× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
সংঘর্ষ বন্ধে রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে তালেবান আখুন্দজাদা
google_news print-icon

সংঘর্ষ বন্ধে ‘রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে’ তালেবান

সংঘর্ষ-বন্ধে-রাজনৈতিক-সমাধানের-পক্ষে-তালেবান
আফগানিস্তানে সংঘর্ষ বন্ধে রাজনৈতিক নিষ্পত্তি চায় তালেবান। ছবি: এএফপি
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বলেন, ‘আমাদের বার্তা পরিষ্কার। বিদেশিদের ওপর নির্ভর না করে আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করা উচিত। এর মাধ্যমে বিদ্যমান সংকট থেকে আমরা দেশকে উদ্ধার করতে পারব।’

আফগানিস্তানে সংঘর্ষ বন্ধে তালেবান রাজনৈতিক নিষ্পত্তি সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।

রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আসন্ন ঈদুল আজহার আগে আখুন্দজাদা বলেন, ‘সামরিক অর্জন ও অগ্রগতি সত্ত্বেও ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানে তীব্রভাবে রাজনৈতিক সমাধান চায়।’

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে ইসলামি ব্যবস্থা কায়েমে সব সম্ভাবনাই রয়েছে। এ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা আনবে ইসলামিক আমিরাত।’

তালেবান নেতা বলেন, ‘আফগানিস্তানে চলমান সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারবদ্ধ তালেবান। তবে বিরোধী পক্ষ অযথাই সময়ক্ষেপণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্তা পরিষ্কার। বিদেশিদের ওপর নির্ভর না করে আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করা উচিত।

‘এর মাধ্যমে বিদ্যমান সংকট থেকে আমরা দেশকে উদ্ধার করতে পারব।’

আফগানিস্তান ঘিরে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য এমন সময় এলো যখন দেশটির সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনায় বসেছেন সংগঠনটির নেতারা।

সংঘর্ষ বন্ধে ‘রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে’ তালেবান

আলোচনায় আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, সাবেক প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ।

আফগান সরকারের প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র নাজিয়া আনওয়ারি শনিবার বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করছি, আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষ শিগগিরই সমাধানে পৌঁছবে। আর আমরা আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি পরিস্থিতি দেখতে পাব।’

আলোচনায় বসার আগে তালেবানের মুখপাত্র মুহাম্মদ নাঈম আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা আলোচনা ও সমঝোতার জন্য প্রস্তুত।

‘আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান আমাদের অগ্রাধিকার। আলোচনার অপর পক্ষ সংকট নিরসনে আন্তরিক হবে বলে আশা করছি।’

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শান্তি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে কয়েক মাস ধরে দোহায় বৈঠকে বসছেন আফগান সরকার ও তালেবানের প্রতিনিধিরা।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রত্যাশিত মীমাংসায় পৌঁছতে পারেনি উভয় পক্ষ।

বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের শেষ সময়ে আফগানিস্তানের একের পর এক অঞ্চল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে এসেছে।

দোহায় রোববার দুই পক্ষের ফের বৈঠকের কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা সরানোর শেষ ধাপে বেশ কয়েকটি অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান।

ধারণা করা হচ্ছে, আফগানিস্তানের ৪০০ জেলার প্রায় অর্ধেক, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ডার ক্রসিং এ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ করছে তালেবান। এ ছাড়া প্রধান কয়েকটি প্রাদেশিক রাজধানীও অবরোধ করে রেখেছে সংগঠনটি।

সংঘর্ষ বন্ধে ‘রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে’ তালেবান

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলা চালানো জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানের সম্পর্কের জেরে আফগানিস্তানে সে সময় সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।

মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে ওই বছরই আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে তালেবানকে উৎখাত করা হয়।

তালেবান উৎখাত হলেও আফগানিস্তানে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশের সেনারা।

চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরাতে নিজেদের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এপ্রিলে বাইডেনের ওই ঘোষণার পর ন্যাটোর অন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোও আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে এবং ধীরে ধীরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে বিদেশি সেনা সরতে শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১ জুলাই বিদেশি সেনাদের গুরুত্বপূর্ণ বাগরাম বিমানঘাঁটি ছেড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র বাহিনী।

সেপ্টেম্বর নয়, ৩১ আগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহারের এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানে আফগান রাষ্ট্রদূতের মেয়ে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত
দোহায় বৈঠকে আফগান সরকার ও তালেবান
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন প্ল্যাটফর্ম
পাকিস্তান সীমান্ত দখলে সংঘর্ষে আফগান সেনা ও তালেবান
আফগানিস্তানে নিহত পুলিৎজারজয়ী ফটোসাংবাদিক দানিশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Indian Citizens of Government Primary School Head Teacher

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতীয় নাগরিক!

