।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দিগনগর তেঁতুলতলায় ঢাকা থেকে মাগুরা অভিমুখী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে সড়কেই ঝরে পড়ে ১১ প্রাণ। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।

তবে সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ফরিদপুর পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার ও স্থানীয়দের দাবি অন্তত তা-ই।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপ দুটিরই অতিরিক্ত গতি ছিল। আর পিকআপচালক তার নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে আসেন। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাসের চালক ফিট ছিলেন কি না, পিকআপটির চালকের লাইসেন্স ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সুবাস বাড়ৈ বলেন, ‘গাড়িটি (বাস) ওভার স্পিডে (অতিরিক্ত গতি) চলছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই শেখ লিমনের বাড়ি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এখানে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিট ও তার পাশে গর্ত আছে, রাস্তাও এবড়ো থেবড়ো। ঈদের আগেও এখানে বিশ-বাইশটি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকালে ওই বিটের কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, নিহতদের দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের পরবর্তীতে ৫ লাখ এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

মন্তব্য

p
উপরে