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতীয় নাগরিক! সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী

পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন ভারতীয় নাগরিক সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী। এছাড়াও জালিয়াতি করে শ্বশুরের নামে লিজ নেয়া সরকারি সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ডে দেখা যায়, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগণা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদমের সূর্যসেন পল্লি, ৪৬৭ এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে। সুখরঞ্জন চক্রবর্তীর ভারতীয় পরিচয়পত্রের তালিকাভুক্তির নাম্বার০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ডের নাম্বার ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১। তিনি পাবনা পৌরসভাধীন রাধানগর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পরিচয়ে বাংলাদেশে সরকারি চাকরি করছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশের সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের চাকরি করছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ভারতের নাগরিক, সেখানে তার জমিজমা ও ফ্লাট বাড়ি রয়েছে। তার স্ত্রী ও বড় ছেলে ভারতে থাকেন। ছোট ছেলে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণের জন্য তাকে পাবনায় রেখে প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণ করছেন। মাঝেমধ্যে ১৫দিন/১ মাস ছুটি নিয়ে তারা ভারতে যান।

সুখ রঞ্জনের শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে লিজ নেয়া সরকারি সম্পত্তি জালিয়াতি করে তিনি নিজের নামে করে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর শ্যালক সুমন কুমার রায় বলেন, ‘আমার বাবা শহরের মুরগি পট্টিতে সরকারি জমি লিজ নিয়ে সেখানে বসবাস করতেন। বর্তমানে আমি সেই বাড়িতে বসবাস করি। বাবা মারা যাওয়ার পর ওই জমি আমার মায়ের নামে লিজ দেয়া হয়। মা মারা যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে শুধুমাত্র আমার বোনকে (সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর স্ত্রী) একমাত্র উত্তরসূরি বানিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। যিনি বর্তমানে ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতেই বসবাস করেন।এমনকি পৌরসভাতেও আমার একমাত্র বোনকে উত্তরসূরি বানিয়ে আবেদন দিয়েছে। আমার বাড়িতে বসবাস করে এখন আমাকেই বাড়ি ছাড়া করতে চায়’।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, কাগজপত্রও পেয়েছি। ইতোমধ্যেই আমি সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাবো এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারব।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, এইসব কাগজপত্র বানানো যায়। আমার স্ত্রী-সন্তানরা ওর ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা করে ভারতে চলে গেছে। তাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি আনার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা আসেনি। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে আমি সব ডকুমেন্টস আছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Srimangale Hybrid Lau Diana cultivation smiles on the farmers face

শ্রীমঙ্গলে হাইব্রিড লাউ ‘ডায়না’ চাষে চমক, কৃষকের মুখে হাসি

শ্রীমঙ্গলে হাইব্রিড লাউ ‘ডায়না’ চাষে চমক, কৃষকের মুখে হাসি শ্রীমঙ্গলে হাইব্রিড লাউ ‘ডায়না’। ছবি: নিউজবাংলা ২৪

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ছাত্রাবট গ্রামে হাইব্রিড লাউ ‘ডায়না’ চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক মো. জাহাঙ্গীর মিয়া, যা এলাকায় সাড়া ফেলেছে। লালতীর সীড লিমিটেডের অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় এই লাউ জাতটি চাষ করে তিনি অল্প সময়ে লাভবান হয়েছেন। তার সাফল্য দেখে এলাকার বেকার যুবকসহ অনেক কৃষক ‘ডায়না’ চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

জাহাঙ্গীর মিয়া ও কৃষক গনি মিয়া যৌথভাবে প্রথমবারের মতো ৫৬ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে হাইব্রিড লাউ ‘ডায়না’ চাষ করেন। বর্তমানে তাদের মাঠে সারি সারি গাছে ঝুলছে অগণিত লাউ। চারা লাগানোর মাত্র ৫০-৫৫ দিনের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রতিটি লাউয়ের গড় ওজন ২থেকে ৩কেজি। এ জাতের লাউ টানা তিন মাস ধরে ফল দিতে সক্ষম।

চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে মাঠ থেকে লাউ বিক্রি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। প্রথম পর্যায়ে তারা প্রায় ৫২ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। কৃষকরা আশা করছেন, এই মৌসুমে লাখ টাকার বেশি আয় করতে সক্ষম হবেন।

সফল কৃষক গনি মিয়া বলেন, ‘লাউ চাষে তেমন খরচ নেই। অন্য ফসলের তুলনায় লাউ চাষে খরচ কম লাগে। বর্তমানে বাজারে লাউয়ের চাহিদা অনেক। স্থানীয় বাজার ছাড়াও ক্রেতারা সরাসরি বাগান থেকে লাউ কিনে নিচ্ছেন। উৎপাদন শেষ হলে আমরা টমেটো ও শিম চাষ করবো। সঠিক যত্নের মাধ্যমে ভালো লাভবান হওয়া সম্ভব।’

স্থানীয় কৃষক বিকাশ সরকার জানান, ‘জাহাঙ্গীর মিয়া ও গনি মিয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চাষে সফল হয়েছেন। তাদের সাফল্য দেখে আমাদেরও উৎসাহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এখন এই জাতের লাউ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’

হাইব্রিড লাউ ‘ডায়না’ বীজের উৎস প্রতিষ্ঠান লালতীর সিড লিমিটেড। ডিভিশন ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘হাইব্রিড ‘ডায়না’ অধিক ফলনশীল, আকর্ষণীয় এবং বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর জন্য উপযোগী। এটি বোতল আকৃতির ও উজ্জ্বল সবুজ রঙের। উচ্চ তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা সহনশীল, লম্বায় ৩০-৩৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। কৃষকদের জন্য এটি অত্যন্ত লাভজনক এবং সারা বছর চাষ করা যায়। তিনি আরো বলেন, জাহাঙ্গীর ও গনি মিয়ার সফলতা দেখেই অন্যান্য কৃষকরাও অনাবাদি জমি কাজে লাগিয়ে লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে শ্রীমঙ্গলসহ সারাদেশে সবজি চাষের প্রসার ঘটবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল সূত্রধর দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এবার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় প্রায় ৫২ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ করা হচ্ছে। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি লাউ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আমরা নিয়মিত কৃষকদের জমি পরিদর্শন করছি এবং কীটনাশক ব্যবস্থাপনা, নতুন জাতের প্রচার ও সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছি। ধানচাষের তুলনায় খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Northern peoples panic

উত্তরাঞ্চলের মানুষের আতঙ্ক বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়ক

উত্তরাঞ্চলের মানুষের আতঙ্ক বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়ক বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়ক। ছবি: নিউজবাংলা ২৪

দেশের উত্তরাঞ্চলগামী ট্রাক, বাস ও প্রাইভেটকার প্রতিদিনই ছুটে চলে নাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক ধরে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সড়ক এখন পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। নাটোরের বনপাড়া থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণহানির পাশাপাশি স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই।

ব্যস্ততম এই মহাসড়কে রয়েছে একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। সরু সড়ক, যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও ওভারটেকিংই দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দ্রুত মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবি তাদের।

২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর মহাসড়কের রেজুর মোড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাকে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান ৩৮ জন। এরপর থেকে প্রতি বছরই বেড়েছে মৃত্যুর মিছিল। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সড়কে ঘটেছে ১১৪টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে নিহত হয়েছেন ৩৪ জন এবং আহত হয়েছেন ১২৪ জন।

বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, প্রতিদিনই দুর্ঘটনার খবর শুনতে হয়। আমরা দোকানে বসেও আতঙ্কে থাকি, কখন কী ঘটে যায়।’

চলনবিল এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, বেপরোয়া গতি আর ওভারটেকিংই মূল সমস্যা। এভাবে দুর্ঘটনা বাড়তে থাকলে মানুষের জীবন বাঁচানো দায় হয়ে পড়বে।

স্থানীয় কলেজছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, প্রতিদিন কলেজে আসা-যাওয়ার সময় ভয় নিয়ে পথ পাড়ি দিতে হয়। রাস্তা যদি দ্রুত চার লেনে উন্নীত হয়, আমরা অনেকটা নিশ্চিন্তে চলাচল করতে পারব।

অন্যদিকে কয়েকজন চালক জানান, অতিরিক্ত গতি ও অদক্ষ চালকদের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে চলছে। অনেক সময় সরু অংশে একসঙ্গে একাধিক গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু রয়েছে এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান সরকার জানান, মহাসড়কটি চার লেনে সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। এলাকাবাসীর দাবি এই পথে চলাচলকারীদের একমাত্র দাবি—ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সম্প্রসারণ, ওভারস্পিড ও ওভারটেকিং নিয়ন্ত্রণ এবং মহাসড়কটি দ্রুত চার লেনে উন্নীত করা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Fire Service Training to 5 members of DRU

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর পক্ষ থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-এর সদস্যদের দুই দিনব্যাপী অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ডিআরইউ-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয় এবং ডিআরইউর পক্ষ থেকে পার্টিসিপেন্টদের মনোনীত করা হয়।

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ
১৫ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় তিনি বলেন, “দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় সবার আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সদস্যগণ এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ কারণে এই দুই পেশার মধ্যে সঠিক সমন্বয় প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।” এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতাসহ গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে এই প্রশিক্ষণ উপকারী বিধায় এ ধরনের প্রশিক্ষণ আরো বৃদ্ধি করার জন্য আমি ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার, পিএসসি; ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক জনাব মোঃ বোরহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিনসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং ডিআরইউর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ
দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অগ্নিপ্রতিরোধ ও অগ্নিনির্বাপণ কলাকৌশল, জরুরি উদ্ধার পদ্ধতি, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা, দুর্ঘটনার সময় ভবন থেকে জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থাপনা, ভূমিকম্পের আগে, ভূমিকম্পের সময় ও ভূমিকম্পের পরে করণীয়, অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা সরঞ্জাম পরিচিতি, সংবাদ সংগ্রহকালীন দুর্ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপদ থাকার কলাকৌশল, হাতে-কলমে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের ব্যবহার, গ্যাস সিলিন্ডারের দুর্ঘটনায় করণীয় ইত্যাদি কৌশল শেখানো হয়। প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন পরীক্ষায় সকল অংশগ্রহণকারী সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। প্রথম স্থান অর্জন করেন চ্যানেল ওয়ান টেলিভিশনের প্রতিবেদক ইশতিয়াক ইমন। প্রশিক্ষণ কোর্সের কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান শিকদার। প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ছালেহ উদ্দিন, সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোস্তফা মহসিন, সিনিয়র স্টেশন অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম দোলন, স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসীম প্রমুখ। দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজি, ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সুমন চৌধুরীসহ ৪০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ
১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক মহোদয়ের পক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এসজিপি, পিএসসি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে পার্টিসিপেন্টদের মধ্যে চ্যানেল ২৪-এর প্রতিবেদক জুমাতুল বিদা এবং ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সাংবাদিক সজীবুর রহমান সবার পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ

খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Legal measures excluding the July Fighter List when proven fake Ministry of Liberation War

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি পরিলক্ষিত হয়েছে যে, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ভূয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। উক্ত সংবাদগুলোর প্রতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ এবং ভাতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের এম.আই.এস ভুক্ত যে তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে ইতোমধ্যে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

জুলাই শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধার তালিকায় যে সকল ভূয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তাদের নাম যাচাই বাছাই করে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

এছাড়াও গণমাধ্যমে যে সকল ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর তা পুনরায় যাচাই-বাছাই করছে।

কোনো প্রকার ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Regardless of religion everyone is a family member the chief adviser

ধর্ম মত নির্বিশেষে সবাই আমরা এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা

ধর্ম মত নির্বিশেষে সবাই আমরা এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেইজ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সমান মর্যাদার অধিকারী এবং ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে কোনোভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। পুরো জাতি একটি পরিবার। পরিবারের ভেতরে মতভেদ থাকতে পারে, ব্যবহারের পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু পরিবার একটি অটুট জিনিস—এটাকে কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা যেন জাতি হিসেবে এই অটুট পরিবার হয়ে দাঁড়াতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

আজ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এর আগে তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যত ধর্মীয় পার্থক্য থাকুক, মতের পার্থক্য থাকুক, রাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই বৈষম্য করার। রাষ্ট্র দায়িত্ববদ্ধ সবাইকে সমান মর্যাদা দেওয়ার জন্য। সে যেই ধর্মেই বিশ্বাস করুক, যে মতবাদেই বিশ্বাস করুক, ধনী হোক কিংবা গরিব—রাষ্ট্রের কাছে সে একজন নাগরিক। নাগরিকের সকল অধিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র আমাদের তালিকা করে দিয়েছে আমার প্রাপ্য কী। কোনো সরকারের অধিকার নেই কাউকে বঞ্চিত করার, সামান্যতম পরিমাণেও নয়। আমরা নাগরিক—আমাদের প্রতি কোনো রকম বৈষম্য করা যাবে না। এ অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের সবসময় সোচ্চার থাকতে হবে।’

নাগরিক অধিকার প্রসঙ্গে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যত কথাই বলুন, তার মধ্যে বারে বারে বলুন—আমি এ দেশের নাগরিক, আমার সংবিধান প্রদত্ত সকল অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তখন দেখবেন সবাই আপনাদের সঙ্গী হবে। সারা দেশের মানুষ একসঙ্গে থাকবে, কারণ সবার সমস্যাই একই—নিজের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’

নাগরিক অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা বারবার লাঞ্ছিত হই, অপমানিত হই, নানা বৈষম্যের শিকার হই। কেন? কারণ নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে আমরা হতাশ হয়ে গেছি। এখন আর হতাশ হওয়া চলবে না। নতুন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো—সবার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা।’

প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই না নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে থেকে ধর্ম পালন করতে। আমরা চাই নাগরিক হিসেবে মুক্তভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে। এ অধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ভূমিকা পালন করছে, আমরা এজন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের ধর্মীয় উৎসব পালনে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপের প্রয়োজন হবে না।’

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তার ব্যক্তিগত অনুভূতির কথাও ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এবার হয়তো আমাকে এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হবে। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। আমি বললাম, যাবই। এই আনন্দ থেকে আমি নিজেকে দূরে রাখতে চাইনি। যদিও শারদীয় দুর্গাপূজার সময়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে সরকার প্রধান হিসেবে আমাকে থাকতে হবে, তাই আমি আগেভাগে এসেছি আপনাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার যখন এখানে এসেছিলাম, তখনও বলেছিলাম—আমরা সবাই একটি পরিবার। পারিবারিক মতভেদ থাকবেই, কিন্তু পরিবার ভাঙবে না।’

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড.আ ফ ম খালিদ হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দে প্রমূখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A few hundred go waiting to cross the river one between the two ghats in Daulatdia

দৌলতদিয়ায় ঘাট দুটির মধ্যে একটি ঘাট চালু, নদী পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশ যান

দৌলতদিয়ায় ঘাট দুটির মধ্যে একটি ঘাট চালু, নদী পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশ যান

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ঘাট সংকটে যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে।

সিরিয়ালে অল্প সংখ্যক যাত্রীবাহী যানবাহন থাকলেও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। ফলে ট্রাকচালক ও যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘাটে অপেক্ষা করে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ দুই কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক'শ যানবাহন ফেরির জন্য লম্বা সিরিয়ালে আটকে রয়েছে। সিরিয়ালে আটকে থাকা যানবাহন গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর।

এসব পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কের আটকে থাকতে হচ্ছে। ফলে তাদের গোসল, খাওয়া-দাওয়া, টয়লেটসহ নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরেজমিন ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,, দৌলতদয়িায় ১, ২, ৫ ও ৬ নং ফেরি ঘাট দীর্ঘদিন ধরে অকেঁজো হয়ে পড়ে আছে। ৩, ৪ ও ৭ নং ফেরি ঘাট জরাজীর্ণ অবস্থায় চলমান ছিল। এরমধ্যেই পদ্মায় তীব্র স্রেতের কারনে গতমাসের ২৩ আগস্ট থেকে ৭ নম্বর ঘাটটি বন্ধ রয়েছে। ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট সচল থাকলেও ৩ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের প্লেট ভেঙ্গে যাওয়ায় রবিবার রাত ১২টা থেকে ঘাটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। শুধুমাত্র ৩ নম্বর ঘাট চালু থাকায় যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে।

ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইনের বাস চালক আঃ জলিল বলেন, দুই ঘন্টা দৌলতদিয়া ঘাটে সিরিয়ালে আটকে আছি। শুনতেছি একটি মাত্র ঘাট চালু রয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে।

যশোর থেকে আসা ট্রাকচালক হাবিবুর রহমান বলেন, সকাল ৮ টার দিকে এসে সিরিয়ালে আটকে আছি। গাড়িতে তার রয়েছে। এছাড়া সময়মতো মালামাল পরিবহন করতে না পেরে পরিবহন খরচের পাশাপাশি তাদের খরচও বাড়ছে।

ভোগান্তি লাঘবে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, দুটি ঘাটের মধ্যে একটি ঘাট চালু থাকায় যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। একটি ঘাটের মেরামত কাজ চলছে, আশা করি খুব দ্রুতই ঘাটটি সচল হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, ঘাট কম থাকার ফেরি কম চালাতে হচ্ছে। বর্তমান এই নৌ-রুটে ছোট বড় মিলিয়ে ১০ টি ফেরি চলাচল করছে।

মন্তব্য

p
উপরে